বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

ত্বকের দাগ দূর করতে ১৫টি পরামর্শ

১. দাগের ওপর ক্যালামিন লোশন লাগান। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয় এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

২. পাতলা কাপড় বা ছোট তোয়ালেতে একটি বরফ টুকরা নিয়ে দাগের ওপর পাঁচ মিনিট ধরে রাখুন। এটি ধীরে ধীরে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য জ্বালাপোড়া দূর করতে সাহায্য করবে।

৩. বাইরে বের হওয়ার আগে ভালো মানের সানস্ক্রিন (এসপিএফ ১৫+) লাগিয়ে বের হবেন। সূর্যের তাপ আপনার দাগের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

৪. রান্নায় বা খাবার মেন্যুতে আদা ও রসুন রাখার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত ফল ও সবজি খান। নিয়মিত ৬-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

৫. প্রতিদিন বালিশের কাভার বদলে নিন। কারণ, এটি দ্রুত ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে।

৬. লেবুর রস ত্বকে ব্লিচের কাজ করে। এ ছাড়া ঘুমানোর আগে দাগের ওপর ভিটামিন ই কিংবা ক্যাস্টর অয়েল লাগিয়ে রাখতে পারেন।

৭. এক ফোঁটা অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও আট ফোঁটা পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে প্রতিদিন একবার বা দুবার মুখ ধুয়ে নিন।

৮. রসুনের একটি কোয়া নিয়ে পেস্ট করে তাতে এক টেবিল চামচ ময়েশ্চারাইজার মিশিয়ে দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন।

৯. ক্যামোমিল, লেবুর রস ও পানি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে ব্রণ বা অন্য সমস্যা থেকে সৃষ্টি হওয়া দাগ দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর।

১০. সামান্য পরিমাণে ভিনেগার এবং তিনটি আলু (থেঁতলে নেওয়া) একসঙ্গে মেশান। সারা রাত দাগের ওপর দিয়ে রাখুন।

১১. তিনটি গাজর থেঁতলে মুখে ১৫-২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। তার পর দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

১২. সবুজ, অর্থাৎ কাঁচা পেঁপে থেঁতলে ১৫ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।

১৩. সামান্য পরিমাণ মধু, লেবুর রস ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগান। এই মিশ্রণ ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।

১৪. চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান। চন্দন গুঁড়া ত্বককে পরিষ্কার, উজ্জ্বল, ব্রণ, দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
১৫. তিনটি স্ট্রবেরি একটি পাত্রে নিয়ে থেঁতলে নিন। ভিনেগার দিয়ে পেস্ট করে নিন। ত্বকের যেখানে দাগ আছে, সেখানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। বালিশের ওপর একটি তোয়ালে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

এই শীতে রুক্ষ চুল মসৃণ করতে তিনটি উপাদান

যা যা লাগবে

আধা কাপ নারকেলের দুধ,
দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল ও
দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল।

প্রস্তুত প্রণালী

নারকেলের দুধ চুলে তেলের মতোই কাজ করে। যা চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মসৃণ করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। আর নারকেল তেল চুলের গভীরে গিয়ে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। অন্যদিকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে নরম করে এবং চুল পড়া কমায়।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

প্রথমে একটি বাটিতে নারকেলের দুধ ও নারকেল তেল নিয়ে ভালো করে মেশান। এবার এর মধ্যে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল দিন। এই মিশ্রণ পুরো চুলে ভালো করে লাগান। এবার একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। প্রতি সপ্তাহে ১দিন এই প্যাক লাগালে আপনার চুলের রুক্ষতা সহজেই দূর হবে।

সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

ঘরে বসেই করুন গোল্ড ফেসিয়াল

গোল্ড ফেসিয়ালঃ এই ফেসিয়ালে ২৪ ক্যারাট সোনা যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা হয় যা সহজেই ত্বক ভেদ করতে পারে। ত্বকের পুরনো লাবণ্য, উজ্জ্ব্বলতা ফিরিয়ে আনতে গোল্ড ফেসিয়ালের জুড়ি নেই। ত্বকে লুকিয়ে থাকা ধূলো ময়লা, বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনার ক্ষমতা সোনার অসীম। নতুন কোষ জন্মানোর জন্য সোনার অবদান অনেক। ৩৫ এর উপরে বয়স হলে এই ফেসিয়াল করলে যৌবনের সেই নরম তুলতুলে ত্বক ফিরে । এবার জেনে নিন কিভাবে ঘরে বসেই করবেন এই ফেসিয়াল। একটি গোল্ড ফেসিয়াল কিটে থাকে গোল্ড ক্লিনজার, গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব, গোল্ড ফেসিয়াল ক্রিম বা জেল, গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক। - প্রথমে গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি গোল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করুন তারপর গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব দিয়ে মুখের সব মরা কোষ দূর করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে স্ক্রাব করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। -এবার গোল্ড ক্রিম দিয়ে মুখ ম্যাসাজের পালা। এতে আছে গোল্ড ফয়েল, গোল্ড পাউডার, মধু, স্যাফ্রন, এলোভেরা আর চন্দন। যা আপনার ত্বকে বুলিয়ে দেবে কোমল পরশের ছোঁয়া। হালকা হাতে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। -এবার ধীরে ধীরে গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করুন মাস্ক শুকানো পর্যন্ত। তারপর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে মাস্ক তুলে ফেলুন। মাস্কে বিদ্যমান হলুদ, গোল্ড ফয়েল, আর এলোভেরা আপনার ত্বকে এনে দেবে সোনালি আভা। এই ফেসিয়াল করার পর ৩০% পর্যন্ত পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

শীতে ত্বকের যত্নে ফেসপ্যাক

হলুদ ও দুধ –

১ চা চামচ হলুদের সঙ্গে প্রয়োজন মতো দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। ত্বক শুষ্ক হলে কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল দিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত। এটি বিবর্ণ ত্বকে জৌলুস ফিরিয়ে আনবে।

বেসন ও দুধ –

বেসন ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ত্বকে চক্রাকারে ঘষে লাগান এটি। এই ফেসপ্যাক মরা চামড়া দূর করে উজ্জ্বল ও কোমল করবে ত্বক।

গ্রিন টি ও মধু –

যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কার্যকর এই ফেসপ্যাক। ব্যবহৃত গ্রিন টি এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।

দই –

প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে দই। দই সরাসরি ত্বকে লাগাতে পারেন। বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালেও উপকার পাবেন।

চন্দন –

চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। দেখুন কেমন উজ্জ্বল দেখাচ্ছে ত্বক!

বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে ত্বকে আনুন সতেজভাব

ম্যাসাজ
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে এটা হলও সবচাইতে সহজ ও দ্রত একটি উপায়। কিছু পরিমাণ অলিভ অয়েল হাতের তালু ও আঙ্গুলে নিয়ে নিজের আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকের রক্ত চলাচল দ্রুত হবে। যার ফলে, চেহারার মাঝে থাকা ক্লান্তির ছাপ একেবারেই চলে যাবে। 

এক্সফলিয়েশন
সুস্থ ত্বকের জন্য এক্সফলিয়েশন খুবই জরুরি। নিয়মিত এক্সফলিয়েট করার ফলে ত্বকের গভীরে থাকা ময়লা ও মরা চামড়া উঠে যায়। যার ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক রং ও কোমলতা ফিরে পায়। তবে এক্সফলিয়েট করার জন্য খুব ভালো মানের কোন স্ক্রাবার ব্যবহার করা উচিৎ। 

ফেসমাস্ক
অফিস থেকে বাসাতে এসে ঘরে তৈরি যে কোন ফেসমাস্ক ব্যবহার করা সবচাইতে উপকারী একটি উপায়। যা একই সাথে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে, ত্বকের ময়লা দূর করতে, ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে। ঘরে তৈরি এই ফেসমাস্ক এর জন্য খুব বেশী উপাদানের প্রয়োজন নেই। এই ফেসমাস্ক মধু-কলা দিয়ে তৈরি হতে পারে, অথবা টমেটো-লেবুরও হতে পারে। 

স্কিন টোনার
এটা হলো ত্বকের ক্লান্তি দূর করার অন্যতম সহজ ও দারুণ একটি উপায়। কর্মব্যস্ততা শেষে ত্বকের জন্য মানানসই টোনার ব্যবহারে সতেজভাব চলে আসে মুখের মাঝে। প্রতিদিনের ব্যবহৃত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখে ভালোভাবে পরিষ্কার করে এরপর তুলার বলের সাহায্যে ত্বকে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ব্যবহারে ত্বকের রোমকূপ ছোট হয়ে যায় এবং ত্বক টানটান থাকে। 

গোলাপজল
ত্বকের যত্নে ও ত্বকের পরিচর্যার জন্য গোলাপজন বহুল ব্যবহৃত একটি সাধারণ ও প্রচলিত উপাদান। গোলাপজল ব্যবহারে ত্বকের হাইড্রেশন বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ত্বকের ক্লান্তি দূর হয়ে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও রং ফিরে পায়। একটি তুলার বলে গোলাপজল নিয়ে পুরো মুখ ও ঘাড়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এক ঘণ্টা রেখে দেবার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

বরফের টুকরা
বাইরে থেকে ফেরার পর ত্বকে ঠাণ্ডা কিছু লাগালে তাৎক্ষণিকভাবে ত্বকে সতেজভাব চলে আসে। এর জন্যে দুই-তিন টুকরা বরফ একটি তুলার কাপড়ের মাঝে নিয়ে এরপর পুরো মুখ জুড়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এর ফলে ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা চলে আসে। 

অ্যালোভেরা জেল
ত্বকের উপকারের জন্য অ্যালোভেরা জেলের গুণ অগণ্য। বিভিন্ন উপায়ে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রাকৃতিক অ্যালভেরা জেল ব্যবহার করা যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে। সারাদিন পর অল্প পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যাবে অনেকটা। কিছু পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে মুখে ও ঘাড়ে ভালোভাবে ঘষে ১৫-৩০ মিনিত সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে।  এরপর ঠাণ্ডা পানি অথবা সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। 

শসা
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে যখন চেহারার মাঝ থেকে ক্লান্তির ছাপ দূর করার প্রশ্ন আসে, তখন শসা হলো সবচাইতে উপকারী একটি উপাদান। শসাতে থাকা বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখে।  যে কারণ শসা ব্যবহারে খুব দ্রুত ভালো ফল পাওয়া সম্ভব হয়। এছাড়াও, শসাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পানি। যা ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে। শসা ব্যবহার করতে চাইলে, কিছু পরিমাণ শসা থেঁতলে নিয়ে পুরো মুখের উপরে ছড়িয়ে দিতে হবে। এইভাবে ২০-২৫ মিনিট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে হালকা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। 

ফেসিয়াল ষ্টিম
ষ্টিম বা গরম পানি ভাপ নেওয়ার ফলে মুখের ত্বকের রোমকূপগুলো খুলে যায় এবং তার ভেতরে থাকা ময়লা বের হয়ে আসে। এতে করে ত্বক তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী সতেজ মনে হতে থাকে। ষ্টিম নিতে চাইলে গরম পানির উপর মুখ ঝুঁকিয়ে রেখে মাথার উপরে তোয়ালে দিয়ে দিতে হবে। ১০ মিনিট পর্যন্ত এইভাবে থাকলেই ত্বক তার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাবে।

মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭

খুব সহজে দূর করুন মুখের দুর্গন্ধ!

