বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১

শীতে মলিন ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার কৌশল

হাল্কা শীতের পরশ বইছে। এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে শুরু করুন।
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ত্বকেও কিছু পরিবর্তন আসে। গরমে ত্বকে যে রকম সমস্যা, শীতের সমস্যা অনেকটা ভিন্ন। আবার ত্বকের ধরন যখন শুষ্ক তখন সব ঋতুতেই প্রধান সমস্যা থাকে শুষ্কতা।
সারা বছরই যাদের ত্বক শুষ্ক থাকে শীতের সময় তাদের সমস্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তবে এ ধরনের ত্বকে একটু যত্ন নিলেই ফ্রেশ থাকার পাশাপাশি সুন্দরও থাকে।

এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন আকাঙ্ক্ষা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড’য়ের কর্ণধার অ্যারোমা থেরাপিস্ট জুলিয়া আজাদ।
শুষ্ক ত্বকে তেল গ্রন্থি স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে। ফলে ত্বক অল্পতেই শুষ্ক হয়ে যায়। এ ধরনের ত্বকে বলিরেখা তাড়াতাড়ি পড়ে, শীতের সময় শুষ্কতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার জন্য এক ধরনের অস্বস্তি হয়।

সমস্যা থেকে রেহাই পেতে যত্ন করে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। সপ্তাহে দুতিন দিন নিয়ম করে স্ক্রার্বিং করতে হবে। আমন্ড অয়েল এ ধরনের ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী। ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।

শুষ্ক ত্বকে ক্রিম সমৃদ্ধ ক্লেজার ব্যবহার করা উচিত। আর টোনিংয়ের ক্ষেত্রে ‘ফ্লাওয়ার’ সমৃদ্ধ টোনার শুষ্ক ত্বকের উপযোগী। কখনও অ্যালকোহল সমৃদ্ধ টোনার ব্যবহার করবেন না। কারণ এ ধরনের ত্বকে অ্যালকোহল আরও বেশি শুষ্ক করে দেয়।
ঘরোয়া উপায়ে যদি পরিষ্কার করতে চান তবে বেসন ভালো ক্লেনজার। সাবানের পরিবর্তে বেসন দিয়ে দিনে দুতিনবার পরিষ্কার করুন।

এ সময় শুষ্কতার থেকে রক্ষা পেতে বেসনের সঙ্গে কাঁচাদুধ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে এবং দেহের অনাবৃত অংশে ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক পরিষ্কার উজ্জ্বল ও মোলায়েম হবে।
স্ক্রার্বিংয়ের সময় এই মিশ্রণের সঙ্গে এক চা-চামচ চিনি মিলিয়ে নিন। এরপর পুরো মুখে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করুন। তারপর উষ্ণ পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে এর সঙ্গে কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি পেস্ট করে মিশিয়ে নিন।

তৈলাক্ত হলেও শীতের সময় ত্বক একটু শুষ্ক অনূভুত হয়। এক্ষেত্রেও ত্বকের জন্য এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যাবে। তবে চিনির পরিবর্তে তৈলাক্ত ত্বকে মধু ভালো কাজ করবে। বেসনের ক্ষেত্রে মুসুর ডালের বেসন তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী।

মধু ত্বকে বাড়তি পুষ্টি যোগান দেয়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ। ত্বক পরিষ্কার করার একদুই মিনিটের মধ্যে টোনিং করতে হবে।

তুলায় টোনার নিয়ে ত্বকে একবার বুলিয়ে নিন। টোনার ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ত্বকের রোমকূপগুলো সঙ্কুচিত হয়। যা ত্বক সতেজ রাখে। এরপর ময়শ্চারাইজিং করুন। পাকাপেঁপে ও মধু মিলিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
পাকাপেঁপে ‘ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার’ হিসেবে ভীষণ ভালো কাজ করে এবং নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিদিনই রাত্রে শোবার আগে ত্বক পরিস্কার করে ভালো ব্র্যান্ডের একটা নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। এটা রুক্ষতা দূর করে ত্বক আদ্র করে তুলবে।

বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১

রঙিন চুল ও আপনি

আজকাল অনেক মেয়েই বর্ণিল রঙে  চুল  সাজাতে পছন্দ করেন। ছোট-বড়, স্ট্রেট-কার্লি সব ধরনের চুলের জন্যেই রয়েছে রঙিন সমাধান।এই সময়ে রঙিন চুল খুবই জনপ্রিয়, আকর্ষণীয় এবং ফ্যাশনেবল।নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় করে তুলতে তাই আজকাল অনেকেই চুল রাঙ্গিয়ে নিচ্ছেন  বিভিন্ন রঙ্গে । আসুন জেনে নেই রঙ্গিন এই চুলের কিছু কথা।

প্রথমেই ত্বকের রংয়ের বিষয়টি চিন্তা করুন। সঠিক রং বাছাই করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন গায়ের রং, পোশাক, মেকআপ এবং সর্বপরী চেহারার সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে চুলের রং বাছাই না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে ।এমন একটি রঙ বেছে নিন যা natural এবং আপনার ত্বকের সাথে মানানসই। প্রাকৃতিক রং হিসেবে brown, blond, brownish black, and sun kissed খুব জনপ্রিয়। এছাড়া ও রয়েছে  rich chocolet ,dark chocolet, bronge color & golden highlight, bargandi,golden copper,sheed color এবং এগুলো মোটামুটি যেকোন ধরনের ত্বকের টোনের সাথেও মানিয়ে যায়।
প্রাচিন কালে মানুষ চুল রঙ করার জন্য বিভিন্ন প্রাকিতিক উপাদান ব্যাবহার করত যাতে pigments এর উপস্থিতির জন্য চুলের
 রঙ পরিবরতন হত।কিন্তু এখন অনেক সহজেই প্রক্রিয়াজাত গুড়ার মাধ্যমে ঘরে বসেই তা করে নিতে পারছে । 
 
 সাধারনত দুই পদ্ধতিতে চুলে রং করা যায়, যেমনঃ “স্থায়ী পদ্ধতি” এবং “অস্থায়ী পদ্ধতি”।শ্যাম্পু, কন্ডিশনার যাই ব্যবহার করুন না কেন স্থায়ী রং চুল থেকে কখনও যাবে না।তবে একসময় রঙিন চুল হারিয়ে যায় । কিন্তু এটা অনেক সময়ের ব্যাপার। অস্থায়ী রং সাধারণত চুলের বাইরের দিকে কাজ করে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর চলে যায়। সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহ মধ্যে। অর্থাৎ চুল তার আসল রং আবার ফিরে পায়। তবে অস্থায়ী রং বাবরার চুলে ব্যবহার না করাই ভাল।

রং যাচাইয়ের জন্যে আপনি হাতে লাগিয়ে দেখতে পারেন। যদি হাতের রংটি সবুজাভাব ধারন করে তাহলে আপনার ত্বক ঠান্ডা প্রকৃতির। আর যদি রং হলুদাকার ধারন করে তাহলে আপনার ত্বক গরম প্রকৃতির।চুলের রঙ চোখের মণি এবং ভ্রুর রঙের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে।যদি আপনি চুলের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে ত্বক ও চোখের বিষয়টি প্রাধান্য না দেন, তাহলে সম্পূর্ণ কষ্টই ভেস্তে যাবে।
চুলের রংয়ের ক্ষেত্রে লাল, বেগুণী, সোনালী রং বেশি মানানসই। তবে আপনার ত্বকের ধরন বুঝে রং বেছে নিতে হবে।চুলের রঙে আভিজাত্যের ছোঁয়া দিতে ব্যবহার করতে পারেন strawberry bond stick । এছাড়া ও braziliano bond stick ও রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া।
 
তবে চুলে রং করার ক্ষেত্রে অবশ্যই  কথা চিন্তা করতে হবে ।কারণ অতিরিক্ত রংয়ের ব্যবহার চুলের স্বাভাবিক কোমলতা ও ঔজ্জল্য নষ্ট করে। তাই
দক্ষ কারো কাছ থেকে চুল কালার করবেন এবং ভালো ব্র্যান্ডের হেয়ার কালার ব্যবহার করবেন।

শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১

পায়ের যত্ন


পায়ের ত্বককে নরম কোমল আর রোদে পোড়া ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করতে সহজ কিছু উপায় জেনে নিই-

  • অল্প গরম পানিতে কিছুক্ষন পা ভিজিয়ে রাখুন। এবার লেবু আর চিনি মিশিয়ে একটি স্কার্ব বানিয়ে পাঁচ মিনিট পায়ের ত্বকে আস্তে আস্তে ঘষেস্কার্বিং করুন। পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • খাঁটি গরুর দুধ আপনার ত্বককে নরম কোমল করে আর দাগ দূর করতেও ভুমিকা রাখে । দুধ পায়ের পাতায় নিয়মিত ম্যাসাজ করুন আর তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • সহজ একটি প্যাক হল টমেটোর রস, বেসন, শসার রস এবং লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে পায়ের কালো ছোপ ছোপ দাগে বা সম্পূর্ণ পায়ে লাগান। শুকানোর পর পানি দিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার করুন। নিজেই আপনার পায়ের ত্বকের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
  • নারকেল তেল আর লবণ নিয়ে মিশিয়ে পায়ের ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান। আপনি চাইলে এর মধ্যে লেবুর রসও নিতে পারেন । পরে কুসুম গরম পানিতে আপনার পা দুটি কিছুক্ষন ভিজিয়ে রেখে আস্তে আস্তে পায়ের ত্বক হতে প্যাকটি উঠিয়ে ফেলুন পা পানির মধ্যে থাকা অবস্থায়। পরিষ্কার পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এটি পর পর কিছুদিন একই ভাবে পায়ের জত্ন নিলে খুব সহজেই পায়ের ত্বকের নিস্প্রান রুক্ষ ভাব দূর হয়ে ত্বকে ফিরে আসে টান টান সজিবতা। নারকেল তেল ময়েশ্চারাইজিং হিসেবে পায়ে খুব ভাল কাজ করে। লবন ত্বকের শুষ্ক মৃত কোষগুলোকে দূর করে ফেলে স্কার্বিং এর মাধ্যমে।
  • এক চা চামচ লেবুর রস ও মধু একত্রে মিশিয়ে ছোপ ছোপ কালো দাগের উপর  প্রতিদিন ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। রাতের বেলা করলে ভাল ফল পাবেন। নিয়মিত করলে কিছুদিনের  ভিতরে পায়ের কালো দাগ দূর হয়ে  পায়ের ত্বক নরম কোমল হয়ে উঠবে।
  • একইভাবে অলিভ অয়েল এবং চিনির মিশ্রণও আপনি ব্যবহার করতে পারেন। বেশী না সপ্তাহে একবার করলেই হবে। তবে উপরের যেটাই আপনি করেন না কেন পা পরিষ্কার করার পর প্রয়োজন মতন ময়েশ্চারাইজিং করুন আপনার প্রিয় লোশন বা গ্লিসারিন ব্যবহার করে। ।
  • আপনার পায়ের ত্বকের যত্ন নিতে, ত্বককে সুন্দর আর কোমল রাখতে উপড়ের সহজ উপায়ের যেকোনো একটি চেষ্টা করে দেখুন নিয়মিত। অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।

যন্ত্রণাদায়ক পায়ের গোড়ালি ফাটা ও সমাধান

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ :
  • শুষ্ক জলবায়ুযুক্ত স্থানে বসবাস
  • স্থূলতা
  • সমানে খালি পায়ে হাঁটা বা চটি অথবা গোড়ালি খোলা জুতো পরা
  • নিষ্ক্রিয় ঘর্মগ্রন্থি
  • খুব বেশি শুকিয়ে যাওয়া
  • ময়েসচারাইজারের অভাব
  • পায়ের সঠিক যত্ন না নেয়া
  • অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
যদি সঠিক ভাবে পা ফাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব না হয় তবে এই ফাটা অনেক বেশি গভীর পর্যন্ত চলে যায় যার ফলে রক্তপাতও হতে পারে। তাই পা ফাটাকে অবহেলা না করে এটি প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে হবে। খুব সহজেই ঘরে বসে আপনি প্রতিরোধ করতে পারেন এই যন্ত্রণাদায়ক পা ফাটা রোগটি।

