রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯

রূপচর্চায় দই ব্যবহার




ত্বক উজ্জ্বল করে
১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। ভালো করে নেড়ে মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ফিরে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।

ত্বকের ময়লা দূর করে
বড় হয়ে যাওয়া লোমকূপের ভেতর থেকে ময়লা বের করে ত্বক পরিষ্কার রাখে দই। ১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে পরিমাণ মতো দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লাগান।

বলিরেখা দূর করতে
১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে অর্ধেকটি কলা চটকে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে। মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে
দইয়ের অ্যাসিডিক উপাদান ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে ব্রণমুক্ত রাখে ত্বক। দইয়ের সঙ্গে ১ চিমটি জয়ফল গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেল ধুয়ে ফেলুন।

খুশকি দূর করতে
১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ বেসন মিশিয়ে তৈরি করুন হেয়ার প্যাক। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। নিয়মিত ব্যবহারে খুশকি দূর হবে। এছাড়া দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।

চুল পড়া কমাতে
সমপরিমাণ দই ও নারকেলের দুধ মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। এটি চুল কমানর পাশাপাশি চুলে নিয়ে আসবে ঝলমলে ভাব।

শুষ্ক চুলের যত্নে
শুষ্ক ও রুক্ষ চুলে প্রাণ ফেরাতে দইয়ের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ৩ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন চুলে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। চুলের রুক্ষতা দূর হবে।

চুল ঝলমলে করতে
দই ভালো করে ব্লেন্ড করে চুলে লাগান। একটু তোয়ালে দিয়ে চুল ঢেকে নিন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। চুল হবে উজ্জ্বল ও ঝলমলে।

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৯

চোখের পাশের বলিরেখা মুছার কৌশল


মধুর একটি জাদুকরী প্যাক
-১ টেবিল চামচ মধু হালকা গরম করে নিন। এই গরম মধুর সাথে একটা ডিমের কুসুম ভালো করে মেশান।
-সাথে যোগ করুন মিহি করে গুঁড়ো করা ওটস ১ টেবিল চামচ। মিশ্রণ বেশী ঘন হয়ে গেলে কাঁচা দুধ যোগ করুন।-এবার এই মিশ্রণ চোখের আশেপাশে মেখে রাখুন ঠিক ১০ মিনিট। একটুও বেশী রাখবেন না।
– ১০ মিনিট পর প্রথমে উষ্ণ পানি ও পড়ে সাধারণ পানি দিয়ে মুখে ধুয়ে ফেলুন।
মাত্র এক মাস অবলম্বন করে দেখুন এই পদ্ধতিগুলো সপ্তাহে ৩ বার করে। আর দেখুন কেমন ম্যাজিকের মত তারুণ্যে ভরে উঠেছে আপনার চেহারা।

রুটি ও মাখনের প্যাক
-পাউরুটি হাত দিয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো করে নিন।
-এবার মাখন চুলায় বা ওভেনে দিয়ে গলিয়ে নিন।
-এই মাখন দিয়ে রুটির গুঁড়োর একটা মোলায়েম পেস্ট তৈরি করুন।
-এই পেস্ট চোখের পাশে মাখিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। শুকিয়ে গেলে আলতো করে তুলে ফেলুন। পানি দিয়ে ধোবেন না। কমপক্ষে ৫/৬ ঘণ্টা পর মুখে পানি লাগান।
-মাখনের বদলে হালকা গরম নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৯

সুন্দর পায়ের ১০ টি কার্যকরী টিপস

১) পায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে গেলে ১ খণ্ড লেবু চিনিতে গড়িয়ে নিয়ে তা দিয়ে পায়ের ত্বক ভালো করে ঘষে নিন। এতে ভালো স্ক্রাবারের কাজ হবে এবং লেবুর ব্লিচিং ইফেক্টের কারণে ছোপ ছোপ দাগ দূর হবে।

২) শুধু মুখের ত্বকেই নয় ময়েসচারাইজার লাগান পায়ের ত্বকেও। এতে করে পায়ের ত্বক থাকবে নরম ও কোমল। শুষ্ক হওয়ার সুযোগই পাবে না।

৩) অনেকের পায়ের গোড়ালির চামড়া মোটা হয়ে ফাটা দাগ হয়ে। এর থেকে মুক্তি পেতে ১ টি পেঁয়াজ পুড়িয়ে নিয়ে হামান দিস্তায় পিষে নিন ভালো করে। এরপর তা পায়ের তলার মোটা ফেটে যাওয়া চামড়ায় লাগান নিয়মিত। ১ মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ।

৪) আধা চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে ফেলুন আধা কাপ টকদইয়ে। এরপর তা দিয়ে পুরো পা ম্যাসেজ করুন। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের পরিবর্তন নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।

৫) রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে কর্ণফ্লাওয়ার মিশিয়ে এতে পা ভিজিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট।

৬) সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন গরম পানিতে সামান্য লবণ এবং শ্যাম্পু দিয়ে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখবেন। এতে পায়ের ময়লা, ধুলোবালি, ফাঙ্গাস এবং ব্যাকটেরিয়া দূর হবে। এবং পায়ের ত্বক এবং নখ ভালো থাকবে।

৭) পায়ের নখ বেশি বড় না করাই ভালো। কারণ পায়ের নখ বড় হলে এতে ময়লা বেশি আটকায়। এতে করে পারে ফাঙ্গাসের আক্রমণ হতে পারে। এছাড়া নখে নেইলপলিশ বেশিদিন রাখবেন না নখে হলদেটে ভাব আসতে পারে।

৮) পায়ের লোম তোলার সময় সতর্ক থাকুন। খুব বেশি ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না। এবং লোম তোলার পর অবশ্যই ময়েসচারাইজার ব্যবহার করবেন।

৯) পায়ের ভালো চাইলে সবসময় হিলজুতো পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। আবার সবসময় পাতলা সোলের জুতোও পড়বেন না। ১ বা ১.৫ ইঞ্চি হিল জুতো পরার অভ্যাস করুন।

১০) পায়ের ত্বকে কোনো ইনফেকশন এবং নখে ফাঙ্গাসের সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা করবেন না একেবারেই। যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।

