মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮

রূপচর্চায় হলুদের গুণাগুণ

১। কারো গায়ের রঙ সুন্দর বোঝাতে গিয়ে আমরা কাঁচা হলুদের কথা বলি। এই কাঁচা হলুদ আমাদের গায়ের রঙ উজ্জ্বল হতে তো সাহায্য করেই, পাশাপাশি ত্বকের ভেতর থেকেও যত্ন নেয় এটি। রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার দীর্ঘদিনের। ত্বকের যত্নে নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। তবে হলুদ দিয়ে কখনো রোদে বের হবেন না। তাহলে ত্বক পুড়ে যাবে। হলুদ দিয়ে রূপচর্চা করবেন রাতের বেলা। কখনই দিনের বেলা নয়।

২। ব্রণের সমস্যা থাকলে কাঁচা হলুদের রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিমপাতার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকে লাগান। প্যাক শুকিয়ে এলে গোলাপজল দিয়ে ম্যাসাজ করে প্যাকটি নরম করে নিন এবং পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন।

৩। গোসলের আগে কাঁচা হলুদ, মধু, ডিমের কুসুম ও নারিকেল তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে পুরো মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘন্টা বাদে তুলে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪। হলুদের গুড়োর সাথে শশার রস অথবা লেবুস রস মিশিয়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক কতটা মসৃণ লাগে।

৫। হলুদ বেটে সারা শরীরে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হবে।

৬। কাঁচা হলুদের রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগান। প্যাক শুকিয়ে এলে গোলাপজল দিয়ে মুছে নিন।

৭। সামান্য একটু কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন।

৮। অল্প একটু দুধের ক্রিমের সাথে হলুদ মিশিয়ে লাগালে ত্বক হবে কোমল, মসৃণ আর সতেজ।

৯। হলুদের গুঁড়া ব্রণ প্রতিরোধ করে। হলুদ বাটা ক্ষতস্থানের ব্যথা দ্রুত কমায় এবং ঘা প্রতিরোধ করে।

১০। দাগ বা ব্রণ দূর করতে টমেটোর রস, কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন।

১১। কাঁচা হলুদ, মসুর ডাল একসাথে বেটে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেললে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

ত্বকের কালো দাগ দূর করতে নিমপাতা আর গোলাপজল

 
যা যা লাগবে
-দুই চা চামচ নিমপাতা বাটা,
- এক চা চামচ মধু ও
-দুই চা চামচ গোলাপজল।

নিমপাতা ত্বকে অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে।
এ ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা ত্বকের কালো ছোপ ছোপ দাগ সহজেই দূর করে।
গোলাপজল ত্বকের ময়লা-ধুলাবালি দূর করে, লোমকূপের মুখ পরিষ্কার করে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করে।
অন্যদিকে মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
-প্রথমে একটি বাটিতে নিমপাতা, মধু ও গোলাপজল একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
-এবার মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে প্যাকটি লাগান।
-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
-ঠান্ডা পানি মুখ ভিজিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।
-এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
-ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এই প্যাক ব্যবহার করুন।-

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮

শ্যাম্পুর পর ঝলমলে সুন্দর চুল পেতে করণীয়

চায়ের লিকার থেরাপি –
ঝলমলে চুলের জন্য দারুণ কাজ করে চায়ের লিকার। চুল যেমনি হোক না কেন তৈলাক্ত, শুষ্ক বা স্বাভাবিক- এই চায়ের লিকার মানিয়ে যাবে খুব সহজে।

এটা তৈরির জন্য দুই কাপ পানি নিন। তার মাঝে ৬ টেবিল চামচ ফ্রেশ চা পাতা দিন। এটাকে এখন অল্প আঁচে চুলায় ফুটতে দিন। ফুটে ফুটে লিকার ঘন হবে। এবং দুই কাপ পানি কমে এক কাপের কম হলে বুঝবেন যে রেডি।

