বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নারীদের জন্য দরকারি ৬ টি খাবার

নারীদের জন্য দরকারি ৬ টি খাবার-
১. বীজজাতীয় খাবারঃ-
বীজসমৃদ্ধ খাবার নারীদের খাদ্যতালিকায় থাকা খুবই জরুরি। এসব খাবারে পুষ্টিগুণ থাকে বেশি, চর্বি থাকে কম এবং প্রয়োজনীয় আমিষের অন্যতম উত্‍স। এই গ্রুপের খাদ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ হরমোন যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। শিম, বরবটি, মটরশুঁটি ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন।

২. পাতাসমৃদ্ধ সবজিঃ-
ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর এই জাতীয় সবজি। মহিলাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন হলো বি। গর্ভাবস্থায় এই ভিটামিনের অভাবে হতে পারে শিশুর নিওরাল টিউব ডিফেক্ট। এতে শিশু গর্ভাবস্থায় অথবা জন্ম নেয়ার পর মারা যায়। কেউ কেউ বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মায়। বাঁধাকপি, লেটুস পাতা, গাঢ় সবুজ পাতাওয়ালা শাকসবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন।

৩. হলুদ রঙের সবজিঃ-
পাকা পেঁপে, আলু, মিষ্টি কুমড়া, গাজর মেয়েদের জন্য সবচেয়ে কাছের বন্ধু! কারণ এসব খাবার নিম্নমাত্রায় ক্যালরিযুক্ত এবং উচ্চমাত্রায় বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এসব উপাদান অকাল বার্ধক্য রোধ করে, কোষ ও টিস্যুর পুনর্গঠন করে। ব্রেস্ট ক্যানসারসহ অন্যান্য ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে এই গ্রুপের খাবার।

৪. আয়রনসমৃদ্ধ খাবারঃ-
পুরুষের তুলনায় নারীর রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা কম থাকে। তাই নারীদের প্রয়োজন অধিক আয়রনসমৃদ্ধ খাদ্য। এক্ষেত্রে চর্বি ছাড়া লাল মাংস আয়রনের একটি বড় উত্‍স। উদ্ভিজ উত্‍সের মধ্যে রয়েছে শুকনো এপ্রিকট বা কুল জাতীয় ফল, শিম, সবুজ শাক, কলা, বীজ জাতীয় শস্য, শালগম, ওলকপি, কুমড়ার বিচি ইত্যাদি। রক্ত স্বল্পতা দূরীকরণে এসব খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

৫. ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্যঃ-
সব বয়সী নারীদের হাড় সুদৃঢ় রাখার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ। ক্যালসিয়ামের সর্বোচ্চ দৈনিক চাহিদা হলো ১২০০ মিলিগ্রাম। ক্যালসিয়ামের অন্যতম একটি উত্‍স হলো দুধ। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন। ম্যাগনেসিয়াম এমন এক ধরনের উপাদান যা নতুন হাড় তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের তা বিশেষভাব প্রয়োজন। কারণ এতে গর্ভস্থ শিশুর হাড় গঠন সঠিকভাবে হবে।

৬. মাছঃ-
তেলযুক্ত মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ও ভিটামিন ই। যা উচ্চ রক্তচাপ, খারাপ কোলেস্টেরল ও হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া ডিপ্রেশন, ডায়াবেটিস, বাত ও ক্যানসারের সম্ভাবনা কমায়। গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের জন্য এসব উপাদান খুবই জরুরি। তাই গর্ভবতী মায়েরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে মনে রাখুন।

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ব্রণের কালো দাগ থেকে মুক্তির সবচেয়ে সহজ উপায়


সুন্দর মুখখানা আয়নার সামনে ধরলেই মন খারাপ হয়ে যায় অনেকের। আর এর কারণ বেশিরভাগ সময়ই ব্রণ। ব্রণ ওঠে আবার চলেও যায়। কিন্তু রেখে যায় নাছোড়বান্দা দাগ। ব্রণের দাগের কারণে মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই কমে যা। এ জাতীয় ব্রণ ও কালো দাগ হলে প্রথম থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।

