বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৭

ত্বকের বলিরেখা দূর করতে ঘরোয়া ক্রিম

যা যা লাগবে:
১/৪ কাপ বিশুদ্ধ বাদাম তেল
২ টেবিল চামচ নারকেল তেল
২ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মোম
১/২ চা চামচ ভিটামিন ই অয়েল
১ টেবিল চামচ শিয়া বাটার
কয়েক ফোঁটা এসেন্সিয়াল অয়েল (ইচ্ছা)

যেভাবে তৈরি করবেন:
১। একটি পাত্রে সবগুলো উপাদান মিশিয়ে নিন।
২। এবার পাত্রটি ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত পানি দিয়ে ভরে ফেলুন।
৩। এখন পাত্রটি চুলায় জ্বাল হতে দিন যতক্ষণ পর্যন্ত না সবগুলো উপাদান গলে না যায়, ততক্ষণ জ্বাল দিন।
৪। মাঝে মাঝে এটি নাড়ুন।
৫। সবগুলো উপাদান ভালমত মিশে গেলে এটি চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
৬। ক্রিমটি রুম তাপমাত্রায় ঠান্ডা হওয়ার জন্য রাখুন।

যেভাবে ব্যবহার করবেন:
দিনে দুইবার সকাল এবং রাতে ব্যবহার করুন। ব্যবহারের আগে মুখে ধুয়ে নিবেন। ক্রিমটি ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন।
বাদাম তেল, নারকেল তেল, শিয়া বাটার প্রতিটি উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী। বাদাম তেল ত্বক নরম কোমল করে তোলে। নারকেল তেলের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ পরা রোধ করে। মোম এবং শিয়া বাটার উভয়ই অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে। যা ত্বকের বলিরেখা পরা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।

রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

রূপচর্চায় আলুর অসাধারণ ১৭টি ব্যবহার

সৌন্দর্যবর্ধনে আলুর ১৭টি দারুণ ব্যবহারের কথা।

১. চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে হলে আলু কেটে সেখানে লাগিয়ে রাখুন।

২. চোখের ফোলা ভাব দূর করতে হলে আলু চাকতি করে কেটে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। বেশ আরামও পাবেন চোখে।

৩. লেবু রস ও আলু ছেঁচে তার রস মিশিয়ে মুখের লাগান। কালো দাগ black spot দূর হয়ে যাবে।

৪. আলুর রস পুরো মুখে লাগান। ব্রন pimple নিরাময়ে ভালো কাজ দেবে।

৫. মাঝারি সাইজের আস্ত একটি আলু ছেঁচে তাতে একটি লেবুর রস Lemon juice মিশিয়ে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সুস্থতা ফিরে পাবে।

৬. একটি আলু ও একটি শসা Cucumber একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও এক টেবিল চামচ পানি মেশান। এটি একটি দারুণ ক্লিনজার হিসেবে কাজ করবে।

৭. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। তৈলাক্ত ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব দূর হবে।

৮. একটি আলু ছেঁচে তাতে এক টেবিল চামচ দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকের বলিরেখা Skin balirekha দূর করবে।

৯. ত্বকের ওপরে হালকা জখম হলে তাতে আলু পাতলা করে কেটে লাগিয়ে রাখুন। প্রদাহ কমে যাবে। তবে বেশি ক্ষততে লাগাবেন না।

১০. একটি ডিমের সাদা অংশ এবং আলু ছেঁচে তার রস নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। একটি ব্রাশ দিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মাস্কের কাজ করে।

১১. আলু potato ছেঁচে তার রসে একটি টিস্যু বা পেপার টাওয়েল ভিজিয়ে নিয়ে ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এটি একটি উপকারী আলুর ফেস মাস্ক।

১২. আলুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু honey মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ময়েশ্চারের অভাব দূর হবে।

১৩. অতিবেগুনী রশ্মিতে ত্বক পুড়ে গেলে আলুর স্লাইস দারুণ কাজে দেয়।

১৪. হালকা চুলকানি, লালচে ভাব হওয়া এবং পোকা-মাকড়ের কামড়ে আলু কেটে লাগালে যন্ত্রণা প্রশমিত হবে।

১৫. রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে dry hair আলু ছেঁচে তার রস লাগালে তা চুলের ময়েশ্চারের কাজ করে।

১৬. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। শুষ্ক ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব চলে আসবে।

১৭. কয়েকটি আলু সেদ্ধ করুন। খোসা ছাড়িয়ে এক ঘণ্টা ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার শুষ্ক চুলে এগুলো ঘষতে থাকুন। ধূসর চুলগুলো চকচকে হয়ে উঠবে।

শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৭

প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের গর্ত নির্মূল করুন

০১. ভিটামিন ই তেলঃ
ব্রনের গর্তের দাগ সারানোর জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর সমাধান হচ্ছে ভিটামিন ই তেল। এটি ব্রণের গর্তে যাদুর মত কাজ করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ভিটামিন ই তেলের ব্যবহারে আপনার মুখমন্ডল হয়ে উঠবে দাগহীন,উজ্জ্বল। এটি ব্রণের কালো দাগ সারাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন ই তেল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আর না পেলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করুন। প্রথমে সমস্ত মুখ মন্ডল তেল মুক্ত ফেস ওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করে নিন । আরপর একটা পরিষ্কার পিন বা সূঁচ এর সাহায্যে ক্যাপসুলটি ফুটো করে তেল নিঃসরন করুন।  তারপর পরিষ্কার হাত দিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। খুব বেশি তৈলাক্ত ত্বক হলে লাগানোর আধ ঘণ্টা পর টিস্যু পেপার দিয়ে অতিরিক্ত তেল চেপে চেপে তুলে নিন। নয়ত সারা রাত লাগিয়ে রাখতে পারেন। সমস্যা খুব বেশি না হলে সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে করুন।

