সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭

ব্ল্যাকহেডস দূর করার ঘরোয়া উপায়

উপকরণ

১টা ডিমের সাদা অংশ
১/২ লেবুর রস
১ চা চামচ মধু

পদ্ধতি

প্রথমে মুখে গরম পানির ভাপ নিন। শুকনো টাওয়েল দিয়ে আলতো করে মুখ মুছে নিন।
 ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস ও মধু একটি বাটিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। 
আঙ্গুল দিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন ফেস প্যাকটি। 
১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য। 
শুকিয়ে গেলে নরম একটি বেবি টুথ ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। 
বিশেষ করে আক্রান্ত স্থান গুলো।
 এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। 
এতে রোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যাবে। 
আলতো করে মুখ মুছে ১ ফোটা অলিভওয়েল লাগিয়ে নিন পুরো মুখে। 
সপ্তাহে দুবার করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্ল্যাকহেডসের যন্ত্রণা থেকে ত্বক থাকবে মুক্ত, বারবার ফিরেও আসবে না।

রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭

মসুরির ডাল দিয়ে অসাধারণ রূপচর্চা


১। মুখের কালচে ভাব দূর করতেঃ
মসুরির ডালকে রাতে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সকাল বেলায় ডালটা পিষে মুখে লাগান। রোজ যদি মুখে এই প্যাকটা লাগান আপনার চেহারায় কালো ভাবটা দূর হয়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন, ডালটা রোজ তাজা তাজা পিষতে হবে আর কাঁচা দুধ ব্যবহার করবেন।

২। ত্বক সতেজ করতেঃ
মসুরির ডাল পিষে তার মধ্যে মধু এবং দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক সতেজ হবে৷

৩। মুখে বা পিঠের দাগ দূর করতেঃ
যদি মুখে বা পিঠে দাগ হয়, তাহলে মসুরির ডালের সাথে পোলাও চাল মিশিয়ে পেস্ট করুন। এর সাথে চন্দন পাউডার,মুলতানী মাটি, কমলা লেবুর শুকনো গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। ৪ চামচ শশার রসও দিন। মুখে এবং শরীরের নানা স্থানে ঐ পেস্টটা লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার পরে ধুয়ে ফেলুন।

৪। হাতের কনুইর রুক্ষভাব কমাতে এবং কালো দাগ দূর করতেঃ
দুধে মসুর ডাল ভিজিয়ে বাটুন। মসুর ডাল বাটা, হলুদ বাটা, পালংশাক বাটা, টমেটোর রস, সূর্যমুখীর তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কনুইয়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

৫। রোদেপোড়া দাগ দূর করতেঃ
রোদেপোড়া দাগ কমাতে মসুর ডালবাটা, কাঁচা হলুদবাটা ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।

৬। বলিরেখা দূর করতেঃ
বলিরেখা দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে মসুর ডাল বাটা দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখুন ফেস প্যাক হিসাবে। নিয়মিত লাগালে অবশ্যই দারুন উপকার পাবেন।

শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭

গলায় ছোপ ছোপ দাগ থেকে মুক্তির উপায়

তৈরীর উপায়:
১ চা  চামচ ঔষধমিশ্রিত উপতান (ঔষধের দোকানে পাওয়া যায় )
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
অল্প পরিমান গোঁটা করে ভাঙা এলাচি
১ টেবিল চামচ এলাচি গুঁড়ো
জিরা ভাঙা
ভিটামিন সি ট্যাবলেট ১ টি ( ভেঙে নিতে হবে )
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ১ টি ( ভেঙে নিতে হবে )
দেশি ঘি ( পরিমান মত )

ব্যবহার প্রণালি :
প্রথমে সব উপকরন এক সাথে মিশিয়ে পেস্ট বানান  ।  এরপর ব্রাশ দিয়ে গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন । ৪০ মিনিট পর শুকিয়ে এলে, গোলাপ জল দিয়ে আস্তে আস্তে তুলে ফেলুন । এই পেস্ট দিনে ২ বার করে গলায় এবং ঘাড়ের অংশে নিয়মিত লাগাতে হবে ।
টিপস :
  • প্রতিদিন ২ বার করে ১ টেবিল চামচ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সিরাপ পান করুন ।
  •  প্রচুর পানি খান ।
  •  ঔষধের দোকানে উপতান পাওয়া না গেলে ১ কাপ বেসন, ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ দুধ এবং ১ চা চামচ বাদাম তেল বা নারিকেল তেল মিশিয়ে উপতান বানিয়ে ফেলুন ।

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭

ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর যেভাবে করবেন

প্রথমে রিমুভার দিয়ে নখের পুরোনো নেইল পলিশ তুলে ফেলুন। এবার কিউটিক্যাল অয়েল লাগিয়ে নিন নখের চামড়া বা কিউটিক্যালের উপর। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন, যাতে চামড়া কিছুটা নরম হয়। এবার হালকা হাতে নখের ওপর তেলটা একটু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে নিন। তারপর একটি কিউটিক্যাল পুশার দিয়ে আস্তে আস্তে কিউটিক্যাল পিছনের দিকে পুশ করুন। কিউটিক্যাল পুশারের অপর প্রান্ত দিয়ে নখে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন।

এবার নেইল কাটার এবং ফাইলার দিয়ে নখকে দিন আপনার পছন্দ অনুযায়ী আকার।
এবার চলে আসি মূল প্রসঙ্গে।
প্রথমেই আপনার কয়েক ধরনের নেইলপলিশ দরকার। কয়েক ধরনের বলতে তিন রঙের ওয়াটার কালার, পিঙ্ক বা বেইজ এবং ঝকঝকে উজ্জ্বল সাদা রঙ। এক নজরে দেখে নিন সেই রঙ গুলো।

 স্বচ্ছ নেইল পলিশ লাগিয়ে নিন প্রথমে নখে। তাতে নখ ভালো থাকবে এবং যেকোনো রঙের নেইল পলিশ ব্যবহার করা হলে কেমিক্যাল থেকে সৃষ্ট হলুদ ছাপ নখে পড়া থেকে বিরত রাখবে। ক্লিয়ার কালারের নেইল পলিশটি শুকিয়ে গেলে এর উপর হালকা গোলাপি বা বেইজ রঙের নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর আরেক কোট নেইলপলিশ লাগান।

এরপর নেইল পলিশ শুকিয়ে যাওয়ার পর নখের সামনের দিকে অর্থাৎ আপনার নখের ওপর যেটুকু অংশ আপনি সাদা রাখতে চান,সেটি বাদে বাকি অংশে নেইল গাইড লাগিয়ে নিন ঠিক ছবিটির মত করে। এবার বাড়তি নখের উপর উজ্জ্বল সাদা রঙের নেইল পলিশ লাগিয়ে দিন। যেকোনো দোকানে আপনি এই স্টিকারগুলো কিনতে পারেন। এ ছাড়া স্টিকার ব্যবহার না করে সাবধানেও নেইল পলিশ দিয়ে নখের ওপরের অংশটি সাদা করে নিতে পারেন।

কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন এবার নেইল গাইডটি তুলে ফেলুন। ভালো করে নেইলপলিশ শুকালে এবার পুরো নখে স্বচ্ছ কালারের নেইল পলিশ লাগিয়ে নিন। এভাবেই হয়ে গেল আপনার ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর।

ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরের পরিচ্ছন্নতা, হালকা ভাব এবং একই সঙ্গে ফ্যাশনেবল ভাবের জন্য খুবই জনপ্রিয়। তবে বর্তমানে ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরের ধরনেও এসেছে বৈচিত্র্য। আজকাল ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরের সাদা রঙের বদলেও এসেছে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার। লাল, কালো বা ছাই রং অথবা আপনার পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারেন যেকোনো রং।  ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর অনেক দিন ধরে রাখতে কয়েক দিন পর পর ওপরের নেইল পলিশের কোটটি লাগিয়ে নিন।

মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭

চুলের সমস্যা দূর করতে টক দইয়ের হেয়ার প্যাক

১। চুল নরম কোমল করতে
টক দই, নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।  প্রাণহীন, নির্জীব, রুক্ষ চুলকে নরম, কোমল, এবং ময়োশ্চারাইজ করে তুলবে এই প্যাকটি। নিয়মিত ব্যবহারে এই প্যাকটি চুলের রুক্ষতা দ্রুত দূর করে দেবে।

২। চুল পড়া রোধ
১/৪ কাপ মেথি গুঁড়োর তার সাথে ১ কাপ টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মাথার তালুসহ সম্পূর্ণ চুলে এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। ২ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক বার ব্যবহার করুন।  এই প্যাকটি চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।

৩। রুক্ষতা দূর করতে
টকদই, বাদাম তেল এবং একটি ডিম ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। ডিমের পুষ্টি এবং তেলে চুলের রুক্ষতা দূর করে দিয়ে চুল স্লিকি করে তোলে।

