শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০

তৈলাক্ত ত্বকে দীর্ঘক্ষণ মেকআপ ধরে রাখার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের নারীরা সবসময়েই বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যায় পড়ে থাকেন তা হচ্ছে ত্বকে মেকআপ ধরে রাখার সমস্যা। শীত হোক গরম হোক সামান্যতেই ত্বকের মেকআপ গলে যাওয়ার সমস্যায় পড়েন তৈলাক্ত ত্বকের নারীরা। কারণ কিছুসময় পার হলেই ত্বকের অতিরিক্ত তেলের কারণে মেকাআপ গলতে থাকে। বিশেষ করে গরমকালে এই সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়। কিন্তু পার্টিতে গেলে একটু বেশি সময় ত্বকে মেকআপ তো থাকাই লাগে। তখনই মূল সমস্যা শুরু হয়। তবে চিন্তা করার কিছু নেই। এই সমস্যারও রয়েছে দারুণ কিছু সমাধান। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক তৈলাক্ত ত্বকে কি করে দীর্ঘক্ষণ মেকআপ ধরে রাখবেন।

১) প্রথমেই প্রাইমার ব্যবহার করুন
লস-অ্যাঞ্জেলসের মেকআপ আর্টিস্ট এমিলি ওয়ারেন বলেন, ‘তৈলাক্ত ত্বকে মেকআপ ধরে রাখতে প্রথমেই প্রাইমার ব্যবহার করে নেয়া উচিত। কপাল, নাক ও গালে অর্থাৎ মুখের ‘T’ জোনে ওয়াটার প্রুফ, অ্যান্টি-শাইনিং প্রাইমার ব্যবহার করুন’। প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে প্রাইমার ব্যবহার করুন এবং এরপর অন্যান্য মেকআপ করুন।

২) অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার করবেন না
অনেকের মতে পাউডার ব্যবহার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো, কারণ পাউডার ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নেবে। কিন্তু সমস্যা এখানেই। অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার করলে পাউডার বাড়তি তেল শুষে নিয়ে মুখের ভাঁজগুলোতে মেকআপ ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করবে। তাই মুখে অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার না করলেই বেশ খানিকটা সময় ত্বকে মেকআপ ধরে রাখতে পারবেন।

৩) ব্লটিং পেপার সাথে রাখুন
টিস্যু নয় ব্লটিং পেপার সাথে রাখুন। ব্লটিং পেপারের দ্রুত বাড়তি তেল ও ঘাম শুষে নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। যখনই মনে হবে ত্বক ঘেমে যাচ্ছে তখনই ত্বকে ব্লটিং পেপার চেপে ধরে বাড়তি তেল ও ঘাম শুষে নিন। মনে রাখবেন ব্লটিং পেপার ত্বকের ঘষতে যাবেন না, এতে মেকাআপ উঠে যাবে। শুধু চেপে ধরে তেল ও ঘাম শুষে নিন। এতে অনেকটা সময় মেকআপ নষ্ট হবে না।
৪) অয়েল ফ্রি মেকাআপ
একটু বেশি টাকা খরচ করে মেকআপের সরঞ্জাম অয়েল ফ্রি কিনে ফেলুন। প্রাইমার থেকে শুরু করে শ্যাডো পর্যন্ত সব কিছুই অয়েল ফ্রি কিনুন। এতে করে ত্বকে মেকাআপ ধরে রাখতে সমস্যা হবে না।

৫) অরিতিক্ত তৈলাক্ত ত্বক দূর করুন
সপ্তাহে অন্তত ২ দিন ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করতে মাস্ক ব্যবহার করুন। শসা, লেবু, চন্দন বা মুলতানি মাটির ঘরোয়া ফেসমাস্ক নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তৈলাক্ততা অনায়েসেই দূর করে নিতে পারেন। এতে মেকআপের এই সমস্যায় পড়তে হবে না।

