শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সাধারণ ত্বকের জন্য হলুদের ফেইসপ্যাক


যাদের ত্বক সাধারণ তারা এই সময় একটু বেশি সমস্যায় পড়ে থাকেন। কারন যত্ন না নিলে দ্রুত ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক রোদের সংস্পর্শে আসলেই পুড়ে যায়। এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।
একটি বাটিতে ৩ চা চামচ চালের গুড়ো, ১ চিমটি হলুদ গুড়ো, ১ চা চামচ মধু এবং পেস্ট তৈরি করতে প্রয়োজনীয় শসার রস দিন। এরপর এটি খুব ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্টের মত তৈরি করে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে উঠলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

চুলের আগার রুক্ষতা রোধে হেয়ার নারেশিং বাম

চুলের আগার রুক্ষতা রোধে হেয়ার নারেশিং বাম-
যা যা লাগবে
  • ৬০ গ্রাম শেই বাটার
  • ৩০ গ্রাম কোকো বাটার
  • ৩০ গ্রাম নারকেল তেল
  • ২০জজবা অয়েল
  • ২০গ্রাম ক্যামেলিয়া সিড অয়েল
  • ৩ গ্রাম ক্যাস্টর অয়েল
  • ১২ গ্রাম আখরোট তেল
  • ২২ গ্রাম প্রাকৃতিক মোম
  • ১ গ্রাম ভিটামিন ই
  • ল্যাভেন্ডার, লেমনগ্রাস এবং রোজমেরী এসেনশিয়াল অয়েল (৩:২:১ অনুপাতে)
এই উপাদানগুলো যেকোনো  মেগাশপে পেয়ে যাবেন।
যেভাবে তৈরি করবেন
  • একটি প্যানে এসেনশিয়াল অয়েল বাদে সব উপকরণ নিয়ে চুলায় দিন। চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন।  একটি চামচ দিয়ে উপকরণগুলো নাড়তে থাকুন। সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
  • কাচ বা টিনের কৌটায় ঢেলে রাখার আগে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।  এবার গরম গরম মিশ্রণটিকে সেট হবার জন্য রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। এবার আপনার নিজের হাতে তৈরি করা হেয়ার বাম তৈরি ব্যবহার করার জন্য।
ব্যবহার করবেন যেভাবে
– আপনার চুলের আগা খুব বেশি রুক্ষ হলে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া সপ্তাহে ৩/৪ দিন লাগাতে পারেন।
– অল্প পরিমাণে হেয়ার বাম আঙ্গুলে নিন। তারপর দুই হাতে দুই আঙ্গুলে মেখে নিইয়ে আস্তে আস্তে চেপে চেপে চুলের আগায় লাগিয়ে নিবেন।
– হালকা ভেজা চুলে হেয়ার বাম লাগালে খুব তাড়াতাড়ি চুল শুষে নিবে।  চুলে অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব থাকবে না।যদি চুলে তেল চিটচিটে হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে আপনি বেশি পরিমাণে বাম চুলে লাগিয়ে ফেলেছেন।
মনে রাখবে বাড়িতে তৈরি এই হেয়ার নারেশিং বাম ১ মাস রেখে ব্যবহার করতে পারবেন।নিয়মিত ব্যবহারে চুলের আগায় রুক্ষতা ১০০ ভাগ দূর হবে এমন নয়। তবে চুলের আগায় আগের থেকে কোমলতা আসবে। সবাই সুস্থ এবং সুন্দর থাকুন।

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সন্তান জন্মের পর কিভাবে ঝুলে পড়া ত্বকের উপশম করবেন

পানি পান করা বাড়িয়ে দিন

পানি আপনার শরীরের সাথে সাথে ত্বকের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। ঝুলে পড়া ত্বকের প্রতিবিধানে, একটি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার হল পানি পান করা বাড়িয়ে দেওয়া। শরীর থেকে টক্সিন পদার্থকে দূর করতে ও ত্বককে মজবুত করার জন্য পানি একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে তা শরীরের অতিরিক্ত কিছু ক্যালোরিকে বার্ন করতে সাহায্য করে আর এইভাবেই আপনার ত্বককেও উজ্জ্বল ও দৃঢ় রাখে।

