বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১

গরমে শিশুর যত্ন


গরমে বড়দের থেকে শিশুদের বেশি কষ্ট হয়। গরমে শিশুরাই বেশি ঘেমে যায়। তাই এই সময় বাবা-মায়েরা শিশুদের নিয়ে একটু বেশিই চিন্তিত থাকে। আর গরমে শিশুরাই বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। এ কারণে গরমে ছোট সোনামণিদের বিশেষ যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। তাদের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই খেয়াল রাখতে হবে।

এই গরমে কি কি উপায়ে শিশুর সঠিক পরিচর্যা করা সম্ভব তা একুশে টিভি অনলাইনে দেওয়া হলো-

শিশুর খাদ্য-

গরমে শিশুদের খাদ্য তালিকায় হালকা, পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার রাখতে হবে। সেটা হতে হবে অবশ্যই নরম খাবার। তবে খেয়াল রাখতে হবে গরমে শিশুদের খাবার যাতে বাইরের না হয়। ঘরেই সহজপাচ্য খাবার বানিয়ে শিশুকে খাওয়ান। গরমের দিন মাছ-মাংস একটু কম করেই খাওয়ানো উচিত।

গরমে শিশুকে যথেষ্ট পরিমাণে ঠাণ্ডা পানি পান করান। কেননা এ সময় শিশুরা খুবই ঘেমে যায়। এতে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ঝরে যায়। তবে খেয়াল রাখবেন পানি যেন ফ্রিজের না হয়। এছাড়া গরমকালে বিভিন্ন রসালো ফল পাওয়া যায়। শিশুদের অবশ্যই গরমে এসব ফল খাওয়াবেন। ফলের জুসও খাওয়াতে পারেন।

শিশুদের পোশাক-

গরমে আপনার শিশুর পোশাকের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। গরমের দিনগুলোতে শিশুকে সুতির নরম ও পাতলা পোশাক পরান। হাতা কাটা পোশাক পরানো প্রয়োজন। ডিসপোজেবল ন্যাপির পরিবর্তে সুতির পাতলা কাপড়ের ন্যাপি পরানো ভালো। কেননা ডিসপোজেবল ন্যাপিগুলো ঘাম ও তাপ শোষণ করতে পারে না তাই র‌্যাশ, ঘামাচি প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

নিয়মিত গোসল-

গরমে শিশুদের খুব দ্রুত র‌্যাশ ও ঘামাচি উঠে। তাই গরমের দিনে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। গোসলের সময় ভাঁজযুক্ত জায়গা যত্ন সহকারে পরিষ্কার করতে হবে। গোসলের পানিতে ডেটলও দিতে পারেন।

শিশুর চুলের যত্ন-

এই গরমে আদরের ছোট্ট সোনামণির চুলের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। গরমে শিশুর বেশিরভাগ চুলের গোড়া ঘেমে যায়। এতে মাথায় খুশকি ও ঘামাচি বের হয়। তাই গরমের শুরুতেই শিশুর চুল ছোট রাখতে হবে। ন্যাড়া করে দিলে আরও ভালো হয়।

শিশুর আবাসস্থল

গরমে শিশুকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য ঘরে যেন প্রচুর আলো-বাতাস ঢুকতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। দম বন্ধ করা ঘরে রাখলে শিশু অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই বলে ঠাণ্ডার জন্য এসি ব্যবহার করা যাবে না। মাঝে মাঝে আপনার শিশুকে বারান্দায় নিয়ে যাবেন।

শিশুর প্রসাধনী-

গরমে শিশুকে গোসলের পর তেল, লোশন প্রভৃতি প্রসাধনীর ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। শিশুকে গোসল করানোর পর শরীর শুকিয়ে আসলে গলা, পায়ের ভাঁজে ইত্যাদিতে পাউডার ব্যবহার করুন। এতে ঘামাচি ওঠা রোধ করবে।

শিশুর স্বাস্থ্য-

শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। শিশুর সুস্থতার জন্য ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। কোন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১

২০২১ সালে মেয়েদের সেরা ১০টি বিউটি টিপস


আজ আমরা আলোচনা করবো মেয়েদের সেরা ১০টি বিউটি টিপস নিয়ে। শীতকাল হোক কিংবা গরমকাল চুল আর ত্বকের যত্ন কিন্তু আমাদের সবসময় নিতে হয়।নয়তো চুল উস্কো-খুশকো হয়ে পড়ে এবং ph এর মান বেড়ে যায়।আর ph এর মাত্রা বেরে যাওয়া মানেই ত্বকের অম্লত্ব কমে যাওয়া।যার ফলে  জীবানুর আক্রমণও বেড়ে যায়।তাই চুলের যত্ন নেওয়া আবশ্যক।অনেকের ক্ষেত্রে পার্লারে ব্যবহৃত কেমিক্যাল এর নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।আর তাছাড়া বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণেও অনেকে ই ঘরবন্দি।তাই আজ  ঘরোয়া পদ্ধতিতে থাকছে  মেয়েদের সেরা ১০টি বিউটি টিপস নিয়ে কথাবার্তা।

সেরা ১০টি বিউটি টিপস

রুক্ষ চুল প্রতিরোধে করনীয় বিউটি টিপস

কথায় বলে নারীর সৌন্দয্য নারীর চুলে।কিন্তু সেই চুল যদি হয় রুক্ষ এবং উষ্কোখুশকো তাহলে দেখতে যেমন অসুন্দর লাগে আর চুলে পরজীবী এবং জীবাণুর আক্রমণের কারণে চুলের বৃদ্ধিও প্রতিহত হয়।রুক্ষ শুষ্ক চুল আমাদের মেয়েদের খুব পরিচিত একটা সমস্যা।রুক্ষ শুলের মূল কারন আদ্রতার অভাব।

রুক্ষতায় চুলের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হয় পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যও নষ্ট হয়।তাই চুলের রুক্ষতা প্রতিরোধে প্রয়োজন নিয়মিত তেল মাসাজ করা। ১দিন পর পর তেল দেওয়া অপরিহার্য। 

এছাড়া চুলে  ডিমপর কুসুম এবং জলপাই তেল এর মিশ্রন চুলের শুষ্কতা দূরীকরণে সহায়তা করে।অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা ঠিক নয়।সপ্তাহে দুদিন শ্যাম্পু করায় যথেষ্ট। তবে আপনার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে আপনি চুলে ড্রাই শ্যাম্পু তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। আর শ্যাম্পুর পর প্রোটিন ও তেল সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল আরো স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়।

চুল সিল্কি করতে করনীয় বিউটি টিপস

সিল্কি এবং স্ট্রেট চুল কে না চায়!আমরা অনেকে চুল সিল্কি করার জন্য পার্লারে যাই।কিন্তু পার্লারে ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিক্যাল এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকায় অনেকের জন্যই এটা ক্ষতিকর। তাছাড়া যারা হিজাব ব্যবহার করেন তাদের চুলগুলো বেশি উষ্কখুষ্ক থাকে।আর এজন্য ঘরোয়া কিছু টিপস ব্যবহার করলে মন্দ হয় না!