যদি পেতে চান আকর্ষণীয় সুন্দর নখ

১/ ধরণ সম্পর্কে জানলে ঠিকমতো নখের যত্ন নেওয়া সম্ভব। এতে করে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায়। ভঙ্গুর, শুষ্ক, নরম ও সাধারণ নখের জন্য আলাদা ধরণের যত্নের প্রয়োজন রয়েছে।শুষ্ক নখের জন্য দিনে অন্তত ১ বার অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন। ভঙ্গুর নখে ময়েশ্চারাইজারের অভাব থাকায় দরকার বিশেষ যত্নের। তাই এই ধরনের নখের যত্নে ময়েশ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করুন।নরম নখে ক্যালসিয়ামের অভাব এবং ময়েশ্চারাইজার বেশি থাকায় অনেকে নখ রাখতে পারেন না। তাই নরম নখের অধিকারীরা পানি থেকে একটু দুরে থাকবেন। নখে খুব বেশি পানি লাগাবেন না।

২/ যত্রতত্র নখের ব্যবহার ত্যাগ করতে হবে। টিনের কৌটা খোলা, কৌটার গায়ে লেভেল উঠানো, যে কোন স্থানে নখ দিয়ে খোঁচা মারা ইত্যাদি ত্যাগ করতে হবে।

৩/ সাধারণত কিডনি বা থাইরয়েডের সমস্যা, পুষ্টির অভাব, আয়রন কিংবা অন্যান্য খনিজ পদার্থের অভাবে নখের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়। সে বিষয়ে সঠিক চিকিৎসা সেবা নিতে হবে।

৪/ নখ ভালো রাখতে নখে পানির ব্যবহার কমিয়ে দিন।  বাসার দৈনন্দিন কাজে পানির ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে গ্লাবস ব্যবহার করুন।

৫/নখের আদ্রতা বজায় রাখতে ভালো ব্র্যান্ডের কিউটিকল ওয়েল ব্যবহার করতে হবে। রাতে শোবার আগে নখে অলিভ অয়েল লাগালে নখ শক্ত আর উজ্জ্বল হয়।

৬/ গোসলের পর নখে ভ্যাসলিন লাগালে ভেজা নখের সুরক্ষা হবে।

৭/ অতিরিক্ত নেইল পলিস বা রিমুভার ব্যবহার ত্যাগ করতে হবে। এতে নখের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়।

৮/নখের শেপের ক্ষেত্রে চারকোনা শেপ পরিহার করাই ভালো। এতে নখ তাড়াতাড়ি ভাঙ্গে যায়।

৯/ নখ কাটার পর ফাইল করার সময় অনেক সতর্ক থাকবেন। কারণ নখ ফাইলের সামান্য ভুলের কারণে নখ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে নখের অনেক ক্ষতিও হয়। সবসময় একই দিকে নখ ফাইল করার চেষ্টা করুন।

 ১০/ অনেকেরই নখ কামড়ানোর মতো বাজে অভ্যাস রয়েছে। এ কাজটি নখের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। নখ কামড়ালে এর শেপ এবড়োথেবড়ো হয়ে যায়। তখন হাত দেখতে অনেক বিশ্রী লাগে। তাই নখ কামড়ানোর মতো বাজে অভ্যাসটি দূর করুন।

১১/ নিউ ইয়র্ক মেডিক্যাল কলেজের চর্ম বিশেষজ্ঞ ডেন্ডি এঙ্গেলম্যান ওমেনসহেলথম্যাগ ডটকমের এক প্রতিবেদনে নখের শোভা বাড়াতে বেশ কিছু খাবারের নাম দিয়েছেন। এই খাবারগুলো নখ সুস্থ রাখে।এগুল হল-
  • ডিম
  • ব্রকলি
  • সামন মাছ
  • নারিকেল তেল
  • মুরগির মাংস
  • বেশি করে ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত খাদ্য, ফল-মূল, শুষ্ক ফল এবং সবুজ শাক-সবজি খেলে শরীরের সাথে সাথে নখও কোমল, মসৃণ এবং উজ্জ্বল থাকবে।

সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০১৯

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ফেসপ্যাক


প্রাকৃতিক উপায়ে দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সবচাইতে সহজ এবং সহজলভ্য উপায়টি। সবচাইতে দারুণ ব্যাপার হচ্ছে এই প্রাকৃতিক ফেস প্যাকটির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

যা যা লাগবে

– ১ টেবিল চামচ বেসন
– ১ চা চামচ শসা বাটা
– ১ টেবিল চামচ গাজর বাটা
– ১ চা চামচ মধু
– ১ চা চামচ দুধ

পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধি

  • – প্রথমেই শসা ও গাজর ভালো করে কুচিয়ে ছেঁচে নিন। এরপর সবকটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্টের মতো তৈরি করে নিন।
  • – প্রয়োজন অনুযায়ী উপকরণের পরিমাণ কম বেশী হতে পারে। আপনি নিজের মতো করে সমান অনুপাতে উপকরণ নিতে পারেন।
  • – এরপর এই পেস্টটি ত্বকে লাগিয়ে নিন। শুধু মুখের ত্বকে নয় ঘাড়, গলা, হাত ও পায়ের ত্বকেও ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাকটি।
  • – ১৫ মিনিট এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে রিলাক্স করুন।
  • – এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিন ভালো করে।
  • – চাইলে একটি বরফের টুকরো নিয়ে ত্বক ভালো করে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন এরপরে।
  • – ত্বকের উজ্জ্বলতা নিজেই টের পাবেন এই প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারের পর।

শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৯

নখের কোণা উঠা সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়

– হাত বা পা উষ্ণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। যতটা সহ্য করতে পারেন, ততটা গরম পানি নেবেন।

– কাজ শুরুর আগে মেনিকিউর সেট গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন।

– এবার পা/হাত ভালো করে মুছে নিন। মুছে নেয়ার পর নখ কাটুন। বেড়ে ওঠা বাড়তি নখ ও তার আশেপাশে যতটা সম্ভব কেটে ফেলুন।

– এবার রয়ে যাওয়া বাড়তি নখ চিমটার সাহায্যে সামান্য উঁচু করে ধরুন এবং আরেকটি চিমটার সাহায্যে সামান্য একটু তুলো নখের নিচে গুঁজে দিন। খুব সাবধানে কাজটি করুন। এই কাজটি আপনার নখে ব্যথা হতে দেবে না।

– যতদিন নখে বড় না হচ্ছে আর আপনি কেটে যন্ত্রণাদায়ক বাড়তি কোণা বাদ দিতে না পারছেন, ততদিন পর্যন্ত এভাবেই তুলো দিয়ে রাখুন। দিনে ২/১ বার বা জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে তুলো বদলে দেবেন।

