মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯

বাসাতেই তৈরী করুন "গোলাপ জল"

 

পদ্ধতি

► একটি তাজা গোলাপ থেকে শুধুমাত্র পাপড়ি গুলো নিয়ে নিন।
► গোলাপের পাপড়ি গুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
► একটি পাত্রে পাপড়ি গুলো রেখে সেখানে ফোটানো বিশুদ্ধ পানি ঢালুন। খুব বেশি পানি দেবেন না। কেবল মাত্র পাপড়ির ওপর পর্যন্ত পানি দেবেন।
► এরপর পাত্রটিকে মাঝারী আঁচে ঢাকনা দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন।
► গোলাপের পাপড়ি রঙ হারালে এবং পানির উপরে হালকা তেল ভেসে উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
► গোলাপ জল ঠান্ডা করে একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিলে দীর্ঘ দিন ভালো থাকে।

গোলাপ জলের গুণ
গোলাপ জলে আছে ফ্ল্যাবনয়েড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ট্যানিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি৩। জেনে নিন গোলাপ জলের কিছু বিষ্ময়কর গুণ সম্পর্কে।
  • গোলাপ জলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ ত্বকের লালচে ভাব, র‍্যাস, চুলকানি, ব্রণ এবং একজিমা প্রতিরোধ করে।
  • ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রেখে তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে দিতে সহায়তা করে।
  • ত্বকে পানির পরিমাণ ঠিক রেখে সজীবতা ধরে রাখে।
  • অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুণের কারণে ইনফেকশন, কাটাছেড়া এবং দাগ কমাতে সহায়তা করে।
  • ত্বকের কোষগুলোর গঠন এবং পুনর্গঠন করে।
  • ত্বকে বয়সের ছাপ রোধে গোলাপজলের জুড়ি নেই।

রবিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৯

চুলের বৃদ্ধিতে ও চুল গজাতে ক্যাস্টর অয়েল

চুল আমাদের সৌন্দর্যের অনেক বড় একটা অংশ বহন করে। আর সেই চুলই যদি ক্রমাগত ঝরে গিয়ে মাথায় টাকের সৃষ্টি করে তাহলে কী আর দুঃখের সীমা থাকে? চুল পড়া নিয়ে আমাদের চিন্তার অন্ত নেই। আজকের দিনে আমরা মোটামুটি সবাই এই সমস্যায় ভুগছি। চুল পড়ার নানান কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে দুশ্চিন্তা, অপর্যাপ্ত ঘুম, অতিরিক্ত কাজের চাপ, অসুস্থতা, বংশগত সমস্যা, পরিবেশের প্রভাব ইত্যাদি। আর এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য ক্যাস্টর অয়েল হতে পরে অনন্য একটি উপায়।

চুল পড়া রোধে ক্যাস্টর অয়েল

– চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ হলো স্ক্যাল্পের ইনফেকশন এবং ডিসঅর্ডার। ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গাস স্ক্যাল্পকে আক্রান্ত করে দিনে দিনে চুল ঝরাকে বাড়িয়ে দেয় এবং চুলের বৃদ্ধিকে হ্রাস করে। ক্যাস্টর অয়েলের এন্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং এনটিফাঙ্গাল প্রপার্টিস স্ক্যাল্পের ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে যা চুল পড়া কমিয়ে আনে অনেকটাই।


– শুষ্কতা বা রুক্ষতা চুল পড়া এবং চুল ভাঙ্গার আরেকটি প্রধান কারণ। ক্যাস্টর অয়েল সহজেই স্ক্যাল্পে শোষিত হয়। ফলে স্ক্যাল্পের ময়েশ্চার এবং নিউট্রিশনের ব্যালেন্স ঠিক থাকে যা চুলের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।

নতুন চুল গজাতে ক্যাস্টর অয়েল

– ক্যাস্টর অয়েল স্ক্যাল্পে ভালো মতো ম্যাসাজ করলে এটি স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন যত বাড়বে এর অবস্থা তত উন্নত হবে এবং হেয়ার ফলিকলগুলো আরও সুস্থ্য থাকবে। ফলে তা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
-ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য উপকারী। এন্টিঅক্সিডেন্ট এর প্রধান কাজ-ই হলো চুলের এবং স্ক্যাল্পের বিষাক্ত পদার্থ হ্রাস করে চুলের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করা।
– ক্যাস্টর অয়েল ওমেগা ৯ ফ্যাটি আসিড এবং এসেন্সিয়াল ভিটামিনস এ সমৃদ্ধ যা চুল কে মজবুত এবং উজ্জল করে ও পুনরায় চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ব্যবহারবিধি