ত্বকের ক্ষেত্রে অবহেলার ফল মারাত্নক হতে পারে। আর নষ্ট করে দিতে পারে আপনার সুন্দর চেহারার সৌন্দর্য মুখের এসব কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার জন্য বাড়তি একটু পরিচর্যা দরকার। প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি আর মওসুমী ফল খেতে হবে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে। চলুন জেনে নেই আরো কিছু করণীয়-

১। আপেল এবং কমলার খোসা একসাথে বেটে এর সাথে ১ চামচ দুধ, ডিমের সাদা অংশ এবং কমলার রস মেশান। এবার মিশ্রনটা ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

২। একটি ডিম, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, একটি গোটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন, এটি নখ, গলা, হাত ও ঘাড়ের কালো ছোপে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের দাগ, হাত, ঘাড়ের কালো ছোপ ইত্যাদি সেরে যাবে।

৩। ২ চামচ বেসন, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ কমলার খোসা বাটা একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এটা মুখে ঘাড়ে মাখিয়ে রেখে ১৫-২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪। আধাপাকা চিনির সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে সারাগায়ে মেখে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে এটিকে ঘষে তুলে ফেলুন। এবার সামান্য গরম পানিতে ভালো করে গোসল করে নিন। সপ্তাহে একবার করবেন। এতে শরীরের ত্বক মসৃণ থাকবে।

৫। নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় এ ভিটামিন যুক্ত খাবার অবশ্যই রাখবেন। ভিটামিন এ এর প্রধান উৎস প্রাণীজ প্রোটিন যেমন যকৃত, ডিমের কুসুম, দুধ, মলা-ঢেলা, পুঁটি মাছ, কচুশাক, লাউশাক, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, কাঁঠাল ইত্যাদি।

৬। ২ চা চামচ চিনা বাদাম বাটা, ২ চা চামচ দুধের সর মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ মিলিয়ে যাবে।

৭। পাকা পেঁপের শাঁস মুখে মেখে নিন। ১ চামচ পাকা পেঁপের শাঁস ও ১ চামচ শশার রস মুখে মেখে নিন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।

৮। ব্রণ থাকাকালীন মুখমন্ডলের ত্বকে কোন তৈলাক্ত পদার্থ ও ক্রিম লাগাবেন না।

৯। ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবন। মুখে লাবণ্য আসবে।

ওজন কমাতে মধু ও লেবুর পানীয়


যা লক্ষ্য রাখবেন
—আগে পানি হালকা গরম করে তারপর লেবু ও মধু মেশাবেন। মধু
কখনোই গরম করতে যাবেন না।
—যদি ঠাণ্ডা পানিতে এটি পান করেন, তবে বিপরীত ফল হবে, মানে
আপনার ওজন বাড়বে।
লেবু-মধু পানীয়ের উপকারিতা
— এই পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বের করে। শরীরের ভেতরের
নালীগুলোর সব ময়লা বের করে দেয়।
— মেটাবলিজম/হজম শক্তি বাড়ায়, ফলে ওজন কমে। ঠাণ্ডা লাগলে এই
পানীয় কফ বের করতে সাহায্য করে এবং ঠাণ্ডা লাগলে গলাব্যথা
করলেও এটি উপকারী ।
— এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
— শরীরে শক্তি বাড়ায়, অলসতা কমায়।
— কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
কখন খাবেন
সাধারণত সকালে উঠেই প্রথম পানীয় হিসেবে খালি পেটে এটি খাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরে সকালের নাস্তা খেতে পারেন।
সাবধানতা
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই এটি খালি পেটে খাবেন না। কারণ লেবু এসিডিক। তাই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে এটি খাবেন।
তাছাড়া লেবুর এসিড দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকর, তাই এই পানীয় খাবার সঙ্গে সঙ্গে কুলি করবেন, অথবা পানি খাবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য এই পানীয় শুধুই সহায়কমাত্র। সম্পূর্ণ ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে অবশ্যই থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর/ব্যালেন্সড ডায়েট, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সুন্দর ত্বকের জন্য ৫টি দারুণ খাবার

অলিভ অয়েল

সেই প্রাচীণকাল থেকেই কিন্তু রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ব্যবহার হত। প্রাচীণ রোমানরা ত্বকচর্চায় অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতো।রাতে ঘুমাবার আগে মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন অলিভ ওয়েল। এটা আপনার ত্বককে করবে কোমল ও উজ্জ্বল। আরো ভাল ফল পেতে সালাদের সাথে মিশিয়ে নিন খানিকটা অলিভ তেল। ত্বক, স্বাস্থ্য দুটোই থাকবে ভালো।