– যদি ইতিমধ্যেই ইনফেকশন হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান। এই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না।

– হাত/পা সর্বদা পরিষ্কার রাখুন এবং এমন হলে মোজা পরিধান করবেন না।

বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯

ফেসিয়াল করুন ঘরে বসেই

ঘরোয়া ফেসিয়ালের নিয়ম-কানুন

ধাপ-১:
ফেসিয়াল করার আগে একটু বড় গলার জামা ব্যবহার করুন। মাথার চুল আঁচড়ে পেছন দিকে ভালো করে বেঁধে ফেলুন, যাতে মুখ বা কপালের ওপর এসে না পড়ে। সাবান দিয়ে ভালো করে দুহাত ধুয়ে নিন। অল্প পরিমাণে লোশন নিয়ে মুখমণ্ডল, গলা ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ক্লিনজিং করার পরই ফ্রেশনিং করবেন। তুলা পানিতে ভিজিয়ে বাড়তি পানি বের করে নিন। এবার ভেজা তুলায় ৫-৬ ফোঁটা ফ্রেশনার ঢেলে নিন। মুখ, গলা ও ঘাড়ে তুলা বুলিয়ে নিন। আপনার ত্বক স্বাভাবিক বা মিশ্র হলে ফ্রেশনিং করার সময় টোনার ফ্রেশনার বা স্কিন টনিক ব্যবহার করবেন। এবার ময়েশ্চারাইজিং লোশন ভালো করে সারা ত্বকে মেখে নিন। পাঁচ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।

ধাপ-২:
এবার ফ্রেসপ্যাক লাগানোর পালা। এ ক্ষেত্রে ত্বক বুঝে ফেসপ্যাক নির্বাচন করতে হবে। স্বাভাবিক ত্বকে মুলতানি মাটির মাস্ক, চন্দনের মাস্ক, মধু ও গাজরের ফেসপ্যাক, অলিভঅয়েল ও ডিমের ফেসপ্যাক, বেসন ও গাজরের ফেসপ্যাক, ময়দা ও মধুর মাস্ক লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে ওটমিল মাস্ক, মধুর মাস্ক, শসা ও ডিমের ফেসপ্যাক, কমলালেবু ও ডিমের ফেসপ্যাক, আপেল ও মধুর ফেসপ্যাক উৎকৃষ্ট। ত্বক শুষ্ক হলে দুধ ও ময়দার মাস্ক, দুধের সর ও মধুর মাস্ক, মাখন ও মধুর ফেসপ্যাক, বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক, দুধের সর ও বাদাম তেলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক মোটামুটি একই জিনিস। দুয়ের মধ্যে পার্থক্য হলো মাস্ক এক ধরনের মিশ্র বস্তুর উপাদানে তৈরি, যা পুরু করে মুখমণ্ডলের ত্বকে সরাসরি লাগাতে হয়। আর ফেসপ্যাক হলো ভিন্ন বস্তুর উপাদান দিয়ে তৈরি।

ধাপ-৩:
মাস্ক মুখে লাগানোর পর মুখ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় ও ত্বকের ওপর শক্ত হয়ে প্রলেপ পড়ে। কিন্তু ফেসপ্যাক সে তুলনায় ধীরে ধীরে শুকাতে থাকে। বাড়িতে মাস্ক বা ফেসপ্যাক ব্যবহারের সময় কিছুটা সতর্কতা পালন করা দরকার। যেমন মাস্ক বা ফেসপ্যাক তৈরি করার সময় যে পানি ব্যবহার করবেন সেই পানি দশ মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নেবেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক রাখার পাত্র হিসেবে কাচ বা চীনামাটির পাত্র ব্যবহার করবেন। মিশ্রণের জন্য প্লাস্টিক বা কাঠের চামচ ব্যবহার করা উচিত। মাস্ক বা ফেসপ্যাক লাগানোর সময় বা লাগানোর পর কথা বলবেন না। চোখ বন্ধ করে ২০ মিনিট বিশ্রাম করুন। এ সময় কচি শসা গোল করে কেটে চোখ ঢেকে দিন। ২০ মিনিট পর প্রথমে কুসুম গরম পানি ও পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখের মাস্ক বা ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলুন।

বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯

দশ মিনিটে তৈরি করুন টক দই


উপকরণঃ

► গুঁড়ো দুধ
► গরম পানি
► লেবুর রস


প্রনালীঃ
► উষ্ণ গরম পানিতে গুঁড়ো দুধ গুলে নিতে হবে। প্রতি কাপ পানির জন্য প্রয়োজন হবে ৩ চা চামচ গুঁড়ো দুধের। এবার এতে মেশাতে হবে লেবুর রস। প্রতি কাপ পানির জন্য ২ চা চামচ লেবুর রস নিন। এরপর মিশ্রণটি ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। দশ মিনিট পরেই তৈরি হবে জমাট বাঁধা টক দই! এভাবে মাত্র দশ মিনিটেই আপনি তৈরি করে ফেলতে পারবেন দই।
এই দই সাধারণ দইয়ের মতোই ব্যবহার করতে পারবেন রান্নায়, রায়তা বা লাচ্ছি তৈরিতে। কাজে আসবে রূপচর্চাতেও!

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৯

রূপচর্চায় আলুর অসাধারণ ব্যবহার

১. চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে হলে আলু কেটে সেখানে লাগিয়ে রাখুন।

২. চোখের ফোলা ভাব দূর করতে হলে আলু চাকতি করে কেটে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। বেশ আরামও পাবেন চোখে।

৩. লেবু রস ও আলু ছেঁচে তার রস মিশিয়ে মুখের লাগান। কালো দাগ black spot দূর হয়ে যাবে।
৪. আলুর রস পুরো মুখে লাগান। ব্রন pimple নিরাময়ে ভালো কাজ দেবে।

৫. মাঝারি সাইজের আস্ত একটি আলু ছেঁচে তাতে একটি লেবুর রস Lemon juice মিশিয়ে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সুস্থতা ফিরে পাবে।

৬. একটি আলু ও একটি শসা Cucumber একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও এক টেবিল চামচ পানি মেশান। এটি একটি দারুণ ক্লিনজার হিসেবে কাজ করবে।

৭. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। তৈলাক্ত ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব দূর হবে।

৮. একটি আলু ছেঁচে তাতে এক টেবিল চামচ দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকের বলিরেখা Skin balirekha দূর করবে।

