রবিবার, ৩১ মে, ২০২০

ব্রণের সমস্যা নিয়েও মেকআপ করার গুরুত্বপূর্ণ টিপস

১) অনেকের ত্বকে খুব সহজেই ব্রণ ওঠে। তারা সাধারণ মেকআপ ব্যবহার না করে নন-কমোডোজেনিক বা নন-অ্যাকনিজেনিক পণ্যগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের পোর বা রোমকূপ বন্ধ করে না ফলে ব্রণের ভয় কমে যায়।

২) পাউডার ধরণের মেকআপ কম ব্যবহার করুন। তার বদলে বেছে নিন ওয়াটার বেসড লিকুইড মেকআপ। যেমন লিকুইড ফাউন্ডেশন এবং ব্লাশ।

৩) ভারী ধরণের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। এর বদলে ব্যবহার করুন একেবারেই হালকা ফাউন্ডেশন। টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারগুলো এক্ষেত্রে বেশি ভালো কাজ করে।

৪) ওয়াক্স আছে এমন পণ্য, অথবা স্টিক, প্যানকেক, পাউডার ধরণের ফাউন্ডেশনগুলো ব্যবহার না করাই ভালো কারণ এগুলো ব্রণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

৫) নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন আপনার মেকআপ ব্রাশ এবং স্পঞ্জ। কিছুদিন পরপর এগুলো পরিবর্তন করাতাও ভালো। কারণ পরিষ্কার না করলে আপনার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া এবং অতিরিক্ত মেকআপ এগুলোতে লেগে থাকে। ফলে ত্বকে মারাত্মক ব্রণের উপদ্রব হতে পারে।

৬) আলতো হাতে মেকআপ দিন। বেশি দ্রুত বা ঘষাঘষি করে মেকআপ দিতে গেলে ত্বকের আরও বেশি ক্ষতি হবে। ত্বকে যতো কম হাত দেওয়া যায় তত ভালো।

৭) ত্বক কখনো বেশি শুষ্ক হতে দেবেন না। ত্বক শুকনো রাখলে তা অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করবে এবং আরও বেশি বাড়বে ব্রণ। সারাদিন যেন ত্বক আর্দ্র থাকে তার জন্য হালকা একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন দিনে শুরুতেই।

৮) মেকআপ শুরুর আগে অয়েল ফ্রি প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। এতে তা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে আর সারাদিন মেকআপ ধরে রাখবে।

৯) ব্রণ ঢাকতে ব্যবহার করতে পারেন ম্যাট মেকআপ। গ্লসি মেকআপ ব্যবহার করলে ব্রণ আরও বেশি প্রকট হয়ে ফুটে ওঠে। ম্যাট মেকআপ এগুলোকে ঢেকে দেয় সহজেই।

১০) সম্ভব হলে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি মেকআপ ব্যবহার করুন। এগুলো ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

১১) কিছু কিছু ফাউন্ডেশন ব্রণের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। এগুলোতে থাকে স্যালিসাইলিক এসিড। সম্ভব হলে এগুলো ব্যবহার করুন।

১২) মেকআপে ডাইমেথিকোন থাকলে তা ব্যবহার করা ভালো এমন ত্বকের মানুষের। কারণ তা ব্রণ ঢাকতে সাহায্য করে।

বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০২০

ত্বকের যত্নে মসুর ডাল



মুখের কালচে ভাব দূর করতে 
মসুর ডালকে রাতে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সকাল বেলায় ডালটা পিষে মুখে লাগান। রোজ যদি মুখে এই প্যাকটা লাগান আপনার চেহারায় কালো ভাবটা দূর হয়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন, ডালটা রোজ তাজা তাজা পিষতে হবে আর কাঁচা দুধ ব্যবহার করবেন।

ত্বক সতেজ করতে
মসুরির ডাল পিষে তার মধ্যে মধু এবং দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক সতেজ হবে।

মুখে বা পিঠের দাগ দূর করতে 
যদি মুখে বা পিঠে দাগ হয়, তাহলে মসুরির ডালের সাথে পোলাও চাল মিশিয়ে পেস্ট করুন। এর সাথে চন্দন পাউডার, মুলতানী মাটি, কমলা লেবুর শুকনো গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। ৪ চামচ শশার রসও দিন। মুখে এবং শরীরের নানা স্থানে ঐ পেস্টটা লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার পরে ধুয়ে ফেলুন।

হাতের কনুইর রুক্ষভাব কমাতে এবং কালো দাগ দূর করতে 
দুধে মসুর ডাল ভিজিয়ে বাটুন। মসুর ডাল বাটা, হলুদ বাটা, পালংশাক বাটা, টমেটোর রস, সূর্যমুখীর তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কনুইয়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে 
রোদেপোড়া দাগ কমাতে মসুর ডালবাটা, কাঁচা হলুদবাটা ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।

বলিরেখা দূর করতে 
বলিরেখা দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে মসুর ডাল বাটা দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখুন ফেস প্যাক হিসাবে। নিয়মিত লাগালে অবশ্যই দারুন উপকার পাবেন।

সোমবার, ২৫ মে, ২০২০

ঈদের নজরকাড়া সাজের টিপস


ঈদে সুন্দরভাবে সাজার জন্য স্কিনকে একটু প্রস্তুত করা প্রয়োজন। তাই ঈদের আগের দিন একটি প্যাক লাগাতে পারেন, যা আপনাকে মরা চামড়াবিহীন, পরিষ্কার, উজ্জ্বল স্কিন দেবে। এক্ষেত্রে আপনি নিতে পারেন— মসুরের ডাল বাটা ২ চা চামচ, আধা ভাঙা চালের গুঁড়া ২ চা চামচ, দারুচিনি গুঁড়া ১/২ চা চামচ, পোস্তদানা বাটা ১/২ চা চামচ, পুদিনাপাতা বাটা ১/২ চা চামচ, ডিম ফেটা ২ চা চামচ, মধু ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, গোলাপ জল পেস্ট করার জন্য প্রয়োজনমতো।