– যেহেতু ক্যাস্টর অয়েল খুব ঘন তাই এটি চুলে লাগানোর পূর্বে রেগুলার চুলের তেল (কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল) এর সাথে মিশিয়ে লাগালে সুবিধা হবে। স্ক্যাল্পে ভালো মতো ম্যাসাজ করে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা রাখতে হবে। তেল লাগানোর পর হেয়ার ক্যাপ অথবা হট টাওয়েল চুলে পেঁচিযে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এরপর চুলে শ্যাম্পূ করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। আরও ভালো ফল চাইলে তেল লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিতে পারেন।
– চুলের গ্রোথ বাড়ানোর জন্য হট অয়েল ট্রিটমেন্ট হিসেবেও ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে তেল গরম করে নিতে হবে। প্রক্রিয়া টি সহজ করার জন্য ক্যাস্টর অয়েলের বোতলটি গরম পানির একটি গ্লাসে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর স্ক্যাল্পে ভালো মতো ম্যাসাজ করূন।
উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করলে আশা করি এক মাসের মধ্যেই ফল পাবেন।

ক্যাস্টর অয়েল এর কিছু হেয়ার মাস্ক

– এক চা চামচ মধু, দুই চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল এবং একটি ডিম ভালো মতো মিশিয়ে চুলে ভালো মতো লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পূ করে ফেলুন। এটি আপনার নিষ্প্রাণ এবং রুক্ষ চুলের উজ্জলতা বাড়িয়ে একে নরম করবে।
– সমান পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল, তিলের তেল এবং অলিভ অয়েল ভালো মতো মিশিয়ে চুলে এবং স্ক্যাল্পে ভালো মতো লাগিয়ে গরম তোয়ালে দিয়ে পেঁচিযে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পূ করে ফেলুন। এটি একটি খুবই কার্যকর হেয়ার টনিক হিসেবে কাজ করে যা চুল এবং স্ক্যাল্পকে খুব ভালো ভাবে কন্ডিশন্ড করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

টিপস
– যদি ক্যাস্টর অয়েল অন্য কোনো তেলের সাথে না মিশিয়ে মাথায় লাগাতে চান, তবে খুব অল্প পরিমাণ তেল নিবেন এবং শুধু স্ক্যাল্পে লাগবেন। কারণ ক্যাস্টর অয়েল খুব ঘন হওয়ায় এটি পুরো চুলে লাগালে পরে উঠানো নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।
– রাতে ক্যাস্টর অয়েল মাথায় দিয়ে ঘুমালে হেয়ার ক্যাপ অথবা তোয়ালে মাথায় পেঁচিযে নিন যাতে বালিশে দাগ না লাগে অথবা বালিশে একটি কাপড় পেঁচিযে নিন।
– চোখের পাপড়ি ঘন করতে চাইলেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন ক্যাস্টর অয়েল। প্রতি রাতে ঘুমাবার আগে কটন বাড্স বা তুলার সাহায্যে ব্রু বা পাপড়িতে লাগাবেন। সকালে ধুয়ে ফেলবেন। এক মাসের মধ্যেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৯

রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার

  •  
  • বলি রেখা দূর করতে: চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্যকরে। এতে রয়েছে বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট, যা মুখের বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে।
  •  
  • রোদে পোড়া দাগ দূর করতে: রোদে পোড়া দাগ দূর করতে চন্দন বেশ কার্যকারি। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বকের জ্বলা কমাতে সাহায্য করবে।
  •  
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের খুবি কার্যকরি একটি উপাদান। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো এক সাথে মিশিয়ে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ হবে উজ্জ্বল এবং মসৃন।
  •  
  • ডার্ক সার্কেলর সমস্যা দূর করতে: যাদের ডার্কসার্কেলের  সমস্যা তারা অল্প পরিমাণ চন্দনের গুড়ার সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কলো দাগ কমে যাবে।
  •  
  • উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে: যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তারা প্রতিদিন ১চা চামচ সাদা চন্দন কাঠের পেস্ট এর সাথে, আধা কাপ দুধ নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে দুধ খালিপেটে পান করুন। এরপর ৭-৮টি তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। কিছু সময়ের মধ্যেই রক্তচাপ কমে আসবে। ব্রঙ্কাইটিস রোগের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করলে উপকার পায়া যাবে।
  •  
  • মুখের দাগ দূর করতে: ডিমের কুসুম বা মধু, ও চন্দন গুঁড়া একসাথে মিক্সড করে পেস্ট তৈরি করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১০- ১৫ মিনিট রাখুন। এর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে নিন এভাবে প্রতিদিন ব্যহার করলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।