খুব সাধারণ এই সমস্যাটিকে সহজ কিছু কাজ ও অভ্যাস রপ্ত করার মাধ্যমে দূরে রাখা সম্ভব। এখানে উল্লেখ্য করা হলো এমন কিছু সহজ উপায়ের কথা যা একই সাথে মুখের দূর্গন্ধ দূরে রাখতে এবং মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে। 

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক যে কারোর প্রতিদিন ৬-৮ গ্রাস পরিমাণ পানি পান করা বাধ্যতামূলক। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার অভ্যাসটি গড়ে তুলতে হবে এবং বহাল রাখতে হবে। পানি পান করার ফলে মুখের স্যালাইভা সঠিক মাত্রায় থাকবে। যা ডিহাইড্রেশন তৈরি করতে বাধা দেবে। হ্যালিটোসিস অথবা মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হবার এটা অন্যতম একটি কারণ। 

নিয়মিত দাঁতের পাটি পরিষ্কার করা
মুখের দূর্গন্ধ দূরে রাখার জন্য দাঁতের যথিক পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন দুইবেলা করে দাঁত মাজা মাধ্যমে দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ হওয়ার সম্ভবনা কমে যায় অনেকখানি। 

প্রতিবার খাবার গ্রহণের পর ফ্লস ব্যবহার করা
যে কোন ধরণের খাবার গ্রহণের পরে অবশ্যই মনে করে ফ্লস ব্যবহার করা প্রয়োজন। খাদ্য গ্রহণের পর দুই দাঁতের মাঝে খাদ্যকণা জমে থাকে। যার ফলে দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ হয়ে মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়। অনেক ক্ষেত্রে এইসকল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণের ফলে দাঁত ও মুখের গামে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। এই সকল ধরণের সমস্যা এড়াতে চাইলে প্রতিবার খাবার পরে ফ্লস ব্যবহার খুবই জরুরি। 

প্রতি দুই মাস পরপর টুথব্রাশ বদলানো
বর্তমানে ব্যবহৃত টুথব্রাশটি কতদিন ধরে ব্যবহার করছেন আপনি? নিশ্চয় মনেও নেই শেষ কবে নতুন টুথব্রাশ কিনেছেন। কিন্তু এই ব্যাপারটিতে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। বিশেষত যদি আপনার মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হবার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, টুথব্রাশ দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহারের ফলে তাতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। তাই প্রতি দুই মাস পরপর ব্যাবহৃত টুথব্রাশ অবশ্যই বদলে নেওয়া প্রয়োজন।

চিনিযুক্ত মিন্ট চুইংগাম পরিহার করা
খাওয়াদাওয়ার পরে অনেকেই চিনিযুক্ত মিন্ট চুইংগাম খেয়ে থাকেন মুখে ফ্রেশভাব তৈরি করার জন্য। কিন্তু চিনি থাকার ফলে এইসকল চুইংগাম মুখে অনেক বেশী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে থাকে। যার ফলে হিতে বিপরীত অবস্থা তৈরি হয়।

অতিরিক্ত কফি পান থেকে বিরত থাকা
অতিরিক্ত কফি পানের ফলে মুখের স্যালাইভা তৈরির প্রক্রিয়া ধীর গতির হয়ে যায়। যার ফলে মুখের ভেতরে শুকিয়ে যায় ও ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। যার ফলে মুখের দূর্গন্ধভাব তৈরি হয়। তাই প্রতিদিন শুধুমাত্র এক কাপ কফি পান করা উচিৎ।

জিহ্বার কথা ভুলে গেলে চলবে না
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার করার মাঝে জিহ্বা পরিষ্কার রাখার কথা একেবারেই ভোলা যাবে না। প্রতিদিন বেলায় দাঁত মাজার সময়ে টাং স্ক্রাবার দিয়ে জিহ্বা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে করে জিহ্বা পরিষ্কার থাকে এবং মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হবার সম্ভবনা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

এলকোহল মুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করা
বাজারে ও বিভিন্ন সুপারশপগুলো তে যে সকল মাউথওয়াশ পাওয়া যায়, বেশিরভাগের মাঝেই ২৭ শতাংশ পরিমাণ এলকোহল থাকে। যার ফলে এই সকল মাউথওয়াশ ব্যবহারে মুখ শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই যেকোন মাউথওয়াশ কেনার পূর্বে ভালমতো দেখে কিনতে হবে। 

প্রতিদিনের ওষুধ সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন
বিভিন্ন ধরণের ওষুধ যেমন: অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট, পেইনকিলার এবং অ্যান্টি-হিস্টামিন মুখে স্যালাইভা তৈরির প্রক্রিয়া কমিয়ে দেয়। যার ফলে মুখের ভেতর শুষ্কভাব তৈরি হয় এবং ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এতে করে মুখে কটু গন্ধ তৈরি হয়ে থাকে। তাই এমন ধরণের কোন ওষুধ গ্রহণ করলে অবশ্যই অনেক বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

সুন্দর আর ঝলমলে চুলের জন্য কলার ডিপ কন্ডিশনিং

কলার ডিপ কন্ডিশনিং রেসিপিঃ

যা যা লাগবে

-কলা(২ থেকে ৩ টি)
-নারকেলের দুধ(২ টেবিল চামচ)
-নারিকেল তেল(১ টেবিল চামচ)
-অরগানিক মধু(২ বড় টেবিল চামচ)

যেভাবে করবেন


কলাগুলোর খোসা ছিলে টুকরো টুকরো করে কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এবার ২ টেবিল চামচ নারিকেলের দুধ কলা রাখা বাটিতে ঢালুন। ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল যোগ করুন এতে। এবার ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে দিন। সব উপাদান একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। পুরো উপাদান ভালোভাবে ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে এই পেস্টটি আপনার মাথার ত্বক সহ চুলে লাগিয়ে নিন। চুলে লাগানো শেষে একটি প্লাস্টিকের ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখুন যেন আপনার চুল থেকে কলার প্রতিটি কণা ধুয়ে চলে যায়। এটি আপনার চুল নরম কোমল আর ঝলমলে করে তোলে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার অন্তত এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
যে কারণে এই ডিপ কন্ডিশনিং ব্যবহার করবেনঃ

কলা

কলার পটাশিয়াম চুলের গোঁড়া শক্ত করে। চুলের ভাঙ্গনরোধ করে ও ড্যামেজ চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে। কলায় উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল চুল ময়েশ্চারাইজ করে ও কলার বিদ্যমান ৭৫% পানি আপনার চুলের রুক্ষতা প্রতিরোধ করে।
নারিকেল দুধঃ
নারিকেল দুধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাট থাকে। যা চুল সুন্দরভাবে কন্ডিশনিং করে এবং চুলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আর এর প্রাকৃতিক তেল চুল নারিশ করে।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেলের ভিটামিন ই ও ফ্যাটি অ্যাসিড চুল ময়েশ্চারাইজ করে, চুলের গ্রোথ বাড়িয়ে তোলে, চুল উজ্জ্বল করে ও চুলের ক্যারোটিন লস কমিয়ে তোলে। এমনকি নারিকেল তেল চুলের খুশকি ও অন্যান্য ফাংগাল দূর করতে সাহায্য করে।

অরগানিক মধু

মধু আইরন, জিঙ্ক, সালফার ও ভিটামিন বি-তে ভরপুর যা চুলের গ্রোথ বৃদ্ধির সাথে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
এইসব উপাদানের মিলিত মিশ্রণ স্বাভাবিকভাবেই আপনার চুল সুন্দর আর ঝলমলে করে তোলে। এটি ব্যবহারে আপনার চুল আরও বেশি ম্যানেজেবল ও নজরকাড়া হয়।

সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭

চুলের যত্নে ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাক

১। ডিমের হেয়ার প্যাক

১টি ডিম এবং ৫ চা চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। আপনার যদি তৈলাক্ত চুল হয়, তবে ডিমের সাদা অংশ, রুক্ষ চুল হলে ডিমের কুসুম আর নরমাল চুলের জন্য আপনি সম্পূর্ণ ডিম ব্যবহার করতে পারেন। ডিম আপনার চুলে পুষ্টি যোগায়। টকদই চুলকে সিল্কি, ঝলমলে করে তোলে।

২। বেসন এবং শিকাকাই হেয়ার প্যাক

৩ চা চামচ শিকাকাই গুঁড়ো এবং ৩ চা চামচ বেসন মিশিয়ে নিন। এর সাথে কিছু পরিমাণে পানি মেশান। এই প্যাকটি চুল এবং চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১ ঘন্টা পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই। বেসন এবং শিকাকাই প্রাকৃতিক শ্যাম্পু হিসেবে কাজ করবে।

৩। অ্যাভোকাডো এবং নারকেল দুধের হেয়ার প্যাক

১টি পাকা অ্যাভোকাডো এবং ৫ টেবিল চামচ নারকেল দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এর ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশাতে পারেন। এই প্যাকটি চুল এবং চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া খুশকি, আগা ফাটা রোধ করে থাকে এই প্যাক।

৪। মেথি, দুধ এবং নারকেল তেলের প্যাক

৫। মেয়নেজ এবং ডিমের প্যাক

১টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২ টেবিল চামচ মেয়নেজ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এর সাথে আপনি ১ টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে নিতে পারেন। ৩০ মিনিট এই প্যাক লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। মেয়নেজ এবং ডিম দুটিতেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা চুলের পুষ্টি দিয়ে থাকে। মেয়নেজ চুলকে নরম, ঝলমলে করে তোলে।
বাড়িতে এসব প্রোটিন প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যজ্বল ঝলমলে সুন্দর।

সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭

ঘরে তৈরী এলোভেরার ফেসপ্যাক

যেভাবে তৈরি ও ব্যবহার করবেন অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক
  • একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন।
  • ১ চা চামচ মধু মেশান।
  • আধা চা চামচ লেবুর রস দিন মিশ্রণে।
  • ত্বক পরিষ্কার করে আঙুলের সাহায্যে ঘষে ঘষে লাগান ফেসপ্যাকটি। চক্রাকারে ম্যাসাজ করবেন।
  • ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।
  • ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
  • সপ্তাহে দুইবার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।  
ত্বকে অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন কেন?
  • অ্যালোভেরায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি, বি১, বি২, বি৩, বি৬ এবং বি১২। এগুলো ত্বকের সুস্থতায় কার্যকর।
  • ত্বকের লালচে ভাব দূর করতে পারে অ্যালোভেরা জেল।
  • অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি-সেপ্টিক ও অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান। এগুলো বিভিন্ন জীবাণু থেকে সুরক্ষা করে ত্বককে।
  • অ্যালোভেরা জেল ও লেবুর রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে পারে।
  • লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি। এগুলো ত্বক উজ্জ্বল করে ও ব্রণের দাগ দূর করে।
  • মধু প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে নিয়ে আসে জৌলুস।   
  • মধুতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান ব্যাকটেরিয়ামুক্ত রাখে ত্বক।
  • অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু ও লেবুর রস ধীরে ধীরে ব্রণের দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল করে।

শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

ঘরোয়া উপটান: উজ্জ্বল ত্বক ঝটপট

ফেসপ্যাক ১
  • ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে আধা চা চামচ লেবুর রস মেশান।
  • ২ টেবিল চামচ দুধের সর ও কয়েক ফোঁটা রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল মেশান মিশ্রণে।
  • মুখ ও গলার ত্বকে ফেসপ্যাকটি লাগিয়ে রাখুন।
  • শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান।  
ফেসপ্যাক ২
  • ১টি পাকা কলা চটকে ২ চা চামচ খাঁটি মধু মেশান।
  • ১ চা চামচ লেবুর রস ও কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। মুখের পাশাপাশি গলা ও হাতের ত্বকেও লাগাতে পারেন।
  • ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ফেসপ্যাক ৩
  • ২ চা চামচ ওটমিলের সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ টমেটোর রস মেশান।
  • ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে নেড়ে নিন।
  • ত্বকে লাগিয়ে রাখুন মিশ্রণটি।
  • শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
ফেসপ্যাক ৪
  • ১ চা চামচ বেসনের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ টক দই মেশান।
  • ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল ও আধা চা চামচ নারকেল তেল মিশ্রণে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।   
  •  উপটানটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ফেসপ্যাক ৫
  • ১টি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণটি মুখ ও গলার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ফেসপ্যাক ৬
  • ১ চা চামচ আলুর রসের সঙ্গে ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান।
  • ২ চা চামচ পাকা পেঁপের শাঁস ও ১ চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নেড়ে নিন।
  • উপটানটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন না শুকালো পর্যন্ত।
  • শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন পানির ঝাপটায়।

শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭

সাদা নখ পাওয়ার সহজ টিপস

ঘরে বসে ফটফটে সাদা নখ পাওয়ার ৬টি উপায়:-

১. টুথপেস্ট:- দাঁত ব্রাশ করার মতোই ব্রাশ করুন নখ। টুথ ব্রাশে টুথপেস্ট তা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে নখ। বেশকিছু দিন এই পদ্ধতি চালিয়ে গেলেই পাওয়া যাবে ঝকঝকে নখ।

২. লেবুর-বেসনের পেস্ট:- একটা কাচের পাত্রে বেশ কিছুটা লেবুর রস করে তার সঙ্গে বেসন মেশাতে হবে। লেবুর রস আর বেসনের পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে ওই পেস্ট নখের ওপর লাগিয়ে রাখতে হবে।

৩. ডেনটিউর ক্লিনার:- দাঁতের পাটি পরিষ্কার করার জন্য ওষুধের দোকানে এক ধরণের ট্যাবলেট কিনতে পাওয়া যায়। এই ট্যাবলেট গরম জলে মিশিয়ে সেই জলে মিনিট পাঁচেক ডুবিয়ে রাখতে হবে নখ।

৪. বেস কোট:- নখের সাদা ভাব ধরে রাখতে সবসমইয় নেল পলিশ লাগানোর আগে লাগানো দরকার বেস কোট। এতে নখ ভালো থাকে।

৫. মইশ্চারাইজার:- শীত হোক বা গ্রীষ্ম। হাত সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ধপধপে সাদা নখ পেতে রোজ নিয়ম করে লাগাতে হবে মইশ্চারাইজার।

৬. নেল হোয়াইটনিং পেনসিল:- নখ সাদা রাখার জন্য দোকানে কিনতে পাওয়া যায় নেল হোয়াইটনিং পেনসিল। প্রয়োজনে গোটা ম্যানিকিউরের কিট কিনে বাড়িতেই করা যেতে পারে ম্যানিকিউর। এতে নখ শুধু সাদাই হবে না, ভালো থাকবেও।

বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৭

চুল দ্রুত লম্বা করতে যা করবেন


  • তেল ম্যাসাজ করুনঃ
    চুলের বৃদ্ধিতে সব চাইতে কার্যকরী উপায় হচ্ছে তেলের ম্যাসাজ। নারিকেল তেল,অলিভ অয়েল চুলের জন্য অনেক ভালো। এই দুইটি তেল একসাথে মিশিয়ে কিংবা আলাদা একটি তেল চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • ডিমের হেয়ার মাস্কঃ
    ১ টি ডিম, পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। একটি শাওয়ার ক্যাপ কিংবা কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর মৃদু শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
  • দুধ বা টক দইঃ
দুধ বা দই চুলকে নরম আর মসৃণ করে চুলের রুক্ষতা দূর করে। ফলে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল ফাটবে না। নারিকেল             তেল, আমণ্ড অয়েল (কাঠবাদামের তেল), আধা কাপ দুধ বা টক দই মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ভালোভাবে             চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিন এবং শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এই মিশ্রণটি মাথার               ত্বকে এবং চুলে ভালো করে লাগিয়ে ১ থেকে ২ ঘণ্টা রাখুন। দ্রুত ভালো ফল পাবেন।
  • লেবুর রসঃ
    চুলের সৌন্দর্য চর্চায় লেবুর রসের ব্যবহার নানাভাবে হয়। লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ পানি মেশান। এবার চুলে ভালো করে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • চায়ের লিকারঃ
চুল বৃদ্ধি করতে চায়ের লিকারের তুলনা হয় না। কারণ এটি চুলের কন্ডিশনার হিসেবে খুব ভালো। একটি পাত্রে                   চায়ের লিকার নিয়ে তাতে চুল ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট অথবা গোসল শেষে লিকারটি দিয়ে আস্তে আস্তে চুল ধুয়ে                 ফেলুন। এভাবে ২/৩ দিন চায়ের লিকার ব্যবহার করুন আপনার চুলে।
  • ভিটামিন-ই ক্যাপস্যুলঃ
চুলের বিশেষ যত্নের জন্য চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিন।                  এরপর একে হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভালো                ফলাফলের জন্য পুরোরাত এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহার                    করুন।
এভাবে আপনি ঘরে বসে সহজে আপনার চুল সুন্দর করতে পারবেন এবং চুল দ্রুত বড় হবে।
সতর্কতাঃ
  • চুল মোছার জন্য নরম তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। চুল বেশি ঘষে ঘষে মোছা যাবেনা। এতে চুল ফেটে যায় বেশি। ভেজা চুল আস্তে আস্তে মুছতে হবে।
  • ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না।
  • চুল শুকাতে, চুল ভালোভাবে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে, ফ্যানের বাতাসে বা আলো বাতাসপূর্ণ জায়গায় শুকাতে হবে। কোনক্রমেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যাবে না।
  • ইলেক্ট্রিক সকল যন্ত্র ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
  • চুলের রুক্ষতা কমাতে এবং আগা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা রোধ করতে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা বাদ দিতে হবে। কারণ চুল ধোয়ার ফলে, মাথার ত্বকের তেলও ধুয়ে যায়। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। শ্যাম্পুর রাসায়নিক উপাদানও চুলের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭

দৈনন্দিন রূপচর্চায় কার্যকরী কিছু টিপস

  • ত্বকের রং আরও ফর্সা করার জন্য টক দই লাগান মুখে। যাদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা মধু ও দই মিশিয়ে নিন। মিনিট বিশেক রাখুন মুখে, তারপরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এরকম লাগাতে হবে।
  • প্রাণখোলা হাসি শারীরিক চাপ এবং স্ট্রেস মুক্ত হতে সাহায্য করে। একটি ভালো হাসির পরে ৪০ মিনিট পর্যন্ত শরীরের পেশী শিথিল থাকে।
  • কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে কয়েকদিন ঠোটে ঘষুন ,কালো দাগ উঠে যাবে।
  • রসুন, পিয়াজ, আমলকী আর কোকোনাট অয়েল একসাথে মিশিয়ে হাল্কা গরম করে মাথায় দিয়ে শ্যাম্পু করুন। এটি চুল বৃদ্ধি করবে আর চুল পরা বন্ধ করবে।
  • একটি হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে আপনার কপালে ও ঘাড়ে লাগান। এর ফলে ওই স্থানের মাসেলগুলো রিলেক্স হবে এবং মাথা ব্যথা ও টেনশন কমবে।
  • কয়েকটি পেয়ারা পাতা নিন। তারপর এক গ্লাস পানিতে সিদ্ধ করুন। এবার ওই পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। দাঁত ব্যাথা কমে যাবে।
  • তরমুজের বীচি বেটে ত্বকে লাগালে ত্বক ভালো থাকে। এ ছাড়া ত্বকে সরাসরি তরমুজের বীচির তেল লাগালে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • খালি পেটে ফলের রস পান করা, কিংবা ফল খাওয়া ডায়াবেটিস রোধে খুবই কার্যকর। তবে দেখা গেছে, স্বাদে তিতা ফলের রস খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে করোল্লা বা উচ্ছা জাতীয় খাবার সাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এগুলো জুস বা ভাঁজি করে খাওয়া যেতে পারে। এজন্য অবশ্য আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকা পরিবর্তনের দরকার হবে না।
  • ঘাড়, গলায় ও মুখে পাউডার লাগানোর সময় হালকা ভেজা স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। কমপ্যাক্ট পাউডার সহজে সেট করবে এবং বেশিক্ষণ মেকআপটিকে থাকবে।
  • নিয়মিত সাইকেল চালালে ওজন কমে। সাইকেল চালালে ক্যালোরি খরচ বৃদ্ধি পায় এবং মেটাবলিজম বা বিপাকের হার বৃদ্ধি করে, যার ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে।
  • নেল পলিশ ব্যবহারের আগে স্বচ্ছ নেল পলিশ লাগান। এতে নখ হলুদ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
  • অনেক সময় কোক, পেপসির বোতল ফ্রিজে রেখে দিলেও ঠাণ্ডা হতে সময় নেয়। এক টুকরো ভেজা তোয়ালে দিয়ে বোতলটি পেঁচিয়ে রাখুন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে কোকের বোতল ঠান্ডা হয়ে গেছে।
  • ছিঁড়ে যাওয়া ব্যাগের বেল্ট আপাতত আটকাতে সেফটিপিন ব্যাবহার করুন।
  • গরম পানি শরীরের বিপাক ক্রিয়া খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করে। যার ফলে বাড়তি মেদ কমবে। তবে আরো বেশি কাজ দিবে যদি সকালে খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবু মিশ্রিত করে পান করেন। এটা বডি ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করবে।
  • চুল বড় হোক কিংবা ছোট, খুশকি থেকে বাঁচতে চাইলে তা কখনোই ভেজা অবস্থায় আঁচড়ানো যাবে না।
  • টুথ পেস্ট আর লবণ মিশিয়ে নাকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন নাকে কোন ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস নেই।
  • যদি মুখে কালো দাগ হয়ে যায় তাহলে শশা, পেঁপে আর টমেটোর রস সম পরিমাণে মিশিয়ে মুখে লাগান৷ এই লেপটা যখন শুকিয়ে যাবে তখন দ্বিতীয় বার আবার এই লেপটা লাগান৷ এইভাবে তিন-চার বার এই লেপটা লাগান৷ ২০মিনিট লেপটা লাগিয়ে রাখার পরে মুখটা ভালো করে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন৷
  • মধু ও দুধ একসঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
  • রোদে পোড়া দাগ দূর করতেচিনি ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসেজ করা যেতে পারে। একটি লেবুর অর্ধেকটা রস করে গোসলের পানিতে বা বাথটবে মিশিয়ে নিলে তা ত্বক ও হাত সুন্দর নরম করবে৷ হাতের নখে হলুদ দাগ থাকলে তার ওপর তাজা লেবুর রস কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে, সেই দাগও একেবারে উঠে যাবে এবং নখও শক্ত হবে।
  • কয়েক ফোটা বাদাম বা নারকেল তেল হাতে নিয়ে আস্তে আস্তে চুলের আগায় লাগিয়ে নিন৷ এতে চুলের আগা ফাটা বন্ধ হয়ে চুলকে করবে মসৃণ, সুন্দর৷
  • তক সুস্থ রাখতে রাতে শোবার আগে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে  নিবেন। মুখে মেকাপ থাকলে ভালোভাবে তুলে ফেলতে হবে।
  • শুষ্ক তকের জন্য ৩ ৪ চামচ গরম দুধের মধ্যে ১ চামচ মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এই প্যাকটা ময়শ্চারাইজারের কাজ করবে৷ এই প্যাকটা ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্বলতা বাড়বে।
  • আমলকীর তৈরি তেল চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল পরা কমে, চুলের বাদামী ভাব দূর হয়, চুল দ্রুত বড় হয়, খুশকি মুক্ত থাকে, চুল ঘন হয়।

সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭

কেন মেক-আপ থেকে দূরে থাকবেন?