  • শ্যাম্পু করে চুল হালকা শুকিয়ে যাওয়ার পর অ্যালভেরা জেল এবং দুই চামচ লেবুর রস এর পেষ্ট বানিয়ে চুলে প্রয়োগ করলে চুল সিল্কি হয়।
  • আর একটি উপায় হলো কলাকে ব্লেড করে  চুলের পরিমাণ অনুযায়ী মধু এবং তেল মিশিয়ে পেষ্ট বানিয়ে সবগুলো চুলে লাগালে খুব তাড়তাড়ি ফল পাওয়া যায়।
  • চাপাতার রস(পানি এবং চাপাতার ভিজিয়ে রেখে) সাথে দু ফোঁটা ই-ক্যাপসুল এবং পারলে আধ চামচ গ্লিসারিন এর মিশ্রণ চুলে প্রয়োগ করলেও চুলের কার্যকরী ফল পাওয়া সম্ভব।
চুলের খুশকি দূরীকরণ বিউটি টিপস

চুলের খুশকি ঝামেলায় শুধু মেয়েরা নয় ছেলেরা পড়েন।এটি আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বেশি দেখা যায়।খুশকির কারণে চুলের বৃদ্ধি থেমে যায়।কারো কারো ক্ষেত্রে মাথা চুলকায়।আর এজন্য কিছু ঘরোয়া সমাধান আছে।

  • শ্যাম্পুর সাথে কিছু পরিমান লেবুর রস এবং এক চামচের মতো চিনি দিয়ে পেষ্ট বানিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে খুশকি দূর করা সম্ভব হয়
  • চুলের উপকারিতার জন্য পিঁয়াজের কোনো বিকল্প নেই।পিঁয়াজ চুলের বৃদ্ধি এবং খুশকি দূরীকরণে সহায়তা করে।পিঁয়াজের রস এর  সাথে অ্যালভেরা জেল মিশিয়ে সাথে দুটি ভিটামিন-ই দিয়ে তৈরিকৃত পেষ্ট চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করে এর এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেললে চুলের খুশকি অনেকাংশেই কমে যায়।এই প্রক্রিয়াটি কয়কদিন ধরে করলে চুল পড়া রোধ এবং খুশকি দূর হয়।

চুল পড়া রোধে করনীয় বিউটি টিপস

চুল পড়ে যাওয়া,চুল পাতলা হয়ে যাওয়া এই সমস্যায় পড়েন নি এমন কাউকে পাওয়া বিরল।নানা কারণে চুল পড়ে।চুলে খুশকি বা উকুন থাকলে,চুলের গ্রোথ কমে গেলে,চুলের পুষ্টির অভাব হলে এবং আরো নানা কারণে আমাদের চুল পড়ে।চুল পড়া রোধে করনীয় চুলের বিশেষ যত্ন নেওয়া।আর এরজন্য প্রয়োজন কিছু কার্যকরী টিপস মেনে চলা। নয়তো চুল পড়ার হার আরো বৃদ্ধি পাবে।

  • প্রথমে মেথি ব্লেন্ড করে এর রস পিঁয়াজের রসে মিশিয়ে  দুই চামচ নারকেল তেল দিয়ে ভালো করে পেষ্ট বানিয়ে মাথার ত্বকে সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ করা সম্ভব।
  • চুল পড়া রোধে আরেকটি উপকরণ হলো নিম তেল। নিম শুধু চুলের জন্য নয় ত্বকের জন্যেও খুবই উপকারী।নিমে রয়েছে এন্টি-অক্সিড যা মাথার ত্বকের রকৃত সঞ্চালনে সহায়তা করে।নিম তেল চুলের বৃদ্ধিতে খুবই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।তাই চলুন ছটফট জেনে নিই কিভাবে ঘরে বসেই নিম তেল বানানো যায়। কিছু ফ্রেশ নিম পাতা এবং অ্যালভেরা কুচি করে ব্লেন্ড করে নারিকেল তেল মিশিয়ে গরম পানিতে দশমিনিটের মতো চুলায় রেখে এরপর চাকনি দিয়ে শুধু রসটুকু নিলেই নিম তেল তৈরি হয়ে যায় এবং এটি সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করে শ্যাম্পু করলে চুল পড়া কমে যায়।

আশা করি  চুলের যত্নে এই ৪টি  বিউটি টিপস এর মধ্যে  কয়কটি টিপস সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি, চুল পড়া রোধে,চুলের খুশকি দূরীকরণে কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে।এছাড়াও শুধু চুলের যত্ন নয় সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ বিশেষ করে ভিটামিনযুক্ত খাদ্যগ্রহণ করাও চুলের জন্য অপরিহার্য।

লম্বা বেণীতে বা বিশাল খোঁপায় নিজেদের সাজাতে কার না মন চায় বলুন।কে না চায় পাতলা চুল ঘন করতে?এই আপনি ই ত একদিন রাস্তা দিয়ে যখন যাইতেছিলেন তখন সবাই আপনার খোপার দিকে বড় বড় চোখ দিয়ে তাকিয়ে থাকত। মা-খালাদের বা দাদা-দাদুদের কাছে শুনেছি কয়েক শ বছর আগেও দেখা যেত মেয়েরা এই মোটা বেণী করে বাইরে যাচ্ছে। আর এখন চারদিকের ব্যস্ততায় আমরা আজ কেমিক্যাল নির্ভর হয়ে গেছি। আবহাওয়া, ধুলোবালির কারণে আমাদের মাথা থেকে চুল উধাও হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেই অনুপাতে চুল গজাচ্ছে না। তাহলে জেনে নেয়া যাক এমন ১০টি উপায় যা ব্যবহার করে আপনার পাতলা চুলকে ঘন করতে সাহায্য করবে।

১)পাতলা চুল ঘন করবে অ্যালোভেরা তেল

চুলকে ঘন ও মোটা করতে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। যারা রুপচর্যা করেন তারা ঠিক ভাল করেই জানেন যে অ্যালোভেরা কতটা কাজে লাগে। আপনার যদি মাথার চুল পাতলা হয়ে থাকে তাহলে চোখ বন্ধ করে আপনি অ্যালোভেরার তেল ব্যবহার করতে পারেন ।

এতে আপনার পাতলা চুল ঘন করতে সাহায্যে করবে। অ্যালোভেরার পাতা সমান দুই ভাগে ভাগ করে সমস্ত রস টি বের করে নিন। তারপর একটি পাত্রে নারিকেলের তেল গরম করুন, এবার তেল গরম হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে খুস সাবধানে এ্যলোভেরার রসটি ঢালুন। এবার ৬/৭ মিনিট অনড়বড়ত নাড়তে থাকুন। দেখবেন অ্যালোভেরার রসটি তেলের সাতে মিশে গেছে। এখন তেল ঠান্ড হয়ে এলে এটি একটি বোতলে ভরে রেখে দিন। রাতে ঘুমানোর সময় একটি পাত্রে রেখে গরম করে চুলে ম্যাসাজ করুন। এই তেল টানা ১৪দিন পর্যন্ত ভাল থাকবে।

২) পাতলা চুল ঘন করতে আমলকির অবদান

পাতলা চুলকে ঘন করতে আমলকির উপকারিতা অনেক। তাই নিয়মিত আমলকীর তেল ব্যবহার করুন।আমলকী ভালোভাবে পরিষ্কার করে একটি পাত্রে আমলকী থেকে ভিতরের বীজটি বাহির করে ফেলুন । এবার আমলকিগুলো কে হালকা পানি দিয়ে বেটে তার রসটি বের করে নিন।এবার নারেকেল তেল গরম করে আমলকির রসের সাথে ৫/৭ মিনিট ধরে মিশিয়ে নিন। যথন দেখবেন তেল বাদামী রং ধারন করছে আর হালকা শুকিয়ে আসছে তখন ঠান্ডা করে একটি বোতলে সংরক্ষন করুন। প্রতিদিন রাতে আপনার মাথার স্ক্যাল্প এ ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার পাতলা চুল ঘন হয়ে উঠবে।

