শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

মা হওয়ার পরে...


অনেকেই মনে করেন, মা হলেই বুঝি ওজন চলে যাবে বাড়তির দিকে। আর লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হলে নাকি মায়েরা মুটিয়ে যান। তবে এমন ধারণার আসলে কোনো ভিত্তি নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তান জন্মের পর মা আবার তাঁর আগের ওজন ফিরে পেতে পারেন, যদি কিছু ব্যাপার খেয়াল রাখা হয়। শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য মাকে বেশি করে খেতে হবে এটি যেমন ঠিক, তেমনি আবার খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত খাওয়া না হয়। আবার মাকে স্বাভাবিক কাজকর্মও করতে হবে। আর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হলে মা অতিরিক্ত মুটিয়ে যান, এ কথা একেবারেই ঠিক নয়।গর্ভকালীন সময়ে তাঁর ওজন ১৬ কেজি বেড়েছিল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের পর থেকে তিনি বুকের দুধ খাওয়াতেন। আর এতেই তাঁর ১২ কেজি ওজন কমে যায় মাত্র তিন মাসের মধ্যেই। আর পরে বাকি ওজনটা কমতেও খুব বেশি সময় লাগেনি। তিনি মনে করেন, মিষ্টি, পনির বা এ জাতীয় খাবারের পরিবর্তে লাউ বা অন্যান্য সবজি, কালিজিরা, দুধ, ডিম এবং ফলমূল খাওয়া ভালো। আর প্রচুর পানি পান করা উচিত। তিন-ছয় মাস পর হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়াম শুরু করা উচিত। সন্তানের যত্ন নিতে গিয়ে অনেকে তেমন সময় পান না, তেমন হলে সন্তানকে কোলে নিয়েই হাঁটা উচিত। হালকা কিছু ব্যায়াম তিনিও করেছেন, তবে যাঁদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম হয়, ব্যায়াম শুরু করার আগে তাঁদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফেরদৌসী ইসলাম। তিনি বলেন, শিশুর জন্মের পর থেকে অবশ্যই তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এতে যে শুধু শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে তা-ই নয়, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের শরীরের অতিরিক্ত ওজনও কমে যাবে।
জেনে নেওয়া যাক ফেরদৌসী ইসলামের কিছু পরামর্শ

 শিশুর জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধই খেতে দিন। এতে মায়ের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যাবে। গর্ভধারণের আগে যাঁদের ওজন স্বাভাবিক ছিল, তাঁরা শুধু বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমেই আগের ওজনে ফিরে আসতে পারেন

 ভাত, মিষ্টিসহ শর্করাজাতীয় অন্যান্য খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে যাঁরা গর্ভধারণের আগে থেকেই একটু মুটিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের এ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
 ফলমূল, শাকসবজি এবং আমিষজাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে।
 অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যাঁদের শিশুর জন্ম হয়েছে, তাঁরা শিশুর জন্মের ছয় সপ্তাহ পর থেকে ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। ছয় সপ্তাহের আগে পেটের ব্যায়ামগুলো কোনো অবস্থাতেই করা যাবে না।
 শিশুর জন্ম অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেই হোক আর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়ই হোক, মায়ের পক্ষে যখনই স্বাভাবিক কাজকর্ম করা সম্ভব হবে, তখন থেকেই সেসব কাজ শুরু করতে হবে। তবে ভারী কাজ করা যাবে না। আবার অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ঘরে শুয়ে থাকেন অনেকে, যেটি একেবারেই ঠিক নয়।
এ প্রসঙ্গে আরও পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নূর সাঈদা।
 গর্ভাবস্থায় একজন নারীর ওজন অন্তত ১০-১২ কেজি বৃদ্ধি পায় এবং এটিই স্বাভাবিক। তবে শিশু জন্মের পরপরই পুরো ওজনটা একবারে কমে যায় না। একটু নিয়মের মধ্যে থাকলে সাধারণত ছয় সপ্তাহের মধ্যেই তিনি আবার আগের ওজনে ফিরে আসেন।
 শর্করাজাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। তেমনি আবার এটাও খেয়াল রাখতে হবে, বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন যে মা, তিনি যেন পুষ্টিবঞ্চিত হয়ে না পড়েন। তাই এগুলো খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।
 মা প্রতিদিন দুই গ্লাস দুধ ও একটি ডিম খেতে পারেন। একবেলা খাবারের সময় তাঁকে একটু বেশি ভাত খেতে হবে। আর অল্প অল্প করে বার বার খাবার অভ্যাস করতে হবে।
 স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যাঁদের সন্তানের জন্ম হয়েছে, তাঁরা দুই সপ্তাহ পর থেকে কিছু হালকা ব্যায়াম (পেরিনিয়াল এক্সারসাইজ) করতে পারেন।
মা হওয়ার পর ব্যায়াম করা প্রসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন পারসোনা হেলথের প্রধান প্রশিক্ষক ফারজানা খানম। জেনে নিন তাঁর পরামর্শ।
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যাঁদের শিশুর জন্ম হয়েছে
  শিশুর জন্মের তিন মাস পর থেকেই তাঁরা সব ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন। তবে ব্যায়ামের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ানো উচিত।
  তিন মাসের পর থেকে বাইরে হাঁটাহাঁটি করা উচিত। এর পাশাপাশি কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজও করতে পারেন। এগুলোর মধ্যে আছে পুশ আপ, ফিট আপসহ অন্যান্য ব্যায়াম।
  আর ব্যায়ামাগারে গিয়ে ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে ট্রেডমিল বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যবস্থার সাহায্যে ওজন কমানো যেতে পারে। কিছুদিন এসব ব্যায়াম করার পরে তাঁদের এসবের পাশাপাশি টোনিং এক্সারসাইজও করা উচিত। আর তাঁকে সপ্তাহে কতটা সময় ব্যায়াম করতে হবে, তা প্রয়োজন অনুসারে প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক বলে দেবেন।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যাঁদের শিশুর জন্ম হয়েছে
 শিশুর জন্মের তিন মাস পর থেকে দিনে ৪৫ মিনিট করে হাঁটাহাঁটি করা ভালো। চাইলে কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামও করতে পারেন।
 ছয় মাস পর থেকে অন্যান্য ব্যায়াম শুরু করা ভালো। তবে হালকা ব্যায়াম দিয়েই শুরু করা উচিত।
 পেটের ব্যায়ামগুলো আট-নয় মাস পর শুরু করা ভালো।


 

বিয়ের আগে বরের প্রস্তুতি


Biyete-borer-sajguj

বিয়ে মানুষের জীবনে একটি অতি আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। তবে বিয়ের সময় যত সামনে আসতে থাকে ততই  বাড়তে থাকে ব্যস্ততা। আর তাতে অনেকসময় ঠিকভাবে প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয় না বরের। চারিদিকের নানা কাজের চাপে শেষমেশ দেখা যায় নিজের প্রতিই আর নজর দেওয়া হয়নি। আর তাই বিয়ের আগে চাই কিছু প্রস্তুতি। অনেকে মনে করেন বিয়েতে কেবল মেয়েদেরই প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তেমন নয়, ছেলেদেরও সমানভাবে প্রয়োজন রয়েছে প্রস্তুতির।

ত্বকের যত্ন

বিয়ের আগে ছেলেদের ত্বকের যত্ন নেওয়া বেশ জরুরি। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেদের ত্বক কিছুটা রুক্ষ হয়ে থাকে। আর তাই বিয়ের আগে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার স্ক্রাব করুন। এখন বাজারে অনেক রকমের স্ক্রাব পাওয়া যায়। বিশেষ করে গ্লিসারিন, সাইট্রিক এসিড, এগুলো ছেলেদের ত্বকের জন্য খুব ভালো। এটি ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ত্বককে করে তোলে মসৃণ আর উজ্জ্বল।

চুলের যত্ন

ছেলেদেরকে দিনের একটি বড় সময় কাটাতে হয় বাইরের রোদ এবং ধুলাবালিতে। যার প্রভাব পড়ে চুলে। ফলে দেখা দেয় চুল পড়া, চুলে খুশকিসহ নানা সমস্যা। আর তাই বিয়ের আগে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্ত থাকতে চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজের রস। এটি খুশকির সমস্যা দূর করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

এছাড়া চুলের রক্ষতা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া একটি প্যাক। ১ টেবিল চামচ মধু, লেবুর রস আর অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন। এবার তা চুলে মাখিয়ে ২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলকে করে তুলবে আরো সিল্কি ও মোলায়েম।

খাদ্যাভাস

খাবারের তালিকায় আনুন কিছুটা পরিবর্তন। এই সময় তেল-চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। আর এর পাশাপাশি ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে চেষ্টা করুন তা পরিহার করার।

ঘুম

বিয়ের আগে পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যাপারটা খুবই জরুরি। পরিবার, বন্ধু এবং আশেপাশের মানুষদের সময় দিতে দিতে দেখা যায় ঘুমই ঠিক মতো হচ্ছে না। যা মারাত্মকভাবে  ক্ষতিকর আপনার স্বাস্থ্যের জন্য।

যতই ব্যস্ত থাকুন সময় রাখুন নিজের জন্য। নিজেকে ধীরে ধীরে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। নিজের মাঝে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন এবং বিয়ের এই সুন্দর মুহূর্তকে নিজের মাঝে ধারণ করু

 

বিয়ের মেহেদি টিপস

কণের মনটা থাকবে ভাঙ্গা
না যদি হয় হাত মেহেদি-রাঙা

কণের প্রেম কি বিয়ের শাড়ি? নাকী গহনা? দিব্যি দিয়ে বলছি- শড়ি বা গহনার চেয়েও একজন কণের মানে বেশি স্রোত জাগায় বেলি ফুলের মালা! সুবাসিত বিয়ের সাজের সাথে রঙিন হাত না হলে কণের মন ভাংবেই। সেই অঘটন ঘটানোর কি বা দরকার! মেহেদি দেওয়ার জন্য আগে যেমন বোন ভাই ভরসা ছিল – এখন তো সেই গণ্ডি ভেঙেছে বহু আগে! সাজ সজ্জার কেন্দ্রগুলোতে মেহেদির পসরা সাজানো হয়েছে বহু আগে থেকেই। ঘরে এসেও মেহেদি দিয়ে হাত রাঙিয়ে যায় প্রশেনাল মেহেদিবাজরা। তাদের কথা না হয় একটু পরেই শোনা যাক! আপাতত আমার সাথে একটু নাহয় উকিঝুকি মারা হোক যেমন চাওয়ার তেমন মেহেদি সাজে!