৪। খুশকি দূর করতে
মাথার তালুর রুক্ষতা, খুশকি দূর করতে এই প্যাকটি বেশ কার্যকর। তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল টক দইয়ের সাথে ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি মাথার তালুতে ১০ মিনিট চক্রাকারে ম্যাসাজ করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করুন।

রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭

ঘরোয়া টোনার তৈরির পদ্ধতি

প্রাকৃতিক উপায়ে সহজ কিছু পন্থায় আপনি ঘরে বসেই তৈরি করে নিতে পারেন আপনার স্কিন টোনার।

১। একটি শশা কুচি করে কেটে তার সাথে ১/২ কাপ টক দই মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তা মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিটের জন্য রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ফ্রিজে রেখে আপনি ২-৩দিন  ব্যবহার করতে পারেন।

২। ১ লিটার গরম পানিতে পুদিনা পাতা ছেড়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর পানি ছেঁকে নিয়ে তা ঠাণ্ডা হতে দিন। তুলার সাহায্যে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বক পরিষ্কার করে ও টোনার হিসেবেও কাজ করে।

৩। গোলাপ জল খুবই উত্তম টোনার হিসেবে কাজ করে। ১/২ লিটার পানিতে ৫টি ডিস্টিল ওয়াটার ও ৮টি গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল করুন। যখন পানিটি প্রায় বেগুনি রঙ ধারণ করবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করে পানিটি ছেঁকে নিন। এভাবে গোলাপ জল তৈরি করে আপনি এক মাস ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। প্রতিদিন ২-৩ বার আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।

৪। সমপরিমাণ ভিনেগার ও গোলাপ জলের মিশ্রণ তৈরি করেও আপনি টোনার হিসেবে লাগাতে পারেন। টোনার হিসেবে এই মিশ্রণ খুবই উপকারী।

৫। টোনার হিসেবে বরফের ব্যবহার অতি পরিচিত। প্রতিদিন সকালে ও রাতে মুখ ধুয়ে নিয়ে আপনি ৩-৪ টুকরো বরফ ঘষে নিতে পারেন। বরফ আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে আর সেই সাথে খোলা লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতেও আপনি বরফ ব্যবহার করতে পারেন।

৬। একটি গ্রীন টি প্যাক ১/২ কাপ পানিতে ১০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পানি ছেঁকে নিন। রোজ সকালে আপনি এই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। কেবল টোনার নয়, এটি আপনার ত্বককে সারাদিনের জন্য কোমল ও সতেজ রাখবে।

৭। লেবুর রস মুখে ঘষে ১০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৮। ১/৪ চামচ অলিভ অয়েল, ১/৪ চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ মধুর মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরন পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৯। মুখ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ডিমের সাদা অংশ লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখের দাগ দূর করতেও কাজ করে। প্রতি রাতে শোবার আগে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।

১০। ১ চামচ দুধ, ১ চামচ মধু ও একটি ডিম নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে ২ দিন আপনি প্যাকটি লাগাতে পারেন।

১১। ৩ চামচ টমেটোর রস ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

১২। মধু ও লেবুর মিশ্রণ খুবই জনপ্রিয় টোনার হিসেবে কাজ করে।এই প্যাকটি আপনার ত্বককে মসৃণও করে তুলে।

১৩। পেঁপে ও আপেল একসাথে ব্লেন্ড করে আপনি টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

নিজেকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে আমরা সবাই চাই। তবে এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় আপনার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, আপনার হাসিটা ধরে রাখার ভার কিন্তু আপনার উপরই রইল। তাই সুস্থ থাকুন, হাসি মুখে থাকুন।

শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

নাইট ক্রিম ব্যবহার করা অতি জরুরি

নাইট ক্রিমের কিছু উপকারীতার কথা  আমাদের ত্বকের জন্য-
(১) আপনার ত্বককে সারা রাত ধরে নাইট ক্রিম ময়েশ্চারাইজ রাখে। ফলে ত্বকের সজিবতা ঠিক থাকে ।
(২) ত্বক মসৃণ রাখে আর ত্বকে আরাম দেয়।
(৩) আপনার ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে।
(৪) নাইট ক্রিম মাসাজ করার ফলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
(৫)  ত্বক মসৃণ রেখে ত্বকের টেক্সচার ঠিক রাখে।
(৬) ত্বকের বলিরেখা আর অন্যান্য ভাঁজ কমায়।
(৭) ত্বক রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা করে ।
(৮) ত্বক নরম ও ফুটফুটে রাখে।
(৯) ত্বকে বুড়িয়ে যাওয়া ছাপ পড়তে বাধা দেয়।
(১০) ত্বকে নুতন কোষ জন্মাতে ও ত্বকে পুষ্টি জোগাতে  নাইট ক্রিম অসাধারণ।

কোন ধরনের নাইট ক্রিম লাগাবেন?

আপনার ত্বকের সাথে যুতসই নাইট ক্রিম বেছে নিন । বাজারে অনেক ধরণের নাইট ক্রিম রয়েছে। স্বাভাবিক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক বা মিশ্র ত্বক ইত্যাদি সব ধরণের ত্বকের জন্যই আলাদা আলাদা নাইট ক্রিম আপনি বাজারে পাবেন এবং অনেক বিশ্বস্ত ব্রান্ডের নাইট ক্রিম পাবেন। নাইট ক্রিম কেনার সময় খেয়াল রাখুন ক্রিমটি যেন খুব ঘন না হয়। ঘন নাইট ক্রিম আপনার ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেবে যার ফলে ত্বকে ঠিকমতো বাতাস সরবারাহ হবে না । আর নাইট ক্রিম যেন সুঘন্ধিযুক্ত  না হয় আর এটি যেন অবশ্যই হাইপোএলারজিক হয় ।

কেন নাইট ক্রিম লাগাবেন?

আগেই বলেছি  ত্বকের জন্য কী কী ভালো কাজ করে এই নাইট ক্রিম । এটা বলা হয়ে থাকে যে, নাইট ক্রিমের একটিভ উপাদানগুলো রাতের বেলা আপনার ত্বকে ভাল কাজ করে দিনের বেলার ক্রিমের তুলনায়। আর রাতে আপনার ত্বকের কোষ রিজেনারেশানের ক্ষমতাও বেশী থাকে যখন আপনি ঘুমান।

সাধারণত কী কী উপাদান থাকে এই নাইট ক্রিমে?

নাইট ক্রিমে সাধারণত যেসব উপাদান থাকে তা হল – ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, জোজোবা ওয়েল, অলিভ ওয়েল, আপ্রিকট ওয়েল, রোজ ওয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, শিয়াবাটার, জেসমিন, অ্যান্টি এইজিং উপাদান, রেটিনল, এমিনো এসিড, এএইচএস, কপার, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, কোলাজেন।

ভালো এবং উন্নত মানের কিছু নাইট ক্রিমের নাম

The body shop Aloe Soothing Night Cream, The body shop Vitamin E Night Cream,  Neutrogena Light Night Cream, The body shop Nutriganic Smooth Night Cream, The body shop Shiso Brightening Night Treatment, L’oreal Night Cream For Mature Skin, Olay Night Recovery Cream

 কিভাবে নাইট ক্রিম লাগাবেন

যেমন তেমন করে নাইট ক্রিম লাগাবেন না। তাতেত্বকের উপকার হবে না। নাইট ক্রিম লাগানোর পদ্ধতি হবে  নিম্নরুপ-
 (১) নাইট ক্রিম লাগানোর আগে অবশ্যই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
(২) হাতের আঙ্গুলের ডগায় ক্রিম নিয়ে ফোটা ফোটা করে মুখের ত্বকে লাগান।
(৩) উপরের দিক থেকে নীচের দিকে বৃত্তাকারভাবে  ম্যাসাজ করে ক্রিম ত্বক মিশিয়ে দেবেন আস্তে আস্তে আলতো করে।
(৪) চোখের পাতায় নাইট ক্রিম লাগাবেন না ।
তাই আজ থেকেই আপনার ত্বকের যত্নে নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন । রাতে ঘুমানোর আগে আপনার নাইট ক্রিমের যত্ন সাথে নিয়েই ঘুমাতে যান যাতে সকালে আপনার মতো আপনার ত্বকও সজীব ও ফ্রেশ থাকে।

শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭

ত্বকের ও চুলের যত্নে ডিমের ব্যবহার

ডিমের সাদা অংশ ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বককে করে তোলে কোমল ও মসৃণ। একটি ডিমের পুরো সাদা অংশ ভালো করে ফেটে নিন। এতে আধা চা চামচ ময়দা ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ গলা ও হাতে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক হয়ে উঠবে তেলমুক্ত ও মসৃণ।
ডিমের সাদা অংশ আপনার লুকিয়ে থাকা ময়লাও দূর করে থাকে। ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ চা চামচ চালের গুঁড়া ও ২ চা চামচ দানাদার চিনি মেশান। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে শরীরে লুকিয়ে থাকা ধুলো-ময়লা দূর তো হবেই, সেই সাথে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।