তবে যাদের ড্রাই স্কিন তারা দুধ দিয়ে পেস্ট করবেন। মুখে মেখে ৩০ মিনিট পর ধোবেন।

সকালের সাজ :
সকালের সাজটা হবে স্নিগ্ধ, হালকা। শুধু ফেসপাউডার দিয়ে বেস তৈরি করে কাজল, মাস্কারা ও হালকা লিপস্টিক দিয়ে সাজটা সেরে নিতে পারেন। চুলকে বেণী, হাতখোঁপা, পনিটেল, যে কোনো ক্লিপ দিয়ে গুছিয়ে চট করে বেঁধে নেয়া যায়।

দিনের সাজ :
দিনের সাজ রাতের থেকে হালকা হবে। প্রথমে বেস তৈরির জন্য ফাউন্ডেশন লাগাবেন, যা আপনার স্কিনের রঙের সঙ্গে, স্কিনের ধরনের সঙ্গে মিল রেখে ব্যবহার করতে হবে। ফাউন্ডেশনের ওপর ফেস পাউডার বুলিয়ে নিন। এখন আই শ্যাড হিসাবে একটু হালকা কালার নিন। ন্যাচারাল করতে চাইলে হালকা গোলাপি, হালকা ব্রাউন, পিচ কালার—এভাবে স্কিন কালারের কাছাকাছি যে কোনো রঙ ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ড্রেসের সঙ্গে মিল রেখে মোভ, সবুজ, নীল—যাই ব্যবহার করেন না কেন সব কালারের একদম হালকা শ্যাডটা ব্যবহার করবেন। কাজল, কাজল পেন্সিল ব্যবহার করবেন। চাইলে হালকা শ্যাডের সঙ্গে অ্যামারেল গ্রিন, একোয়া মেরিন কালার পেন্সিল দিয়ে চোখে লাইনার টেনে দিতে পারেন, যা চোখকে আকর্ষণীয় করবে। এবার মাস্কারা ব্যবহার করবেন। আইব্রাড এঁকে নিন। লিপ লাইনার দিয়ে ঠোট এঁকে ন্যাচারাল কালার, ব্রাউন, পিংক, পিচ, মোভ দিন। যদিও এখন ডার্ক ও ম্যাট কালার চলছে, তবে দিনে খুব ডার্কার কালার না দিয়ে ডার্ক কালারের হালকা শ্যাডটা ব্যবহার করবেন। হালকা ব্রাউন, গোলাপি, ব্লাশঅন ব্যবহার করবেন। কপালে টিপ পরতে পারেন। চুলকে বেণী, খেজুর পাটি বেণী, ফ্রেঞ্চ বেণী, টপনট, একটু ছেড়ে রেখে বাঁধা, বিভিন্ন স্টাইলে বাঁধতে পারেন। ক্লিপ, আলগা বিভিন্ন খোঁপা দিয়েও চুলকে সাজাতে পারেন। সামনের চুলকে সেট করে অথবা একটু এলোমেলোভাবে বেঁধে পেছনে ক্লিপ বা খোঁপা বেঁধে নিলেই অল্প সময়ে পরিপাটি সাজ হয়।

রাতের সাজ :
রাতে মেকাপ বেস হিসেবে প্যানস্টিক, প্যানকেক, তার ওপর ফেস পাউডার ব্যবহার করবেন। স্কিনে দাগ না থাকলে সরাসরি প্যানকেক ব্যবহার করতে পারেন। আই শ্যাডো যে কোনো ডার্ক কালার ব্যবহার করা যায়। তবে গর্জিয়াস লুকের জন্য সোনালি, সিলভারের টাচ দেয়া যায়। একটু নতুনত্ব আনার জন্য গতানুগতিক শ্যাড না দিয়ে শ্যাড বা কালার পেন্সিল বা কালার লাইনার দিয়ে লাইন করে চোখ আঁকতে পারেন। ভলিউম মাস্কারা ব্যবহার করুন, আইব্রাশ এঁকে নিন। ডার্ক পিংক, ম্যাজেন্টা, ব্রাউন ব্লাশন ব্যবহার করুন। লিপস্টিকের সঙ্গে মিল রেখেও ব্লাশন ব্যবহার করতে পারেন। লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে লিপস্টিক লাগান। এখন ডার্ক কালার, যেমন—রেড, অরেঞ্জ, ম্যাজেন্টা প্রভৃতি গাঢ় শ্যাডের লিপস্টিক চলছে। ইচ্ছেমতো টিপ ব্যবহার করুন। চুল রাতে যেমন খুশি বাঁধতে পারেন। সামনে লুস ফ্রেঞ্চ ব্রেইড বা টুইস্ট করে পেঁচিয়ে নিয়ে পিছে সামান্য বাঁধতে পারেন। চুল সম্পূর্ণ কার্ল বা শুধু নিচে কার্ল করে ছেড়ে রাখতে পারেন। এখন বিভিন্ন স্টাইলের বেণী চলছে, তাও করতে পারেন। তবে চিরন্তন খোঁপা সব সময়ই চলে, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

রবিবার, ২৪ মে, ২০২০

ঘরেই করুন হুবহু পার্লারের মত নিখুঁত মেকআপ

১। ত্বক পরিষ্কার করা

প্রথমে মেকআপের জন্য ত্বককে তৈরি করুন। ভাল মানের ফেইস ওয়াস বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়েঁ ফেলুন। এতে আপনার মখের ময়লা সব চলে যাবে এবং মেকাআপ ভালভাবে মিশেয়ে যাবে আপনার ত্বকের সাথে।

২। ময়েশ্চারাজিং

হালকা কোন ময়েশ্চারাজিং ক্রিম বা লোশন দিয়ে কপাল, নাক, মুখ, চোখের চারপাশে ম্যসেজ করুন। ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা করুন যাতে লোশন বা ক্রিম ত্বকের সাথে মিশে যায়। ময়েশ্চারাজিং মেকআপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৩। ফাউন্ডেশন

ত্বক পরিষ্কারের পর শুরু হবে মেকআপ পর্ব। পারফেক্ট মেকআপ শুরু হয় ভালো বেস দিয়ে। বেসের প্রথম শর্ত হল নিজের ত্বক অনুযায়ে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা। ফাউন্ডেশন নির্বাচন করতে হবে নিজের গায়ের শেড থেকে এক অথবা দুই শেড হালকা। হালকা রং ত্বককে উজ্জ্বল দেখাবে। শেডিং এর জন্য গাঢ় রং দরকার।আপনার ত্বকের শেড অনুযায়ে ওয়েল ফ্রী ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। তাহলে মেকআপ ভালো ভাবে বসবে। মুখ তৈলাক্ত হলে পাউডার ফাউন্ডেশন লাগান।