৩) পেয়াজে এর তেল

এই মিশ্রণটি আপনার তৈরী করতে প্রয়োজন হবে ২টি ছোট সাইজের পেঁয়াজ, ১কাপ নারকেলের তেল এবং ৪টি রসুনের কোয়া।প্রথমে রসুনের কেয়াগুলি পরিষ্কার করে নিন।তারপর পেয়াজ স্লাইস করে কেটে নিন।এবার নারকেলের তেলটি একটি পাত্রে গরম করে রসুন ও পেঁয়াজ এর স্লাইসগুলি দিয়ে হালকা করে নাড়তে থাকুন যতক্ষন না পেঁয়াজ বাদামী কালার হয়ে আসলে তা ছেকে একটি বোতলে সংরক্ষনে রাখুন।প্রতিদিন রাতে এই তেল আপনার স্ক্যাল্প এ ব্যবহার করুন। সকারে উঠে হালকা গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪) আদার তেল

আদার তেল চুলের গোড়া মজবুত ও শক্ত করার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে সাহায্যে করে। আপনি চাইলে আদার তেল বাজার থেকে ও সংগ্রহ করতে পারবেন। আর যদি টাকা বাচানোর প্লান থাকে তাহলে আপনার জন্য রয়েছে গরোয়া টিপস। আশা করছি কিছুটা হলেও হেল্প করতে পেরেছি।


রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১

গরমে চোখের অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে

গরমে চোখের অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে- 

১. শুষ্ক মৌসুমে যখনই বাইরে বের হবেন ধূলোবালি থেকে রক্ষা পেতে নাকে-মুখে মাস্ক এবং চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করবেন।

২. চোখ চুলকালে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলবেন।

৩. টিভি বা কম্পিউটারের সামনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করবেন না।

৪. সাবধানে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করবেন।

৫. খেয়াল রাখবেন গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ডিম জাতীয় কোন খাবারের কারণে আপনার অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা।

৬. ঘরের কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

৭. ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আই ড্রপ ব্যবহার করবেন।

৮.বাড়িতে লোমশ পোষা কোন প্রাণি থাকলে তার থেকে সতর্ক থাকবেন।

গরমের দিনে আপনার খাদ্যতালিকায় কোন ফল থাকা জরুরি, জানেন?



ফল খাওয়ার গুণ


প্রকৃতির চেয়ে বড়ো খেয়াল কেউ রাখে না! ভেবে দেখুন, শীতকালে আপনার জন্য এমন ফল আর সবজির ভান্ডার সাজিয়ে রাখে প্রকৃতি, যা শরীরে উষ্ণতা জোগায়। গরমের দিনে হয় ঠিক উলটো। লাউ, কুমড়ো, পটল, ঝিঙের মধ্যে থাকে প্রচুর জল। তা আপনাকে ঠান্ডা রাখে, আর্দ্র রাখে। সবচেয়ে বড়ো দান হচ্ছে গরমের ফল। আম, জাম, লিচু, বেল, শসা আপনার শরীরে জোগান দেয় খনিজ, ইলেকট্রোলাইটের। ফলে সারাদিন ঘাম হয়ে যা হারাচ্ছেন, তা আবার ফিরে আসে।

আম
আমকে এদেশে এমনিই ফলের রাজা বলা হয় না! আমে প্রচুর ভিটামিন এ আর সি থাকে। সেই সঙ্গে থাকে একান্ত প্রয়োজনীয় আলফা ও বিটা ক্যারোটিনের মতো ফ্ল্যাভোনয়েড। তা আপনার চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে সাহায্য করে। আমে পটাশিয়াম থাকে। শরীরে তরলের সাম্য বজায় রাখতে পটাশিয়াম খুব প্রয়োজনীয়।

কালোজাম
কালোজাম ডায়াবেটিক পেশেন্টদের জন্য খুব ভালো। তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, থিয়ামিন, রাইবোফ্লাভিন সমৃদ্ধ জাম খেলে পেট ভালো থাকে। দাঁত আর মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কালোজাম অপরিহার্য।

পাকা বেল
পেট ঠান্ডা রাখতে পাকা বেলের কোনও জুড়ি নেই। এর ট্যানিন সারায় ক্রনিক পেট খারাপের সমস্যা। কমায় গ্যাসট্রিক আলসার। এটি অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি মাইক্রোবায়ালও বটে। বেলের শাঁস কমায় কনস্টিপেশনের আশঙ্কা।

লিচু
লিচুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর ফাইবার। সেই সঙ্গে কপার আর ফসফরাসও থাকে প্রচুর পরিমাণে। ত্বক আর চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে লিচু। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে শর্করার পরিমাণ।

শসা
ভিটামিন এ, বি, সি, কে, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, আর পটাশিয়াম থাকে শসায়। সেই সঙ্গে শসায় জলের পরিমাণও অনেক বেশি। যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের পেট ভরানোর কাজেও শসা খুবই কার্যকর। শসা ত্বকের জন্যেও খুব ভালো।

বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১

হাত-পায়ের যত্ন নিতে ১২টি টিপস

 


আমরা সবাই হাতের এবং পায়ের কথা ভুলে গিয়ে মুখের যত্ন নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকি। অথচ হাত-পায়ের যত্ন মুখের মতই সমানভাবে ইম্পরট্যান্ট। সূর্যরশ্মির সরাসরি প্রভাবের কারণে মেলানিন উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে আমদের ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে। যদি আপনি ফর্সা ত্বকের অধিকারী হয়ে থাকেন কিন্তু হাত পা কাল হয়ে থাকে তাহলে আর লজ্জায় ভুগবেন না।

 কারণ নিচে দেয়া ১২টি টিপস প্রাত্যহিক ব্যবহার করে আপনার হাত-পায়ের যত্ন নিলে মুখের মত এরাও সুন্দর থাকবে। হাত-পায়ের যত্ন নিতে ১২টি টিপস:

 ১. কমলার খোসা শুকিয়ে সেটা গুঁড়ো করে কাঁচা দুধের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত হাতে পায়ে লাগান,অবশ্যই ভাল ফলাফল পাবেন।

 ২. শসা, টমেটো এবং লেবুর রসের সাথে চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে হাতে পায়ে লাগান আর ১৫ মিনিট পরেই দেখুন কালচে পড়া হাত পায়ের উজ্জ্বলতা। হাত-পায়ের যত্ন নিতে লেবু, টমেটো ও শসা -

 ৩. ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ চিমটি কাঁচা হলুদ, ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস আর ১ চা চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। হাতে এবং পায়ে ৫ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন এই প্যাকটি। তারপর ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে মনে রাখবেন হলুদ কিন্তু সবাইকে স্যুট করে না। তাই আগে একটু টেস্ট করে নিবেন কাঁচা হলুদ আপনার বন্ধু না শত্রু।

 ৪. ঘৃত কুমারীর নাম আমরা সবাই শুনেছি। এটির থকথকে জেলটা হাত-পায়ের যত্ন নিতে হাতে-পায়ে রাব করলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।

 ৫. ১ টেবিল চামচ গুড়োঁ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে হাত পায়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার করুন। এই প্যাকটি শাইন আনবে আর সানটান দূর করবে। 

 ৬. কাঁচা আলুর রস দিনে ২বার করে ব্যবহার করলেও খুব দ্রুত উজ্জ্বল লাবণ্যময় হাত-পা দেখে নিজেই অবাক হবেন। 

