শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

মাত্র দুটি উপাদান মাথায় নতুন চুল গজাতে দারুন সহায়ক!

চুল পড়া সমস্যায় ছেলে মেয়ে উভয়ই ভুক্তভোগী। নতুন চুল গজানোর জন্য কত রকমের হেয়ার প্যাক, কত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি আমরা। এইসব রাসায়নিক পণ্য ব্যবহারে নতুন চুল গজানোর চাইতে চুলের ক্ষতি করে থাকে বেশি। অথচ আমাদের হাতের কাছে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই নতুন চুল গজানো সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন হবে শুধু মাত্র দুটি উপাদানের!
  
যা যা লাগবে
১/ নারকেল তেল
২/ লেবুর রস।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

১। ৫-৬ টেবিল চামচ নারকেল তেল।
২। ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস।
৩। নারকেল তেল এবং লেবুর রস খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। আঙুল দিয়ে মাথার তালুতে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন।
৫। এভাবে ১০ থেকে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
৬। এটি চুলে ২ ঘন্টা রাখুন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
৭। এটি সবসময় শ্যাম্পু করার আগে ব্যবহার করুন। সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা এটি মাথায় রাখবেন এর বেশি নয়।

যেভাবে কাজ করে

-নারকেল তেল মাথার তালুতে পুষ্টি যুগিয়ে হাইড্রেডেট করে থাকে। নিয়মিত ব্যবহারে যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান চুল এবং মাথার তালুর জন্য অনেক উপকারী।
-লেবু সাইট্রাস জাতীয় ফল। এতে ভিটামিন সি আছে যা চুল থেকে খুশকি, অতিরিক্ত তেল দূর করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

অন্যভাবে ব্যবহার

১। নারকেল তেল এবং বাদাম তেল মিশিয়ে হালকা গরম করে ১০-১৫ মিনিট মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। ১ ঘন্টার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
২। ১ টেবিল চামচ শুকনো আমলকির গুঁড়ো এবং ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল চুলায় জ্বাল দিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে মাথায় ম্যাসাজ করুন। সারা রাত এভাবে রাখুন। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। ভাল ফল পেতে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন। এটিও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
৩। লেবুর রস এবং টক দই মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলের খুশকি দূর করে মাথার তালু পরিষ্কার করে থাকে। যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে।

শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

চুল পড়া রোধে অব্যর্থ কিছু কৌশল

চুল পড়া রোধে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। এই কাজগুলো চুল পড়া রোধ করবে অনেকখানি।

১। চুল ময়েশ্চারাইজড রাখুন
শুষ্ক রুক্ষ চুল আঁচড়ানো বেশ কঠিন। যার কারণে চুল আঁচড়ানোর সময় অনেক চুল উঠে আসে। চুলকে ময়েশ্চারাইজড রাখুন। সপ্তাহে তিনবার চুলে তেল ব্যবহার করুন। সবচেয়ে ভাল কুসুম গরম তেল ম্যাসাজ করা।

২। খুশকি থেকে দূরে থাকুন
চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ হল খুশকি। খুশকি চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয় এবং চুল পড়া বৃদ্ধি করে। এই খুশকি চিরতরে দূর করে দেবে টকদই! অর্ধেকটা লেবুর রস টকদইয়ের সাথে মিশিয়ে নিন। এটি চুলে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৩। ভেজা চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন
অনেকেই ভেজা চুল আঁচড়িয়ে থাকেন। চুল ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া অনেক নরম থাকে। এর ফলে খুব সহজেই চুল পড়ে যায়। এছাড়া ভেজা চুল ঝাড়াও অনেক ক্ষতিকর।

৪। চুল পরিষ্কার রাখা
নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা। অনেকে প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করেন। প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু না করে সপ্তাহে দুই দিন চুল শ্যাম্পু করুন। চেষ্টা করবেন হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করার।

৫। নারকেলের দুধের ম্যাসাজ
নারকেল চুলের জন্য বেশ উপকারি। কিছু পরিমাণ নারকেল ব্লেন্ড করে দুধ বের করে নিন। এবার এটি মাথার তালুতে ১৫-২০ মিনিট ম্যাসাজ করে লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৬। আগা ফাটা দূর
চুল নষ্ট হওয়ার আরেকটি কারণ হল আগা ফাটা। এই সমস্যাটা বড় চুলে বেশি হয়। অতিরিক্ত রুক্ষতা আগা ফাটার জন্য দায়ী। নিয়মিত তেলের ব্যবহার কিছুটা হলেও এই সমস্যার সমাধান করবে।