৪। কনসিলার

কনসিলার আপনার মুখের দাগ, চোখের নিচের কালি ঢেকে দেয়। নিজের স্কিনটোনের সাথে মিলিয়ে কনসিলার কিনতে হলে আপনার ফাউন্ডেশন থেকে অর্ধেক শেড হালকা থেকে শুরু করুন। ত্বকের ব্লেমিস বা কালো দাগ black spot দূর করতে আপনার ফাউন্ডেশনের চেয়ে এক শেড হালকা তবে ব্ল্যাক আন্ডারটোনের কনসিলার ব্যবহার করুন। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল থাকলে সবুজ বা হলুদ রঙের কনসিলার বেছে নিলে ভালো কাজ করবে।তবে আপনি যদি ব্রণের দাগ,চোখের নিচের কালো দাগ ফাউন্ডেশন দিয়ে ঢেকে দিতে পারনে তবে কনসিলার ব্যবহার না করলে ও হবে।

৫। ফেইস পাউডার

বড় মেকআপ ব্রাশ দিয়ে সম্পূণ মুখে ফেইস পাউডার face powder ব্রাশ করুন। পাউডার পাফ অথবা ফেইস পাউডারের সাথে দেওয়া স্পঞ্জ দিয়ে হাল্কা করে বেইজের উপর বুলিয়ে বেইজ সেট করে নিন।

৬। চোখের মেকআপ

বেইজের পর আসে চোখ সাজানোর পালা। চোখের সাজে eye shaj শুরুতে চোখের ওপরের পুরো জায়গায় আই প্রাইমার দিন। এরপর আইশ্যাডো দিতে হবে। ড্রেসের সাথে মিলিয়ে দুই বা তিন শেডের আইশ্যাডো দিতে পারেন। বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করতে ব্যবহার করতে পারেন বাদামি আইশ্যাডো।

৭। ফলস ল্যাশেস

চোখ দুটোকে চটজলদি বড় আর মায়াবি করে ফেলতে কৃত্রিম পাপড়ি জুড়ি নেই। বাজারে নানা দৈর্ঘ্য ও ডিজাইনের কৃত্রিম পাপড়ি পাওয়া যায়।পছন্দ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন যে কোন প্রকারের আই ল্যাশেস।

৮। আইলাইনার

এরপর আইলাইনার চোখের ওপরে বা নিচে দিতে হবে। লিকুইয়েড,জেল,পেন্সিল যেকোন প্রকারে আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আইলাইনারের বিকল্প হিসাবে কাজল ও ব্যবহার করতে পারেন। আইলাইনার চিকন করে আই ল্যাশসের উপর দিতে হবে। যদি আপনি মোটা করে আইলাইনার দিতে চান তবে প্রথম আইলাইনার শুকানোর পর আরেকবার দিতে পারেন।

৯। মাশকারা

আইলাইনারে পর মাশকারা দেওয়ার পালা।চোখ আকর্ষণীয় করার জন্য ঘন করে মাশকারা দিতে হবে। একবার মাশকারা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে আবার মাশকারা দিন।মাশকারা দেওয়ার সময় চোখের ওপরের পাতা ওপরের দিকে উঠিয়ে দিতে হবে। পাতাগুলো যেন একটার সঙ্গে আরেকটা লেগে না যায়। আইব্রো পেনসিল দিয়ে ভ্রু এঁকে নিয়ে এরপর শুকনো মাশকারা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নেবেন।

১০। ভ্রু-র সাজ

ভ্রু-র সাজ়ে আইব্রো পেনসিল দিয়ে ভ্রু এঁকে নিয়ে এরপর শুকনো মাশকারা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নেবেন। ভ্রু কে ন্যাচারাল লুক দিতে চাইলে ভ্রু-র রঙ এর থেকে হালকা রঙ-এর আইশ্যাডো বেছে নিয়ে তা হালকা করে ভ্রু এর উপর বুলিয়ে নিন। এরপর সেই রঙ এর কাজল দিয়ে হালকা করে ভ্রু একেঁ নিন। এরপর আইব্রো ব্রাশ দিয়ে ভ্রু এর শেপ ঠিক করে নিন।

১১। লিপষ্টিক

লিপষ্টিক দেওয়ার আগে ঠোঁট ভাল করে পরিষ্কার করে নিন।এরপর হালকা করে লিপ বাম বা ভ্যাসলিন লাগান। ৫০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।ভ্যাসলিন বা লিপ বাম শুকিয়ে গেলে লিপিষ্টিক দিন। দিনে ঠোঁটের সাজ়ে ম্যাট লিপষ্টিক দিলে ভালো। রাতে ভারী লিপগ্লস ব্যবহার করতে পারেন। লিপষ্টিক দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে রাখার জন্য প্রথমে লিপষ্টিক থেকে এক শেড গাঢ় লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট আঁকতে হবে। এতে লিপষ্টিক ছড়িয়ে পড়বে না। এবার টিস্যু দিয়ে চেপে নিতে হবে। হাতের কাছে পাউডার থাকলে পাউডার দিয়ে চাপ দিয়ে আবার লিপষ্টিকে লাগাতে হবে।

১২। ব্লাশন

পুরো সাজ শেষ হয়ে এলে ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে। ব্লাশনের রং হিসাবে আপনি গোলাপি বা পিচ রং ব্যবহার করতে পারেন।উজ্জ্বল রং এর অধিকারীরা হালকা শেডের ব্লাশন আর শ্যামলা বা তার থেকে গাঢ় রঙের ত্বকের জন্য গাঢ় শেডের ব্লাশন ব্যবহার করতে পারেন।

 

শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০

৯টি বিউটি টিপস প্রতিদিন রাতে অবশ্য পালনীয়

সুন্দর ত্বকের জন্য কি নিয়মিত পার্লারে যাওয়া জরুরি? নাহ! সুন্দর ত্বক একটু চেষ্টা করলেই পাওয়া যায়। তাও আবার একটু ঘরোয়া যত্নেই ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের কিছুটা বাড়তি যত্ন নিতে পারলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় বহুগুণে। জেনে নিন প্রতিদিন রাতে ত্বকের যেসব যত্ন করা উচিত সে ব্যাপারে বিস্তারিত।

০১।মেকআপ তুলে ফেলুন

রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ঘুমানোর উচিত। হাজার আলসেমি লাগলেও কখনই মেকআপ সহ ঘুমানো ঠিক নয়। কারণ মেকআপ সহজ ঘুমালে ত্বকে মেকআপের রাসায়নিক উপাদানগুলো ক্ষতির সৃষ্টি করে। ফলে ত্বক অনুজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং ব্রণের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়।

০২। দুটি বালিশ ব্যবহার করুন

উঁচু বালিশের ঘুমানোর অভ্যাস করুন। উঁচু বালিশ না থাকলেও কমপক্ষে দুটি বালিশ মাথার নিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। উঁচু বালিশে ঘুমালে ঘুম থেকে ওঠার পরের চোখের নিচের ও মুখের ফোলা ভাব থাকে না।

০৩। পিউরিফাইং মাস্ক লাগিয়ে নিন

ঘুমাতে যাওয়ার আগেই অবশ্যই ত্বকে কোনো ভালো মানের মাস্ক রাখা উচিত। মুখের দাগ কমানোর কিংবা উজ্বলতা বাড়ানোর জন্য কোনো হারবাল মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন ঘুমানোর আগে। অ্যালোভেরার রস ও ব্যবহার করতে পারেন মাস্ক হিসেবে। অ্যালোভেরার রস মুখে লাগিয়ে পুরো রাত রেখে দিলেও ভালো ফল পাবেন।

০৪। হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন

সারাদিনের বার বার সাবান ব্যবহার এবং ধুলা ও ময়লায় হাত রুক্ষ হয়ে যায় এবং আমাদের নখ গুলো অসুন্দর হয়ে যায়। তাই রাতে ঘুমানোর আগে হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। এতে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পড়ে হাত ও নখ গুলো থাকবে সুন্দর।

০৫। সিল্কের তৈরি বালিশের কভার ব্যবহার করুন

সুতি কাপড়ের বালিশের কভার বেশ খসখসে যা চুলের কিউটিকলের জন্য ক্ষতিকর। তাই রাতে ঘুমানোর জন্য সিল্কের বালিশের কভার বানিয়ে নিন। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

০৬। চুল বেঁধে ঘুমান

রাতে ঘুমানোর সময় আমাদের চুলের তেল, ময়লা ও নানান জীবাণুর কারণে ত্বকে ব্রণের আক্রমণ হতে পারে। ত্বক ব্রণের আক্রমণ থেকে বাঁচতে চাইলে চুল বেণি করে অথবা বেঁধে ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে চুলগুলোও যত্নে থাকবে এবং আপনার ত্বকও ভালো থাকবে।

০৭।এক্সফলিয়েটর ব্যবহার করুন

পরিবেশ দুষণ ও সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে আমাদের ত্বকের ক্ষতি হয় প্রতিদিনই। আর তাই ত্বকের জন্য প্রয়োজন এক্সফলিয়েটর। ঘুমানোর আগে প্রতিদিনই ভালো মানের এক্সফলিয়েটর দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

০৮। ৮ ঘণ্টা ঘুমান

সুন্দর ত্বকের জন্য চাই পরিমিত ঘুম। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা গভীর ঘুম প্রয়োজন। তাই সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্য প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ৮ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করা প্রয়োজন।

০৯। আই ক্রিম ব্যবহার করুন

বয়স যতই হোক চোখের নিচের ত্বকের যত্নে আই ক্রিম ব্যবহার করাটা জরুরি। নাহলে আপনার চোখ জোড়াকে বড্ড ক্লান্ত দেখাবে।

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০

ঘরে বসেই করুন ফ্রুট ফেসিয়াল

উপকরণঃ 
লেবু, অল্প পরিমাণ কাঁচা দুধ, লবণ, তুলা, কুসুম গরম পানি, ফ্রুট স্ক্রাব, কলা, স্ট্রবেরি, পেঁপে, মধু, শশা, গোলাপজল ও নারিকেলের পানি।
পদ্ধতিঃ 
-প্রথমে অল্প পরিমাণ কাঁচা দুধের সাথে লেবুর রস এবং এক চিমটি লবণ মিশান। এবার একটি তুলা নিন এবং তুলাটি দিয়ে আপনি ধীরে ধীরে আপনার মুখ আলতোভাবে ঘষতে থাকুন। কয়েক মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এবার স্ক্রাব দিয়ে মুখ ভালো করে স্ক্রাবিং করুন।
-স্ক্রাবিং করা হংেয় গেলে কলা, স্ট্রবেরি আর পেঁপে ছোট ছোট করে কেটে তাতে এক চামচ দুধ এবং কিছু মধু মেশান। ত্বক তৈলাক্ত হলে দুধ ব্যবহার না করে লেবুর রস ব্যবহার করুন। এবার মিশ্রণটি লাগিয়ে লেবু অথবা শশা গোল করে কেটে চোখের উপর দিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। এরপর সামান্য ম্যাসাজ করে একটি তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুছে ফেলুন।
-ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ফেসপ্যাক প্রস্তুত করুন। ত্বক রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে গেলে শশার অথবা লেবুর রস মুখে লাগাতে পারেন। উজ্জ্বল ত্বক চাইলে দুধের সাথে কমলার রস এবং কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে লাগাতে পারেন। আর যদি আপনি ব্রণ থেকে মুক্তি ও তেল দূর করতে চান সেক্ষেত্রে শশার টুকরো এবং গোলাপজলের সাথে মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
-মুখ ধুয়ে সবশেষে টোনার লাগিয়ে নিন। এক্ষেত্রে শশার রস, লেবুর রস, ও নারিকেল পানি দিয়ে নিজেই ঘরে টোনার লাগিয়ে নিতে পারেন।