এখন এটাকে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণ মাখুন। ৫ মিনিট পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ভিনেগারে চুলের চমক –
শ্যাম্পু করে ফেলছেন? এবার ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। আধা কাপ ভিনেগার এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করা চুল। ৫ মিনিট পর আবার একটু স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শুকিয়ে নিলেই পাবেন ঝলমলে চুল।

বেকিং সোডায় উজ্জ্বল চুল –
নিস্প্রান চুলকে ঝলমলে করে তুলতে বেকিং সোডার কোন বিকল্প নেই। এ কাপ হালকা গরম পানির মাঝে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করা ভেজা চুলে এই মিশ্রণ লাগান। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এবার চুলের চমক দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!

রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

মাত্র দুই দিনে চুল পড়া বন্ধ করতে কার্যকরি টিপস!

চুল পড়ে hair fall যাওয়ার সমস্যায় সাধারনত কমবেশি সবাই ভোগেন। এর ফলে বয়স বাড়ার আগেই আপনার মাথায় টাক পড়তে শুরু করে। এই সমস্যার সমাধানে সরিষার তেল ও দারুচিনি গুঁড়া ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক এই উপাদান দুটি অনেক দ্রুত আপনার চুল পড়া hair fall সমস্যার সমাধান করবে।

যা যা লাগবে –

সরিষার তেল এক টেবিল চামচ ও দারুচিনি গুঁড়া দুই চা চামচ। এ উপাদান দুটি চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। এ ছাড়া এটি রুক্ষতা দূর করে চুল নরম ও মসৃণ করে। আর নতুন চুল গজাতেও hair growth এ উপাদান দুটি বেশ কার্যকর।

যেভাবে ব্যবহার করবেন –

প্রথমে একটি বাটিতে সরিষার তেল ও দারুচিনি গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুল ও মাথার তালুতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে চুলে মাইল্ড শ্যাম্পু লাগান। শ্যাম্পু ভালোভাবে পরিষ্কার করে চুলে বেশি করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

পরামর্শ –

১. ভালো ফল পেতে হলে পরপর দুদিন এই প্যাক ব্যবহার করুন।
২. খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ডায়েটের তালিকায় চুলের জন্য পুষ্টিকর খাবার রাখুন।
৩. চুল ঘামলে সঙ্গে সঙ্গে শুকানোর চেষ্টা করুন। না হলে মাথার তালু ভেজার কারণে চুলের গোড়া নরম হয়ে যাবে। আর চুল পড়ে hair fall যাওয়ার অন্যতম কারণ এটি।

শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮

ত্বকের সৌন্দর্যে অ্যালোভেরা


অ্যালোভেরা ত্বকে লাগাতে হলে প্রথমেই মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি তাজা অ্যালোভেরার ভেতরের অংশ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন। সেই রস তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। রস শুকিয়ে গেলে এভাবেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। সারারাত অ্যালোভেরার রস ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখবে।
তুলো বা সুতি কাপড় ছাড়া অন্যকিছু দিয়ে ত্বকে অ্যালোভেরা লাগানো ঠিক নয়। তাতে অ্যালার্জী হওয়ার ঝুকি তৈরি হয়। অনেক সময় ত্বকে ক্ষত দেখা দেয়। এ ধরনের ক্ষতে নির্ভয়ে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এতে ক্ষত স্থান দ্রুত মসৃণ হয়। শুধু মুখের জন্য নয়, পুরো শরীরে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এক্ষেত্রে সাবধানতা হলো, অ্যালোভেরার রস ত্বকে লাগিয়ে রোদে যাওয়া যাবে না। তাতে উল্টো ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

ত্বক এর সৌন্দর্য বাড়াতে মসুর ডাল

আপনারা হয়তো জানেন না যে সুন্দর, মসৃণ, মোলায়েম ও উজ্জ্বল ত্বক পাবার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে রান্না ঘরের সাধারণ মসুর ডাল। আসুন, জেনে নিই মসুর ডাল দিয়ে রুপচর্চা করার নানা পদ্ধতি।

