সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পার্লারের মতো ম্যানিকিওর করুন বাসাতেই

১) নেইল পলিশ দেবার আগে উষ্ণ সাবানপানিতে হাত কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে হাত ধুয়ে নিতে পারেন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করবেন না, এটা হাতের ত্বক রুক্ষ করে দেবে। এরপর হাতে একটা ভালো হ্যান্ড ক্রিম মেখে নিতে পারেন। পার্লারের ম্যানিকিওরের বিকল্প হিসেবে এটা কাজ করবে।

২) বেস কোট এবং টপ কোট দেওয়াটা জরুরী। বেস কোট আপনার নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, নেইলপলিশের রঙ নখে শুষে নিতে বাধা দেয়। নখ হলদেটে হওয়া থেকে রোধ করে। আর টপ কোট দিলে অনেকদিন নেইল পলিশের রঙ এবং ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকে। সহজে চলটা ওঠে না।

৩) ফ্যান ছেড়ে রেখে তার নিচে বসে অনেকে নেইল পলিশ দেন। ভাবেন এতে দ্রুত নেইল পলিশ শুকিয়ে যাবে। কিন্তু এর ফলে আসলে কৌটার নেইল পলিশ শুকিয়ে যায় এবং বেশিদিন ব্যবহার করা যায় না।

৪) নখ দ্রুত শুকানোর জন্য বরফ-পানিতে হাত ডুবিয়ে রাখতে পারেন।

৫) কটন বাড নেইল পলিশ রিমুভারে ডুবিয়ে নিন। নেইল পলিশ দিতে গেলে ছোটখাটো ভুল ঠিক করতে এটা কাজে দেবে।

৬) গ্লিটার নেইল পলিশ সাধারণ নেইল পলিশের চাইতে অনেক বেশি টেকসই হয়। কিন্তু বেস কোট ছাড়া গ্লিটার নেইল পলিশ দেবেন না।

৭) নেইল পলিশ দেওয়া শুরু করার আগেই নেইল পলিশ রিমুভারে ভেজানো একটা কটন বল দিয়ে নখ মুছে নিন। আগের কোন নেইল পলিশ থাকলে সেটা মুছে যাবে আর নখে ভালোভাবে নেইল পলিশ বসবে।

৮) প্রথমে এক স্তর বেস কোট দিয়ে নিন। এটা শুকালে প্রথমে নেইল পলিশের একটা পাতলা স্তর দিন। এরপর দ্বিতীয় একটা স্তর দেওয়া যেতে পারে। সাধারণত তৃতীয় স্তরে নেইল পলিশ দেওয়া লাগে না। এরপরে টপ কোট দিয়ে হাত শুকিয়ে নিন।

৯) অনেকেই বাম হাতে ভালোভাবে নেইল পলিশ দিলেও ডান হাতে দিতে পারেন না। এর জন্য দারুণ একটা ট্রিক হলো আইকা জাতীয় আঠা দেওয়া। এই আঠা আপনার নখের চারপাশের ত্বকে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। এরপরে নখে নেইল পলিশ দিন। এতে আশেপাশের ত্বকে লেগে গেলেও সমস্যা নেই। আইকার স্তর টেনে উঠিয়ে ফেলুন, এর সাথে অতিরিক্ত নেইল পলিশ উঠে চলে যাবে।

১০) খুব বেশি পরিমাণে নেইল পলিশ দেবেন না। এটা মোটা একটা স্তর তৈরি করে যেটা সহজে শুকায় না এবং সহজেই চলটা উঠে আসে। পাতলা করে একটা বা দুটো স্তরে নেইল পলিশ দিন।
১১) নেইল পলিশ জমে ঘন হয়ে গেলে এর কৌটাটাকে ঝাঁকাবেন না। দুই হাতের মাঝে নিয়ে রোল করে নিন।

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ত্বকের জন্য রেগুলার ফেসিয়াল