৯. ত্বকের ওপরে হালকা জখম হলে তাতে আলু পাতলা করে কেটে লাগিয়ে রাখুন। প্রদাহ কমে যাবে। তবে বেশি ক্ষততে লাগাবেন না।

১০. একটি ডিমের সাদা অংশ এবং আলু ছেঁচে তার রস নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। একটি ব্রাশ দিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মাস্কের কাজ করে।

১১. আলু potato ছেঁচে তার রসে একটি টিস্যু বা পেপার টাওয়েল ভিজিয়ে নিয়ে ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এটি একটি উপকারী আলুর ফেস মাস্ক।

১২. আলুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু honey মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ময়েশ্চারের অভাব দূর হবে।

১৩. অতিবেগুনী রশ্মিতে ত্বক পুড়ে গেলে আলুর স্লাইস দারুণ কাজে দেয়।

 ১৪. হালকা চুলকানি, লালচে ভাব হওয়া এবং পোকা-মাকড়ের কামড়ে আলু কেটে লাগালে যন্ত্রণা প্রশমিত হবে।

১৫. রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে dry hair আলু ছেঁচে তার রস লাগালে তা চুলের ময়েশ্চারের কাজ করে।

১৬. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। শুষ্ক ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব চলে আসবে।

১৭. কয়েকটি আলু সেদ্ধ করুন। খোসা ছাড়িয়ে এক ঘণ্টা ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার শুষ্ক চুলে এগুলো ঘষতে থাকুন। ধূসর চুলগুলো চকচকে হয়ে উঠবে।

শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯

চুলপড়া সমস্যা সমাধানে পেয়ারাপাতার ব্যবহার

অনেকেই ঝরে পড়া চুল নতুন করে গজানোর আশায় বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা ওষুধ ব্যবহার করেন। চুল না থাকা সত্ত্বেও মাথার পরিপূর্ণ সৌন্দর্য ধরে রাখতে কেউ কেউ নকল চুলও ব্যবহার করেন। তবে এটা হয়ত অনেকেরই জানা নেই, খুব সহজ ঘরোয়া পদ্ধতিতেই চুল পড়া ঠেকানো ‌যায়।

কীভাবে?

পেয়ারা পাতা দিয়ে। এই পাতা চুল পড়া আটকাতে ও গজাতে ভীষণ কা‌র্যকরি। গবেষকদের দাবি, পেয়ারা পাতা নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মাথার চুলের ঝরে পড়া রোধ হয় এবং চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পেয়ারা পাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য খুবই উপকারী।
তাদের আরো দাবি, পেয়ারা পাতা অবশ্যই মাথার চুল ঝরে পড়া রোধ করবে। সেই সঙ্গে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। এটি চুলের সংযুক্তিস্থল অর্থাৎ গ্রন্থিকোষ ও শিকড়কে অনেক শক্ত করে।

ব্যবহারের বিধিমালা

কয়েকটি পেয়ারা পাতা পরিষ্কার পানি নিয়ে চোলায় বসান
ভালো করে পাতাগুলি ২০ মিনিট সিদ্ধ করুন
দেখুন পেয়ারা পাতার মিশ্রণটি লালচে হয়ে এসেছে। এবার সেটাকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে রেখে দিন।
এবার সেই ঠাণ্ডা হয়ে ‌যাওয়া মিশ্রণটি কোনও একটি বোতলে ঢেলে রাখুন। সময় মত, সেটাকে হেয়ার টনিকের মত মাথার চুলের গোড়ায় নিয়মিত লাগান। মিশ্রণটি বেশি করে বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
রাতে শুতে ‌যাওয়ার আগে এটা দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এরপর সকালে উঠলে তা ধুয়ে ফেলুন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯

নজরকাড়া সৌন্দর্য পেতে বরফের ব্যবহার

ব্রণের সমস্যা সমাধানে বরফ 

যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা খুব সহজে ব্রণের প্রকোপ কমাতে পারেন বরফ ব্যবহার করে। একটি পরিষ্কার প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে ২/৩ টি বরফের টুকরো পেঁচিয়ে নিয়ে ব্যাগটি ব্রণের ওপর ধরে রাখুন ১০ মিনিট। এতে ব্রণের লালচে ভাব দূর হবে এবং ব্রণের আকারও ছোট হয়ে আসবে। প্রতিদিনের ব্যবহারে ব্রণের প্রকোপ থেকে বাঁচবেন।

চোখের ফোলা ভাব কমাতে বরফ 

ঘুম কম হলে কিংবা বেশি হলে আমাদের অনেকেরই চোখের নিচ ফুলে যায়। এতে দেখতে বেশ বিশ্রী দেখায়। এই সমস্যা দূর করবে বরফ। একটুকরো বরফ পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে পেঁচিয়ে ইয়ে চোখের নিচে ফোলা জায়গায় ধরে থাকুন। এতে ফোলা ভাব কমবে। এবং আপনার রাতের ক্লান্তিও দূর করবে। যদি খুব বেশি ফোলা ভাব হয় তবে চিনি ছাড়া গ্রিন টি তৈরি করে তা বরফ করে নিয়ে চোখের নিচে ধরে রাখুন। ভালো ফল পাবেন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বরফ 

শসা এবং স্ট্রবেরি ত্বকের উজ্জলতার জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। ত্বকের উজ্জ্বলতা দ্রুত বৃদ্ধি করতে এই দুটি উপাদানের তৈরি বরফ বেশ কাজে দেবে। শসা অথবা স্ট্রবেরি যে কোন একটি ব্লেন্ডারে খুব ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এটিকে ডীপ ফ্রিজে রেখে বরফ করে নিন। এই বরফ মুখে ঘষুন সপ্তাহে ১ দিন। বরফটি অনেকটা স্ক্রাবারের মত কাজ করবে। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে 

কাজের জন্য বাইরে তো বেরুতেই হয়। অনেক সময়ই ভালো সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার ফলে ত্বকে পরে সূর্য রশ্মির পোড়া দাগ। এই রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্যও বরফ বেশ ভালো একটি উপাদান। ২/৩ টুকরো বরফ পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে পেঁচিয়ে পোড়া স্থানের ওপর ঘষে নিন। এতে পোড়া দাগ দ্রুত মিলিয়ে যাবে।