একটি ডিমের শুধু সাদা অংশ নিন। এর সাথে মোটা দানার বাদামি চিনি মিশিয়ে নিন। চিনি গলে যাওয়ার আগেই এটা দিয়ে মুখের যেখানে যেখানে ব্লাক-হেডস আছে সেখানে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে মুখ ধোয়ার পর হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

চুল কোমল ও ঝলমলে করতে ডিমের তুলনা নেই। একটি পুরো ডিম ভালোভাবে ফাটিয়ে নিন। এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে ভালো করে মেখে নিন। ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল হবে কোমল ও ঝলমলে। যাদের চুল বেশি তৈলাক্ত তারা অলিভ অয়েলের পরিবর্তে টক দই ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি যখনই মাথায় মেহেদি লাগাবেন তার আগে মেহেদির সাথে একটি ডিম দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। যদি আপনার ডিমের গন্ধ নিয়ে সমস্যা হয় তাহলে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশটা ব্যবহার করতে পারেন।

বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭

চোখের যত্ন নেওয়ার কয়েকটি উপায়

চোখের যত্ন নেওয়ার উপায়-

ওয়াটার প্রুফ মাশকারা ও আইলাইনার খুব প্রয়োজন না হলে ব্যবহার না করাই ভালো। চোখের ভালো মানের কৃত্রিম পাপড়ি ব্যবহার করা উচিত। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

কাজের চাপ বেশি থাকলে চোখে কয়েক মিনিট আইকভার দিয়ে রাখতে পারেন। আইকভার না থাকলে নরম কাপড় দিয়ে চোখ ঢেকে রাখুন।

এ ছাড়া বাইরে থেকে ফিরেই চোখে বেশি করে পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত। এতে ধুলা-ময়লা সব পরিষ্কার হবে।

চোখের যত্নে মেকআপ তোলা জরুরি। তুলায় বেবি অয়েল বা অলিভ অয়েল নিয়ে ধীরে ধীরে মেকআপ তুলুন। অনেকে অন্য কোনো প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার না করলেও নিয়মিত কাজল ব্যবহার করেন। তারা মনে করেন, এটি আবার তোলার কী আছে। এটি ভুল ধারণা। কাজলও ভালোভাবে তুলতে হবে। অলিভ অয়েল বা বেবি অয়েল তুলায় নিয়ে কাজল তুলতে পারেন। চোখের মেকআপ তোলার জন্য বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিকুইড পাওয়া যায়। সেসবও ব্যবহার করতে পারেন।

চোখের নিচে কালো দাগ থাকলে আন্ডারআই ক্রিম ব্যবহার করুন। চোখের ক্লান্তি কমাতে শসা বা আলুর রস তুলায় ভিজিয়ে চোখের ওপরে দিন। কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কাঁচা দুধের মধ্যে তুলা ভিজিয়েও চোখের উপরে ১০ মিনিট রাখতে পারেন। ফ্রিজে রাখা ব্যবহৃত টি-ব্যাগ চোখের চারপাশে ১০ মিনিট রেখে দিন। দেখবেন নিমেষেই ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।

ছুটির দিনে বাড়িতে বসে চোখের উপযোগী প্যাক লাগাতে পারেন। টমেটোর রস, মসুর ডাল, গুঁড়া দুধ, মধু ও তিলের তেল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। যাদের চোখ ফোলা থাকে, তারা ত্রিফলার গুঁড়া, দুধ ও মধু মিশিয়ে হালকা করে মালিশ করুন। এতে চোখের ফোলাভাব কমে যাবে।

চোখের উপযোগী ব্যায়াম নিয়মিত করা উচিত। মাথা সোজা রেখে চোখ হাতের ডান থেকে বাঁয়ে ও বাঁ থেকে ডানে ১০ বার ঘোরাতে হবে। প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন করা যেতে পারে।
রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করুন। আর সানগ্লাস পরতে ভুলবেন না। সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। চোখের ক্লান্তি দূর করতে প্রকৃতির সবুজ রঙের জুড়ি নেই। একটু সময় পেলে সবুজে ঘেরা কোথা থেকে ঘুরে আসুন।

বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০১৭

মুখের অতিরিক্ত তিল দূর করার উপায়

► প্রতিদিন টক দই ব্যবহার করুন। এটি ধুয়ে ফেলবেন না, ময়েশ্চারাইজারের মত করে লাগান এবং রেখে দিন ত্বকে।

► লেবুর রসে যদি আপনার এলার্জি না থাকে তবে নিয়মিত লেবুর রস লাগান। দিনে যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করুন। দ্রুত ফল পাবেন।

► মৌসুমি ফল ও সবজি দিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করুন। এতে থাকতে পারে আলু, শসা, গাজর, লাউ, বাঁধাকপি, এপ্রিকট, স্ট্রবেরী, টমেটো ইত্যাদি।

► দুধ দিয়ে মুখ ধুতে পারেন।

► মধু সামান্য গরম করে আক্রান্ত স্থানে লাগালেও উপকার পাবেন।

► পার্সলি রসের সাথে লেবুর রস, কমালার রস এবং গাজরের রস মিশিয়ে নিন সমান পরিমাণে। এটি ব্যবহার করতে পারেন আপনার রেগুলার ক্রিম ব্যবহার করার ঠিক আগে। এতে ফ্রিকেলস দেখা যাবে না।

► চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব ভালো কাজে দেয়।

► কাঁচা হলুদের রস ও তিলের গুঁড়া এক সাথে মিশিয়ে নিন। পানি দিয়ে পেস্টের মত তৈরি করে আক্রান্ত জায়গায় লাগান।

► নিয়মিত তরমুজের রস ব্যবহারে ফ্রিকেলসের দাগ হালকা হয় অনেকটাই।

মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭

কালো ঠোঁট থেকে মুক্তির কার্যকরী উপায়

১. সপ্তাহে একবার স্ক্রাব ঠোঁটে স্ক্রাব করা হলে চামড়ার মরা কোষগুলো উঠে যায়।
 এতে আপনার ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। স্ক্রাব তৈরি করতে কয়েক ফোটা অলিভের তেল ও এক চা চামচ চিনি একত্রে মিশিয়ে নিন।
এবার তা আপনার ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। 
এটা ধুয়ে ফেলার পর আপনার প্রিয় লিপ বাম বা মাখন লাগিয়ে রাখুন।

২. লেবু ঠোঁটের কালো রঙ থেকে মুক্তি পাবার জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হল লেবু। 
লেবুর রস আলাদা বের করে রাখুন। 
ঘুমাতে যাবার পূর্বে লেবুর রস আপনার ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। 
প্রতিদিন এভাবে লেবুর রস লাগিয়ে ঘুমাতে যাবার এই অভ্যাস আপনাকে মাসব্যাপী পালন করতে হবে। 
এতে আপনার ঠোঁট আবার গোলাপি রঙ ধারণ করবে

সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭

মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়

প্রথম পদ্ধতি

প্রথম পদ্ধতি হলো ম্যাসাজ করা। নিয়মিত ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং স্ক্যাল্প উদ্দীপিত হবে। এক টেবিল চামচ ভিটামিন ই নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে থাকুন। ভিটামিন ই চুলের জন্য প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন এর যোগান দেয়। ভিটামিন ই এর সাথে চা এর নির্যাস যোগ করতে পারেন। এই দুটো ভালো ভাবে মিশিয়ে হাতের তালু এবং আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মাথার চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে নিন। ৫-৬ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। চুলগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে সম্পূর্ণ চুল আঁচড়ে নিন।
কিছুক্ষণ পর সাধারণ ভাবে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুল গজানোর জন্য দিনে ৩ বার ম্যাসাজ করতে হবে এই নিয়মে। কিন্তু বারবার শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এতে চুলের ক্ষতি হবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতি

চুলের গোঁড়ায় হেয়ার ফলিকল থাকে। ভাইব্রেশনের মাধ্যমে যদি ফলিকল উদ্দীপিত করা যায় তবে নতুন চুল গজানো সম্ভব। বাজারে ভাইব্রেটিং ম্যাসেজার কিনতে পাওয়া যায়। এর সাহায্যে আপনি স্ক্যাল্পে চক্রাকারে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাথায় ভাইব্রেটিং ম্যাসাজ নিতে পারেন। যে জায়গায় বেশি চুল পড়ে যাচ্ছে, তাতে বেশি মনোযোগ দিন। এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট আপনার স্ক্যাল্প ভাইব্রেট করুন।
ভালো ফল পেতে এটাও আপনাকে দিনে ৩ বার করতে হবে।