শুক্রবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৯

শরীরের বিভিন্ন জায়গার কালো দাগ দূর করতে করণীয়

আলুর রস 

আলু রস স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ সহজেই দূর করে। প্রতিদিন গোসলের আগে আক্রান্ত স্থানে আলুর রস লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

শসার রস 

শসার রস যে কোনও স্পর্শকাতর অঙ্গের দাগ দূর করার জন্য দারুণ উপকারী। এতে ত্বকের কোনও ক্ষতিও হয় না। দাগের স্থানগুলোতে শসার রস লাগিয়ে রাখুন ২০/২৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহারেই উপকার পাবেন।

লেবুর রস 

লেবুর রস হচ্ছে প্রাকৃতিক ব্লিচ। কিন্তু এটি সরাসরি স্পর্শকাতর অঙ্গে সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এতে জ্বলুনি বাড়তে পারে। লেবুর রসের সঙ্গে শসার রস ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। তারপর একে লাগান আক্রান্ত স্থানে। লেবুর ও হলুদ দাগছোপ দূর করবে আর শসা রক্ষা করবে ত্বককে। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

দুধ ও মুলতানি মাটি 

কাঁচা দুধের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও গোলাপ পানি মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক মুখেও ব্যবহার করতে পারেন।

দই ও হলুদ 

দইয়ের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ, সামান্য লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্ক্রাবের মত আলতো হাতে ঘষে ঘষে লাগান। তারপর রেখে দিন ২০ মিনিটের জন্য। পরে ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে।

সাবধানতা

* উপরের উল্লেখি যে কোন প্যাক ব্যবহারের পরই স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যবহার করবেন খুব ভালো কোনও ময়েশ্চারাইজার।
* গোপন অঙ্গে বাজারের নানা রকম রঙ ফর্সা করার ক্রিম ব্যবহার করবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
* বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট কখনোই সরাসরি স্প্রে করবেন না।

বুধবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৯

ফেসিয়াল করার পর সাবধানতা

 

ফেসিয়াল করার পর যেসব কখনোই করবেন নাঃ

স্টিম বাথ 
অনেকেই স্টিম বাথ নেন; কিন্তু ফেসিয়াল করার পর পরই স্টিম বাথ করা যাবে না। কেননা ত্বকের উজ্জ্বলতা আনার জন্য অনেক ফেসিয়ালেই স্টিম ব্যবহার করা হয়। তাই আবার স্টিম বাথ নিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যেতে পারে।

ফেসওয়াশ বা সাবান 
ফেসিয়াল করার সময় যদি ব্লিচ ক্রিম ব্যবহার করা হয়, তবে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সাবান বা ফেসওয়াশ মুখে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ ব্লিচ ক্রিমের সঙ্গে সাবান বা ফেসওয়াশ মিশে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া ব্লিচ ক্রিম মুখের লোমের রং পরিবর্তন করে; তাই সাবান ব্যবহার করলে রংটা লোমে বসবে না।

ম্যাসাজ 
ত্বক যদি পাতলা ও গায়ের রং ফরসা হয়, তাহলে ফেসিয়ালের পর পরই ম্যাসাজ করলে ত্বকে অনেক সময় লালচে মতো দাগ পড়ার আশঙ্কা থাকে। ফেসিয়াল করার তিন দিনের মধ্যে কোনো ধরনের ম্যাসাজ করবেন না।

ঘরোয়া মাস্ক
সবজি বা ফলের খোসা (কমলালেবু) দিয়ে বানানো মাস্ক লাগাবেন না। অধিকাংশ খোসাতে থাকে আলফা হাইড্রক্সি এসিড, সঙ্গে ভিটামিন-এ, এই উপাদানগুলো ত্বকে লালচে ভাব আনে। তাই ফেসিয়াল করার পর দু-তিন দিন মাস্ক লাগাবেন না।