চালের গুঁড়ার ব্যবহার
একমুঠো চালের গুঁড়ো নিয়ে এতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু, ২ তেবিল চামচ ভিনেগার, ১ তেবিল চামচ অলিভ অয়েল/ আলমণ্ড অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুণ। প্রথমে ১০ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে নিয়ে এই পেস্টটি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ভালো করে স্ক্রাব করে নিন। এতে করে পায়ের মরা চামড়া দূর হবে এবং শুষ্ক ভাবও চলে যাবে।

নিম পাতার ব্যবহার
১০/১৫ টি নিম পাতা নিয়ে ধুয়ে ভালো করে বেটে নিন। এতে ৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে নিন পুরু করে। ৩০ মিনিট রেখে গরম পানি দিয়ে পা ভালো করে ধুয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান দ্রুত পা ফাটা রোধ করবে।

মধুর ব্যবহার
মধুর ময়েসচারাইজিং এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পা ফাটা ও শুষ্ক ত্বক দুটোই দূর করতে সাহায্য করে। অর্ধেক বালতি পানিতে ১ কাপ পরিমানে মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এই পানিতে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর একটি স্ক্রাবার দিয়ে আলতো করে পা ঘষে নিন।

গোলাপজল ও গ্লিসারিনের ব্যবহার
গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা পা ফাটা দূর করে। এবং গ্লিসারিন ত্বককে নরম ও কোমল করতে সহায়তা করে। সমান পরিমাণ গোলাপজল এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে নিয়ে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের গোড়ালি ও পাতায় ম্যাসেজ করুণ।

কলার ব্যবহার
সব চাইতে সহজ পদ্ধতিটি হচ্ছে কলার ব্যবহার। একটি পাকা কলা নিয়ে তা ভালো করে পিষে নিন। পা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে এই পিষে নেয়া কলাটি পায়ের ওপর লাগান। ১০-১৫ মিনিট পড়ে গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে পা খানিকক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।

লেবুর ব্যবহার
লেবুর এসিডিক উপাদান পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে পা ফাটা রোধ করে। একটি লেবু কেটে নিয়ে সরাসরি তা দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ঘষুন। এছাড়া হাল্কা গরম পানিতে লেবুর রস চিপে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে ঝামা ইট দিয়ে ঘষে নিন পায়ের গোড়ালি। পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।

লবণ গরম পানির ব্যবহার
অর্ধেক বালতি গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে পা ডুবান। এতে করে পায়ের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এরপর পা ধুয়ে মুছে নিয়ে ফুটক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ম্যাসেজ করে নিন। খুব দ্রুত পা ফাটা থেকে রেহাই পাবেন।

শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১

যেসব বদভ্যাসে ত্বকে বলিরেখা হয়


বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মেই মুখের ত্বক কিছুটা কুঁচকে যায়, একেই বলে বলিরেখা। তবে বয়স বৃদ্ধি ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনের কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে কম বয়সেই ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে।
রূপচর্চা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বলিরেখা পড়ার কিছু কারণ সম্পর্কে জানানো হয়।

ধূমপান
ধুমপান বলিরেখা পড়ার অন্যতম কারণ। সাধারণত যারা নিয়মিত ধুমপান করেন তাদের ত্বকে অন্যদের তুলনায় খুব দ্রুত বলিরেখা পড়ে। তাই ত্বককে সুন্দর রাখতে চাইলে ধুমপান না করাই ভালো।
মিষ্টিজাতীয় খাবার
অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি দুর্বলতা ত্বকে বলিরেখা পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বকেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। চিনিজাতীয় খাবার ত্বকের প্রোটিনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই ত্বকের আদ্রতা ও নমনীয়তা কমে যায় ও ত্বকে বলিরেখা পড়ে। তাই মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে লাগাম টানতে হবে।

অ্যালকোহল
অ্যালকোহল ত্বকের আদ্রতা কমিয়ে ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। যদি রাতে অ্যালকোহল গ্রহণ করা হয় তাহলে পরদিন সকালে ত্বক দেখতে শুষ্ক দেখাবে। তাছাড়া অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে ত্বকের ‘ইলাস্টিসিটি’ কমে যায়, তাই ত্বকে সহজেই বলিরেখা পড়ে। তাছাড়া অ্যালকোহল শরীরের ভিটামিন এ’র পর্যাপ্ততার উপর ক্ষতি সাধন করে। ভিটামিন এ ত্বকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়তে পারে বয়সের আগেই।

চুইং গাম
অনেকেরই সারাদিন চুইং গাম চিবানোর অভ্যাস আছে। তবে দীর্ঘদিন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত চুইং গাম চিবানোর কারণে নিচের চোয়ালের আশপাশে বলিরেখা পড়ে যেতে পারে।


ঠিক ভাবে মেইকআপ না তোলা
মেইকআপ করার পর সেটি সঠিকভাবে পরিষ্কার করাও জরুরি। কারণ রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে যদি মেইকআপ থাকে তাহলে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মেইকআপ ত্বকের লোমকূপ ও কোলাজেন-কে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ত্বকের ভারসাম্যতা নষ্ট করে। ফলে ত্বকে ভাজ পড়া এবং বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই মেইকআপ করার পর ঘুমানোর আগে তা সঠিকভাবে পরিষ্কার করলে ত্বকে ভাঁজ পড়ার প্রবণতা কমবে।
মেইকআপের সময় ত্বক টানা
মেইকআপ করার সময় গালে অতিরিক্ত ঘষামাজা করা হলে এবং ত্বকে যদি অনিয়মিত টান পড়ে তাহলে ত্বকে সময়ের আগেই বলিরেখা পড়তে পারে। তাই বলিরেখা এড়াতে হালকাভাবে মেইকআপ করাই ভালো।

সানস্ক্রিন না লাগানো
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে ত্বকে বলিরেখা ফেলে। বলিরেখা এড়াতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

ঘুমানোর ধরন
অনেকেই ঘুমানোর সময় গালের উপর ভর দিয়ে ঘুমান। এতে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পড়তে পারে। এই সমস্যা এড়াতে সার্টিন কাপড়ের বালিশের কাভার ব্যবহার করা ভালো। এছাড়া চিত হয়ে ঘুমালে ত্বকে শোয়ার কারণে বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা কমে।

বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

৪ টি ফলের তৈরী ফেসপ্যাক


১। স্ট্রবেরি ফেসপ্যাক –
১/২ কাপ পাকা স্ট্রবেরি এবং ১/৪ কাপ কর্ণ ফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকে নিয়ে আসবে তারুণ্যদীপ্ত উজ্জ্বলতা।

২। আভাকাডো ফেসপ্যাক –
৩ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম, ১/৪ আভাকাডো এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি যেন ক্রিমী হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। Dr. Ordon বলেন রোগীরা এই ফেসপ্যাক পছন্দ করে কারণ এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে তারুণ্যদীপ্ত করে তোলে।

৩। পিচ ফেসপ্যাক –
১টি পিচ ফল, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ চা চামচ ওটমিল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন এবং ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে ত্বক টাইট করে থাকে। পিচ ফলে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড আছে যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে বলিরেখা রোধ করে থাকে।

৪। কলার ফেসপ্যাক –
১টি পাকা কলা, ২ টেবিল চামচ মধু এবং ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে। কলার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

নিয়মিত এই প্যাকগুলো ব্যবহার করার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বক নরম কোমল করে থাকে।

কালো বা সেম বর্ণ ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর উপায়

১) সমস্তরকম ত্বকের ক্ষেত্রেই ননিয়মিত পরিচর্যা করা খুবই দরকার। আমাদের ত্বক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যস্ততার কারণে ত্বকের দিকে নজর দেওয়ার মতো সময় আমাদের হাতে থাকে না। ত্বক সুন্দর তখনই হয়, যখন তা পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন এবং যত্ন নেওয়া হয়।

২) ত্বক পরিষ্কার রাখতে অবশ্যই প্রত্যেকদিন ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং করা দরকার।

৩) শুধু ফর্সা ত্বকেই নয়, রোদে বাইরে বেরোলে সমস্ত ত্বকেই সানস্ক্রিন লাগানো খুবই প্রয়োজনীয়।

৪) ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত্‌। যেমন, ড্রাই ত্বকের জন্য যে প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যাবে, সেই একই জিনিস অয়েলি ত্বকের জন্য চলবে না।

৫) কালো ত্বকে কখনওই উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরা উচিৎ নয়। তাহলে আরও কালো দেখায়। ম্যাট ফিনিশ পোশাক পরলে কালো ত্বকের ব্যক্তিদের অনেক বেশি ভালো লাগে।

সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১

লেবু দিয়ে শরীরের যেকোন কালো দাগ দূর করুণ এক নিমিষে!!

সৌন্দর্য চর্চায় লেবুর কোন তুলনাই হয়না। শরীরের কালো দাগ দূর থেকে থেকে শুরু করে ব্রণ কমানো কিংবা বলিরেখা নিয়ন্ত্রণ করা, সব কিছুই সম্ভব।
তাই বিস্তারিত জানতে দেখে নিন আজকের আয়োজন লেবু দিয়ে শরীরের যেকোন কালো দাগ দূর করুণ কৌশল। তাহলে আসুন জেনে নিই কীভাবে ব্যবহার করবেন?

১) লেবুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোদে পোড়া ত্বক ঠিক করতে লেবু কার্যকর।

২) লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভাঁজ ও দাগ দূর করে। লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি ব্রণ বা অ্যাকনে সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে।

৩) অ্যারোমাথেরাপির ক্ষেত্রেও লেবু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বয়সজনিত মুখের দাগ সারাতে লেবুর রস কার্যকর। লেবুর রস ব্যবহারে মুখের ব্রণও দ্রুত কমে।
৪) হাতের কনুই, হাঁটু, পায়ের গোড়ালির ময়লা দূর করতে লেবু কার্যকর। হাত ও পায়ের রুক্ষভাব দূর করতে লেবুর রসের সঙ্গে চালের গুড়ো মিশিয়ে হাত পায়ে লাগান।
৫) ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সমপরিমাণ শসার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে তুলার সাহায্যে মুখে লাগান। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে ত্বক সতেজ হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে যদি জ্বলে, তবে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। সে ক্ষেত্রে লেবু ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলতে পারে।
৬) ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করার ক্ষেত্রে লেবুর রস ও দুধের মিশ্রণও বেশ কার্যকর। একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে তার রস বের করে নিন। এবার তার সঙ্গে ১০ টেবিল চামচ তরল দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
ধীরে ধীরে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন, ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু ত্বকের তেল দূর করে আর দুধ ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে সাবধানে লাগাতে হবে।

৭) একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেকটা লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ কমলা লেবুর রস কুসুম গরম পানি দিয়ে পেস্টের মতো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

৮) একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে রস বের করে নিন। তাতে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ত্বকে টান টান ভাব হলে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বক উজ্জ্বল করবে। লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং গুণ ত্বককে আরো ফর্সা করবে।

বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১

ত্বক উজ্জ্বল করার ঘরোয়া পদ্ধতি

১। ত্বকের জন্য সবচেয়ে উপকারি হল দুধ। দুধের সঙ্গে টম্যাটো পিউরি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগাতে পারেন ত্বকে। এই মাস্কটি সারারাত লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। অবশ্যই ঠান্ডা জলে।

২। ব্ল্যাকহেডস-এর সমস্যে থেকে মুক্তি পেতে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ত্বকের যে অংশে ব্ল্যাক হেডস-এর বাড়বাড়ন্ত সেই সমস্ত জায়গাতে লাগিয়ে রাখুন। 30 মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বাড়ানোর জন্য দু-চামচ টক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানান। পেস্টটি মাস্কের মতো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বেড়ে যাবে।

৪। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদের থেকে ভাল কিছু হতেই পারে না। বিশুদ্ধ গুঁড়ো হলুদের সঙ্গে নারকেল তেলের মিশ্রণে পেস্ট বানিয়ে তা মুখে এবং গলায় মাখিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট পরে হালকা গরম জলে তা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে ২-৩বার করুন।