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০

ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর যেভাবে করবেন

ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর কি ও কিভাবে করবেন?
প্রথমে রিমুভার দিয়ে নখের পুরোনো নেইল পলিশ তুলে ফেলুন। এবার কিউটিক্যাল অয়েল লাগিয়ে নিন নখের চামড়া বা কিউটিক্যালের উপর। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন, যাতে চামড়া কিছুটা নরম হয়। এবার হালকা হাতে নখের ওপর তেলটা একটু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে নিন। তারপর একটি কিউটিক্যাল পুশার দিয়ে আস্তে আস্তে কিউটিক্যাল পিছনের দিকে পুশ করুন। কিউটিক্যাল পুশারের অপর প্রান্ত দিয়ে নখে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন।

এবার নেইল কাটার এবং ফাইলার দিয়ে নখকে দিন আপনার পছন্দ অনুযায়ী আকার।
এবার চলে আসি মূল প্রসঙ্গে।
প্রথমেই আপনার কয়েক ধরনের নেইলপলিশ দরকার। কয়েক ধরনের বলতে তিন রঙের ওয়াটার কালার, পিঙ্ক বা বেইজ এবং ঝকঝকে উজ্জ্বল সাদা রঙ। এক নজরে দেখে নিন সেই রঙ গুলো।

স্বচ্ছ নেইল পলিশ লাগিয়ে নিন প্রথমে নখে। তাতে নখ ভালো থাকবে এবং যেকোনো রঙের নেইল পলিশ ব্যবহার করা হলে কেমিক্যাল থেকে সৃষ্ট হলুদ ছাপ নখে পড়া থেকে বিরত রাখবে। ক্লিয়ার কালারের নেইল পলিশটি শুকিয়ে গেলে এর উপর হালকা গোলাপি বা বেইজ রঙের নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর আরেক কোট নেইলপলিশ লাগান।

এরপর নেইল পলিশ শুকিয়ে যাওয়ার পর নখের সামনের দিকে অর্থাৎ আপনার নখের ওপর যেটুকু অংশ আপনি সাদা রাখতে চান,সেটি বাদে বাকি অংশে নেইল গাইড লাগিয়ে নিন ঠিক ছবিটির মত করে। এবার বাড়তি নখের উপর উজ্জ্বল সাদা রঙের নেইল পলিশ লাগিয়ে দিন। যেকোনো দোকানে আপনি এই স্টিকারগুলো কিনতে পারেন। এ ছাড়া স্টিকার ব্যবহার না করে সাবধানেও নেইল পলিশ দিয়ে নখের ওপরের অংশটি সাদা করে নিতে পারেন।

কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন এবার নেইল গাইডটি তুলে ফেলুন। ভালো করে নেইলপলিশ শুকালে এবার পুরো নখে স্বচ্ছ কালারের নেইল পলিশ লাগিয়ে নিন। এভাবেই হয়ে গেল আপনার ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর।
ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরের পরিচ্ছন্নতা, হালকা ভাব এবং একই সঙ্গে ফ্যাশনেবল ভাবের জন্য খুবই জনপ্রিয়। তবে বর্তমানে ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরের ধরনেও এসেছে বৈচিত্র্য। আজকাল ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরের সাদা রঙের বদলেও এসেছে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার। লাল, কালো বা ছাই রং অথবা আপনার পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারেন যেকোনো রং।  ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর অনেক দিন ধরে রাখতে কয়েক দিন পর পর ওপরের নেইল পলিশের কোটটি লাগিয়ে নিন।

সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০

ঘাড়ের কালো দাগ দূর করার ৪টি সহজ উপায়


মুখ সুন্দর থাকলেও অনেকের ঘাড়ে কালো কালো দাগ দেখা যায়। এতে সৌন্দর্যহানি ঘটে। ঘাড়ের কালো দাগ নিয়ে অনেকেই বেশ অস্বস্তিতে থাকেন এ জন্য।
 
তবে আপনি কি জানেন, লেবু ব্যবহার করে ঘাড়ের এই কালো দাগ দূর করা সম্ভব? জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে ঘাড়ের কালো দাগ দূর করতে লেবুর পাঁচটি ব্যবহারের কথা। লেবু ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। তাই এর মধ্য থেকে যেকোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে ঘাড়ের কালো দাগ দূর করুন।

১. লেবু ও গোলাপজল
এক টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ গোলাপজল মেশান। একে ভালোভাবে মেশান। একটি তুলার বলে মিশ্রণটি মেখে ঘাড়ের কালো অংশে ঘষুন। সারা রাত এভাবে রেখে দিন। পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি সব ধরনের ত্বকের সঙ্গেই মানাবে।


২. লেবু ও মধু
মধু ও লেবু ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় সমাধান হিসেবে ব্যবহার করা যায়। লেবুর রসের মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। একে ভালোভাবে মেশান। এর পর ঘাড়ে মাখুন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে দিন। এর পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি ত্বককে উজ্জ্বল করবে।
৩. লেবু ও হলুদের গুঁড়া
লেবুর রসের মধ্যে কয়েক ফোঁটা হলুদের গুঁড়া মেশান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধীরে ধীরে ঘাড়ের কালো অংশে লাগান। নিয়মিত এই পদ্ধতি মেনে চলুন। একপর্যায়ে ঘাড়ের কালো দাগ দূর হবে।

৪. লেবু ও টমেটো
টমেটোর পিউরি বা ভর্তা লেবুর রসের সঙ্গে মেশান। ঘাড়ের কালো অংশে এটি মেখে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট রাখুন। দিনে দুবার পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন। ঘাড়ের কালো দাগ দূর হবে।

৫. লেবু, জলপাইয়ের তেল ও মধু
এই তিন উপাদান মৃত কোষ দূর করতে খুব ভালোভাবে কাজ করে। এক টেবিল চামচ কাঁচা মধুর মধ্যে জলপাইয়ের তেল মেশান। এর মধ্যে লেবুর রস নিন। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট ঘাড়ে ম্যাসাজ করুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০

জেনে নিন পার্ল ফেসিয়াল করার নিয়ম

পার্ল ফেসিয়াল বর্তমানে বহুল আলোচিত। সব মেয়ের মুখেই শোনা যায় এই পার্ল ফেসিয়ালের কথা। এই ফেসিয়াল এখন গোল্ড ফেসিয়াল বা ফ্রুট ফেসিয়ালের মতই জনপ্রিয়। পার্ল ফেসিয়াল করতে হলে সব সময় যে পার্লারে যেতে হবে তা নয়। ঘরে বসেই আপনি করতে পারেন এই পার্ল ফেসিয়াল আর আনতে পারেন আপনার চেহারায় এক অপরূপ লাবণ্য।

তাহলে জেনে নিন আমাদের দেওয়া পার্ল ফেসিয়াল করার নিয়ম…

পার্ল ফেসিয়ালের কিছু উপকারীতা

• এটি ত্বক করে তোলে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত
• বয়সের ছাপ দূর করে
• ত্বক করে তোলে কোমল ও স্নিগ্ধ

পার্ল ফেসিয়ালের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ :

• পার্ল ক্রিম
• পার্ল পাউডার
• ফ্রেশ ক্রিম
• ক্লিঞ্জার
• দুধ
• পানি / গোলাপজল
• তেল ( শুষ্ক ত্বকের জন্য অলিভওয়েল ভালো )
• মধু
• ডিম
• লেবুররস
• টোনার

পদ্ধতি :

• পার্ল ফেসিয়াল করতে হলে প্রথমেই আপনাকে যেটা করতে হবে তাহল খুব ভালো ও উন্নতমানের পার্ল পাউডার ও পার্ল ক্রিম কেনা। এই দুটি প্রসাধনী আপনি মার্কেট থেকে কিনে নেবেন।

• এখন আপনার মুখমণ্ডল ক্লিঞ্জার দ্বারা ভালো মত পরিষ্কার করুন। আপনি একটি তুলা দুধের মধ্যে ডুবিয়ে তা দিয়ে মুখমণ্ডল পরিষ্কার করতে পারেন। বেসন ও দুধের মিশ্রণ-ও একটি ভালো ক্লিঞ্জার হিসেবে কাজ করে।

• এবার পার্ল পাউডারের একটি পেস্ট প্রস্তুত করুন। এর জন্য পার্ল পাউডার পানি অথবা গোলাপজলের সাথে মিশিয়ে নিন। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তবে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মেশান।