৭. এই প্যাকটি শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। সমপরিমাণ লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে হাতে পায়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

 ৮. এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ শশার রসের সাথে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে হাতে পায়ে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন আর ২ সপ্তাহ পর সবার প্রশংসা পাবার জন্য তৈরি থাকুন। এই প্যাক প্রতিদিন ব্যবহার করবেন।

 ৯. ফর্সা হাত পায়ের জন্য ৩ চামচ বোরাক্স পাউডার, ২ চামচ গ্লিসারিন আর ২ কাপ গোলাপ জলের পেস্ট তৈরি করুন। হাত পায়ে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 ১০. ২ মগ পানিতে একটি লেবুর অর্ধেক রস মিশিয়ে হাত পা ডুবিয়ে রাখুন। এইভাবে দিনে ৩ বার করুন।

 ১১. আপনার যদি টমেটোতে অ্যালার্জি না থেকে থাকে তাহলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে টমেটোর ক্লাথ মিশিয়ে হাতে এবং পায়ে ব্যবহার করুন আর ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। 

১২. আমরা সবাই জানি দই সানটান কমাতে খুবই উপকারী। প্লেন টক দই হাতে পায়ে মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। প্রত্যেকদিন ব্যবহার করলে ৭ দিনের মধ্যে সুফল পাবেন

বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১

চুলের বিশেষ চাহিদা অনুযায়ী বানিয়ে নিন আপনার একান্ত নিজস্ব স্পেশাল তেল


চুলের বিশেষ প্রয়োজন অনুযায়ী বানিয়ে নিন তেল

জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা! টাং টুইস্টার হিসেবে এই বাক্যটি যতটা জনপ্রিয়, তার সত্যতাও ততটাই! চুলে নিয়মিত তেল মাখলে তা যেমন চুলের গোড়ায় পুষ্টি জুগিয়ে চুল মজবুত করে তোলে, তেমনি চুল আর্দ্র সতেজ রেখে ধরে রাখে স্বাভাবিক চকচকেভাব। কিন্তু প্রতিটি মানুষ যেমন আলাদা, তেমনি তাঁদের চুলের সমস্যা ও চাহিদাও ভিন্ন ভিন্ন। কারও হয়তো খুসকির সমস্যা, আবার কারও চুল আর্দ্রতার অভাবে শুষ্ক, বিবর্ণ! আবার যাঁদের চুল স্বাভাবিকভাবেই তেলতেলে, সামান্য ভারী তেলেও তাঁদের চুল প্রচণ্ড নেতিয়ে পড়ে। ফলে তাঁদের দরকার হালকা তেল!

মুশকিল হল, এতরকম তেল তো আর রেডিমেড পাওয়া সম্ভব নয়, তাই অনেক সময়ই চুলের বিশেষ চাহিদাগুলো অবহেলিত হয়। সাধারণভাবে যে কোনও ধরনের চুলের জন্যই কোল্ডপ্রেসড অর্গানিক তেল ব্যবহার করা ভালো। তবে তার সঙ্গে যদি মিশিয়ে নিতে পারেন কিছু বিশেষ ভেষজ উপাদান, তা হলে আপনার চুলের নানা সমস্যাকে দূরে রাখতে পারবেন সহজেই।

নতুন চুলের জন্য জবাফুল
আপনার চুল কি পাতলা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন? তা হলে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন জবাফুলের গুণ। পাঁচটা জবাফুল আর পাঁচটা জবাপাতা একসঙ্গে থেঁতো করে মসৃণ পেস্ট করে নিন। এবার ১০০ মিলি অলিভ বা নারকেল তেলের মতো কেরিয়ার অয়েল পাত্রে নিয়ে গরম করুন। তেল গরম হয়ে উঠলে তাতে থেঁতো করা ফুল-পাতার পেস্টটা দিয়ে দিন। তেল ফুটে উঠলে আঁচ থেকে নামিয়ে ছাঁকনিতে ছেঁকে এয়ার টাইট বোতলে ভরে রাখুন। প্রতিবার এই তেলই মাথায় আর স্ক্যাল্পে ভালো করে মাসাজ করে আধঘণ্টা রাখবেন, তারপর শ্যাম্পু করে নেবেন।

খুসকি কমাতে লেবু
অনেকদিন ধরে খুসকি ভোগাচ্ছে? আপনার দরকার লেবুর গুণ কমলালেবু আর পাতিলেবুর খোসা রোদে খটখটে করে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তারপর 100 মিলি নারকেল বা অলিভ অয়েল গরম করে তাতে এক টেবিলচামচ লেবুর খোসার গুঁড়ো দিন। তেল ফুটে গেলে নামিয়ে ছাঁকনিতে ছেঁকে ব্যবহার করুন।

চুল ওঠার জন্য আমলকি
আমলকি গুঁড়ো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন। 100 গ্রাম আমলকি পাউডার বানাতে পনেরো-কুড়িটা আমলকি টুকরো করে কেটে রোদে খটখটে করে শুকিয়ে নিন। একদম শুকিয়ে গেলে ব্লেন্ডার বা গ্রাইন্ডারে দিয়ে গুঁড়ো করে নেবেন। এবার ওই গুঁড়ো থেকে অর্ধেকটা নিয়ে চার লিটার জলে ফেলে ফোটান। জল ফুটে ফুটে অর্ধেক হলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। জল ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন। এবার আর একটা পাত্রে বাকি অর্ধেক আমলকি পাউডার অল্প জলে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। আমলকি গুঁড়ো মেশানো যে জলটা ঠান্ডা হতে দিয়েছিলেন, তাতে এই পেস্ট আর এক কাপ পরিমাণ অর্গানিক নারকেল তেল যোগ করে ফের আঁচে বসান। পুরো জলটা ফুটে ফুটে উবে যাবে, পড়ে থাকবে শুধু তেল আর আমলকি পাউডারের মিশ্রণ। ঠান্ডা করে এয়ার টাইট কৌটোয় ভরে রাখুন। সপ্তাহে দু' দিন এই তেল ব্যবহার করুন।

মাথার চুলকানির জন্য তুলসি
তুলসির নির্যাসযুক্ত তেল বানাতে প্রথমেই একগোছা তুলসিপাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে অল্প জলে বেটে নিন। এর পর 100 মিলি কোল্ড-প্রেসড নারকেল তেল নিভু আঁচে গরম করে তাতে তুলসিপাতা বাটাটা দিয়ে দিন। ইচ্ছে করলে এর সঙ্গে এক চাচামচ মেথিও দিতে পারেন। তেলটা মিনিট দশেক কম আঁচে গরম করুন, তারপর নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিয়ে এয়ারটাইট কৌটোয় ভরে রেখে দিন, প্রয়োজনমতো ব্যবহার করুন।

পাকা চুল কমাতে কারিপাতা
দু' টেবিলচামচ পরিমাণ কোল্ড প্রেসড নারকেল তেল গরম করুন, তাতে কারিপাতাগুলো দিয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে রাখবেন, তাতে কারিপাতাগুলোর ধার বরাবর কালো কালি তৈরি হতে শুরু করবে। পাতা কালো হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে তেল ঠান্ডা হতে দিন, তারপর ছেঁকে নিন। পাকা চুলের উৎপাত কমাতে সপ্তাহে দু' তিনবার ব্যবহার করা যায় এই তেল।

মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১

১৯ টি প্রয়োজনীয় বিউটি টিপস

 