হাতে সূয্যিমামা:

 যতই নতুন ট্রেন্ড আসুক কিম্বা না আসুক! আঙুরের মাথায় গাঢ় লাল আর তালুতে গোল একটা সূয্যিমামা. বাংলার চিরায়ত মেহেদি সাজ চলে এসেছে আবার ঘুরে ফিরে হাতে হাতে। অনেকেই বাসার ছোটভাইবোনদের কাজে লাগিয়ে সিম্পল সাজে নিজের কণে সাজকে করছেন সম্পূর্ণ! আর এইভাবে সাজাতে খুব বেশি ভাবনার কিছু নেই। কিছু কিচু আনন্দ না হয় ঘরের মানুষরাই শুধু ভাগ করে নিক।

হাতের আঁজলায় ফুলের ডালা

ইদানিং বেশ ট্রেন্ড চলছে শাপলা ফুলের! শাড়িতে শাপলা, কপালে শাপলা এমনকি গহনাতেও! মেহেদীর সাজেও যদি শাপলা আসে তবে মন্দ কী! হাতের পিঠে ফোটা শাপলার শুদ্ধতায় মন ভালো হবে । আর হ্যা ছবিও কিন্তু ভালো আসবে। এছাড়াও নানা রকমের ফুল তো প্রিয় মোটিফ মেহেদির সাজের জন্য। চার পাপড়ির ফুল বা গোলাপ বা যেকোনও কলি- মেহেদির সুবাসে ফুলের সাজ- মন্দ হয় না একদমই।

রিকশার মোটিফ:

এই মজার এক্সপেরিমেন্টটা কিন্তু করাই যায়। রিকশার পেছনে থাকা হংশমিথুন হাতের পিঠে চলে আসতেই পারে। আসতে পারে দস্যি কণের হাতে ”পালাবি কোথায়”। আসলে রিকশা পেইন্টে এতো এতো মোটিফ আছে সবগুলোর যেকোনও দুই তিনটিও যদি ফোটানো যায় তাহলে তো কথাই নেই। চাঁদ-তারা, ফুল, পাখি – কতকিছু যে আসতে পারে। আর তার সাথে মিলিয় ধরুন আপনার হলুদের সেটটা হলো রিকশার আসন! বাড়ির সজ্জায় থাকলো রিকশা মোটিফ! পুরো হলুদ কিন্তু একবারেই জমে যাবে!

 


মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১

শিশুর পরিচর্যা 😍


সব মা-বাবাই চান শিশুর সঠিক যত্ন। কিন্তু আমরা অনেকেই সচেতনতার অভাবে কমবেশি ভুল করি।

জন্মের পরপর শিশুর মুখে মধু দিলে মুখ মিষ্টি হয়?
কথাটা কেবল ভুলই নয়, বিপজ্জনকও। জন্মের পর পর শিশুকে মায়ের প্রথম শালদুধ দিতে হবে। হলুদ তরল বলে অনেকে এটা ফেলে দিতে বলেন। কিন্তু এই শালদুধেই আছে শিশুর প্রথম প্রয়োজনীয় পুষ্টি। তাই নবজাতককে মধু, চিনির পানি, মিছরির পানি বা কৌটার দুধ কিছুই দেওয়া যাবে না।

ঘুমের মধ্যে বোতলে করে দুধ খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত খেতে পারে?

জন্মের প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। সম্পূর্ণ বা আংশিকও টিনের দুধ দেওয়া যাবে না। মা বাইরে গেলে বুকের দুধ তুলে রেখে যাবেন। সেটা বোতলে নয়, বাটি-চামচ দিয়ে খাওয়াতে হবে। তাই ঘুমের মধ্যে বা জাগরণে—কখনোই বোতলের দুধ শিশুকে দেবেন না। ছোট শিশুদের কান্না থামানোর জন্য চুষনিতে অভ্যাস করানোও ঠিক নয়।

শিশুর খাবার ব্লেন্ডারে মিহি করে দেওয়া উচিত?

শিশুর বয়স ছয় মাস পেরোলে তাকে বাড়িতে তৈরি খাবার দিন, দোকান থেকে কেনা সিরিয়াল নয়। অতিরিক্ত চালের গুঁড়া, সুজি, বার্লি ইত্যাদি খাওয়াবেন না। সব ধরনের খাবারই দেবেন, কিন্তু ব্লেন্ডারে মিহি করার প্রয়োজন নেই। ভাত বা খিচুড়ি, সবজি, মাছ, ডাল, তেল মিশিয়ে নরম করে রান্না করতে হবে। ব্লেন্ডারে তৈরি খাবার খেলে শিশুর স্বাদগ্রন্থির বিকাশ বাধা পায়। তাকে জোর করে খাওয়ানো ঠিক নয়। খাবার নিয়ে শিশুর পেছনে দৌড়ানো এবং টিভি দেখিয়ে, গেম খেলতে বসিয়ে মনোযোগ সরিয়ে খাওয়ানো ঠিক নয়। খিদে পেলে সে এমনিতেই খাবে। একসঙ্গে অনেক পদের খাবার পরিবেশন করলে শিশু দ্বিধায় পড়ে যায়। আবার সব সময় শুধু তার পছন্দের খাবার দিতে হবে, তা-ও ঠিক নয়। এতে অন্য খাবারের প্রতি আগ্রহ জন্মাবে না।

ছোটবেলা থেকেই সবকিছু চাই?

শিশুদের একেবারে ছোট থেকে সব বিষয়ে (যেমন বইপড়া, নাচ-গান, ছবি আঁকা ইত্যাদি) পারদর্শী করে তুলতে অনেকে অস্থির হয়ে পড়েন। মুঠোফোনে গেমস, আইপ্যাড চালাতে দেখে বিস্মিত ও খুশি হন। এর কোনোটাই ভালো লক্ষণ নয়। অনেক বাবা-মা আবার আদবকায়দা ইত্যাদি নিয়ে অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়েন। কোনো কিছু নিয়েই বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। অনেকে সন্তানকে এত ভালোবাসেন ও প্রশ্রয় দেন যে তাকে সব কাজ থেকেই বিরত রাখেন। জামাকাপড় পরানো বা স্কুলব্যাগ বহন করার জন্যও লোক রাখেন। দৈনন্দিন কাজকর্ম, যেমন খাওয়াদাওয়া, জুতা ও পোশাক পরা, ব্যাগ গোছানো ও বহন করা এসবে শিশুকে সাহায্য করতে পারেন, কিন্তু পুরোটাই করে দেবেন না। তাকে স্বাবলম্বী হতে শেখান।

শিশুকে সময় দিন

সন্তানকে আরামে রাখার জন্য হয়তো দিনমান খাটাখাটনি করছেন। কিন্তু শিশুরা আসলে এই রেডিমেড আরাম বা সুখ নয়, চায় আপনার মূল্যবান সময়। ওর সঙ্গে ভাবের আদানপ্রদান, গল্পগুজব, খেলাধুলা তার বিকাশে সাহায্য করবে। কাজে ব্যস্ত থাকলেও তাকে সঙ্গী করে নিন। যেমন মা ঘরের কাজে শিশুকে সঙ্গে নিতে পারেন, টুকটাক এটা-ওটা এগিয়ে দিতে দিতে অনেক সময় কাটানো হবে। শিশুকে টিভির সামনে বসিয়ে বা মুঠোফোনে গেমস ধরিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকবেন না।

শিশুর সামনে সংযত আচরণ করুন

শিশুরা কোনো প্রশ্ন করলে তার উত্তর না দিয়ে বরং ধমক দিয়ে তাকে থামিয়ে দেন অনেকে। অতিথির সামনে কথা বললে বিরক্ত হন। এটা ঠিক নয়। সব অবস্থাতেই তাদের কথা গুরুত্বের সঙ্গে শুনবেন। শিশুর সামনে নিজেরা কথা কাটাকাটি, চিৎকার, ঝগড়া করা বা কাউকে মারধর বা গালাগাল করা একেবারেই উচিত নয়। ধূমপান বর্জন করুন। শিশুর সামনে মিথ্যা বলবেন না কখনো। কোনো কিছুতে দক্ষতা কম বলে তাকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করে বকাবকি করবেন না। শিশুর সাফল্যে প্রশংসা করুন এবং উৎসাহ দিন। ভুল বা অন্যায় করলে বুঝিয়ে বলুন, শাস্তি দেবেন না।

হবু কনেদের জন্য ১০টি মেকআপ টিপস



আপনি দেখতে যেমনই হোন না কেন, বিয়ে-বউভাতের দিনটিতে আপনাকে যাতে সেরা দেখতে লাগে, সেই ইচ্ছে সকলেরই মনের কোনে ঘাপটি মেরে থাকে। কিন্তু বিয়ের সাজের প্ল্যানিং ঠিকঠাক না হলে এটি কোনওমতেই সম্ভব নয়। বিয়ে-বউভাতের সাজ নিয়ে বেশিরভাগ বাঙালি মেয়েই একটা বাঁধা গত ধরে চলে। একটি লাল বেনারসি, লাল ওড়না, একগাদা গয়না এবং পার্লারের বিউটিশিয়ান বা মেকআপ আর্টিস্টের ইচ্ছে অনুযায়ী মেকআপ ও চন্দন এর বাইরে কিচ্ছুটি নেই। নিজের পোশাক কিনতে, হানিমুনের প্ল্যানিং করতে হবু কনেটি যতটা ব্যস্থ থাকে, ততটা ব্যস্ততা কিন্তু বিয়ের সাজ ভাবতে থাকে না। অথচ, আপনি যেমন দেখতে, সেই অনুযায়ী যদি আপনার সাজ না হয়, তা হলে সেদিনের সন্ধেটাই কিন্তু মাটি! পরে সারা জীবন অ্যালবাম দেখবেন আর দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন! কারণ, বেশিরভাগ মেকআপ আর্টিস্টই বিয়ের কনের কয়েকটা বাঁধা লুক নিজেদের মাথায় রেখে দিয়েছেন, কনে যে-ই হোক না কেন, তাঁরা সেগুলোই একটু এদিকওদিক করে চালিয়ে যান। তাই হবু কনেদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি একটি ছোট অথচ এফেক্টিভ প্র্যাক্টিকাল মেকআপ  গাইডবুক। শুধু হবু কনেই নন, আপনি কনের  মাসি-পিসি-মা-কাকিমা-বেস্ট ফ্রেন্ড, যে কেউ হতে পারেন। আপনার আশেপাশে কোনও হবু কনে থাকলে এটি তাঁকেও পড়ান কিংবা নিজে পড়ে তাঁকে উপদেশ দিন। দেখবেন, আখেরে লাভই হবে।

হবু কনের জন্য প্র্যাক্টিকাল মেকআপ গাইড

বিয়ের সাজ চূড়ান্ত করার আগে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি...

১) আপনার সাজ কেমন হবে, তা নিয়ে একটা মোটামুটি ধারণা আগে থেকেই ছকে রাখুন। ইন্টারনেটের সাহায্য নিন। ইনস্টাগ্রাম কিংবা পিনটারেস্টে বাঙালি কনেদের উপযোগী মেকআপের অনেক নমুনা একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। সেগুলো দেখে কয়েকটি লুক নিজেই ফাইনাল করুন। 

২) বিয়ের মেকআপ বা পুরো সাজ কেমন হবে, তার একটা মহড়া আগে একবার দিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। আজকাল ডেমো মেকআপ বলে একটা ব্যাপার ওয়েডিং পোর্টালগুলোতে খুব জনপ্রিয়। সেখানে কোনও মেকআপ আর্টিস্ট ফাইনালি বুক করার আগে আপনি একদিন তাঁর নমুনা মেকআপ নিজের উপর প্রত্যক্ষ করতে পারেন। এর চেয়ে ভাল কথা আর হয় না। অনেকসময় বন্ধুর বিয়েতে অমুক মেকআপ আর্টিস্ট ভাল সাজিয়েছিল বলে লোকে তাঁকে বুক করে ফেলে। কিন্তু তিনি আপনার জন্যও সমান ভাল কিনা, সেটা জানতে আগে একবার চেখে নেবেন না? 