১. ত্বক
সৌন্দর্যকে ঠিকঠাক রাখার এই প্রসাধনীগুলোর ব্যবহার আপনার ত্বককে কিছুটা সময়ের জন্যে ভালো দেখায় বটে, কিন্তু এর কিছু স্থায়ী নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। আর সেটাও কিন্তু ভবিষ্যতে ভুগতে হবে আপনাকেই। প্রসাধনীগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত নানা রকমের রাসায়নিক পদার্থ খুব সহজেই আপনার ত্বকের সজীবতা আর ত্বকের কোষগুলোর নষ্ট হয়ে যাওয়াকে ত্বরান্বিত করে। আর তাই সৌন্দর্যবৃদ্ধির এই উপকরণগুলো থেকে দূরে থাকলে আপনার ত্বকই ধন্যবাদ জানাবে আপনাকে প্রথমে।

২. সময়
এক গবেষনায় পাওয়া যায় যে সারা বিশ্বে নারীরা কেবল মেক-আপ করার জন্যেই ৪৭৪ দিন ব্যয় করে থাকেন। অদ্ভূত হলেও শুনতে সত্যি এই তথ্যটি বারবার সবাইকে যেন ছোটবেলায় পড়া সময়ের মূল্য রচনাটির কথাই মনে করিয়ে দেয়। সত্যিই তো! প্রতিদিন ঠিক কতটা সময় প্রসাধনীর পেছনে খরচ করছেন আপনি সেটা কি হিসেবে রাখছেন? সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে, সারাদিন নানা কাজের ফাঁকে বেশ কয়েকবার, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেতো রয়েছেই, এছাড়াও আছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপলক্ষ্য। আর তাই প্রসাধনীর ব্যবহার বন্ধ করলে আপনার ত্বকই নয়, এতগুলো সময়ও বেঁচে যায়।

৩. মানসিক সুস্থতা
কেন আপনি প্রসাধনী ব্যবহার করেন? চেহারার অসামঞ্জস্যতা ঢাকবার জন্যেই তো? ভাবুন তো, কয়দিন এমন হয়েছে যে আপনি মেক-আপ করে আপনার সূক্ষ ত্রুটিগুলোকে ঢেকে দিয়ে সবার সামনে হাসিমুখে কথা বলেছেন আর আপনার মাথায় সবসময়ই এই ভয়টা কাজ করেনি যে- মেক-আপটা ঠিকঠাক আছে তো? মুখের দাগটা সবার চোখে পড়ে যায়নি তো? ভেবে দেখুন। কখনোই হয়নি। আর এই সারাটাক্ষণের অস্বাভাবিক মানসিক অস্থিরতা আপনার মানসিক সুস্থতার পথেও বাঁধা হয়ে দাড়ায়। খোলা মনে কোন কিছু করা, বিশেষ করে বৃষ্টিতে বন্ধুদের সাথে হঠাত্ করে ভিজতে যাওয়া আপনার পক্ষে কখনোই সম্ভবপর হয়না। তাই মেক-আপ করা ছেড়ে দিন। নিজের মানসিক সুস্থতাকে নিশ্চিত করুন।

৪. ভালোবাসা
অনেকেই বলে থাকেন যে – মেক-আপ করলে নিজেকে আরো সুন্দর বলে মনে হয়। অনেকের ভালোবাসা পাওয়া যায়। কথাটা কিন্তু একদমই ভুল। আপনার মেক-আপ করা মুখকে তারা কখনোই প্রাধান্য দেবে না যারা আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসে। আর যারা প্রাধান্য দেবে তারা কখনোই আপনাকে ভালোবাসেনি। বরং আপনার ত্রুটিগুলোকে যে বা যারা ভালোবাসবে তারাই আপনার প্রকৃত কাছের মানুষ। মেক-আপ করে তাই অযথাই জীবনের পথে কিছু আগাছাকে তুলে আনবেন না।

৫. দৃঢ়তা
প্রসাধনীর ব্যবহার আপনাকে ক্রমশ নিজে ওপরে থাকা আত্ববিশ্বাস আর দৃঢ়তাকে সরিয়ে ফেলে সেখানে এক ধরনের অসহায় ভাবকে ফুটিয়ে তোলে। কারন আপনি জানেন যে আপনার সমস্ত চেহারার অনেকটাই কিছু পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। আপনার মনে তখন এক ধরনের অনুভূতি কাজ করতে শুরু করে যে প্রসাধনীগুলো ছাড়া আপনি আসলে কিছুই নন। কিন্তু আসলেই তাই কি? ঝেড়ে ফেলুন নিজের জীব্ন থেকে মেক-আপ শব্দটাকে আর নিজের যা আছে সেটার ওপরেই বিশ্বাস গড়ে তুলুন।

৬. টাকা
এ কথাটা না বললেই নয় যে বিশ্বের প্রতিটি নারী-পুরুষই কোটি কোটি ডলার খরচ করেন কেবল প্রসাধনীর জন্যে। আপনি নিজেরও কি সেখানে খুব একটা কম অবদান রয়েছে? যে টাকাগুলো আপনি প্রসাধনীর পেছনে খরচ করছেন সেগুলো দিয়ে মৌসুমী ফল কিনে খান। এতে আপনার ত্বক এমনিতেই ভালো থাকবে। প্রচুর পানি খান। আর কিছু না হলে জমিয়ে রাখুন টাকাগুলো। কিছুদিন পরে নিজেকে কোন উপহার দিন।

শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭

যেভাবে ঘরোয়া ৩টি উপায়ে ত্বকের দাগ দূর করবেন

১) টমেটো ও বেসনের মাস্ক

বেসন ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের নানা ধরণের দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই।
 – ২ টেবিল চামচ বেসনের সাথে প্রয়োজন মতো টমেটো রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
– এরপর এই পেস্টটি মুখ, ঘাড় ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন।
– ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করবেন এই মাস্কটি।

২) শসা ও লেবুর রসের মাস্ক

লেবুর রসের ব্লিচিং এজেন্ট ত্বকের দাগ ফিকে হয়ে আসতে সহায়তা করে এবং শসা প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার হিসেবে ত্বকের যত্ন নেয়।
– ৩ টেবিল চামচ শসা ও ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন।
– এই মিশ্রণটি মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।
– এরপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মাস্কটি প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারবেন।

৩) দুধ, মধু ও লেবুর রসের মাস্ক

প্রাচীনকাল থেকেই দুধ ও মধু রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপাদান বলে এর কদর রয়েছে বেশ।
– ১ টেবিল চামচ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালো করে।
– এরপর মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন মাত্র ১০ মিনিট।
– পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ভালো করে এবং তোয়ালে আলতো চেপে মুখ শুকিয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭

ত্বকের যত্নে চন্দনের ৫ টি অসাধারণ ব্যবহার

# বলি রেখা দূর করে
চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট আছে, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দন একটি চমৎকার anti-aging উৎস হিসেবে পরিচিত।

# রোদে পোড়া দাগ দূর করে
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বক জ্বলা কমাবে।

# ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি নেই। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।

# ডার্ক সার্কেল দূর করে
আপনার যদি ডার্ক সার্কেল থাকে তাহলে অল্প পরিমাণ চন্দনের গুড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হোয়ে যাবে।

# মুখের দাগ দূর করে
ডিমের কুসুম, মধু ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিক্সড করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে প্রতিদিন রাখলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।

# উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ১চা চামচ সাদা চন্দন কাঠের পেস্ট নিয়ে, আধা কাপ দুধের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আবার এই চন্দনযুক্ত দুধ খালিপেটে পান করুন। এরপর ৭-৮টি তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। কিছু সময়ের মধ্যেই রক্তচাপ কমে আসবে। ব্রঙ্কাইটিস রোগের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করলে উপকার পায়া যাবে

বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৭

ত্বকের দাগ দূর করতে পরামর্শ

১. দাগের ওপর ক্যালামিন লোশন লাগান। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয় এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

২. পাতলা কাপড় বা ছোট তোয়ালেতে একটি বরফ টুকরা নিয়ে দাগের ওপর পাঁচ মিনিট ধরে রাখুন। এটি ধীরে ধীরে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য জ্বালাপোড়া দূর করতে সাহায্য করবে।

৩. বাইরে বের হওয়ার আগে ভালো মানের সানস্ক্রিন (এসপিএফ ১৫+) লাগিয়ে বের হবেন। সূর্যের তাপ আপনার দাগের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

৪. রান্নায় বা খাবার মেন্যুতে আদা ও রসুন রাখার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত ফল ও সবজি খান। নিয়মিত ৬-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

৫. প্রতিদিন বালিশের কাভার বদলে নিন। কারণ, এটি দ্রুত ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে।

৬. লেবুর রস ত্বকে ব্লিচের কাজ করে। এ ছাড়া ঘুমানোর আগে দাগের ওপর ভিটামিন ই কিংবা ক্যাস্টর অয়েল লাগিয়ে রাখতে পারেন।

৭. এক ফোঁটা অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও আট ফোঁটা পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে প্রতিদিন একবার বা দুবার মুখ ধুয়ে নিন।

৮. রসুনের একটি কোয়া নিয়ে পেস্ট করে তাতে এক টেবিল চামচ ময়েশ্চারাইজার মিশিয়ে দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন।

৯. ক্যামোমিল, লেবুর রস ও পানি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে ব্রণ বা অন্য সমস্যা থেকে সৃষ্টি হওয়া দাগ দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর।

১০. সামান্য পরিমাণে ভিনেগার এবং তিনটি আলু (থেঁতলে নেওয়া) একসঙ্গে মেশান। সারা রাত দাগের ওপর দিয়ে রাখুন।

১১. তিনটি গাজর থেঁতলে মুখে ১৫-২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। তার পর দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

১২. সবুজ, অর্থাৎ কাঁচা পেঁপে থেঁতলে ১৫ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।

১৩. সামান্য পরিমাণ মধু, লেবুর রস ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগান। এই মিশ্রণ ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।

১৪. চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান। চন্দন গুঁড়া ত্বককে পরিষ্কার, উজ্জ্বল, ব্রণ, দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

১৫. তিনটি স্ট্রবেরি একটি পাত্রে নিয়ে থেঁতলে নিন। ভিনেগার দিয়ে পেস্ট করে নিন। ত্বকের যেখানে দাগ আছে, সেখানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। বালিশের ওপর একটি তোয়ালে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

সৌন্দর্য চর্চায় অ্যালোভেরার বহুরূপী ব্যবহার

কী কী করতে পারে এই অ্যালোভেরা-

একনে বা পিম্পল দূর করে
পায়ের গোড়ালি ফাঁটা কমায়
সান বার্ন দূর করে
ত্বকে বলিরেখা রোধ করে
ত্বকের যৌবন ধরে রাখে
ত্বককে সজীব রাখে
চুলের বৃদ্ধি ঘটায়
মেকআপ উঠাতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

আসুন জেনে নিই অ্যালোভেরার কিছু সহজ ব্যবহার-
শুষ্ক ত্বকের যত্নের কসমেটিক্স এ অ্যালোভেরা থাকে কারণ এটি ত্বককে সজীব করে যা আপনিও বাসায় করতে পারেন। ছুরি দিয়ে অ্যালোভেরার ভিতরের জেল বের করে মুখের ত্বকে লাগালে ত্বক মসৃণ , উজ্জ্বল আর নরম হবে।

বয়সের বাড়ার সাথে আমাদের চামড়ায় ভাজ পড়ে যা আপনি সহজেই রুখতে পারেন এই অ্যালোভেরা ব্যবহার করে কারণ এটি এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। এই জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং এর ভিটামিন এ,বি,সি ও এ উপাদান ত্বকের পুস্টি যোগায়।

রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে এটি ব্যবহার করা হয়। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল আর অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মাস্ক সান বার্ন হয়ে যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বকের মৃত কোষ দূর করার মাস্ক তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে ১ চা চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল যা ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এক চা চামচ ওটমিলের গুড়া আর ১/২ চা চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে মাস্কটি মুখে আর গলায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখবেন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন । সপ্তাহে ১ বার এটি ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান একনে সারাতে আর নুতন কোষ জন্মাতে কার্যকর। অ্যালোভেরার জেল আইস কিউব ট্রেতে করে এলোভেরার আইস কিউব তৈরি করে এই কিউব দিনে দু তিনবার আপনার একনেতে ঘষলে একনের সমস্যা কমে যাবে।

ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্য অ্যালোভেরা অনেক দরকারি । অ্যালোভেরার ব্যবহারে মাথার ত্বকের পি এইচ ঠিক থাকে আর খুসকিও দূর হয় । ২ঃ ১ অনুপাতে এলেভেরা জেল আর ক্যাস্টর ওয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করতে হবে। চুল খুসকিমুক্ত থাকবে।

ঠোঁট এর রঙ উজ্জ্বল রাখতে ঠোঁট নরম আর মসৃন করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটে লাগলেই ঠোঁট উজ্জ্বল হবে। এক টেবিল চামচ চালের গুড়া, আর অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে আস্তে আস্তে এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে । দেখুন ঠোঁট কত উজ্জ্বল, মসৃণ আর নরম।

অ্যালোভেরার এন্টিসেপটিক গুনাগুনও উল্লেখযোগ্য । অ্যালোভেরার পাতার জেল বের ফ্রিজে রাখুন আর অল্প কেটে গেলে বা ক্ষত হলে লাগান । দিনে দুই বা তিন বার লাগালেই ক্ষত আরাম হবে।
অতি অল্প খরচে বাজারে এই অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। আপনার রূপচর্চার এই ঘরোয়া উপাদান টি আপনাকে সতেজ, সুন্দর আর উজ্জীবিত রাখবে।

বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেবে যে খাবারগুলো

গাজর

গাজরে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি ও ক্যারোটিন এবং গাজর হল সবজির মধ্যে সেরা সবজি যার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি ও এটি আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য খুবই ভালো। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গাজর কিংবা গাজরের জুস খাদ্য তালিকায় রাখুন।

পেঁপে

দারুন মজার সুস্বাদু ফল পেঁপে খেতে কে না ভালবাসে। পেঁপেতে আছে ভিটামিন-সি, এ, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও ত্বককে ব্রন ও ব্লেমিসেস থেকে রক্ষা করে। পেঁপে আপনি খেতেও পারেন অথবা পেস্ট করে ত্বকে লাগাতে পারেন।

টম্যাটো

লাল রঙের তাজা এই জুসি সবজিটিতে আছে লাইকোফেন। ত্বকের জন্য টম্যাটো খুবই ভালো, তাছাড়া টম্যাটো দেহের ওজন কমায় এবং ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

সবুজ পাতার শাকসবজি

সবুজ শাকসবজিতে আছে প্রচুর ভিটামিন যা শুধু ত্বকের জন্যই নয় পুরো দেহের জন্য অনেক ভালো। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন সবজি।

স্ট্রবেরি

স্ট্রবেরিতে আছে ভিটামিন সি যা ত্বককে সুরক্ষা দান করে ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি হল একটি হারবাল পানীয় যা ত্বকের জন্য অনেক ভালো। এটি ত্বকের পোড়া দাগ দূর করে, ত্বক নরম রাখে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের গভীর কাল দাগ দূর করে ও ব্লেমিসেস দূর করে।

ব্রকলি

ব্রকলির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ ও সি প্রাকৃতিক ভাবেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।

মাছ

মাছের গুরুত্বপূর্ণ উপদান ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও বিভিন্ন ভিটামিন ত্বকের জন্য খুবই ভালো। তাই উজ্জ্বল ত্বক পেতে বেশি করে মাছ খাওয়া উচিত।

সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭

ব্রণের গর্ত, র‍্যাশ, পোরস, লালচে ভাব দূর করার জাদুকরি উপায়

(১) হলুদ ও লেবুর প্যাক
এক চা চামচ লেবুর রস নিন। এরসাথে মেশান এক চা চামচ হলুদ। আপনি চাইলে কাচা হলুদ কিংবা গুড়ো যে কোনটাই ব্যাবহার করতে পারেন। এবার এই দুটি উপকরণকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে ধুয়ে প্যাকটি মুখে সব জায়গায় সমান করে লাগান। বিশ মিনিট পরে মুখ নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম অথবা লোসন লাগিয়ে নিন।
– প্যাকটি লাগিয়ে অর্থাৎ মুখে লাগানো অবস্থায় চুলার কাছে যাবেন না।
– হলুদ এবং লেবু দুটি উপাদানই ফটোসেন্সিটিভ উপাদান তাই চেষ্টা করবেন প্যাকটি রাতে ঘুমানোর আগে লাগাতে।
– এটি আপনার স্কিনের রেডনেস,পোরস, ব্রণের গর্ত এবং এবং র‍্যাশ দূর করবে খুবই এফেক্টিভ-ভাবে।
টানা দুই সপ্তাহ লাগাবেন। এরপর চাইলে প্যাক টি কন্টিনিউ করতে পারেন। কারন এটি আপনার স্কিনের ব্রাইটনেস বাড়াবে ভীষনভাবে। তিন দিন লাগানোর পর থেকেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন এবং স্কিনের প্রতি ভালো লাগা জাগবে আপনার।

(২) টক দই, লেবুর খোসা এবং গোলাপজল
একটি বাটিতে এক চা চামচ টক দই, এক চা চামচ লেবুর খোসা বাটা এবং সামান্য একটু গোলাপজল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে রাখুন পুরোপুরি না শুকানো পর্যন্ত। পুরো শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি পোরস, গর্ত ইত্যাদি দূর করার সাথে সাথে আপনার স্কিনকে সুপার হাইড্রেট,ময়েশ্চারাইজ এবং সুপার স্মুদ করবে। স্কিনের গ্লো বাড়াবে।
– লেবুর খোসা ব্রণ সৃষ্টিকারি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, স্কিনের রঙ হালকা করে, সান ট্যান দূর করে এবং এটি একটি খুব ভালো এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান।
– গোলাপজল স্কিনের পোরস ছোট করতে সাহায্য করে।
– টক দই স্কিনকে ঠান্ডা রাখে এবং রেডনেস কমায়। এক মাস টানা করুন। নিজের স্কিনের প্রেমে পরে যাবেন নির্ঘাত।

(৩) ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রস
একটি  ডিমের সাদা অংশ নিন। এর সাথে মেশান এক চা চামচ লেবুর রস। ভালো করে মিক্স করুন। এবার এটি মুখে লাগান সমান করে। শুকাতে দিন পুরোপুরি।মুখে টান ধরবে যখন তখন পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন যেন মুখে একটুও থেকে না যায়।
– মুখ উজ্জ্বল হবে, টানটান হবে,পোরস ছোট হবে, গর্ত চলে যাবে।
– সপ্তাহে ৩-৪ দিন করে লাগান এক মাস পর্যন্ত।

বিঃ দ্রঃ
  • যে কোন প্যাক লাগানোর পরই মুখ প্রচুর পানি দিয়ে ধুতে হয়। তাহলে মুখে কিছু থেকে যাবার সম্ভাবনা থাকে না। মুখ ভালোভাবে ক্লিন হয়।
  • অনেকেই আছেন যারা সানব্লক লাগানোটাকে প্রয়োজনীয় মনে করেন না।কিন্তু স্কিন ভালো রাখার জন্য, স্কিনের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া, কুঁচকে যাওয়া রোধ করার জন্য রেগুলার সানব্লক ব্যাবহারের অভ্যাস করা খুবই জরুরি।

শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭

পিল অফ মাস্কেই দূর করুন ব্লাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস

যা যা লাগবে –

(১) হালকা গরম লিকুইড দুধ
– তরল দুধ অথবা গুড়ো দুধ যেকোনো একটা হলেই চলবে।
– গুড়ো দুধ গরম পানিতে গুলে নিবেন।
– দুধটা খুব বেশী গরম হওয়ার দরকার নেই। এমন গরম হতে হবে, যাতে আপনার হাতের আঙুল ডুবালে তা সহনীয় হয়।

(২) আনফ্লেভারড জেলাটিন
– জেলাটিন বিশেষ করে জেলী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি আপনি যেকোনো সুপার শপে পেয়ে যাবেন। খেয়াল রাখবেন জেলাটিনে যেন কোনো ফ্লেভার দেয়া না থাকে।

(৩) ভ্যানিলা এসেন্স
– এই উপকরণটি অপশনাল। যেহেতু আনফ্লেভারড জেলাটিনের গন্ধ অনেকেই পছন্দ করেন না তাই ভ্যানিলা এসেন্স ব্যবহার করতে পারেন। তবে না ব্যবহার করতে চাইলেও কোনো সমস্যা নেই।

প্রস্তুত প্রণালি-
একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ জেলাটিন নিন। এর মধ্যে অল্প অল্প করে গরম দুধ মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি যেন খুব বেশী ঘন বা পাতলা না হয়। এর মধ্যে চাইলে ২ ফোটা ভ্যানিলা এসেন্স যোগ করে নিন এবং মিশিয়ে নিন। মিশ্রনটি বানানোর সাথে সাথেই ফেসে ব্যবহার করে নিবেন।

ব্যবহার বিধি-
প্রথমে মুখ ভালোভাবে ফেসওয়াসের সাহায্যে পরিষ্কার করে নিন। এবারে একটি পরিষ্কার তোয়ালে গরম পানিতে চুবিয়ে নিংড়ে নিন। আপনার ফেসে যে যে স্থানে ব্লাকহেডস অথবা হোয়াইটহেডস আছে, সেই স্থানে এই গরম তোয়ালেটি চেপে রাখুন কিছুক্ষণ। এতে ত্বকের পোরগুলো ওপেন হয়ে যাবে। ব্লাকহেডস অথবা হোয়াইটহেডস সহজে উঠে আসতে সাহায্য করবে। এবার তৈরিকৃত মিশ্রণটি হাতের আঙুলের সাহায্যে আপনার ফেস এর যে যে স্থানে ব্লাকহেডস/ হোয়াইটহেডস এবং অবাঞ্ছিত লোম রয়েছে সেখানে পুরুভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না পর্যন্ত মাস্কটি শুকিয়ে যায়।

মাস্কটি শুকিয়ে গেলে মাস্কের এক সাইড ধরে আস্তে আস্তে টান দিন এবং তুলে ফেলুন। মাস্কটি তুলে ফেলার পর আপনি নিজেই দেখতে পারবেন, মাস্কের সাথে আপনার  ব্লাকহেডস /হোয়াইটহেডস এবং অবাঞ্ছিত লোমগুলো উঠে এসেছে। এরপর ভালো মানের টোনার অ্যাপ্লাই করুন।

বিঃ দ্রঃ
এই মাস্কটি খুব ঘন ঘন ব্যবহার না করাই ভালো। যখন, প্রয়োজন পড়বে শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করবেন। এই তো, জেনে নিলেন কীভাবে ১ টি ফেস মাস্ক ব্যবহার করেই মুখের ব্লাকহেডস, হোয়াইটহেডস এবং অবাঞ্ছিত লোম দূর করবেন।

শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭

ঘাড়ের কালো দাগকে দূর করার সহজ উপায়

ঘাড়ের এই কালো দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করছেন নানা ক্রিম নানা লোশন। কিন্তু এই ক্রিম আর লোশন স্থায়ীভাবে ঘাড়ের কালো দাগ দূর করতে ব্যর্থ হয়। ঘাড়ে এই জেদী কালো দাগ দূর করুন সহজ তিনটি ধাপে।
১। স্টিমিং
২। এক্সফলিয়েটিং
৩। হোয়াইটেনিং প্যাক

যেভাবে করবেন:
প্রথম ধাপ:
একটি টাওয়েল গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে ঘাড়ে ২-৩ মিনিট স্টিম করুন।

দ্বিতীয় ধাপ:
দ্বিতীয় ধাপে এক্সফলিয়েট করতে হবে। এরজন্য প্রয়োজন তিন টেবিল চামচ লবণ, এক চা চামচ বেকিং সোডা অথবা বেকিং পাউডার, দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল। লবণ, বেকিং সোডা এবং অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার পেস্টটি ঘাড়ের কালো দাগের উপর লাগান। এরপর তুলো অথবা লুফা দিয়ে ম্যাসাজ করুন।

তৃতীয় ধাপ:
শেষ ধাপে ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে। চন্দনের গুঁড়ো অথবা মুলতানি মাটির গুঁড়োর সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং চার টেবিল চামচ ঠান্ডা দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার প্যাকটি ঘাড়ের ত্বকে ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এটি সপ্তাহে একবার করুন। আর পেয়ে যান দাগহীন উজ্জ্বল ঘাড়।

বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭

গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে করণীয়

যা যা লাগবে 

১/২ টেবিল চামচ টকদই
১ টেবিলচামচ শসার পেষ্ট
১ টেবিলচামচ গুঁড়া দুধ

যা যা করবেন –

-প্রথমে মুখটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
-তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
-এরপর টক দই, শসার পেষ্ট, গুঁড়া দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ফেলুন।
-প্যাকটি ভাল করে মুখে লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
-শুকিয়ে গেলে কসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এখন আয়নায় নিজের মুখটা দেখুন। দেখবেন বেশ উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। নিয়মিত ব্যবহারে প্রাকৃতিকভাবে আপনার গায়ের রং আগের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে যাবে।

কীভাবে কাজ করে 

টক দই রোদে পোড়া দাগ দূর করে থাকে। এতে ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম আছে যা ত্বকের রং ভিতর থেকে ফর্সা করে। এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজ ও এক্সফোলিয়েট করে থাকে। এছাড়া বলিরেখা দূর করতে টক দই এর জুড়ি নেই।
শসার পেষ্ট ত্বককে ঠান্ডা অনুভূতি দিয়ে থাকে। ত্বকের কালো দাগ, চোখের নিচের দাগও দূর করে থাকে শসা। শসা ত্বকের খুব ভাল টোনার হিসেবে কাজ করে ।
গুঁড়ো দুধে পানি আছে যা ত্বকের পানির পরিমাণ ঠিক রাখে। গুঁড়া দুধ ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে থাকে।

মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭

চুল পড়া নিয়ন্ত্রনে আনতে দরকারি খাবার

১. বাদাম এবং বীজ

পেস্তা বাদাম, ফ্লাক্স সীড (শ্বেত বীজ), মেথি বীজ, আখরোট, তিল প্রভৃতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা অ্যাসিড। যাতে রয়েছে এমন স্থিতিস্থাপক উপাদান যা চুলের ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
২০১৫ সালে জার্নাল অফ কসমেটিক ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদেরকে নিয়মিতভাবে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হয়েছে তাদের চুলপড়া ৯০% কমেছে। এছাড়া ৯০% রোগীরই মাথায় ফের শক্ত চুল গজিয়েছে। মেথি বীজ খুশকি দূর করতে এবং স্বাস্থ্যকর চুল গজানোতে সহায়ক।

২. ডাল

নানা ধরনের ডালবীজে থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্তে লাল কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক। আর রক্তের লাল কোষ আমাদের মাথার ত্বক সজীব রাখে এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে।

৩.স্পিনাক

এই সবুজ এবং পাতাবহুল সবজিটি চুলের জন্য খুবই ভালো। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং আয়রন। চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ আয়রণের ঘাটতি। স্পিনাকে সেবাম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালিসিয়াম এবং পটাশিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা চুলকে উজ্বল এবং শক্ত রাখতে সহায়ক।

৪. ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর বায়োটিন এবং ভিটামিন ডি। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক। চুলপড়া সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ গবেষণায়ই দেখা গেছে চুল পড়ার অন্যতম কারণগুলোর একটি জিঙ্কের ঘাটতি।

৫. চর্বিবহুল মাছ

স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল জাতীয় মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মাথার ত্বকের কোনো ধরনের প্রদাহ হলে তা প্রতিরোধ করে চুল পড়া কমায় এই পুষ্টি উপাদান। আর তাছাড়া মাছে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ এবং প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম। এই পুষ্টি উপাদানগুলোও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

ব্যবহার পদ্ধতি

১টি বড় পেঁয়াজ ভালো করে পিষে ছাকনি দিয়ে ছেকে রস বের করে নিতে হবে। তারপর এই রস পুরো মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে একঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
পেঁয়াজের গন্ধ বেশ তীব্র, যদি সহ্য না হয় তবে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে গোলাপ জল মেশানো যেতে পারে। একঘণ্টা পর মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চুল পড়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করা যাবে।
মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই :
মেহেদীর নির্যাস চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, ডিম মাথার ত্বকে সঠিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে। টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া Hair fall বন্ধে সহায়তা করে।
– মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী নিন, এতে মেশাম ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২-৩ টেবিল চামচ টকদই।
– যদি চুল অনেক শুষ্ক হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল দিয়ে ভালো করে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন।
– এই প্যাকটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন।
– এরপর সাধারণ ভাবে চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি প্রথম দিন চুল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ১ দিন এভাবেই রেখে তার পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন তাহলে সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন।
– এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে।

সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭

সপ্তাহে মাত্র একবার ব্যবহার করুন এই ফেসমাস্ক

যা লাগবে

  • ১ চা চামচ অলিভ অয়েল
  • ১/২ চা চামচ খাঁটি মধু
  • ১ চা চামচ বেকিং সোডা (বেকিং পাউডার নয়, সোডা। যে কোন সুপার শপে কিনতে পাবেন)

যা করবেন

  • -প্রথমে মুখ খুব ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিন।
  • – এরপর সমস্ত উপাদান ভালো করে মিশিয়ে একটা মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • -এই পেস্ট পরিষ্কার ত্বকে মাখুন। তারপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • -১০ মিনিট পর উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • -প্রত্যেক সপ্তাহে মাত্র একবার ব্যবহার করলেই আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, সমস্যাবিহীন ও একেবারেই দাগছোপ মুক্ত।

কীভাবে কাজ করে?

এই মাস্কের মূল উপাদান মধু যা ত্বকে ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ দূর করার মাধ্যমে ব্রণ কমায়। এছাড়াও রোমকূপ সংকুচিত করে ফলে ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও মধু ত্বককে টানটান ও সজীব করে তোলে। এছাড়াও এতে আছে অলিভ অয়েল যা ত্বককে পুষ্টি যোগায়। আছে বেকিং সোডা, যা ত্বকের মরা কোষ কয়েক মিনিটের মাঝেই দূর করে দেয় এবং ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।

রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস

হারবাল বিউটি টিপস

১. আঙুর

অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকের স্বাভাবিকতা কমে গিয়ে ত্বকের ফর্সা ভাব ও উজ্জলতা কালচে হতে থাকে। বাহ্যিক ময়লা আবরনের স্তর এবং সূর্য রশ্নি দ্বারা ত্বকে কালচে ভাবের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ত্বক ফর্সা করতে আঙুরের রস দারুণ উপকারি। কয়েকটি আঙুর নিয়ে মুখে আলতোভাবে ঘষুন। আঙুর বেটে ফেসপ্যাক তৈরি করেও মুখে লাগাতে পারেন।

২.  শসার রস, গ্লিসারিন ও গোলাপ জল, শশার রস।

পরিমাণ মত শশার রসে মিশাতে হবে অল্প গ্লিসারিন আর গোলাপ জল সূর্যের অতি বেগুনি রশ্নি ত্বক পুরিয়ে ফেলে। শসার রস, গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ রোদে পোড়া ত্বকের জন্যে উপকারি। রোদে যাওয়ার আগে এবং বাসায় ফিরে এগুলি একসাথে মিশিয়ে মাখলে ত্বক উজ্জ্বল থাকবে।

৩. চন্দন, হলুদ ও দুধ, চন্দন (sandalwood)

বয়সের ছাপ, বিষন্নতা, অযত্ন, ত্বকে স্বাভাবিক আলো বাতাসের অভাবে, ত্বকের সতেজতা হ্রাস পায়। চন্দন গুড়ার সাথে সামান্য হলুদ গুড়া ও দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ত্বক সতেজ আর সুন্দর করতে এই মিশ্রণটি বেশ কার্যকর।

৪. মধু ও দুধের সর

দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক হবে নরম আর উজ্জ্বল। শীতকালে এই মিশ্রণটি আপনাকে ত্বক নিয়ে অনেকটাই নিরুদ্বেগ রাখবে।

৫. দুধ,লবণ ও লেবুর রস

প্রাত্যহিক কাজ কর্মের বিভিন্ন সময় ত্বকের ভাজে ভাজে ধূলাবালি ও ময়লা লেগে বাহ্যিক ময়লা আবরনের স্তর লোমকূপের মাধ্যেম টিস্যু/কোষে জমা হয়। ফলে ত্বকে অক্সিজেন প্রেবশ করেত পারে না। দুধের মধ্যে এক চিমটি লবণ আর লেবুর রস মেশান। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।

৬. টমেটোর রস

বাহ্যিক ধূলাবালি, ময়লা, সূর্যের তাপ ও অবেহলার কারনে ত্বকের স্বাভাবিক মসৃন ভাব কমে ত্বক রূক্ষ হয়ে যায়। ত্বক নরম করতে টমেটোর রস খুবই কার্যকরী। টমেটোর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগালে ভালো ফল পাবেন।

৭. হলুদ গুড়া, গম ও তিল

অনেকের ত্বকের বিভিন্ন স্থানে অবাঞ্চিত বা অনাকাক্ষিত লোম থাকে। যা মুখের স্বাবাবিত সৌন্দর্য নষ্ট করে। হলুদের গুড়া,গমের ময়দা ও তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বককে অনাকাঙ্ক্ষিত লোমের হাত থেকে দূরে রাখবে।

৮. বাঁধাকপির রস ও মধু

একটা সময় সবারই বয়স বাড়তে থাকে, এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে বিভিন্ন বলিরেখার সৃষ্টি হয়। বাঁধাকপির রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। বলিরেখা দূর করতে এই মিশ্রণ খুব উপকারী।

৯. গাজর

ত্বকে অক্সিজেন এর অভাব হলে উজ্জ্বলতা হ্রাস পায়। ত্বকে ময়লা জমলে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না। গাজরের রস মুখে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। গাজরের রস নিয়মিত মুখে লাগালে ত্বক সতেজ থাকবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে।

১০. মধু ও দারুচিনি

খাদ্যভ্যাস, ময়লা-ধূলাবালি, দুশ্চিন্তা, মানুষিক চাপ, নিদ্রাহীনতা, ধূমপান, মাদক এবং অতিরিক্ত ঘুমের অষুধ সেবনে মুখে ব্রণ হয়। তিন ভাগ মধু ও এক ভাগ দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ব্রণের উপর লাগান। সারারাত রেখে পরদিন ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি আপনার ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করবে।