বেশি পরিমাণে প্রোটিন খান

বেশি পরিমাণে প্রোটিন খেলে তা শরীরে প্রয়োজনীয় পেশির বৃদ্ধিতে সাহায্য করার মাধ্যমে ত্বকের স্থত্তিস্থাপকতাকে উন্নত করতেও সাহায্য করে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, প্রোটিনে কোলাজেন রয়েছে, যা ত্বককে দৃঢ় করতে ও এর গঠনবিন্যাসকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

ত্বককে এক্সফলিয়েট করুন

ত্বককে মজবুত ও অনেক সময় ধরে দৃঢ় রাখার একটি সহজ উপায় হল, ত্বককে এক্সফলিয়েট (ঘষে ওপরের মৃত কোষের পরত তুলে ফেলা) করা। মহিলারা পেট এবং স্তনের অংশে ঝুলে পড়া ত্বকের সমস্যার সম্মুখীন হয়, যার কিনা প্রতিকারের সহজ উপায়, একটি স্ক্রাবের সাহায্যে ঐ নির্দিষ্ট জায়গা এক্সফলিয়েট করা। স্ক্রাবিং শুধুমাত্র মৃত কোষ দূর করতেই সাহায্য করে না, বরং ঐ নির্দিষ্ট অঞ্চলে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিতে সহায়ক হয়। আর এইবভাবেই ত্বকের ঝুলে পড়াও প্রতিরোধ করে।

ত্বকের ঝুলে পড়ার উপশমে ব্যায়াম সাহায্য করে

নিস্তেজ ও ঝুলে পড়া ত্বকের প্রতিকারে আপনাকে নিয়িমিত ব্যায়াম করতে হবে। স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে, যোগা ও কিছুক্ষণের হাঁটাও আপনাকে সাহায্য করবে। সদ্য শিশুর জন্ম দিয়েছেন এমন মহিলাদের কমপক্ষে ১ বছরের জন্য জিম জয়েন করা উচিৎ না, কারণ এটা তার শরীরের সাথে সাথে ত্বকের পক্ষেও ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। তারচেয়ে আপনি ঘরেই কিছু অ্যারোবেটিক বা কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ করতে পারেন। এছাড়াও মাত্র ৩০ মিনিটের যোগা বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ, শরীরে রক্ত সঞ্চালন উদ্দীপিত করতে যথেষ্ট। নিয়মিত ব্যায়াম, শরীরকে নতুন কোষ দিয়ে পুরানো কোষকে প্রতিস্থাপন করার সুযোগ করে দেয়। সেইসব ব্যায়ামে মনযোগ দিন যেগুলি আপনার পেটের পেশিগুলিতে দৃঢ়তা আনবে।

আপনার স্তনপান করানো উচিৎ

বেশিরভাগ মহিলারাই মনে করেন যে শিশুকে স্তনপান করালে, ত্বক শিথিল হয়ে পড়ে ও ঝুলে যায় কিন্তু সত্যিটা হল, নিস্তেজ, শিথিল ও ঝুলে পড়া ত্বকের মোকাবিলা করতে আপনাকে আপনার শিশুকে স্তনপান করানো উচিৎ।

লোশন দিয়ে মাসাজ করুন

ভিটামিন-ই, সি ও কে সমৃদ্ধ বেবি ক্রিমের ব্যবহার ঝুলে পরা ত্বকের উপাচার করতে সাহায্য করে। আপনার পেট বা ত্বকের যে জায়গাগুলিতে আপনি ঝুলে পড়া ত্বক দেখবেন, সেইসব জায়গায় ঐ ভিটামিন সমৃদ্ধ ক্রিম মাসাজ করুন। যখন আপনি এই ধরণের লোশন দিয়ে ত্বক মাসাজ করেন তখন তা আপনার শরীরে রক্তের সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে আর এইভাবেই আপনার ত্বককেও দৃঢ় করে তোলে। শিথিল অংশগুলিকে দিনে ১ থেকে ২ বার মালিশ করার চেষ্টা করুন।

