রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২

পায়ের যত্নে ঘরোয়া ফুট স্ক্রাব ও মাস্ক

পা নরম কোমল করতে স্ক্রাবঃ
যা যা লাগবে-
-ব্রাউন সুগার ২ টেবিল চামচ
-লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
-মধু ১ টেবিল চামচ
-অলিভ অয়েল ১ টেবিল চামচ

রেসিপি-
একটি বাটিতে সব উপাদান একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মেশাতে থাকুন যতক্ষণ না এটি নরম পেস্ট আকার ধারণ করে। এবার আপনার পা দুটি একটি বড় গামলায় গরম পানি নিয়ে সেই পানিতে ১০ থেকে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার পায়ের আলগা ময়লা স্তর নরম হয়ে যাবে, বাটি থেকে পেস্ট নিয়ে আপনার পায়ে লাগান এবং আলতো হাতে ঘষতে থাকুন। একই উপায়ে অপর পায়েও এই স্ক্রাব লাগান। কিছু সময় এভাবে পায়ে এই স্ক্রাব ম্যাসাজ করে পা ধুয়ে ফেলুন।
এটি আপনার পায়ের ডেডসেল ও শক্ত ভাব দূর করে পা নারিশ আর সফট করে।

কলা ফুট মাস্কঃ
যা যা লাগবে-
-পাকা কলা
-হালকা গরম পানি(প্রয়োজন মতো)

রেসিপি-
পাকা কলা চটকে আপনার পায়ের গোড়ালিতে লাগান। এটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে আপনার পা ধুয়ে ফেলুন।
এই মাস্কের বিশেষত্ব হচ্ছে যাদের পায়ের গোড়ালি ফাটা বা খসখসে তারা এই ফুট মাস্ক ব্যবহার করার ফলে পা ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন ও পায়ের গোড়ালি নরম কোমল আর সুন্দর হয়ে উঠবে। কারণ কলা আপনার পায়ের জন্য ভালো ফুট ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে।

ফুট ময়েশ্চারাইজার-
যা যা লাগবে-
-পেট্রোলিয়াম জেলি ১ টেবিল চামচ
-লেবুর রস ২ থেকে ৩ ফোঁটা
-গরম পানি
-পায়ের কটন মোজা

রেসিপি-
পেট্রোলিয়াম জেলি ও লেবুস রস দিয়েই আপনি ঘরে বসে আপনার ফুট ময়েশ্চারাইজার বানিয়ে ফেলতে পারেন। এই দুই উপাদান একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তবে পায়ে এটি লাগানোর আগে আপনার পা হালকা গরম পানিতে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার পায়ে এই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে আলতো ম্যাসাজ করে পায়ে মোজা দিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠেই পাবেন সুন্দর কোমল এক জোড়া নজরকাড়া আকর্ষণীয় পা।

ফুট মশ্চারাইজার ক্রিম-
-অলিভ অয়েল ১ টেবিল চামচ
-ল্যাভেন্ডার অয়েল ২ থেকে ৩ ফোঁটা

রেসিপি-
অলিভ অয়েল ও ল্যাভেন্ডার অয়েল একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণ যখন আপনার প্রয়োজন বা ইচ্ছে হয় ব্যবহার করতে পারেন।
শুধু মনে রাখবেন যখনই এই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন ক্রিমটা ভালো ভাবে ঝাঁকিয়ে নেবেন। এটি ব্যবহারে আপনার পায়ের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

পায়ের যত্নে কিছু হ্যান্ডি টিপসঃ
-পর্যাপ্ত পানি পান করুন সাথে তাজা সবজি ও ফলমূল খান।
-পায়ের নিয়মিত যত্ন করুন, পায়ের নখ বেশি বড় না করাই ভালো।
-শুধু মুখের ত্বকে নয় পায়েও ময়েশ্চারাইজার লাগান।
-পায়ে সব সময় হিলজুতো পড়া থেকে বিরত থাকুন। আবার একেবারে খুব পাতলা সোলের জুতাও পরবেন না।
-গরমকালে বেশি পায়ে ঘাম হয় তাই বাইরে থেকে এসে অবশ্যই পা ধুয়ে ফেলবেন।

বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২

শীতে চুলের খুশকি দূর করার সহজ ৫টি উপায়

মাথার তালুর সাদা বর্ণের মৃত চামড়াকে খুশকি বলে। মাথার তালু শুষ্ক হলে অথবা সেবোরহেইক ডারমাটাইটিস এর জন্য খুশকি হয়। এছাড়াও এক্সিমা, সোরিয়াসিস বা ম্যালাসেজিয়া নামক ছত্রাকের আক্রমনেও খুশকি হতে পারে। যে কোন বয়সের মানুষেরই খুশকির সমস্যা হতে পারে, তবে টিনএজার ও প্রাপ্তবয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। এটা বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর একটি সমস্যা তবে মারাত্মক কোন সমস্যা নয়। খুশকির পরিমাণ বেশি হলে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা হতে পারে। খুশকি নিয়ন্ত্রণের জন্য সহজ ও কার্যকরী কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে। আসুন সেই পদ্ধতি গুলো জেনে নেই।

১। ভিনেগার

খুশকি দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে ভিনেগার যা সস্তা ও সহজ লভ্য।আপেল সিডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগার দুইটাই খুশকি নির্মূলের কাজে ব্যাবহার করা যায়।
-এক কাপের ৪ভাগের ১অংশ ভিনেগার এবং ৪ভাগের ৩অংশ পরিমাণ পানি একসাথে মিশিয়ে চুল ধোয়ার পর ব্যাবহার করুন।
-ভিনেগার দেয়ার পর আর চুল ধোবেন না।তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।চুল শোকানোর সাথে সাথে ভিনেগারের গন্ধও চলে যাবে।
-যতদিন না খুশকি দূর হচ্ছে নিয়মিত ভিনেগার ব্যবহার করুন।

২। নিম

নিমে ছত্রাক নাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান আছে।তাই শুধু খুশকি দূর করার জন্যই না মাথার তালুর অ্যাকনি,চুলকানি এবং চুল পড়া বন্ধ করতেও নিম ব্যাবহার করা হয়।নিমকে ইন্ডিয়ান লাইলাক ও বলা হয়।
– চার কাপ পানিতে এক মুঠো নিম পাতা দিয়ে সিদ্ধ করুন
– ঠান্ডা করে মিশ্রণটি ছেকে নিন
– এই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করুন সপ্তাহে ২-৩বার।

৩। নারিকেল তেল

ক্রাঞ্চিবেটি ডট কম এর মতে খুশকির চিকিৎসায় নারিকেল তেল প্রয়োগ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।
-গোসলের আগে ৩-৫ টেবিল চামুচ নারিকেল তেল মাথার তালুতে লাগান এবং এক ঘন্টা রাখুন
-তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৪। মাউথওয়াশ

খুশকির সমস্যা দূর করার জন্য মাউথ ওয়াশ ব্যাবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। খুশকির সমস্যা অনেক বেশি হলে চুল ধোয়ার পর মাথার তালুতে মাউথ ওয়াশ লাগান। এভাবে ৫-১০মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।চোখে যেন না লাগে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সপ্তাহে একবার এটা করতে পারেন।

৫। লেবু

খুশকি দূর করতে লেবু চমৎকার কাজ করে। গোসলের আগে মাথার তালুতে ভালো ভাবে লেবু ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলের আঠালো ভাব দূর করে এবং উজ্জ্বলতা দান করে।
নিয়মিত চুল আঁচড়ান, এতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বাড়বে এবং তেল এর নিঃসরণ বাড়বে। স্ট্রেস এর কারনে খুশকি বাড়তে পারে।তাই স্ট্রেস মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।স্বাস্থ্যকর খাবার খান।অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- ফাস্ট ফুড ও চিনি সমৃদ্ধ খাবার কম খান।ভিটামিন বি৬ ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খান,কারণ এগুলো চুল ও তালুর ত্বক ভালো রাখে।পর্যাপ্ত পানি পান করুন।