সূর্যের তাপ 
ফেসিয়ালের পর ত্বক নাজুক থাকে, তাই সূর্যের তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করা জরুরি।
ফেসিয়াল করার সময় ব্যবহৃত স্ক্রাবারের মধ্যে দানা থাকে, যার ফলে ত্বকে এক ধরনের অরক্ষিত পর্দার সৃষ্টি হয়। এই পর্দা সূর্যের তাপে সহজে পুড়ে যায়।

মেকআপ 
ফেসিয়াল করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো। মেকআপের কারণে চুলকানি বা প্রদাহ দেখা দিতে পারে। যেসব প্রসাধনীতে কৃত্রিম রং বা সুগন্ধি দেওয়া থাকে সেগুলো ফেসিয়ালের পর একদমই ব্যবহার করা উচিত নয়।

ব্রণ 
অনেকের ত্বকে ফেসিয়াল করার পর পরই ব্রণ দেখা দেয়। এ সময় ত্বক অনেক সতেজ থাকে। ফলে ব্রণ খুঁটলে দাগ বসে যায়। যদি ব্রণ উঠেই যায়, তাহলে খুঁটবেন না, দ্রুত সেরে যাবে।

হাত ধোঁয়া 
ফেসিয়ালের পর ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল থাকে। তাই যখনই মুখে হাত দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে, হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।

ফ্রি টিপস 
০ সুন্দর ত্বকের জন্য পানির কোনো বিকল্প নেই। শুধু ফেসিয়ালের পর নয়, সব সময়ই পানি পান করুন। এতে শরীর থেকে টক্সিন-জাতীয় পদার্থ বের হয়ে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে। ফেসিয়াল করার পরের ২৪ ঘণ্টা শুধু ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
০ মুখের ত্বকে কোনো কিছু ব্যবহার করতে চাইলে ভালো ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করুন।
০ ত্বক ভালো রাখতে মাসে একবার ফেসিয়াল করতে পারেন।


 

সোমবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৯

যে খাবারগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেবে

ত্বক ভালো রাখতে অবশ্যই আমাদের নিজের লাইফস্টাইল ও খাওয়া দাওয়াতে পরিবর্তন আনতে হবে। বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত দ্রব্য ত্বকে ব্যবহার না করে বরং স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার নিয়ম করে খেলে দেহ ও ত্বক উভয়ই ভালো থাকবে। তাই জেনে রাখুন এমন কিছু পরিচিত খাবার সম্পর্কে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।

গাজর

গাজরে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি ও ক্যারোটিন এবং গাজর হল সবজির মধ্যে সেরা সবজি যার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি ও এটি আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য খুবই ভালো। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গাজর কিংবা গাজরের জুস খাদ্য তালিকায় রাখুন।

পেঁপে

দারুন মজার সুস্বাদু ফল পেঁপে খেতে কে না ভালবাসে। পেঁপেতে আছে ভিটামিন-সি, এ, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও ত্বককে ব্রন ও ব্লেমিসেস থেকে রক্ষা করে। পেঁপে আপনি খেতেও পারেন অথবা পেস্ট করে ত্বকে লাগাতে পারেন।

টম্যাটো

লাল রঙের তাজা এই জুসি সবজিটিতে আছে লাইকোফেন। ত্বকের জন্য টম্যাটো খুবই ভালো, তাছাড়া টম্যাটো দেহের ওজন কমায় এবং ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

সবুজ পাতার শাকসবজি

সবুজ শাকসবজিতে আছে প্রচুর ভিটামিন যা শুধু ত্বকের জন্যই নয় পুরো দেহের জন্য অনেক ভালো। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন সবজি।

স্ট্রবেরি

স্ট্রবেরিতে আছে ভিটামিন সি যা ত্বককে সুরক্ষা দান করে ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি হল একটি হারবাল পানীয় যা ত্বকের জন্য অনেক ভালো। এটি ত্বকের পোড়া দাগ দূর করে, ত্বক নরম রাখে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের গভীর কাল দাগ দূর করে ও ব্লেমিসেস দূর করে।

ব্রকলি

ব্রকলির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ ও সি প্রাকৃতিক ভাবেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।

মাছ

মাছের গুরুত্বপূর্ণ উপদান ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও বিভিন্ন ভিটামিন ত্বকের জন্য খুবই ভালো। তাই উজ্জ্বল ত্বক পেতে বেশি করে মাছ খাওয়া উচিত।