তৃতীয় পদ্ধতি

এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যেটা আপনার স্ক্যাল্পের মৃত কোষগুলো ঝরে যেতে সাহায্য করবে। এই মৃত কোষগুলো স্ক্যাল্পের ফলিকল ব্লক করে রাখে, যে কারণে নতুন চুল গজাতে পারে না। কেননা তখন স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ়ের মত করে লাগিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
এটা দিনে একবার করতে হবে।

চতুর্থ পদ্ধতি

এই পদ্ধতি হল মেডিকেশন। চুলের জন্য ওষুধ। অনেক গবেষণার পর ফেনাস্টেরাইড আর মিনোক্সিডিল নামের দুটো ওষুধ চুল গজানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। দুটি ওষুধের-ই সাইড ইফেক্ট আছে। মিনোক্সিডিল এর দুইটা কনসেনট্রেশন পাওয়া যায়। ২% আর ৫%। ২% মিনোক্সিডিল মেয়েদের জন্য আর ৫% মিনোক্সিডিল ছেলেদের জন্য। এটা বাজারে জেনোগ্রো নামে পাওয়া যায়। স্প্রে করে মাথার স্ক্যাল্পে দিতে হয়।
এই পদ্ধতি ছাড়াও আপনাকে খাদ্যাভ্যাস আর কিছু সাধারণ যত্ন নিতে হবে।

খাদ্যাভ্যাস

০১. প্রোটিন
পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন – আমাদের চুল মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। তাই নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন। তবে নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।
০২. আয়রন আর জিঙ্ক
আয়রন আর জিঙ্ক আপনার মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে নিতে সহায়তা করবে আর নতুন টিস্যু তৈরিতে এবং ক্ষয়রোধে সহায়তা করবে। পরিমিত পরিমাণে আয়রন আর জিঙ্ক নতুন এবং দ্রুত চুল গজানোর জন্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান।
০৩. ভিটামিন সি
পেয়ারা, লেবু, কমলা, আনারস, কামরাঙা, কাঁচা মরিচে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য সহায়ক।
০৪. কালোজিরা
কালোজিরা নতুন চুল গজানোর জন্যে সহায়ক। মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা আর খাবারে কালোজিরা ব্যবহার খুব ভালো ফল দেয়।

কিছু সাধারণ যত্ন

০১. নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা এবং আঁচড়ানো। কিন্তু অতিরিক্ত আঁচড়ানো চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়।
০২. পেঁয়াজ এর রস চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন | নিয়মিত ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাবে।
০৩. মেহেদি পাতা কিছু দিন ঘন ঘন ব্যবহার করুন। পাতা বেটে লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
০৪. শুকনা আমলকি পানিতে ভিজিয়ে লাগাতে পারেন।
০৫. খাটি কালো জিরা তেল বা নির্যাস বেশি বেশি ব্যবহার করতে পারেন।
কথায় বলে যতনে রতন মেলে। নিয়মিত যত্ন নিন, পদ্ধতিগুলো মেনে চলুন। দেখবেন আপনার মাথায় নতুন চুল গজাতে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭

ব্রণের জন্য কিছু প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ

ব্রণের জন্য কিছু প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ এর রেসিপিঃ

➣উপটান ১চা চামচ, কাঁচা হলুদ বাটা ১ চা চামচ ,তাজা নিম পাতা বাটা, লেবুর রস বা কমলা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। আপনি চাইলে একটু বেশি পরিমাণে নিয়ে করতে পারেন এবং ৩/৪ দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে ব্যবহার করা যাবে। প্রতিবার মুখ ধোয়ার সময় অল্প পরিমাণে নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি মাত্র ৭ দিন ব্যবহার করলে আপনার মুখের ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন।

➣কাঁচা দুধ ,হলুদ গুঁড়া ,অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের কোমলতা বাড়বে এবং সেই সাথে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করবে।

➣১ চা চামচ উপটান, ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ লেবুর রস, এবং ১ চা চামচ গোলাপ জল এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।  দিনে ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। আপনি চাইলে এই মিশ্রণটি ৩/৪ দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। এই ফেস ওয়াশটা প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ এর মধ্যে অন্যতম।

➣১/২ চা চামচ আলু কুচি, ১/২ চা চামচ শশা কুচি, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ টক দই ও ১ চা চামচ পুদিনা পাতা দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের কালচে ভাব দূর করার সাথে সাথে মুখে আনবে লাবণ্যতা ।

➣পুদিনা পাতা ১ চা চামচ, দারুচিনি ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মধু ১ চা চামচ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ৪/৫ ব্যবহারের করলেই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

উপরোক্ত ফেস ওয়াশ গুলো অবশ্যই প্রতিদিন ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে কারণ আপনার মুখে সারা রাত ধরে অনেক তেল জমা হয়ে থাকে আর এ থেকেও ব্রণের সৃষ্টি হয়।আর হ্যাঁ মনে করে বাইরে থেকে এসে সাথে সাথে মুখে ফেস ওয়াশ করে ফেলবেন বাইরের ধুলোবালি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবেন। অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে, কারণ এই সময়ে ত্বক পরিষ্কার না করলে সারা রাত ধরে আপনার মুখে রোগ জীবাণু বহন করে ব্রণের উপদ্রব বাড়িয়ে দেবে। এভাবে ত্বক পরিষ্কার পরিছন্ন রাখলে কিছু দিনের মধ্যে আপনি পাবেন ব্রণ মুক্ত লাবণ্যময় চেহারা।

বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭

মুখের কালো দাগ দূর করতে রাতে ঘুমানোর আগে করণীয়

মুখের কালো দাগ দূর করতে রাতে ঘুমানোর আগে টিপস

কী ব্যবহার করবেন?

মুখের দাগ দূর করতে আমরা ব্যবহার করবো লেবু। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে সকল অ্যান্টি স্পট ফেয়ারনেস ক্রিম লেবুর কথা বলে। কারণ একটাই, লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। তবে লেবু এই রূপচর্চাটি কেবল রাতের বেলায় করতে হবে এই কারণে যে সূর্যের আলো আপনার ত্বকে রিঅ্যাকশন করতে পারে। রাতের বেলায় রূপচর্চাটি করলে সূর্যের আলো বা গরমে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং ত্বক সম্পূর্ণ ৮-১০ ঘণ্টা পাচ্ছে দাগ দূর করার জন্য।

কী করবেন?

দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন আপনি। যদি আপনার ত্বক হয়ে থাকে স্বাভাবিক, তাহলে মাত্র ৫ মিনিটের একটি কাজ করতে হবে আপনাকে। যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ হয়ে থাকে, তাহলে সময় লাগবে ৩০ মিনিট।
-মুখ খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
-যদি স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে তাজা পাকা লেবুর রস (যে লেবু পেকে হলদে হয়ে গেছে, অর্থাৎ লেমন) সরাসরি মুখের কালো দাগে লাগিয়ে নিন। লেবুর রসের সাথে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। তারপর শুকাতে দিন। এবং লেবুর রস মুখে নিয়েই ঘুমিয়ে যান। স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বকে কোন সমস্যা হবে না। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ মুছে নিন।
-আর যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ ত্বক হয়, তাহলে পাকা লেবুর রসের সাথে মুলতানি মাটি ও মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ধোয়া মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ মিলিয়ে যাবে।

টিপস-

ত্বকে লেবুর রস দেয়ার পর যদি কোন রকম অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে মুখে ধুয়ে ফেলুন এবং পুনরায় ব্যবহার করবেন না।

সোমবার, ১০ জুলাই, ২০১৭

পিঠের ব্রণ দূর করার কিছু উপায়

ধাপ ১

উপকরণ

পুদিনা পাতা : পুদিন পাতায় রয়েছে মেন্থল, ব্রণ দূর করতে এবং ব্রণ থেকে হওয়া পেইন কমাতে সাহায্য করে। এটি ব্রণ শুকাতে সাহায্য করে এবং পোর ক্লিন করে। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,  যা ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনের সাথে লড়াই করে। এটি  স্পট দূর করতেও হেল্প করে।
লেবুর রস : লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক এসিড, খুবই শক্তিশালি অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্টস হিসেবে কাজ করে, যা ব্রণ শুকাতে সাহায্য করে এবং স্পট দূর করে। এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল এজেন্ট যা, ব্যাক্টেরিয়া দূর করে এবং ব্রণের বৃদ্ধি হ্রাস করে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