মুখের কালচে ভাব দূর করতে 
মসুর ডালকে রাতে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সকাল বেলায় ডালটা পিষে মুখে লাগান। রোজ যদি মুখে এই প্যাকটা লাগান আপনার চেহারায় কালো ভাবটা দূর হয়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন, ডালটা রোজ তাজা তাজা পিষতে হবে আর কাঁচা দুধ ব্যবহার করবেন।

ত্বক সতেজ করতে
মসুরির ডাল পিষে তার মধ্যে মধু এবং দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক সতেজ হবে।

মুখে বা পিঠের দাগ দূর করতে 
যদি মুখে বা পিঠে দাগ হয়, তাহলে মসুরির ডালের সাথে পোলাও চাল মিশিয়ে পেস্ট করুন। এর সাথে চন্দন পাউডার, মুলতানী মাটি, কমলা লেবুর শুকনো গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। ৪ চামচ শশার রসও দিন। মুখে এবং শরীরের নানা স্থানে ঐ পেস্টটা লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার পরে ধুয়ে ফেলুন।

 হাতের কনুইর রুক্ষভাব কমাতে এবং কালো দাগ দূর করতে 
দুধে মসুর ডাল ভিজিয়ে বাটুন। মসুর ডাল বাটা, হলুদ বাটা, পালংশাক বাটা, টমেটোর রস, সূর্যমুখীর তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কনুইয়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে 
রোদেপোড়া দাগ কমাতে মসুর ডালবাটা, কাঁচা হলুদবাটা ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।

বলিরেখা দূর করতে 
বলিরেখা দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে মসুর ডাল বাটা দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখুন ফেস প্যাক হিসাবে। নিয়মিত লাগালে অবশ্যই দারুন উপকার পাবেন।

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

৮টি স্বাস্থ্যকর খাবার সকালের নাস্তায় রাখুন

সকালের নাস্তায় আপনি কী খাবার খান? রুটি, পরোটা নাকি ওটস? স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই ফল, ডিম, অথবা ওটস দিয়ে দিনের শুরু করে থাকেন। সকালের খাবার আপনাকে সারাদিনের কাজের শক্তি প্রদান করে। তাই দিনের শুরুতে এমন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত যা আপনাকে সারাদিন কাজে শক্তি দেবে। ভারী খাবার, অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার সকালে না খাওয়াই ভাল। এর পরিবর্তে খেতে পারেন এই খাবারগুলো।

১। জাম্বুরা
সকালের নাস্তায় অনেকেই ফল খেয়ে থাকেন। তারা খুব সহজেই নাস্তায় জাম্বুরা রাখতে পারেন। দেশি এই ফলটা আপনার ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করবে। গবেষণায় দেখা গেছে খাবারের আগে অর্ধেকটা জাম্বুরা খেলে খাওয়ার রুচি অনেকখানি কমিয়ে দেয়। এছাড়া এটি শরীর দীর্ঘসময় হাইড্রেটেড রাখে।

২। ডিম
দিনের শুরুটা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডিম দিয়ে শুরু করুন। আপনার যদি মিষ্টি খাবারের প্রতি দুর্বলতা থাকে, তবে সকালে ডিম খান। এটি সারাদিনে কাজের এনার্জি দেবে, তার সাথে মিষ্টি খাবার খাওয়ার আগ্রহ কমিয়ে দেবে।

৩। টকদই
টকদই শুধু ক্যালসিয়ামের উৎস নয়, এটি অনেকগুলো মিনারেল যেমন ফসফরাস, ভিটামিন বি১২, পটাসিয়াম, এবং জিঙ্কের অন্যতম উৎস। টকদইতে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়া হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।