স্ট্রেংথ ট্রেনিং

আপনার নিয়মিত ব্যায়ামের মধ্যে স্ট্রেংথ ট্রেনিং-কেও অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, যেহেতু এটি আপনার ত্বককে দৃঢ় করার সাথে সাথে ত্বকের ঝুলে পড়া প্রতিরোধেও সাহায্য করে। স্ট্রেংথ ট্রেনিং পেশির সংকোচনকে উদ্দীপিত করে যা শক্তি গড়ে তুলতে ও পরবর্তী সময়ে শরীরে নতুন কোষ ও কলা উৎপাদনে সাহায্য করে।

মন সুস্থ রাখুন

যখন আপনি ঐ ঝুলে পড়া ত্বককে দৃঢ় করে তুলতে সক্ষম হবেন না তখন তা হতাশাজনক হতে পারে এবং আপনি হয়তো মানিসিক চাপ ও বিষণ্ণতা অনুভব করতে পারেন। আপনার পথে হতাশা আসতেই পারে, কিন্তু এই পরিস্থিতির সাথে শান্ত মনে মোকাবিলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীর ও মনকে বিশ্রাম দিন, কারণ ধৈর্য্যই মূল চাবকাঠি। আপনি মাত্র কয়েকদিনেই দৃঢ় ত্বক পেয়ে যেতে পারবেন না।

রঙিন কাজলের উপকথা

পেনসিল লাইনার
পেনসিল লাইনার দিয়ে কাজল সহজে লাগানো যায়, থাকেও বেশিক্ষণ। ব্র্যান্ডের পেনসিল লাইনার সহজে ছড়ায় না। আবার কিছু লাইনার আছে পানিনিরোধক। ফলে সব ঋতুতেই ব্যবহার করা যায়। পেনসিল লাইনারের মধ্যে নিয়র, জর্ডানা, জ্যাকলিন, আয়োনি, পারসোনি, লা ফেম, মেবিলিন, লরিয়েল, ল্যাক্মে, মিস অ্যান্ড মিসেস অন্যতম। এগুলোর দামও বেশি নয়। ৭০-৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
ম্যাক, শ্যানেল, ক্লিনিক, গার্লিন ইত্যাদির ভালো কাজ আছে। দাম ১৯০০-২৫০০ টাকা।

লিকুইড লাইনার
এ ধরনের লাইনার সবচেয়ে পুরনো। এর ব্যবহারও সহজ আর ব্রাশের সাহায্যে ইচ্ছামতো লাইনিং করা যায়। মোটা বা সরু ঠিক যেমনটি আপনি চান। প্রচলিত কিছু লিকুইড লাইনারের মধ্যে রয়েছে ল্যাক্মে, লা ফেম, প্রেস্টিজ, রেভলন, আয়োনি, লা-স্পল্যাশ, জ্যাকলিন। দাম ১৫০-৭০০ টাকার মধ্যে।

রঙিন লাইনার
জর্ডানা, জ্যাকলিন, মিস অ্যান্ড মিসেস, এভার বিউটি’র রঙিন লাইনার আমাদের বাজারে সহজলভ্য। এগুলোর দাম ৮০-২৫০ টাকা।

জেল লাইনার
আজকাল জেল লাইনারের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে আর ব্যবহারও সহজ। জেল লাইনারের সবচেয়ে বড় গুণ হলো এর পিগমেন্টেশন। এটি গাঢ় রং দেবে আর স্থায়িত্বও অন্য সব লাইনারের তুলনায় বেশি। দেশে এভার বিউটি, নিট্রো, মেবিলন ব্র্যান্ডের জেল লাইনার পাওয়া যায়। দাম ২৫০-১২০০ টাকা পর্যন্ত।

অটোলাইনার
অটোলাইনার এক ধরনের পেনসিল লাইনার। এ লাইনার প্লাস্টিক হোল্ডারে থাকে এবং রোলিংয়ের সাহায্যে ব্যবহার করতে হয়। সহজে ব্যবহার করা যায়, তাই দিন দিন মেয়েদের কাচে জনপ্রিয় হচ্ছে। পাওয়া যায় মেবেলিন কোলোসেল, ল্যাক্মে আইকনিক, রেভলন কালার স্টে, মেবিলিন আই ডিফাইনড, লরিয়েল ইনফ্লেবল, মিস অ্যান্ড মিসেস এবং জর্ডানার অটোলাইনার। দাম ২৫০-৭০০ টাকার মধ্যে।