৩) অনেক মেকআপ আর্টিস্ট আবার ডেমো দিতে পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে আগে একটা মিটিং বুক করুন। তারপর নিজের বেছে রাখা লুক ও তাঁর সাজেশন নিয়ে একটা বিশেষ সাজ ফাইনাল করুন। তা হলে আগে থেকেই সেদিনের সাজ সম্বন্ধে একটা ধারণা আপনার মাথায় থাকবে।

Instagram

৪) নিজস্ব বেস মেকআপ প্রোডাক্ট দিয়েই সেদিন সাজবেন। প্রয়োজন হলে মেকআপ আর্টিস্টের কাছ থেকে জেনে নিন যে, তাঁর কী-কী দরকার। সেই অনুযায়ী প্রোডাক্টস কিনে রাখুন। কারণ, মেকআপ আর্টিস্ট কিন্তু ওই একই সরঞ্জাম দিয়ে সকলের মেকআপ করছেন। সুতরাং, আপনার স্কিন সেনসিটিভ হলে, কোনওরকম অ্যালার্জির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

৫) বিয়ের কনেকে বিয়ের দিন লাল রংয়ের লিপস্টিক লাগাতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। বরং লিপস্টিক নুড শেডের লাগান, যাতে বাকি জমকালো সাজের সঙ্গে তা ভাল করে যায়।

৬) মেকআপে বসার আগে ভাল করে মুখে অয়েল-ফ্রি ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নেবেন। বিশেষ করে যদি শীতকালে বিয়ে হয়, তা হলে তো স্কিন হাইড্রেট থাকাটা জরুরি। যে ক্রিম কিংবা ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে আপনার পুরো দিনটা এমনিতে চলে যায়, সেটাই লাগান। নতুন কোনও প্রোডাক্ট ট্রাই করতে যাবেন না সেদিন।

৭) মেকআপ যতটা সম্ভব ন্যাচারাল রাখার চেষ্টা করবেন। চড়া সাজ অনেককেই মানায় না। কিন্তু স্নিগ্ধ সাজে কাউকে দেখতে খারাপ লাগতে পারে না।

৮) মেকআপ আর্টিস্টের কাছে জেনে নিন, প্রয়োজন পড়লে টাচ আপ করবেন কী করে। অনেকসময় এটা খুব জরুরি হয়ে পড়ে।

৯) বিয়ের রাতে যে লিপস্টিকটি লাগাবেন, সেটি যেন আপনার নিজস্ব হয়। তা হলে পরে দরকার হলে সেটি আবার লাগিয়ে নিতে পারবেন।

১০) শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, যখনই বিয়ে করুন না কেন, একটু চড়া পারফিউম লাগাতে ভুলবেন না যেন।

সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

শিশুর মুখের ঘা দূর করতে যা করবেন


শিশুরা অনেক সময় আজে-বাজে জিনিস মুখে নিয়ে থাকে। যার ফলে তাদের মুখে জীবাণু ঢুকতে পারে সহজেই। এ ছাড়াও শিশুরা বিভিন্ন জিনিস হাত দিয়ে ধরে এরপর মুখে হাত নেয়। এসব কারণে তাদের মুখে সহজেই জীবাণু ঢুকে সংক্রমণ ঘটায়। বিশেষ করে মুখের আলসারে সব শিশুরাই কম-বেশি ভুগে থাকে।

বেশ কয়েকটি কারণে শিশুর মুখের আলসার বা ঘা হতে পারে। যেমন- আঘাত, ভিটামিন বা খনিজ পদার্থের অভাব ইত্যাদি। যদিও মুখের আলসার সংক্রামক হয় না। কিছু পরামর্শ মানলেই বাড়িতে এর চিকিৎসা করা যেতে পারে। চলুন তবে জেনে নিন শিশুর মুখের ঘা দূর করার ঘরোয়া টোটকা-

>> মধু জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। এজন্য ১-৩ বছর বয়সী শিশুর মুখে ঘা হলে মধু ব্যবহার করাই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর দাওয়াই।

>> শিশুর মুখের আলসারের চিকিৎসায় হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা সব ধরনের ক্ষত নিরাময় করে।

>> নারকেল দুধ দিয়ে গার্গল করলে ব্যথা বা জ্বলুনিভাবে কমবে। এ ছাড়াও ক্ষতে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের মুখের দূষিত ক্ষতের চিকিৎসা নারকেল তেল কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

>> দই দিয়েও শিশুর মুখের ঘা নিরাময় করা যায়। দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ক্ষত এলাকায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

>> তুলসি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা আছে। ২-৫ বছর বয়সী শিশুদের মুখে ঘা হলে তুলসি পাতা চিবিয়ে খাওয়াবেন। এতেই ঘা সেরে যাবে।

>> শিশুর মুখে যদি কিছুদিন পরপরই ঘা হতে থাকে; তাহলে পোস্ত দানা ও নারকেলের ক্যান্ডি খেতে দিন। মিছরির গুঁড়ো, পোস্ত দানা ও কোড়া নারকেল ব্লেন্ড করে ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে নিন। এই ক্যান্ডি শিশুকে চুষতে দিন। শিশুর শরীরের তাপ বাড়ার কারণে যদি আলসার হয়ে থাকে; তবে এটি হলো প্রতিরোধ করার উপায়।

>> ঘি শিশুর মুখের ঘা সারাতে বিস্ময়কর কাজ করে। ভালো ফলাফল পেতে শিশুর মুখের আক্রান্ত স্থানে দিনে অন্তত তিনবার ঘি ব্যবহার করুন। ঘি দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে এবং ব্যথা কমায়।
>> অ্যালোভেরার জেল পানিতে মিশিয়ে শিশুকে কুলি করতে বলুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে তিনবার এটি দিয়ে মুখ ধোয়াতে পারেন।

>> ২ কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু ভিজিয়ে রাখুন। এ পানি দিয়ে শিশুকে প্রতিদিন কয়েকবার গার্গল করালে মুখের আলসার সেরে যাবে।



পোলিও সম্পর্কে যে ১০ টি কথা আপনার জানা উচিত



“পোলিও”। এই ভয়ঙ্কর রোগটি একসময়ে মহামারী আকার লাভ করেছিল, বিশ্বব্যাপী অনেক শিশু হয়েছিল প্যারালাইসিসের শিকার। গরীব দেশগুলোতে এর প্রাদুর্ভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। বিশ্বব্যাপী পোলিও দূরীকরণ প্রকল্পের অন্যতম অংশীদার ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ( WHO ) যারা পোলিও প্রতিরোধে কাজ করছে এবং এই রোগ ৯৯ শতাংশ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে। এখনো অত্যন্ত গরীব ও যেসব দেশে শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভোগে সেসব দেশে শুশুদের পোলিওতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। বিশ্বব্যাপী পোলিও দূরীকরণ প্রকল্পের লক্ষ্যই হচ্ছে প্রতি শিশুকে ভ্যাকসিনের আওতায় এনে এ রোগকে প্রতিরোধ করা। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল নক্ষত্র। পোলিও নির্মূলে আমাদের সাফল্য রীতিমতো অনুকরনীয়।   

পোলিও এর প্রকোপ একসময় যেভাবে দেখা দিয়েছিল এখন সেভাবে না থাকলেও এখনো কোন কোন দেশের ৫ বছরের নিচের বয়সের শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্যারালাইজড হয়। প্যারালাইসিসের ক্ষেত্রে পায়ের অংশই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয় এবং  এর ৫ থেকে ১০ শতাংশ আক্রান্ত শিশু শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগে মারা যায়।

বেশিরভাগ রোগ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব নয়। পোলিও অল্প কিছু রোগের মধ্যে একটি যেটি পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব। কারণ পোলিও এর জীবাণু মানুষের শরীরের বাইরে বেশীক্ষণ বাঁচতে পারে না।
বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত পোলিও প্রায় ৯৯ শতাংশ দূর করা সম্ভব হয়েছে।

আফগানিস্থান, পাকিস্থান ও নাইজেরিয়া শুধুমাত্র এই তিনটি দেশের স্বাস্থ্যনীতি, স্যানিটেশন ব্যবস্থা দূর্বল  হওয়ার কারণে এখনও এখানে শিশুরা উল্লেখযোগ্য হারে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়।
পোলিও দূর করার জন্য যে ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয় তা কমমূল্যের ও সহজলভ্য। আর বাংলাদেশের সকল জায়গায় এই ভ্যাক্সিন বিনামূল্যে সকল শিশুকে দেয়া হয়।
পোলিও দূরীকরণের এই প্রকল্প বিশ্বের সর্ববৃহৎ সরকারী-বেসরকারী দ্বৈত সহায়তায় পরিচালিত স্বাস্থ্য প্রকল্প।

পোলিও দূরীকরণের জন্য প্রত্যেকটি শিশুর ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
পোলিও দূরীকরণ প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত ত জনবল, অর্থ বর্তমানে  শিশুদের অন্যান্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নের কাজেও  ব্যবহৃত হয় যা বিশ্বব্যাপী প্রায় দেড় মিলিয়ন শিশুকে মৃত্যুর থেকে বাঁচিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে সারা দেশে প্রায় বছর ধরে চলা ই,পি,আই নামক টিকাদান কর্মসূচী পোলিও নির্মূলে প্রধান অবদান রেখেছে, এছাড়া প্রতি বছর আয়োজন করা জাতীয় পোলিও টিকা দিবসের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

বাংলাদেশে ২০০০ সালের পর আর কোন নিশ্চিত পোলিও রুগী পাওয়া যায়নি, কিন্তু তখনও ভারতে পোলিও নির্মূল না হওয়াতে এই এলাকাকে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করা হয় নি.এর তিন বছর পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে WHO ২০১৪ তে পোলিওমুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে।

কনে সাজের পালাবদল | বিয়েতে কনে সাজানোর অসাধারণ পদ্ধতি😍

বৌয়ের বিয়ের সাজ, অন্তত তিনখানা তো হবেই তাই না? গায়ে হলুদ, বিয়ে আর বৌভাত, এই তিন মূল অনুষ্ঠান নিয়েই বাঙ্গালি বিয়ে। কারো কারো পানচিনি বা বাগদানের মতো আয়োজনগুলোও আলাদা করে হয়। সেক্ষেত্রে উপলক্ষ আরো বাড়ে। বিয়ে এমনই এক উৎসব যা নিয়ে একদম কিচ্ছুটি না ভাবা মেয়ের মনেও ভাবনা খেলে যাবে, কেমন দেখাবে তাকে বিয়েতে!