৪। কাজুবাদাম
কাজুবাদাম শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে ভাল কোলেস্টেরল তৈরি করতে সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় এক মুঠো কাজুবাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৫। ওটমিল
ওটমিলে বিটা গ্লুকোন জাতীয় দ্রবণীয় আঁশ রয়েছে যা হাইপারটেশন এবং কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ওটমিল পেট ভরা রেখে সারাদিনে কাজের শক্তি দিয়ে থাকে। এটি ওজন হ্রাস করতেও সাহায্য করে।

৬। কলা
সকালে নাস্তার সাথে একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। কলার পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ডিমের মত কলাও সারাদিনের কাজে শক্তি দিয়ে থাকে।

৭। স্ট্রবেরি
ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। চেষ্টা করুন ওটস অথবা সালাদের স্ট্রবেরি রাখার। স্ট্রবেরি মিল্কশেকও সকালের নাস্তায় খেতে পারেন।

৮। গ্রিন টি
সবুজ চায়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক পরিচিত রয়েছে। এটি ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। তাই সকালে নাস্তার সাথে এক কাপ গ্রিন টি পান করুন।

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

ত্বকের ধরণ অনুযায়ী হলুদের কার্যকরী ফেসপ্যাক


ত্বকের ধরণ অনু্যায়ী কাঁচা হলুদের প্যাকে রয়েছে ভিন্নতা। ত্বকের ধরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁচা হলুদের প্যাক ব্যবহার করা উচিত। আসুন তাহলে জেনে নিই কোন ত্বকে কোন প্যাকটি কার্যকর।

শুষ্ক ত্বকের জন্য

১। হলুদ এবং বেসনের প্যাক
২ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো, ১ চা চামচ দুধের সর এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক যদি অনেক শুষ্ক হয়, তবে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
২। ডিম এবং হলুদের প্যাক
১টি ডিমের সাদা অংশ, কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল, ১/২ চা চামচ গোলাপ জল, লেবুর রস এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি মুখ ও ঘাড়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই প্যাক দুটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

১। টক দই এবং হলুদের প্যাক
২ চা চামচ টক দই, ১ চা চামচ মুলতানি মাটি, গোলাপ জল এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। আপনি চাইলে এতে চন্দনেরগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।এই প্যাকটি ভাল করে মুখ এবং ঘাড়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২। চন্দনের গুঁড়ো এবং হলুদের প্যাক
২ চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো, এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো ভাল করে মেশান। এর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে নিতে পারেন। মুখে ভাল করে প্যাকটি লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই প্যাক দুটি ত্বকের সানবার্ন এবং তেল দূর করে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। চন্দনের গুঁড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

সেনসিটিভ বা সংবেদনশীল ত্বক

১। অ্যালো ভেরা এবং হলুদের প্যাক
২ চা চামচ মুলতানি মাটি, ১ চা চামচ টক দই, ১/২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি ভাল করে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সেনসিটিভ ত্বকে প্যাক ব্যবহারে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। অ্যালোভেরা এবং হলুদের প্যাক ত্বকের যেকোন প্রকার দাগ দূর করে ব্রণের প্রবণতা কমিয়ে থাকে।

শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮

রূপচর্চায় আলুর অসাধারণ ১৭টি ব্যবহার

আলু শুধু তরকারি রান্নার জন্যই নয়, রূপচর্চার জন্যেও দারুণ একটি উপকারি জিনিস। চোখের নিচে কালো দাগ, চোখের ফোলা ভাব, ব্রণ, ত্বকের কালো দাগ, ত্বকের তেলতেলে ভাব এবং চুল চকচকে করতেও আলুর জুড়ি নেই। আজকে জেনে নিন সৌন্দর্যবর্ধনে আলুর ১৭টি দারুণ ব্যবহারের কথা।

১. চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে হলে আলু কেটে সেখানে লাগিয়ে রাখুন।

২. চোখের ফোলা ভাব দূর করতে হলে আলু চাকতি করে কেটে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। বেশ আরামও পাবেন চোখে।