মানুষ সৌন্দর্য্যের পূজারি। সুন্দর যেকোন কিছুই সবাইকেই আকর্ষন করে, আর এই সুন্দর বিষয়টি নারীদের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশী মানিয়ে যায়। নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য নারীরা বিভিন্ন রকম প্রসাধনী ও সাজসজ্জার আশ্রয় নেয়। কিছু টিপস জানা থাকলে এই সাজসজ্জার বিষয়টি হয়ে যায় চটুজলদি এবং ঝামেলাহীন।

দেরি না করে এখনি জেনে নিন ১৯টি কার্যকরী বিউটি টিপসঃ

১। টমেটোর রস ও দুধ একসঙ্গ মিশিয়ে মুখে লাগালে রোদে জ্বলা ভাব কমে যাবে।

২। ঠোটেঁ কালো ছোপ পড়লে কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে ঠোটেঁ মুছবেন। এটি নিয়মিত করলে ঠোটেঁর কালো দাগ উঠে যাবে।

৩। কনুইতে কালো ছোপ দূর করতে লেবুর খোসায় চিনি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। এতে দাগ চলে গিয়ে কনুই নরম হবে।

৪। হাঁড়ি-বাসন ধোয়ার পরে হাত খুব রুক্ষ হয়ে যায়। এজন্য বাসন মাজার পরে দুধে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে হাতে লাগান। এতে আপনার হাত মোলায়েম হবে।

৫। লিগমেন্টেশন বা কালো দাগ থেকে মু্ক্তি পেতে আলু, লেবু ও শসার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে তাতে আধ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে যেখানে দাগ পড়েছে সেখানকার ত্বকে লাগান।

৬। মুখের ব্রণ আপনার সুন্দর্য নষ্ট করে। এক্ষেত্রে রসুনের কোয়া ঘষে নিন ব্রণের উপর। ব্রণ তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে।

৭। তৈলাক্ত ত্বকে ঘাম জমে মুখ কালো দেখায়। এক্ষেত্রে ওটমিল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখবেন আধা ঘণ্টা। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

৮। চুল পড়া বন্ধ করতে মাথায় আমলা, শিকাকাই যুক্ত তেল লাগান।

৯। পায়ের গোড়ালি ফাটলে পেঁয়াজ বেটে প্রলেপ দিন এ জায়গায়।

১০। যাদের হাত খুব ঘামে তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাউয়ের খোসা হাতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।

১১। মুখে কোন র‌্যাশ বের হলে অড়হর ডাল বাটা পেস্ট লাগান র‌্যাশের উপর। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবে না।

আরও পড়ুনঃ ভেসলিনের ১১টি বিচিত্র ব্যবহার

১২। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ১৫ গ্রাম করে মৌরি চিবিয়ে খান। খুব কম সময়ে রক্ত শুদ্ধ হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

১৩। মুখের তাৎক্ষণিক লাবণ্য আনতে একটা ভেষজ রুপটান আছে। আধা চা চামুচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। পনের মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার মুখকে ভেজা রাখবে।

১৪। পিঠের কালো ছোপ তুলতে ময়দা ও দুধ এক সঙ্গে মিশিয়ে পিঠে দশ মিনিট ধরে ঘষবেন। এটা নিয়মিত করলে পিঠের ছোপ উঠে যায়।

১৫। অতিরক্ত শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে মধু, দুধ ও বেসনের পেস্ট মুখে লাগান নিয়মিত। এতে ত্বকের বলিরেখা ও দূর হয়ে যাবে।

১৬। মুখের বাদামি দাগ উঠাতে পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগান, পরে ধুয়ে ফেলুন।

১৭। হাত পায়ের সৌন্দয্য অক্ষুণ্ন রাখতে হাতে ও পায়ে আপেলের খোসা ঘষে নিন। এতে হাত ও পা অনেক বেশি ফর্সা দেখাবে।

১৮। সমপরিমাণ তুলসী পাতার রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দুই বেলা নিয়মিত মুখে লাগান যেকোন দাগ মিলিয়ে যাবে।

১৯। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত দুই কোয়া করে কমলালেবু খান। দুই মাস পর এ সমস্য থাকবে না।

রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১

মাস্ক পরায় সৃষ্ট ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়




চলমান কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এখন মাস্ক পরা দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাস্ক একদিকে যেমন কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে, তেমনি এর কারণে মুখের ত্বকে সমস্যা হতে পারে।

মাস্কের কারণে ঘাম, ত্বকের নিঃসৃত তেল, ময়লা ও জলীয়বাষ্প মুখের ওপর আটকে যায়। আবার মাস্কের ঘর্ষণের ফলেও ত্বকের পরিবর্তন ঘটে। ফলে ব্রণ, ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া, চুলকানি, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া, আ্যলার্জি, ডার্মাটাইটিস, রোসাছিয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

এসব সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে ব্রণ (Acne)। জলীয়বাষ্প, ঘাম, তৈলাক্ত ত্বক ইত্যাদি ব্রণ ও জীবাণুর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। মাস্ক পরার ফলে সৃষ্ট ব্রণ ইতোমধ্যেই মাস্কনি  হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।

কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই মাস্কনি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

* পরিষ্কার, শুকনো, আরামদায়ক মাস্ক পরিধান করুন। প্রাকৃতিক তন্তু যেমন সুতি বা সিল্কের তৈরি নরম ও মোলায়েম মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। রুক্ষ ও সিনথেটিক কাপড়ের মাস্ক পরা থেকে বিরত থাকুন।

* মাস্ক পরার আগে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা ও মাস্ক নাড়াচাড়ার সুবিধার্থে ময়েশ্চারাইজার বা ব্যারিয়ার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। মাস্ক খোলার পর দ্রুত মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন।

* মাস্কের কারণে মুখের বেশিরভাগ অংশ ঢেকে থাকে। তাই মেকআপ বা প্রসাধন চর্চা না করাই ভালো। গরম ও ঘামে মাস্কের আবদ্ধ পরিবেশে প্রসাধনী পণ্য ব্রণ তৈরিতে সহায়তা করে।

* কর্মস্থলে আলাদা কক্ষের সুবিধা থাকলে অন্য কারো সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ছাড়া মাস্ক না পরলেও রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি নেই। এভাবে স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা করে, ঝুঁকি না নিয়ে যতটুকু সম্ভব মাস্ক মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে পারেন।

* সাবধানতা অবলম্বনের পরও ত্বকের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

প্রাকৃতিক উপায়ে যেভাবে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করবেন


ভ্যাপসা গরম যেন পিছুই ছাড়ছে না! আর এই গরমে একটুতেই নাকাল হতে হচ্ছে। একটু হাঁটাহাঁটি বা খাটনিতেই ঘেমে-নেয়ে একাকার। শরীরে ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির কারণে ঘামে দুর্গন্ধ দেখা দেয়। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে বাজারে নানা রকম বডিস্প্রে, রোল অন জাতীয় সুগন্ধি পাওয়া যায়। কিন্তু সেসব সুগন্ধিতে থাকা ক্ষতিকারক রাসায়নিক আমাদের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই ঘরোয়া উপায়ে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার কৌশল জেনে নিন-

গোলাপজল: ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো গোলাপজলের ব্যবহার। গোসলের পানির সঙ্গে পরিমাণমতো গোলাপজল মিশিয়ে নিয়ে গোসল করুন। এই উপায়টি দীর্ঘক্ষণ দেহকে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে দূরে রাখে। এটি খুব কার্যকরী।