চলছে শীতকাল। বিয়ের ভরা মৌসুম। নিজের না হলেও আত্মীয় বা বন্ধু কারো বিয়ে লেগে যেতেই পারে এইবার। প্রস্থুতি নিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন, তাও হতে পারে। হবু কনে, তা সে নিজে হন বা অন্য কেউই হোক, তার সাজ নিয়ে কপালে ভাঁজ ফেলার আগে একটু ভেবে দেখুন দেখি আসলে কী চাচ্ছেন! তিনটা অনুষ্ঠানেই প্রায় এক রকম সাজ হবে, না তিনদিনে ভিন্ন ভিন্ন সাজে নজরকাড়া হবে বৌ? রঙের ক্ষেত্রে লাল বা গোলাপির ধারেকাছেই ঘোরাঘুরি করা হবে, নাকি আলাদা কোনো রঙেও হতে পারে একটা অনুষ্ঠানের সাজ? কনের ইচ্ছাই সবচেয়ে জরুরী। কিন্ত নানা জনের নানা মতের ভীড়ে কনে নিজের চাওয়া নিয়েই দ্বিধায় পড়তে পারে! লাল টুকটুকে বৌ, তার আগে হলদে-লাল হলুদ ছোঁয়ার সাজ, আর পরে গোলাপি বা রানি রঙের সাজে বৌভাত, এমন ছকবাঁধা কোনো সাজ মাথায় থাকলে ঝামেলা অনেক কম। কিন্তু যদি প্রতিটা অনুষ্ঠানে সাজে ভিন্নতা আনার ইচ্ছা থাকে, তবে খানিক গুছিয়ে  প্রস্তুতি নেয়া চাই। ভিন্নতা আনতে গিয়ে সবকিছুর শেষে যদি বিয়ের অ্যালবাম দেখে সব সাজ একই রকম লাগে, তার চেয়ে দুঃখের আর কিছুই হবে না!

বিভিন্ন দিনের সাজে ভিন্নতা আনা নিয়েই আলাপ হবে আজকে। ভাবুন তো, সাজে ভিন্নতা বলতেই প্রথমে মাথায় কী আসে? পোশাকের কোন বিষয়টা তাকে অন্যটার থেকে আলাদা করে শুরুতেই? পোশাকের ধরণ, এটাই আসলে প্রথম কথা। এক অনুষ্টানে কনে লেহেঙ্গা পরলে এমনিতেই বড়সড় সাজবদল হয়ে যাচ্ছে। বিয়ের দিন পরার জন্য অনেকেই ভারী কাজের লেহেঙ্গা বেছে নিচ্ছে আজকাল। চাইলে সেটা করা যায়। আর তখন গায়ে হলুদ এবং বৌভাতের আয়োজনে কেবল দুই রঙের শাড়ি পরলেই তিনদিনের তিনটা সাজ বেশ আলাদা রকম হয়ে যাবে।II


রঙ হচ্ছে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কথা সাজপোশাকের। কেমন রঙ বেছে নেয়া হচ্ছে কনের পোশাকে সেটা খেয়াল রাখা চাই। লাল রঙটা বরাবরই নতুন বৌয়ের দুর্বলতা, তাই বিয়ের শাড়ির সাথে অন্য অনুষ্ঠানের শাড়িও লালঘেঁষা হয়ে যায় অনেকের। সেটি করা চলবে না কিন্তু সাজে বৈচিত্র্য চাইলে! বিয়েতে লাল তো হলুদের সাজে সবুজ, সাথে হলুদ কিংবা গোলাপি রাখা যায়, আর তাহলে বৌভাতের সাজ হোক নীল বা সাদার মাঝে। আলাদা আলাদা দিনকে সম্পূর্ণ ভিন্ন রঙে মাথায় রাখুন। তাহলেই এক সাজের থেকে আরেক সাজ ভিন্ন হবে। একেকটা দিন একেক রূপে থাকবে নতুন বৌ।

মেকআপ আর যাই হোক না কেন, চেষ্টা করুন লিপকালারে বৈচিত্র্য রাখতে। সব কয়দিন হালকা রঙ বা ন্যুড কালার অথবা সবদিনই গাঢ় রঙ, সাজগুলোকে অনেকটাই এক করে দেবে। তাই একেকটি অনুষ্ঠানের সাজ সম্পূর্ণ করতে একেক রঙের লিপকালার বেছে নেয়া প্রয়োজন।

চুলের সাজ অর্থাৎ কেশবিন্যাস বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে যে কারো সাজের বেলায়। কেশবিন্যাসে সামান্য কৌশল করেই বদলে দেয়া যায় একজনের চেহারা। কনেরাও নিজেদের কেশসজ্জায় মনযোগী হন। গায়ে হলুদে এলোকেশী থাকলে বিয়েতে পরিপাটি খোঁপা চলুক, বৌভাতে একপাশে ঢেউ খেলানো চুল। সাজে অনেকটাই বৈচিত্র্য আসবে এতে।

বিয়ের কনের চুলের সাজ কেমন হবে? তারই কিছু টিপস

লাজে রাঙা হল কনে বউ গো, মালা বদল হবে এ রাতে’ এই গানটা শুনলেই যে ছবিটা সবার আগে মনে আসে তা হল একটি লাল টুকটুকে কনে বউ। কিন্তু আজকাল শুধু লালেই আটকে নেই বউয়ের সাজ। তা ছড়িয়ে পড়েছে নানান রঙের মধ্যে। যে যাঁর নিজের পছন্দের রঙের বা গায়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বিয়ের শাড়ি বা পোশাক..

এই গানটা শুনলেই যে ছবিটা সবার আগে মনে আসে তা হল একটি লাল টুকটুকে কনে বউ। কিন্তু আজকাল শুধু লালেই আটকে নেই বউয়ের সাজ। তা ছড়িয়ে পড়েছে নানান রঙের মধ্যে। যে যাঁর নিজের পছন্দের রঙের বা গায়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বিয়ের শাড়ি বা পোশাক কিনে থাকেন। আর সাজও হয় সেই রঙের সঙ্গে মিলিয়ে। যাতে বিশেষ ওই দিনটিতে নিজে অনেক বেশি সুন্দরী, আরও মোহময়ী করে তোলা যায় সেই ইচ্ছে থাকে সব মেয়েরই।
 
তাই বিয়ের সাজ কেমন হবে এই নিয়ে সব মেয়েরই একটা কল্পনা বা বলা যায় পরিকল্পনা আগে থাকেই করা থাকে। তা সে গয়নাগাটিই হোক আর সাজগোজই হোক। তাই এই পরিকল্পনাকে আরও একটু উসকে দিতে কনের সাজ কেমন হলে ভালো হয় তার কিছু টিপস রইল এখানে।

চুলের সাজ –

মুখের সৌন্দর্য্য অনেকটাই নির্ভর করে চুলের উপর। তাই প্রথমেই করতে হয় চুলের সাজ। সে ক্ষেত্রে কনের মুখের আদল আর উচ্চতার ব্যাপারটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যাঁদের মুখ গোল তাঁদের চুলের সামনের দিকটা ফাঁপিয়ে নিয়ে ঘাড়ের কাছে একটা ডিজাইনার খোপা বা কিছুটা ছেড়ে কিছুটা বাঁধা রাখলেও দেখতে ভালো লাগে। আর যাঁদের মুখের আদল লম্বাটে তাঁদের মাথার দু’ পাশ ফুলিয়ে খোপা বা খোপার সঙ্গে কিছুটা চুল ছেড়ে বাঁধা যেতে পারে। যাঁর উচ্চতা বেশি তাঁর ক্ষেত্রে ঘাড়ের কাছে খোপা বাঁধলে ভালো লাগবে। যাঁর উচ্চতা একটু কম তাঁর ক্ষেত্রে মাথার উপরের দিকে খোপা বাঁধা যেতে পারে। তাতে উচ্চতা একটু বেশি মনে হবে।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, আগেকার প্রথা মেনে মাথায় ওড়না দেওয়ার রেওয়াজ যেমন আছে, তেমনই নতুন ধরনের অনেক কৃত্রিম ফুল, কাঁটা, ক্লিপ, পুঁথি বা স্টোন সেটিং গহনা ব্যবহারও শুরু হয়েছে। শাড়ির রঙের সঙ্গে মানানসই নকল ফুল ভরাট করে খোপা বা কানের পাশ দিয়ে লাগালে বেশ একটা আলাদা মাত্রা এনে দেয়। বা আসল সুগন্ধী ফুলের মালা বা গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা দিয়েও সাজানো যায় খোপাকে। এ ছাড়াও থাকতে পারে এক পাশ দিয়ে ওড়নাও। সে ক্ষেত্রে শুধু লাল নয়, গোল্ডেন বা সিলভার কালারের ওড়নাও আজকাল খুবই ব্যবহার করা হচ্ছে।



রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১

বিয়ের সময় এমনিতেই ঝামেলা তার উপর পার্লার, এসবের কোনো মানে হয়। তাছাড়া এটা অনেকে ভালো নজরে দেখেওনা। তাই এই টিপস



বিয়ের সময় এমনিতেই ঝামেলা তার উপর পার্লার, এসবের কোনো মানে হয়। তাছাড়া এটা অনেকে ভালো নজরে দেখেওনা। তাই এই টিপস

গুলো পড়ে নিজে নিজেই বিয়ের সাজ-গুজ করে নিন।

-> মুখ ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে পরিষ্কার করুন।

-> এরপর মুখে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন।

-> গায়ের রঙের সাথে ম্যাচ করে ফাউন্ডেসন করবেন, মেক-আপের ভাসায় যাকে বলে বেস। যাঁদের রঙ চাপা তাঁরা ব্যাবহার করুন ২৪-২৭ নম্বর। উজ্জ্বল হলে ২৫-২৬ নম্বর ব্যাবহার করুন।

-> ফেস পাউডারের সঙ্গে বডি পাউডার মিশিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন।

-> এরপর গোটা মুখটা ব্রাশ দিয়ে ঝেরে নিন। এতে অতিরিক্ত পাউডার ঝরে যাবে।

-> আই শ্যাডো শাড়ির রঙের সাথে ম্যাচ করে লাগাতে হয়। তবে গায়ের রঙের সাথে ম্যাচ করে আই শ্যাডো লাগাতে চাইলে রঙটা হওয়া চাই হালকা। আই শ্যাডো লাগাতে হবে চোখের পাতায়। ভ্রু আর চোখের পাতার মাঝখানে সিলভার কালার দিয়ে আই শ্যাডো লাগানো উচিৎ।

-> এরপর আইলিনার। কালো রঙের মেয়েদের জন্য মানানসই। চোখের কোন থেকে হালকা করে আস্তে আস্তে মোটা হয়ে বাইরের দিকে টেনে নিতে হবে আই লিনার কে। একই ভাবে নীচের পাতায়। এতে চোখ উজ্জ্বল হয়।

-> শাড়ির রঙের সাথে ম্যাচ করে রঙ বাছাই করা উচিৎ। প্রথমে লিপ লাইনার দ্বারা ঠোঁটের আউট লাইন এঁকে নিতে হবে। যাঁদের ঠোঁট মোটা তাঁরা লিপ লাইনারটিকে ভিতরের দিকে টানবেন।  পাতলা হলে বাইরের দিকে। এরপর লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁট ভরে নিন।