৩. লেবু রস ও আলু ছেঁচে তার রস মিশিয়ে মুখের লাগান। কালো দাগ black spot দূর হয়ে যাবে।
৪. আলুর রস পুরো মুখে লাগান। ব্রন pimple নিরাময়ে ভালো কাজ দেবে।

৫. মাঝারি সাইজের আস্ত একটি আলু ছেঁচে তাতে একটি লেবুর রস Lemon juice মিশিয়ে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সুস্থতা ফিরে পাবে।

৬. একটি আলু ও একটি শসা Cucumber একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও এক টেবিল চামচ পানি মেশান। এটি একটি দারুণ ক্লিনজার হিসেবে কাজ করবে।

৭. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। তৈলাক্ত ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব দূর হবে।

৮. একটি আলু ছেঁচে তাতে এক টেবিল চামচ দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকের বলিরেখা Skin balirekha দূর করবে।

৯. ত্বকের ওপরে হালকা জখম হলে তাতে আলু পাতলা করে কেটে লাগিয়ে রাখুন। প্রদাহ কমে যাবে। তবে বেশি ক্ষততে লাগাবেন না।

১০. একটি ডিমের সাদা অংশ এবং আলু ছেঁচে তার রস নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। একটি ব্রাশ দিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মাস্কের কাজ করে।

১১. আলু potato ছেঁচে তার রসে একটি টিস্যু বা পেপার টাওয়েল ভিজিয়ে নিয়ে ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এটি একটি উপকারী আলুর ফেস মাস্ক।

১২. আলুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু honey মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ময়েশ্চারের অভাব দূর হবে।

১৩. অতিবেগুনী রশ্মিতে ত্বক পুড়ে গেলে আলুর স্লাইস দারুণ কাজে দেয়।

১৪. হালকা চুলকানি, লালচে ভাব হওয়া এবং পোকা-মাকড়ের কামড়ে আলু কেটে লাগালে যন্ত্রণা প্রশমিত হবে।

১৫. রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে dry hair আলু ছেঁচে তার রস লাগালে তা চুলের ময়েশ্চারের কাজ করে।

১৬. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। শুষ্ক ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব চলে আসবে।

১৭. কয়েকটি আলু সেদ্ধ করুন। খোসা ছাড়িয়ে এক ঘণ্টা ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার শুষ্ক চুলে এগুলো ঘষতে থাকুন। ধূসর চুলগুলো চকচকে হয়ে উঠবে।

বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৮

মুখের কালো দাগ দূর করতে রাতে ঘুমানোর আগে ছোট্ট এই কাজ টুকু করুন।

ব্রণের দাগ হোক বা অন্য কারণে হওয়া দাগ, আপনার সুন্দর চেহারায় কালো দাগ মোটেও মানানসই নয়। কুৎসিত কালো দাগ যে কোন সুন্দর চেহারাকেও মলিন করে দেয়।


অনেক ক্রিম মেখে, পার্লারে ট্রিটমেন্ট করিয়েও কাজ হচ্ছে না? তাহলে মুখের দাগ দ্রুত দূর করতে অবলম্বন করুন এই উপায়টি। রোজ রাতে করুন এই ছোট্ট একটু রূপচর্চা। অল্প কিছুদিনের মাঝেই মুখের দাগ মিলিয়ে যেতে শুরু করবে।

কী ব্যবহার করবেন?
 মুখের দাগ দূর করতে আমরা ব্যবহার করবো লেবু। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে সকল অ্যান্টি স্পট ফেয়ারনেস ক্রিম লেবুর কথা বলে। কারণ একটাই, লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে।
তবে লেবু এই রূপচর্চাটি কেবল রাতের বেলায় করতে হবে এই কারণে যে সূর্যের আলো আপনার ত্বকে রিঅ্যাকশন করতে পারে। রাতের বেলায় রূপচর্চাটি করলে সূর্যের আলো বা গরমে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং ত্বক সম্পূর্ণ ৮-১০ ঘণ্টা পাচ্ছে দাগ দূর করার জন্য।