মেকআপের জন্য ত্বক তৈরি করে নিতে বরফ 

মেকআপ করার সময় অনেকেই একটি সমস্যার সম্মুখীন হন, তা হলো মুখে মেকআপ বসা নিয়ে। অনেকেই দেখেন মেকআপ মুখে ঠিকমত বসে না। ভাসা ভাসা থাকে। এতে মেকআপের কারণে মুখ আরও বিশ্রী হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধান করবে বরফ। মেকআপ শুরু করার আগে ২ টুকরো বরফ মুখে ঘষে নিন। এরপর মেকআপ করলে মেকআপ ত্বকে বসবে ভালো।

বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯

রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার

  • ব্রণ দূরীকরণে
মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যা মুখের ব্রণ সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী। এক চা চামচ মধু এবং হাফ চা চামচ সিনামন ( Cinnamon ) একসাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণ টি কটন বাড অথবা তুলো দিয়ে ব্রণের জায়গায় লাগান এবং তা ১০মিনিট পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের পাশাপাশি এটি মুখের অতিরিক্ত লাল ভাবও দূর করে।
  • চুলের প্যাক হিসেবে
একটি বাটিতে দুই ভাগ মধু এবং এক ভাগ অলিভ অয়েল ( সুবিধা অনুযায়ী অন্য তেল ) মিশিয়ে চুলের উপরিভাগে এবং নিম্নভাগে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। চাইলে এই প্যাকটিতে একটি ডিমের সাদা অংশ আর পেঁয়াজের রস মিলিয়ে নিতে পারেন। এবার চুল ওপরের দিকে উঁচু করে বেঁধে রাখুন। ৩০মিনিট পর শ্যাম্পু করে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। চুল হবে মজবুত, সিল্কি আর উজ্জ্বল।
  • শুষ্ক ঠোঁটের জন্য
রুক্ষ ও প্রাণহীন ঠোঁটের জন্য এক ফোঁটা খাঁটি মধুই যথেষ্ট। প্রতিদিন অন্তত একবার ঠোঁটে তর্জনী অথবা তুলোর সাহায্যে মধু লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে তুলো বা নরম কাপড় ভিজিয়ে ঠোঁট মুছে ফেলুন। আর যদি কোন অস্বস্তি বোধ না হয়, তাহলে ধুয়ে ফেলার দরকার ও নেই।
  • ফেসিয়াল মাস্ক
মুখের রোদে পোড়া কাল দাগ দূর করে চকচকে ভাব ফিরিয়ে আনতে মধুর তুলনা হয় না। বাইরে যাওয়ার ফলে যে ধুলো-ময়লা আমাদের মুখে নিয়মিত জমছে তা পরিষ্কার করাটা খুবই জরুরী। বাজারে যেসব স্ক্রাব পাওয়া যায় তা নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের নানান ক্ষতি সহ গর্তের সৃষ্টি হতে পারে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ ওটস মিশিয়ে মুখে ভালকরে ম্যাসেজ করুন। তারপর উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বাসায় ওটস না থাকলে চালের গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। এই মাস্কটি আপনার ত্বকের মৃত কোষগুলো পরিষ্কার করবে, ব্ল্যাক হেডস দূর করবে এবং ত্বককে করবে আগের মতন প্রাণবন্ত।
  • ত্বক উজ্জ্বল করে
এক টেবিল চামচ মধু, এক চা চামচ টকদই এবং অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে ফেইস ব্রাশ দিয়ে মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। যাদের এলারজির সমস্যা আছে তারা লেবু না দেয়াই ভাল। ২০মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। শুধু মুখেই নয় গলায়, ঘাড়ে, হাতে, পায়েও এই মিশ্রণটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হবে। সেক্ষেত্রে মিশ্রণটির পরিমাণটা বেড়ে যাবে। হাতের কাছে যদি দই বা অন্য কিছু না থাকে তাহলে কিন্তু শুধু মধুও ত্বকে লাগিয়ে নিতে পারেন। এটিও কম কার্যকরী নয়।

ছোট্ট কিছু টিপস-
(১) উন্নতমানের ব্র্যান্ডের মধু ব্যবহার করবেন, বিশ্বস্ত সুত্রে আনিয়ে নিতে পারলে বেশি ভালো হবে।
(২) মৌমাছির মধুতে  অ্যালার্জি থাকলে ফুলের মধু ( যে ফুলে আপনার অ্যালার্জি নেই ) ব্যবহার করতে পারেন।
(৩) মধু ত্বকে লাগানোর পাশাপাশি খেতে পারলে বেশি কাজে দিবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে অল্প লেবু এবং এক চামচ মধু অথবা গ্রিন টি এর সাথে মধু আর লেবু মিলিয়ে খেতে পারেন। এতে ত্বক সুন্দর হওয়ার সাথে পেটের চর্বি কমবে এবং নানান অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্তি লাভ করবেন।
(৪) মধু পরিষ্কার কৌটোয় সংরক্ষণ করবেন এবং ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই।

মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৯

চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করার সহজ উপায়

কেন চোখের নিচের অংশ ফোলার সমস্যা হয়

চোখের নিচ ফুলে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এই কারণগুলো যতোটা সম্ভব বাদ দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। এতে করে চোখ ফোলার সমস্যা হবেই না।
  • – ঘুম কম হলে বা ঘুমের সমস্যা থেকে থাকলে চোখের নিচ ফুলে যায়। সুতরাং আপনাকে নিয়ম করে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
  • – অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে চোখের নিচ ফুলে যায় অনেক বেশী।
  • – অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খাওয়ার কারণে দেহে পানি বেশী জমতে থাকে। এতে করেও অনেকের চোখের নিচে ফুলে যায়।
  • – সাইনাসের সমস্যা থাকলে চোখের নিচের ফোলাভাব বেড়ে যায়।
  • – অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপানের কারণেও চোখের নিচ ফুলে থাকে।
  • – পরিবারের সদস্যদের যদি এমন সমস্যা থাকে তাহলে সেটি আপনার জেনেটিক্যাল ব্যাপার, আর সে কারণেই আপনার চোখের নিচ ফোলা।
জেনে নিন তানিজা আহমেদের খুবই সহজ দুটি সমাধান