৭। হেয়ার প্যাক ব্যবহার
আমলকী চুল পড়া রোধে বেশ কার্যকর। আমলকীর গুঁড়ো, শিকাকাই গুঁড়ো এবং টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এই প্যাকটি চুলে ব্যবহার করুন। এছাড়া শুকনো আমলকী নারকেল তেলে দিয়ে গরম করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত তেল কালো না হয় ততক্ষণ জ্বাল দিন। ঠান্ডা হলে এই তেল চুলে ম্যাসাজ করে লাগান। নিয়মিত ব্যবহার চুল পড়া লক্ষ্যনীয়ভাবে কমে যাবে।

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

হাত পায়ের রোদে পোড়া ভাব দূর করার প্রাকৃতিক উপায়


১) অর্ধেক শসা নিয়ে গ্রেট বা কুচি কুচি করে কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এর মধ্যে ২ চা চামচ তরল দুধ বা গুঁড়ো দুধ এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। এরপর প্যাকটি হাতে ও পায়ে লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করুন।

২) টমেটো অর্ধেক করে কেটে এর ওপর চিনি দিয়ে হাত ও পায়ের রোদে পোড়া জায়গায় ঘষতে থাকুন। চিনি খুব ভালো এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে এবং টমেটোর রস সানবার্ন দূর করতে কার্যকর।

৩) একটি আস্ত আলু গ্রেট করে বা বেটে এর থেকে রস আলাদা করে নিন। এবার এই রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি হাত-পায়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে রোদে পোড়া দাগ থাকবে না।

৪) অ্যালোভেরা কেটে এর ভেতরের জেল আলাদা করে নিয়ে হাত-পায়ে লাগাতে পারেন। চাইলে এই জেলের সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।

৫) এক চামচ কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে লেবুর রস ও এক চামচ তরল দুধ মেশান। এই মিশ্রণটি হাত-পায়ের রোদে পোড়া জায়গায় লাগান, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

৬) একটি পাত্রে পরিমাণমতো টক দই নিয়ে এর সঙ্গে এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণটি হাতে ও পায়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
 
৭) ২ চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে ১ চামচ চিনি মিশিয়ে নিয়ে হাত-পায়ে ৩ থেকে ৫ মিনিট হালকাভাবে ঘষে কিছুক্ষণ রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করুন। রোদে পোড়া ভাব কেটে যাবে।
এছাড়া, হাত-পা খোলা রাখলে এসপিএফ (সান প্রোটেক্টর ইফেক্ট) ৩০ আছে এমন ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

ব্রণের সমস্যা নিয়েও মেকআপ করার এক ডজন টিপস


ত্বকে ব্রণের উপদ্রব থাকলে মেকআপ ব্যবহার করতে চান না নারীরা। কারণ এতে ব্রণ আরও ফুটে ওঠে। আবার মেকআপ করলে ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এই সমস্যা আর নয়। ব্রণ ঢেকে মেকআপ করার দারুণ কার্যকরী টিপসগুলো দেখে নিন এখনই।

১) অনেকের ত্বকে খুব সহজেই ব্রণ ওঠে। তারা সাধারণ মেকআপ ব্যবহার না করে নন-কমোডোজেনিক বা নন-অ্যাকনিজেনিক পণ্যগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের পোর বা রোমকূপ বন্ধ করে না ফলে ব্রণের ভয় কমে যায়।

২) পাউডার ধরণের মেকআপ কম ব্যবহার করুন। তার বদলে বেছে নিন ওয়াটার বেসড লিকুইড মেকআপ। যেমন লিকুইড ফাউন্ডেশন এবং ব্লাশ।


৩) ভারী ধরণের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। এর বদলে ব্যবহার করুন একেবারেই হালকা ফাউন্ডেশন। টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারগুলো এক্ষেত্রে বেশি ভালো কাজ করে।

৪) ওয়াক্স আছে এমন পণ্য, অথবা স্টিক, প্যানকেক, পাউডার ধরণের ফাউন্ডেশনগুলো ব্যবহার না করাই ভালো কারণ এগুলো ব্রণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