– পুদিনা পাতা ক্রাশ করে এর জুস বের করে নিন, যেন তা ২ চা চামচ পরিমানে হয়।
– এবার একটি বাটিতে ২ চা চামচ পুদিনা পাতার জুস এবং ২ চা চামচ লেবুর রস নিয়ে মিক্স করে নিন।
– একটি কটন বল সেই মিশ্রণে চুবিয়ে নিন এবং পিঠের যে যে অংশে ব্রণ রয়েছে সেখানে লাগিয়ে নিন।  ২০ মিনিট রেখে দিবেন। প্রতিদিন গোসলের আগে এটি করবেন।

ধাপ ২

উপকরণ

টি ট্রি অয়েল টি ট্রি অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি সেফটিক প্রোপার্টি যা, ব্যাক্টেরিয়া দূর করে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

– গোসলের সময় আপনার গোসলের পানিতে ২-৩ ফোটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে গোসল সেরে নিন। তবে, এই পানি আপনার চুলে/ মাথার ত্বকে ব্যবহার করবেন না যেন।

ধাপ ৩ 

উপকরণ

অ্যালোভেরা জেল :  অ্যালোভেরা জেল এ রয়েছে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্টস এবং অ্যান্টি ফাংগাল প্রোপার্টি যা, ফাংগাল ইনফেকশন দূর করে। ব্রণের স্পট দূর করে,  স্কিনকে স্মুদ এবং ঠান্ডা রাখে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

– গোসলের পর আপনার পিঠের স্কিনকে মুছে নিন। অ্যালোভেরা জেল নিয়ে এটি এফেক্টিভ এরিয়াগুলোতে লাগিয়ে নিন। এটি ধুয়ে ফেলার কোনো প্রয়োজন নেই।
– এই ৩ টি ধাপ প্রথম এক সপ্তাহ প্রতিদিন ফলো করুন। এরপর সপ্তাহে ২ দিন করবেন।
পিঠের ব্রণ হওয়ার মূল কারণ হলো স্ট্রেস। তাই যতটা পারবেন নিজেকে স্ট্রেস মুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন। এই তো জেনে নিলেন, কীভাবে মাত্র ৩ টি ধাপের মাধ্যমে পিঠের ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন। আশা করছি, এ থেকে আপনাদের উপকার হবে।

শনিবার, ৮ জুলাই, ২০১৭

স্বল্প ব্যায়ে প্রাকৃতিক উপায়ে করে নিন কার্যকরী রূপচর্চা

১. আটা

ক. রান্না ঘরের আটা আপনার ত্বক পরিচর্যায় অনেক সহায়ক হতে পারে। যেধরনেরই ত্বক হোক না কেন, আটা সব ত্বকের জন্যেই ভালো কাজ করে। ১ টেবিলচামচ পরিষ্কার আটা নিয়ে তার সাথে গরুর কাঁচা দুধ, একটু কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়েমুখে মেখে ১০/১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।
খ. আটা পানিতে ফুটিয়ে পেস্টের মতো করে মুখমন্ডলে লাগালে মুখের ছিটছিট তিলে দাগ অনেক হালকা হয়ে যায়।
গ. বেসনের মতো আটা হাতে নিয়ে পানি দিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগিয়েসাবানের মতো মুখ পরিষ্কার করা যায়।
ঘ.দুধের সরের সাথে আটা ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখেধুয়ে ফেলবেন।

২. হলুদ

হলুদের গুণের কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। রূপচর্চায় হলুদের ভূমিকাঅনেক। অতীতে নানী-দাদীরাও হলুদ ব্যবহার করতেন। নানান রোগের জন্যে কাঁচাহলুদের রসও খেতেন। ঘরোয়া চিকিৎসাতেও হলুদের অবদান অনেক।
অনেক ফেসপ্যাক কাঁচা হলুদ দিয়ে তৈরি করা হয়। অনেকের গায়ের রং ফ্যাকাসেসাদা। তারা যদি একটু কাঁচা হলুদ বেটে তার সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে গায়ে, হাতে এবং পায়ে মেখে প্রতিদিন গোসল করেন, তাহলে দেখবেন ফ্যাকাসে ভাবনেই। সুন্দর সোনা বর্ণের আভা চলে আসছে দেহে। কাঁচা হলুদের সাথে দুধের সরওমিশিয়ে নিতে পারেন।
হলুদ লোমনাশক, নিয়মিত মাখলে শরীরের লোম বাড়ে না। এতে ওয়াক্সিং-এর কাজহয় ভালো। আগেকার দিনে মা-দাদীরা কাঁচা হলুদ বাটার সাথে নিম পাতা বেটে বড়িবানিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখতেন। তারপর প্রতিদিন বাসি পেটে খেতেন। এতে পেটেরদোষ হতো না, লিভার ভালো থাকতো। এতে মুখে লিভার স্পট পড়ে না। অনেকমেয়েলি অসুখেও ফল পাওয়া যায়। কাঁচা হলুদ আখের গুড়ের সাথে খালি পেটেখেলে রক্ত পরিশোধিত হয় বলে স্বাস্থ্য রক্ষা ও রূপচর্চায় হলুদের দান অতুলনীয়।

৩. ডাব

ক.ডাবের পানিতে ১৯টি খনিজ উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে দুটোডাব খেলে ত্বকের কমনীয়তা বাড়ে।
খ.বসন্ত হলে কচি ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুলে দাগ চলে যায়।
গ. মুখে ব্রণের দাগ হলে ডাবের পানি দিয়ে ধুলে দাগ চলে যায়।
ঘ.একটু তুলো ডাবের পানিতে ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে শুকোতে দিন। তারপরহাত দিয়ে আস্তে আস্তে মুখ ঘষে দেবেন। এতে মুখে সুন্দর উজ্জ্বল একটা ভাব চলেআসবে। মুখের ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে।
নানী-দাদীরা সেকালে নারকেল দিয়ে চুল ধুতেন। এতে চুলের উজ্জ্বলতা যেমনবাড়তো তেমনি চুলও পড়তো না। অনেক সময় ঝুনো নারকেল নষ্ট হয়ে যায়। এইনষ্ট নারকেল না ফেলে শিলে পিষে মাথায় ঘষে দিয়ে ঘণ্টা খানেক পরে মাথা ধুলে চুলশুকোনোর পর দেখবেন চুল তেল দেয়ার মতো হয়েছে। চুলের পরিচর্যায় নারকেলবেশ উপকারী।
ঙ.একটা নারকেলের অর্ধেক নিয়ে কুড়িয়ে আধা কাপ অথবা এক কাপ গরমপানির সাথে ভালো করে চটকে দুধ বের করে নিয়ে পরিষ্কার দুধের সাথে একটাকাগজী লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় বিলি কেটে চামড়ায় ভালো ভাবে ম্যাসাজ করে২০-৩০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে চুল ধুয়ে নিন। এ পদ্ধতি সপ্তাহে একদিনকরলে চুল ওঠা বন্ধ হবে। তারপরেও চুল উঠলে ভিটামিন ও আয়রন খেতে হবে।ক্যালসিয়ামের অভাবেও চুল ওঠে। সেজন্যে ডাক্তারের পরামর্শে ক্যালসিয়াম খেতেপারেন।

৪. গোলাপ জল

গোলাপ জল চেনে না এমন লোক বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিয়ে বাড়ি বলুন, মিলাদ মাহফিল বলুন, রূপচর্চা বলুন- গোলাপ জলের চাহিদা আছেই। রান্না-বান্নায়গোলাপ জল তো চাই-ই চাই। গোলাপ ফুলের নির্যাস থেকেই এ পানি বানানো হয়।পানি সুগন্ধি করতে গোলাপ জলের দরকার হয়। গ্লিসারিনের সাথে সমপরিমাণগোলাপ জল মিশিয়ে ঠোঁটে মাখলে ঠোঁট ফাটে না এবং ঠোঁটের রং-ও সুন্দর হয়।গোলাপ জল দিয়ে স্কিন-ফ্রেশনার টনিক আপনি নিজেই বানাতে পারেন। আধা কাপগোলাপ জল, একটা লেবুর রস, ক-ফোঁটা মধু একত্রে মিশিয়ে নিলে স্কিন-ফ্রেশনারটনিক হয়ে গেল।
এ টনিক দিনে দুবার তুলোয় করে মুখে লাগাতে পারেন। যাদেরমুখের চামড়া খসখসে তারা রাতে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে সমপরিমাণ গোলাপ জলেরসাথে গ্লিসারিন মুখে, হাতে এবং পায়ে মেখে নিতে পারেন। ভোরে কুসুম গরম পানিদিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এতে মুখের খসখসে ভাব থাকবে না এবং ত্বক কোমলহবে।