স্ট্রবেরী

আপনি কি জানেন, স্ট্রবেরীতে আছে কমলা বা আঙ্গুরের চেয়ে বেশী পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বকের বলিরেখা রোধের জন্যে দারুণ কার্যকর। এটি ত্বকে বাড়তি আর্দ্রতা যুগিয়ে ত্বককে করে তোলে কোমল আর লাবণ্যময়।এছাড়া দই ও মধুর সাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন ত্বকেও! পেয়ে যান সহজেই কোমল প্রাকৃতিক ত্বক।

গ্রীন টি

গ্রীন টি এখন যথেষ্ট সহজলভ্য। এটি শুধু আপনার ওজন কমাতেই সাহায্য করে না বরং আপনার ত্বকের জন্যেও ভীষণ উপকারী। এমনকি এটা স্কিন ক্যান্সারকেও রাখে ১০০ হাত দূরে। গ্রীন টির ব্যবহৃত টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর চোখের উপর লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এটা আপনার চোখের কালি ও ফোলাভাব দূর করবে খুব সহজে!

বেদানা

আপনি কি জানেন, বেদানার রস গ্রীন টির চেয়ে দ্রুত কাজ করে আপনার ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে দিতে। রোজ খানিকটা বেদানা আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন। খাবার পাশাপাশি খানিকটা ওটমিলের সাথে বেদানার রস মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন ১০ মিনিট। ব্যস! নিমেষেই পেয়ে যান সুন্দর ত্বক।

মিষ্টি কুমড়া

আপনি কি জানেন এই অতি পরিচিত সবজিটি আপনার ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। কুমড়ায় আছে ভিটামিন এ ও সি এবং প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট সম্পন্ন এই খাবারটি। খাবার পাশাপাশি, কুমড়োর পেস্ট বানিয়ে খানিকটা টকদই ও মধু মেশান ও মুখের ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ১০ মিনিট। দেখবেন ত্বক হয়ে উঠেছে নরম ও কোমল।
এবার এই পুষ্টিকর খাবারগুলো খাবার পাশাপাশি ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন। সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন, সহজেই!

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

যেভাবে দূর করবেন পায়ের কালো দাগ

  • সঠিক মাপের জুতা পরুন

পায়ের দাগের অন্যতম একটি কারণ হলো আকারে ছোট কিংবা শক্ত জুতা পরার কারণে। তাই পায়ের জন্য সঠিক মাপের জুতা বেছে নিন। সেই সঙ্গে জুতার ভেতরে ফোম দেয়া, কাপড়ের কিংবা নরম চামড়ার জুতা পরুন। এতে পায়ে দাগ পড়বে না।
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

জুতার বদলে স্যান্ডেল পরলে সরাসরি রোদ লাগে পায়ে। ফলে পায়ে রোদে পোড়া ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পায়েও ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। এতে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত থাকবে আপনার সুন্দর পায়ের পাতাগুলো।
  • পা ঢেকে রাখুন

দাগমুক্ত সুন্দর পায়ের জন্য পা ঢাকা জুতা পরুন কিংবা সবসময়ে মোজা পরুন। এতে পায়ে পোড়া দাগ পরবে না কিংবা ধুলা ময়লা লেগে পায়ে ছোপ ছোপ দাগ পরবে না।
এবার আসা যাক, ঘরোয়া উপায়ে  কি করে পায়ের ফুল কেয়ার নেয়া যায় –
  • স্ক্র্যাবিং

পায়ের দাগ দূর করার জন্য স্ক্র্যাবিং এর জুড়ি নেই। স্ক্র্যাবিং পায়ের ত্বকের ডেড সেল দূর করে এবং জমে থাকা ধুলা ময়লা পরিষ্কার করে। ফলে পায়ের ছোপ ছোপ দাগ দূর হয় এবং রুক্ষতা কমে যায়। স্ক্র্যাবিং এর জন্য বেকিং পাউডার, ওটমিল, চিনি কিংবা লবন ব্যবহার করতে পারেন।
  • লেবুর রস কিংবা টমেটোর রস

