রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

৪টি ফলের ফেসপ্যাক

১। স্ট্রবেরি ফেসপ্যাক
১/২ কাপ পাকা স্ট্রবেরি এবং ১/৪ কাপ কর্ণ ফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকে নিয়ে আসবে তারুণ্যদীপ্ত উজ্জ্বলতা।

২। আভাকাডো ফেসপ্যাক
৩ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম, ১/৪ আভাকাডো এবং ১ টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি যেন ক্রিমী হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। Dr. Ordon বলেন রোগীরা এই ফেসপ্যাক পছন্দ করে কারণ এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে তারুণ্যদীপ্ত করে তোলে।

৩। পিচ ফেসপ্যাক
১টি পিচ ফল, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ চা চামচ ওটমিল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন এবং ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে ত্বক টাইট করে থাকে। পিচ ফলে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড আছে যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে বলিরেখা রোধ করে থাকে।

৪। কলার ফেসপ্যাক
১টি পাকা কলা, ২ টেবিল চামচ মধু এবং ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে। কলার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

নিয়মিত এই প্যাকগুলো ব্যবহার করার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বক নরম কোমল করে থাকে।

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

ত্বকের পরিচর্যায় আলু

শরীরের গঠনে নানাভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি ত্বকের দেখভাল করতেও আলু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কীভাবে ত্বকের যত্নে উপকারে আসে এই সবজিটি তা দেখে নিন-

১. ডার্ক সার্কেল কমায়:
স্ট্রেস, ক্লান্তি এবং আরও নানা কারণে চোখের নীচে কি কৃষ্ণ গহ্বর তৈরি হয়েছে। তাহলে বন্ধু আজ থেকেই ত্বকের পরিচর্যায় আলুকে কাজে লাগান। দেখবেন অল্প দিনেই ডার্ক সার্কেল কমে যাবে। সেই সঙ্গে ত্বকের সার্বিক সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে কয়েকটা আলুর টুকরো নিয়ে কম করে ২০ মিনিট চোখের নীচে ভালো করে আস্তে আস্তে লাগাতে হবে। সময় হয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে সারা মুখটা। এইভাবে কয়েক সপ্তাহ যদি ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন, তাহলেই দেখবেন ডার্ক সার্কেল উধাও হয়ে যেতে সময় লাগবে না।

২. চোখের ফোলা ভাব কমায়:
খেয়াল করে দেখবেন অনেক সময়ই আমাদের চোখের নিচের অংশ এমনভাবে ফুলে যায় যে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও কিন্তু অালুকে কাজে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, এমন সমস্যায় কীভাবে কাজে লাগাতে হবে আলুকে? এক্ষেত্রে কয়েকটি আলুর টুকরো নিয়ে চোখের নীচে ধীরে ধীরে লাগাতে হবে। কম করে ১০-১৫ মিনিট রাখার পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে সারা মুখটা। কয়েকদিন এভাবে ব্যবহার করলেই দেখবেন চোখের ফোলা ভাব কমতে শুরু করেছে।

৩. বলিরেখা কমায়:
অসময়েই কি ত্বক বুড়িয়ে যাচ্ছে? সেই সঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে বলিরেখা? তাহলে বন্ধু ত্বকের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে আলুর সাহায্য নিতে ভুলবেন না যেন! আসলে আলুর মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করে টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো অালু নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে কম করে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ফেলতে হবে সারা মুখটা। সপ্তাহে কম করে ২-৩ দিন এইভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলেই দেখবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা।

৪. কালো ছোপ ছোপ দাগ কমবে:
কখনও ব্রণর কারণে তো কখনও অন্য কোনও কারণে সারা মুখ কালো ছোপ ছোপ দাগে ছেয়ে যায়। এক্ষেত্রে বেশিরভাগই কেমিকাল মিশ্রিত বাজার চলতি নানা ধরনের ফেস হোয়াইটনিং ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। এইসব ক্রিম লাগালে সমস্যা তো কমেই না, উল্টে ত্বকে নানাবিধ কেমিকেলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে স্কিনের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই এমন ধরনের ত্বকের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে রোনও ধরনের ক্রিম ব্যবহার না করে আলুকে কাজে লাগানো শুরু করুন। দেখবেন বেশি উপকার পাবেন। এক্ষেত্রে প্রথমে অল্প পরিমাণ কাঁচা আলু নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটা মুখে লাগিয়ে কম করে পাঁচ মিনিট মাসাজ করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন এইভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন কালো ছোপ ছোপ দাগ তো কমবেই, সেই সঙ্গে স্কিন টোনেরও উন্নতি ঘটবে।