৫. মধু

মধুর গুণের কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। মধু এবং দুধকে বলা হয়বেহেশতের নিয়ামত। মধু ত্বকের জন্যে খুবই উপকারী। বহু ফেসপ্যাক মধু দিয়েতৈরি হয়। কয়েক ফোঁটা মধু ও কাঁচা দুধ একত্রে মুখে মাখলে মুখের রং উজ্জ্বল, কোমল ও মসৃণ হয়।
মধু ও বেসন একত্রে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে মেখে ১৫/২০ মিনিট রেখেহালকা গরম পানি ও পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুলে মুখের ত্বক খুব সুন্দর ও মসৃণ হয়।
কয়েক ফোঁটা মধু + কয়েক ফোঁটা লেবুর রস + ১ চা চামচ গাজরের রস + ১ চাচামচ ছোলার ডালের বেসন একত্রে পেস্টের মতো করে মুখে মেখে ২০/৩০ মিনিটরেখে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মুখ মসৃণ ও কোমল হয়ে উঠবে।এ প্যাকটি শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্যে উপকারী।
মধু খেলেও নানা রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। মধু কফনাশক। প্রতিদিন১ চামচ মধু খেলে ঠান্ডা লাগতে পারে না। আয়ুর্বেদী বহু চিকিৎসায় মধু ব্যবহৃত হয়।বাসক পাতার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা মধু নিয়মিত খেলে ঘুম ভালো হয়।

৬. খাবার সোডা

খাবার সোডা রুটি, বিস্কুট, চটপটি ইত্যাদি বহুবিধ রান্নায় ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তুরূপচর্চা বা কোনো কিছু পরিষ্কার করার কাজেও যে সেটি ব্যবহার হয় তা হয়তোঅনেকেই জানেন না। রূপোর গয়না একটু খাবার সোডা দিয়ে ব্রাশ করে ধুলেদেখবেন ঝকঝকে হয়ে উঠছে। অনেকের মুখের দাঁত দেখতে হলদেটে ভাব। তারাযদি একটু খাবার সোডা দাঁত মাজার ব্রাশের ওপর নিয়ে মেজে নেন, তাহলে দেখবেনদাঁতগুলো মুক্তোর মতো ঝকঝকে হয়ে উঠেছে। তবে, এ পদ্ধতিটি আপনি রোজকরতে যাবেন না। এতে মাঢ়ির ক্ষতি হবে।

৭. আলু

শুধু রান্না-বান্না, খাবার-দাবারে যে আলুর ব্যবহার হয় তা নয়। রূপচর্চায় আলুরঅবদান একেবারে কম নয়। অনেকে গায়ের রং ফর্সা করার জন্যে নানান জিনিসব্যবহার করে থাকেন। তারা হয়তো অনেকেই জানেন না আলু ব্যবহার করেওশরীরের রং উজ্জ্বল করা যায়। গোল আলু খোসাসহ গোল গোল করে কেটে নিয়েকিছুক্ষণ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর পানি থেকে তুলে হাতে পায়ে মুখেগলায় ঘষে ঘষে মেখে নিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করলেদেখবেন গায়ের রং উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।

৮. ডিম

সৌন্দর্য চর্চায় ডিম এক অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে। ডিম দিয়ে মাথা ধোয়া,ডিমের তৈরি প্যাক বিভিন্নভাবে ত্বকের জন্যে ব্যবহার হয়ে থাকে। ডিমের প্যাকেমুখের লাবণ্য ফিরে আসে। ডিমের কুসুমের প্যাক শুকনো ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো।শুকনো ত্বকের জন্যে ডিমের কয়েকটি প্যাক :
ক.ডিমের হলুদ অংশ + আধা চা চামচ অলিভ অয়েল + কয়েক ফোঁটা লেবুররস। এ প্যাকটি মুখ ধুয়ে, পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে প্রথমেহালকা কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ও পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বকেরজন্যে খুবই ভালো ফল হবে।
খ.ডিমের কুসুম ও তার সাথে অ্যালমন্ড অয়েল অথবা অলিভ অয়েল আধাচা চামচ মিশিয়ে মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে প্রথমে হালকা কুসুম গরম পানি, পরেঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। সাধারণত সপ্তাহে ২/৩ দিনের বেশি লাগানোরদরকার নেই। এতে আপনার ত্বক সতেজ হয়ে উঠবে।

৯. ময়দা

প্রত্যেক বাড়িতেই রান্না ঘরে ময়দা পাওয়া যায়। আর এ ময়দা রূপ চর্চার কাজেব্যবহার করে আপনি হতে পারেন রূপবতী নারী। সাবানের পরিবর্তে ময়দা পানিতেগুলিয়ে হাতে, পায়ে ও মুখে মেখে গোসল করতে পারেন। আবার ময়দা + কাঁচা হলুদবাটা + দুধের সর মিশিয়ে হাতে, পায়ে, মুখে আস্তে আস্তে মেখে প্রথমে হালকা কুসুমগরম পানিতে, পরে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিলে দেখবেন গায়ের রং কিছু দিনের মধ্যেউজ্জ্বল হয়ে উঠছে।

১০. পেঁয়াজ

রূপচর্চায় পেঁয়াজের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। বহু রোগ সারাতেও পেঁয়াজের জুড়িনেই। কাঁচা পেঁয়াজে ভিটামিন-বি ও ভিটামিন-সি রয়েছে। কাঁচা পেঁয়াজের রস ওআদার রস সমপরিমাণে নিয়ে সামান্য গরম করে ১ বা ২ চা চামচ খেলে নতুন সর্দিরউপশম হয়। যদি কারো নাক থেকে অনবরত পাতলা পানির মতো শ্লেষ্মা পড়েতাহলে কাঁচা পেঁয়াজ ও আদা সামান্য তেলে ভেজে নিয়ে খেলে শ্লেষ্মা ঘন হয়।মাথার খুশকিতে কাঁচা পেঁয়াজের রস ওষধি হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া কাঁচাপেঁয়াজের সাথে সামান্য কয়েকটি সর্ষে বেটে মাথায় বিলি কেটে দিলে নতুন চুলগজায়।

১১. শসা

শসার গুণের কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। শসা যেমন রান্না-বান্নায়, খাওয়া-দাওয়ায় ব্যবহৃত হয় তেমনি ব্যবহৃত হয় রূপচর্চায়।
ক.মুখে কোনো কালো দাগ পড়লে কচি শসার রস মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিটরেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নেবেন। এভাবে কিছুদিন নিয়মিত লাগালে দাগ উঠে যায়।
খ.শসার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মুখে মেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডাপানিতে ধুয়ে নিলে মুখের রং উজ্জ্বল ও কোমল হয়। তবে নিয়মিত কিছুদিন করতেহবে।
গঅনেক সময় দেখা যায় চোখের নিচে অনেকেরই কালো দাগ পড়ে। শসাররস নিয়মিত মাখলে এ দাগ দূর হবে।
ঘ.মনে রাখবেন যদি কেউ ফর্সা হতে চান তবে নিয়মিত শসার রসের সাথেকয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে, হাতে ও গায়ে নিয়মিত মাখলে গায়ের রংফর্সা হয় অথবা শসা পাতলা পাতলা করে কেটে মুখে ঘসে নিতে পারেন। পরেশুকোলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নেবেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে শসা খুবই উপকারী।তবে কাঁচা ব্রণের ওপর লেবুর রস লাগালে দাগ হয়। তার জন্যে শুধু শসার রসইভালো।
ঙ.মুখকে রোদ থেকে বাঁচাতে, মুখের দাগ তুলতে ও ময়লা থেকে যদি রেহাইপেতে চান তবে শসার সাহায্যে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে ২৫/৩০ মিনিট রেখেপ্রথমে গরম পানি, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে বাইরে বেড়িয়েআসতে পারেন। এতে ত্বক সারাদিনের জন্যে যেমন চকচকে, মসৃণ ও কোমলথাকবে তেমনি বাইরের নানান জীবাণু থেকে ত্বক রেহাই পাবে।
এবার জেনে নিন কীভাবে প্যাকটি তৈরি করবেন। একটি কচি শসা পাতলা করেকেটে থেঁতো করে তার সাথে একটি ডিমের কাঁচা কুসুম, এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধমিশিয়ে মিক্সার মেশিন অথবা ব্লেন্ডারে মিশিয়ে নিয়ে মুখে, গলায় ও হাতে মেখেনেবেন। ব্লেন্ডার না থাকলে হাতেই ভালো করে মিশিয়ে নেবেন।