লেবুর রস এবং টমেটোর রস হলো প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান। তাই পায়ের ত্বকের পোড়া দাগ দূর করতে এবং পায়ের রং উজ্জ্বল করে তুলতে এই উপাদান দুটির জুড়ি নেই। লেবুর রসে সামান্য পানি মিশিয়ে কিংবা সসার রস মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে ১ ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। কিংবা টমেটোর রস লাগিয়ে রেখে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে হালকা ঘষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করলে পায়ের ত্বক উজ্জ্বল হবে ধীরে ধীরে।
  • অ্যালোভেরা জেল

অ্যালোভেরা ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করে। আর তাই পায়ের দাগ দূর করতে এবং পায়ের ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরা জেল পায়ের ত্বকে লাগিয়ে মোজা পড়ে ঘুমিয়ে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে পা ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহার করলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন আপনি।
  • আলুর রস

আলুও ত্বকের দাগ দূর করে সহজেই। আলু ব্লেন্ড করে রস ছেকে পায়ে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘন্টা। এরপর পা ধুয়ে ফেলুন। সহজেই কাজটি করতে চাইলে আলু স্লাইস করে কেটে ঘষে ঘষে পায়ের ত্বকে লাগিয়ে নিন। এরপর ১ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা পানি দিয়ে। সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করুন।

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার কার্যকরী ২ টি প্রাকৃতিক পদ্ধতি

১) দইয়ের ব্যবহার

দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড, যা খুব ভালো ব্লিচিং উপাদান। দই ব্যবহারের ফলে ত্বক ব্লিচ হয় যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে কোনো ধরণের কেমিক্যাল ছাড়াই। ত্বকের জন্য টকদইয়ের ব্যবহার অনেক বেশি কার্যকরী।
  • – প্রথমে ২-৩ টেবিল চামচ টকদই নিয়ে খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন।
  • – এরপর টকদই মুখের ত্বক, ঘাড়, গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। চাইলে হাত পায়েও লাগিয়ে নিতে পারেন।
  • – এবারে শুধুমাত্র ৫ মিনিট রাখুন এই দই ত্বকের উপর। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ভালো করে ধুয়ে নিন।
  • – সপ্তাহে ৩ দিন অর্থাৎ ১ দিন পরপর এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। ভালো ফলাফল পাবেন।
  • – ত্বকের উজ্জ্বলতার পাশাপাশি বয়সের ছাপও প্রতিরোধ করবে দইয়ের ব্যবহার।

২) কমলা লেবুর ব্যবহার

কমলা লেবুও খুব ভালো ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও কমলা লেবুর ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা ভেতর থেকেই বাড়াতে সহায়তা করে।
  • – কমলার কোয়া খুলে শুধুমাত্র কমলার পালপ নিন। ২ টেবিল চামচ কমলার পালপের সাথে ১ চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। কাঁচা হলুদ বাটা হলে সবচাইতে ভালো হয়।
  • – এরপর এই মিশ্রণটি মুখের ত্বকে লাগিয়ে ঘুমুতে চলে যান। কষ্ট হলেও এই পদ্ধতিটি অনেক বেশি কার্যকরী।
  • – পরের দিন সকালে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে মাত্র ১ দিন ব্যবহার করুন এই পদ্ধতিটি।

শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

চুল পড়া কমানোর উপায়

১/ গরম পানি মাথায় দেবেন না ভুলেও। গরম পানি দিয়ে গোসল করলে চুল ভেজাবেন না।

২/ হেয়ার আয়রন, কারলিং আয়রন ইত্যাদি ব্যবহার করা বাদ দিন। চুলকে উত্তাপ দিয়ে স্টাইল করা হয় এমন সব কিছু এড়িয়ে চলুন।

৩/ ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ভালো, কিন্ত তাই বলে না খেয়ে থাকবেন না। পর্যাপ্ত পুষ্টি না পেলেই কিন্তু চুল ঝরে যায়।

৪/ ভেজা চুল hair তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে রাখবেন না। ভেজা চুল hair বেঁধে রাখবেন না, ভেজা চুলে চিরুনি দেবেন না, আঙ্গুল দিয়েও নাড়াচাড়া করবেন না। ভেজা চুল না শুকিয়ে ঘুমিয়ে যাবেন না।