১১. বাদাম ও লেবুর রস

শহরের যান্ত্রিক পরিবেশে পর্যাপ্ত পরিমান প্রাকৃতিক বাতাস এর অভাব রয়েছে। এর ফলে ব্রন ও ব্ল্যাকহেড এর সৃষ্টি হয়। বাদামের তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। এই মিশ্রণটি ব্রণ ও ব্ল্যাকহেড দূর করবে আর ত্বককে রাখবে সতেজ ও সুন্দর।

১২. আ্যলোভেরার রস

ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমান পানির অভাবে ত্বকের সজীবতা হ্রাস পায়। ত্বক সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে পানি আবশ্যক। আ্যলোভেরার রস মুখে লাগালে ত্বকের দাগ দূর হয়। আ্যলোভেরার রস ত্বকের পানিস্বল্পতা দূর করে লাবণ্য ফিরিয়ে আনে।

১৩. ঘি ও গ্লিসারিন

অনেকেই শরীরের বিভিন্ন স্থানের ত্বকের মসৃনতা বজায় রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাজারের ক্যামিক্যাল যুক্ত এবং বানিজ্যিক ভাবে বিক্রিত প্যাকেট জাক দ্রব্য অনেকক্ষেত্রে বিপরীত প্রভাব ফেলে। ঘি ও গ্লিসারিনের মিশ্রণ খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার। রাসায়নিক ময়েশ্চারাইজারের বদলে এটি ব্যবহার করে দেখুন। তফাত নিজেই টের পাবেন।

১৪. মুলতানি মাটি, নিমপাতা, তুলসিপাতা, গোলাপ পাঁপড়ি এবং গোলাপ জল

মুলতানি মাটি, গোলাপের পাঁপড়ি, নিম পাতার গুঁড়া, তুলসি পাতার গুঁড়া সামান্য গোলাপ জল বা লেবু পাননির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকবে।

১৫. অ্যাপ্রিকট ও দই

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন অনিয়ম ও ত্বকের কোষে পানিশূন্যতা হলে ত্বক শুশ্ক হয়ে যায়। অ্যাপ্রিকট এবং দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বক সতেজ রাখে। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তাহলে এর সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান।

সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭

ঘরে বসেই করে নিন স্পা

কি আছে স্পা-তে?
অনেকগুলো ধাপ আছে স্পা-তে।একসাথে মুখ, চুল, হাত, পা সবকিছুর যত্ন আর নিজের জন্য কিছুটা সময়।মুখের জন্য ঝটপট ফেসিয়াল, চুলের জন্য ট্রিটমেন্ট, হাতে ম্যানিকিউর, পায়ে পেডিকিউর আর একটা ওয়ার্ম বাথ।পার্লার এ করালে বাড়তি ম্যাসাজ অপশনটা পাবেন। ঘরে যদি করেন, সেক্ষেত্রে নিজে করতে পারবেন না, কিন্তু অন্য কারো সাহায্য নিতে পারেন।

কী কী লাগবে?
১) ফেসিয়াল কিট:
মার্কেট থেকে কিনে নিতে পারেন অথবা ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন।এজন্য লাগবে কলা, অ্যালোভেরা, মধু, লেবু, অলিভ অয়েল অথবা বাদাম তেল, আঙ্গুর এর জুস, ডিমের সাদা অংশ আর কিছু অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট।আরও লাগবে ক্লিনজিং মিল্ক, পুদিনা পাতা, টোনার, ময়েশ্চারাইজার।স্ক্রাব স্টিক, ভ্রু তোলার চিমটা।

২) পেডিকিউর কিট:
ফুট ফাইল,ফুট স্ক্রাব ম্যাসাজ লোশন্, কিউটিকল স্টিক, নেইল ক্লিপার, নেইল ফাইল আর ফুট লোশন্।

৩) ম্যানিকিউর কিট:
নেইল পলিশ রিমুভার, নেইল ফাইল, নেইল ক্লিপার, কিউটিকল স্টিক, লোশন।
উষ্ণ গরম পানি, নেইল পলিশ ,আর একটা বেইজ কোট-এগুলো পেডিকিউর এবং ম্যানিকিউর দুটোতেই লাগবে।

৪) হেয়ার কিট:
শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, তেল, আর প্যাকের জন্য ডিম, দই আর লেবু।

৫) রিলাক্স এর জন্য:
আপনার প্রিয় গানের সিডি আর মিউজিক প্লেয়ার, সুগন্ধি মোমবাতি।

কীভাবে করবেন?
প্রথমে নিজের জন্য একটি দিন বের করুন।সেদিন সব কাজ থেকে ছুটি নিন।মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন।আপনার প্রিয় গানগুলো মিউজিক প্লেয়ারে চালিয়ে দিন আর সুগন্ধি মোমবাতিগুলো জ্বেলে দিন।এবার রিলাক্সড থাকুন, সব টেনশন থেকে দূরে।

এবার আপনার গোসলের জন্য রাখা বাথরোবটি পরে নিন।প্রথমেই আপনার পছন্দের তেল হাত দিয়ে ঘষেঘষে মাথায় লাগিয়ে নিন।নারিকেল তেল, বাদাম তেল, অলিভ অয়েল যে কোনোটা। আমার ব্যক্তিগত পছন্দ সব একসাথে মিক্স করে লাগানো।

এবার আসুন মুখে। প্রথমেই মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিন।হালকা করে মুছে তাতে ক্লিনজিং মিল্ক একটু তুলায় নিয়ে ম্যাসাজ করুন। নিয়ম হলো মুখের বাইরের দিক থেকে ভেতরের দিকে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করা। তারপর স্ক্রাব দিয়ে একই-ভাবে ম্যাসাজ করুন। এটা করতে করতে গরম পানি করে ফেলুন আর তারপর একটা বোলে গরম পানি নিয়ে আপনার মুখটা বোলের উপর রেখে তোয়ালে দিয়ে মাথাসহ মুখ ঢেকে ফেলুন।আপনার যদি ব্রণ থাকে তাহলে এই ভাপটা নেয়ার দরকার নেই।

কিছুক্ষণ পর আপনার মুখের পোরগুলো খুলে যাবে, তখন স্ক্রাব স্টিক দিয়ে নাকের, থুতনির ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলুন,ভ্রু তোলার চিমটা দিয়ে ভ্রু তুলে আপনার পছন্দ মতো করতে পারেন।এটা করা হয়ে গেলে এখন প্যাক লাগিয়ে ফেলুন, কলা, মধু, কয়েক ফোটা বাদাম তেল, ডিমের সাদা অংশ, অল্প একটু আঙ্গুরের জুস মিক্স করে প্যাক বানাতে পারেন।চাইলে এস্পিরিন ট্যাবলেট দিতে পারেন, কিন্তু বারবার না দেয়াই ভালো। এই প্যাক না দিতে চাইলে চন্দন আর মুলতানি মাটি গোলাপ জল দিয়ে মিক্স করে লাগাতে পারেন। সব প্যাক-ই শুকানোর অল্প কিছু আগে ১৫-২০ মিনিট রেখে তুলে ফেলতে হয়। তোলার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।

এই ফাঁকে মাথায় শ্যাম্পু করে মাথার প্যাকটাও লাগিয়ে ফেলুন।ডিম, দই আর লেবু মিক্স করে লাগান, যদি আপনার চুল তৈলাক্ত হয় তাহলে ডিমের সাদা অংশ আর শুস্ক চুলের জন্য ডিমের কুসুম দিয়ে তৈরি করুন।প্যাক হাত বা ব্রাশ দিয়ে লাগাতে পারেন।চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগান।

এবার আসুন হাত ও পায়ে।যদি নেইল পলিশ থাকে রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলুন।নেইল ক্লিপার দিয়ে নখ কেটে পছন্দমতো শেপ দিন।ফাইল দিয়ে সমান করে নিন। উষ্ণ পানিতে কিছুটা শ্যাম্পু দিয়ে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন। ৫-১০ মিনিট পর কিউটিকল স্টিক দিয়ে নখের চারপাশে, গোড়ালিতে, হাত ও পায়ের চারপাশে মৃত কোষগুলো তুলে ফেলুন। ফুট ও হ্যান্ড স্ক্রাবার দিয়ে হাত ও পা স্ক্রাব করুন।এই জিনিসগুলো আপনি মার্কেটে কিনতে পাবেন।

এগুলো করা হয়ে গেলে আপনার বাথটাবে উষ্ণ গরম পানি ঢেলে নিন।তাতে ইচ্ছে করলে ফোমিং সোপ দিতে পারেন। আর দিতে পারেন গোলাপের পাপড়ি।গোলাপের গন্ধ আপনাকে সতেজ করে তুলবে। আপনার চুল ধোয়ার জন্য ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন।বাথটাবে আপনি আপনার ইচ্ছেমত ৩০-৪৫ মিনিট রিলাক্স করতে পারেন।বাথটাবে ছাড়াও আপনি উষ্ণ পানির একটা শাওয়ার নিতে পারেন।এরপর খুব ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বকে লাগান।হাত এবং পা এর ক্ষেত্রে এরপর আপনি নখে প্রথমে বেইজ কোট লাগাতে পারেন, এতে নখ হলুদ হয়ে যায় না।এরপর আপনার পছন্দ মতো নেইল পলিশ।

কিছু সতর্কতা:
• আপনার ত্বকে কিছু লাগানোর আগে ত্বকের সেনসিটিভিটি দেখে নিন।হাতে বা অন্য কোথাও আগে অল্প একটু লাগিয়ে টেস্ট করে নিন। কোনও জিনিসে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহার করবেন না।
• গরম পানি ব্যবহারের আগে দেখে নিন ত্বকের জন্য সহনীয় কি না।স্পা নিজের প্রশান্তির জন্য। ঐ সময়টুকুতে কোন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা অথবা ফোন এ কথা বলা অথবা অন্য কোনও কাজ করতে বিশেষজ্ঞরা নিষেধ করে থাকেন।

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সাধারণ ত্বকের জন্য হলুদের ফেইসপ্যাক


যাদের ত্বক সাধারণ তারা এই সময় একটু বেশি সমস্যায় পড়ে থাকেন। কারন যত্ন না নিলে দ্রুত ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক রোদের সংস্পর্শে আসলেই পুড়ে যায়। এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।
একটি বাটিতে ৩ চা চামচ চালের গুড়ো, ১ চিমটি হলুদ গুড়ো, ১ চা চামচ মধু এবং পেস্ট তৈরি করতে প্রয়োজনীয় শসার রস দিন। এরপর এটি খুব ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্টের মত তৈরি করে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে উঠলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