১) আলুর রসের ব্যবহার

আলুর রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান চোখের নিচের ফলাভাব এবং সেই সাথে কালচে ভাব দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।প্রথমে একটি আলু গ্রেট করে নিয়ে চিপে রস বের করে নিন। এবং এই রস একটু ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে ফেলুন। ঠাণ্ডা আলুর রস তুলোর বলে লাগিয়ে চোখের উপরে দিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এই ২০ মিনিট রিলাক্স করুন। ২০ মিনিট পর তুলোর বল ফেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন ফোলাভাব অনেকটাই কমে গিয়েছে।

২) ডিমের ব্যবহার

ডিম ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। বিশেষ করে ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে ডিমের সাদা অংশের জুড়ি নেই। একারণেই চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করতে ডিমের সাদা অংশ কার্যকরী। একটি ডিম ভেঙে কুসুম আলাদা করে নিন। এরপর ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে নিন। আঙুলের ডগা দিয়ে এই সাদা অংশ চোখের নিচে লাগান তবে সাবধান থাকবেন যেনো চোখের ভেতরে না যায়। সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন চোখ বন্ধ করে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। চোখের ফোলাভাব খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
যদি এর চাইতেও সহজ পদ্ধতি চান, তাহলে দুটো টেবিলচামচ ডীপে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর এই চামচ চোখের উপরে ধরে রাখুন ১০ মিনিট, এতেও ভালো ফলাফল পাবেন।

রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯

কিভাবে আপনার ভ্রুর যত্ন নিবেন?

চোখ বা ঠোঁটের যত্নে মনোযোগ, কিন্তু ভ্রুর ক্ষেত্রে করা হয় শুধু আই ব্রো প্লাক। আবার ভ্রুর সঠিক সাজ না থাকায় চেহারায় কোথাও একটা ফাঁক থেকে যায়। তাই প্লাক, যত্নআত্তি কিংবা সাজে ভ্রু অবহেলা করবেন না।

ঘন ঘন আই ব্রো প্লাক করবেন না। মাসে একবারই যথেষ্ট। ঘন ঘন আই ব্রো প্লাক করলে শেপ তা সম্পুর্ন কৃত্রিম দেখায়। মাসে একবার প্লাক করলে শেপ টা ন্যাচারাল থাকে।

অনেকে ভ্রুতে কাজল লাগান। কিন্তু কাজল দিলে ভ্রু খুব মোটা লাগে আর বোঝা যায় যে এটা আসল না। তাই ভ্রুর কালার অনুযায়ী হালকা শেডের আই ব্রো পেন্সিল দিয়ে খুব হালকা ভাবে এক একবার টেনে নিন।

ভ্রু প্লাকের সময় বেশি ধনুকের মতো শেপ দেবেন না। আপনার ভ্রু ঠিক যেমন তার থেকে সামান্য বাঁকা ধনুকের শেপ দিন। যেমন ভ্রু তেমন ভাবে প্লাক করুন তাহলে ন্যাচারাল লাগবে।

ভ্রুর কর্নার আর নিচের সাইড বেশি করে প্লাক করবেন। তাহলে ভ্রু বেশ তীক্ষ্ণ দেখাবে। যাই দিয়ে প্লাক করুন না কেন, তা একবার ডেটল জলে ধুয়ে নিতে পারেন। কারণ ডেটল ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।

যাদের ভ্রু পাতলা, প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল তুলায় ভিজিয়ে ভ্রু জোড়ায় লাগাতে পারেন। এটি ভ্রু ঘন করতে সাহায্য করবে।

ভ্রু মোটা রাখলে সাজের ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। চোখে খুব বেশি ভারী মেকআপ নয়, বরং চোখের ওপর মোটা করে এবং কিছুটা টেনে আইলাইনার লাগালেই দেখতে ভালো লাগবে। সে ক্ষেত্রে চোখের নিচে কাজল দেওয়ার দরকার নেই। তবে পাপড়িতে ঘন করে মাশকারা লাগাতে ভুলবেন না।

চোখের সাজটা হালকা হওয়ায় ঠোঁট সাজাতে পারেন নিজের পছন্দের যেকোনো উজ্জ্বল রঙে। চলতি ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লাল, কমলা ইত্যাদি গাঢ় রঙের লিপস্টিক অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারেন ঠোঁটে।

শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯

চুলের ধরণ ভেদে ৩টি কার্যকরী প্যাক

তৈলাক্ত চুলের প্যাক  
আমার হেয়ার হচ্ছে অয়েলি ধরণের। শ্যাম্পু করার পরদিনই মনে হয় চুলে তেল দিয়ে রেখেছি। চুলের স্কাল্প এবং চুল তেলতেলে হয়ে যায়। তো এই ধরণের চুলের জন্যে আমি যে হেয়ার প্যাকটা ব্যবহার করতে পছন্দ করি, তার রেসিপিই দিচ্ছি। এটি চুলের এক্সটা অয়েলিনেস দূর করে চুলকে ঝরঝরে এবং স্মুদ বানিয়ে দেয়।
  • মেহেদির গুঁড়া
  • আদার রস
  • টি ট্রি অয়েল
  • চায়ের লিকার
  • আপেল সাইডার ভিনেগার
প্রথমে একটি পরিষ্কার বাটিতে ৩ টেবিল চামচ মেহেদির গুঁড়া নিয়ে নিন। পারলে তাজা মেহেদি পাতা বাটা ব্যবহার করুন। আদাটুকু বেটে নিয়ে এর থেকে রসটা ছেঁকে নিন যেন ২ টেবিল চামচ পরিমাণ হয়। ২-৩ ফোটা টি ট্রি অয়েল, ২ টেবিল চামচ ঠান্ডা চায়ের লিকার এবং ১ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার নিয়ে নিন। উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে একটি থিক পেস্ট তৈরি করুন। হাতের সাহায্যে চুলে সিঁথি কেটে কেটে এই প্যাকটি লাগিয়ে নিন এবং ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।