-> শাড়ির রঙের সাথে মিলিয়ে ব্লাশঅন করা দরকার। তবে ন্যাচারাল রঙের জন্য গায়ের রঙের সাথে মিশিয়ে ব্যাবহার করা যায়। চিকবোন থেকে কানের পাশ পর্যন্ত ব্লাশঅন করতে হয়।

-> কপালে বড় গোল টিপ এর চারপাশে নকশা এঁকে নিলে অনেক মোহময়ী দেখায়।

-> যাঁদের উচ্চতা কম তাঁরা উঁচু করে খোপা বাদলে অনেক লম্বা দেখাবে।

-> শুধু লাল রঙের শাড়ি পরতে হবে তার কোনো মানে নেই। গায়ের রঙের সাথে মিশিয়ে বেনারসি শাড়ি পড়লে আরও ভালো দেখাবে।

-> যদি শাড়ি অনেক বেশি জাঁকজমক পূর্ণ হয় তাহলে অল্প গহনা পরা উচিৎ।

-> নেইল পলিশ সব সময় শাড়ির রঙের সাথে মিলিয়ে ব্যাবহার করবেন। রাতে বিয়ে হলে কড়া পারফিউম ব্যাবহার কড়া ভালো।

করোনা থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে যা করবেন



বিশ্বের ৮০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্বে করোনাভাইরাসে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হচ্ছে জানা ও প্রতেরোধ করা। তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কাউকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত করা যায়নি। এই ভাইরাস নিয়ে এথন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখন প্রশ্ন হলো– আক্রান্ত হলেই কি মৃত্যু নিশ্চিত।

সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস নিয়ে প্রতিনিয়ত উদ্বেগ বাড়ছে। এই রোগে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকলেও তাদের এসব বিষয় সম্পর্কে জানাতে হবে।  
এখন প্রশ্ন হলো– কোমলমতি শিশুরা করোনাভাইরাস সম্পর্কে কিছুই জানে না। আর তারা অনেক কিছু বুঝতেও চায় না।

আসুন জেনে নিই শিশুকে কীভাবে বোঝাবেন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে? তার মনে ভয় কীভাবে দূর করবেন?

ডা. পুনম কৃষ্ণা যুক্তরাজ্যের একজন চিকিৎসক। এই চিকিৎসকের চার বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই ভাইরাস সম্পর্কে শিশুদের বোঝাতে হবে। আমাদের যেমন ঠাণ্ডা লাগে, পেট খারাপ হয় ও বমি হয়।  এই ভাইরাস তেমনি।

তিনি বলেন, বাবা-মায়ের উচিত শিশুদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা। নতুবা সে স্কুলে বা বন্ধুদের কাছ থেকে ভুল তথ্য পাবে।
তিনি বলছেন, ৬-৭ বছর বয়সী বা তাদের নিচে যাদের বয়স তাদের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা হলো তারা যা শুনবে তাতেই বিচলিত হবে। কারণ তাদের বাবা-মায়েরা তাদের আশপাশেই বিষয়টি নিয়ে আলাপ করছে।
 যে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারে না যে তার শিশু এতে আক্রান্ত হবে কিনা। আমাদের উচিত স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় জানা।
তিনি বলেন, নিয়মিত হাত ধোয়ার বিষয়টি শিশুদের শেখাতে হবে।
তার সঙ্গে একমত পোষণ করে ডা. কৃষ্ণা বলছেন, নিজেকে রক্ষা করার জন্য যেমন শিশুর সঙ্গে হাত ধোয়ার মতো বিষয়টি নিয়ে গল্প করা।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শিশুদের মনে করিয়ে দেয়া। ছোট শিশুরা খুব কৌতূহলী হয়।
শিশুরা সবকিছু ছুঁয়ে দেখে। স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে খাবার ও পানীয় আদানপ্রদান করে, যা রোগজীবাণু ছড়ানোর অন্যতম কারণ।

বিয়ের মরসুম চলছে, এই ৭ জিনিসের ব্যবহারেই কনের সাজে আসবে সাবেকিয়ানা, লাস্ট মিনিট টিপস...

প্রিয়তমের চোখে মুগ্ধতা দেখতে আর প্রিয়জনদের প্রশংসা কুড়োতে কনে সেজে উঠুক সাবেকি বঙ্গবধূর সাজে। সঙ্গে থাক এই ৭ টিপস!



 বিয়ে বাঙালি আচার মেনে হোক বা না হোক, এই দিনের সাজ অন্য দিনের চেয়ে আলাদা হতেই হয়!   জীবনের অন্যতম স্মরণীয় এক ঘটনা, একে তো আর হেলাফেলা করা যায় না! তাই প্রিয়তমের চোখে   মুগ্ধতা দেখতে আর প্রিয়জনদের প্রশংসা কুড়োতে কনে সেজে উঠুক সাবেকি বঙ্গবধূর সাজে। সঙ্গে থাক এই ৭ টিপস!

*মুকুট: বাঙালি লুকে নিজেকে সাজাতে গেলে প্রথমেই যেটা জোগাড় করতে হবে, তা হল মুকুট। সাদা শোলার মধ্যে লাল বা গোল্ডেন রঙ দিয়ে কলকা করা এই মুকুট মাথায় দিলেই অদ্ভুত সুন্দর লাগে। অনেকের মতে, শুধু দেখতে সুন্দর হওয়াই নয়, বাংলার সংস্কৃতিও মিশে রয়েছে মুকুটের ডিজাইন আর ব্যবহারে।

*আলতা: আজও বাংলার গ্রামে গ্রামে বা একটু বয়স্ক মহিলাদের মধ্যে আলতা পরার চল রয়েছে। পায়ে এবং হাতে- দুই জায়গাতেই আলতা পরে থাকেন অনেকে। বিশেষ করে পুজো বা কোনও পার্বণ থাকলে এই রীতি মানেন গ্রামবাংলার একাংশ। তবে, বিয়েতেও আলতা পরার চল রয়েছে। হালফিলের আধুনিক স্টাইলে আলতার চল না থাকলেও বাঙালি ব্রাইডাল লুকে কিন্তু এর ব্যবহার মাস্ট।

*সোনার গয়না: ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি রাজ্যেরই গয়নার ডিজাইন ভিন্ন। যে গয়না উত্তর ভারতে প্রসিদ্ধ, তা দক্ষিণে নয়। বা যা পূর্বে প্রসিদ্ধ, তা পশ্চিমে নয়। যোগাযোগের জেরে আজ সব একই হলেও ট্র্যাডিশনাল দিক থেকে পার্থক্য থেকেই যায়। বাংলার গয়নার নকশারও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা দেখলেই বোঝা যাবে। তা ছাড়াও বাঙালি কনেরা মূলত যে গয়না পরেন তার মধ্যে কানবালা, ঝুমকো, পাশা, সীতাহার, মানতাসা, লহরী রয়েছে। তাই বাঙালি কনের সাজে এই সব গয়নার অন্তত একটি থাকলে ভালো লাগবে।

*শাঁখা-পলা:
আগেকার দিনে শাঁখা-পলা, শঙ্খ ও কোরাল বা পলা থেকে তৈরি হলেও বর্তমানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নকল উপাদান পাওয়া যায়। তবে, আসল-নকল যাই হোক, হাতে শাঁখা-পলা দেখলে বুঝতে হবে বাঙালি। তাই বাঙালি কনের হাতে এই দুই জিনিস থাকবে না, তা হতে পারে না। বিয়ের চিহ্ন এই শাঁখা-পলা ছাড়া বাঙালি ব্রাইডাল লুক অসম্পূর্ণ।

*লোহা: শাঁখা-পলার সঙ্গেই বিয়ের অন্যতম চিহ্ন বলা হয় লোহাকে। কখনও এমনি লোহার একটা চুড়ি বা সোনা দিয়ে বাঁধানো চুড়ি পরা হয়ে থাকে।

*টায়রা-টিকলি: অন্যান্য অলঙ্কারের সঙ্গে টায়রা-টিকলিও পরা হয়। যা কনেকে আরও সুন্দর করে তোলে।

*বেনারসি: এই সব কিছু দিয়ে সাজিয়ে যদি বেনারসির বদলে অন্য শাড়ি পরানো হয়, তা হলে বাঙালি কনে লাগা স্বাভাবিক নয়। কারণ এই লুকের সব চেয়ে বড় উপাদানই হল বেনারসি। লাল টুকটুকে বেনারসি ছাড়া কনের সাজ ফিকে থেকে যায়। তাই সব কিছুর সঙ্গে সঙ্গে বেনারসি কিন্তু মাস্ট হ্যাভ!


শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১

করোনা আবহে বিয়ের কনের জন্য রইল মেকআপ টিপস



কথায় বলে সৌন্দর্যের ভাষা লেখা থাকে চোখের মধ্যে। তবে বিয়েবাড়ির ক্ষেত্রে দেখার চোখে নয়, সমস্ত সৌন্দর্য উপচে পড়ে কনের সাজেই। কনের মেকআপ রীতিমতো জমকালো হয় যেন সবার আগে সবার চোখ ব্রাইডের ওপরেই পড়ে।। তাঁর ওপর থেকে চোখ সরানোই দায় হয়, সেই মুহূর্তে! কিন্তু এই সব কিছুর মধ্যে বাধ সাধল কোভিড ১৯। করোনা আবহে বিয়ে, বিয়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আরও নানা ব্যবসা পড়েছে মুখ থুবড়ে। তবুও, কথায় আছে, ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’ তাই গোটা পৃথিবীর ফ্যাশন ও বিউটি ইন্ডাস্ট্রি নিজেদের মতো করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, প্যানডেমিক সময়ের যাবতীয় বদলকে সঙ্গে নিয়েই নতুন ছন্দে পথ চলা শুরু করছে।

আপনি যদি নিজেই এই করোনা আবহে বিয়ের কনে হন তাহলে সাজগোজ, মেকআপের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে আপনাকেও চলতে হবে। তাহলেই এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে এই সমস্যাকে। বিয়ের দিন কীভাবে সাজবেন, রইল তার টিপস।
 
মেকআপ করতে যেহেতু অনেকটা সময় লাগে, আর আপনাকে যিনি সাজাবেন তাঁর সঙ্গে আপনার সরাসরি যোগাযোগ হবেই! এই কারণেই কিছু নিয়মাবলি আপনার মেনে চলা দরকার-

1. অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় মুখ ও নাক ভাল করে ঢেকে পার্লারে যেতে হবে। ফেস মাস্ক পরা খুবই দরকার।

2. ৭০% আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল দিয়ে মেকআপের সামগ্রীগুলো ভাল করে স্যানিটাইজ করে নিতে হবে মেকআপ করার আগে। লিপস্টিক ও ব্রাশেও স্যানিটাইজার স্প্রে করে নিতে হবে।

3. প্রতিটা মেকআপ সেশনের পরে অ্যালকোহল দিয়ে ভাল করে ব্রাশগুলো ধুতে হবে। তারপরে আবার অন্যদের মেকআপ করতে হবে।

4. আপনি যদি বাড়িতে বসেই বিয়ের মেকআপ করেন তাহলে চায়ের লিকার ও বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে ব্রাশগুলো। একমাত্র তাহলেই ঠিকঠাক ভাবে জীবাণু মুক্ত হবে মেকআপের সামগ্রীগুলো।

5. পরিষ্কার ব্রাশ আর নোংরা ব্রাশগুলো আলাদা জায়গাতে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
মুখের মেকআপ থেকে চোখের কাজল কিংবা লিপস্টিক সবকিছুই ব্যবহার করার আগে স্যানিটাইজ করে নেওয়া খুবই প্রয়োজন। বিয়ের কনে যদি বাড়িতে বসে তৈরি হতে পারেন তাহলে ভিড় এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে, যা বর্তমান করোনা আবহে খুবই দরকার। বিয়ের সাজের সঙ্গে অনেক কনেই আজকাল ম্যাচিং করে মাস্ক ব্যবহার করেছেন।


সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১

ছোট্ট সোনার যত্ন

 

কোনও মায়ের কাছে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত জানতে চাইলে, তিনি স্বাভাবিক ভাবেই জন্মের পরে সন্তানকে প্রথম দেখার অনুভূতির কথাই বলেন। সেই আনন্দের সঙ্গে মিশে থাকে ভালবাসা ও একরাশ উদ্বেগ। তখনই মনে হয়, কেমন করে তার যত্ন নেব?