রবিবার, ১৭ মে, ২০২০

চেহারায় বয়সের ছাপ কমবে একটি প্যাকেই

যা যা লাগবে

চাল তিন টেবিল চামচ, দুধ এক টেবিল চামচ ও মধু এক টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন

প্রথমে চাল ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এবার একটি প্যানে পানির মধ্যে চাল ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়ার আগেই চুলা থেকে চাল নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার তিন টেবিল চামচ সেদ্ধ হওয়া চালের পানি একটি বাটিতে নিন। এখন এতে এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

এই প্যাক মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর সেদ্ধ করা চালের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

পরামর্শ

১. চালের সেদ্ধ পানি ব্যবহারের সময় ঠান্ডা করে নিন।
২. চালের পানি দিয়ে মুধ ধোয়ার ২০ মিনিট পর সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৩. টানা এক সপ্তাহ নিয়মিত এই প্যাক মুখে লাগান। দেখবেন, আপনার চেহারার জৌলুস আগের মতো ফিরে আসবে।

এই প্যাক কতটা কার্যকর?

প্রাকৃতিক এই প্যাক ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করে এবং বলিরেখা দূর করে ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনে। এ ছাড়া চেহারার বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বককে করে টানটান ও মসৃণ।

শনিবার, ১৬ মে, ২০২০

আদার পানি পান করলে কমবে কোমরের মেদ

যা যা লাগবে

১.৫ লিটার পানি
আদা কুচি

যেভাবে তৈরি করবেন

১। ১.৫ লিটার পানি চুলায় দিন, এর সাথে ২ ইঞ্চি লম্বা আদা কুচি মিশিয়ে নিন।
২। এটি কিছুক্ষণ জ্বাল দিন।
৩। ঘন হয়ে গেলে চুলা নিভিয়ে ফেলুন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল আদার রস।
৪। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
৫। প্রতিদিন এক কাপ করে এই আদার রস পান করুন। কমপক্ষে ছয় মাস এটি পান করুন।

কার্যকারণ

আদা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বমি বমি ভাব দূর করে, হজমশক্তি বৃদ্ধি, ঠান্ডা, কফ দূর করে থাকে। শুধু তাই নয়, এটি খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। আদার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান মেদ হ্রাস করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এমনকি এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রেখে খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়।
প্রতিদিন এক কাপ করে ছয় মাস এই পানীয় পান করুন। আর পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত কোমর।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

২টি উপাদান দিয়ে মুখের কালো দাগ দূর করুন


মুখের কালো দাগ দূর করতে চটজলদি ২ টি উপায়ঃ

মুখে কালো দাগের কারণ

  • হাইপারপিগমেন্টেশন, যা ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন তৈরি করে ত্বকে কালো দাগ ফেলে দেয়।
  • হরমোনের ভার‍সাম্যহীনতা
  • অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরি
  • সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি
  • ব্রণ
  • লিভারের সমস্যা ইত্যাদি
ত্বকের এই কালো দাগ দূর করে ফেলুন সহজ একটি উপায়ে।

যা যা লাগবে

১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো (কাঁচা হলুদের পেষ্ট)
১ চামচ লেবুর রস

যেভাবে লাগাবেন

১। হলুদ গুঁড়ো এবং লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। এবার মুখ ভাল করে পরিস্কার করে নিন।
৩। একটি শুকানো তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
৪। এবার এই প্যাকটি মুখের কালো দাগে লাগান।
৫। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৬। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৭। ভাল ফল পেতে প্রতিদিন ব্যবহার করুন। শীতকালে দিনে দুইবার ব্যবহার করুন।

যেভাবে কাজ করে

লেবুতে ব্লিচিং উপাদান আছে, যা ত্বক ফর্সা করে থাকে। হলুদ গুঁড়োর অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে কালো দাগ দূর করে থাকে। যা ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে।

সতর্কতা

এই প্যাক ব্যবহার করার পর ৮-১০ ঘন্টা সূর্যের আলোতে যাবেন না। সেনসেটিভ বা সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারীরা লেবুর পরিবর্তে দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হওয়ায় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারে। নিয়মিত ব্যবহারে কিছুদিনের মধ্যে ত্বকের কালো দাগ অনেক কমে আসে।

মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

ঘরে বসেই গোল্ড ফেসিয়াল করার সহজ নিয়ম


সুন্দর ও সুস্থ ত্বকের জন্য প্রয়োজন ত্বকের সঠিক পরিচর্যা। আর ত্বক পরিষ্কার রাখতে ফেসিয়ালের কোনো বিকল্প নেই। তবে আমরা অনেকেই জানি না কোন ফেসিয়ালটি আমাদের ত্বকের জন্য প্রয়োজন এবং এর সঠিক নিয়ম কী। আমাদের ত্বক অনেক সংবেদনশীল। তাই না জেনে ফেসিয়াল করা একদমই ঠিক না। কিন্তু ঘরে বসে বসে আপনি খুব সহজেই নিজের ত্বকের চাহিদা মোতাবেক গোল্ড ফেসিয়াল করতে পারবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক সে উপায়-

ক্লিঞ্জিং করার জন্য:
– ২ চামচ দুধ
– ১ টা কটন বল
# একটি বাটতে দুধ নিয়ে,তাতে কটন বল ভিজিয়ে মুখে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখবে। ১০মিনিট পর ধুয়ে ফেলবে।

স্ক্রাবিং করতে:
– ১ চামচ চিনি
– ১ চামচ লেবুর রস
– ১ চামচ মধু
# একটি বাটিতে নিয়ে উপকরণগুলো ভালো করে মিক্স করে নিবেন। ২/৩ মিনিট মুখে লাগিয়ে স্ক্রাব করবেন। ২/৩ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলবেন।
স্টিমিং:
– হালকা গরম পানি
– ক্লীন তোয়ালে
# গরম পানির মধ্যে তোয়ালে ভিজিয়ে নিগড়ে নেবে হালকা তারপর মুখে রাব করবে কিছুক্ষণ।

গোল্ড ফেসিয়াল প্যাক:
– ১ চামচ দই
– হাফ চামচ হলুদ
– ১ চামচ নারকেল তেল
– ১ চামচ লেবুর রস
– ১ চামচ মধু