 ৫/ খুব টাইট করে চুল hair আটকাতে হয়, এমন কোন হেয়ার স্টাইল করবেন না।

৬/ চুলে হেয়ার স্প্রে বা জেল ব্যবহার করবেন না। চুলে রঙ করা বা অন্যান্য অত্যাচারও যতটা সম্ভব কম করুন।

৭/ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া বাদ দিন।

৮/ প্রাকৃতিক উপায়ে মাথার খুশকি সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৯/ মাথায় যতটা সম্ভব রোদ কম লাগান।

১০/ চুলে ময়লা হতে দেবেন না। নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

দীপ্তিময় ত্বকের সহজ কিছু টিপস

১/ চালের গুঁড়া মুখের স্ক্রাব হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে। এক কাপ চায়ের পানি ঠাণ্ডা করে নিন। এবার এর সাথে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া এবং আধা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট করে মাস্ক এর মত করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর হাত দিয়ে সার্কুলার ভাবে ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ইন্সট্যান্ট ত্বকে ফর্সাভাব আসবে।

২/এক টেবিল চামচ ওটস পানিতে ভিজিয়ে ভালো ভাবে পেস্ট করে নিন। এবার এর সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। আপনার ত্বক যদি সেন্সিটিভ হয় তাহলে লেবুর রসের সাথে একটু পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩/২ টেবিল চামচ আটা, আধা চামচ হলুদ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং একটু দুধ একসাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এটাকে ৫ মিনিট মুখে ঘষে ঘষে লাগিয়ে ২০ মিনিট শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখের ময়লা কেটে গিয়ে মুখ উজ্জ্বল দেখাবে।

৪/যেকোনও ধরনের পার্টি তে যাওয়ার আগে একটা কলা চটকে, তার সাথে পাকা পেঁপে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সেটা পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর মুখ ধুয়ে দেখুন আপনার কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা।

৫/একটা টমেটোর রস এর সাথে একটু হলুদ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এটাকে মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না এটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি কিছুক্ষণের মধ্যে গায়ের রঙ উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত একটি পদ্ধতি।

৬/কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিন। এবার এটাকে গুঁড়ো করে এক কাপ ফ্রেশ টকদই এর সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে নিন। এতে আপনার ত্বকের ইন্সট্যান্ট ফর্সাভাব এর সাথে সাথে ত্বকে উজ্জ্বলও হবে।

৭/এক চামচ কাঁচা দুধ এর সাথে এর চামচ মধু ও কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। দুধ এবং লেবুর রস ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। মুখে লেবু লাগানোর কারণ হল এটি ব্লীচের একটি প্রধান উপাদান। এটি মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।

৮/কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সহজলভ্য কিছু উপাদান যেমন গ্লিসারিন, শশা, গোলাপজল আপনার ত্বককে খুব দ্রত উজ্জ্বল এবং সুন্দর করে দিতে পারে। কয়েক টুকরা শশার সাথে পরিমাণ মত গোলাপজল এবং গ্লিসারিন মিক্স করে পেস্ট করে ঘুমা্নোর আগে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পেস্টটি খুব বেশি পাতলা না হয় অথবা ঘন না হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে তারপর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

৯/ত্বকে আলুর রস লাগালে মুখের পোড়াভাব দূর হয় এবং তাৎক্ষনিকভাবে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।

১০/তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লেবুর রস এর সাথে পেঁপে মিক্স করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। রঙ পরিষ্কার হবে। এবং মুখের তেলতেলে ভাব কেটে যাবে। ফলে আপনাকে ফর্সা দেখাবে।

১১/ডিমের সাদা অংশ ভালো ভাবে ফেটে নিয়ে মুখে লাগান। এতে স্কিন অনেক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

১২/জিঙ্ক এবং ল্যাক্টিকএসিড স্কিন এর জন্য অনেক ভালো। তাই টক দই ভালো ভাবে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে দেখুন ইন্সট্যান্ট ফর্সাভাব।

১৩/মুখের স্কিন এর ক্ষেত্রে গোলাপজল একটি গুরুত্বপুর্ন উপাদান। প্রতিদিন তুলায় গোলাপজল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। রঙ ফর্সা হবে তাৎক্ষণিকভাবে।