৫) নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন আপনার মেকআপ ব্রাশ এবং স্পঞ্জ। কিছুদিন পরপর এগুলো পরিবর্তন করাতাও ভালো। কারণ পরিষ্কার না করলে আপনার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া এবং অতিরিক্ত মেকআপ এগুলোতে লেগে থাকে। ফলে ত্বকে মারাত্মক ব্রণের উপদ্রব হতে পারে।

৬) আলতো হাতে মেকআপ দিন। বেশি দ্রুত বা ঘষাঘষি করে মেকআপ দিতে গেলে ত্বকের আরও বেশি ক্ষতি হবে। ত্বকে যতো কম হাত দেওয়া যায় তত ভালো।

৭) ত্বক কখনো বেশি শুষ্ক হতে দেবেন না। ত্বক শুকনো রাখলে তা অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করবে এবং আরও বেশি বাড়বে ব্রণ। সারাদিন যেন ত্বক আর্দ্র থাকে তার জন্য হালকা একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন দিনে শুরুতেই।

৮) মেকআপ শুরুর আগে অয়েল ফ্রি প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। এতে তা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে আর সারাদিন মেকআপ ধরে রাখবে।

৯) ব্রণ ঢাকতে ব্যবহার করতে পারেন ম্যাট মেকআপ। গ্লসি মেকআপ ব্যবহার করলে ব্রণ আরও বেশি প্রকট হয়ে ফুটে ওঠে। ম্যাট মেকআপ এগুলোকে ঢেকে দেয় সহজেই।

১০) সম্ভব হলে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি মেকআপ ব্যবহার করুন। এগুলো ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

১১) কিছু কিছু ফাউন্ডেশন ব্রণের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। এগুলোতে থাকে স্যালিসাইলিক এসিড। সম্ভব হলে এগুলো ব্যবহার করুন।

১২) মেকআপে ডাইমেথিকোন থাকলে তা ব্যবহার করা ভালো এমন ত্বকের মানুষের। কারণ তা ব্রণ ঢাকতে সাহায্য করে।

সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

ত্বকের কালো তিল দূর করে পেঁয়াজ!

অনেক সময় মুখে ছোট ছোট তিল দেখা যায়। একসময় এটি স্থায়ী হয়ে যায় এবং ত্বকে দাগের মতো মনে হয়। এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন ঘরোয়া উপায়ে। হোম রেমেডি হ্যাকস ওয়েবসাইটে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যা ত্বকের তিল দূর করতে বেশ কার্যকর।

লেবুর রস

ত্বকের অনাকাঙ্ক্ষিত কালো ছোট ছোট তিল দূর করতে লেবুর রস খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা এই সমস্যার সহজেই সমাধান করে। একটি তুলার বলে লেবুর রস নিয়ে তিলের ওপর লাগান। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টানা দুই সপ্তাহ প্রতিদিন এই উপাদানটি ব্যবহার করুন। দেখবেন, তিল একেবারেই দূর হয়ে যাবে।

ওটমিল

ওটমিল প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে বেশ কার্যকর। ওটমিল গুঁড়ো করে এর সঙ্গে তিন টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এই প্যাক দিয়ে মুখে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এবার ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার ত্বকের ওটমিল দিয়ে স্ক্রাবিং করুন। অন্তত টানা চার সপ্তাহ এই স্ক্রাব ব্যবহার করুন।

আলু

আলু ভালো করে ব্লেন্ড করে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক টানা কয়েকদিন ব্যবহার করুন। দেখবেন মুখের তিল একেবারেই দূর হয়ে যাবে।

পেঁয়াজ

প্রথমে একটি পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে এর রস বের করে নিন। একটি তুলার বলে এই রস নিয়ে তিলের ওপর লাগান। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই উপাদানটি অনেক দ্রুত মুখের তিল দূর করতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়েও লাগাতে পারেন।

টকদই

পুরো মুখে টকদই লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টানা চার সপ্তাহ প্রতিদিন দুবার টকদই মুখে লাগান। দেখবেন, আপনার ত্বকের তিল দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বলও হবে।

রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

লেবু ও কমলা দিয়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন



ঘরে বসে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে লেবু ও কমলালেবু হতে পারে অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান।

লেবুঃ
ভিটামিন সি-তে ভরপুর লেবু, ত্বকের প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। লেবুর ব্যবহার মুখের ত্বকে দাগ, অ্যাকনে, স্কিন টোনিং ও মুখকে পরিষ্কার করতে কার্যকর হয়। তাই ত্বকের যত্নে লেবু ব্যবহার করতে,