পাউডার বা ডাস্ট লাইনার
আইশ্যাডো পাউডারের মতো কিছু আইলাইনার পাওয়া যায়, যেগুলোকে ডাস্ট লাইনার বলা হয়। এসব পাউডার লাইনার স্মোকি আই মেকআপ করতে বেশি ব্যবহার করা হয়। দাম ১৫০-৩০০ টাকার মধ্যে।

ওয়াটারপ্রুফ লাইনার
ওয়াটারপ্রুফ লাইনারের দাম একটু বেশি হয়। বাজারে রেভলন, লা ফেম, মেবিলিন ব্র্যান্ডের ওয়াটারপ্রুফ লাইনার পাওয়া যায়।

কোথায় পাবেন
বসুন্ধরা সিটি, আলমাস, প্রিয়, বডি লাইন, গাউসিয়া, ইস্টার্ন প্লাজা, মৌচাক ও যেকোনো ভালো কসমেটিকসের দোকানে।

টিপস
প্রসাধনী কেনার সময় অবশ্যই ভালো দোকান থেকে কিনবেন, বিশেষ করে চোখের প্রসাধনী। চোখ স্পর্শকাতর জায়গা, আপনার প্রসাধনীটি নকল হলে ক্ষতির আশঙ্কা।

রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়াতে পায়ের সঠিক যত্ন

১) বন্ধ জুতো পরবেন না

অনেকেই ভাবেন বন্ধ জুতো পরলে পায়ে পানি লাগবে না। আসলে কিন্তু জল-কাদায় মাখামাখি হয়ে জুতোয় পানি ঢুকেই পড়বে আর জুতোর ভেতরটা প্যাচপ্যাচে হয়ে থাকবে। এমন অবস্থায় পায়ে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়ে বারোটা বেজে যেতে পারে। বরং এমন জুতো পরুন যা সামনে-পেছনে খোলা। এতে বৃষ্টির পানি পায়ের আশেপাশে জমে থাকার সুযোগ পাবে না। আর বৃষ্টি থেমে গেলে পা শুকিয়েও যাবে জলদি। আর হ্যাঁ, কখনোই ভেজা জুতো পরবেন না। অন্য কারও সাথে জুতো শেয়ার করার তো প্রশ্নই আসে না।

২) পা পরিষ্কার রাখুন

প্রতিদিন বাসায় ফিরে ভালো করে পা পরিষ্কার করুন। পায়ে যদি কাদাপানি বেশি লেগে থাকে তবে বাসায় ফেরার জন্য অপেক্ষা না করে অফিস-স্কুল-কলেজে পৌঁছে যতো দ্রুত সম্ভব পা ধুয়ে নিন। বাড়িতে এসে পা ধুতে ব্যবহার করুন হালকা গরম পানি এবং কোনো মাইল্ড সাবান। ঝামা দিয়ে পায়ের গোড়ালি ঘষে নিতে পারেন। এতে জেদি ময়লাও উঠে যাবে। পায়ের আঙ্গুলের মাঝের এলাকা ভালো করে শুকিয়ে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল পাউডার দিতে পারেন। নখ ছোট রাখুন কারণ বড় নখের মাঝে ময়লা জমে ইনফেকশনের সম্ভাবনা বাড়ায়। এছাড়া পা ধোয়ার পর ডেটল জাতীয় তরল পানিতে মিশিয়ে সেই পানিতে পা আরেকবার ধুয়ে নেওয়াটাও ভালো।

৩) পার্লারে পেডিকিউর না করাই ভালো

পার্লারে অনেক সময়ে দেখা যায় একাধিক মানুষের পেডিকিউর করার জন্য একই ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে এবং প্রতিবার ব্যবহারের আগে ভালো করে পরিষ্কার করাও হচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে পা থেকে পায়ে ইনফেকশন ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। পার্লারে যদি পেডিকিউর করাতে যেতেই হয় তবে নিজের পেডিকিউওর সেট নিয়ে যান।

৪) খালি পায়ে হাঁটবেন না

বাড়ির বাইরে তো খালি পায়ে হাঁটার চিন্তাও করবেন না। আর বাড়িতেও খালি পায়ে মেঝেতে হাঁটবেন না। এ সময়ে স্যাঁতস্যাঁতে মেঝেতে অনেক জীবাণু থাকতে পারে। বাড়িতেও হালকা একজোড়া চপ্পল পরে হাঁটুন।