কী করবেন?
দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন আপনি। যদি আপনার ত্বক হয়ে থাকে স্বাভাবিক, তাহলে মাত্র ৫ মিনিটের একটি কাজ করতে হবে আপনাকে। যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ হয়ে থাকে, তাহলে সময় লাগবে ৩০ মিনিট।
-মুখ খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
-যদি স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে তাজা পাকা লেবুর রস (যে লেবু পেকে হলদে হয়ে গেছে, অর্থাৎ লেমন) সরাসরি মুখের কালো দাগে লাগিয়ে নিন। লেবুর রসের সাথে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।
তারপর শুকাতে দিন। এবং লেবুর রস মুখে নিয়েই ঘুমিয়ে যান। স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বকে কোন সমস্যা হবে না। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ মুছে নিন।
-আর যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ ত্বক হয়, তাহলে পাকা লেবুর রসের সাথে মুলতানি মাটি ও মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ধোয়া মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ মিলিয়ে যাবে।

টিপস-
ত্বকে লেবুর রস দেয়ার পর যদি কোন রকম অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে মুখে ধুয়ে ফেলুন এবং পুনরায় ব্যবহার করবেন না।

ত্বকের ধরন ভেদে শীতকাল উপযোগী ঘরোয়া স্ক্রাব

শীতের রুক্ষতা সবসময় প্রভাব ফেলে আমাদের স্কিনে। স্কিন টাইপ যেমনই হোক না কেন, শীতে তা হয়ে যায় রুক্ষ, শুষ্ক, প্রাণহীন। তাই শীতকালে আমাদের স্কিনের জন্যে যত্নের কমতি থাকে না। শীতকালে স্কিনের যত্নে যে জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ,  তা হলো স্ক্রাবিং। স্ক্রাবিং শীতকালে স্কিনের মরা চামড়া দূর করে, স্কিন ফাটা রোধ করে, স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ এবং সফট করে তোলে।

তবে শীতকালে স্কিন কেয়ারটা  একটু  আলাদা হয়ে থাকে। তাই স্ক্রাবিং করতে হলে, স্ক্রাবগুলো হতে হবে শীতকালের উপযোগ। এছাড়াও ফেস, বডি,  হাত পায়ের জন্য দরকার  আলাদা আলাদা স্ক্রাব।
তো চলুন জেনে নিই, কীভাবে ঘরে বসেই বানাবেন শীতকালের জন্য উপযোগী  (A to Z) স্ক্রাব।
কীভাবে স্ক্রাব করবেন? প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন ফেসওয়াসের সাহায্যে। এবার স্ক্রাব নিয়ে স্কিনে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে থাকুন। সবসময় ঘড়ির কাটার উলটো দিকে ম্যাসাজ করবেন। ৩-৪ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্রাবিং করার পর স্কিনে অবশ্যই ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন।

জেনে নিলেন তো স্কিনে কী উপায়ে ম্যাসাজ করতে হয়। এবার একে একে মুখ থেকে শুরু করে হাত-পায়ের জন্য পারফেক্ট স্ক্রাবার তৈরি উপায় জানব।

(১) ফেস স্ক্রাব 

ফেস স্ক্রাব টি আপনি ব্যবহার করবেন শুধুমাত্র মুখেই। কারন, মুখের ত্বক অনেক পাতলা হয়। তাই, সেটি খেয়াল রেখেই সবসময়  স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে।
  • চালের গুঁড়ো
  • অ্যালোভেরা জেল
  •  মধু
যেভাবে তৈরি করবেন – 
চালের গুঁড়ো এর সাথে মধু এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। বেশী ঘন হয়ে গেলে একটু পানি মিশিয়ে নিন এবং ব্যবহার করুন।