সদ্যোজাতের যত্ন খুব সহজ কথা নয়। বিশেষ করে যিনি প্রথম বার মা হচ্ছেন, তাঁর কাছে। কিছু সতর্কতা আর সামান্য ধৈর্য কাজটা অনেক সহজ করে দেয়। চিকিৎসকদের মতে, মায়ের শরীর থেকে আলাদা হওয়ার পরে শিশুর তাপমাত্রার বিষয়টি আগে খেয়াল রাখা উচিত। সে যাতে ঠিক মতো অক্সিজ়েন পায়, তা দেখতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হাসপাতালের কর্মীরাই অবশ্য এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

ব্রেস্ট মফিডিং 

শিশুর জন্মের পরে যত দ্রুত সম্ভব তাকে মায়ের কাছে দিতে হবে। এতে মা আর সন্তানের যোগাযোগ তৈরি হয়। মায়ের বুকের মধ্যে থাকলে সেই তাপমাত্রা সন্তানের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। মায়ের ব্রেস্ট মিল্ক সিক্রেশনের জন্যও তা জরুরি। শিশু চিকিৎসক ড. অপূর্ব ঘোষ জোর দিলেন, মায়ের ব্রেস্ট থেকে প্রথম যে হলুদ দুধ (কোলোস্ট্রাম) বেরোয়, তা যেন শিশুকে অবশ্যই খাওয়ানো হয়। কোলোস্ট্রামে প্রচুর অ্যান্টিবডি রয়েছে। যা বাচ্চার ইমিউনিটির সহায়ক। অনেক সময়ে মায়ের দুধ আসতে দেরি হয়। মিল্ক সিক্রেশনের জন্যও বাচ্চার সাকিং জরুরি।

খেয়াল রাখুন                                                                                                         

• আবহাওয়া বুঝে পোশাক পরাবেন। হালকা সুতির পোশাক পরান। ইলাস্টিক দেওয়া কিছু ব্যবহার না করাই ভাল। শীতকালে অতিরিক্ত পোশাক ভুলেও পরাবেন না। এতে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে জ্বর এসে যেতে পারে
• ঘণ্টা তিনেকের বেশি ডায়পার পরিয়ে রাখবেন না
• শিশুর নাক-কান পরিষ্কার করতে যাবেন না। সাবধানে নখ কাটবেন
• সদ্যোজাত শিশুর ক্ষেত্রে তো নয়ই, অন্তত বাচ্চার আট মাস বয়স অবধি বেবি ক্যারিয়ার ব্যবহার করবেন না। এতে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে

পরিচ্ছন্নতা

আপনার ছোট্ট সোনাকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর থেকেই শুরু হবে আসল কর্মকাণ্ড। মায়ের শরীরে থাকার সময়ে শিশু ঘেরাটোপের মধ্যে থাকে। তাই বাড়িতে যতটা সম্ভব হাইজিন মেনে চলতে হবে। শিশুকে বেশি লোকজনের কোলে দেবেন না। তাকে নেওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন। বাচ্চার পোশাক, বিছানা যাবতীয় জিনিস পরিচ্ছন্ন হওয়া জরুরি।

আম্বিলিক্যাল কর্ড কাটার পরে নাভির জায়গাটি যেন শুকনো থাকে দেখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে নাভিতে ড্রপ বা পাউডার দিতে পারেন, যাতে জায়গাটি শুকিয়ে যায়। অনেক অভিভাবকই বাচ্চাকে কতক্ষণ ডায়পার পরাবেন, কখন বদলাবেন— এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। চিকিৎসকেরা কিন্তু ঘরোয়া ন্যাপির পরামর্শ দিচ্ছেন। ডায়পার থেকে র‌্যাশও হতে পারে। ডাক্তার অপূর্ব ঘোষের কথায়, ‘‘আমি ডায়পারের পক্ষপাতী নই। তাতে বিছানা বাঁচতে পারে, বাচ্চা নয়। ডায়পার পরে সে তো ইউরিন, স্টুলের মধ্যেই রইল। শিশুদের ডায়পার ডার্মেটাইটিস সাধারণ সমস্যা।’’

সাবধানে স্নান

সদ্যোজাতকে স্নান নয়, স্পাঞ্জিংয়ের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বাইরের তাপমাত্রা বুঝে ঠান্ডা-গরম জল মিশিয়ে শিশুকে স্পাঞ্জ করান। সদ্য জন্মানো শিশুর গায়ে সাদা আস্তরণ থাকে। তা সময়ের সঙ্গে এমনিই উঠে যাবে। জোর করে তোলার দরকার নেই। রোজ একটি নির্দিষ্ট সময়েই শিশুকে স্নান করাবেন। স্নানের সময়ে সাবান দিতে বাধা নেই। তবে অনেক চিকিৎসকই প্রথম এক মাস শিশুকে জল দিয়েই স্পাঞ্জ করাতে বলেন।

একদম ছোট শিশুকে তেল মাখানো নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকেই শিশুর হাড় মজবুত করার জন্য তেল মাখিয়ে রোদে রাখতে বলেন। ড. ঘোষের কথায়, ‘‘তেল মাখালে আলাদা করে কিছু লাভ হয় না। টাচ থেরাপি কাজে দেয়, এটুকুই।’’ অধিকাংশ শিশু চিকিৎসকই প্রথম তিন মাস শিশুদের কিছু মাখাতে নিষেধ করেন। মাসাজ করারও প্রয়োজন নেই। কারণ এই সময়ে বাচ্চাদের হাড় খুব নরম থাকে। হাতের আলতো চাপেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কিছু অসুখ এবং ভ্যাকসিন

সদ্যোজাতদের জন্ডিস হওয়ার প্রবণতা থাকে। শিশু ও মায়ের ব্লাড গ্রুপের সঙ্গে এই জন্ডিসের সম্পর্ক রয়েছে। হাসপাতালেই শিশুর বিলিরুবিনের মাত্রা দেখে নেওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে আসার পরেও জন্ডিসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে। সে রকম কিছু বুঝলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

বাচ্চার জন্মের চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই থাইরয়েড চেক করিয়ে নিতে হবে। থাইরয়েড ধরা পড়তে দেরি হলে, বাচ্চার ব্রেন ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। জন্মের পরে যত দ্রুত সম্ভব বিসিজি, পোলিও এবং হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন শিশুকে দিতে হবে। এ বিষয়গুলি বাবা-মায়েরও খেয়াল রাখা জরুরি।

পারলে শিশুর চোখ, কান, নাক ঠিক আছে কি না, সেই পরীক্ষাও করিয়ে নিতে পারেন। অনেক সেন্টারে মেটাবলিক টেস্টও করিয়ে নেওয়া যায়। তবে এগুলো সবটাই নির্ভর করে অভিভাবকের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপরে।

শিশুদের পেটে ব্যথা হওয়াও আশ্চর্যের নয়। এতে ঘাবড়াবেন না। ডাক্তারের নির্দেশ মতো পেটে ব্যথার ওষুধ দিয়ে দেবেন। সর্দি হলে এত ছোট বাচ্চাকে কোনও ওষুধ দেওয়া উচিত নয়। নাক বন্ধ হলে বড় জোর স্যালাইন ড্রপ দিতে পারেন।

কিছু মিথ এবং বাস্তব

• শিশুকে রোদে রাখা নিয়ে একাধিক মত রয়েছে। রোদ থেকে যে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়, তা হাড়ের জন্য ভাল। অবশ্য বর্তমানে দূষণ যে হারে বেড়েছে, তাতে সদ্যোজাতকে রোদের মধ্যে রেখে দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই চিকিৎসকেরা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ভিটামিন ডি প্রেসক্রাইব করে থাকেন।

• যাঁরা প্রথম বার মা হচ্ছেন, তাঁরা বাচ্চাকে ঘুম পাড়াতে একটু সমস্যায় পড়েন। কখনওই বাচ্চাকে ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম পাড়াবেন না। খাওয়ানোর পরে বাচ্চাকে ডান-বাঁ যে কোনও দিকেই শোয়াতে পারেন। অনেক শিশুর দুধ তোলার প্রবণতা থাকে। সে ক্ষেত্রে বালিশে একটু উঁচু করে শোয়ানো যেতে পারে।

• শিশুদের সর্ষে-বালিশে শোয়ানোর প্রথা রয়েছে। এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করছে। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। শুধু খেয়াল রাখবেন, শোয়ানোর সময়ে বাচ্চার মাথা যেন একটু উঁচুতে থাকে। আর মাঝেমধ্যে অবস্থান বদলে দেবেন।

• সদ্যোজাতদের শরীরে অতিরিক্ত জলের প্রয়োজন নেই। শিশু মায়ের দুধ খেলে তো বটেই, যারা বাইরের দুধ খায়, তাদেরও দরকার পড়ে না।

বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

এই সময়ে ঘামাচি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

 

গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া স্বাভাবিক। ঘামে শরীরের দূষিত পদার্থও থাকে। তাই ঘামে মিশে থাকা লবণের কারণে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে সেই অংশ দিয়ে ঘাম বের হতে পারে না।

আর তখনই ওই স্থানগুলো ফুলে ওঠে। বিভিন্ন চর্মরোগ যেমন ঘামাচি, র‌্যাশ, চুলকানির সৃষ্টি হয়। গরমে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় সবাই ভুগে থাকেন, সেটি হলো ঘামাচি। ছোট-বড় সবাই এ সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন।

ঘামাচি কতটা বিরক্তিকর তা সবারই জানা আছে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কিছু নিয়ম মেনে চললে ঘামাচি হবে না। তাই ঘামাচি হওয়ার আগে এখন থেকেই এসব বিষয় মেনে চলুন।

> ঘাম হলেই কিছুক্ষণ পরপর শরীর মুছে ফেলুন। তবে ঘাম মোছার সময় অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মুছবেন না। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘাম মুছবেন।

> দিনে অন্তত দুইবার গোসল করুন। ক্ষারযু্ক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ঘামাচি হলে শরীর বেশি ঘঁষবেন না।