১২. গাজর

রূপচর্চায় গাজরের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। গাজরে প্রচুর ভিটামিন-এ এবংক্যারোটিন রয়েছে। প্রতিদিন একটি করে কাঁচা গাজর খেলে আপনার শরীরেভিটামিন-এ-এর অভাব হবে না। এতে চোখ, ত্বক- উভয়ের জন্যেই উপকার।আমাদের দেশে শীতকালে প্রচুর গাজর পাওয়া যায় এবং দামও খুব কম থাকে। তাইসস্তায় আপনি প্রচুর ভিটামিন গ্রহণ করতে পারেন। গাজর খেলে দাঁতও চকচকেহয়। গায়ের রং ফর্সা হয়। পায়খানা পরিষ্কার হয়। চুল পড়ে না।
চুলের উজ্জ্বলতাবাড়ে। মনে রাখবেন, ভিটামিন-এ ত্বকের সৌন্দর্যের জন্যে খুবই দরকার আর তাআপনি গাজর থেকে অল্পতেই পেতে পারেন। অর্থাৎ গাজর খেলে আপনার ত্বক চোখদাঁত ঠোঁট চুল- সব কটি অঙ্গেরই উপকার হচ্ছে। আবার গাজর দিয়ে সুন্দরফেসপ্যাকও তৈরি করে নিতে পারেন। এ প্যাক মিশ্র ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী।কীভাবে প্যাক তৈরি করবেন জেনে নিন :
১ টেবিল চামচ অথবা আপনার পরিমাণ মতো ছোলার ডালের বেসন + গাজরের রস+ অলিভ অয়েল কয়েক ফোঁটা নিয়ে পেস্টের মতো বানিয়ে মুখে মেখে ১৫/২০মিনিট রেখে প্রথমে হালকা গরম পানিতে, পরে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলবেন। গাজরদিয়ে আপনি আরও একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এ প্যাক স্বাভাবিকও শুষ্ক- উভয় ত্বকের জন্যেই উপকারী।
১টি (মিহি কোড়ানো) গাজর + ২ চা চামচ গরুর দুধ + ১ চা চামচ বেসন মিশিয়েমুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কাঁচা গাজর নিয়মিত খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

১৩. টমেটো

শীতকালে আমাদের দেশে প্রচুর টমেটো পাওয়া যায়। এ সময় দামও কম থাকে।টমেটোতে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। তাই কাঁচা টমেটো খাওয়া খুবই উপকারী।টমেটোতে ভিটামিন-বিও রয়েছে। ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি এগুলো ত্বকের জন্যেবেশ উপকারী। টমেটো খেয়ে এবং ফেসপ্যাক তৈরি করে আপনি রূপচর্চা করতেপারেন অনায়াসে।

ফেসপ্যাক তৈরির পদ্ধতি

মাঝারি ধরনের গোটা তিনেক টমেটোর রসের সঙ্গে ২ চা চামচ গ্লিসারিন, ৩ চামচলেবুর রস, ৪ চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে, গলায় ও হাতে ভালো করে মেখে নিয়ে ১৫/২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়েফেলুন। দেখবেন মুখটি কেমন সুন্দর মনে হচ্ছে।

১৪. বাঁধাকপি

বাঁধাকপিতে রয়েছে ভিটামিন-বি, ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি। এছাড়া বাঁধাকপিতেভিটামিন-কে-ও রয়েছে। ভিটামিন-কে রক্ত জমাট বাঁধতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।দেহের হাড় গঠন ও পুষ্টিতে ভিটামিন-কে বিশেষ প্রয়োজন। বাঁধাকপিতে সালফাররয়েছে প্রচুর। সালফার আমাদের চুল ও দেহের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষাকরে।
বাঁধাকপির সাহায্যে আমরা মুখের ত্বককে অনায়াসে কোমল করে তুলতে পারি।প্রথমে বাঁধাকপির পরিষ্কার দু-তিনটি পাতা নিয়ে রস বের করুন। এবার এর সঙ্গে ১চামচের চার ভাগের ১ ভাগ ইস্ট মেশান এবং এর সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে ঘনপেস্টের মতো তৈরি করে নিয়ে সমস্ত মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে প্রথমে হালকাগরম পানি, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া বাঁধাকপির সাহায্যে সুন্দরস্কিন-ফ্রেশনার টনিক বানাতে পারেন নিজ হাতেই।
প্রথমে বাঁধাকপির কয়েকটিটাটকা পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে কুচিয়ে ১ কাপ পানিতে কুচানো কপি ফুটিয়েভালো করে সেদ্ধ করে সেই পানি ভালো ভাবে ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন। তৈরি হয়ে গেলআপনার স্কিন-ফ্রেশনার। মুখ ভালো ভাবে বেসন অথবা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করেধুয়ে একটু তুলো ঐ পানিতে ভিজিয়ে সারা মুখে, হাতে ও পায়ে লাগিয়ে নিন এবংশুকোতে দিন। মুখ মুছে ফেলবেন না। এতে এর গুণ নষ্ট হয়ে যাবে। পানি গরমঅবস্থায় দেবেন না। ঠান্ডা করে দেবেন। যেদিন বানাবেন সে দিন ব্যবহার করবেন।বাসি করবেন না।

১৫. লেটুস পাতা

বাঁধাকপির মতো লেটুস পাতায়ও রয়েছে ভিটামিন-সি। এছাড়াও আছে ম্যাঙ্গানিজ।লেটুস হজমকারক। তাই লেটুস পাতা খাওয়া খুবই ভালো। আমরা সালাদে লেটুসব্যবহার করে থাকি। লেটুস দিয়ে আবার স্কিন-ফ্রেশনার টনিকও তৈরি করা যায়।শীতকালে ঘরে বসেই আপনি স্কিন-ফ্রেশনার টনিক বানাতে পারেন। বাঁধাকপিরমতোই লেটুস কুচিয়ে পানিতে ফুটিয়ে ভালো ভাবে সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা হলেতুলোয় করে মুখে, হাতে ও পায়ে মেখে নিতে পারেন।

১৬. মটর দানা

মটরেও রয়েছে নানান ভিটামিন। মটর খেতে আমরা সবাই ভালবাসি। মটর দিয়েওসুন্দর ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে মটরের সাহায্যে আপনিসুন্দর ফেসপ্যাক বানাতে পারেন। মটর প্রসেস করে রেখে বহু দিন ব্যবহার করতেপারবেন।

প্রস্ত্তত প্রণালী

এক কাপ মটর নিয়ে গরুর দুধে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরেরদিন দুধ থেকে তুলে নিয়ে শুকিয়ে নেবেন এবং এই শুকনো মটর গ্রাইন্ডারে গুঁড়োকরে অথবা শিলপাটায় গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারেন। যখন প্রয়োজন হবে কিছুটানিয়ে পানি মিশিয়ে পেস্টের মতো করে মুখে লাগাতে পারবেন। ১৫ মিনিটের মতোমুখে রেখে ধুয়ে ফেলবেন। এ প্যাকটি ব্রণের জন্যে খুবই উপকারী।

১৭. পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতার চাটনি অত্যন্ত মজাদার। আর এই পুদিনা পাতা রূপ চর্চারও অনবদ্যউপকরণ। তৈলাক্ত মুখে সারা সময়ই একটা-দুটো ব্রণ লেগে থাকে। আর তা সারাতেপুদিনা পাতার জুড়ি নেই। শীতের সময় এর ফলন হয় বেশি এবং সারা বছরওবাজারে কম-বেশি পাওয়া যায়।

এবার জেনে নিন রূপচর্চায় এর ব্যবহার-

প্রথমে পুদিনা গাছ থেকে শুধু পাতা নিন। ভালো ভাবে ধুয়ে মিহি করে বেটে পেস্টেরমতো বানিয়ে রাতে মুখে ভালো ভাবে লাগিয়ে রেখে দিন। পরের দিন ভোরে মুখ ধুয়েফেলুন। এভাবে মাস খানেক লাগানোর পর দেখবেন আপনার মুখে আর আগের ব্রণনেই। দাগও নেই।
মনে রাখবেন, যেকোনো রূপচর্চাই ধৈর্য ধরে বহুদিন না করলে আপনি তার সঠিকফল ভোগ করতে পারবেন না।
ঘরের জিনিস দিয়েই অনেক কম খরচে সৌন্দর্য চর্চা করে আপনি হয়ে উঠতে পারেনসুকোমল ত্বকের অধিকারিণী। বিউটি পার্লারে গিয়ে পয়সা ও সময় নষ্ট করেআপনাকে এসব করতে হবে না। অনায়াসে নিজেই এগুলো তৈরি করে নিতে পারেন।আর প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বলে এর কোনো পার্শব প্রতিক্রিয়া নেই। শুধু দেখেনিন কোনটি আপনার জন্যে বেশি প্রযোজ্য।

স্থায়ী ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাবার কিছু কৌশল

টম্যাটো –

একটি টম্যাটো স্লাইস করে কেটে ত্বকে ম্যাসেজ করুন। পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসেজ করার পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। টম্যাটোতে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

কলা ও অলিভ অয়েল ফেসপ্যাক –

একটি পাকা কলা নিয়ে পেস্ট করে নিন। কলার পেস্ট এর সাথে ১/২ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এখন মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন তরপর ধুয়ে ফেলুন।

সবুজ আপেল –

ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সবুজ আপেল অনেক উপকারী। সবুজ আপেল কেটে গ্রেট করে নিইয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সবুজ আপেল শুধু ত্বক উজ্জ্বল করেন না সাথে সাথে মুখের ত্বকে রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি করে।