৫। তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময়ে কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা brightness বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। উপরন্তু অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে। এই ধরণের ত্বক থেকে মুক্তি পেতে হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে প্রয়োগ করুন। অচিরেই ফল পাবেন।

৬। তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে অব্যর্থ হল কফি বা কোকো পাউডার। এই পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে, গলায় মাসাজ করুন। মনে রাখবেন এই পেস্টটি সব সময়েই সাধারণ তাপমাত্রার জলে ধোবেন। কখনোই ঠান্ডা বা গরম জল ব্যবহার করবেন না।

৭। ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খুবই উপকারী হল দারচিনি। মধুর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখের ক্ষতিগ্রস্থ অংশের উপরে প্রলেপ লাগান। ঘণ্টা দুই এই প্রলেপ রাখার পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে একদিন অন্তর করে প্রয়োগ করুন এই টোটকা। 

মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

শীতের সাজকথা

বেইজের ক্ষেত্রেঃ মেকাপের শুরুতে স্ক্রাব করে নিতে পারেন এতে ত্বকের জমে থাকা মরা কোষ উঠে যাবে। আর মেকাপের আগে ত্বকের ধরন অনুযায়ী অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এরপর প্রাইমার দিয়ে বেইজ মেকআপ আরম্ভ করবেন। বেইজের ক্ষেত্রে দিনের বেলা লাইট টু মিডিয়াম আর রাতে মিডিয়াম টু হাই কাভারেজ দেয় এমন ফাউনডেশন ইউজ করতে পারেন।

কালার কারেক্টার ও কন্সিলারঃ অনেকের কাছেই শোনা যায় যে স্কিন টোনের সাথে ম্যাচ করে কন্সিলার দেওয়ার পরেও চোখের নিচের কালচে ভাবটা যেন রয়েই যায়। তাদের জন্য কন্সিলারের আগে ব্যবহার করা প্রয়োজনকারেক্টার। যাদের চোখের নিচে কালচে দাগ আছে তারা অরেঞ্জ কালার কারেক্টার ব্যবহার করবেন। আর পিম্পল এর লাল দাগ বা নাকের পাশে অনেকের লালচে দাগ থাকে সেটি মিন্ট গ্রিন কালার কারেক্টার দিয়ে ঠিক করা যায়। আর যাদের ত্বকের রঙ ফ্যাকাশে তাদের
ত্বকের জন্য ইয়ালো কালার কারেক্টার উপযুক্ত। এই নিয়ে বিস্তারিত একটা আর্টিকেল লিখব ভবিষ্যতে। কালার কারেক্টার দেওয়ার পরে কন্সিলার ব্যবহার করুন।

ব্লেন্ড করুন ভালোভাবেঃ  যেকোনো ত্বকেই মেকআপ সেট করর মূলমন্ত্র হল ত্বকের সাথে তা ভালভাবে মিশিয়ে দেওয়া, অর্থাৎ ব্লেন্ড করা।ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে স্টিপলিং ব্রাশ বা বিউটি ব্লেন্ডার অথবা মেকআপ স্পঞ্জ একটু ভিজিয়ে চিপে নিয়ে আলতো করে চেপে চেপে ত্বকে ব্যবহার করবেন। সবশেষে সেটিং পাউডার দিয়ে বেইজ সেট করে নিন। আর চোখের সাজে ব্লেন্ডিং ব্রাশ ইউজ করুন।

ব্যবহার করুন হাইলাইটারঃ মেকাপের পরে চেহারায় একটা glowy ফিনিশ আনার জন্য হাইলাইটার ব্যবহার করুন চিক বোনে, ব্রাও বোনে, আর নাকের হাড়ের ঠিক মাঝ বরাবর। আর পুরো ফেসে ডিউই লুক আনার জন্য ফাউনডেশনের সাথে মিক্স করে নিতে পারেন লিকুইড হাইলাইটার বা লুমিনেটর।শীতকালে দিনের মেকআপে সফটকনটোরিং করুন আর রাতের বেলা কনটোরিং এর জন্য আরও একটু ডার্ক শেড দিতে পারেন। জমকাল ভাব আনার জন্য রাতের সাজে চাইলে ব্রঞ্জার ইউজ করতে পারেন। ব্লাশের জন্য সফট পিঙ্ক বা পিচ টোনের ব্লাশ ভালো লাগবে।

ঠোঁটের সাজেঃ এই বছর মেকাপের ট্রেন্ডে  সারা বছর চুটিয়ে রাজত্ব করেছে ম্যাট লিপস্টিক। হাল্কা থেকে গাঢ়, সব রঙেই ছিল ম্যাট বা ভেলভেট ফিনিশিং লিপস্টিকের জয়জয়কার। শীতকালেও এর রেশ থেকে যাবে কিছুটা। তাই ম্যাট এর পাশাপাশি সেমি ম্যাট বা একটু ক্রিমি ধাঁচের লিপস্টিকেই ঠোঁট সাজাতে পারেন উৎসবে আমন্ত্রণে। তবে লিপস্টিক দেওয়ার আগে অবশ্যই লিপবাম দিয়ে নেবেন।
মেকাপের সময় অবশ্যই মনে রাখবেনঃ
  • ত্বকের ধরন যেমনই হক, মেকআপ শুরুর আগে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। শুষ্ক ত্বকে একটু ভারিময়েশ্চারাইজার আর নরমাল ও অয়েলি ত্বকে হাল্কা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
  • ডার্ক ব্রাউন, মেরুন, বেরি, প্লাম; এসব রঙ গুলো ঠোঁটের সাজেই বেশি মানানসই। ঠোঁটের এসব শেডের সাথে চোখে পার্ল, স্যাটিন বা শিমারি ফিনিশের আইশ্যাডো দিন।
  • স্মোকি আইকে একটু ড্রামাটিক করার জন্য চোখের ওয়াটার লাইনে সাদা কাজল ব্যবহার করতে পারেন। আর নিচের পাতায় ডার্ক ব্রাউন আইশ্যাডো স্মাজ করে দিন। ঘন মাশকারার প্রলেপ দিন দু তিনবার।
  • লাল, মেরুন, ম্যাজেন্টা এসব বোল্ড কালার চোখে ব্যবহার করতে যাবেন না যেন। আমাদের দেশের মেয়েদের স্কিন টোনের সাথে এসব কালার চোখের জন্য মানানসই নয়। আই মেকআপে বেছে নিন নেভি ব্লু, গ্রিন, পার্পল শেড।
  • স্মোকি আইয়ের সাথে চড়া রঙা লিপস্টিক ইউজ করবেন না। চোখের সাজ ভারি হলে ঠোঁটে নিউট্রাল কালার যেমন লাইট পিঙ্ক সফট ব্রাউন লিপস্টিক দিন। আর গাঢ়  রঙে ঠোঁট রাঙ্গাতে চাইলে চোখের জন্য ন্যাচ্রাল কালার আইশ্যাডো বেছে নিন। এতে সাজের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
  • লিপস্টিকের সাথে ম্যাচিং নেইল পলিশ ইউজ করতে পারেন। অথবা ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর করতে পারেন।

শুক্রবার, ১২ নভেম্বর, ২০২১

শীতে ঠোঁটের যত্নে বিশেষ টিপস্‌

শুষ্ক বা ফাটা ঠোঁট

একটি পরিষ্কার ভেজা কাপড়ে চিনি নিয়ে সেটি ঠোঁটে আলতো করে ঘষে নিলে ঠোঁটের মরা চামড়াগুলো উঠে যাবে। এরপর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ঠোঁটে নারকেল তেল লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া ঠোঁটের যত্নে আধা চামচ মধু এবং এক চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখতে হবে।
১. শীতকালের শুষ্কতা থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত লিপ বাম বা অ্যালোভেরা যুক্ত ভ্যাসলিন পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের ফলে ‘ডার্ক লিপ্স’য়ের সমস্যা হতে পারে | তাই শরীর আর্দ্র রাখতে প্রচুর পানি পান করতে হবে|
৩. খুব ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে মুখের ত্বক বাঁচাতে স্কার্ফ পরা যেতে পারে।
৪. ঠোঁটে প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ লিপস্টিক বেছে নিতে হবে।
৫. জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। আবার ঠোঁটে মরা চামড়া হলে সেটি টেনে তোলাও উচিত নয়।

নরম গোলাপি ঠোঁট

ঠোঁট সুন্দর করতে ঘোরোয়া কিছু সহজ উপায় মেনে চললেই হয়।
শিবানী দে বলেন, “প্রথমেই ঠোঁট পরিষ্কার করার সহজ একটি উপায় জানা যাক। কাঁচা দুধ আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি সাদা পরিষ্কার কাপড় বা তুলা ওই মিশ্রণে ভিজিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিতে হবে। এতে ঠোঁট পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি মসৃণ ও সুন্দর হবে।”
এরপর ঠোঁট স্ক্রাবি’য়ের পদ্ধতি সম্পর্কে জানান তিনি।
এক চা-চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চা-চামচ চিনি মিশিয়ে ঠোঁটের জন্য ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করা যায়। এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে আলতো করে ঘষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর ঠোঁটে লিপ বাম লাগিয়ে নিতে হবে। এই ঘরোয়া স্ক্রাব ঠোঁটের মরা কোষ পরিষ্কার করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করতে সাহায্য করবে।

ঠোঁট নরম করার উপায়

– পাকা পেঁপে চটকে তার সঙ্গে দুধের মাঠা মিশিয়ে একটা মিশ্রণ করতে হবে। সেটা ঠোঁটে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্রলেপ ঠোঁটের পুষ্টিও জোগাবে।

– সমান পরিমাণে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে| এরপর ভালো করে মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে নরম কোনও ভেজা কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে তুলে ফেলতে হবে| এটি চাইলে প্রতিদিনে এবং দিনে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন ব্যবহার

– সান ট্যান ছাড়াও ঠোঁট বেশি শুষ্ক হয়ে গেলে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে| রোজ রাতে ‍ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো করে ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগিয়ে নিতে হবে| এর ফলে ঠোঁটে আর্দ্রতার পরিমাণ ঠিক থাকবে আর নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের রং-ও স্বাভাবিক হয়ে আসবে| ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতেও এই পদ্ধতি বেশ উপকারী|

– ঠোঁটে এক টুকরা বিট নিয়ে হাল্কা করে ঠোঁটে মালিশ করতে হবে| বিটের রস ট্যান বা পোড়াভাব দূর করতে সাহায্য করে আর কিছুদিনের মধ্যেই ঠোঁটের রং স্বাভাবিক গোলাপি হয়ে উঠবে|

– শসার রস কালো দাগ উঠাতে দারুণ কার্যকর। রোজ নিয়ম করে ঠোঁটে শসার রস লাগালে কিছুদিনের মধ্যেই ঠোঁটের কালচেভাব অনেকটাই কমে আসবে।

ঠোঁটের ত্বক অত্যন্ত নমনীয়। তাই বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। ঠোঁটে লিপ বাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এপিএফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে।
শিবানী দে বলেন, “সস্তা বা কম দামি লিপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে এবং আরও অনেক ধরনে ক্ষতি হতে পারে। ঠোঁটের জন্য হার্বাল লিপ বাম ব্যবহার করা সব থেকে ভালো।”

বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১

আঙুলের গিঁটের কালচে দাগ দূর করতে তিনটি উপায়

১) ব্লিচ পদ্ধতি

ঘরেই শুধুমাত্র লেবু ও মধুর মাধ্যমে ব্লিচ করে এই কালচে গিঁটের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। লেবুর ব্লিচিং এজেন্ট কালচে দাগ দূর করে এবং মধুর প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার ত্বকের রুক্ষতা দূর করে মসৃণভাব ফুটিয়ে তোলে।
– ১ চা চামচ মধুতে ১ চা চামচ তাজা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি হাতের আঙুলের গিঁটে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
– মাত্র ১ মিনিট ম্যাসেজ করে নিন এই মিশ্রণটি আঙুলের গিঁটে এবং পায়ের পাতার কালচে দাগের উপরে।
– এরপর ১০ মিনিট এভাবেই রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারে খুব দ্রুত কালচে দাগ দূর হয়ে যাবে।