> গোসলের পানিতে অ্যান্টিসেপ্টিক ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও পানিতে লেবুর রস, নিম পাতার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বকে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারবে না।

> গরমে হালকা রঙের পোশাক পরুন। এতে গরম কম লাগবে। খোলামেলা পোশাক পরুন এবং টাইট পোশাক এড়িয়ে চলুন।

> ঘামাচি হলে একদম চুলকাবেন না। অ্যালোভেরার রস, নিম পাতার রস, পাতি লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে ঘামাচির স্থানে ব্যবহার করুন।

> ঘামাচি হলেই অনেকে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করেন। এতে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়।

> গরমে যেহেতু বেশি ঘাম হয়ে থাকে; তাই এ সময় প্রচুর পানি পান করতে হবে।

> বিভিন্ন ফলের রস ও শাক-সবজি খাবারের তালিকায় রাখুন। তাহলে সব ধরনের চর্মরোগ থেকেই ত্বক বাঁচবে।

মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১

প্রচন্ড গরমে সুস্থতা | ১৪টি টিপস মেনে ফিট থাকুন গ্রীষ্মকালে


প্রচন্ড গরমে সুস্থতা বজায় রাখতে টিপস

১. প্রচুর পানি পান করুন

এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে প্রচুর পরিমাণের পানি পান করুন। পানির কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন ঘামের সাথে প্রচুর পানি ও লবণ আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়। আর তাই প্রতিদিন ৬ লিটার পানি অবশ্যই পান করুন।

৩. প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন সবজি

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে সবজি রাখুন এবং তরকারিতে ঝোল রাখুন। এসময় যতটা সম্ভব কষা রান্না পরিহার করুন। শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয় বলে ঝোল জাতীয় খাবার থাকা খুবই দরকার।

৪. মাংস খাওয়া পরিহার করতে হবে

অতিরিক্ত মাংস খাওয়া শরীরের জন্য এমনিতেই ক্ষতিকর। প্রতিদিন মাংস গ্রহণ শরীরে জন্ম দেয় নানা রোগের। আমাদের শরীরের বেশিরভাগ রোগের অন্যতম কারণ প্রতিদিন মাংস খাওয়া। তাই প্রচন্ড গরমে সুস্থতা বজায় রাখতে নিজের এবং পরিবারের মাংস খাওয়া পরিহার করুন।

৫. কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করুন

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার আমাদের শরীরকে স্থূলকায় করে তোলে। জানলে অবাক হবেন ডায়াবেটিস-এর মতো ভয়াবহ রোগের অন্যতম কারণ এই অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহণ। তাই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারকে না বলুন। না, একেবারে না নয় কিন্তু! পরিমাণ মতো খান ও  সুস্থ থাকুন অনেক দিন।

৬. চা, কফি পরিহার করুন

চা, কফিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে নিকোটিন। যা শরীরকে করে তোলে শুষ্ক। যেহেতু গ্রীষ্মকালে আমরা প্রচুর ঘামি, সেহেতু শরীরের থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পানি। তাই চা, কফি পান যথা সম্ভব কমিয়ে দিন।  আর  হলে গরমের সময় পান করা থেকে বিরত থাকুন।

৭. লেবু, বেলের শরবত ও ডাবের পানি করুন

গরমে নিয়মিত পান করুন লেবুর শরবত কিংবা বেলের শরবত। সম্ভব হলে ডাবের পানি পান করুন। লেবুতে আছে ভিটামিন সি।বেলে আছে ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা। ডাবের পানিতে আছে আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রণ ইত্যাদি। এ জাতীয় পানীয় শরীরকে করবে সতেজ ও ঠান্ডা এবং শরীরে ভিটামিন, আয়োডিন-এর অভাব দূর করে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৮. ট্যাং ও এই জাতীয় পানীয় একদম না

ট্যাং এবং এই জাতীয় কোমল পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য অন্যন্ত ক্ষতিকর। বিক্রি বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞাপনে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান দেখালেও আসলে এর কিছুই এর মধ্যে উপস্থিত থাকে না। যে সকল উপাদান দিয়ে এসকল পণ্য উৎপাদন করা হয় তার সবই মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

৯. ছাতা ব্যবহার করুন

বাহিরে বেড়োবার সময় অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। স্কিন ক্যান্সার-এর অন্যতম কারণ এই অতি বেগুনি রশ্মি। এছাড়াও অতিরিক্ত তাপমাত্রার জন্য অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এমনকি হিট স্ট্রোকও হয়ে থাকে। তাই ব্যবহার করুন ছাতা।

১০. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

প্রতিদিন ও নিয়মিত ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন এবং অবশ্যই তা হতে হবে ভালো কোন ব্যান্ড-এর। কমদামি, সস্তা সানস্ক্রিন লাভের বদলে মারাত্মক ক্ষতি করবে আপনার ত্বকের। যে ক্ষতি অনেক সময় পূরণ করা প্রায় অসম্ভব।

১১. হালকা ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন সকালে হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম দেহ ও মনের উৎকর্ষতা সাধন করে। দেহ ও মনকে সতেজ রাখে, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে,  শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে,  হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

১২. ব্যাগে রাখুন পানির বোতল

বাহিরে যাবার সময় অবশ্যই ব্যাগে রাখুন পানির বোতল। অনেক সময় অনেক জায়গায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দেয়। তাই সব সময় নিজের সাথে রাখুন নিরাপদ পানি।

১৩. রোদ চশমা ব্যবহার করুন

ধূলাবালি ও রোদ থেকে বাঁচতে বাহিরে  যাওয়ার সময় ব্যবহার করুন রোদ চশমা বা সানগ্লাস।

১৪. হালকা রঙের সুতি ও ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আরামদায়ক পোশাক পরিধান করা। এই গরমে পরিধান করুন সুতি জাতীয় কাপড়ের পোশাক এবং পোশাকটি ঢিলেঢালা পরিধান করার চেষ্টা করুন, কেননা আঁটসাঁট বা গাঁয়ের সাথে লেগে থাকা পোশাকে গরম বেশি অনুভূত হয়।গাঢ় রঙ সূর্যের তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গাঢ় রঙের পোশাকে গরম বেশি লাগে এবং বেশি ঘাম হয়। ফলে শরীর থেকে বেশি পানি বের হয়ে যায়। তাই এই প্রচন্ড গরমে সুস্থতা বজায় রাখতে ব্যবহার করুন হালকা রঙের পোশাক।

সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললে নিজে যেমন সুস্থ থাকা যায় ঠিক তেমনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও সুস্থ্য রাখা সম্ভব। তাই এই প্রচন্ড গরমে সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। স্বাস্থ্যসম্মত, সুস্থ, সুন্দর ও সুখী জীবন আমাদের সকলের একান্ত কাম্য। নিজে ভালো থাকুন এবং নিজের পরিবারকে ভালো রাখুন।

রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১

কিশোরীর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার

 

বয়ঃসন্ধিতে যথেষ্ট আয়রনযুক্ত (লৌহ) খাবার না খেলে মেয়েদের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
বয়ঃসন্ধিতে যথেষ্ট আয়রনযুক্ত (লৌহ) খাবার না খেলে মেয়েদের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

৮ থেকে ৯ বছর বয়স থেকে শুরু হয় বয়ঃসন্ধি। ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত একজন কিশোরী বা টিনএজ মেয়ে শরীরে-মনে নানাভাবে বাড়তে থাকে। নানা রকমের হরমোনজনিত পরিবর্তন ঘটে তার শরীরে। এই সময় চাই একটি সুষম বা সঠিক পুষ্টি। সঠিক ধারণার অভাবে এ সময় কারও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, কেউ আবার হঠাৎ মোটা হয়ে যেতে থাকে, কারও দেখা দেয় রক্তশূন্যতা, ভিটামিনের অভাব। তাই কিশোরীর পুষ্টি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা চাই।

প্রথমত, বয়ঃসন্ধিতে মেয়েদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মেনার্কি বা রজঃস্বলা হওয়া। এ সময় যথেষ্ট আয়রনযুক্ত (লৌহ) খাবার না খেলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। মাসিকের দিনগুলোতে প্রতিদিন একটি মেয়ের এক মিলিগ্রাম করে আয়রন চলে যায়। তাই বাড়ির ছেলেটির চেয়ে মেয়েটির আয়রনযুক্ত খাবারের চাহিদা বেশি। ছেলেদের আয়রনের দৈনিক চাহিদা ১১ মিলিগ্রাম, মেয়েদের প্রায় ১৫ মিলিগ্রামের বেশি। এই বাড়তি আয়রন পেতে আপনার মেয়েকে নিয়মিত সবুজ শাক, বিশেষ করে কচু, কচুশাক, মাংস, কলিজা, ডিম, নানা ধরনের ফল, বিশেষ করে বেদানা, আনার, খেজুর, সফেদা, কিশমিশ ইত্যাদি খেতে দিন।

দ্বিতীয়ত, শারীরিক বৃদ্ধির জন্য এবং মজবুত হাড়ের জন্য টিনএজারদের প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি চাই। বয়স বাড়লে পুরুষদের তুলনায় নারীদের অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি। কেননা একজন নারীকে সন্তান ধারণ করতে হয়, বুকের দুধ খাওয়াতে হয় যখন প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়ামের দরকার হয়। তা ছাড়া হাড়ের সর্বোচ্চ ঘনত্ব তৈরি হয়ে যায় ১৮ থেকে ২১ বছরের আগেই, এরপর তা আর বাড়ে না। তাই মজবুত হাড়ের জন্য খেতে হবে দুধ, দুগ্ধজাত খাবার যেমন: দই, পনির, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, পাতাওয়ালা সবুজ সবজি ইত্যাদি।

তৃতীয়ত, সঠিক বেড়ে ওঠা ও পেশির বৃদ্ধির জন্য ৯ থেকে ১৩ বছর বয়সী মেয়ের দৈনিক ৩৪ গ্রাম আমিষ খাওয়া উচিত, আর ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সে দৈনিক ৪৫ গ্রাম। তাই প্রতিদিনি মাছ বা মাংস, ডিম, দুধ, বীজ ও ডালজাতীয় খাবার, নানা ধরনের বাদাম দিন মেয়েকে। যারা একটু খেলাধুলা করে, তাদের আমিষের চাহিদা আরও বেশি। এর বাইরে টিনএজ মেয়েদের আয়োডিন, জিঙ্ক ও ফলেট-জাতীয় খনিজের চাহিদা বেশি। তাই খেতে হবে সামুদ্রিক মাছ, সবুজ শাকসবজি ও ফল।

চতুর্থত, এই বয়সে হঠাৎ মুটিয়ে গেলে নানা ধরনের হরমোনজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়ে, মুখে লোম গজায়। তাই অতিরিক্ত ক্যালরি-সম্পন্ন খাবার যেমন: ভাজাপোড়া, মিষ্টান্ন, কেক পেস্ট্রি, ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয় ইত্যাদি কম খাওয়াই ভালো। আজকাল অনেক কিশোরী আবার স্লিম হওয়ার জন্য ক্রাশ ডায়েট করে, যা খুবই ক্ষতিকর।

শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১

মৃত্যুর কারণ হতে পারে কামরাঙ্গা !