# সব উপকরণ বাটিতে নিয়ে ভালো করে মিক্স করে নেবে। মুখে ১৫/২০ মিনিটের মত লাগিয়ে রেখে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। মাসে ১ বার ব্যবহার করবে।

সোমবার, ১১ মে, ২০২০

ত্বকের যত্নে কমলালেবু

পদ্ধতিঃ১
১।কমলালেবুর খোসা ভালমত বেটে নিন।
২।এর সাথে পরিমাণমতো ভেসন ও গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে নিন।মিশ্রণ টি ঘন হতে হবে।
৩।পুরা মুখ ও গলা তে এই মিশ্রণটি লাগান। শুকালে হাল্কা করে সার্কুলার মুভমেন্টে ঘসে নিন।এরপর নরমাল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
এই প্যাকটি সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন ।

পদ্ধতিঃ২
১।কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে নিন। এরপর শুকনো খোসাগুলো গুড়ো করে নিন।
২।এর সাথে সমপরিমান গোলাপজল ও গ্লিসারিন মিক্স করে পেস্ট তৈরি করুন।মুখে লাগান।শুকালে ধুয়ে নিন।
এই প্যাকটি সপ্তাহে তিন বা চার দিন ব্যবহার করুন ।
ত্বকে জমে থাকে সব ময়লা ,ধুলাবালি দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল, মসৃণ ও কোমল করতে এই প্যাক দুটি খুব উপকারি।

শনিবার, ৯ মে, ২০২০

ঘরোয়া উপায়ে পায়ের রোদেপোড়া কালচে ভাব দূর করুন


১. লেবুর রস
লেবুর রসে অ্যাসিড রয়েছে এবং এর ব্যবহার আপনার শুষ্ক ত্বককে আরো শুষ্ক করে তুলতে পারে। তবে খানিকটা লেবুর রসের সাথে তার ৫-৬ গুন বেশি পানি মিশিয়ে তারপর সেটাতে তুলো ভিজিয়ে যদি ভেজা তুলোটা আপনার রোদে পোড়া স্থানে লাগান তাহলে ধীরে ধীরে পোড়াভাবটা কেটে যাবে ( সার্চ হোম রিমেডিস )। এছাড়াও, এই মিশ্রণটিকে বরফ করেও ত্বকে ঘষতে পারেন আপনি।

২. নারকেল পানি
আপনার পায়ের চামড়া যদি কালো হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে নারকেলের পানির চাইতে ভালো কোন প্রতিষেধক আপনার জন্যে হতেই পারেনা। এক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ মিনিট আপনার পাকে নারকেলের পানি দিয়ে ম্যাসাজ করুন (বোল্ডস্কাই )। গোসলের আগে কাজটি করে ফেলুন আর কিছুদিন পরপর করার চেষ্টা করুন। ভালো ফলাফল পাবেন।

৩. টমেটো
টমেটো সানস্ক্রীন হিসেবে ভালো কাজ করে। এছাড়াও বয়স আর রোদেপোড়া দাগ দূর করতেও বেশ ভালো ফলাফল দেয় এই জিনিসটি। তবে পায়ের কালচেভাব দূর করার জন্যে অনেক বেশি উপকারী টমেটো ( ডেইলি মেইল )। প্রতিদিন চেষ্টা করুন সম্ভব হলে টমেটোর পেস্ট পায়ে লাগানোর। এটি পায়ের মরা কোষগুলোকে দূর করে দেবে, সেই সাথে দূর করবে আপনার পায়ের কালচে ভাবকেও।

৪. প্রোটিন প্যাক
ঘরে বসেই মসুর ডাল আর মধু দিয়ে তৈরি একটি প্যাক বানিয়ে ফেলুন আর সেটিকে লাগিয়ে নিন পায়ের কালো চামড়ার ওপর। এক্ষেত্রে মসুর ডালকে গুড়ো করে নিতে হবে আর তারপর সেটার সাথে মেশাতে হবে খানিকটা মধু (টিপস এন্ড বিউটি )। এরপর সেটিকে লাগাতে হবে পায়ে। অন্তঃত ২০ থেকে ২৫ মিনিট অব্দি পায়ে লাগিয়ে রাখুন প্যাকটি। চেষ্টা করুন সপ্তাহে কম করে হলেও তিনবার এই প্যাকটি লাগাতে। এতে করে খুব দ্রুত ফল পাবেন।

৫. পেঁপে
পাকা পেঁপে রোদে পোড়া চামড়ার জন্যে বেশ কার্যকরী ( সার্চ হোম রিমেডি )। রোদে পোড়া চামড়ার ওপর খানিকটা পাকা পেঁপের পেস্ট লাগিয়ে নিন আর সেটাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। কেবল পায়ের রোদেপোড়া ভাবই নয়, রোদ থেকে জন্ম নেওয়া ভাঁজকেও দূর করে দিতে সক্ষম পেঁপের পেস্ট।

শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০

চুল দ্রুত লম্বা করতে যা করবেন

  • তেল ম্যাসাজ করুনঃ
    চুলের বৃদ্ধিতে সব চাইতে কার্যকরী উপায় হচ্ছে তেলের ম্যাসাজ। নারিকেল তেল,অলিভ অয়েল চুলের জন্য অনেক ভালো। এই দুইটি তেল একসাথে মিশিয়ে কিংবা আলাদা একটি তেল চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • ডিমের হেয়ার মাস্কঃ
    ১ টি ডিম, পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। একটি শাওয়ার ক্যাপ কিংবা কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর মৃদু শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
  • দুধ বা টক দইঃ
দুধ বা দই চুলকে নরম আর মসৃণ করে চুলের রুক্ষতা দূর করে। ফলে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল ফাটবে না। নারিকেল             তেল, আমণ্ড অয়েল (কাঠবাদামের তেল), আধা কাপ দুধ বা টক দই মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ভালোভাবে             চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিন এবং শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এই মিশ্রণটি মাথার               ত্বকে এবং চুলে ভালো করে লাগিয়ে ১ থেকে ২ ঘণ্টা রাখুন। দ্রুত ভালো ফল পাবেন।
  • লেবুর রসঃ
    চুলের সৌন্দর্য চর্চায় লেবুর রসের ব্যবহার নানাভাবে হয়। লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ পানি মেশান। এবার চুলে ভালো করে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • চায়ের লিকারঃ
চুল বৃদ্ধি করতে চায়ের লিকারের তুলনা হয় না। কারণ এটি চুলের কন্ডিশনার হিসেবে খুব ভালো। একটি পাত্রে                   চায়ের লিকার নিয়ে তাতে চুল ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট অথবা গোসল শেষে লিকারটি দিয়ে আস্তে আস্তে চুল ধুয়ে                 ফেলুন। এভাবে ২/৩ দিন চায়ের লিকার ব্যবহার করুন আপনার চুলে।
  • ভিটামিন-ই ক্যাপস্যুলঃ
চুলের বিশেষ যত্নের জন্য চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিন।                  এরপর একে হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভালো                ফলাফলের জন্য পুরোরাত এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহার                    করুন।
এভাবে আপনি ঘরে বসে সহজে আপনার চুল সুন্দর করতে পারবেন এবং চুল দ্রুত বড় হবে।
সতর্কতাঃ
  • চুল মোছার জন্য নরম তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। চুল বেশি ঘষে ঘষে মোছা যাবেনা। এতে চুল ফেটে যায় বেশি। ভেজা চুল আস্তে আস্তে মুছতে হবে।
  • ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না।
  • চুল শুকাতে, চুল ভালোভাবে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে, ফ্যানের বাতাসে বা আলো বাতাসপূর্ণ জায়গায় শুকাতে হবে। কোনক্রমেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যাবে না।
  • ইলেক্ট্রিক সকল যন্ত্র ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
  • চুলের রুক্ষতা কমাতে এবং আগা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা রোধ করতে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা বাদ দিতে হবে। কারণ চুল ধোয়ার ফলে, মাথার ত্বকের তেলও ধুয়ে যায়। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। শ্যাম্পুর রাসায়নিক উপাদানও চুলের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০

ত্বকের বয়স কমাতে যা করতে হবে

বর্তমানে অনেককেই বয়স হয়ে যাওয়ার আগেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। এর পেছনের মূল কারণ আমাদেরই খামখেয়ালী অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস, ত্বকের যত্ন এবং আবহাওয়া এই সকল কিছুর কারণেই ত্বকের সুস্থতা বজায় থাকে বা নষ্ট হতে পারে। এছাড়াও বয়স হয়ে গেলে ত্বকে তো বয়সের ছাপ আরও ভালো করেই পড়ে যায়। বয়স হয়ে যাওয়ার পর বয়সের ছাপ পড়া এবং অল্প বয়সেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়া দুটোই ভাবিয়ে তোলার মতো। তবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার কি জানেন? প্রকৃতি সকল সমস্যার সমাধানের উৎস।

বয়স ধরে রাখার চেষ্টা মানুষের আদি থেকে। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তা ত্বকে ফুটে উঠে। যা আমরা বলিরেখা বলে থাকি। বলিরেখা রোধ করার জন্য কত কিছুই না করে থাকি আমরা। এর কতটুকুই বা কার্যকর হয়ে থাকে !প্রকৃতি আমাদের এমন কিছু উপাদান দিয়েছে যা এই সমস্যারও সমাধানে কার্যকরী। আজকে আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো এমনই একটি পদ্ধতির যা আপনার ত্বকের বয়স কমিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, প্রকৃতি আমাদের জন্য এতো অসাধারণ সমাধান রেখেছে। চলুন তাহলে শিখে নেয়া যাক এমন একটি জাদুকরী পদ্ধতি যা আপনার ত্বকের বয়স কমিয়ে দেবে।

সারা বিশ্বের সুন্দরী নারীদের মধ্যে জাপানিজরা অন্যতম। নিখুঁত, তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য তারা সারাবিশ্বে সমাদৃত। এমনকি কোন এক জাদুকরী কৌশলে তারা ত্বকের বলিরেখা পড়া রোধ করতে সক্ষম হয়েছে! তাদের এই তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের রহস্যটি কি? এক্সফলিয়েট, লেজার ট্রিটমেন্ট নাকি কোন বিউটি ট্রিটমেন্ট? তাদের এই সৌন্দর্যের সকল রহস্য নিহিত আছে একটি মাত্র সাধারণ উপকরণে। আর তা হল ভাত! কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই তারা ত্বক এবং চুলের যত্নে ভাত ব্যবহার করে থাকেন। ভাতের মাড় দিয়ে তারা চুল ধুয়ে থাকেন, চুল নরম, কোমল সুন্দর করার জন্য। ত্বকের বলিরেখা রোধ করার জন্য এমনি এক ভাতের প্যাক ব্যবহার করে থাকেন তারা।
যা যা লাগবে:
  • ২-৩ টেবিল চামচ সিদ্ধ ভাত
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টেবিল চামচ দুধ
যেভাবে তৈরি করবেন:
১। প্রথমে ৩ কাপ ঠান্ডা পানিতে চাল ধুয়ে সিদ্ধ মাঝারি আঁচে সিদ্ধ করতে দিন। চাল সিদ্ধ হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
২। এবার ভাত ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে চটকে নিন। এর সাথে গরম দুধ এবং মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।
৩। এখন প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে নিন।
৪। ৩০- ৪০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ভাতের মাড় দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৫। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

টিপস:
১। এই ভাতের মাড় ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন ৪ দিন পর্যন্ত। এছাড়া বরফ তৈরি করে নিতে পারেন ভাতের মাড় দিয়ে। এই বরফ দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
ভাবছেন এই পদ্ধতিটি কীভাবে কমাবে ত্বকের বয়স? চলুন তাহলে জানিয়ে দিই এই ফেসমাস্কটির কার্যকারণ :

* চালের মধ্যে রয়েছে ত্বকের ক্ষতিপূরণের অসাধারণ গুণ যা ত্বকের কোলাজেন টিস্যুর ক্ষতি পূরণ করে দিতে সক্ষম। চালের লিনোলেইক এসিড এবং স্কোয়ালেন নামক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষতি পূরণ করে এবং কোলাজেন টিস্যুর সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে।