২) আমন্ড অয়েলের ব্যবহার

আমন্ড অয়েল অর্থাৎ কাঠবাদামের তেল ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। শুধুমাত্র আমন্ড অয়েলের ব্যবহারেই এই কালচে দাগ দূর করে দিতে পারেন আপনি।
– প্রতিদিন কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল আঙুলের এই কালচে দাগের উপর এবং পায়ের পাতার কালো হয়ে যাওয়া অংশের উপরে ম্যাসেজ করুন।
– ২-৩ মিনিট প্রতিদিন এভাবে ম্যাসেজ করে নিলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রুক্ষতা ও কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।

৩) বেকিং সোডা ও গ্লিসারিনের ব্যবহার

বেকিং সোডার ব্লিচিং এজেন্ট কালচে দাগ দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী এবং গ্লিসারিন ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখবে দীর্ঘসময়।
– একটি বড় বোলে কুসুম গরম পানি নিয়ে এতে কয়েক চামচ বেকিং সোডা এবং ১ চা চামচ গ্লিসারিন এবং ১ চ চামচ গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে নিন।
– এই পানিতে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। এরপর কালচে দাগের উপর ভালো করে ম্যাসেজ করে নিন।
– সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারেই ভালো ফলাফল পাবেন।

শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১

“নখের কোণা ওঠা” সমস্যার সমাধান

-হাত বা পা উষ্ণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। যতটা সহ্য করতে পারেন, ততটা গরম পানি নেবেন।

-কাজ শুরুর আগে মেনিকিউর সেট গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন।

-এবার পা/হাত ভালো করে মুছে নিন। মুছে নেয়ার পর নখ কাটুন। বেড়ে ওঠা বাড়তি নখ ও তার আশেপাশে যতটা সম্ভব কেটে ফেলুন।

-এবার রয়ে যাওয়া বাড়তি নখ চিমটার সাহায্যে সামান্য উঁচু করে ধরুন এবং আরেকটি চিমটার সাহায্যে সামান্য একটু তুলো নখের নিচে গুঁজে দিন। খুব সাবধানে কাজটি করুন। এই কাজটি আপনার নখে ব্যথা হতে দেবে না।

-যতদিন নখে বড় না হচ্ছে আর আপনি কেটে যন্ত্রণাদায়ক বাড়তি কোণা বাদ দিতে না পারছেন, ততদিন পর্যন্ত এভাবেই তুলো দিয়ে রাখুন। দিনে ২/১ বার বা জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে তুলো বদলে দেবেন।

-যদি ইতিমধ্যেই ইনফেকশন হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান। এই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না।

-পা/হাত সর্বদা পরিষ্কার রাখুন এবং এমন হলে মোজা পরিধান করবেন না।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১

শীতে ত্বকের যত্ন

  • শীতের সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়া থেকে ত্বক বাঁচাতে নিয়মিত তেল ব্যবহার জরুরি। ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে ১ অথবা ২ ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিন। অ্যাভোকাডো অয়েল মেশালেও উপকার পাবেন। তেলমিশ্রিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন গোসলের পর পরই।
  •  
  • ফেসওয়াশ অথবা বডিওয়াশের সঙ্গে সামান্য মোটা দানার চিনি মিশিয়ে নিন। হালকা হাঁটে কয়েক মিনিট ঘষে নিন ত্বকে। এটি ত্বকের মরা চামড়া দূর করবে। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে সামান্য নারকেল তেল ঘষুন ত্বকে। ত্বক নরম ও কোমল থাকবে পুরো শীতকাল জুড়েই।
  •  
  • টক দইয়ের সঙ্গে ওটমিল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চক্রাকারে পেস্টটি ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি মরা চামড়া দূর করে ত্বক নরম করবে।  
  •  
  • শীতে ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল সরাসরি চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ত্বকেও সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন এই জেল। এটি ত্বক নরম রাখবে।
  •  
  • চুলের রুক্ষতা দূর করতে নারকেল তেল সামান্য গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে নিংড়ে চুল ঢেকে রাখুন ১৫ মিনিট। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  •  
  • ঠোঁট ফাটা রোধ করতে সুইট আমন্ড অয়েল ব্যবহার করেত পারেন ঠোঁটে। রাতে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
  •  
  • হাত ও পায়ের যত্নে ব্যবহার করুন লেবু। লেবু অর্ধেক করে কেটে বেকিং সোডা মিশিয়ে হাত ও পায়ের ত্বকে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর আগে নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন হাত-পায়ের ত্বকে।
  •  
  • পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে গরম পানি ও শ্যাম্পুর মিশ্রণে পা ডুবিয়ে রেখে পিউমিস স্টোন দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। পা মুছে গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। রাতে মোজা পরে ঘুমাবেন।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১

সিজারের পর পুরনো বডি শেপ ফিরে পাওয়ার উপায়

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো শুধু বাচ্চার জন্যই উপকারী না, এটা মায়ের জন্যও অনেক উপকারী। যেসকল মায়েরা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান তাদের ওজন অন্য মায়েদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত দ্রুত ঝরে যায়। কারণ বুকের দুধের মাধ্যমে বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পুষ্টি দিতে গিয়ে মায়ের শরীর থেকে অনেক বেশী ক্যালরি ক্ষয় হয়। যার ফলে ওজন ঝরে যেতে শুরু করে। এজন্য শুধু জন্মের প্রথম ছয় মাসই নয়, বরং এরপরও বাচ্চাকে অন্তত এক বছর পর্যন্ত নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।

নিয়মিত হাটা শুরু করুন

সিজারের পর ওজন কমানোর জন্য হাটা হচ্ছে সবথেকে ভালো উপায়। নিয়মিত হাটা শুধু ক্যালরি বার্ন করে না, অপারেশনের পর শরীরের অ্যানার্জি লেভেল বাড়াতেও সাহায্য করে। যে সকল মায়েরা সিজার অপারেশনের মধ্য দিয়ে যান তাদেরকে সাধারণত অপারেশনের পরদিন থেকেই অল্প অল্প করে হাটা শুরু করতে বলা হয়। কারণ হাটলে সেলাই দ্রুত শুকায়, রক্ত জমে না এবং ব্যাথা প্রশমন ত্বরান্বিত হয়। তবে প্রথম ছয় থেকে আট সপ্তাহ খুব আস্তে আস্তে হাটতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে হাটার গতি এবং সময় বাড়াতে হবে।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

সিজারের মত মেজর অপারেশন থেকে রিকভারীর জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খুবই দরকারী। বিশেষত যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান তাদের জন্য অতিরিক্ত খাবার অতি জরুরী। কারণ বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ক্যালরি বার্ন হয়ে যায়। এই বাড়তি ক্যালরির ঘাটতি বাড়তি খাবারের মাধ্যমে পুরণ করা উচিত। তবে এই খাবারটি হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত।
একজন মায়ের সকালটি শুরু হওয়া উচিত একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা দিয়ে যা তাকে সারাদিনের জন্য অ্যানার্জি দেবে। এরপর সারাদিনে ৫ থেকে ৬ বার অল্প অল্প করে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে মায়ের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস অথচ অল্প পরিমাণে ক্যালরি থাকে। আর প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।

 ভাজাভুজি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন

সকল নতুন মায়েদেরই একটু আধটু মিষ্টি বা ভাজাভুজি খাওয়ার অধিকার আছে। তাই বলে ক্ষিদে লাগলেই চিপস বা কেক নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লে কখনোই পুরনো ওজন ফিরে পাওয়া সম্ভব না। এজন্য ডুবো তেলে ভাজা খাবার, আইসক্রীম, সফট ড্রিঙ্কস এসব যত এড়িয়ে চলা যায় ততই ভালো। এসব খাবারের বদলে তাজা ফল বা সবজি নাস্তা হিসেবে খেলে মা ও বাচ্চা দুজনের জন্যই ভালো ফল বয়ে আনবে।

সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিভিন্ন উপটান

(১) ফেস ওয়াশে উপটানঃ

মুখ পরিষ্কারের সময় ব্যবহার করুন বেসন, যা প্রাকৃতিক ক্লীনজার। পুরো রেসিপিটি হচ্ছে, ১ টেবিল চামচ বেসন, ১ চিমটি হলুদের গুঁড়া ও গোলাপ জল বা কাঁচা দুধ দিয়ে মিশিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে গোলাপ জল আর শুষ্ক ত্বক হলে কাঁচা দুধ ব্যবহার করবেন।

(২) স্ক্রাব হিসেবে উপটান

উপটানের বহুবিধ ব্যবহারের মধ্যে স্ক্রাবিংও একটি। প্রাকৃতিক এক্সফ্লোয়েটর আপনার নাজুক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী, এটি ত্বকের উপরিভাগের মরা চামড়া সরিয়ে নতুন কোষ আসার সুযোগ করিয়ে দেয় তাও আবার আলতো ভাবে। উপটান স্ক্রাব বানাতে লাগবে,
  • ১ টেবিল চামচ লাল আটা
  • ১ চা চামচ আতপ চালের গুঁড়া
  • ১ টেবিল চামচ বেসন
  • ১ চা চামচ চন্দন গুড়া
  • ১ চা চামচ নিম পাতার পেস্ট
  • ১ চিমটি হলুদের গুঁড়া
  • ১ টেবিল চামচ টকদই
  • শশার রস (যতটুকু দিলে স্মুথ পেস্ট হবে)
এবার সব উপকরণ মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ৫ মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

(৩) ময়েশ্চারাইজিং এ উপটান

ত্বককে ফর্সা করার পাশাপাশি এ উপটান ত্বককে আর্দ্রতাও প্রদান করে। ৫-৬ টা আমন্ড বা কাঠ বাদাম সারা রাত ননীযুক্ত দুধে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এগুলো বেটে বা পিষে নিন। তারপর এর সাথে টকদই, গাঁদা ফুলের পেস্ট ও মধু মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন কমপক্ষে ১৫ মিনিটের মত। কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। কোমল আর ফর্সা ত্বক অনুভব করবেন সাথে সাথেই।

(৪) ফেসিয়াল উপটান

ফেসিয়ালের সময় বা সপ্তাহে এক দিন এ উপটান ব্যবহারে ত্বকের ট্যান দূর হবে অনেক টাই, আর যাদের ট্যান বা এ ধরনের সমস্যা নেই তারা খেয়াল করলে দেখবেন প্যাকটি ব্যবহারের পর আপনার ত্বকের ফর্সা ভাব। এ প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে-
  • ২ টেবিল চামচ বেসন
  • ১ টেবিল চামচ গমের আটা
  • ১/২ চা চামচ হলুদের গুঁড়া
  • ১ টেবিল চামচ চন্দন/মুলতানি মাটি/তুলসি গুঁড়া
  • ১ চা চামচ করে লেবু, শশা ও গোল আলুর রস
  • ২ টেবিল চামচ টকদই
  • ১ টেবিল চামচ মধু
সব গুলো উপাদান (পরিমাণমত) একটি বাটিতে নিয়ে ২-৩ মিনিট ধরে ভালো করে মেশান। তারপর মুখে মেখে ২০-২৫ মিনিট বা শুকাতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণ রাখুন। এরপর প্রথমে কুসুম গরম ও পরে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিন। সারাদিনের বিউটি রুটিনে আনুন একটু পরিবর্তন; এ ছোট্ট পরিবর্তন-কেমিক্যাল এর পরিবর্তে ঘরোয়া রূপ সামগ্রীর ব্যবহার আপনার ত্বকে এনে দেবে ন্যাচারাল গ্লো; যা হবে দীর্ঘস্থায়ী এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত।

শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১

গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়

– প্রথমত পা সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ধুলাবালি পায়ের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই কাজ শেষে ঘরে ফিরে সামান্য স্ক্রাব বা ঘষে পা ধুয়ে নিন। পায়ে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। পা ধোয়ার পর পা ভেজা থাকা অবস্থায় মুছে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভোলা যাবে না।

– সকালে বিছানা থেকে নামার আগেই পায়ের গোড়ালিতে একটু পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। নিয়মিত করতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। কারণ পা ফাটার শুরু হয় এসময় থেকেই। তাই ব্যবস্থা শুরুতেই নিলে খুব বেশি ভয় থাকে না।