সাধারণ চুলের প্যাক 
নরমাল চুলগুলো অতিরিক্ত অয়েলি / ড্রাই ধরণের হয় না। এই ধরণের চুলে বিশেষ করে কমবেশি সব  প্যাকই স্যুট করে। তবে নরমাল চুলের জন্যে নিচের হেয়ার প্যাকটি বেশ ভালো কাজে দিবে। এটি চুলের গোড়াকে শক্তিশালি করে চুলকে সফট বানিয়ে দেবে এবং চুল পড়াও কমিয়ে আনবে।
  • নারকেলের দুধ
  • অ্যালোভেরা জেল
  • টক দই
  • জবা ফুল এবং পাতা
প্রথমে একটি পরিষ্কার ব্লেন্ডারে ৩ টেবিল চামচ নারিকেলের দুধ নিন। অ্যালোভেরা পাতাটির দুই পাশের কাটা এবং উপরের সবুজ অংশ ছুরি দিয়ে কেটে জেল-টুকু বের করে নিন। তাজা অ্যালোভেরা না পেলে কৌটার অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। ১ টেবিল চামচ পরিমাণে। জবা ফুলের পাপড়িগুলো ছিড়ে নিন এবং পাতাগুলো ধুয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে নিন। এক্ষেত্রে ২ টি জবা ফুল এবং ৫-৬ টি পাতা হলেই যথেষ্ট।  ২ টেবিল চামচ টক দইও নিয়ে নিন ব্লেন্ডারে। এবার সবকিছু ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে আপনার প্যাক রেডি। এবার চুলের গোড়া এবং পুরো চুলে লাগিয়ে নিন প্যাকটি। ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না।


 শুষ্ক চুলের প্যাক 
এই ধরণের চুলগুলো গোড়াসহ পুরো চুলই ড্রাই এবং রুক্ষ থাকে। চাই ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক।
  • মেয়োনিজ
  • ওটস
  • কাঁচা দুধ
প্রথমে একটি পরিষ্কার বাটিতে ২ টেবিল চামচ ওটস নিয়ে এতে ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ মিলিয়ে নিন। এরপর অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না ওটস নরম হয়। ওটস নরম হয়ে এলে হাত দিয়ে কঁচলে নিন ভালোমতো। এবার এর মধ্যে ৩-৪ টেবিল চামচ মেয়োনিজ নিয়ে সবকিছু ভালোমতো মিশিয়ে নিন। হাতের সাহায্যে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
এই তো ছিলো, চুলের ধরণভেদে ৩ টি হেয়ার প্যাকের রেসিপি। নিজের চুলের ধরণ বুঝে এগুলো ব্যবহার করলে আশা করি ভালো ফল পাবেন।

যে ১০টি ভুলের কারণে গোসলের আগে ও পরে আপনার চুল পড়ে অনেক বেশী!

 অনেকেরই, বিশেষ করে মেয়েদের চুল পড়ার একটি বিশাল কারণ হচ্ছে এই ভুলগুলো। জেনে নিন ১০টি ভুল, যেগুলো কমবেশি আমরা সবাই করি।

১) সবচাইতে বোর যে ভুলটি করি আমরা, সেটি হচ্ছে রোজ চুল ধোয়া। হ্যাঁ, রোজ গোসল করা খুবই জরুরী, কিন্তু রোজ চুল ধোয়া বা চুলে পানি লাগানো জরুরী নয়। আপনি দৈনিক কতটা সময় বাইরে থাকেন সেটার ওপরে নির্ভর করে চুল ধোবেন। চুল নোংরা না হলে রোজ চুলে পানি লাগানোর কোন প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে যাদের বেশী লম্বা ও ঘন চুল, তাঁরা তো মোটেও এটা করবেন না। এমন চুল শুকাতে সময় লাগে, অনেকটা সময় গোঁড়া ভেজা থাকার ফলে চুল দুর্বল হয়ে যায়।

২) দিনে ২/৩ বার গোসলের অভ্যাস থাকলেও ২/৩ বারই চুল ভেজাবেন না। এর চাইতে খারাপ অভ্যাস আর কিছুই হতে পারে না।

৩) রোজ চুলে শ্যাম্পু করবেন না, সেটা যত ভালো ও দামী শ্যাম্পুই হোক না কেন।

৪) প্রত্যেকবার শ্যাম্পু করার সময় কন্ডিশনার ব্যবহার করা আরেকটি বড় ভুল। আমরা প্রায় সকলেই মনে করি যে কন্ডিশনার লাগালে চুল ভালো থাকে। এটি আসলে খুবই ভুল একটি ধারণা। কন্ডিশনার লাগালে চুল ভালো থাকে না, বরং সাময়িক একটা নরম ও উজ্জ্বলতা আসে কন্ডিশনারে উপস্থিত রাসায়নিকের কারণে যা মোটেও ভালো নয়। বরং নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল পড়ার হার বেড়ে যায় অনেক বেশী।

৫) গোসলের পর পরই ভেজা চুল আঁচড়াতে বসে যাওয়া আরেকটি বড় চুল। গোসলের পর চুল থাকে নরম ও ভঙ্গুর। এমন সময়ে আঁচড়ালে চুল ভেঙে ও ঝরে যাওয়ার হার বেড়ে যায় অনেক।

৬) গোসলে যাওয়ার আগে বা শ্যাম্পু করার আগে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। এতে চুলে জট পড়বে না, চুল ভাঙবে না ও ছিঁড়বে না।

৭) তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে চুল মোছার অভ্যাস বাদ দিন। এই বাজে অভ্যাসের কারণে চুলের আগা ফেটে যায় ও প্রচুর চুল ঝরে।

৮) গোসলের পর অনেকটা সময় মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখবেন না। এতে চুলের ওপরে চাপ পড়ে, চুল ভেঙে যায়, যত দ্রুত সম্ভব চুল শুকিয়ে ফেলুন।

৯) চুল দ্রুত শুকাবার জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা বা রোদে বসে চুল শুকানো আরেকটি ভুল অভ্যাস। অতিরিক্ত উত্তাপে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ফ্যানের বাতাসের নিচে চুল শুকানোই উত্তম।

১০) অনেকেই আছে দুপুরে বা রাতে গোসলের পর চুল পুরোপুরি না শুকিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন, এই কাজটি মোটেও করবেন না। এতে চুলের গোঁড়া দুর্বল হয়ে যায়।

সোমবার, ৪ মার্চ, ২০১৯

ব্রণের দাগ দূর করার টিপস


ব্রণ হবে আর চিহ্ন রেখে যাবে না, তাই কি হয়! ব্রণ যদিওবা চলে যায়, এর দাগ কিন্তু নাছোড়বান্দা। আর এই দাগের কারণে নষ্ট হয় চেহারার স্বাভাবিক সৌন্দর্য। বাজার থেকে কেনা ক্রিমের ওপর ভরসা না করে বরং ঘরোয়া উপাদানেই সারিয়ে ফেলুন ব্রণের দাগ। রইলো টিপস-

-চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে একটু গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগান। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

শুধু মধুও প্রতিদিন দাগের উপরে লাগাতে পারেন। এতে করে দাগ কমে আসবে। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার ত্বকে মধুর ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা।