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

বসন্ত দিনের কিছু সাজ-পোশাক সম্পর্কে জেনে নিই।


আসুন বসন্ত দিনের কিছু সাজ-পোশাক সম্পর্কে জেনে নিই।
পোষাক ও মেকআপ
ব্লাউজে বিশেষত্ব নিয়ে আসতে ঘটি হাতার ব্লাউজ বা থ্রি কোয়ার্টার হাতা আবার গলায় কুচি দিয়ে তৈরি করতে পারেন। শাড়ি পরার ক্ষেত্রে এক প্যাঁচেতেই বেশ মানাবে পহেলা ফাল্গুনে। ফাল্গুনেও শীতের হালকা আমেজ থেকে যায়। তাই মেকআপ খুব গাঢ় না করে হালকা করে সেজে নেওয়াই ভালো কারণ দিনের রোদে মেকআপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।  মেকআপ নেওয়ার আগে মুখমণ্ডলটাকে মেকআপ উপযোগী করে তুলতে ভালোভাবে ক্লিনজিং করে নিন। এবার ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে মুখমণ্ডলে লাগিয়ে নিন। ফাউন্ডেশন মসৃণভাবে ত্বকে মিশিয়ে নিন। তারপর হালকা ফেসপাউডার বুলিয়ে নিন। ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে শেড নির্বাচন করুন। এবার চোখদুটোকে সাজিয়ে নিন একটু গাঢ় করে মাসকারা, আইলাইনার, কাজল আর হালকা আইশ্যাডো দিয়ে। অবশেষে লিপস্টিক আর কপালে একটি লাল রঙের বড় টিপ। হালকা লিপগ্লস বুলিয়ে নিতে পারেন ঠোঁটে। লিপলাইনার একটু গাঢ় রঙের বেছে নিন।
 
ফুলে ফুলে ফুলেল সাজ
খুব বেশি মেকাপ না নিয়ে ফুল দিয়ে সাজাতে পারেন নিজেকে। এদিন ফুলের কাছে সব ধরনের মেকাপ হার মেনে যায়। ফুল শুধু খোঁপা নয়, চুলের নানা রকম স্টাইলের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ফুল ও ফুলের মালা ব্যবহার করা হচ্ছে হাতে, কপালে, পায়ে। জুয়েলারি হিসেবে হাতে, গলায়, কানে, কোমরে ফুল দিয়ে সাজতে পারে এই বসন্তে। সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে ফুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার কোনো সাধারণ জায়গায় ফুলের ভারী গয়না ব্যবহার করলে সেটা খুবই বেমানান লাগে। এসব জায়গায় দু'একটা ফুল মাথায় লাগাতে পারেন। নতুবা অনেক বেশি ফুল লাগলে দেখতে অনেক খারাপ লাগবে। ফুলের ব্যবহারও আমাদের ভালো করে জানতে হবে। এ সময়ে বিয়ের সাজে বেলিফুল বেশি ব্যবহার করা হতো। মাথা ভরে এখন অনেকেই গাজরা ব্যবহার করে। এটা দেখতে আরও বেশি সুন্দর।

চুলের সাজ
ফাগুনের উৎসবে চুল খোলা রাখলেই বেশি সুন্দর দেখা যায়। তবে এ নিয়ে বিড়ম্বনাও হয়। তাই এক পাশে এক পাশে ক্লিপ আটকে তার ওপর ফুল গুঁজে দিতে পারেন। অথবা কানের পাশ দিয়ে হালকাভাবে গুঁজে দিতে পারেন কয়েকটি ফুল। ফুল বড় হলে একটি, ছোট হলে তিন-চারটি। চাইলে সামনের দিকের কিছুটা চুল ব্যাককোম্ব করে নিতে পারেন। পেছনে চুল আটকানোর জায়গাটিতে আটকে দিতে পারেন পছন্দের ফুলটি। দুই পাশ থেকে চুল পেঁচিয়ে এনেও (টুইস্ট) পুরো চুল খোলা রাখতে পারেন।  হালকা অথবা আঁটসাঁট করে খোঁপাও করে নিতে পারেন। খোঁপার চারপাশ দিয়ে মালা না পেঁচিয়ে একটু অন্যভাবেও পরতে পারেন। খোঁপার চারপাশ দিয়ে পরপর ছোট ফুল গেঁথে নিন অথবা একটি বড় ফুল খোঁপা ও কানের মধ্যে আটকে নিন। বেণিতেও অন্যভাবে ফুল আটকে তৈরি করতে পারেন ভিন্ন লুক। সামনে দুই পাশ থেকে চুল টুইস্ট করে টেনে পেছনে নিয়ে আটকে নিন ক্লিপ দিয়ে। এবার সাধারণভাবে বেণি করে মাঝেমধ্যে ফুল আটকে নিতে পারেন। সামনের টুইস্ট করা অংশেও ছোট ফুল আটকে নিতে পারেন।
 