চুলের আগার রুক্ষতা রোধে হেয়ার নারেশিং বাম

চুলের আগার রুক্ষতা রোধে হেয়ার নারেশিং বাম-
যা যা লাগবে
  • ৬০ গ্রাম শেই বাটার
  • ৩০ গ্রাম কোকো বাটার
  • ৩০ গ্রাম নারকেল তেল
  • ২০জজবা অয়েল
  • ২০গ্রাম ক্যামেলিয়া সিড অয়েল
  • ৩ গ্রাম ক্যাস্টর অয়েল
  • ১২ গ্রাম আখরোট তেল
  • ২২ গ্রাম প্রাকৃতিক মোম
  • ১ গ্রাম ভিটামিন ই
  • ল্যাভেন্ডার, লেমনগ্রাস এবং রোজমেরী এসেনশিয়াল অয়েল (৩:২:১ অনুপাতে)
এই উপাদানগুলো যেকোনো  মেগাশপে পেয়ে যাবেন।
যেভাবে তৈরি করবেন
  • একটি প্যানে এসেনশিয়াল অয়েল বাদে সব উপকরণ নিয়ে চুলায় দিন। চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন।  একটি চামচ দিয়ে উপকরণগুলো নাড়তে থাকুন। সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
  • কাচ বা টিনের কৌটায় ঢেলে রাখার আগে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।  এবার গরম গরম মিশ্রণটিকে সেট হবার জন্য রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। এবার আপনার নিজের হাতে তৈরি করা হেয়ার বাম তৈরি ব্যবহার করার জন্য।
ব্যবহার করবেন যেভাবে
– আপনার চুলের আগা খুব বেশি রুক্ষ হলে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া সপ্তাহে ৩/৪ দিন লাগাতে পারেন।
– অল্প পরিমাণে হেয়ার বাম আঙ্গুলে নিন। তারপর দুই হাতে দুই আঙ্গুলে মেখে নিইয়ে আস্তে আস্তে চেপে চেপে চুলের আগায় লাগিয়ে নিবেন।
– হালকা ভেজা চুলে হেয়ার বাম লাগালে খুব তাড়াতাড়ি চুল শুষে নিবে।  চুলে অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব থাকবে না।যদি চুলে তেল চিটচিটে হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে আপনি বেশি পরিমাণে বাম চুলে লাগিয়ে ফেলেছেন।
মনে রাখবে বাড়িতে তৈরি এই হেয়ার নারেশিং বাম ১ মাস রেখে ব্যবহার করতে পারবেন।নিয়মিত ব্যবহারে চুলের আগায় রুক্ষতা ১০০ ভাগ দূর হবে এমন নয়। তবে চুলের আগায় আগের থেকে কোমলতা আসবে। সবাই সুস্থ এবং সুন্দর থাকুন।

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সন্তান জন্মের পর কিভাবে ঝুলে পড়া ত্বকের উপশম করবেন

পানি পান করা বাড়িয়ে দিন

পানি আপনার শরীরের সাথে সাথে ত্বকের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। ঝুলে পড়া ত্বকের প্রতিবিধানে, একটি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার হল পানি পান করা বাড়িয়ে দেওয়া। শরীর থেকে টক্সিন পদার্থকে দূর করতে ও ত্বককে মজবুত করার জন্য পানি একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে তা শরীরের অতিরিক্ত কিছু ক্যালোরিকে বার্ন করতে সাহায্য করে আর এইভাবেই আপনার ত্বককেও উজ্জ্বল ও দৃঢ় রাখে।

বেশি পরিমাণে প্রোটিন খান

বেশি পরিমাণে প্রোটিন খেলে তা শরীরে প্রয়োজনীয় পেশির বৃদ্ধিতে সাহায্য করার মাধ্যমে ত্বকের স্থত্তিস্থাপকতাকে উন্নত করতেও সাহায্য করে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, প্রোটিনে কোলাজেন রয়েছে, যা ত্বককে দৃঢ় করতে ও এর গঠনবিন্যাসকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

ত্বককে এক্সফলিয়েট করুন

ত্বককে মজবুত ও অনেক সময় ধরে দৃঢ় রাখার একটি সহজ উপায় হল, ত্বককে এক্সফলিয়েট (ঘষে ওপরের মৃত কোষের পরত তুলে ফেলা) করা। মহিলারা পেট এবং স্তনের অংশে ঝুলে পড়া ত্বকের সমস্যার সম্মুখীন হয়, যার কিনা প্রতিকারের সহজ উপায়, একটি স্ক্রাবের সাহায্যে ঐ নির্দিষ্ট জায়গা এক্সফলিয়েট করা। স্ক্রাবিং শুধুমাত্র মৃত কোষ দূর করতেই সাহায্য করে না, বরং ঐ নির্দিষ্ট অঞ্চলে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিতে সহায়ক হয়। আর এইবভাবেই ত্বকের ঝুলে পড়াও প্রতিরোধ করে।

ত্বকের ঝুলে পড়ার উপশমে ব্যায়াম সাহায্য করে

নিস্তেজ ও ঝুলে পড়া ত্বকের প্রতিকারে আপনাকে নিয়িমিত ব্যায়াম করতে হবে। স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে, যোগা ও কিছুক্ষণের হাঁটাও আপনাকে সাহায্য করবে। সদ্য শিশুর জন্ম দিয়েছেন এমন মহিলাদের কমপক্ষে ১ বছরের জন্য জিম জয়েন করা উচিৎ না, কারণ এটা তার শরীরের সাথে সাথে ত্বকের পক্ষেও ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। তারচেয়ে আপনি ঘরেই কিছু অ্যারোবেটিক বা কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ করতে পারেন। এছাড়াও মাত্র ৩০ মিনিটের যোগা বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ, শরীরে রক্ত সঞ্চালন উদ্দীপিত করতে যথেষ্ট। নিয়মিত ব্যায়াম, শরীরকে নতুন কোষ দিয়ে পুরানো কোষকে প্রতিস্থাপন করার সুযোগ করে দেয়। সেইসব ব্যায়ামে মনযোগ দিন যেগুলি আপনার পেটের পেশিগুলিতে দৃঢ়তা আনবে।

আপনার স্তনপান করানো উচিৎ

বেশিরভাগ মহিলারাই মনে করেন যে শিশুকে স্তনপান করালে, ত্বক শিথিল হয়ে পড়ে ও ঝুলে যায় কিন্তু সত্যিটা হল, নিস্তেজ, শিথিল ও ঝুলে পড়া ত্বকের মোকাবিলা করতে আপনাকে আপনার শিশুকে স্তনপান করানো উচিৎ।

লোশন দিয়ে মাসাজ করুন

ভিটামিন-ই, সি ও কে সমৃদ্ধ বেবি ক্রিমের ব্যবহার ঝুলে পরা ত্বকের উপাচার করতে সাহায্য করে। আপনার পেট বা ত্বকের যে জায়গাগুলিতে আপনি ঝুলে পড়া ত্বক দেখবেন, সেইসব জায়গায় ঐ ভিটামিন সমৃদ্ধ ক্রিম মাসাজ করুন। যখন আপনি এই ধরণের লোশন দিয়ে ত্বক মাসাজ করেন তখন তা আপনার শরীরে রক্তের সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে আর এইভাবেই আপনার ত্বককেও দৃঢ় করে তোলে। শিথিল অংশগুলিকে দিনে ১ থেকে ২ বার মালিশ করার চেষ্টা করুন।

স্ট্রেংথ ট্রেনিং

আপনার নিয়মিত ব্যায়ামের মধ্যে স্ট্রেংথ ট্রেনিং-কেও অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, যেহেতু এটি আপনার ত্বককে দৃঢ় করার সাথে সাথে ত্বকের ঝুলে পড়া প্রতিরোধেও সাহায্য করে। স্ট্রেংথ ট্রেনিং পেশির সংকোচনকে উদ্দীপিত করে যা শক্তি গড়ে তুলতে ও পরবর্তী সময়ে শরীরে নতুন কোষ ও কলা উৎপাদনে সাহায্য করে।

মন সুস্থ রাখুন

যখন আপনি ঐ ঝুলে পড়া ত্বককে দৃঢ় করে তুলতে সক্ষম হবেন না তখন তা হতাশাজনক হতে পারে এবং আপনি হয়তো মানিসিক চাপ ও বিষণ্ণতা অনুভব করতে পারেন। আপনার পথে হতাশা আসতেই পারে, কিন্তু এই পরিস্থিতির সাথে শান্ত মনে মোকাবিলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীর ও মনকে বিশ্রাম দিন, কারণ ধৈর্য্যই মূল চাবকাঠি। আপনি মাত্র কয়েকদিনেই দৃঢ় ত্বক পেয়ে যেতে পারবেন না।

রঙিন কাজলের উপকথা

পেনসিল লাইনার
পেনসিল লাইনার দিয়ে কাজল সহজে লাগানো যায়, থাকেও বেশিক্ষণ। ব্র্যান্ডের পেনসিল লাইনার সহজে ছড়ায় না। আবার কিছু লাইনার আছে পানিনিরোধক। ফলে সব ঋতুতেই ব্যবহার করা যায়। পেনসিল লাইনারের মধ্যে নিয়র, জর্ডানা, জ্যাকলিন, আয়োনি, পারসোনি, লা ফেম, মেবিলিন, লরিয়েল, ল্যাক্মে, মিস অ্যান্ড মিসেস অন্যতম। এগুলোর দামও বেশি নয়। ৭০-৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
ম্যাক, শ্যানেল, ক্লিনিক, গার্লিন ইত্যাদির ভালো কাজ আছে। দাম ১৯০০-২৫০০ টাকা।

লিকুইড লাইনার
এ ধরনের লাইনার সবচেয়ে পুরনো। এর ব্যবহারও সহজ আর ব্রাশের সাহায্যে ইচ্ছামতো লাইনিং করা যায়। মোটা বা সরু ঠিক যেমনটি আপনি চান। প্রচলিত কিছু লিকুইড লাইনারের মধ্যে রয়েছে ল্যাক্মে, লা ফেম, প্রেস্টিজ, রেভলন, আয়োনি, লা-স্পল্যাশ, জ্যাকলিন। দাম ১৫০-৭০০ টাকার মধ্যে।

রঙিন লাইনার
জর্ডানা, জ্যাকলিন, মিস অ্যান্ড মিসেস, এভার বিউটি’র রঙিন লাইনার আমাদের বাজারে সহজলভ্য। এগুলোর দাম ৮০-২৫০ টাকা।

জেল লাইনার
আজকাল জেল লাইনারের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে আর ব্যবহারও সহজ। জেল লাইনারের সবচেয়ে বড় গুণ হলো এর পিগমেন্টেশন। এটি গাঢ় রং দেবে আর স্থায়িত্বও অন্য সব লাইনারের তুলনায় বেশি। দেশে এভার বিউটি, নিট্রো, মেবিলন ব্র্যান্ডের জেল লাইনার পাওয়া যায়। দাম ২৫০-১২০০ টাকা পর্যন্ত।

অটোলাইনার
অটোলাইনার এক ধরনের পেনসিল লাইনার। এ লাইনার প্লাস্টিক হোল্ডারে থাকে এবং রোলিংয়ের সাহায্যে ব্যবহার করতে হয়। সহজে ব্যবহার করা যায়, তাই দিন দিন মেয়েদের কাচে জনপ্রিয় হচ্ছে। পাওয়া যায় মেবেলিন কোলোসেল, ল্যাক্মে আইকনিক, রেভলন কালার স্টে, মেবিলিন আই ডিফাইনড, লরিয়েল ইনফ্লেবল, মিস অ্যান্ড মিসেস এবং জর্ডানার অটোলাইনার। দাম ২৫০-৭০০ টাকার মধ্যে।

পাউডার বা ডাস্ট লাইনার
আইশ্যাডো পাউডারের মতো কিছু আইলাইনার পাওয়া যায়, যেগুলোকে ডাস্ট লাইনার বলা হয়। এসব পাউডার লাইনার স্মোকি আই মেকআপ করতে বেশি ব্যবহার করা হয়। দাম ১৫০-৩০০ টাকার মধ্যে।

ওয়াটারপ্রুফ লাইনার
ওয়াটারপ্রুফ লাইনারের দাম একটু বেশি হয়। বাজারে রেভলন, লা ফেম, মেবিলিন ব্র্যান্ডের ওয়াটারপ্রুফ লাইনার পাওয়া যায়।

কোথায় পাবেন
বসুন্ধরা সিটি, আলমাস, প্রিয়, বডি লাইন, গাউসিয়া, ইস্টার্ন প্লাজা, মৌচাক ও যেকোনো ভালো কসমেটিকসের দোকানে।

টিপস
প্রসাধনী কেনার সময় অবশ্যই ভালো দোকান থেকে কিনবেন, বিশেষ করে চোখের প্রসাধনী। চোখ স্পর্শকাতর জায়গা, আপনার প্রসাধনীটি নকল হলে ক্ষতির আশঙ্কা।