হানি ফেসিয়ালঃ

প্রথমে ফেসওয়াশ আর স্ক্রাবার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে তারপর ভালো মানের মাস্যাজ ক্রিম দিয়ে হালকা হাতে মাস্যাজ করুন ১০ মিনিট। এরপর একটি গামলাতে গরম পানি নিয়ে মুখে গরম ভাপ নিন। এতে করে আপনার মুখে লোমকূপ গুলো খুলে যাবে। এবার ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াটহেডস থাকলে তা এক্সট্রাকটর দিয়ে পরিষ্কার করুন। এখন নীচের প্যাকটি লাগান।
যা যা লাগবে
১ টেবিল চামচ মধু,
একটি ডিমের কুসুম,
১ চা চামচ অলিভ অয়েল।
প্রণালীঃ
ডিমের কুসুম ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিন। তেল মিশান আবার ভালো ভাবে ফেটান। এবার অন্য একটি বাটিতে মধুর সাথে গরম পানি দিয়ে আলতো হাতে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ডিমের মিশ্রণের সাথে ফেটিয়ে নিন। সমস্ত মুখ এবং গলায় প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সব শেষে মুখে এক টুকরো বরফ ঘষে নিন। এতে খোলা পোর গুলো বন্ধ হয়ে যাবে। কী?? আয়নায় নিজেকে দেখে অবাক হচ্ছেন তো?? গত মাসে এত গুলো টাকা খরচ করে পার্লার থেকে ফেসিয়াল করে যেমনটি দেখাচ্ছিল ঠিক তেমনটিই লাগছে, তাই না? যেহেতু এই ফেসিয়ালে গরম ভাপ দিয়ে স্ক্রাব করে, ত্বক উপযোগী মাস্ক লাগিয়ে মুখের ময়লা পরিষ্কার করা হয় তাই মাসে ২ বার করলে কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না।

এলোভেরা ফেসিয়ালঃ

জানা কথা এলোভেরা ফেসিয়ালে এলোভেরা জেল ব্যবহার হবে। তবে তার আগে জেনে নিন এলোভেরাতে আপনার অ্যালার্জি নেই তো? এলোভেরা জেলে অক্সিন আর গিবেরেলিন্স নামের ২ টি হরমোন আছে। এই ২টি হরমোন ব্রণের সমস্যা দূর করে, সানবার্ন সারিয়ে দেয়, সেই সঙ্গে বয়সের ছাপও চটপট লুকিয়ে ফেলে। শুষ্ক, তৈলাক্ত বা মিশ্র ত্বকের অধিকারীরা অনায়াসে এই ফেসিয়াল করাতে পারেন।
ফেসওয়াশ বা ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে প্রথমে মুখটি পরিষ্কার করে নিন। স্ক্রাবার দিয়ে ত্বকের সব মরা কোষ তুলে ফেলুন। তারপর ব্র্যান্ডেড কোন মাস্যাজ ক্রিম দিয়ে মাস্যাজ করুন ১০-১৫ মিনিট। এবার এলোভেরা দিয়ে একটি প্যাক বানান। একটি শশার খোসা ছড়িয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর ৬ টেবিল চামচ শশার সাথে ৪ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল নিন। এর সাথে ২ টেবিল চামচ প্লেন দই মিশিয়ে নিন। চোখের চারপাশ বাদে পুরো মুখে প্যাকটি লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখটি ধুয়ে ফেলুন।

কিউকাম্বার ফেসিয়ালঃ

প্রথমে ফেসওয়াশ আর স্ক্রাবার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর ভালো মানের মাস্যাজ ক্রিম দিয়ে হালকা হাতে মাস্যাজ করুন ১০ মিনিট। এখন নীচের প্যাক টি লাগান।
যা যা লাগবে – ১টি শশা,
হাফ চা চামচ লেবুর রস,
ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে ফোম করে নেয়া।
প্রণালীঃ শশার খোসা তুলে ফেলুন। তারপর শশাটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর শশার রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ডিমের ফোমটা আলতো হাতে শশার প্যাকের সাথে মেশান। তারপর মুখে গলায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। হয়ে গেল স্বল্প খরচে আপনার কিউকাম্বার ফেসিয়াল। মাসে ২ বার এটা করতে হবে অনুজ্জ্বল, রোদে পোড়া ভাব কমানোর জন্য। তবে যাদের ব্রণ আছে তারা এই ফেসিয়ালে তেমন কোন উপকার পাবেন না।
সর্বোপরি রুটিন মাফিক জীবন যাপন আর পুষ্টিকর খাবার সাস্থ্যজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য। ধুমপান, অ্যালকোহল ত্যাগ করুন দেখবেন এমনিতেই আপনার চেহারা ঝলমল করছে। তবে, এটা সত্যি যে একটি বয়সের পর ত্বক তার মাধুর্য হারিয়ে রুক্ষ শুষ্ক মলিন হয়ে ওঠে তাই এর নিয়মিত যত্ন দরকার।

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

চুল পড়া রোধের কিছু কার্যকরী টিপস

চুল পড়া রোধ করতে হলে অবশ্যই এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন। নিজে নিজে চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিচে চুল পড়া রোধের কিছু  টিপস দেওয়া হলো- 

১।ধূমপান ত্যাগ করুন।এর কারনে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় , রক্ত নালিকাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় । এর কারনে চুল পড়া বেড়ে যায় এবং চুল বাদামি বর্ণ ধারন করে ।
২। অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না। চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী, তাই মাত্রাতিরিক্ত চা, কফি পান করবেন না।
৩। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। আয়রনের অভাবে আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোড়ার (হেয়ার ফলিকল) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে।
৪। ভিটামিন-ই চুল পড়া রোধে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী, তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খান। ভিটামিন-ই চুলের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় যা চুল বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এটি চুল পড়া রোধ করে।
ভিটামিন-ই এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিকেল অপসারণের মাধ্যমে স্কিনকে সুরক্ষিত রাখে। নাশপাতি, বাদাম ও জলপাই তেলে প্রচুর ভিটামিন-ই থাকে। অন্যদিকে ভিটামিনের সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে গম, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি।
৫। স্বাস্থ্যকর খাবার বা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শুধু যে চুল শক্ত করে তা নয়, চুল গজাতেও সহায়তা করে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবারও পরিহার করুন।
৬। ওমেগা- থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে খুব কার্যকর। সাধারণত বিশেষ ধরনের মাছে এই উপাদানটি থাকে। তবে আমাদের দেশে এসব স্যামন, ম্যাকারেল মাছ পাওয়া যায় না। প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড তিসির তেলে পাওয়া যায়। আর এই তেল পাবেন স্থানীয় বাজারেই। মনে রাখবেন, এই তিসির তেল কিন্তু মাথায় লাগানোর জন্য নয় অথবা রান্নায় ব্যবহার করার জন্যও নয়। প্রতিদিন ২ চা চামচ তিসির তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে আসতে পারে। এছাড়া প্রচলিত চুল সুরক্ষার তেল ব্যবহার করার মাধ্যমেও চুলের প্রতি যত্নশীল হোন।
৭। নতুন চুল গজাতে উদ্দীপনা দেবার জন্য প্রতি সপ্তাহে চুলের ত্বক ম্যাসেজ করুন।
৮। চুলে অপ্রয়োজনীয় ঘষা-মাঝা, অতিরিক্ত আচরানো পরিহার করুন। গরম পানি, ড্রায়ার বা এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা চুলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।
৯। চুলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
১০। পর্যাপ্ত ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
টিপস
** চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান অথবা ই ক্যাপ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলে লাগান। ক্যাস্টর অয়েল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন।চুল পরা কমে যাবে।
**যেসব চুলের গোরা চটচটে ও উপরিভাগ রুক্ষ সেসব চুল সাধারনত মিশ্র প্রকৃতির চুল।এরকম চুলে সপ্তাহে অন্তত 3 দিন শ্যাম্পু করুন ও কন্ডিশনার ব্যাবহার করুন।শ্যাম্পুর আগে কুসুম গরম তেলে লেবুর রস মিশিয়ে হালকা মাসাজ করে নিবেন।চুল ভাল থাকবে।