টিপস:
  • মেকআপ অনেকক্ষণ ঠিক রাখতে শুরুর আগে মুখে এক টুকরা বরফ ঘষে নিন।
  • আইশ্যাডো লাগানোর আগে চোখের নিচে পাউডার লাগান। শ্যাডো লাগানোর সময় চোখের নিচে যা পড়বে, তা ঝেড়ে ফেলুন।
  • বাইরে বের হওয়ার সময় ব্যাগে কমপ্যাক্ট পাউডার, টিস্যু পেপার, কাজল, চিরুনি এবং ছোট একটি আয়না রাখুন।
  • চুল খোলা রাখলে ব্যাগে একটা পাঞ্চ ক্লিপ রাখুন।

পার্লারের মত নিখুঁত গ্ল্যামারাস মেকআপ করার কিছু কৌশল

১/ ত্বক পরিষ্কার করা :
প্রথমে মেকআপের জন্য ত্বককে তৈরি করুন। ভাল মানের ফেইস ওয়াস বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়েঁ ফেলুন। এতে আপনার মখের ময়লা সব চলে যাবে এবং মেকাআপ ভালভাবে মিশেয়ে যাবে আপনার ত্বকের সাথে।

২/ ময়েশ্চারাজিং :
হালকা কোন ময়েশ্চারাজিং ক্রিম বা লোশন দিয়ে কপাল, নাক, মুখ, চোখের চারপাশে ম্যসেজ করুন। ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা করুন যাতে লোশন বা ক্রিম ত্বকের সাথে মিশে যায়। ময়েশ্চারাজিং মেকআপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৩/ ফাউন্ডেশন :
ত্বক পরিষ্কারের পর শুরু হবে মেকআপ পর্ব। পারফেক্ট মেকআপ শুরু হয় ভালো বেস দিয়ে। বেসের প্রথম শর্ত হল নিজের ত্বক অনুযায়ে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা। ফাউন্ডেশন নির্বাচন করতে হবে নিজের গায়ের শেড থেকে এক অথবা দুই শেড হালকা। হালকা রং ত্বককে উজ্জ্বল দেখাবে। শেডিং এর জন্য গাঢ় রং দরকার।আপনার ত্বকের শেড অনুযায়ে ওয়েল ফ্রী ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। তাহলে মেকআপ ভালো ভাবে বসবে। মুখ তৈলাক্ত হলে পাউডার ফাউন্ডেশন লাগান।

৪/ কনসিলার :
কনসিলার আপনার মুখের দাগ, চোখের নিচের কালি ঢেকে দেয়। নিজের স্কিনটোনের সাথে মিলিয়ে কনসিলার কিনতে হলে আপনার ফাউন্ডেশন থেকে অর্ধেক শেড হালকা থেকে শুরু করুন। ত্বকের ব্লেমিস বা কালো দাগ black spot দূর করতে আপনার ফাউন্ডেশনের চেয়ে এক শেড হালকা তবে ব্ল্যাক আন্ডারটোনের কনসিলার ব্যবহার করুন। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল থাকলে সবুজ বা হলুদ রঙের কনসিলার বেছে নিলে ভালো কাজ করবে।তবে আপনি যদি ব্রণের দাগ,চোখের নিচের কালো দাগ ফাউন্ডেশন দিয়ে ঢেকে দিতে পারনে তবে কনসিলার ব্যবহার না করলে ও হবে।

৫/ ফেইস পাউডার :
বড় মেকআপ ব্রাশ দিয়ে সম্পূণ মুখে ফেইস পাউডার face powder ব্রাশ করুন। পাউডার পাফ অথবা ফেইস পাউডারের সাথে দেওয়া স্পঞ্জ দিয়ে হাল্কা করে বেইজের উপর বুলিয়ে বেইজ সেট করে নিন।