(২) হাত-পায়ের জন্যে স্ক্রাব

  • দারুচিনি
  • মধু
  • লেবুর রস
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন-
দারুচিনি গুঁড়ো  করে নিন। দানা-দানা ভাব যেন থাকে। এবার দারুচিনির সাথে বাকি উপকরণ মিশিয়ে নিন।   হাত এবং পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন।

(৩) বডি স্ক্রাব

  • চিনি
  • আমন্ড বাদাম
  • গুঁড়ো দুধ
  • টমেটোর রস

যেভাবে তৈরি করবেন – 
আমন্ড বাদাম গুড়ো করে নিন। এবার বাকি সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে নিন।

(৪) লিপ স্ক্রাব 

  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
  • ভ্যানিলা ফ্লেভার
যেভাবে তৈরি করবেন-
সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন।

(৫) নখের জন্যে স্ক্রাব 

শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও, নখেও স্ক্রাবিং এর প্রয়োজন রয়েছে। নখ এবং নখের আশেপাশের মড়া চামড়া দূর করে নখকে শক্ত করে তুলতে স্ক্রাবিং জরুরী।
  • অলিভ অয়েল
  • লেবুর রস
  • ছোট ব্রাশ
যেভাবে তৈরি করবেন –
অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি কটন বলের সাহায্যে নখে মিশ্রন টি কিছুহ্মন লাগিয়ে রাখুন। এবার ছোট ব্রাশের সাহায্যে নখ এবং নখের চারদিক ঘষে নিন এবং ধুয়ে ফেলুন।

(৬) হাত ও পায়ের তালুর জন্যে স্ক্রাব 

হাত ও পায়ের তালুও শীতের রুক্ষতা থেকে রেহাই পায় না। যার ফলাফল হাত ও পায়ের তালু শক্ত হয়ে যাওয়া, চামড়া ওঠা, ফেটে যাওয়া। এজন্য এই সব স্থানেও স্ক্রাবিং প্রয়োজন।
  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন –
চিনি এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত-পায়ের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট।
এই তো, জেনে নিলেন শরীরের বিভিন্ন স্থানের জন্যে শীতের উপযোগী বিভিন্ন ধরনের স্ক্রাব। আশা করছি, আপনাদের একটু হলেও সাহায্য করতে পেরেছি।

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮

চুলের আগা ফাটা রোধের সহজ ৫ উপায়



চুল ছাঁটা
এটি চুলের ফাটা রোধ করার একটি সহজ উপায়। অনেকেই ভাবে এতে চুল ছোট হয়ে যাবে । তাই তারা চুল ছাঁটতে চান না। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে নিয়মিত চুল ছাঁটলে দ্রুত বাড়ে।

গরম টাওয়েল ট্রিটমেন্ট
এ পদ্ধতি শুধুমাত্র চুলের আগা ফাটা রোধ করে না; পাশাপাশি চুলের কোমলতাও ধরে রাখতে সাহায্য করে। এজন্য প্রথমে ভালোভাবে চুলে তেল লাগান। তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চিপে নিন। এই তোয়ালে গরম থাকতেই পুরো মাথায় জড়িয়ে ফেলুন। ১০ মিনিট রেখে খুলে ফেলুন। এভাবে ৩-৪ বার করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

অলিভ অয়েল
শুধু ত্বক নয় চুলের জন্যও অলিভ অয়েল সমান উপকারী। চুলের গোড়ার সঙ্গে আগাতেও অলিভ অয়েল লাগালে দেখবেন চুলের আগা ফাটার পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে।

লেবুর রস
লেবুর রস সৌন্দর্য চর্চায় নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। চুলের যত্নেও তাই। লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ পানি চুলের আগায় ভালো করে লাগান। ‌এরপর ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন করলে ভালো উপকার পাবেন।

চায়ের লিকার
চায়ের ঠাণ্ডা লিকার চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করে। একটি পাত্রে চায়ের লিকার নিয়ে চুলের আগা তাতে ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত চায়ের লিকার ব্যবহারে চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব।