বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২

আকর্ষনীয় ভ্রু পাওয়ার কিছু উপায়



বিভিন্ন ধরনের তেল

অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, নারিকেল তেল ও বাদামের তেলে আছে পুষ্টিকর প্রাকৃতিক উপাদান। প্রতিদিন অলিভ অয়েল দিয়ে মালিশ করলে ভ্রু হবে মোটা ও ঘন। এসব তেলে আছে ভিটামিন-ই যা ব্যবহারে আদ্রতা ঠিক থাকে এবং প্রতিদিন ব্যবহারে ভ্রুর ঘনত্ব বাড়ে।

ভ্যাসলিন

প্রতিদিন ভ্রুসহ-এর আশপাশের জায়গায় দুই থেকে তিনবার ভ্যাসলিন ব্যবহারের ফলে ভ্রুর ঘনত্ব বাড়বে। কেননা ভ্যাসলিন ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রাতের বেলা পুরো ভ্রুতে বা ভ্রু কম আছে এমন জায়গায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে সারারাত রেখে দিলেই ধীরে ধীরে ভ্রুর ঘনত্ব বাড়বে। তবে ভ্যাসলিন লাগিয়ে রোদে বের হওয়া উচিত নয়।
কৃত্রিম পদ্ধতি

আই-পেন্সিল ও পাউডার

পাউডার ব্যবহার করে ইচ্ছে মতো ভ্রু হালকা ও গাঢ় করা যায়। তবে নির্ভর করবে চুলের রং, পোশাক ও কতটুকু পরিমাণ ভ্রুর ঘনত্ব চাচ্ছেন তার উপর।
মেইকআপের সাহায্যে ভ্রু ঘন দেখানোর জন্য লাগবে তিন ধরনের শেইড, ব্রাশ এবং ভ্রু তোলার জন্য ছোট চিমটা বা টোইজার্জ।

ভ্রু ঘন দেখাতে চুলের রং থেকে একটু গাঢ় শেইড ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া ভ্রু স্বাভাবিক ও মনোরম দেখাতে আই শ্যাডোর মতো ভ্রু শ্যাডো দিয়ে ভ্রু ভরাট করে নেওয়া যেতে পারে। তারপর কৌণিক ব্রাশ দিয়ে ভ্রুর উপরে এবং আশপাশে শ্যাডো লাগাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন আই-ভ্রু লাইনের আশপাশে বেশি শ্যাডো না লাগানো হয়।

তবে ভ্রুর আশপাশে যদি কাটাদাগ বা ক্ষত থাকে সেক্ষেত্রে আই-পেন্সিল ব্যবহার করাই ভালো।

কন্ডিশনার ও হেয়ার গ্রোথ পণ্য

বারবার ভ্রু না তুলে ভ্রু’র কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভালো। ভ্রু কন্ডিশনারে থাকা পুষ্টিকর উপাদান এক সপ্তাহে প্লাক করা ভ্রু পুনরায় গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া ভ্রু গজাতে বা ঘন করতে চাইলে ‘হেয়ার গ্রোথ’ পণ্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

কোমল গোলাপি ঠোঁট পাবার ১১টি উপায়

ঠোঁট সৌন্দর্য্যের একটি অন্যতম অংশ। আপনাদের জন্য কোমল গোলাপি ঠোঁট পাবার ১১টি উপায় নিম্নে দেওয়া হলোঃ-

সুন্দর গোলাপি ঠোঁট পেতে যা করবেন_
১. একটি পাতলা লেবুর টুকরোর ওপরে খানিকটা চিনি ছিটিয়ে প্রতিদিন ঠোঁটে ঘষুন। চিনি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে পরিষ্কার করতে এবং লেবু সূর্যের ফলে কালো হয়ে যাওয়া ঠোঁটের চামড়াকে উজ্জবল করতে সাহায্য করে।
২. মধুর সাথে চিনি এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ১০ মিনিট ঠোঁটে ঘষুন।
৩. ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে ল্যাক্টিক এ্যাসিড খুব উপকারী। নিয়মিত দুধ খাবার সাথে সাথে খানিকটা দুধ তুলোয় করে ঠোঁটে ঘষে নিন। শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলার মাধ্যমে দুধ ঠোঁটের কালো হওয়াকেও প্রতিরোধ করে।
৪. গোলাপের পাপড়িও ঠোঁটের গোলাপী ভাব আনতে সাহায্য করে। এজন্য গোলাপের পাপড়ি দুধের মধ্যে রেখে তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। প্রলেপটি ১৫ মিনিট ঠোঁটে মাখুন। এরপর দুধ দিয়ে ঠোঁটকে মুছে নিন। প্রতিদিন এই প্রলেপটির ব্যবহার আপনার ঠোঁটকে করে তুলবে আকর্ষনীয়।
৫. লেবুর ভেতরের এসিড ঠোঁটের শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলতে সাহায্য করে। তবে লেবুর রসের সাথে খানিকটা চিনি ও মধু মিশিয়ে ঘরে বসেই নিতে পারেন ঠোঁটের পুরোপুরি যত্ন। প্রলেপটি মাখার একঘন্টা পর ধুয়ে নিন।
৬. লেবুর রসের সাথে খানিকটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে মাখুন। কয়েকদিনেই আপনি পাবেন চমত্কার ফলাফল।
৭. বাদামের তেল, মধু ও চিনির মিশ্রন করুন। প্যাকটি আপনার ঠোঁটকে কেবল সুন্দরই করবে না, কোমলতাও বাড়াবে।
৮. ঘুমানোর আগে ঠোঁটে পালং পাতা ঘষে নিন। সাথে রাখতে পারেন জাফরানও। এই দুটি সহজলভ্য উপাদানের নিয়মিত ব্যবহার আপনার শুষ্ক ঠোঁটকে সারিয়ে তুলবে এক নিমিষেই।
৯. কমলালেবু খাবার সময় এর বীচিগুলোকে সংরক্ষণ করুন এবং নিয়মিত ঠোঁটকে এগুলোর দ্বারা পরিষ্কার করুন।
১০. প্রতিদিন টমেটো পেষ্ট করে ঠোঁটে মাখুন। আপনার ঠোঁট হবে উজ্জ্বল।
১১. শশার রসও ঠোঁটের কালো হওয়কে প্রতিরোধ করে। ফলাফল পেতে প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট শসার রস ঠোঁটে ঘষুন।

মনে রাখবেন-
১. ধুমপান ঠোঁটের জন্যে ক্ষতিকর। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকুন।
২. রাতে ঘুমাতে যাবার আগে লিপস্টিক তুলে ফেলতে ভুলবেননা।
৩. জিহ্বা দিয়ে অবিরত ঠোঁট ভেজানো বন্ধ করুন। এতে সাময়িক আরাম মিললেও আসলে ঠোঁটের সৌন্দর্য হানি হয়। বদলে ব্যবহার করুন লিপজেল।
৪. ফাস্টফুডের পরিবর্তে শাক-সব্জী খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
৫. চা এবং কফির পরিবর্তে পানি খাবার পরিমাণ বাড়ান। প্রচুর পরিমাণে পানি আপনার ঠোঁটকে রাখতে পারে সুস্থ ও স্বাভাবিক সৌন্দর্যময়।