৫. ব্রণর প্রকোপ কমায়:
সারা মুখ কি ব্রণে ছেয়ে গেছে? তাহলে বন্ধু আর সময় নষ্ট না করে এখনই পটেটো জুস দিয়ে সারা মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন উপকার পাবে। আর যদি নিয়মিত আলুর রসের সাহায্যে ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। কারণ এমনটা করলে অল্প সময়েই ব্রণর প্রকোপ তো কমবেই, সেই সঙ্গে সব ধরনের দাগও মিলিয়ে যেতে শুরু করবে।

৬. ত্বককে ফর্সা করে:
অল্প দিনেই যদি ফর্সা ত্বকের অধিকারি হয়ে উঠতে চান, তাহলে কয়েকটি আলুর টুকরো নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেই পেস্টটা মুখে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন মুখটা। এইভাবে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করলে দেখবেন কয়েক সপ্তাহেই স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে দাগমুক্ত উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হবে।

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

ত্বকের যত্নে আপেলের ফেসপ্যাক


শুধু স্বাস্থই নয়, ত্বকের যত্নেও আপেল খুবই কার্যকরী একটি ফল। ত্বক শুষ্ক হোক কিংবা তৈলাক্ত, ত্বকের যত্নে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন আপেল। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদান যা ত্বকের কালচে দাগ দূর করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। পাশাপাশি ব্রণ ও ডার্ক সার্কেল দূর করতেও আপেল অতুলনীয়।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে
একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ আপেলের পেস্ট, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও প্রয়োজন মতো দই মেশান। ভালো করে পেস্ট তৈরি করে মুখ ও গলার ত্বকে লাগান পাতলা আবরণে। ৩০ মিনিট পর ঘষে উঠিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হবে।

শুষ্ক ত্বকের যত্নে
১ টেবিল চামচ আপেলের রসের সঙ্গে সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও মধু মেশান। ভালো করে ব্লেন্ড করে মুখ ও গলার ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের রুক্ষতা দূর হবে।

ব্রণ দূর করতে
অর্ধেকটা আপেল কুচি করে ২ টেবিল চামচ মধু ও ৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মেশান। ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে লাগান ফেসপ্যাকটি। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এটি ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হবে।

স্ক্রাব হিসেবে
১ টেবিল চামচ ওটমিল গুঁড়ার সঙ্গে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ আপেলের রস মেশান। পরিমাণ মতো গোলাপজল দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন কিছুক্ষণ। শুকিয়ে গেলে পানি ছিটিয়ে স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন। দূর হবে ত্বকের মরা চামড়া।
টোনার হিসেবে
কয়েক ফোঁটা আপেল সিডার ভিনেগারে তুলা ভিজিয়ে ত্বকে চেপে নিন। চমৎকার প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করবে এটি।

ত্বক উজ্জ্বল করতে
১ টেবিল চামচ ছেঁচা আপেল, ১ চা চামচ গাজরের রস, ১ চা চামচ কমলার রস ও ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও কয়েক ফোঁটা গোলাপজল একসঙ্গে মেশান। ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে মিশ্রণটি লাগান। ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক। ত্বক হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

ডার্ক সার্কেল দূর করতে
১ টেবিল চামচ আপেলের রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা আলমন্ড অয়েল মেশান। কাঁটাচামচের সাহায্যে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চোখের আশেপাশে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে তুলা ভিজিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন বাকি মিশ্রণ। এটি নিয়মিত লাগালে দূর হবে ডার্ক সার্কেল।

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

ব্রণের জন্য কিছু প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ

ব্রণের জন্য কিছু প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ এর রেসিপিঃ

➣উপটান ১চা চামচ, কাঁচা হলুদ বাটা ১ চা চামচ ,তাজা নিম পাতা বাটা, লেবুর রস বা কমলা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। আপনি চাইলে একটু বেশি পরিমাণে নিয়ে করতে পারেন এবং ৩/৪ দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে ব্যবহার করা যাবে। প্রতিবার মুখ ধোয়ার সময় অল্প পরিমাণে নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি মাত্র ৭ দিন ব্যবহার করলে আপনার মুখের ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন।

➣কাঁচা দুধ ,হলুদ গুঁড়া ,অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের কোমলতা বাড়বে এবং সেই সাথে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করবে।

➣১ চা চামচ উপটান, ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ লেবুর রস, এবং ১ চা চামচ গোলাপ জল এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।  দিনে ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। আপনি চাইলে এই মিশ্রণটি ৩/৪ দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। এই ফেস ওয়াশটা প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ এর মধ্যে অন্যতম।

➣১/২ চা চামচ আলু কুচি, ১/২ চা চামচ শশা কুচি, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ টক দই ও ১ চা চামচ পুদিনা পাতা দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের কালচে ভাব দূর করার সাথে সাথে মুখে আনবে লাবণ্যতা ।

➣পুদিনা পাতা ১ চা চামচ, দারুচিনি ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মধু ১ চা চামচ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ৪/৫ ব্যবহারের করলেই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