– গোসলের আগে পায়ে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বক নরম থাকবে। তিল তেল বা যেকোনো ভেজিটেবল অয়েল পায়ের জন্য খুবই উপকারী। সারা বছর পায়ের ত্বক নরম রাখতে তিল তেল ভালো। ম্যাসাজের আগে সম্ভব হলে তেল অল্প গরম করে নিন।

– সপ্তাহে এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে পারেন। সেজন্য রাতে শোবার আগে উষ্ণ গরম পানিতে লবণ, শ্যাম্পু মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। গরম পানির স্পর্শে গোড়লির মরা ত্বক নরম হলে স্ক্রাবার বা পা ঘষার পাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এতে মরা ত্বক ঝরে পড়বে, ফাটাও দূর হবে।

– পায়ের যেকোনো পরিচর্যায় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হয়। অপরদিকে ঠাণ্ডা পানি ত্বককে আরও শক্ত করে ফেলে। বাইরে থেকে ফিরে সামান্য গরম পানিতে পা ধুয়ে নিয়ে আলতো করে ময়েশ্চারাইজার ও গ্লিসারিন মালিশ করে নিলেও উপকার পাবেন।

– পায়ের ত্বকের কোমলতার জন্য ময়দা, হলুদের গুঁড়া, লেবুর রস ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগালে উপকার পাবেন।

– পায়ে মুলতানি মাটি, শসার রস, কমলার রস ও টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

– নিয়মিত পরার জুতাটি শক্ত হলেও পা ফাটতে পারে। এ জন্য সব সময় পায়ের পক্ষে আরামদায়ক জুতা পরার চেষ্টা করুন। শীতে পায়ের গোড়ালি ঢাকা জুতা পরাই ভালো।

– যারা বাইরে নিয়মিত বের হন ও বেশি হাঁটাহাঁটি করেন তারা মোজাসহ পা-বন্ধ জুতা পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পা যেন না ঘামে। প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পরুন।

– পায়ে ঘাম ও ধুলোময়লা জমে অনেকেরই ছত্রাক সংক্রমণের সমস্যা দেখা যায়। এতে অতিরিক্ত পা ফাটার প্রবণতাও থাকে। সে ক্ষেত্রে জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১

ফর্সা ও কোমল ত্বকের জন্য কাঁচা দুধের অসাধারণ ফেসপ্যাক

(১) কাঁচা দুধ, বেসন ও মুলতানি মাটির প্যাক

এই প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দারূণ কাজ করে। কাঁচা দুধের ল্যাকটিক এসিড প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে ত্বকের রঙ হালকা করে। বেসন ও মুলতানি মাটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে এবং সেই সাথে ত্বককে গভীর থেকে পরিস্কার করে।
একটা পাত্রে ১ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ মুলতানি মাটি ও ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এবার হাতে অল্প পানি নিয়ে মুখে লাগিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকের গভীর থেকে ময়লা উঠে আসবে। এবার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

(২) কাঁচা দুধ ও কলার প্যাক

এই প্যাকটির জন্য লাগবে অর্ধেক পাঁকা কলা ও পরিমাণ মত (প্রায় ২ চা চামচ) কাঁচা দুধ। কলা খুব ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। এর সাথে অল্প অল্প করে কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি থকথকে মিশ্রণ বানাতে হবে। এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বককে ময়শ্চারাইজও করবে। এজন্য এটি ধোয়ার পর আলাদা করে ময়শ্চারাইজার লাগানোর কোন দরকার নেই।

(৩) কাঁচা দুধ, পেঁপে ও মধুর প্যাক

এই প্যাকটি মূলত বয়স্ক ত্বকের জন্য। যাদের ত্বকে হালকা রিংকেল পড়ে গেছে তারা এই প্যাকটি থেকে অনেক উপকার পাবেন। দুই টুকরা পাঁকা পেঁপে খুব ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। এর সাথে মিশাতে হবে দুই চা চামচ কাঁচা দুধ ও ১ চা চামচ মধু। এটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

(৪) কাঁচা দুধ, মধু ও লেবুর রসের প্যাক

কাঁচা দুধ মধু ও লেবুর রসের সাথে মিশালে এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে যা কেমিকেল ব্লিচের মত কোন ধরণের ক্ষতি ছাড়াই ত্বকের রঙ হালকা করে। দুই চা চামচ কাঁচা দুধের সাথে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।

(৫) শুধুই কাঁচা দুধ

আর এত কিছু যদি আপনার জন্য কষ্টকর মনে হয় তবে আপনার জন্য অতি সহজ একটা রূপচর্চার উপায় বলে দিচ্ছি। শুধু কাঁচা দুধ হাতে নিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি প্রত্যেকদিন এই শুধু কাজটিও করতে পারেন, তাহলেও আপনার ত্বক আস্তে আস্তে অনেক উজ্জ্বল হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১

ত্বকের ধরন ভেদে শীতকাল উপযোগী ঘরোয়া স্ক্রাব

তবে শীতকালে স্কিন কেয়ারটা  একটু  আলাদা হয়ে থাকে। তাই স্ক্রাবিং করতে হলে, স্ক্রাবগুলো হতে হবে শীতকালের উপযোগ। এছাড়াও ফেস, বডি,  হাত পায়ের জন্য দরকার  আলাদা আলাদা স্ক্রাব।
তো চলুন জেনে নিই, কীভাবে ঘরে বসেই বানাবেন শীতকালের জন্য উপযোগী  (A to Z) স্ক্রাব।
কীভাবে স্ক্রাব করবেন? প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন ফেসওয়াসের সাহায্যে। এবার স্ক্রাব নিয়ে স্কিনে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে থাকুন। সবসময় ঘড়ির কাটার উলটো দিকে ম্যাসাজ করবেন। ৩-৪ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্রাবিং করার পর স্কিনে অবশ্যই ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন।
জেনে নিলেন তো স্কিনে কী উপায়ে ম্যাসাজ করতে হয়। এবার একে একে মুখ থেকে শুরু করে হাত-পায়ের জন্য পারফেক্ট স্ক্রাবার তৈরি উপায় জানব।

(১) ফেস স্ক্রাব 

ফেস স্ক্রাব টি আপনি ব্যবহার করবেন শুধুমাত্র মুখেই। কারন, মুখের ত্বক অনেক পাতলা হয়। তাই, সেটি খেয়াল রেখেই সবসময়  স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে।
  • চালের গুঁড়ো
  • অ্যালোভেরা জেল
  •  মধু
যেভাবে তৈরি করবেন – 
চালের গুঁড়ো এর সাথে মধু এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। বেশী ঘন হয়ে গেলে একটু পানি মিশিয়ে নিন এবং ব্যবহার করুন।

(২) হাত-পায়ের জন্যে স্ক্রাব

  • দারুচিনি
  • মধু
  • লেবুর রস
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন-
দারুচিনি গুঁড়ো  করে নিন। দানা-দানা ভাব যেন থাকে। এবার দারুচিনির সাথে বাকি উপকরণ মিশিয়ে নিন।   হাত এবং পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন।

(৩) বডি স্ক্রাব

  • চিনি
  • আমন্ড বাদাম
  • গুঁড়ো দুধ
  • টমেটোর রস

যেভাবে তৈরি করবেন – 
আমন্ড বাদাম গুড়ো করে নিন। এবার বাকি সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে নিন।

(৪) লিপ স্ক্রাব 

  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
  • ভ্যানিলা ফ্লেভার
যেভাবে তৈরি করবেন-
সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন।

(৫) নখের জন্যে স্ক্রাব 

শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও, নখেও স্ক্রাবিং এর প্রয়োজন রয়েছে। নখ এবং নখের আশেপাশের মড়া চামড়া দূর করে নখকে শক্ত করে তুলতে স্ক্রাবিং জরুরী।
  • অলিভ অয়েল
  • লেবুর রস
  • ছোট ব্রাশ
যেভাবে তৈরি করবেন –
অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি কটন বলের সাহায্যে নখে মিশ্রন টি কিছুহ্মন লাগিয়ে রাখুন। এবার ছোট ব্রাশের সাহায্যে নখ এবং নখের চারদিক ঘষে নিন এবং ধুয়ে ফেলুন।

(৬) হাত ও পায়ের তালুর জন্যে স্ক্রাব 

হাত ও পায়ের তালুও শীতের রুক্ষতা থেকে রেহাই পায় না। যার ফলাফল হাত ও পায়ের তালু শক্ত হয়ে যাওয়া, চামড়া ওঠা, ফেটে যাওয়া। এজন্য এই সব স্থানেও স্ক্রাবিং প্রয়োজন।
  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন –
চিনি এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত-পায়ের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট।

শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২১

নখ পরিচর্যার ৮টি সহজ টিপস্‌

১/নখ সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখবেন। নখ ভেজা থাকলে নখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাশ জন্মাতে পারে। এ থেকে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

২/বাড়িতেই নিয়মিত মেনিকিউর করে নিতে পারেন। মেনিকিউর ক্লিপার বা কাটার দিয়ে নিয়মিত নখ কেটে নেইল ফাইলার দিয়ে শেপ করে নিন। নখ কাটার আগে ঈষদুষ্ণ পানিতে নখ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ভেজা নখ নরম থাকে, ফলে কাটতেও সুবিধা হয় এবং নখের কোনো ক্ষতিও হয় না।

৩/অনেক সময় বিভিন্ন কারণে নখ ভেঙে যায়। কোনো কারণে নখ ভেঙে গেলে কখনই টেনে ছিঁড়বেন না। টেনে ছিঁড়লে ব্যথা তো লাগবেই, সেই সঙ্গে নখের শেপও নষ্ট হয়ে যাবে। ভাঙা নখ সাবধানে নেইল কাটার দিয়ে কেটে ফেলতে হবে।

৪/সবসময় নেইলপলিশ ব্যবহার না করাই ভালো। এতে নখের স্বভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায়। দু-সপ্তাহ অন্তর নেইল পলিশ ফেলে কয়েকদিন নখ এমনই রেখে দিন। এতে নখে আলো-হাওয়া লাগে, যা নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৫/দাঁত দিয়ে নখ কাটা অথবা নখের চারপাশের চামড়া কাটার বদ অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি ছাড়তে পারবেন ততই ভালো।

৬/প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নখ ম্যাসাজ করা ভালো।

৭/নেইল পলিশ রিমুভার যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। বেশি রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ন্যাচারাল ময়েশ্চার নষ্ট হয়ে যায় এবং নখ শুষ্ক হয়ে যায়। সপ্তাহে একবারের বেশি রিমুভার ব্যবহার না করাই ভালো।

৮/সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং হ্যান্ড ক্রিম অথবা লোশন লাগিয়ে নেবেন। সাবান হাতের ত্বকের পাশাপাশি নখের ময়েশ্চারও নষ্ট করে দেয়।

বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

জেনে নিন ফলের খোসা ত্বকের কি উপকার করে

কমলার খোসা
কমলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি ও এ আছে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন-সি ত্বককে উজ্জ্বল করে, অন্যদিকে ভিটামিন-এ ত্বকের বলিরেখা ও কালো দাগ দূর করে। কমলার খোসা ব্রণও দূর করে সহজে।
কলার খোসা
কলার খোসা ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। এটি ত্বকের ক্লান্তি ভাব দূর করে এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
বেদানার খোসা
বেদানার খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করতে কার্যকর। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না।
আলুর খোসা
আলু যদিও ফল নয়, সবজি। এর খোসাও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে, ত্বকের কালচে ভাব দূর করে এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে।
লেবুর খোসা
লেবুর খোসা ত্বকে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। এর সাইট্রিক এসিড ত্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে।
আপেলের খোসা
আপেলের খোসাতে পলিফেনল থাকে, যা ত্বকের মরা কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে।
পেঁপের খোসা
পেঁপের খোসায় আলফা হাইড্রোক্সি থাকে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের কালো দাগ দূর করে এবং মরা কোষ দূর করে অনেক দ্রুত।

শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১

ঘরে বসেই করুন গোল্ড ফেসিয়াল

ত্বকের পুরনো লাবণ্য, উজ্জ্ব্বলতা ফিরিয়ে আনতে গোল্ড ফেসিয়ালের জুড়ি নেই। ত্বকে লুকিয়ে থাকা ধূলো ময়লা, বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনার ক্ষমতা সোনার অসীম। নতুন কোষ জন্মানোর জন্য সোনার অবদান অনেক। ৩৫ এর উপরে বয়স হলে এই ফেসিয়াল করলে যৌবনের সেই নরম তুলতুলে ত্বক ফিরে । এবার জেনে নিন কিভাবে ঘরে বসেই করবেন এই ফেসিয়াল।