তৈলাক্ত ও সাধারণ ত্বকে শশার রস, আলুর রস দিয়ে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই রস ব্যবহার করতে পারেন।

শুধুমাত্র তৈলাক্ত ত্বকে টক দই, লেবুর রস ও আটা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। সপ্তাহে দুইদিন এটি ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরার রস প্রতিদিন দাগের জায়গায় লাগালে দ্রুত কমে যাবে।

তৈলাক্ত ত্বকে মুলতানি মাটি, লেবুর রস ও টকদই মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এতে উজ্জ্বলতা বাড়বে, দাগও কমবে।

মিশ্র ও সাধারণ ত্বকে দাগ হলে ল্যাভেন্ডার তেল লাগাতে পারেন।

শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৯

চুলের যত্নে তেল


 ক্যাস্টর অয়েল : চোখ ও ভ্রু ঘন করতে নিয়মিত দু'তিন ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল ধৈর্য ধরে লাগান।
আমন্ড অয়েল : চোখের নিচে কালি দূর করতে ও ব্যথা, ফোলা ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে এ তেলটি।

সরিষার তেল : গরম করে তালুতে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। দেখবেন খুশকি একেবারেই সেরে যাবে।
 সরিষার তেল ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে পারে। শীতে ফাটা ত্বকে এর মালিশ খুব উপকারী। শিশুর ত্বকেও খাঁটি সরিষার তেলের ম্যাসাজ অন্য রাসায়নিকযুক্ত তেলের তুলনায় নিরাপদ। ঠা-ার সময় উষ্ণতাও দেয় এই তেল। ঠা-া, কফ, মাথাব্যথা কমাতে সরিষার তেলের ম্যাসাজ উপকারী।
এপ্রিকট অয়েল : ময়েশ্চারাইজার ও ত্বকের পুষ্টির জন্য এপ্রিকট অয়েল খুবই উপকারী।

ইভনিং প্রিমরোজ : অ্যাকনে, একজিম, খুশকির ক্ষেত্রে বেশ উপকারী।

ক্যারট অয়েল : বয়সের ছাপ কমানো ও পুড়ে যাওয়া রোধে ব্যবহৃত হতে পারে এ তেল।

অ্যাভোকাডো : নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।

হ্যাজেলনাট অয়েল : ত্বকের শৈথিল্য দূর করে কোষ উৎপন্ন করে।

তিলের তেল : ছোট ছোট সাদা ফুল থেকে হয় কালচে তিলের দানা। এ দানার গুণাগুণের শেষ নেই। এ থেকে হয় তিলের তেল। তিলের তেলের ব্যবহারে ত্বক হয় সজীব। যাদের ত্বকে রোদে পোড়া ভাব রয়েছে, তাদের ওই পোড়া দাগ দূর করতে পারেন এ তেল ম্যাসাজের মাধ্যমে। এই তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়। মাথাও ঠা-া থাকে। শীতের সময় রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য কর্পূর তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে উষ্ণতা পাওয়া যায়। তিলের তেল চুলের খুশকিও দূর করে। এ জন্য সপ্তাহে একবার নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন।

তিসির তেল : ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন তিসির তেল। এতে ত্বকের ভাঁজগুলো ধীরে ধীরে কমে যায়। তিসির তেল খেতেও পারেন। এতে মেধা বাড়ে। চোখের দৃষ্টির জন্যও ভালো।

জলপাই তেল : যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রাটা বেশি, তাদের জন্য জলপাই তেলের কোনো বিকল্প নেই। এ তেলের রান্না যেমন ভালো, ত্বকে এর ব্যবহারও উপকারী। যাদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তারা নির্দ্বিধায় এ তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। শিশুর ত্বকেও নিরাপদ। জলপাই তেল মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার জন্যও উপকারী।

বাদাম তেল : পুষ্টি আর শক্তি এ দুটো একসঙ্গে পেতে বেছে নিতে পারেন আমন্ড বাদাম তেল। চেহারায় লাবণ্য ছড়ায় এ তেল। মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। শরীরে ম্যাসাজ করতে পারেন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে। চিনাবাদামের তেল খেতেও পারেন বিস্কিট বা কেকের সঙ্গে বেক করে।

সূর্যমুখী তেল : এই তেলের সুবিধা হলো, ত্বকে ব্যবহার করলে কোনো অস্বস্তিকর তেলতেলে অনুভূতি হয় না। বরং বেশ ভালো বোধ হয়। ত্বক সজীব ও লাবণ্যময় করতে সূর্যমুখীর তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।

নিম তেল : যাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা আছে, তারা নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে দুই দিন। দুএক ফোঁটা নিম তেল খেতেও পারেন প্রতিদিন।

এসেনশিয়াল অয়েল : তেলের ব্যবহার শুধু খাওয়া আর রূপচর্চায় সীমাবদ্ধ নেই। এখন মনকে প্রফুল্ল করতেও তেলের ব্যবহার দেখা যায়। তেলের সঙ্গে বিভিন্ন গাছের ফুল, লতাপাতা, মূলের নির্যাস মিশিয়ে এখন তৈরি করা হচ্ছে এসেনশিয়াল অয়েল। সুগন্ধির পাশাপাশি বেশ উপকারীও এটি। আমরা তেলের সঙ্গে বিভিন্ন ভেষজ উপাদান ও সুগন্ধি যোগ করে পেতে পারি সজীবতা ও সতেজতা।
 যেমন_
* লবঙ্গ, রোজমেরি, লেবু একসঙ্গে তেলে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে সতেজ হওয়া যায়।
* জায়ফল, কমলা, ভ্যানিলা একসঙ্গে তেলে মিশিয়ে ম্যাসাজ করে আপনার স্নায়ুবিক চাপ কমিয়ে ফেলতে পারেন।
* ক্যামোমাইল, ল্যাভেন্ডার, গোলাপের নির্যাস তেলে মিশিয়ে শরীরের আবর্জনা দূর করুন।
* ত্বকের উজ্জ্বলতা আনতে তেলে লেবুর নির্যাস ও জেসমিন যোগ করে ম্যাসাজ করতে পারেন।
নানারকম এসেনশিয়াল অয়েল পাবেন যেকোনো সুগন্ধির দোকানেই। এছাঙা নানা বিউটি পার্লারেও এসব তেল কিনতে পাওয়া যায়।