উপরোক্ত ফেস ওয়াশ গুলো অবশ্যই প্রতিদিন ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে কারণ আপনার মুখে সারা রাত ধরে অনেক তেল জমা হয়ে থাকে আর এ থেকেও ব্রণের সৃষ্টি হয়।আর হ্যাঁ মনে করে বাইরে থেকে এসে সাথে সাথে মুখে ফেস ওয়াশ করে ফেলবেন বাইরের ধুলোবালি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবেন। অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে, কারণ এই সময়ে ত্বক পরিষ্কার না করলে সারা রাত ধরে আপনার মুখে রোগ জীবাণু বহন করে ব্রণের উপদ্রব বাড়িয়ে দেবে। এভাবে ত্বক পরিষ্কার পরিছন্ন রাখলে কিছু দিনের মধ্যে আপনি পাবেন ব্রণ মুক্ত লাবণ্যময় চেহারা।

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯

হাতের সৌন্দর্য বাড়াতে ও সুন্দর নখ পেতে যা করবেন

১/ ধরণ সম্পর্কে জানলে ঠিকমতো নখের যত্ন নেওয়া সম্ভব। এতে করে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায়। ভঙ্গুর, শুষ্ক, নরম ও সাধারণ নখের জন্য আলাদা ধরণের যত্নের প্রয়োজন রয়েছে।শুষ্ক নখের জন্য দিনে অন্তত ১ বার অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন। ভঙ্গুর নখে ময়েশ্চারাইজারের অভাব থাকায় দরকার বিশেষ যত্নের। তাই এই ধরনের নখের যত্নে ময়েশ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করুন।নরম নখে ক্যালসিয়ামের অভাব এবং ময়েশ্চারাইজার বেশি থাকায় অনেকে নখ রাখতে পারেন না। তাই নরম নখের অধিকারীরা পানি থেকে একটু দুরে থাকবেন। নখে খুব বেশি পানি লাগাবেন না।

২/ যত্রতত্র নখের ব্যবহার ত্যাগ করতে হবে। টিনের কৌটা খোলা, কৌটার গায়ে লেভেল উঠানো, যে কোন স্থানে নখ দিয়ে খোঁচা মারা ইত্যাদি ত্যাগ করতে হবে।

৩/ সাধারণত কিডনি বা থাইরয়েডের সমস্যা, পুষ্টির অভাব, আয়রন কিংবা অন্যান্য খনিজ পদার্থের অভাবে নখের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়। সে বিষয়ে সঠিক চিকিৎসা সেবা নিতে হবে।

৪/ নখ ভালো রাখতে নখে পানির ব্যবহার কমিয়ে দিন।  বাসার দৈনন্দিন কাজে পানির ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে গ্লাবস ব্যবহার করুন।

৫/নখের আদ্রতা বজায় রাখতে ভালো ব্র্যান্ডের কিউটিকল ওয়েল ব্যবহার করতে হবে। রাতে শোবার আগে নখে অলিভ অয়েল লাগালে নখ শক্ত আর উজ্জ্বল হয়।

৬/ গোসলের পর নখে ভ্যাসলিন লাগালে ভেজা নখের সুরক্ষা হবে।

৭/ অতিরিক্ত নেইল পলিস বা রিমুভার ব্যবহার ত্যাগ করতে হবে। এতে নখের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়।

৮/নখের শেপের ক্ষেত্রে চারকোনা শেপ পরিহার করাই ভালো। এতে নখ তাড়াতাড়ি ভাঙ্গে যায়।

৯/ নখ কাটার পর ফাইল করার সময় অনেক সতর্ক থাকবেন। কারণ নখ ফাইলের সামান্য ভুলের কারণে নখ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে নখের অনেক ক্ষতিও হয়। সবসময় একই দিকে নখ ফাইল করার চেষ্টা করুন।

 ১০/ অনেকেরই নখ কামড়ানোর মতো বাজে অভ্যাস রয়েছে। এ কাজটি নখের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। নখ কামড়ালে এর শেপ এবড়োথেবড়ো হয়ে যায়। তখন হাত দেখতে অনেক বিশ্রী লাগে। তাই নখ কামড়ানোর মতো বাজে অভ্যাসটি দূর করুন।

১১/ নিউ ইয়র্ক মেডিক্যাল কলেজের চর্ম বিশেষজ্ঞ ডেন্ডি এঙ্গেলম্যান ওমেনসহেলথম্যাগ ডটকমের এক প্রতিবেদনে নখের শোভা বাড়াতে বেশ কিছু খাবারের নাম দিয়েছেন। এই খাবারগুলো নখ সুস্থ রাখে।এগুল হল-
  • ডিম
  • ব্রকলি
  • সামন মাছ
  • নারিকেল তেল
  • মুরগির মাংস
  • বেশি করে ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত খাদ্য, ফল-মূল, শুষ্ক ফল এবং সবুজ শাক-সবজি খেলে শরীরের সাথে সাথে নখও কোমল, মসৃণ এবং উজ্জ্বল থাকবে।