* স্কোয়ালেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি ত্বক থেকে সূর্যরশ্মির মাধ্যমে হওয়া ক্ষতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং ত্বকে সূর্যরশ্মির কারণে পড়া রিংকেল দূর করতেও সহায়তা করে।

* চাল ত্বকের সার্বিক উন্নতিতে বিশেষভাবে কার্যকরী যার ফলে ত্বকের বয়সের ছাপ, রিংকেল এবং কোলাজেন টিস্যুর ক্ষতি পূরণ করে খুবই দ্রুত। এছাড়াও মধু ও দুধের গুণাগুণ তো রয়েছেই। আর একারণেই ত্বকের বয়স কমিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে এই মাস্কটি।

বুধবার, ৬ মে, ২০২০

যেভাবে গাজর খেলে ওজন কমবে


শীতের সবজি হলেও কম-বেশি সারা বছরই দেখা মেলে গাজরের। আর এই গাজর দিয়েই চটজলদি কমিয়ে ফেলা যায় শরীরের মেদ। পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রাম গাজরে শর্করা রয়েছে ১০.৬ গ্রাম মতো। তুলনায় ফ্যাটের পরিমাণ প্রায় নেই বললেই চলে, মাত্র ০.২ গ্রাম। কাজেই নিত্য খাদ্যতালিকায় গাজর রাখলে মেদ ঝরবে। প্রতিদিন একইভাবে খেলে অরুচি চলে আসতে পারে। তাই চেনা স্বাদেই নিয়ে আসতে পারেন ভিন্নতা-

গাজরের সালাদ: শশা, গাজর, টমেটো, পেঁয়াজ দিয়ে স্যালাড তো বানান, দ্রুত ওজন কমাতে সেই সালাদেই বাড়িয়ে দিন গাজরের পরিমাণ। অনেকটা গাজর কুঁচিয়ে লেবুর রস ও গোলমরিচ ছড়িয়ে নিয়মিত খান। তবে স্বাদ বাড়াতে সালাদে মাখন, মেয়োনিজ বা তেল মেশাবেন না।

গাজরের স্যুপ: গাজর সিদ্ধ করে তা দিয়ে স্যুপ বানিয়ে ফেলুন। হালকা গোলমরিচ, অল্প মাখন যোগ করে এই স্যুপ দিয়ে পেট ভরান দুপুরে বা রাতে। পেট ভরাতে এর সঙ্গে অন্য সবজিও যোগ করতে পারেন।

গাজরের হালুয়া: সাধারণ উপায়ে যেভাবে গাজরের সুজি বা হালুয়া বানান, সে ভাবে না বানিয়ে বরং মাখন, চিনি, বাদাম ছাড়া হালুয়া বানান। চিনি ছাড়া হালুয়া খেতে অসুবিধা হলে লবণ ও মরিচ মেশানো ঝাল সুজির নিয়মেও বানিয়ে ফেলতে পারেন এই হালুয়া। তেলও দিন একেবারে নামমাত্র।

মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০

বয়সের ছাপ মুছে ফেলতে সাতটি জাদুকরী ফেসপ্যাক

বয়স সবাই ধরে রাখতে চায়। কিন্তু বয়স কি ধরে রাখা যায়? আজ হোক বা কাল, বয়স বাড়বেই। আর বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রকৃতিকভাবে তার ছাপ চেহারায় পড়বেই পড়বে। চোখের নিচে ভাঁজ, বলি রেখা, ত্বক ঝুলে যাওয়া এগুলো বয়সের ছাপের লক্ষণ। তবে অল্প বয়সেই অনেকের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যায় আর এই ছাপ লুকানোর জন্য ব্যবহার করা হয় কত না এ্যান্টি এজিং প্রসাধনী। এসব ব্যবহারে আপনার উপকার হোক বা না হোক, তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিন্তু আপনার ত্বক ঠিকই ভোগ করে, যার ফলে ত্বকে দেখা যায় নানা সমস্যা। তাই আসুন, আজ জেনে নিই বয়সের ছাপ দূরে করার প্রাকৃতিক কিছু উপায়।

১) শসার প্যাক

শসাতে সিলিকা নামক একটি উপাদান আছে যা ত্বকের চামড়া ঝুলে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে । ৩ চা চামচ শসার পেষ্ট, ১ চা চামচ ডিমের সাদা অংশ, ২ চা চামচ লেবুর রস, ২ চা চামচ পুদিনা পাতার রস, পর্যাপ্ত পরিমাণে আপেলের পেষ্ট দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি সারা মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২) দুধ এবং কোকো পাউডার

২ টেবিলচামচ কোকো পাউডার এবং ১ টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। ভালোভাবে মুখে লাগান। শুকানোর জন্য ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধ এবং কোকো পাউডারের প্যাকটি ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বককে করবে মসৃণ এবং উজ্জ্বল।

৩) কলার প্যাক

কলাতে এমন কিছু উপাদান আছে যা বয়সের ছাপ দূর করে থাকে। মাঝারি আকারের একটি কলার পেষ্ট, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ ক্রিম দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে, ঘাড়ে ভালভাবে লাগান। ৩০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪) আলুর প্যাক

১ টি আলুর পেষ্ট, ২ টেবিল চা চামচ আপেলের পেষ্ট দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি ভালো ভাবে ঘাড়, মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বককে ন্যাচারাল গ্লো দেয় এবং নিস্তেজ ত্বককে উজ্জ্বল করে থাকে।

৫) ডিম এবং মধুর প্যাক

২ টেবিল চামচ ডিমের সাদা অংশ, ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে মেখে প্যাকটি শুকানোর জন্য ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পান দিয়ে মখ ধুয়ে ফেলুন। ডিমের গন্ধ দূর করার জন্য কয়েক ফোঁটা এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

৬) পেঁপে এবং টক দই

২ টেবিল চামচ পেঁপের পেষ্ট এবং ২ টেবিলচামচ টক দই মিশিয়ে একটি পেষ্ট তৈরি করে নিন। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পেঁপে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে থাকে।

৭) ওটমিল এবং মধুর প্যাক

সমপরিমাণ মধু এংব ওটমিল মিশিয়ে নিন। মুখে ভাল ভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।