মধু: একটি পাত্রে সামান্য উষ্ণ গরম পানি নিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে রেখে দিন। গোসলের শেষে মধু মিশ্রিত পানি গায়ে ঢেলে নিন। এই মিশ্রণটি ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে।

বেকিং সোডা: বেকিং সোডা পেস্ট বানিয়ে বগলে লাগিয়ে নিন। এটি ঘামের কটূ গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া বগলের অতিরিক্ত ঘাম রোধ করার জন্য বেকিং সোডার সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিতে পারেন।

নিম পাতা: নিম পাতার ব্যবহারে ঘামের দুর্গন্ধ রোধ করা যায় সহজেই। ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ার জন্য শরীরে যে ব্যাকটেরিয়া দায়ী, সেই ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করার জন্য নিম পাতা খুব উপকারী। কিছু নিমপাতা পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। গোসল করার সময় এই পানি ব্যবহার করুন। এই পদ্ধতি শরীরের টক্সিন রোধ করে এবং ঘামের দুর্গন্ধ দূরে রাখে।

শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১

বাড়তে শুরু করেছে গরমের তীব্রতা। গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিনের খাবার মেন্যুতে রাখতে হবে প্রোটিন ও পানিসমৃদ্ধ খাবার

 

গরমে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাবেন যেসব খাবার
১/ রসালো ফল তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। গরমে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন খান তরমুজ। তরমুজে থাকা ভিটামিন এ ও সি শরীরে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি পানির জোগানও দেয়।
২/ দই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ প্রোবয়াটিক, যা গরমে পেটের যেকোনোও সমস্যা থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা রাখতেও দই খাওয়া চাই নিয়মিত।
৩ | প্রায় সব রকম ভিটামিন ও মিনারেলের পাশাপাশি প্রচুর পানি থাকে। তাই ডিহাইড্রেশন থেকে দূরে থাকতে গরমে রোজ শশা খান।
৪/ লেবু-পানি কিংবা পুদিনা-পানি পান করতে পারেন প্রতিদিন

বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১

গরম পড়ছে, ঘরোয়া উপাদান দিয়ে তেলতেলে ত্বকের যত্ন নিতে শুরু করুন এখন থেকেই

 

গরমে তেলতেলে ত্বকের যত্ন

বৈশাখ শুরু হতে না হতেই গরম পড়তে শুরু করে দিয়েছে পুরোদমে! লকডাউনের সুবাদে এবার তেমন বাইরে বেরোতে হচ্ছে না বটে, কিন্তু তার জন্য কি আর গরম কমে? বিশেষ করে যাঁদের তেলতেলে ত্বক, গরম আর ঘামের জোড়া ফলায় তাঁদের অবস্থা আরও কাহিল! মুখ তেলতেলে লাগছে, ব্রণ-হোয়াইট হেডস-ব্ল্যাকহেডসের উপদ্রবও শুরু হয়ে গেছে। এখন পার্লার যেহেতু বন্ধ, তাই ফেসিয়াল করে ত্বক তরতাজা করে নেওয়ারও উপায় নেই!

তা হলে কী করা! তেলতেলে ত্বকের সমস্যা সহ্য করেই কি কাটিয়ে দিতে হবে কোয়ারান্টাইনের দিনগুলো? তা কেন? বরং নজর দিন আপনার রান্নাঘরে। সেখানে লুকিয়ে রয়েছে এমন অনেক সাধারণ উপাদান যা নিখুঁতভাবে যত্ন নেবে আপনার তেলতেলে ত্বকের।

টোমাটো
টোমাটোর মতো প্রাকৃতিক ক্লেনজার কমই হয়। মুখের বাড়তি তেল শুষে নিয়ে ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ দূরে রাখতে জুড়ি নেই টোমাটোর। একটা মাঝারি টোমাটো আধখানা করে কেটে চটকে রসটা বের করে নিন। তুলোয় করে সারা মুখে মাখুন। 10-15 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন করলেই দারুণ ফল পাবেন।

কলার মাস্ক
ফ্রিজের কোণে একটা কলা পুরোনো হয়ে কালো হয়ে গেছে? চটকে পেস্ট করে নিন, তার সঙ্গে মেশান এক টেবিলচামচ মধু। দু'ফোঁটা লেবুর রস যোগ করুন। মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। হালকা ময়শ্চারাইজার মেখে নিন এর পর।

বেকিং সোডা
তিন টেবিলচামচ জলে এক টেবিলচামচ বেকিং সোডা যোগ করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এটা মুখে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। বেকিং সোডার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের তেলতেলেভাব কাটিয়ে তোলে।

অ্যালো ভেরা
বাড়িতে অ্যালো ভেরার গাছ থাকলে ভালো, না হলে দোকান থেকে কেনা জেলও চলবে। মুখে অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে শুকোনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন।

লেবুর রস
সাধারণ পাতিলেবুর রস আপনার ত্বকের বাড়তি তেলাভাব কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। লেবুর রস, গোলাপজল আর গ্লিসারিন সমান পরিমাণে মিশিয়ে মুখে লাগান। 20 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন। ব্রণ, গরমের ফুসকুড়ি কমিয়ে ত্বক সুস্থ রাখার অব্যর্থ উপাদান এটি।

মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

চশমার বিশ্রী দাগ বসে গেছে নাকের দু'পাশে? কীভাবে মুক্তি পাবেন এই দাগ থেকে

 

চশমার বিশ্রী দাগ বসে গেছে নাকের দু'পাশে? কীভাবে মুক্তি পাবেন এই দাগ থেকে?


মুছে ফেলুন চশমার বিশ্রী দাগ

সব দাগ মোটেও ভালো নয়! বিশেষ করে চশমার দাগ! যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চশমা পরছেন, তাঁরা এই সমস্যার সঙ্গে হাড়ে হাড়ে পরিচিত। একটানা চশমা পরতে পরতে নাকের দু'পাশে আর উপরে বিশ্রী দাগ পড়ে যায়, যা কোনও মেকআপ, কোনও কনসিলারেই আর উঠতে চায় না! ফিটিংয়ের সমস্যা, একজায়গায় দীর্ঘক্ষণ চাপ পড়ার কারণেই মূলত চশমার দাগ পড়ে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই দাগ ক্রমশ গাঢ় হতে থাকে, তারপর একসময় তা পাকাপাকিভাবে বসে যায়!

এখন চশমা পরেন বলেই যে নাকের পাশে দাগও পুষে রাখতে হবে তার কোনও মানে নেই কিন্তু! আর দাগ তুলতে হাতিঘোড়া বিশাল কিছু করারও দরকার নেই! খুবই সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়েই ক্রমশ হালকা করে ফেলতে পারবেন চশমার বিশ্রী দাগ! নিজেই দেখে নিন!

শসার রস
পরেরবার শসা খাওয়ার সময় দু' একটা টুকরো সরিয়ে রাখুন। শসার রস চশমার এঁটে বসা কালো দাগ সহজেই তুলে দিতে পারে। রসটা চিপে নিয়ে লাগান বা টুকরোগুলো দাগের উপর ঘষুন, ফল পাবেন দু'ভাবেই! তবে রোজ লাগাতে হবে।

অ্যালো ভেরা জেল
সব সমস্যার সমাধান করতে পারে অ্যালো ভেরা জেল। চশমার দাগই বা তার ব্যতিক্রম হতে যাবে কেন! অ্যালো ভেরার পাতা কেটে ভিতরের জেল বের করে নিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নেবেন। মাসখানেক টানা করতে পারলেই দাগ হাওয়া!