মৃত্যুর কারণ হতে পারে কামরাঙ্গা !
আমাদের দেশে টক জাতীয় কিছু ফলের মধ্যে কামরাঙ্গা অন্যতম। এই ফলে আছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, সুগার (কম পরিমাণে) সোডিয়াম, এসিড ইত্যাদি। এর বৈজ্ঞানিক নাম Carambola, এবং এই ফলটি বিশেষ করে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা অঞ্চলের একধরণের স্থানীয় প্রজাতির উদ্ভিদের ফল ও এই ফল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-প্রশান্ত এবং পূর্ব-এশিয়া অংশে খুব জনপ্রিয়।
 
কিন্তু কামরাঙ্গাতে আছে এমন একটি উপাদান যা মানবদেহের মস্তিষ্কের জন্য বিষ। সাধারণ মানুষেরা কামরাঙ্গা খেলে, কিডনি তা শরীর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু কিডনি রোগীর দুর্বল কিডনি শরীর থেকে এই বিষ বের করে দিতে সক্ষম নয়। এর ফলে তা রক্ত থেকে আস্তে আস্তে দেহের মস্তিষ্কে প্রবেশ করে এবং বিষক্রিয়াও ঘটাতে পারে।
 
এই সমস্যার লক্ষণগুলো হল-
 
১। ক্রমাগত হেঁচকি দেয়া
 
২। দেহ দুর্বল হয়ে যাওয়া
 
৩। মাথা ঘোরানো
 
৪। বমি বমি ভাব
 
৫। মাথা কাজ না করা
 
৬। দেহে মৃগী রোগীর মত কাঁপুনি উঠা
 
৭। কোমায় চলে যাওয়া ও শেষ পর্যন্ত মৃত্যু
 
কামরাঙ্গা খাওয়ার পর কিডনী রোগীর মধ্যে এই ধরণের লক্ষন গুলো দেখা দিলে দ্রুত তার hemodialysis এর ব্যবস্থা নিতে হবে।
 
বহুবছর আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা জানতেন যে, কামরাঙ্গাতে এমন একটি উপাদান আছে যা কিডনি রোগীর জন্য খুব ক্ষতিকর। কিন্তু কোন বিজ্ঞানীই এই ক্ষতিকর উপাদানটি বের করতে পারেননি। সম্প্রতি University of Sao Paulo (Brazil) এর একদল বিজ্ঞানী এই ক্ষতিকর উপাদানটি বের করতে সক্ষম হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা কামরাঙ্গার এই ক্ষতিকর উপদানটির না দিয়েছেন caramboxin, ও কামরাঙ্গার বৈজ্ঞানিক নাম Carambola হতেই এই ক্ষতিকর উপাদানটির নামকরণ করা হয়েছে।
 
শুধু যে অপকারিতা আছে টা নয় । এবার জেনে নিন এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কেঃ
 
প্রতি একশ গ্রাম কামরাঙ্গায় শক্তি মেলে ৩১ কিলোক্যালরি। শর্করা ৬.৭৩ গ্রাম, চিনি ৩.৯৮ গ্রাম, খাদ্য ফাইবার ২.৮ গ্রাম, স্নেহ ০.৩৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.০৪ গ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ০.৩৯ মিলিগ্রাম, ফোলেট (বি৯) ১২ μg, ভিটামিন সি ৩৪.৪ মিলিগ্রাম ছাড়াও কামরাঙ্গায় পাওয়া যাবে ভিটামিন এ, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও দস্তা।
 
ওষুধি গুণ
 
কামরাঙ্গার ঔষধিগুণও বিস্ময়কর। সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকায় কামরাঙ্গা রাখতে পারেন প্রতিদিন। তার আগে জেনে নিন কামরাঙ্গার ঔষধিগুণ
 
অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
 
কামরাঙ্গা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়। পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খুব উপকারী। কামরাঙ্গায় আছে এলজিক এসিড। এটি অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
 
রক্ত পরিষ্কারক
কামরাঙ্গা রক্ত পরিশোধন করে। কামরাঙ্গার পাতা ও কচি ফলে আছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
 
সর্দিকাশিতে উপকারী
কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। দীর্ঘদিনের জমাট সর্দি বের করে দিয়ে কাশি উপশম করে। শুকনো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুব উপকারী।
 
কৃমিনাশক
কামরাঙ্গা পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়। কৃমির সমস্যা সমাধানে কামরাঙ্গা ফলও উপকারী। কামরাঙ্গার রসের সঙ্গে নিমপাতা মিশিয়ে খেলে কৃমি দূর হয়।
 
অর্শ রোগে উপকারী
দুই গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়। আর বাতের ব্যথায়ও কামরাঙ্গা বেশ উপকারী।

শীত-গ্রীষ্মে সানস্ক্রিন



শীত-গ্রীষ্মে সানস্ক্রিন

সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি বা আলট্রাভায়োলেট রে আমাদের ত্বকের নানা সমস্যার কারণ। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা-ঋতু যাই হোক না কেন, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি সব ঋতুতেই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এই ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব সময় রোদে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পূর্বে সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা নিরাপদ। অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায় খুব দ্রুত। এছাড়া মেছতা, ফ্রিকেলসসহ বিভিন্ন পিগমেনটারি ডিজঅর্ডার দেখা দেয়।
 
তাছাড়া অতিরিক্ত সূর্য রশ্মির প্রভাবে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। তাই প্রতিদিনের প্রসাধনী সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম প্রয়োজনীয় প্রসাধনী হওয়া উচিত সানস্ক্রিন। সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর বা এসপিএফ দেখে ব্যবহার করা উচিত। সাধারণত এসপিএফ ১৫ কিংবা ৩০ মানের সানস্ক্রিনগুলো প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য উপযোগী। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অয়েল বেসড সানস্ক্রিনের পরিবর্তে ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করাই উত্তম। যে সানস্ক্রিনে যত বেশি এসপিএফ থাকে তাতে তত বেশি সান প্রটেকশন দেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে।
 
রোদে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এতে সানস্ক্রিন ত্বকের সাথে ভালো ভাবে মিশে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির রাসায়নিক উপাদান থেকে ত্বককে রক্ষা করে। প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। মেঘলা বা কুয়াশাচ্ছন্ন দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ঠোঁটের জন্য সানস্ক্রিন যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।

বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১

বাড়িতে করা ফেসিয়ালের সঙ্গে পার্লারে করা ফেসিয়ালের কি কোনও তফাত আছে?


ঘরোয়া ফেসিয়াল বনাম পার্লারে ফেসিয়াল

আজকের দ্রুতগতির জীবনে সবচেয়ে বড়ো অভাব সময়ের। অনেক খেটেখুটে জোটানো অবসর সময়টুকু তাই পার্লার বা সালোনে গিয়ে খরচ করে ফেলতে ভালোবাসেন না অনেক মেয়ে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ফেসিয়ালটা তাই বাড়িতেই করে নিতে ভালোবাসেন তাঁরা। তাতে একদিকে যেমন সময় বাঁচে, অন্যদিকে টাকাপয়সারও সাশ্রয় হয়। বাড়িতে ফেসিয়াল করার জন্য নানারকম ফেসপ্যাক দোকানে রেডিমেড কিনতে পাওয়া যায়, নানা প্রাকৃতিক সামগ্রী মিশিয়ে বাড়িতেও প্যাক তৈরি করে নেন অনেকে। কিন্তু বাড়িতে করা ফেসিয়াল আর পার্লারে করা ফেসিয়ালের মধ্যে কি গুণগত পার্থক্য আছে? বাড়ির ফেসিয়াল কতদিন অন্তর করা উচিত? এমন নানা প্রশ্ন মাথায় আসা খুব স্বাভাবিক। তেমনই কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলাম আমরা।

ঘরোয়া ফেসিয়াল কতদিন পর পর করবেন?
এটা নির্ভর করছে আপনি স্ক্রাব বা মাস্কে কী কী উপাদান ব্যবহার করছেন, তার উপর। উপাদান যদি ত্বকের পক্ষে কড়া হয় (যেমন গুঁড়ো কফি), তবে দু’ সপ্তাহে একবারের বেশি করা উচিত নয়। উপাদান কোমল হলে সপ্তাহে দু’বারও করতে পারেন। পাশাপাশি ত্বকের অবস্থার দিকেও নজর দিতে হবে। মুখে ব্রণর আধিক্য থাকলে আগে ব্রণ সারানোর দিকেই মনোযোগ দিন।

মুখে ব্রণ আছে। কী ধরনের মাস্ক বা স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত?
খুব বেশি ব্রণ হলে, ব্রণ পেকে পুঁজ হয়ে গেলে দেরি না করে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ত্বক অপরিষ্কার থাকলে যেমন ব্রণ হয়, তেমনি হরমোনের ওঠাপড়ার কারণে বা বংশগত কারণেও ব্রণ বেরোতে পারে। তাই আগে থেকে ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া ভালো। অল্পস্বল্প ব্রণর সমস্যায় ব্যবহার করতে পারেন টি ট্রি অয়েল। ব্রণর উপরে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে দেখবেন ব্রণর আকার-আয়তন অনেকটাই কমে গেছে।

বাড়িতে করা ফেসিয়াল আর পার্লারের ফেসিয়ালের মধ্যে কি তফাৎ আছে?
এক কথায় উত্তর হল, না। তবে ঘরোয়া ফেসিয়ালে সব কিছু নিজেকেই করে নিতে হবে, পার্লারে ফেসিয়াল করানোর আরামটা পাবেন না। অন্যদিকে যেহেতু আপনি নিজেই নিজের ফেসিয়াল করছেন, তাই একেবারে খাঁটি উপাদান দিয়ে প্যাক বানিয়ে নিতে পারবেন। আপনি কোনটায় বেশি স্বচ্ছন্দ আর কতটা খরচ করতে পারবেন, তার উপরে নির্ভর করছে ফেসিয়ালটা পার্লারে করবেন,নাকি বাড়িতে।

বাড়িতে ফেসিয়াল করার সময় কি কোনও যন্ত্র ব্যবহার করা যায়?
পার্লারে ফেসিয়াল করানোর সময় নানাধরনের স্বয়ংক্রিয় ব্রাশ বা মাসাজারের সাহায্য নেন বিউটিশিয়ানরা। এ সব জিনিস কিনতে পাওয়া যায়, আপনিও কিনে ফেলতে পারেন সহজেই। তবে কেনার আগে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখা দরকার। প্রথমত, যে সব ব্রাশ কিনছেন, তার ব্রিসলস কতটা নরম সেটা অবশ্যই দেখে নেবেন। ব্রিসলসগুলো কতটা দ্রুত গতিতে ঘুরছে সেটাও দেখতে হবে। কারণ মুখের ত্বক অত্যন্ত নরম আর স্পর্শকাতর, ব্রিসলসের নরমভাব বা গতির সামান্য এ দিক ও দিক হলেই বিশ্রীভাবে মুখ ছড়ে যেতে পারে। তাই যন্ত্র ব্যবহার অত্যন্ত সাবধানে করবেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন।