সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১

লেবু দিয়ে শরীরের যেকোন কালো দাগ দূর করুণ এক নিমিষে!!

সৌন্দর্য চর্চায় লেবুর কোন তুলনাই হয়না। শরীরের কালো দাগ দূর থেকে থেকে শুরু করে ব্রণ কমানো কিংবা বলিরেখা নিয়ন্ত্রণ করা, সব কিছুই সম্ভব।
তাই বিস্তারিত জানতে দেখে নিন আজকের আয়োজন লেবু দিয়ে শরীরের যেকোন কালো দাগ দূর করুণ কৌশল। তাহলে আসুন জেনে নিই কীভাবে ব্যবহার করবেন?

১) লেবুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোদে পোড়া ত্বক ঠিক করতে লেবু কার্যকর।

২) লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভাঁজ ও দাগ দূর করে। লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি ব্রণ বা অ্যাকনে সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে।

৩) অ্যারোমাথেরাপির ক্ষেত্রেও লেবু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বয়সজনিত মুখের দাগ সারাতে লেবুর রস কার্যকর। লেবুর রস ব্যবহারে মুখের ব্রণও দ্রুত কমে।
৪) হাতের কনুই, হাঁটু, পায়ের গোড়ালির ময়লা দূর করতে লেবু কার্যকর। হাত ও পায়ের রুক্ষভাব দূর করতে লেবুর রসের সঙ্গে চালের গুড়ো মিশিয়ে হাত পায়ে লাগান।
৫) ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সমপরিমাণ শসার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে তুলার সাহায্যে মুখে লাগান। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে ত্বক সতেজ হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে যদি জ্বলে, তবে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। সে ক্ষেত্রে লেবু ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলতে পারে।
৬) ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করার ক্ষেত্রে লেবুর রস ও দুধের মিশ্রণও বেশ কার্যকর। একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে তার রস বের করে নিন। এবার তার সঙ্গে ১০ টেবিল চামচ তরল দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
ধীরে ধীরে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন, ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু ত্বকের তেল দূর করে আর দুধ ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে সাবধানে লাগাতে হবে।

৭) একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেকটা লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ কমলা লেবুর রস কুসুম গরম পানি দিয়ে পেস্টের মতো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

৮) একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে রস বের করে নিন। তাতে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ত্বকে টান টান ভাব হলে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বক উজ্জ্বল করবে। লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং গুণ ত্বককে আরো ফর্সা করবে।

বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১

ত্বক উজ্জ্বল করার ঘরোয়া পদ্ধতি

১। ত্বকের জন্য সবচেয়ে উপকারি হল দুধ। দুধের সঙ্গে টম্যাটো পিউরি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগাতে পারেন ত্বকে। এই মাস্কটি সারারাত লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। অবশ্যই ঠান্ডা জলে।

২। ব্ল্যাকহেডস-এর সমস্যে থেকে মুক্তি পেতে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ত্বকের যে অংশে ব্ল্যাক হেডস-এর বাড়বাড়ন্ত সেই সমস্ত জায়গাতে লাগিয়ে রাখুন। 30 মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বাড়ানোর জন্য দু-চামচ টক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানান। পেস্টটি মাস্কের মতো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বেড়ে যাবে।

৪। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদের থেকে ভাল কিছু হতেই পারে না। বিশুদ্ধ গুঁড়ো হলুদের সঙ্গে নারকেল তেলের মিশ্রণে পেস্ট বানিয়ে তা মুখে এবং গলায় মাখিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট পরে হালকা গরম জলে তা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে ২-৩বার করুন।

৫। তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময়ে কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা brightness বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। উপরন্তু অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে। এই ধরণের ত্বক থেকে মুক্তি পেতে হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে প্রয়োগ করুন। অচিরেই ফল পাবেন।

৬। তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে অব্যর্থ হল কফি বা কোকো পাউডার। এই পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে, গলায় মাসাজ করুন। মনে রাখবেন এই পেস্টটি সব সময়েই সাধারণ তাপমাত্রার জলে ধোবেন। কখনোই ঠান্ডা বা গরম জল ব্যবহার করবেন না।

৭। ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খুবই উপকারী হল দারচিনি। মধুর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখের ক্ষতিগ্রস্থ অংশের উপরে প্রলেপ লাগান। ঘণ্টা দুই এই প্রলেপ রাখার পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে একদিন অন্তর করে প্রয়োগ করুন এই টোটকা। 

মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

শীতের সাজকথা

বেইজের ক্ষেত্রেঃ মেকাপের শুরুতে স্ক্রাব করে নিতে পারেন এতে ত্বকের জমে থাকা মরা কোষ উঠে যাবে। আর মেকাপের আগে ত্বকের ধরন অনুযায়ী অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এরপর প্রাইমার দিয়ে বেইজ মেকআপ আরম্ভ করবেন। বেইজের ক্ষেত্রে দিনের বেলা লাইট টু মিডিয়াম আর রাতে মিডিয়াম টু হাই কাভারেজ দেয় এমন ফাউনডেশন ইউজ করতে পারেন।

কালার কারেক্টার ও কন্সিলারঃ অনেকের কাছেই শোনা যায় যে স্কিন টোনের সাথে ম্যাচ করে কন্সিলার দেওয়ার পরেও চোখের নিচের কালচে ভাবটা যেন রয়েই যায়। তাদের জন্য কন্সিলারের আগে ব্যবহার করা প্রয়োজনকারেক্টার। যাদের চোখের নিচে কালচে দাগ আছে তারা অরেঞ্জ কালার কারেক্টার ব্যবহার করবেন। আর পিম্পল এর লাল দাগ বা নাকের পাশে অনেকের লালচে দাগ থাকে সেটি মিন্ট গ্রিন কালার কারেক্টার দিয়ে ঠিক করা যায়। আর যাদের ত্বকের রঙ ফ্যাকাশে তাদের
ত্বকের জন্য ইয়ালো কালার কারেক্টার উপযুক্ত। এই নিয়ে বিস্তারিত একটা আর্টিকেল লিখব ভবিষ্যতে। কালার কারেক্টার দেওয়ার পরে কন্সিলার ব্যবহার করুন।

ব্লেন্ড করুন ভালোভাবেঃ  যেকোনো ত্বকেই মেকআপ সেট করর মূলমন্ত্র হল ত্বকের সাথে তা ভালভাবে মিশিয়ে দেওয়া, অর্থাৎ ব্লেন্ড করা।ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে স্টিপলিং ব্রাশ বা বিউটি ব্লেন্ডার অথবা মেকআপ স্পঞ্জ একটু ভিজিয়ে চিপে নিয়ে আলতো করে চেপে চেপে ত্বকে ব্যবহার করবেন। সবশেষে সেটিং পাউডার দিয়ে বেইজ সেট করে নিন। আর চোখের সাজে ব্লেন্ডিং ব্রাশ ইউজ করুন।

ব্যবহার করুন হাইলাইটারঃ মেকাপের পরে চেহারায় একটা glowy ফিনিশ আনার জন্য হাইলাইটার ব্যবহার করুন চিক বোনে, ব্রাও বোনে, আর নাকের হাড়ের ঠিক মাঝ বরাবর। আর পুরো ফেসে ডিউই লুক আনার জন্য ফাউনডেশনের সাথে মিক্স করে নিতে পারেন লিকুইড হাইলাইটার বা লুমিনেটর।শীতকালে দিনের মেকআপে সফটকনটোরিং করুন আর রাতের বেলা কনটোরিং এর জন্য আরও একটু ডার্ক শেড দিতে পারেন। জমকাল ভাব আনার জন্য রাতের সাজে চাইলে ব্রঞ্জার ইউজ করতে পারেন। ব্লাশের জন্য সফট পিঙ্ক বা পিচ টোনের ব্লাশ ভালো লাগবে।

ঠোঁটের সাজেঃ এই বছর মেকাপের ট্রেন্ডে  সারা বছর চুটিয়ে রাজত্ব করেছে ম্যাট লিপস্টিক। হাল্কা থেকে গাঢ়, সব রঙেই ছিল ম্যাট বা ভেলভেট ফিনিশিং লিপস্টিকের জয়জয়কার। শীতকালেও এর রেশ থেকে যাবে কিছুটা। তাই ম্যাট এর পাশাপাশি সেমি ম্যাট বা একটু ক্রিমি ধাঁচের লিপস্টিকেই ঠোঁট সাজাতে পারেন উৎসবে আমন্ত্রণে। তবে লিপস্টিক দেওয়ার আগে অবশ্যই লিপবাম দিয়ে নেবেন।
মেকাপের সময় অবশ্যই মনে রাখবেনঃ
  • ত্বকের ধরন যেমনই হক, মেকআপ শুরুর আগে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। শুষ্ক ত্বকে একটু ভারিময়েশ্চারাইজার আর নরমাল ও অয়েলি ত্বকে হাল্কা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
  • ডার্ক ব্রাউন, মেরুন, বেরি, প্লাম; এসব রঙ গুলো ঠোঁটের সাজেই বেশি মানানসই। ঠোঁটের এসব শেডের সাথে চোখে পার্ল, স্যাটিন বা শিমারি ফিনিশের আইশ্যাডো দিন।
  • স্মোকি আইকে একটু ড্রামাটিক করার জন্য চোখের ওয়াটার লাইনে সাদা কাজল ব্যবহার করতে পারেন। আর নিচের পাতায় ডার্ক ব্রাউন আইশ্যাডো স্মাজ করে দিন। ঘন মাশকারার প্রলেপ দিন দু তিনবার।
  • লাল, মেরুন, ম্যাজেন্টা এসব বোল্ড কালার চোখে ব্যবহার করতে যাবেন না যেন। আমাদের দেশের মেয়েদের স্কিন টোনের সাথে এসব কালার চোখের জন্য মানানসই নয়। আই মেকআপে বেছে নিন নেভি ব্লু, গ্রিন, পার্পল শেড।
  • স্মোকি আইয়ের সাথে চড়া রঙা লিপস্টিক ইউজ করবেন না। চোখের সাজ ভারি হলে ঠোঁটে নিউট্রাল কালার যেমন লাইট পিঙ্ক সফট ব্রাউন লিপস্টিক দিন। আর গাঢ়  রঙে ঠোঁট রাঙ্গাতে চাইলে চোখের জন্য ন্যাচ্রাল কালার আইশ্যাডো বেছে নিন। এতে সাজের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
  • লিপস্টিকের সাথে ম্যাচিং নেইল পলিশ ইউজ করতে পারেন। অথবা ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর করতে পারেন।

শুক্রবার, ১২ নভেম্বর, ২০২১

শীতে ঠোঁটের যত্নে বিশেষ টিপস্‌

শুষ্ক বা ফাটা ঠোঁট

একটি পরিষ্কার ভেজা কাপড়ে চিনি নিয়ে সেটি ঠোঁটে আলতো করে ঘষে নিলে ঠোঁটের মরা চামড়াগুলো উঠে যাবে। এরপর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ঠোঁটে নারকেল তেল লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া ঠোঁটের যত্নে আধা চামচ মধু এবং এক চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখতে হবে।
১. শীতকালের শুষ্কতা থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত লিপ বাম বা অ্যালোভেরা যুক্ত ভ্যাসলিন পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের ফলে ‘ডার্ক লিপ্স’য়ের সমস্যা হতে পারে | তাই শরীর আর্দ্র রাখতে প্রচুর পানি পান করতে হবে|
৩. খুব ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে মুখের ত্বক বাঁচাতে স্কার্ফ পরা যেতে পারে।
৪. ঠোঁটে প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ লিপস্টিক বেছে নিতে হবে।
৫. জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। আবার ঠোঁটে মরা চামড়া হলে সেটি টেনে তোলাও উচিত নয়।

নরম গোলাপি ঠোঁট

ঠোঁট সুন্দর করতে ঘোরোয়া কিছু সহজ উপায় মেনে চললেই হয়।
শিবানী দে বলেন, “প্রথমেই ঠোঁট পরিষ্কার করার সহজ একটি উপায় জানা যাক। কাঁচা দুধ আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি সাদা পরিষ্কার কাপড় বা তুলা ওই মিশ্রণে ভিজিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিতে হবে। এতে ঠোঁট পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি মসৃণ ও সুন্দর হবে।”
এরপর ঠোঁট স্ক্রাবি’য়ের পদ্ধতি সম্পর্কে জানান তিনি।
এক চা-চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চা-চামচ চিনি মিশিয়ে ঠোঁটের জন্য ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করা যায়। এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে আলতো করে ঘষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর ঠোঁটে লিপ বাম লাগিয়ে নিতে হবে। এই ঘরোয়া স্ক্রাব ঠোঁটের মরা কোষ পরিষ্কার করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করতে সাহায্য করবে।

ঠোঁট নরম করার উপায়

– পাকা পেঁপে চটকে তার সঙ্গে দুধের মাঠা মিশিয়ে একটা মিশ্রণ করতে হবে। সেটা ঠোঁটে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্রলেপ ঠোঁটের পুষ্টিও জোগাবে।

– সমান পরিমাণে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে| এরপর ভালো করে মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে নরম কোনও ভেজা কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে তুলে ফেলতে হবে| এটি চাইলে প্রতিদিনে এবং দিনে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন ব্যবহার

– সান ট্যান ছাড়াও ঠোঁট বেশি শুষ্ক হয়ে গেলে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে| রোজ রাতে ‍ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো করে ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগিয়ে নিতে হবে| এর ফলে ঠোঁটে আর্দ্রতার পরিমাণ ঠিক থাকবে আর নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের রং-ও স্বাভাবিক হয়ে আসবে| ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতেও এই পদ্ধতি বেশ উপকারী|

– ঠোঁটে এক টুকরা বিট নিয়ে হাল্কা করে ঠোঁটে মালিশ করতে হবে| বিটের রস ট্যান বা পোড়াভাব দূর করতে সাহায্য করে আর কিছুদিনের মধ্যেই ঠোঁটের রং স্বাভাবিক গোলাপি হয়ে উঠবে|

– শসার রস কালো দাগ উঠাতে দারুণ কার্যকর। রোজ নিয়ম করে ঠোঁটে শসার রস লাগালে কিছুদিনের মধ্যেই ঠোঁটের কালচেভাব অনেকটাই কমে আসবে।

ঠোঁটের ত্বক অত্যন্ত নমনীয়। তাই বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। ঠোঁটে লিপ বাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এপিএফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে।
শিবানী দে বলেন, “সস্তা বা কম দামি লিপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে এবং আরও অনেক ধরনে ক্ষতি হতে পারে। ঠোঁটের জন্য হার্বাল লিপ বাম ব্যবহার করা সব থেকে ভালো।”

বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১

আঙুলের গিঁটের কালচে দাগ দূর করতে তিনটি উপায়

১) ব্লিচ পদ্ধতি

ঘরেই শুধুমাত্র লেবু ও মধুর মাধ্যমে ব্লিচ করে এই কালচে গিঁটের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। লেবুর ব্লিচিং এজেন্ট কালচে দাগ দূর করে এবং মধুর প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার ত্বকের রুক্ষতা দূর করে মসৃণভাব ফুটিয়ে তোলে।
– ১ চা চামচ মধুতে ১ চা চামচ তাজা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি হাতের আঙুলের গিঁটে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
– মাত্র ১ মিনিট ম্যাসেজ করে নিন এই মিশ্রণটি আঙুলের গিঁটে এবং পায়ের পাতার কালচে দাগের উপরে।
– এরপর ১০ মিনিট এভাবেই রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারে খুব দ্রুত কালচে দাগ দূর হয়ে যাবে।

২) আমন্ড অয়েলের ব্যবহার

আমন্ড অয়েল অর্থাৎ কাঠবাদামের তেল ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। শুধুমাত্র আমন্ড অয়েলের ব্যবহারেই এই কালচে দাগ দূর করে দিতে পারেন আপনি।
– প্রতিদিন কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল আঙুলের এই কালচে দাগের উপর এবং পায়ের পাতার কালো হয়ে যাওয়া অংশের উপরে ম্যাসেজ করুন।
– ২-৩ মিনিট প্রতিদিন এভাবে ম্যাসেজ করে নিলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রুক্ষতা ও কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।

৩) বেকিং সোডা ও গ্লিসারিনের ব্যবহার

বেকিং সোডার ব্লিচিং এজেন্ট কালচে দাগ দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী এবং গ্লিসারিন ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখবে দীর্ঘসময়।
– একটি বড় বোলে কুসুম গরম পানি নিয়ে এতে কয়েক চামচ বেকিং সোডা এবং ১ চা চামচ গ্লিসারিন এবং ১ চ চামচ গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে নিন।
– এই পানিতে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। এরপর কালচে দাগের উপর ভালো করে ম্যাসেজ করে নিন।
– সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারেই ভালো ফলাফল পাবেন।

শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১

“নখের কোণা ওঠা” সমস্যার সমাধান

-হাত বা পা উষ্ণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। যতটা সহ্য করতে পারেন, ততটা গরম পানি নেবেন।

-কাজ শুরুর আগে মেনিকিউর সেট গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন।

-এবার পা/হাত ভালো করে মুছে নিন। মুছে নেয়ার পর নখ কাটুন। বেড়ে ওঠা বাড়তি নখ ও তার আশেপাশে যতটা সম্ভব কেটে ফেলুন।

-এবার রয়ে যাওয়া বাড়তি নখ চিমটার সাহায্যে সামান্য উঁচু করে ধরুন এবং আরেকটি চিমটার সাহায্যে সামান্য একটু তুলো নখের নিচে গুঁজে দিন। খুব সাবধানে কাজটি করুন। এই কাজটি আপনার নখে ব্যথা হতে দেবে না।

-যতদিন নখে বড় না হচ্ছে আর আপনি কেটে যন্ত্রণাদায়ক বাড়তি কোণা বাদ দিতে না পারছেন, ততদিন পর্যন্ত এভাবেই তুলো দিয়ে রাখুন। দিনে ২/১ বার বা জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে তুলো বদলে দেবেন।

-যদি ইতিমধ্যেই ইনফেকশন হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান। এই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না।

-পা/হাত সর্বদা পরিষ্কার রাখুন এবং এমন হলে মোজা পরিধান করবেন না।