• এবার পেস্টটি আপনার মুখমণ্ডলে ৫ মিনিটের মত ম্যাসাজ করুন এবং আরো ৫ মিনিট মুখে রাখুন। এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

• এবার মুখ মুছে পার্ল ক্রিম লাগান। আলতো ভাবে লাগাবেন। খুব বেশি জোরে ঘষবেন না। এতে মুখ লাল হয়ে যেতে পারে। ক্রিম দিয়ে মুখ প্রায় ৫ মিনিট আলতো ভাবে ম্যাসাজ করুন।

• এপর্যায়ে মাস্ক প্রস্তুত করুন। যদি আপনি বয়সের ছাপ থেকে মুক্তি পেতে চান তবে ডিম ও মধু মেশান এবং তার সাথে লেবুর রস ও এক চামচ পার্ল পাউডার মেশান। এই মাস্ক টি ধীরে ধীরে মুখে লাগান। দাগ থেতে মুক্তি পেতে চাইলে ফ্রেশ ক্রিমের সাথে ১ চামচ পার্ল পাউডার মেশান। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ফ্রেশ ক্রিম প্রস্তুত করা কোন কঠিন কাজ নয়। ফ্রেশ ক্রিম পেতে হলে দুধ জ্বাল দিন ঘনকরে এবং তার থেকে সর নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে প্রায় ১ দিন ফ্রিজে রাখলে আপনি ফ্রেশক্রিম পাবেন। তবে সর অল্প পরিমাণ হলে ১ দিন রাখার দরকার নেই। কয়েক ঘণ্টাতেই হয়ে যাবে। সবশেষে টোনার লাগিয়ে নিতে ভুলবেননা। জেনে নিলেন কিভাবে পার্ল ফেসিয়াল করতে হয়। তবে আর দেরী কেন? এখন-ই করুন ঘরে বসে পার্ল ফেসিয়াল আর আপনার ত্বকে নিয়ে আনুন মাধুর্য।

বি: দ্র: যাদের সেনসিটিভ ত্বক তাদের জন্য এই ফেসিয়াল উপযোগী নয়।

বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০

ঘরে বসে হারবাল ফেসিয়াল

 

ঘরে বসে হারবাল ফেসিয়াল

যা যা লাগবেঃ
১. হারবাল ক্লিনজিং মিল্ক,
২.ফেসিয়াল স্ক্রাব,
৩.টোনার,
৪.ময়েশ্চারাইজার,
৫.আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী প্যাক তৈরির উপাদান,

ফেসিয়াল করতে হয় কয়েকটি (৬টি) ধাপেঃ

১ম ধাপঃ
ফেসিয়াল করার শুরুতে মুখটা পরিষ্কার করে নিন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটা ভেজা নরম তোয়ালে রুমাল দিয়ে মুখটা মুছে ফেলুন। এরপর যে কোনও হারবাল ক্লিনজিং মিল্ক পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মুখটা ৫/৬ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করার নিয়ম হচ্ছে উভয় হাতের চার আঙুলের সাহায্যে নিচ থেকে উপরের দিকে। কপাল, থুতনি ও ঠোঁটের উপরে করতে হয় দুই আঙুলের সাহায্যে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুখটা মুছে নিন।

২য় ধাপঃ
গরম পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিন। এরপর সমস্ত মুখে ফেসিয়াল স্ক্রাব ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের মরা কোষ ঝরে যাবে এবং ত্বক মসৃণ ও নরম হবে।

৩য় ধাপঃ
একটি গামলায় ফুটন্ত পানি নিন। মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে গামলা থেকে উড়ে আসা পানির বাষ্প মুখে লাগতে দিন। এভাবেপাঁচ মিনিট থাকতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ত্বক যদি সেনসেটিভ হয়, ত্বকে ব্রণ বা অন্য কোনো দাগ থাকে তবে এই ধাপটি বাদ দিন।

৪র্থ ধাপঃ
এরপর মুখটা মুছে নিয়ে লাগান আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্যাক:

• তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন চন্দনের প্যাক। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে আধা চামচ লেবুর রস, পাকা পেঁপে এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
• শুষ্ক ত্বকের জন্য আধা কাপ কলা ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুনএতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে
• মিশ্র ত্বক গোলাপ ফুলের পাপড়ির পেস্ট, গোলাপজল, টক দই ও মধু দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
• ত্বকে রোদে পোড়া দাগ হলে পাকা টমেটোর রস লাগান। পাকা টমেটো প্রাকৃতিক বিচের কাজ করে।

৫ম ধাপ: টোনারঃ
এক টুকরো তুলোয় টোনার নিয়ে সারামুখে ও ঘাড়ে লাগান। বাজারে কেনা টোনার না থাকলে শসার রস বা আলুর রস টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে চোখের চারপাশে টোনার লাগাবেন না।

৬ষ্ট ধাপঃ
সব শেষে মুখে লাগান ময়েশ্চারাইজার। মুখটা একটু ভেজা থাকতেই দু’হাতে ময়েশ্চারাইজার লোশন নিয়ে আলতো হাতে লাগান। মুখের যেসব জায়গা বেশি শুষ্ক সে জায়গাগুলোতে দু’বার করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এতে দীর্ঘ সময় ত্বক আর্দ্র থাকবে।

বাড়িতে বসে ফেসিয়াল করতে কেমিক্যাল জাতীয় তেমন কিছু ব্যবহার করা হয় না বলে এটা ঘন ঘন করলেও তেমন কোনও সমস্যা নেই।

 

রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

গায়ের রঙের ধরন অনুযায়ী প্যানকেকের ব্যবহার

প্যানকেক ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি
* প্যানকেক ব্যবহারে দক্ষ হাতের প্রয়োজন। এ ছাড়া জানা থাকতে হবে কী কী শেডের প্যানকেক আপনার জন্য উপযোগী।
* প্যানকেক ব্যবহারের আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
* ত্বকে ময়েশ্চারাইজার সেট হওয়ার জন্য ২-৫ মিনিট সময় দিয়ে তারপর প্যানকেক ব্যবহার করুন। স্পঞ্জ পাফ পানিতে ভিজিয়ে প্যানকেক ব্যবহার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে বরফ ঠাণ্ডা পানি হলে সবচেয়ে ভালো হয়, ত্বকে মেকআপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে।
* স্পঞ্জ পানিতে ভিজিয়ে অতিরিক্ত পানি চিপে ফেলে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে প্যানকেক নিয়ে (যে যে শেড আপনার দরকার তা একসঙ্গে স্পঞ্জ লাগিয়ে নিন) সমানভাবে পুরো মুখে লাগাতে হবে। একবার পুরু করে না লাগিয়ে হালকা করে স্তরে স্তরে লাগান এবং প্রতিবার পাফ করার আগে মুখে পানি স্প্রে করে নিন, এতে সব জায়গায় সমান হবে।
* সমানভাবে প্যানকেক ব্লেন্ড করতে অনুশীলনের প্রয়োজন হয়। প্যানকেক সেট হতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় দরকার। এই সময়ের পরই বুঝতে পারবেন যে আপনার দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না এবং কালার ম্যাচিং কতটা ভালো হয়েছে।
* অনেক সময় মুখের মেকআপ একটু হলদেটে হয়। এর কারণ হলো হলুদ প্যানকেক পরে লাগানো। এ ক্ষেত্রে ২-৩টি প্যানকেক মিশিয়ে লাগানোর সময় স্পঞ্জে হলুদ রঙের প্যানকেকটি প্রথমে লাগাতে হবে।
* নাকের দুই পাশ, গালের হাড়, থুঁতনি, চিবুক ইত্যাদি অংশের ভাঁজ ঢাকার জন্য ডার্ক শেড ব্যবহার করতে হবে। তবে সরাসরি না করে, আপনার উপযোগী নির্দিষ্ট শেডের সঙ্গে মিলিয়ে।

কোন শেডটি আপনার জন্য?
* গায়ের রং যদি খুব ফরসা হয়, তাহলে আপনি ২১ নম্বর শেড ও ইয়েলো- এই দুই শেড মিশিয়ে লাগাবেন। মনে রাখবেন, স্পঞ্জে আগে হলুদ প্যানকেক দুবার, তারপর ২১ নম্বর দুবার এভাবে মুখে লাগাতে হবে।
* যদি আপনি ফরসা হন, তবে ২২, ২৩ বা ২৪ ও হলুদ- এই তিনটি শেড মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।
* উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের অধিকারীরা ২৫ নম্বর এবং হলুদ রঙের প্যানকেকের সঙ্গে ২৩ নম্বর অল্প পরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।
* যাঁরা শ্যামবর্ণ তারা ২৩ নম্বর ও হলুদ প্যানকেক ব্যবহার পারেন, তবে কেউ যদি একদম নিউট্রাল বেস চান, তবে তাঁকে ২৮ নম্বর এবং হলুদ শেড মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
* যাঁদের গায়ের রং কালো, তাঁরা ২৮, ৩০ এবং হলুদ- এ তিনটি শেড মিশিয়ে মুখে লাগাবেন।
* আপনার কাঙ্ক্ষিত শেডটি না পেলে সাদা ও গোলাপি শেডগুলো সামান্য পরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

প্যানকেকের ধরন
প্যানকেক মেকআপ প্লাস্টিক অথবা টিনের প্যানে কেকের মতো ফর্মে পাওয়া যায়। ওয়াটার বেসড হওয়ায় এটি শুধু পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা হলেও সেট হওয়ার পর মোটামুটি ওয়াটারপ্রুফ মেকআপে রূপ নেয়।

কিছু টিপস মেনে চলুন
* প্যানকেক পরিষ্কার করতে বেবি অয়েল বা অয়েল বেসড ক্লিনজার ভালো কাজ করে। অয়েল ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করার পর যদি কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে গোসল সেরে নিতে পারেন, তাহলে চুলের আশপাশে লেগে যাওয়া মেকআপও পরিষ্কার হয়ে থাকে।
* এ ধরনের ভারী মেকআপ আপনার ত্বককে শুষ্ক করে তুলতে পারে, তাই সম্ভব হলে ইভেন্টের পরদিন ত্বকের বাড়তি যত্ন নিন।
* প্যানকেক কেনার পর চোয়ালে লাগিয়ে দেখে নিন ত্বকের রং ও আন্ডারটোনের সঙ্গে মানাচ্ছে কি না।
* বিয়ে, গায়ে হলুদ বা অন্যান্য বড় উৎসবে ভারী মেকআপের প্রয়োজন হলে প্যানকেক ব্যবহার করা হয়। তাই কেনার সময় পানি প্রতিরোধী কি না বা গরম ও আর্দ্রতায় কতটা কার্যকর, স্থায়িত্ব কেমন দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
* সবশেষে প্যানকেক মেকআপ ভারী হওয়ায় অনেক সময় মুখের পোরগুলো বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্রণ দেখা দেয়। তাই বরফ ও টোনার ব্যবহার করুন প্যানকেক ব্যবহারের আগে।

মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০

ঝলমলে চুলের জন্য অ্যালোভেরা


চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার নতুন নয়। অ্যালোভেরার রয়েছে অনেকগুলো গুণ।  এর মধ্যে একটি হলো চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া চুলপড়া রোধ এবং খুশকি প্রতিরোধে অসাধারণ এই অ্যালোভেরা। চলুন জেনে নিই এর ব্যবহার-

. খুশকি দূর করতে মেহেদি পাতার সঙ্গে অ্যালেভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন চুলে।

. মাথা যদি সব সময় গরম থাকে তাহলে পাতার শাঁস প্রতিদিন একবার তালুতে নিয়ম করে লাগালে মাথা ঠাণ্ডা হয়।

. অ্যালেভেরা রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে।

. শ্যাম্পু করার আগে আধা ঘণ্টা অ্যালেভেরার জুস খাওয়া চুলের জন্য ভালো। এতে চুল পড়া অনেকাংশে কমে যায়। খুশকি কমাতেও এটি সহায়ক। অ্যালেভেরায় আছে অ্যালোমিন নামক উপাদান, যেটি চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বাড়িতে বসেও বানিয়ে নিতে পারেন অ্যালেভেরার কন্ডিশনার।

বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০

চুলের যত্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

ঘন ঘন চুল ধোয়া
কোকড়া ও ঘন চুল শুকনো হয়। এ কারণে এগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা উচিত। এতে প্রাকৃতিক তেলের উপকারিতা পাওয়া যাবে। কিন্তু এটি তৈলাক্ত হয়ে গেলে তা দ্রুত ধুয়ে ফেলা ভালো। অতিরিক্ত তেল চুলের ক্ষতি করে।
 
ভেজা চুল রাখবেন না
চুল ভেজা রাখা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে চুলের আকৃতিতেও পরিবর্তন হয়। অনেক ক্ষেত্রে চুল কোকড়া হয়ে যায়, যা পরে কৃত্রিম পদ্ধতিতে সোজা করতে হয়।

বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই চুল শুকিয়ে নিন
অনেককে চুল পুরোপুরি না শুকিয়েই বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়। কিন্তু এটি মোটেও উচিত নয়। চুল সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে তবেই বাড়ি থেকে বের হওয়া ভালো। নাহলে চুলের আয়ু কমে যায় এবং চুলের নানা ক্ষতি হয়।

চুল উপর থেকে নিচে শুকিয়ে নিন
চুলের গোড়া ভালোভাবে শুকিয়ে তারপর পরের অংশ শুকান। চুলের গোড়া শুকানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গোড়া ভালো থাকলে চুলের অন্য অংশেও তার উপকারিতা যাবে।

চুল পরিচর্যায় বেশি পণ্য ব্যবহার করবেন না
চুলের পরিচর্যায় বহুধরনের পণ্য ব্যবহার করা উচিত নয়। অনেকেই চুলের যত্নে ভিন্নধরনের স্প্রে, তেল, জেল, শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করেন। তবে এসব পণ্য প্রয়োজন অনুপাতে ব্যবহারই ভালো।

ভারি জেলের পরিবর্তে হালকা স্প্রে ব্যবহার করুন
চুলে ভারি জেল ব্যবহার করার তুলনায় হালকা স্প্রে ব্যবহার ভালো। ভারি জেল অনেক সময় চুলের ক্ষতি করতে পারে

শুকনো চুলে প্লাস্টিকের চিরুনি ব্যবহার করবেন না
শুকনো চুল ও প্লাস্টিকের চিরুনির ঘর্ষণে সেখানে স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। এগুলো চুলের জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে শুকনো চুলে ধাতব চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে চুলের ভেতর স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে না এবং চুল পরস্পর আটকেও যাবে না।
চুলের যত্নে যে ১২টি টিপস আপনার কাজে আসবে

কোকড়া চুলের জন্য হেয়ারস্প্রে ব্যবহার করুন
চুলের যত্নে বহু স্প্রে পাওয়া যায় বাজারে। এগুলোর মধ্যে ভালো একটি ব্র্যান্ড বেছে নিয়ে তা প্রয়োগ করতে পারেন কোকড়া চুলের জন্য।

পাতলা চুলে ফ্রিঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন
অনেক পাতলা চুলের মেয়েকে চুলের একটি হালকা ফ্রিঞ্জ বা ঝুলন্ত একটি বাড়তি অংশ রাখলে সুন্দর লাগে।

চুল স্টাইলিস্টের কাছ থেকে ব্যাককম্বকরুন
চুলের স্টাইলিস্টের কাছ থেকে সাজিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ব্যাককম্ব’ করে নিলে তা সবচেয়ে ভালো কাজ করে। কারণ এটা অন্য স্টাইলগুলোর তুলনায় বেশি সময় রাখা যায়।

চুল এলোমেলো হয়ে গেলে যুদ্ধ করবেন না
হঠাৎ করে চুল এলোমেলো হয়ে গেলে সেগুলো আগের মতো স্টাইলে সাজানোর জন্য যুদ্ধ করবেন না। তার বদলে এগুলো সাধারণভাবে পেছনে ঝুলিয়ে রাখুন। এটিও অনেক ক্ষেত্রে ভালো দেখায়।