৫) ময়েশ্চারাইজ

আবহাওয়া যতই স্যাঁতস্যাঁতে হোক না কেন, রাত্রে ঘুমাতে যাবার আগে পা ভালো করে ধুয়ে, শুকিয়ে পায়ে ময়েশ্চারাইজার মালিশ করে ঘুমাবেন। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে আসবে, ত্বক থাকবে নিরাপদ।

৬) মোজা রাখুন পরিষ্কার

মেয়েরা তেমন একটা মোজা পরেন না, বৃষ্টির সময়ে তো নয়ই। তবে ছেলেরা অনেক সময়ে জুতোমোজা পরে বের হয়ে বৃষ্টির মাঝে পড়ে যান। কেউ আবার মোজা না পরে থাকতে পারেন না। সেক্ষেত্রে একই মোজা পর পর দুই দিন পরবেন না। মোজা ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিন। সম্ভব হলে আয়রন করে নিন, এরপর ভেতরে একটু পাউডার দিয়ে পরে ফেলুন।

৭) ফুট মাস্ক

পায়ের ত্বক ভালো রাখতে মুলতানি মাটি, নিম পেস্ট, হলুদ পেস্ট এবং ল্যাভেন্ডার অয়েল অল্প একটু পানির সাথে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এই মাস্ক পায়ে লাগিয়ে আধা ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এরপর পা ম্যাসেজ করে নিন অলিভ অয়েল দিয়ে।

শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়


    • পেঁয়াজ :
      পেঁয়াজের কথা শুনে অবাক হচ্ছেন? এখনি জেনে নিন, বয়স জনিত কালো ছোপ দূর করতে পেঁয়াজ দারুণ কার্যকরী। একটা স্লাইস নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘষুন ৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে রোজ ব্যবহার করুন।
    • লেবু :
      লেবু ত্বকের কালো দাগ ছোপ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। তুলোর সাথে লেবুর রস নিন, তারপর কালো দাগে ৫ মিনিট ঘষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ৩/৪ বার ব্যবহারে উপকার পাবেন। তবে মুখে বা শরীরের কোথাও লেবু লাগাবার পর সরাসরি সূর্যের আলোতে যাবেন ন্রিতি
  • পেঁপে :
    পাকা পেঁপে কালো দাগ দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি উপাদান।পাকা এক টুকরো পেঁপে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ভালো করে ঘষুন। আধা ঘণ্টা রাখুন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩/৪ বার করুন। পেঁপেতে থাকা প্যাপিন মরা কোষ দূর করে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে তোলে।

  • অ্যালোভেরা :
    কেবল ব্রণ কমাতেই নয়, ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করতেও অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। অ্যালোভেরা জেল বের করে আক্রান্ত স্থানে মাখুন আলতো হাতে। এমন ভাবে ম্যাসাজ করুন যেন অ্যালোভেরা জেল ত্বক একদম শুষে নেয়। ঘণ্টা খানেক ত্বকে রাখার পর ধুয়ে ফেলতে পারেন।

  • কলা ও লেবুর মাস্ক :
    পাকা কলা ও লেবু মিশিয়ে (একটা কলা ও একটা লেবু অনুপাতে) মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে যে কোন জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। রোজ লাগান কালো দাগে, ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দারুণ কাজে দেবে।

সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মেছতা ও তার প্রতিকার

মেছতা কী ও কেন হয়?
সূর্যরশ্মির প্রভাবে ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন উৎপন্ন হয়। এতে ত্বকের কিছু কিছু জায়গায় গাঢ় কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা দেয় যা মেছতা বা মেলাজমা (melasma) নামে পরিচিত। গ্রীক শব্দ মেলাজ (melas) থেকে মেলাজমা শব্দের উৎপত্তি যার অর্থ কালো

ত্বকের যে সমস্ত জায়গায় সূর্যরশ্মি বেশি পড়ে সে সমস্ত জায়গা যেমন- উপরের গাল, নাক, ঠোঁট এবং কপালে মেছতা দেখা যায়। (সাধারণত ৩০-৪০ বছর বয়সের মধ্যে হয়)। তবে মাঝে মধ্যে ঘাড়ের পাশে, কাঁধ ও উপরের বাহুতে দেখা যায়। গায়ের রঙ ফর্সা যাদের তাদেরই মেছতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। বগলে একধরনের মেছতা হয়। সেটি বংশগত এক রোগের কারণে। যার নাম নিউরোফিবরোম্যাটেসিস

সাধারণ মেছতা মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করে বটে। তবে শরীরের অভ্যন্তরে কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু কিছু মেছতা আছে যেগুলোকে স্কিন ক্যান্সার হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। যেমন লেনটিগো ম্যালিগনা, মেলানোসা ও ব্যাসাল সেল কারসিনোমা। তবে আর্লি স্টেজে এগুলো ধরা পড়ালে নিরাময় করা সম্ভব। রোদে বের হলেই সবার মেছতা হবে এমন কোনো কথা নেই। এখানে বংশগত প্রবণতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গবেষণায় দেখা গেছে জেনেটিক টেন্ডেন্সি ও সূর্যরশ্মির কম্বিনেশনে মেছতা তৈরি হয়। কিছু কিছু মানুষের দেহে সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি পড়ার সাথে সাথে উল্লেখযোগ্য হারে পিগমেন্ট সেল বা মেলানিন বেড়ে যায়, শুধু তাই নয় ত্বকের বাইরের স্তর হয়ে যায় আগের চেয়ে পুরু। যাদের গায়ের রঙ কালো তাদের সেভাবে মেছতা দেখা যায় না। কারণ কালো বর্ণের ত্বকে সূর্যরশ্মি বা আলট্রা ভায়োলেট রে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না।

কী করবেন?
-বাইরে বের হওয়ার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে এসপিএফের মাত্রা যেন ৩০ হয়।
-বাইরে বের হওয়ার সময় স্কার্ফ, ওড়না বা আঁচল মাথায় জড়িয়ে নিন। সম্ভব হলে চওড়া ঘেরের টুপি পরুন।
-ঘাড়-পিঠ ঢাকা, ফুলহাতা জামা পরুন।
ব্লিচিং ফেসিয়াল শতভাগ এড়িয়ে চলুন। এমন ফেসিয়াল ট্রিটমেন্ট নিন যার মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ অ্যাসিড, ঢাজোরাক ও ডিফেরিন জাতীয় উপাদানগুলো প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যবর্তী সময়ে রোদের মধ্যে কম বের হতে চেষ্টা করুন।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ এবং হরমোন থেরাপি বন্ধ করতে হবে।
-বাইরে বের হলে সবসময় ছায়ায় থাকুন। সম্ভব হলে সবসময় ছাতা ব্যবহার করুন।
-রোদ থেকে বাঁচার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
-প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলমূল ও শাকসবজি খাবেন, সেইসঙ্গে ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। চা, কফি, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাবেন না। এসব খাবার খেলে মেছতা বেড়ে যায়।

মেছতা দূর করতে কিছু প্রাকিতিক উপটানঃ
১/ সপ্তাহে দুই দিন চালের গুঁড়া ও ডিম একসঙ্গে পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে ২মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মেছতা দূর হবে ও একইসঙ্গে ত্বক নরম ও কোমল হবে।
২/ টকদই মেছতা দূরীকরণে খুবই কার্যকরী। সপ্তাহে তিনদিন ত্বকে টক দই লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। টক দই মেছতা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।
৩/ ভিনেগার ও সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগালে মেছতা দূর হয়, সেইসঙ্গে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃন হয়।
৪/লেবুর রসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। যা সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। নিয়মিত লেবুর রস সামান্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫/মেছতার উপর আঙ্গুলের সাহায্যে ধিরে ধিরে ঘৃতকুমারীর পাতার রস সারা রাত লাগিয়ে রেখে সকালে পরিস্কার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে । এভাবে কিছুদিন করলে মেছতা দূর হবে ।
৬/দারুচিনির পানি সেবনের সঙ্গে দারুচিনি চূর্ন দুধের সরের সাথে মেছতায় লাগালে মেছতা সেরে যায়।