ময়দা, দুধ ও লেবুর রস –

২ চামচ ময়দা নিন সাথে ১ চামচ লেবুর রস ও ১ চাবচ দুধ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিন এবং না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ১৫/২০ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই টিপসটি সব ধরণের ত্বকের জন্য উপযোগী।

শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭

ত্বকের যত্নে কমলার তৈরী ফেসপ্যাক

খুব সহজেই বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন কমলার ফেসপ্যাক। জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন-

কমলা, মধু ও হলুদ

ত্বকের ক্লান্তি দূর করতে পারে এই ফেসপ্যাক। ১ টেবিল চামচ কমলার রসের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু ও ১ চিমটি হলুদ মেশান। ভালো করে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগান। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে মুছে নিন ত্বক।

কমলার খোসা গুঁড়া ও দই

এই ফেসপ্যাক ত্বকের রুক্ষতা দূর করে নরম ও কোমল করে ত্বক। প্রথমেই কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। ১ চা চামচ কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ঠাণ্ডা দই মেশান। ভালো করে নেড়ে পেস্ট তৈরি করুন। পাতলা করে ত্বকে লাগান ফেসপ্যাকটি। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।

কমলার খোসা গুঁড়া ও দুধ

ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা দূর করার পাশাপাশি ব্রণ দূর করতেও সাহায্য করবে এই ফেসপ্যাক। ১ টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে সামান্য পানি ছিটিয়ে স্ক্রাব করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।

কমলার খোসা গুঁড়া, গোলাপজল ও চন্দন

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে খুবই কার্যকর এই ফেসপ্যাক। ১ চা চামচ কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে সমপরিমাণ চন্দন গুঁড়া মেশান। গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। নরম ব্রাশের সাহায্যে পাতলা করে মুখ ও গলার ত্বকে লাগান মিশ্রণটি। ২০ মিনিট পর ত্বক ধুয়ে মুছে নিন।

কমলার রস, আখরোট ও ওট

মরা চামড়া দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে ব্যবহার করতে পারেন এই ফেসপ্যাক। ১ চা চামচ আধা-ভাঙা আখরোট ও ১ চা চামচ ওট গুঁড়ার সঙ্গে পরিমাণ মতো কমলার রস মিশিয়ে তৈরি করুন পেস্ট। ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন মিশ্রণটি। ২ মিনিট স্ক্রাব করে ত্বক ধুয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭

বর্ষাকালে পায়ের যত্ন

১) পা পরিষ্কার রাখুন: সারাদিন বৃষ্টির সাথে দৌড়ঝাঁপ করে বাড়ি ফিরেছেন তো? এবার একটি পাত্রে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে অল্প পরিমাণে স্যাভলন বা ডেটল। ৫-৭ মিনিট পা ডুবিয়ে রেখে তুলে ফেলুন। হালকা হাতে লুফা দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর কোন অ্যানটিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে পা ধুয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলুন। বর্ষায় পায়ের নখ যত ছোট রাখা যায় ততই ভালো, নয়তো নখের নিচের জমে থাকা ময়লা প্রচুর ভোগান্তি কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে।

২) এক্সফলিয়েট: এসময় প্রতিদিন গোসলের সময় লুফা দিয়ে  পা  ঘষে পরিষ্কার করা উচিত। যদি হাতে সময় থাকে তবে ১০ মিনিটের জন্য শাওয়ার জেল অথবা স্যাম্পু গোলা পানিতে পা ভিজিয়ে রেখে, ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন।

৩) বাড়িতেই করুন পেডিকিউর: প্রথমেই নিমপাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। তারপরে এতে পাতিলেবুর রস, অল্প লবন ও শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপরে পিউমিস স্টোনের সাহায্যে গোড়ালি এবং পায়ের তলা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। পা শুকনো করে মুছে ভালো কোন ক্রিম পুরো পায়ে লাগিয়ে নিন।

৪) পায়ের কালো ছোপ দূর করতে: এসময় অনেকের পায়েই কালো কালো ছোপ পড়তে দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে, মসুর ডাল বাটা, ২ টো  অ্যালমণ্ড বাটা, দুধ এবং ১ চা চামচ গ্লিসারিন দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। পায়ে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে দুধ দিয়ে ভালো করে ঘষে তুলে ফেলুন। তারপর হালকা গরম জলে পা ধুয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

৫) ফুট মাস্ক: মুখে যদি মাস্ক লাগাতে পারেন, তবে পায়ে কেন নয়? ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সাথে, হলুদ বাটা, নিম পাতা বাটা মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট । তারপরে হালকা গরম পানিতে ঘষে ঘষে পা ধুয়ে নিন। পা ভালো করে মুছে লাগিয়ে নিন হালকা একটু অলিভ অয়েল। এরপরে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে দেখবেন নরম মসৃণ পা।

৬) ক্লান্ত পা: পায়ের ক্লান্তি দূর করতে ঠাণ্ডা পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। ক্লান্তিও দূর হবে। সান ট্যান ও কমাবে আশা করি।

৭) গোড়ালির শক্ত চামড়া তুলতে: ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল এবং নারকেল তেল সমপরিমাণে মিশিয়ে নিয়ে এর সাথে মেশান ২ চা চামচ চিনি ও লেবুর রস। পায়ের শক্ত চামড়ায় ঘষতে থাকুন যতক্ষন না তেল ত্বকে শুষে নিচ্ছে।
৮) পায়ে গন্ধ হলে, নিয়মিত পেডিকিউর রুটিন মেনে চলুন। পা পরিস্কার করে মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান হালকা করে। এরপরে একটু খানি ট্যালকম পাওডার লাগিয়ে নিন। সব সময় বন্ধ জুতো না পরে খোলা জুতো বা স্যান্ডেল পড়ুন। অফিসে যদি জুতো পরতেই হয় তাহলে সুতি মোজা পড়ুন। আর মাঝে মাঝে জুতো খুলে রাখুন, বাতাস চলাচলের জন্য।
হয়ে গেলো তো বর্ষায় পায়ের যত্নের সমাধান। তাহলে এবার বর্ষা উপভোগ করুন অন্যসব ঋতুর মতন।

সানট্যান দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

টকদই ও টমেটো
টকদই এবং টমেটো দুটোতেই প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান আছে। এজন্য সানট্যান দূর করতে এদের জুড়ি নেই। এক টেবিল চামচ টকদই আর এক টেবিল চামচ টমেটো বাটা একসাথে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। একটানা সাতদিন করলেই দেখবেন ট্যান তো দূর হয়েছেই, সেই সাথে ত্বকের রংও কিছুটা হালকা হয়ে গেছে।

বেসন, লেবুর রস ও টকদই
বেসন প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করে। আর লেবুর রস এবং টকদই ব্লিচিং এর মাধ্যমে ত্বকের রঙ হালকা করে। ফলে এই প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারে সানট্যান দূর হওয়ার সাথে সাথে ত্বকে লেগে থাকা ধুলো-ময়লা সাফ হয়ে যাবে। এর জন্য এক চা চামচ বেসন, এক চা চামচ টকদই ও এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে ট্যানড ত্বকের উপর লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেললেই হবে । ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যবহার করতে হবে ।

মসুর ডাল বাটা , টকদই ও হলুদ
এই তিনটি উপাদানই ত্বকের রঙ হালকা করে। ফলে এদের নিয়মিত ব্যবহারে অনেক কড়া ট্যানও আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়। এক টেবিল চামচ মসুর ডাল বাটা নিন। এর সাথে মিশান এক চামচ টকদই ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো । এবার এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা। এরপর ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন। হলুদ গুঁড়োটা যেন খাটি হয়। বাজারের যেনতেন নকল হলুদ গুঁড়ো ব্যবহারে উল্টো ফল হতে পারে।

চন্দন , বেসন ও লেবুর রস
এক চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো , এক চা চামচ বেসন আর এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ২০ থেকে ২৫ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ট্যান আস্তে আস্তে কমে যাবে।

অ্যালোভেলা জেল ও লেবুর রস
এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে হাফ চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। প্যাকটি হালকা শুকিয়ে আসলে হাত দিয়ে আলতোভাবে মিনিট দুই ম্যাসাজ করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন। এই প্যাকটি দেবার এক ঘন্টার মধ্যে রোদে বের হবেন না বা চুলায় রান্না করবেন না। তাহলে ত্বক আরো পুড়ে যাবে।

আলুর রস ও লেবুর রস
সমপরিমাণ আলু ও লেবুর রস মিশিয়ে ট্যানড ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ত্বক ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এই প্যাকটি লাগিয়ে দেখুন। ট্যান কমবেই।