লেবুর রস
পাতিলেবুর রস ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে খুবই ভালো! পাতিলেবুর রস তুলোয় করে নিয়ে চশমার দাগের উপর ঘষুন। মিনিট দশেক রেখে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন স্নানের সময় লাগিয়ে নিতে পারেন। ইচ্ছে করলে পাতিলেবুর রসের মধ্যে অল্প মধু মেশাতে পারেন, তাতে ত্বক আর্দ্রও থাকবে।

কমলালেবুর খোসা
শীতের কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে রেখে দেন অনেকে। সেই শুকনো খোসা শিলে বা হামানদিস্তায় মিহি করে গুঁড়িয়ে নিন। গ্রাইন্ডারও ব্যবহার করতে পারেন। আধ চাচামচ এই গুঁড়ো নিয়ে তাতে অল্প দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলবেন।

আলুর রস
কড়া দাগ হালকা করে দিতে পারে আলুর রস। তার সঙ্গে মৃত কোষ তুলে ফেলে একটা বাড়তি জেল্লাও এনে দেয়। একটা ছোট আলু কুরিয়ে নিন। চিপে রসটা বের করে চশমার দাগের উপরে লাগান। 10-15 মিনিট লাগিয়ে রাখলে শুকিয়ে যাবে। তখন জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন লাগালে তফাত বুঝতে পারবেন।

রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

গরমকালে চুলের যত্ন



শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের বৈরী হাওয়া। আর সেইসাথে দ্বিগুণ হারে বাড়ছে চুলের যত সমস্যা। গরমে ঘেমে-নেয়ে চুলের চিটচিটে অবস্থা হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত  সূর্যালোকের প্রভাবে চুল রুক্ষ এবং বেজান হতে শুরু করে। চুলের এমন বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতেই আমাদের আজকের ব্লগ। মেনে চলুন কিছু সিম্পল স্টেপস আর চুল থাকবে এই গরমেও প্রাণবন্ত ও ঝলমলে! 

ঘামে ভেজা চুল শুকিয়ে নিন – গরমে ঘাম ও ধুলাবালুর কারণে চুলের গোড়ায় ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের উপদ্রব হতে পারে। ঘাম জমে থাকা অবস্থার কারণে মাথায় খুশকি ও চুল পরাও বেড়ে যায়। তাই বাইরে থেকে এসে অবশ্যই আপনার প্রথম কাজ হবে ঘর্মাক্ত স্ক্যাল্প শুকিয়ে নেওয়া। ফ্যানের বাতাসেই চুল খুলে শুকিয়ে নিন। ঘাম অথবা ভেজা থাকা অবস্থায় কখনোই চুল বেঁধে রাখবেন না। 

চুল বাঁধায় ভুল – অনেকেই গরমকালে চুল আঁটসাঁট করে বেঁধে রাখেন। এর ফলে চুল উঠে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, সেই সাথে রক্ত-সঞ্চালনেও সমস্যা হয়। গরমে ভেজা অবস্থায় চুল বেঁধে রাখলে চুল হয়ে পরে ভঙ্গুর। তাই এ সময় চুলটা আঁটসাঁট করে না বেঁধে পাঞ্চ ক্লিপে হালকা করে আটকে নিতে পারেন, অথবা লম্বা চুল হলে হালকা করে বেণি করে নিতে পারেন। 

চুল রাখুন নিয়মিত পরিষ্কার ও পরিছন্ন – ধুলাবালু ও ঘামের কারণে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে গেলে প্রয়োজনে প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে শ্যাম্পু যেন মাইল্ড ও কেমিক্যাল ফ্রি হয়। সেই সাথে সপ্তাহে একবার চুলের ধরন বুঝে কোনো অর্গ্যানিক হেয়ার প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। 

অতিরিক্ত হিট প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন – গরমকালে বাইরের রোদের তাপই যথেষ্ট চুলকে নিষ্প্রাণ করে ফেলার জন্য। তার উপর চুলে অতিরিক্ত হিট দেওয়া, ব্লো-ড্রাই কিংবা স্ট্রেইট ও কার্ল করলে চুলের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব এই সময়ে চুলে হিট প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন। তিলের তেল চুলের UV প্রটেকশানের কাজ করে। তাই হেয়ার কেয়ার রুটিনে যোগ করে নিতে পারেন তিলের তেল 

প্রখর রোদে দরকার প্রোটেকশান – প্রখর রোদে বাইরে বের হওয়ায় আগে হালকা রঙের সুতির স্কার্ফ পেচিয়ে নিতে পারেন। তাহলে চুল ধুলাবালির অত্যাচার থেকে যেমন বাঁচবে তেমনি থাকবে সুরক্ষিত। বাইরে বের হওয়ার আগে ছাতা নিতেও ভুলবেন না যেন! 

খাদ্যাভাসে পরিবর্তন – প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে ভাজা-পোড়া খাবার বাদ দিয়ে যোগ করুন বেশি বেশি পানি জাতীয় ফল-মূল। পানিশূন্যতা যেন কখনোই তৈরি না হয় যে দিকটাও মাথায় রাখতে হবে।

ক্যাস্টর অয়েল: চুল বাড়বে দ্রুত

অয়েল চুলে কীভাবে ব্যবহার করবেন-
  • সমপরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল ও নারকেল তেল একসঙ্গে মেশান। মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসাজ করে অপেক্ষা করুন ৪৫ মিনিট। শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
  •  
  • ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে সমপরিমাণ অ্যালোভেরা জেল মেশান। মিশ্রণটি চুল ও মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। চুল তোয়ালে দিয়ে মুড়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় সারারাত রাখলে। শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  •  
  • ১ টেবিল চামচ মেথির সঙ্গে ৫ টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল মেশান। মিশ্রণটি কুসুম গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। চুলেও ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দুইবার এটি চুলে লাগান।
  •  
  • ২টি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মেশান। আধা কাপ পানি মিশিয়ে নেড়ে নিন মিশ্রণটি। চুলে ব্যবহার করে অপেক্ষা করুন ২০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। চুলের আগা ফাটা দূর হবে।
  •  
  • ৩ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ সরিষার তেল মেশান। মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে লাগান। ১ ঘণ্টা পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।

মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১

গরমে ত্বক সুস্থ রাখবেন যেভাবে

১। সানস্ক্রিন ব্যবহার
ত্বকের ধরণ অনুযায়ে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন দুটি উপাদান দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে অ্যাভোবেনজোন এবং জিঙ্ক। এই দুটি উপাদান সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে । সানস্ক্রিন কেনার সময় অব্যশই এর এসপিএফ দেখে নিবেন। এসপিএফ ৩০ এর উপরে সানস্ক্রিন কেনা ভাল। বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলে যাবেন না।
২। এক্সফলিয়েট
এই গরমে ত্বক নিয়মিত স্ক্রাব করুন। একটি পাত্রে বেসন এবং দুধ মিশিয়ে নিন। এর সাথে কিছু পরিমাণে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে ত্বক ভাল করে স্ক্রাবিং করুন।
৩। ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করুন
আপনি যখনি বের হবেন ছাতা অথবা বড় কোন হ্যাট ব্যবহার করুন। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে আপনার চুল এবং ত্বক উভয়কে রক্ষা করবে।
৪। ত্বক পরিষ্কার করা
এই গরমে অত্যন্ত দুইবার মুখ পরিষ্কার করুন। বাইরে থেকে ফিরে ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। যতবার বাইরে যাবেন ততবার ত্বক পরিষ্কার করুন। তবে হ্যাঁ প্রতিবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না। বেশি ফেসওয়াশ ব্যবহার ত্বক শুষ্ক করে তোলে।
৫। দুধের ব্যবহার
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর একটি তুলোর বল দুধে ভিজিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। এটি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে ত্বক নরম কোমল করে তুলবে।
৬। বরফ
প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে বরফ বেশ কার্যকর। সকালে এবং রাতে এক টুকরো বরফ নিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বককে ঠান্ডা করে ব্রণ হওয়া রোধ করবে।
৭। রোদে পোড়া দাগ দূর করা
টমেটোর রস অথবা লেবুর রস রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। বাইরে থেকে ফিরে একটি তুলোর বলে টমেটো রস অথবা লেবুর রস লাগিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে নিন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
৮। ত্বকের যত্নে ফেসপ্যাক
পেঁপে এবং দুধের তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বক ঠান্ডা করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়া শসা এবং শসার রস ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন। এক টুকরো শসা লবণে ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ তারপর এটি ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান। এটি স্ক্রাব হিসেবে কাজ করবে।
এই গরমে শরীরে পানি শুন্যতা দেখা দিয়ে থাকে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি করুন। এছাড়া ফল এবং পানি জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি ত্বক সুস্থ রাখার পাশাপাশি আপনার শরীরও সুস্থ রাখবে।