৬/ চোখের মেকআপ :
বেইজের পর আসে চোখ সাজানোর পালা। চোখের সাজে eye shaj শুরুতে চোখের ওপরের পুরো জায়গায় আই প্রাইমার দিন। এরপর আইশ্যাডো দিতে হবে। ড্রেসের সাথে মিলিয়ে দুই বা তিন শেডের আইশ্যাডো দিতে পারেন। বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করতে ব্যবহার করতে পারেন বাদামি আইশ্যাডো।

৭/ ফলস ল্যাশেস :
চোখ দুটোকে চটজলদি বড় আর মায়াবি করে ফেলতে কৃত্রিম পাপড়ি জুড়ি নেই। বাজারে নানা দৈর্ঘ্য ও ডিজাইনের কৃত্রিম পাপড়ি পাওয়া যায়।পছন্দ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন যে কোন প্রকারের আই ল্যাশেস।


৮/ আইলাইনার :
এরপর আইলাইনার চোখের ওপরে বা নিচে দিতে হবে। লিকুইয়েড,জেল,পেন্সিল যেকোন প্রকারে আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আইলাইনারের বিকল্প হিসাবে কাজল ও ব্যবহার করতে পারেন। আইলাইনার চিকন করে আই ল্যাশসের উপর দিতে হবে। যদি আপনি মোটা করে আইলাইনার দিতে চান তবে প্রথম আইলাইনার শুকানোর পর আরেকবার দিতে পারেন।

৯/ মাশকারা :
আইলাইনারে পর মাশকারা দেওয়ার পালা।চোখ আকর্ষণীয় করার জন্য ঘন করে মাশকারা দিতে হবে। একবার মাশকারা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে আবার মাশকারা দিন।মাশকারা দেওয়ার সময় চোখের ওপরের পাতা ওপরের দিকে উঠিয়ে দিতে হবে। পাতাগুলো যেন একটার সঙ্গে আরেকটা লেগে না যায়। আইব্রো পেনসিল দিয়ে ভ্রু এঁকে নিয়ে এরপর শুকনো মাশকারা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নেবেন।

১০/ ভ্রু-র সাজ :
ভ্রু-র সাজ়ে আইব্রো পেনসিল দিয়ে ভ্রু এঁকে নিয়ে এরপর শুকনো মাশকারা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নেবেন। ভ্রু কে ন্যাচারাল লুক দিতে চাইলে ভ্রু-র রঙ এর থেকে হালকা রঙ-এর আইশ্যাডো বেছে নিয়ে তা হালকা করে ভ্রু এর উপর বুলিয়ে নিন। এরপর সেই রঙ এর কাজল দিয়ে হালকা করে ভ্রু একেঁ নিন। এরপর আইব্রো ব্রাশ দিয়ে ভ্রু এর শেপ ঠিক করে নিন।

১১/ লিপষ্টিক :
লিপষ্টিক দেওয়ার আগে ঠোঁট ভাল করে পরিষ্কার করে নিন।এরপর হালকা করে লিপ বাম বা ভ্যাসলিন লাগান। ৫০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।ভ্যাসলিন বা লিপ বাম শুকিয়ে গেলে লিপিষ্টিক দিন। দিনে ঠোঁটের সাজ়ে ম্যাট লিপষ্টিক দিলে ভালো। রাতে ভারী লিপগ্লস ব্যবহার করতে পারেন। লিপষ্টিক দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে রাখার জন্য প্রথমে লিপষ্টিক থেকে এক শেড গাঢ় লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট আঁকতে হবে। এতে লিপষ্টিক ছড়িয়ে পড়বে না। এবার টিস্যু দিয়ে চেপে নিতে হবে। হাতের কাছে পাউডার থাকলে পাউডার দিয়ে চাপ দিয়ে আবার লিপষ্টিকে লাগাতে হবে।

১২/ ব্লাশন :
পুরো সাজ শেষ হয়ে এলে ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে। ব্লাশনের রং হিসাবে আপনি গোলাপি বা পিচ রং ব্যবহার করতে পারেন।উজ্জ্বল রং এর অধিকারীরা হালকা শেডের ব্লাশন আর শ্যামলা বা তার থেকে গাঢ় রঙের ত্বকের জন্য গাঢ় শেডের ব্লাশন ব্যবহার করতে পারেন।