একটি গোল্ড ফেসিয়াল কিটে থাকে গোল্ড ক্লিনজার, গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব, গোল্ড ফেসিয়াল ক্রিম বা জেল, গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক।

– প্রথমে গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি গোল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করুন তারপর গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব দিয়ে মুখের সব মরা কোষ দূর করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে স্ক্রাব করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

-এবার গোল্ড ক্রিম দিয়ে মুখ ম্যাসাজের পালা। এতে আছে গোল্ড ফয়েল, গোল্ড পাউডার, মধু, স্যাফ্রন, এলোভেরা আর চন্দন। যা আপনার ত্বকে বুলিয়ে দেবে কোমল পরশের ছোঁয়া। হালকা হাতে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

-এবার ধীরে ধীরে গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করুন মাস্ক শুকানো পর্যন্ত। তারপর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে মাস্ক তুলে ফেলুন। মাস্কে বিদ্যমান হলুদ, গোল্ড ফয়েল, আর এলোভেরা আপনার ত্বকে এনে দেবে সোনালি আভা। এই ফেসিয়াল করার পর ৩০% পর্যন্ত পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আকর্ষণীয় সুন্দর নখ পেতে হলে যা করবেন

কল্পনা করুন খুবই আকর্ষনীয় এবং ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন একজন নারী। কিন্তু যখনই তিনি হাতটি উপরে তুললেন, তখন তার নখের ধরণ দেখে তার প্রতি জন্ম নেয় ইতিবাচক ধারণা নেতিবাচকে পরিণত হলো। তার ময়লা এবং বিবর্ণ নখ অযত্ন এবং অজ্ঞতারই পরিচয় বহন করে। এটি যে শুধু সৌন্দর্যহানীকর তা নয়, অস্বাস্থ্যকরও বটে।
একই কথা খাটে পায়ের নখের ক্ষেত্রে। এর যত্নে অবহেলা আপনার ব্যক্তিত্ব খর্ব করার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং আপনার মুখ এবং ত্বকের যত্ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সমানভাবে নখের দিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। আর এই জন্য দেখে নিন আকর্ষণীয় সুন্দর নখ পেতে হলে যা করবেন আপনি।

নখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

নখ পরিষ্কার রাখা খুবই সহজ। এর জন্য ভালো মানের হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করবেন। হাতের নখের ময়লাগুলো আলতো করে পরিষ্কার করুন। বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না। অনেক সময় দৈনন্দিন কাজে নখ এবং এর আশেপাশের ত্বকে দাগ পরে যায়। এই দাগ দূর করতে সহ্য করার মতো গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে হাত ডুবিয়ে রাখুন। লেবুর রস দাগও দূর করবে আর আপনার নখের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। পায়ের নখ পরিষ্কার করতে একটি সুতি কাপড়ে সবান পানি দিয়ে ঘষুন। এই সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিদিন দুইবার নখ পরিষ্কার করা উচিত।
এর সাথে সপ্তাহে একবার মেনিকিউর-পেডিকিউরও করা উচিত।

নখের কোমলতা

নখ পরিষ্কার করার পর একটি তোয়ালে দিয়ে নখে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন। নখে পানি জমে থাকলে তা থেকে ইনফেকশন হতে পারে। এবার পায়ের নখে কোনো ভালো মানের ময়শ্চারাইজিং ক্রিম নখ এবং এর আশপাশের ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার নখের চারপাশের ত্বক কোমল থাকবে। হাতের নখের জন্য অলিভ অয়েল, এলমন্ড কিংবা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

নখের সুস্বাস্থ্য

আপনার সুন্দর নখ প্রকাশ করে আপনার ব্যক্তিত্ব এবং সুস্বাস্থ্য। যদি নখ হয় কোমল, মসৃণ এবং গোলাপী তাহলে বোঝা যাবে আপনার শরীরও সুস্থ্য আছে। ভাঙা, বিবর্ণ এবং দাগযুক্ত নখ কোন রোগ বা শারীরিক ভারসাম্যহীনতার চিহ্ন বহন করে। বেশি করে ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত খাদ্য, ফল-মূল, শুষ্ক ফল এবং সবুজ শাক-সবজি খেলে শরীরের সাথে সাথে নখও কোমল, মসৃণ এবং উজ্জ্বল থাকবে।

বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মেকআপের কিছু অজানা টিপস

আপনার ত্বক যদি বেশ উজ্জ্বল হয়ে থাকে তাহলে কোনো ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার দরকার নেই। এর জন্য শুধু চোখের নিচে কনসিলার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি চোখের শ্যাডোর সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা ঠিক করে নিন।

* মেকআপ করার আগে মুখের ত্বককে পরিষ্কার এবং ময়েশ্চারাইজ করে নিন। এতে করে মেকআপটি ত্বকে ভালোভাবে বসে যাবে এবং বেশ কমনীয় ও নমনীয় দেখাবে। ব্রোনজার মুখের মেকআপে এক ধরনের গ্লামার নিয়ে আসে। এটি কপালে এবং গালে ব্যবহার করলে একটি গ্লামারাস লুক তৈরি করে।

* ত্বকের কালার টোন বুঝে সঠিক ফাউন্ডেশনটি ব্যবহার করুন। ফাউন্ডেশনের গায়ে স্কিন টোন অনুযায়ী নম্বর দেওয়া আছে। এ নিয়মটিকে অনুসরণ করুন। তাহলে মেকআপটি আপনার ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মিশে যাবে।

* স্কিনের টোন অনুযায়ী মুখের মেকআপ গাঢ় করুন। এতে করে মেকআপটি বেশ উজ্জ্বল হবে। কখনোই নিজের ত্বকের চেয়ে হালকা রঙের মেকআপ নির্বাচন করবেন না। যদি দ্বিধায় পড়ে যান, তাহলে কাছাকাছি হালকা ও গাঢ় দুটি রংই নিন এবং কাঙ্ক্ষিত রং পেতে ব্যবহারের সময় দুটো মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

* ঠোঁটের মেকআপটি ন্যাচারাল করলে ভালো দেখাবে। যেমন- ত্বকের রংয়ের সঙ্গে যায় এমন রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। ফর্সাদের উজ্জ্বল রঙে বেশ ভালো মানিয়ে যায়। পার্টি মেকআপে অবশ্যই উজ্জ্বল লিপস্টিক ব্যবহার করুন। তবে গায়ের রংটাও মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন।

* ফ্রেশ এবং তারুণ্যতা ফুটিয়ে তুলতে চোখে জেল লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। এটি চোখের মেকআপটিকে প্রাণবন্ত করে তুলবে। অন্যের কথার চেয়ে নিজের দৃষ্টির ওপর ভরসা করুন। মেকআপের জন্য যে রংটি আপনার কাছে ত্বকের সঙ্গে সবচেয়ে মানানসই লাগে, সেটিই বাছুন।

* মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে আইব্রোর ওপর। মেকআপে আইব্রো অাঁকার সময় শেষটা কখনোই হঠাৎ করে করা যাবে না। এতে আপনাকে অনেক বেশি বয়স্ক দেখাবে। এ জন্য আইব্রোর শেষ পর্যন্ত এঁকে সঙ্গে সঙ্গে আরও একটু বাড়িয়ে নিন হালকা করে। তাহলে চেহারায় বেশ একটা শার্পনেস চলে আসবে।

* ফটোগ্রাফিক লুক আনার জন্য মেকআপটিতে হাইলাইটস ব্যবহার করুন। আইব্রোর নিচে এবং নাকের মাঝখানে হাইলাইটস ব্যবহার করলে মুখের আকৃতি শার্প হবে। ফলে ছবি ভালো আসবে।

* চোখের ক্লান্তিভাব দূর করতে বেগুনি এবং সবুজ লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। চোখের সাজে শ্যাম্পেন কালারড আইশ্যাডো লাগান। চোখের ওপরের পাতায় মোটা রেখায় কালো আইলাইনার লাগান। চোখের নিচের পাতায় কাজল দিয়ে রেখা টানুন। ঘন করে মাশকারা লাগান চোখের পাপড়িতে।

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ঠোঁটের উপর রোমশ আভা দূর করার উপায়

কারণ

ঠোঁটের উপরে কালো দাগের প্রথম এবং প্রধান কারণ হচ্ছে ঠোঁটের পাতলা লোমের স্তর। যে কারণে ঠোঁটের উপরের অংশকে চেহারার অন্য অংশের থেকে কালো দেখায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই গোঁফের মতো পাতলা লোমের স্তর ফেলে দিলেও দাগ দূর হয় না।

ড. মেঘনা গুপ্তা বলেন, “এর কারণ হতে পারে হরমোনের প্রভাব। বয়ঃসন্ধিতে এবং গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের সময় ঠোঁটের উপরে কালো দাগ পড়তে পারে।”
এ ছাড়াও, ভিটামিন-ই এবং আয়রনের অভাবে কালো ছোপ পড়ে। কেউ যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করেন বা অন্যান্য ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও এমনটা হতে পারে।

আলকাতরার উপাদান আছে এমন উপকরণে সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহারে দাগ পড়াও বিরল নয়। এ ছাড়াও ত্বকের মেলালিন ঘটিত রোগ মেলানোসিস এবং সূর্যের আলোতে বেশি সময় কাটালে ঠোঁটের উপর কালো ছোপ পড়তে পারে।

যদিও ঠোঁটের উপরের লোম ফেলে দিলে কালো ভাবটা দূর হয় তবে বার বার ঠোঁটের উপরের লোম উপরে ফেলতে থাকলে স্থায়ীভাবে কালো দাগ পড়ে যায়।

পরিত্রাণের উপায়

১। কী খাচ্ছেন সেই বিষয়ে লক্ষ রাখুন। একজন মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৭২ ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের প্রয়োজন হয়। এসব পুষ্টি উপাদান প্রতিদিনের খাবারে নিশ্চিত করতে নানান ধরনের ফল ও সবজি প্রতিদিন খেতে হবে জানিয়েছে মুম্বাইয়ের রেজিস্টার্ড পুষ্টিবিদ ড. স্মিতা নন্দা।
তার মতে, “প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। ফল চিবিয়ে খেতে হবে। তবে এর রস পান করা যাবে না। পাশাপাশি প্রতিদিন যেন প্রচুর পরিমাণে সবজি খাওয়া হয় সেই বিষয়েও যত্নশীল হতে হবে। যে সব খাবারে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যেমন: ঘানিতে ভাঙা তেল, তোকমা দানা, আখরোট ইত্যাদি আপনাকে উপকৃত করতে পারে।

২। এই দাগ একটা সতর্ককারী সংকেত হতে পারে যে, আপনার দেহে হয়ত কিছু একটা ঠিক নেই। তাই একটি স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন আপনাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে এমন সব ওষুধ সেবন করতে যেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই অথবা তুলনামূলক কম।
কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনার ক্ষতি করবে কিন্তু সেগুলোর লোভ সামলানো খুবই কষ্টসাধ্য, এই খাবারগুলো কম করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। চর্বিযুক্ত খাবার, বেশি পরিমাণে খাবার, ক্যাফেইনযুক্ত খাবার আপনার ধারণার থেকে বেশি ক্ষতি করে থাকে।
অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমান, এই সাত ঘণ্টার বিষয়ে কোনো প্রকার আপোষ করবেন না।
মনে রাখবেন, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়। তাই, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা, শরীরচর্চা করা, ধ্যান করা, গান শোনা, নিজেকে প্রশ্রয় দেওয়া, ম্যাসেজ করার মতো কাজগুলো করবেন। এতে মন প্রফুল্ল থাকে এবং কাজ করতে ভালো লাগে।

৩। আপনার ত্বকের নিয়মিত যত্ন নিন। ত্বকে এসপিএফ ফিফটি মানের সানস্ক্রিন মাখুন, শুধু গরমে নয় শীতকালেও। ঘর থেকে বের হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন। ঠোঁটের উপরের লোম ওয়াক্স করার বদলে সুতা দিয়ে তুলুন।

৪। রূপ-ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, ত্বকের রং হালকা করার ক্রিম, পিল অফ মাস্ক, ত্বকের উপরের ত্রুটিপূর্ণ দাগ তুলে ফেলার জন্য করা কসমেটিক চিকিৎসা, লেজার দিয়ে করা চিকিৎসার সাহায্যেও ঠোঁটের উপরের কালো দাগ দূর করা যায়।

সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

রূপচর্চায় বেসন এর ব্যবহার


- মুখের কালচে ভাব দূর করতে ৪ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে এবং ঘাড়ে লাগিয়ে শুকান পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক কে নরম এবং উজ্জ্বল করে। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ৪-৫ বার ব্যবহার করুন।

- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে লেবু এবং বেসনের ফেইস প্যাক খুব কার্যকর। ৪ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ কাঁচা দুধ ভালো মতো মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে সারকুলার মোশনে স্ক্রাবের মতো মাখুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

- যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা ৩ চা চামচ বেসন এর সাথে ২ চা চামচ কাঁচা দুধ অথবা ২ চা চামচ টক দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমানোর সাথে সাথে ত্বকের ময়লা দূর করে।

- ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন এন্টি পিম্পল বেসন মাস্ক। ২ চা চামচ বেসন, ২ চা চামচ স্যানডালউড পাউডার, এক চা চামচ দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে শুকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

- ঘাড় এবং আন্ডারআর্মের কালো দাগ নিয়ে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয় অনেককেই। এসব জায়গার কালো দাগ দূর করতে বেসনের একটি প্যাক খুব কার্যকর। বেসন, টক দই এবং কাঁচা হলুদ পরিমাণ মতো নিয়ে ঘাড়ে এবং আন্ডারআর্মের কালো জায়গায় লাগান। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এরপর মুছে সেখানে তিলের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ বার ব্যবহার করুন।

- মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে বেসন। মেথি গুঁড়ো এবং বেসনের সাথে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখের যেসব জায়গায় লোম রয়েছে সেখানে এই মিশ্রণটি লাগান। শুকালে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এই ফেইস প্যাকটি ব্যবহার করুন।

- ব্রণের কালো দাগ দূর করতে বেসনের সাথে শশা এবং লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ হালকা হয়ে যাবে।

- চেহারায় মুহূর্তের মধ্যে উজ্জ্বলতা আনতে ২ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ শুকনো কমলার খোসার গুঁড়ো এবং আধা চা চামচ দুধ মিশিয়ে মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। লাগানোর সময় মুখে হালকা ভাবে সারকুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বককে উজ্জ্বল এবং মসৃণ করে।

রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ব্রণ দূর করে কলার ফেসপ্যাক


নরম ও কোমল ত্বকের জন্য কলার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। বলিরেখা ও ব্রণ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল রাখে এটি

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য
ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে কার্যকর কলার ফেসপ্যাক। ১টি কলা ব্লেন্ড করে ১ চা চামচ মধু মেশান। ত্বকে মিশ্রণটি ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করলে ত্বক প্রাণবন্ত হবে।

ব্রণ দূর করতে
ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে কলার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। একটি কলা চটকে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে
শুষ্ক ত্বকের যত্নে কলার ফেসপ্যাক অতুলনীয়। অর্ধেকটি কলা চটকে ১ চা চামচ ওটমিল গুঁড়া, ১ চা চামচ মধু ও ১টি ডিমের কুসুম মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করলে ত্বক হবে নরম ও কোমল।

শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

রূপচর্চায় ভেষজ উপাদানের ব্যবহার


কাঁচা হলুদ
কাঁচা হলুদ বেটে নিয়মিত মুখে লাগালে কেবল যে ত্বকের রং উজ্জ্বল হয়, তা-ই নয় বরং এটা ব্রণ ও চর্মরোগ থেকে দেয় মুক্তি। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খান, দেখবেন ত্বকও ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে উজ্জ্বল। কেননা, এটি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

থানকুনি পাতা
থানকুনি পাতা বেটে মাথায় লাগালে মাথা ঠান্ডা হবে। সেই সঙ্গে কমবে চুল পড়ার হার। নিয়ম করে থানকুনি পাতার রস খেলে মনে রাখার ক্ষমতাও বাড়বে দিন দিন।

ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
এক চামচ ইসবগুলের ভুসি ও দুই চামচ অ্যালোভেরার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়েই দেখুন। বাড়তি মেদ পালানোর পথ পাবে না। দূর হবে বাতের ব্যথাও। অ্যালোভেরার রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল গজাবে। মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের দাগ দূর করে ত্বক করে তুলবে আরও উজ্জ্বল।

আমলকী
আমলকী খেলে মুখের রুচি বাড়ে, চুল পড়া বন্ধ হয় এবং ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। আর আমলকীর গুঁড়া ও তিলের তেল মিশিয়ে মুখে লাগালে যেমন শুষ্ক ত্বক কোমল হবে, তেমন ত্বক ফর্সাও করবে। আবার চুলে আমলকীর রস এক ঘণ্টা লাগিয়ে ধুয়ে ফেললে চুলের অকালপক্বতা দূর হবে।

তিল
তিল লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়ে চুল কালো হবে, ত্বকের দাগ দূর হবে। এটা খেলে বাতের ব্যথাও দূর হয়। তিলের সঙ্গে মধু ও দুধ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয়।

কাঠবাদাম
কাঠবাদাম খেলে স্নায়বিক শক্তি বাড়ে। আবার কাঠবাদামের সঙ্গে দুধ ও মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে সেটা ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ত্বকে কোমলতা আনে।

লবঙ্গ
যদি মুখে অনেক ব্রণ থাকে, তাহলে এটি গুঁড়া করে ব্রণের ওপর লাগান। ব্রণ কমে যাবে।

মেথি
মেথি বেটে চুলে লাগালে চুল পড়া কমে, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে। ফলাফল পেতে ব্যবহার করেই দেখুন!

লেবু
লেবু খেলে একই সঙ্গে চুল, ত্বক ও দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়। লেবু ও মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। ভালো ক্লেনজারের কাজ করবে। সমপরিমাণ লেবু ও নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। খুশকির যন্ত্রণা আর হবে না।

এছাড়াও……  
* এক চা-চামচ অ্যালোভেরা ও এক টেবিল-চামচ লেবুর রস শ্যাম্পুতে মিলিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুলের তৈলাক্ত ভাব কমবে।
* জায়ফল গুঁড়া করে দুধের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যায় উপকার পাবেন। দারচিনি বেটে মধুর সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সমপরিমাণ শসাবাটা এবং গোলাপজল একসঙ্গে ব্যবহার করলে ব্রণের বিরুদ্ধে খুব ভালো কাজ করবে।
* শসা ও লেবুর রস তুলার বলের সাহায্যে ব্যবহার করলে পিগমেন্টেশন দূর হবে।
* সমপরিমাণ দারচিনির গুঁড়া এবং লেবুর রসের পেস্ট সারা রাত লাগিয়ে রেখে সকালে ধুয়ে নিতে পারেন। ব্ল্যাক হেডস দূর হবে।
* রাতেই কিছুটা মেথি বেটে হোয়াইট হেডস হয়েছে এমন স্থানে লাগিয়ে রেখে সকালে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সমস্যা কেটে যাবে। চন্দনের গুঁড়া ও গোলাপজল একসঙ্গে মিলিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্যবহারেও উপকার পাবেন। ২০-৩০ মিনিট পর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
* অল্প কিছু কালো এলাচ গুঁড়া করে  ফ্রিজে রেখে দিন। ১০টি তেজপাতা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে এই পানির সঙ্গে এলাচ গুঁড়া ও মুলতানি মাটি মিলিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে গোসলের আগে ব্যবহার করুন। শরীরের দুর্গন্ধ দূর হবে ও ঘাম কমবে।
* মেথি দিয়ে প্রস্তুতকৃত চা খেলে, লবঙ্গ চিবালে, এলাচের দানা চিবালে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।
* কাঠবাদামের পাতা বেটে ত্বকের আক্রান্ত অংশে লাগালে অ্যালার্জি দূর হবে।
* চুল পড়া কমাতে এক চা-চামচ দারচিনির গুঁড়া, এক টেবিল-চামচ মধু এবং এক টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল মিলিয়ে শ্যাম্পু করার পাঁচ-দশ মিনিট আগে ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু শেষে কন্ডিশন করে নিন।

বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

লেবুর খোসার উপকারিতা



১/রান্নার কাজেঃ
চিকেন রোস্ট রান্নার সময় খাবারে লেবুর সুঘ্রাণ পেতে দুই-এক টুকরো লেবুর খোসা দিতে পারেন। সুঘ্রাণের পাশাপাশি খাবারও হবে সুস্বাদু।

২/চিনি ঝরঝরে রাখতেঃ
রান্নাঘরের চিনির কৌটায় রেখে দিতে পারেন এক টুকরো লেবুর খোসা। এর ফলে চিনি থাকবে একেবারে ঝরঝরে।

৩/মুখের দুর্গন্ধ এড়াতেঃ
 মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে জুড়ি নেই লেবু বা কমলার খোসার। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং কিছুক্ষণ পরপর সারাদিন লেবু বা কমলার খোসা চিবাতে পারেন। এতে যেমন আপনার মাড়ি ভালো থাকবে তেমনি নিঃশ্বাসে থাকবে প্রাকৃতিক সজীবতা।

৪/পোকা-মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতেঃ 
আলমারি বা ওয়ারড্রবকে কীটপতঙ্গ থেকে মুক্ত রাখতেও লেবুর খোসার জুড়ি নেই। লেবুর শুকনো খোসা শুকিয়ে একটি ছোটো পলিপ্যাকে নিয়ে মোজা কিংবা অন্তর্বাসের ড্রয়ারে রেখে দিন। দুর্গন্ধ তো দূর হবেই, সাথে সাথে আপনার পোশাক হবে দারুণ সুরভিত।

৫/ফ্রিজ সতেজ রাখতেঃ
ফ্রিজের ভেতরে দুর্গন্ধ এড়াতে রেখে দিতে পারেন দুই এক টুকরো লেবুর খোসা। এতে ফ্রিজ থাকবে লেবুর সুগন্ধময়।

৬/ডাস্টবিনে দুর্গন্ধ এড়াতেঃ 
দুর্গন্ধময় ময়লা-আবর্জনায় লেবুর খোসা নিক্ষেপ করুন। লেবুর খোষা দুর্গন্ধ শুষে নিবে।

৭/চায়ের কেটলি বা কফি পট পরিষ্কার করতেঃ
জমে থাকা চা কিংবা কফির পট পরিষ্কার করতে পারেন লেবুর খোসা দিয়ে। এক্ষেত্রে কেটলিতে পানি নিয়ে লেবুর খোসা দিয়ে কিছুক্ষণ সেদ্ধ করতে হবে। এরপর ময়লা জায়গা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

৮/কাটিং বোর্ড পরিষ্কার করতেঃ
কাটিং বোর্ডের সব ময়লা দাগ পরিষ্কার করতে লেবুর খোসা কেটে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। দেখবেন একেবারে ঝকঝকে হয়ে গেছে।

৯/মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কার করতেঃ
মাইক্রোওয়েভের তেল চিটচিটে হলে বাটিতে পানি দিয়ে লেবুর খোসা ছেড়ে গরম করতে হবে। এরপর পানি দিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এতেই মাইক্রোওয়েভ ঝকঝকে হয়ে যাবে।

১০/ত্বক উজ্জ্বল করতেঃ
ত্বকে মেসেজ করে ধুয়ে ফেললে নরম, কোমল ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায়।

১১/বয়সের দাগ দূর করতেঃ
মানুষের যখন বয়স বাড়ে তখন শরীরে বয়সের দাগ পড়ে যায়। এই দাগের ওপর লেবুর খোসা ঘসলে তা উঠে যায়।

১২/স্কিন টনিক হিসাবেঃ
লেবুর খোসা ত্বকে অল্প ঘষে ধুয়ে ফেললে এটি ত্বকের স্কিন টনিক হিসাবে কাজ করবে।

ফর্সা নিখুঁত সুন্দর ত্বকের জন্য গুঁড়ো দুধের ৭ ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম


চা বা কফি তৈরির অন্যতম একটি উপাদান হলো গুঁড়ো দুধ । শুধু খাবার নয় ত্বকের যত্নেও গুঁড়ো দুধের অনেক ব্যবহার রয়েছে । ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা , ত্বকে কালো দাগ কিংবা ব্রণের কালো দাগ দূর করতে গুঁড়ো দুধের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন । নিখুঁত , নরম ফর্সা কোমল ত্বক পেতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন গুঁড়ো দুধের এই প্যাকগুলো । (অবশ্যই ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার ব্যবহার করবেন) ।

১। গুঁড়ো দুধ , পেঁপে এবং গোলাপ জল

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ , এক টেবিল চামচ পাকা পেঁপে চটকানো এবং ছয়-সাত ফোঁটা গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন । এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন । শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

২। গুঁড়ো দুধ এবং লেবুর রস

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধের সাথে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন । এই পেস্টটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন । ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন । এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন ।

৩। গুঁড়ো দুধ এবং চালের গুঁড়ো

একটি পাত্রে চাল এবং গুঁড়ো দুধ পানিতে গুলিয়ে দুই ঘন্টা রেখে দিন । এরপর এই মিশ্রণটি বেটে পেস্ট করুন । এই পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন । আপনি চাইলে এতে লেবুর রস মেশাতে পারেন । এটি ত্বক নরম করার সাথে সাথে স্ক্রাবের কাজ করবে ।

৪। গুঁড়ো দুধ এবং হলুদ

এক চা চামচ হলুদের গুঁড়োর সাথে কাঁচা দুধ মেশান । দুধ এবং হলুদের পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন । ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন । শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে মধু মেশাতে পারেন । প্যাক ব্যবহারের আগে মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন । এতে ত্বকের রোমকূপ খুলে যাবে এবং প্যাক ভালভাবে ত্বকে কাজ করবে ।

৫। গুঁড়ো দুধ এবং কমলার খোসা

কমলার খোসা গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে নিন । এই প্যাকটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । প্যাকটি তুলে ফেলার পর ত্বকে বরফ ঘষুন পাঁচ মিনিট । তাৎক্ষনিক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এই প্যাকটি ।

৬। গুঁড়ো দুধ এবং মুলতানি মাটি

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ এবং দুই চা চামচ মুলতানি মাটির সাথে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন । এই প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন । ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

৭। গুঁড়ো দুধ এবং মধু

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ , দুধ চা চামচ মধু এবং কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন । এই প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন । ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ত্বকের যত্ন ফেশিয়াল এর পরে ত্বকের যত্ন

ফেশিয়াল করার পর প্রথম কয়েকদিন ত্বক দেখায় খুব উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত কিন্তু কিছুদিন চলে যাওয়ার পরেই আগের মতো ত্বক হয়ে যায় তৈলাক্ত, দেখা দেয় ব্রনের উপদ্রব ইত্যাদি আরও নানা সমস্যা। তাই ফেশিয়াল করার পরেও কী করে ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা ঠিক রাখবেন জেনে রাখুন প্রয়োজনীয় টিপস।এ জন্য যা করবেন:

১। সতর্কতার পরিষ্কার করুণ। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে ফেশিয়াল এর পরে প্রতিদিন অবশ্যই প্রাকৃতিক ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেবেন। এ ক্ষেত্রে দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পুরো মুখে মেখে তুলা দিয়ে মুছে ফেলুন। এই ক্লিনজার মুখের তেল, ময়লা দূর করে সহজেই। এ ছাড়া ওটসের সঙ্গে টকদই মিশিয়ে ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপানার ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।

২। ফেশিয়াল এর পরে ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজিং খুবই কার্যকরী। ক্লিনজিংয়ের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে কিছুক্ষণ পর ফেসিয়াল করুন। দেখবেন এতে ত্বক অনেক নরম ও মসৃণ হবে।

৩। ভালো পণ্য দিয়ে মুখ ধোবেন। এ জন্য সাবানের বদলে ভালো মানের ফেসওয়াস ব্যাবহার করতে পারেন।

৪। বাইরে বেরুনোর সময় সান্সক্রিম ব্যাবহার করতে ভুলবেন না।

৫। সপ্তাহে ২/৩ দিন ফেশিয়াল স্ক্রাবার ব্যবহার করুন।

৬। সপ্তাহে দুই একবার গোলাপ জ্বল, লেবুর রস মুলতানি মাটির সাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। একইভাবে মধু, লেবুর রস, ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়েও মুখে লাগাতে পারেন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

এই উপায়ে প্রতিদিন ত্বকের যত্ন নিলে দেখবেন ফেশিয়ালের পরেও ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে এবং উজ্জ্বলতা থাকবে অটুট। তবে শুধুমাত্র ঘরোয়া রূপচর্চা করলেই যে ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা ভালো থাকবে তা নয়। নিজের ডায়েট মেন্যুতে রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার।

রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

জেনে নিন সানস্ক্রিন বিষয়ে খুঁটিনাটি

সঠিক সানস্ক্রিন কিনছেন তো?

--------দিনের বেলায় সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি (Ultraviolet Ray) ত্বকের অনেক বেশি ক্ষতিসাধন করে যা অল্প বয়সে রিংকেল হওয়া থেকে শুরু করে অতিরিক্ত ফাইন লাইন, ত্বকে পোড়া দাগ ফেলা এমনকি ত্বকের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সানস্ক্রিন। তবে সানস্ক্রিন কতটা রোদ থেকে রক্ষা করবে তা মাপা হয় SPF ( Sun Protection Factor) দেখে। আমাদের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা জায়গাভেদে ৩২ থেকে ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই সানস্ক্রিন কিনতে গেলে দেখে নেবেন তা যেন অন্তত SPF 30হয়। তবে অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু সানস্ক্রিনের ক্ষেত্রে SPF 30 থাকে কিন্তু ব্যবহারের পর দেখা যায় যে তা অতটা কাভারেজ দিচ্ছে না। তাই যদি পূর্ণভাবে আশ্বস্ত হতে চান তাহলে আরো বেশি SPF যুক্ত সানস্ক্রিন কিনতে পারেন। তবে তা যেন SPF 50 এর বেশি না হয়।

কখন লাগাবেন?

----------যখনই বাইরে যাবেন সে যত অল্প সময়ের জন্যই যান না কেন অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগিয়ে যাবেন। যদি দিন মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবুও সানস্ক্রিন লাগাতে ভুল করবেন না।আবার সানস্ক্রিন লাগানোর সাথে সাথেই বেরিয়ে পড়বেন না। লাগানোর পর সানস্ক্রিনে থাকা উপাদানগুলো পুরোপুরি কার্যকরী হতে কিছু সময় লাগে। তাই বাইরে যাবার অন্তত ২০-৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে তারপর বের হবেন।এছাড়া SPF ভেদে প্রতি ৩-৫ ঘন্টা পরপর পুনরায় লাগাবেন।

কতটুকু সানস্ক্রিন লাগাবেন?

----------অনেকে মনে করেন ময়েশ্চারাইজিং ক্রীম যতটুকু লাগান ততটুকু সানস্ক্রিন লাগালেই হবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন স্বাভাবিক উচ্চতার(গড়) মানুষের পুরো শরীরকে রোদ প্রতিরোধক করার জন্য অন্তত ১ আউন্স বা দুই টেবিল চামচ সানস্ক্রিনের প্রয়োজন হয় যা মূলত আমরা ময়েশ্চারাইজেশনের জন্য যতটুকু ক্রীম লাগাই তার প্রায় দ্বিগুণ।

যতটা সম্ভব ছায়ায় থাকুন-

--------ত্বকের পোড়া দাগ কিংবা ত্বকের ক্যান্সার থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে রোদ থেকে দূরে থাকা। সানস্ক্রিন লাগিয়েছেন বলেই যে রোদে ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াতে পারবেন এমনটি ভাবা ভুল। বিশেষ করে ১০ থেকে ৩ টা পর্যন্ত রোদের তাপ অনেক বেশি প্রখর থাকে। তাই এ সময়ে যতটা সম্ভব রোদ থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে স্কার্ফ কিংবা ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
এই সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললে খুব সহজেই রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আপনারা আপনাদের ত্বককে রক্ষা করতে পারবেন এবং আপনার কোমল ত্বককে আরো উজ্জ্বল ও আকর্ষনীয় করে তুলতে পারবেন। তাই আপনার রেগুলার বিউটি রুটিনে সানস্ক্রিন রাখতে ভুল করবেন না।

শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১

রোদে ত্বকের যত্নে যা করণীয়


এই রোদে ত্বকের যত্নে করণীয় কী হতে পারে তাই নিয়ে আলোচনা করা হলো :

ফেসওয়াশঃ গরমের দিনে ত্বকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে বেশি যত্নশীল হতে হয়। এজন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন-সমৃদ্ধ সাবান অথবা ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ। তবে গরমে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের গরমকালে কষ্ট হয় বেশি।  তেলগ্রন্থিগুলো এ সময় সক্রিয় হয়ে উঠার কারণে তেল বের হয় বেশি  তারা মেডিকেটেড ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করলে ভালো ফল পেতে পারেন।

সানস্ক্রিন : গরমের দিনে সবচেয়ে প্রয়োজন হচ্ছে সানস্ক্রিন। রোদ থেকে রক্ষা পেতে বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করবেন, বিশেষ করে চোখের নীচের নমনীয় ত্বকের জন্য মেডিকেটেড সানস্ক্রিন এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তেলবিহীন সানস্ক্রিনই ব্যবহার করতে হবে। রোদে বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করবেন। সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন তাতে যেন সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর এসপিএফ অন্তত ১৫ হয়। ওয়াটার প্রুফ সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন।

ক্রিম : শুষ্ক ত্বকের খসখসে ভাব দূর করার জন্য এবং বলিরেখা পড়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সবসময় ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। অবশ্য ক্রিমের বদলে বেবি লোশনও ব্যবহার করতে পারেন। তবে গরমের দিনে ক্রিম হতে হবে তেলবিহীন। নতুবা ক্রিমের অতিরিক্ত তেল গরমে আরো বেশি সমস্যা তৈরি করবে।

এছাড়া গরমে আরো যা যা করতে হবে :
১. গরমে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। এ ছাড়া সঙ্গে সানগ্লাস ও ছাতা নিতে ভুলবেন না।

২. শুধু বাহ্যিক যত্ন করলেই হবে না, প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ যত্নেরও। গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর শাক-সবজি, ফলমূল এবং কমপক্ষে ১০-১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

৩. এ সময়ে আমাদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল থাকে, এ জন্য গুরুপাক খাবার এড়িয়ে চলুন। টক, ভাজাপোড়া এবং খুব বেশি গরম খাবার খাবেন না।

৪. রোদে বের হবার আগে সানগ্লাস নিতে ভুলবেন না যেন। সানগ্লাস আপনার চোখকে রোদ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি আপনার মধ্যে একটা স্মার্ট লুক নিয়ে আসবে।

৫. বাইরে যেহেতু ঘন ঘন মুখ ধোয়া সম্ভব নয় তাই সঙ্গে ফেসিয়াল টিস্যু রাখতে পারেন। কাজের ফাঁকে ফেসিয়াল টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে নিলে নিজেকে অনেক ফ্রেশ ও সতেজ মনে হবে।

৬. গরমে লেবুর শরবত হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এক চমৎকার পানীয়। শরবতে একটু লবণ ও চিনি মিশিয়ে নিন। চিনি শক্তি জোগাবে, আর লবণ পূরণ করবে আপনার শরীর থেকে ঘামের সাথে বেরিয়ে যাওয়া লবণের অভাবটুকু। লেবুতে থাকে ভিটামিন সি। এই গরমে ভিটামিন সি ফিরিয়ে দেবে আপনার লাবণ্যতা।

৭. গরমের করুন অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন আপনার অভ্যাসের পরিবর্তন। নিজেকে বদলে ফেলুন। ত্বকের প্রতি দৃষ্টি দিন। সামান্য কিছু সতর্কতা আপনার ত্বককে করবে আরও বেশি আকর্ষণীয়।