শীতে পা ফাটা দূর করুন ৩টি উপায়ে

পা ফাটার কারণ

ঠান্ডা আবহাওয়া
পানির স্বল্পতা
কারো পা প্রাকৃতিক ভাবে শুষ্ক হয় তবে ফেটে যেতে পারে
দীর্ঘ সময় কোন শক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে থাকলে পা ফেটে যেতে পারে
অনেক গরম পানি দিয়ে গোসল করা
ডায়াবেটিস বা থাইরয়েডে সমস্যায়
বয়স বৃদ্ধির কারণে
নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং না করা ইত্যাদি।

১। নারকেল তেল

পা ফাটা রোধ করার সবচেয়ে সহজ এবং সস্তা উপায় হল নারকেল তেল। নারকেল তেল পা ময়েশ্চারাইজ করে ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস দূর করে থাকে।
– ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে নিন। তারপর পা ঘষে নিন।
– তারপর পা মুছে নারকেল তেল লাগিয়ে নিন।
– এভাবে সারা রাত থাকুন।
– পরের দিন সকালে পা ধুয়ে ফেলুন।
– এটি নিয়মিত করুন যত দিন পর্যন্ত না পা ফাটা সম্পূর্ণ ভাল হচ্ছে। আপনি চাইলে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।

২। পেট্রোলিয়াম জেলি এবং লেবুর রস

পেট্রোলিয়াম জেলি আপনার শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। এটি ফাটা দাগ সমান করে থাকে। এর সাথে পায়ের পাতা নরম করে তোলে।
– ১ চা চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি, ১টি লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
– প্রথমে পা কুসুম গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
– তারপর পা শুকিয়ে নিন।
– জেলি, লেবুর রসের মিশ্রণটি পায়ে লাগান।
– হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন।
– এভাবে সারা রাত রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পা ধুয়ে ফেলুন।
– ভাল ফল পেতে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

৩। ভিনেগার

ভিনেগারে অ্যাসিটিক এসিড আছে যা পায়ের তালু এক্সফলিয়েট করে। এবং পায়ের পাতাকে নরম করে থাকে।
– ১/২ বা ১ কাপ সাদা বা আপেল সাইড ভিনেগার এবং ২ কাপ পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
– এই মিশ্রণে পা ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
– তারপর হালকা হাতে ঘষে নিন।
– পা শুকিয়ে গেলে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে দিন।
– এছাড়া চালের গুঁড়া, মধু, ভিনেগার, অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।
– পা ভাল করে ধুয়ে এটি দিয়ে কয়েক মিনিট ঘষুন। তারপর কসুমু গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন।
এটি সপ্তাহে দু বার করুন।

সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১

অল্প সময়ে কালো কনুই ফর্সা করার ২টি উপায়

ঘাড়ের কালো দাগের মত কনুইয়ের কালো দাগও নারী-পুরুষ উভয়ের কাছেই একটা বড় সমস্যা। বিশেষ করে যারা ছোট হাতের পোশাক পড়েন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা দিন দিন যেন বাড়তেই থাকে। মুখ কিংবা ঘাড়ের চাইতে কনুইয়ের চামড়া মোটা ও খসখসে, তাই সাধারণ উপায়ে দূরও করা যায় না এই দাগ। কী করবেন? জেনে নিন খুব অল্প সময়ে কনুইকে ফর্সা করা তোলার কিছু কৌশল।

লেবু ও মধু

কনুইয়ের কালো দাগ দূর করার জন্য লেবু একটি দারুণ উপাদান। আর এর কার্যকারিতা বাড়ায় বহু গুণের মধু। কনুয়ের কালো অংশে মধু মাখিয়ে নিন। তারপর তাজা লেবু কেটে সেই লেবু ঘষুন কনুইতে। বেশ অনেকটা সময় ঘষার পর ৩০ মিনিট এভাবেই রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। গোসলের আগে নিয়মিত করুন, দাগ দ্রুত দূর হবে।

হলুদ ও দুধ

হলুদ গুঁড়ো ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ ১ দিন পর পর কনুইতে মাখুন। ১০/১৫ মিনিট পট পানি দিয়ে ধুয়ে সাবান দিয়েও পরিষ্কার করে নিন। কনুইতে হলুদের দাগ দেখে চিন্তিত হবে না, ২/১ দিন পর দাগ দূর হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরা জেল তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে ভেতরের জেল সংগ্রহ করুন। এটা সরাসরি কনুইতে লাগান, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন নিয়মিত ব্যবহারেই ফল পাবেন।

শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়


চোখের নিচের কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল নানা কারণে হতে পারে। নারী-পুরুষ সবারই ডার্ক সার্কেল দেখা যায়। এটা বড় কোনো সমস্যা না হলেও এটি মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। চিন্তিত না হয়ে ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন ডার্ক সার্কেল— ম্যাসেস নারিকেল তেল ও বাদাম তেল মিশিয়ে ভালোভাবে চোখের চারপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসেস করুন। এভাবে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে ম্যাসেস করতে হবে।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক সপ্তাহ করুন, দেখবেন ডার্ক সার্কেল দূর হয়ে গেছে। আইপ্যাক নারিকেল, কয়েক ফোঁটা লেবুর জুস, দুই টেবিল চামচ শশা বাটা, এক টেবিল চামচ সর ও তিন টেবিল চামচ চীনা মাটি এক সঙ্গে মিশিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন।

ব্যবহারের আগে তুলার গজ দিয়ে চোখ ঢেকে নিন। এবার আরাম করে শুয়ে ডার্ক সার্কেলের উপর মিশ্রণটি লাগান। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো আই টোনার লেবুর রস ও টমেটোর রস মিশিয়ে চোখের চারপাশে প্রতিদিন লাগান। এভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

আলু বাটা উজ্জ্বল ত্বক পেতে আলু বেটে চোখের চারপাশে লাগাতে পারেন। চাইলে আলু কেটে চোখের উপর কিছুক্ষণ রেখে দিতে পারেন।

হার্বাল চা প্রতিদিন ব্যবহার করার পর হার্বাল টি ব্যাগ ফেলে না দিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন। চোখের উপর দিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। ডার্ক সার্কেল দূর করতে এটি বেশ কার্যকর।