* একটি পুরো লেবুর রস চিপে নিয়ে, তার সাথে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি খুব ভালো করে, মিশাতে হবে। আবার এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে, শুকানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। আর সেই সাথে ত্বক হবে উজ্জ্বল আর তেলমুক্ত।

* মুখে কালো কালো ছোপের সমস্যা থাকলে, যে কোনও তৈলাক্ত ত্বকের ফেস প্যাকের সাথে লেবুর রস ব্যবহার করুন নিয়মিত। এতে করে ধীরে ধীরে দাগ হালকা হবে। মনে খেয়াল রাখতে হবে যে, লেবু শুধুমাত্র রাতে ব্যবহার করাই ভালো।

কমলাঃ
লেবুর মতন কমলাও ভিটামিন সি-তে ভরপুর। ভিটামিন-সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে করে মুখের দাগ কমে যায় এবং বয়সের ছাপ দূর হয়। তাই কমলা ব্যবহার করতে,

* প্রথমেই রোদে কমলার খোসা শুকিয়ে নিন। এবার শুকনো কমলার খোসা গুড়ো করে, সামান্য দুধের সাথে মিশিয়ে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মুখে ম্যাসাজ করুন। এটি খুবই উপকারী স্ক্রাবের মতন কাজ করে।

* ত্বককে তেলমুক্ত রাখতে কমলার পাল্প সরাসরি মুখে মাখতে হবে। অতঃপর শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে তেলমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

* ত্বককে নরম আর মসৃণ করতে দইয়ের সাথে কমলার রস যোগ করে, মুখে মাখুন।
তৈলাক্ত ত্বকের তেল দূর করতে, কমলা ও লেবু খুবই উপকারী। তাই ত্বকের যত্ন নিতে কমলা ও লেবু ব্যবহার করে, সকল সমস্যা দূর করুন।

সুন্দর আর ঝলমলে চুলের জন্য কলার ডিপ কন্ডিশনিং

যা যা লাগবে

-কলা(২ থেকে ৩ টি)
-নারকেলের দুধ(২ টেবিল চামচ)
-নারিকেল তেল(১ টেবিল চামচ)
-অরগানিক মধু(২ বড় টেবিল চামচ)

যেভাবে করবেন


কলাগুলোর খোসা ছিলে টুকরো টুকরো করে কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এবার ২ টেবিল চামচ নারিকেলের দুধ কলা রাখা বাটিতে ঢালুন। ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল যোগ করুন এতে। এবার ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে দিন। সব উপাদান একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। পুরো উপাদান ভালোভাবে ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে এই পেস্টটি আপনার মাথার ত্বক সহ চুলে লাগিয়ে নিন। চুলে লাগানো শেষে একটি প্লাস্টিকের ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখুন যেন আপনার চুল থেকে কলার প্রতিটি কণা ধুয়ে চলে যায়। এটি আপনার চুল নরম কোমল আর ঝলমলে করে তোলে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার অন্তত এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
যে কারণে এই ডিপ কন্ডিশনিং ব্যবহার করবেনঃ

কলা

কলার পটাশিয়াম চুলের গোঁড়া শক্ত করে। চুলের ভাঙ্গনরোধ করে ও ড্যামেজ চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে। কলায় উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল চুল ময়েশ্চারাইজ করে ও কলার বিদ্যমান ৭৫% পানি আপনার চুলের রুক্ষতা প্রতিরোধ করে।
নারিকেল দুধঃ
নারিকেল দুধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাট থাকে। যা চুল সুন্দরভাবে কন্ডিশনিং করে এবং চুলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আর এর প্রাকৃতিক তেল চুল নারিশ করে।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেলের ভিটামিন ই ও ফ্যাটি অ্যাসিড চুল ময়েশ্চারাইজ করে, চুলের গ্রোথ বাড়িয়ে তোলে, চুল উজ্জ্বল করে ও চুলের ক্যারোটিন লস কমিয়ে তোলে। এমনকি নারিকেল তেল চুলের খুশকি ও অন্যান্য ফাংগাল দূর করতে সাহায্য করে।

অরগানিক মধু

মধু আইরন, জিঙ্ক, সালফার ও ভিটামিন বি-তে ভরপুর যা চুলের গ্রোথ বৃদ্ধির সাথে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
এইসব উপাদানের মিলিত মিশ্রণ স্বাভাবিকভাবেই আপনার চুল সুন্দর আর ঝলমলে করে তোলে। এটি ব্যবহারে আপনার চুল আরও বেশি ম্যানেজেবল ও নজরকাড়া হয়।

বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

স্তনের আকৃতি অনেক বয়স পর্যন্ত সুন্দর রাখতে করণীয়



বক্ষযুগলকে সুন্দর রাখতে মহিলাদের চেষ্টার অন্ত নেই, অথচ প্রতিনিয়ত তাঁদেরই কিছু ভুলে ক্রমশ সৌন্দর্য হারাচ্ছে শরীরের এই অঙ্গটি। জেনে নিন ৬টি এমন ভুলের কথা, যেগুলোর ফলে আপনার স্তনে পড়ছে বয়সের ছাপ ও নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক আকৃতি ও সৌন্দর্য।

একটি বড় কারণ সঠিক অন্তর্বাস বাছাই করতে না পারা

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিসার্চের রিপোর্টে বলা হয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত অন্তর্বাস পড়ে থাকেন তাঁদের তুলনায় যেসব নারীরা খুব বেশি অন্তর্বাস পরিধান করেন নি, তাঁদের স্তনের আকৃতি অনেক বয়স পর্যন্তও সুন্দর থাকে। অপর আরেকটি রিসার্চে দেখা যায় যে ভুল মাপের অন্তর্বাস দ্রুত নষ্ট করে ফেলে আপনার স্তনের আকৃতি। অন্তর্বাস হতে হবে সঠিক মাপের। খুব বেশী টাইট বা খুব ঢিলেঢালা, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

আপনি পর্যাপ্ত জল পান করেন না

পর্যাপ্ত জল পান না করলে ক্রমশ বয়সের ছাপ পড়ে আপনার ত্বকে এবং ত্বকের চামড়া ঝুলে যেতে থাকে সময়ের অনেক আগেই। এবং হ্যাঁ, শুধু মুখের নয়, সম্পূর্ণ শরীর তথা স্তনের ত্বকেও এর প্রভাব দেখা যায় অত্যন্ত বেশি।

অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচুন

সুতির পোশাক কিংবা পাতলা ফেব্রিক পরতে ভালোবাসেন? জেনে রাখুন, প্রখর সূর্যরশ্মি আপনার মুখের ত্বকের পাশাপাশি সম্পূর্ণ ত্বকেরই ক্ষতি করে। পোশাকে ঢাকা থাকলেও সূর্যের রশ্মি আপনার ত্বকে উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। বিশেষ করে স্তনের নরম ত্বকে। সূর্যের প্রখর উত্তাপ বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অনেক ত্বরান্বিত করে দেয়।

আপনি ধূমপান করেন

ধূমপান মানবদেহের জন্য একটি অভিশাপের নাম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরুষের চাইতে অনেকটাই বেশী। ধূমপান আপনার ত্বকের ইলাসটিনকে নষ্ট করে ফেলে, যা ত্বকে টানটান ভাব ও তারুণ্য ধরে রাখে। ফলে আপনাকে দেখায় অনেক বেশী বয়স্ক। ধূমপায়ী নারীদের স্তনের আকৃতি ও সৌন্দর্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে নেই

ওজন কমানো ভালো, তবে ওজন কমে যাওয়ার প্রভাব সবার আগে পড়ে আপনার স্তনের উপর। কেননা স্তন তৈরি মূলত ফ্যাট সেল দিয়ে, তাই ওজন কমলে প্রথমেই স্তনে এর প্রভাব দেখা যায়। আপনি যখন বেশি মোটা হন, ত্বকে স্ট্রেচ হতে হতে ইলাসটিসিটি হারিয়ে ফেলে। পরে পরবর্তীতে আপনি যখন স্লিম হয়ে যায়, তখন স্তন ঝুলে যায়। দ্রুত ওজন না কমিয়ে ধীরে সুস্থে কমাতে হবে এবং ওজন খুব দ্রুত ওঠানামা করতে দেয়া যাবে না। অল্প অল্প করে ওজন কমালে স্তনের আকৃতি অনেকটাই কম নষ্ট হবে

রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬

চুলের সমস্যা দূর করতে টক দইয়ের হেয়ার প্যাক


শুধু খুশকি দূর করা নয় চুলের আরও অনেক সমস্যা সমাধান করে দিতে পারে টক দই-এর হেয়ার প্যাক।

১। চুল নরম কোমল করতে
টক দই, নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।  প্রাণহীন, নির্জীব, রুক্ষ চুলকে নরম, কোমল, এবং ময়োশ্চারাইজ করে তুলবে এই প্যাকটি। নিয়মিত ব্যবহারে এই প্যাকটি চুলের রুক্ষতা দ্রুত দূর করে দেবে।

২। চুল পড়া রোধ
১/৪ কাপ মেথি গুঁড়োর তার সাথে ১ কাপ টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মাথার তালুসহ সম্পূর্ণ চুলে এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। ২ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক বার ব্যবহার করুন।  এই প্যাকটি চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।

৩। রুক্ষতা দূর করতে
টকদই, বাদাম তেল এবং একটি ডিম ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। ডিমের পুষ্টি এবং তেলে চুলের রুক্ষতা দূর করে দিয়ে চুল স্লিকি করে তোলে।

৪। খুশকি দূর করতে
মাথার তালুর রুক্ষতা, খুশকি দূর করতে এই প্যাকটি বেশ কার্যকর। তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল টক দইয়ের সাথে ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি মাথার তালুতে ১০ মিনিট চক্রাকারে ম্যাসাজ করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করুন।

শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

ত্বকের রুক্ষতা দূর করার উপায়


রুক্ষ ত্বকের বিরক্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব সহজ ২ টি উপায়।

১) অলিভ অয়েল ও চিনির স্ক্রাব

অলিভ অয়েল প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার যা ত্বকের রুক্ষতা ভেতর থেকে দূর করতে পারে। এবং চিনির ব্যবহারে ত্বকের উপরের মরা কোষ দূর হয়ে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরত আসে।
পদ্ধতিঃ
  • – আধা কাপ চিনিতে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
  • – এরপর এই মিশ্রন দিয়ে পুরো ত্বক ম্যাসেজ করতে থাকুন। মুখ, হাত-পা, গলা ও ঘাড়, এমনকি পুরো দেহের ত্বকে এই স্ক্রাবটি ব্যবহার করতে পারেন রুক্ষতা দূর করার জন্য।
  • – পুরো ত্বকে ভালো করে ম্যাসেজ করে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহারে পার্থক্য নিজের নজরেই পড়বে।

২) ওটমিল ও মধুর মাস্ক

ওটমিল স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো তেমনই ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী। মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের নানা ধরণের সমস্যা দূর করে দেয় নিমেষেই।
পদ্ধতিঃ
  • – ২ টেবিল চামচ ওটসে ১ টেবিল চামচ মধু ও সামান্য পানি মিশিয়ে ভালো করে মাস্কের মতো তৈরি করে নিন।
  • – এই মাস্ক দিয়ে পুরো ত্বক ভালো করে ম্যাসেজ করে নিন।
  • – এরপর এভাবেই ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন ও সেট হতে দিন মাস্ক।
  • – তারপর ভালো করে ত্বক ধুয়ে পরিষ্কার করে মুছে ফেলুন।
  • – ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করুন।

বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬

ঘরে বসে বোয়াইটেনিং ফেসিয়াল

হোয়াইটেনিং ফেসিয়াল প্রায় সব মেয়েদেরই প্রিয়। কোন উর্বশী বিশেষ অনুষ্ঠানের আগে চেবারায় দ্রুত উজ্জ্বলতা আনতে বেশ কার্যকর এই ফেসিয়াল। নিয়মিত এই ফেসিয়াল করলে ত্বকের দাগ কমতে থাকবে। জেনে নিন কিভাবে বোয়াইটেনিং ফেসিয়াল করবেন-
 ক্লিনজিংঃ
 প্রথমে মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে নিন। এবার মুখ ও গলায় ক্লিনজিং মিল্ক লাগান। ৫ মিনিট পর ভেজা রুমাল দিয়ে মুছে ফেলুন। ক্লিনিক, ক্ল্যারিন্স, নিউট্রোজেনা, দি বডিশপ ব্র্যান্ডের টোনার বেশ ভালো। এগুলোর দাম ১০০০+ টাকা পরবে। এর থেকে কম দামের ভেতর ক্লিনজিং মিল্ক ভালো ববে বিমালয়া বার্বালস, গার্নিয়ার, নিভিয়া ব্র্যান্ডের।
 ব্যাক্সফলিয়েশনঃ
 ভালো কোন উর্বশী ব্যাক্সফলিয়েশন ক্রিম নিন। গলা ও মুখে ব্যাকটু করেনা ক্রিম ও বাল্কা পানি মিশিয়ে ম্যাসাজ করিস ৫ মিনিট। এরপর ৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। কুসুম গরম পানিতে ভেজানো রুমাল দিয়ে ত্বক মুছে ফেলুন। কে ও ঠোটের চারপাশে ব্ল্যাকবেডস/ বোয়াইটবেডস থাকলে তা ব্ল্যাকবেডস রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলুন। ত্বক তৈলাক্ত বলে মিনা বার্বাল মবারাণি ফেস মাস্ক দিয়ে ব্যাক্সফলিয়েট করুন।
 ফেসিয়ালঃ
 গ্লো মুখে গ্লো আনার জন্য কাচা দুধ ও মধু দিয়ে পাতলা মিশ্রণ তৈরী করিস। ব্যাকি ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে ভেজানো রুমাল দিয়ে মুছে ফেলুন।
 ম্যাসাজঃ
 এবার মুখ ও গলায় ম্যাসাজ করার জন্য বোয়াইটেনিং ম্যাসাজ ক্রিম নিন। ছবির পদ্ধতিতে ক্রিম নিয়ে গলা ও মুখে ম্যাসাজ করিস ১৫-৩০ মিনিট। ম্যাসাজ করার সময় কিছুক্ষণ পরপর আঙ্গুলে বাল্কা ক্রিম নিয়ে আঙ্গুল পানিতে ভিজিয়ে তার উ র্ব শীপর ম্যাসাজ করবেন। এতে ম্যাসাজের ধারা বজায় থাকবে। যত ভালো ম্যাসাজ করতে পারবেন মুখ তত উজ্জ্বল দেখাবে, কেননা ম্যাসাজ করলে রক্তপ্রবাবে গতি আসে। ম্যাসাজ শেষে ত্বক ঠান্ডা পানিতে ভেজানো রুমাল দিয়ে মুছে ফেলুন।


ত্বকের জন্য নিমের তৈরি সেরা ৫ ফেস প্যাক


আমাদের চারপাশে পরিচিত যে সকল গাছ আছে তার মধ্যে নিম অন্যতম। এই নিমের গুণের শেষ নেই। ঔষধি গুণাবলি ছাড়াও এটি অনেক ধরনের রূপ চর্চার কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অনেক প্রসাধনীতে নিম পাতার রস ব্যবহার হয়। নিম পাতা দিয়ে তৈরি করা যায় এমন কিছু ফেস প্যাক যা ব্রণ দূর করে ত্বককে দাগহীন করে তুলে। আসুন জেনে নিই নিমপাতার সেই ফেস প্যাকগুলো তৈরির পদ্ধতি ও ব্যবহারপ্রণালি যা ত্বককে করে তোলে মসৃণ ও কোমল।

১। নিম, লেবু, এবং গোলাপ জলের ফেইস প্যাক
একটি পাত্রে নিম পাতার পাউডার নিন। এতে গোলাপ জল এবং লেবুর রস মেশান। এই প্যাকটি মুখে ভাল করে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর প্যাক শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক মাত্র ২ দিনে আপনার মুখের ব্রণ দূর করে ফেলবে।

২। নিমের পানি
নিমপাতা সিদ্ধ করে নিন। এবার এই পাতার পেষ্ট করে নিন। এই পেষ্ট আপনার মুখে লাগিয়ে নিন। ৫ থেকে ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবং দেখুন ম্যাজিক। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক দাগহীন উজ্জ্বল হয়ে যাবে। এটি যেকোন প্রকার অ্যালার্জি বা চুলকানি দূর করে থাকে।

৩। নিম,বেসন, টকদই এর প্যাক
শুষ্ক ত্বকের জন্য এই প্যাকটি অনেক বেশি কার্যকরী। ১ চা চামচ বেসন, ১ চামচ টকদই-এর সাথে নিম পাউডার দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে ও ঘাড়ে ভাল করে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে নরম কোমল করার সাথে সাথে ব্রণের দাগ দূর করবে।

৪। নিম এবং লেবুর রসের প্যাক
কয়েকটা নিম পাতা বেটে নিন এবার তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি মুখ ও ঘাড়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে। এবং ত্বকের কালো দাগ দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

৫। নিম এবং দুধের প্যাক
একটি পাত্রে নিম পাউডার নিন এবং তার সাথে কিছু দুধ মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে ফেলুন। এবার তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে দিন। মুখ ও ঘাড়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।