০২. লেবুঃ
লেবু সাইট্রিক এসিদের খুব ভাল উৎস। সাইট্রাস এসিড স্কার সারাতে অনবদ্য। কয়েক গ্লাস লেবুর শরবত পান করলে তার সাইট্রিক উপাদান আপনার দেহের ভেতর থেকে মরা কোষ সারিয়ে ত্বকের রঙ হালকা করতে সাহায্য করে। একটি মাঝারি আকারের লেবুর রস সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে মুখে ঘষুনএতে গর্তের দাগ হালকা হবে। সময়ের সাথে সাথে আপনি পাবেন দাগ মুক্ত ত্বক।

০৩. অ্যালোভেরা জেলঃ
অ্যালোভেরা জেল প্রকৃতির আশীর্বাদ স্বরূপ। এই একটা উপাদান ত্বকের নানা রকম সমস্যা থেকে মু্ক্তি দেয়। টাটকা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন । এখন বিভিন্ন সুপার শপ গুলোতে অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। সেখান থেকে কাঁচা অ্যালোভেরা কিনে জেল বের করে নিতে হবে। বাইরে থেকে কিনতে না চাইলে নিজের টবেও লাগাতে পারেন  অ্যালোভেরা। প্রথমেই একটি আস্ত অ্যালোভেরা নিয়ে সেটিকে ছুঁরির সাহায্যে যে কোন এক দিক থেকে কাটুন। কাটলেই দেখবেন ভেতরে স্বচছ্ব  জ়েলীর মত উপাদান, এটি ব্যবহার করুন। দিনে যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে দেবে বিরক্তিকর ব্রণের গর্তের দাগ থেকে মুক্তি।

০৪. টমেটোঃ
টমেটোতে আছে ভিটামিন এ; যা সেবামের অতিরিক্ত ক্রীয়া বন্ধ করতে সক্রিয় ভূ্মিকা রাখে এবং ব্রণ ও ব্রণের দাগ দুটোই সারিয়ে তোলে। তাছাড়া এতে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ক্ষয়-ক্ষতি সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে। মাঝারি আকারের টাটকা  টমেটো নিন। একে সমান ২ ভাগে ভাগ করুন। এবার দুই গালে প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং তারপর ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ম্যাসাজ করুন। এতে যেমন গর্তের দাগ হালকা হবে, তদুপুরি রোদে পোড়া ভাব-ও কমবে। তাছাড়া এটি অনেক ভালো মেক-আপ রিমুভারের কাজ-ও করে থাকে ।

০৫. অলিভ ওয়েলঃ
অলিভ ওয়েল একটি জাদুকরী উপাদান। এটি শুধু খাদ্যদ্রব্যই সুস্বাদু করে না, এটি ত্বক পরিচর্যায় ও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক্সট্রা ভারজিন অলিভ ওয়েল দ্রুত ব্রনের গর্ত সারাতে সাহায্য করে। অলিভ ওয়েলের ময়েশ্চারাইজিং গুণাগুণের কারণে এটি দ্রুত ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং গর্ত সারাতে সাহায্য করে। অল্প পরিমাণে অলিভ ওয়েল নিয়ে মুখ মন্ডলে মালিশ করুন এবং ভালো ফল পেতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন ।

০৬. মধুঃ
মধু একটি পরিচিত প্রাকৃতিক প্রসাধনী। প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চার জন্য মধুর ব্যবহার প্রচলিত। মধুর মিষ্টতা খাবার হিসাবেও খুব ভালো। ফ্যাট কম থাকায় এটি আপনাকে ফিট থাকতে যেমন সাহায্য করে তেমনি নিয়মিত ব্যবহারে সারিয়ে তোলে ব্রণের গর্তের দাগ।

০৭. বরফ কুচিঃ
বরফ কুচির ব্যবহারে ব্রণের গর্ত হালকা হওয়াটা অনেকটা পরীক্ষীত। অনেকেই আছে ঘরে বসে স্কার সারানোর জন্য বরফ কুচি ব্যবহার করে থাকেন। পাতলা কাপড় বা তুলোতে একটা বরফের টু্করো নিয়ে গর্তের জায়গায় ১৫-২০ মিনিট ঘষে লাগান। এতে ত্বকে আরামদায়ক অনুভুতির পাশাপাশি সারিয়ে দেবে গর্তের দাগ।

০৮. ফেস প্যাকঃ
ব্রণের গর্ত সারাতে আপনার ফেস প্যাকে মেশান বেসন, টকদই ও শশার রস। এটি আপনার ত্বককে রাখবে দাগহীন, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
ব্রণ ও ব্রণের গর্ত সারাতে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে খাওয়া দাওয়া এবং জীবন যাত্রা যেন সুস্থ ও পরিকল্পিত হয়। সঠিক ঘুম, খাওয়া  ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই পারে ব্রণ মুক্ত রাখতে। এতে ত্বকের অন্য্যন্য সমস্যা থেকেও পরিত্রাণ মেলে।

শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭

ত্বককে উজ্জ্বল করুন ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর করে

যা যা লাগবেঃ
  • – ১ টেবিল চামচ দুধের সর
  • – ২ টেবিল চামচ বেসন
  • – ২ চিমচি হলুদগুঁড়ো
  • – ৩ টেবিল চামচ গোলাপজল

পদ্ধতিঃ

– একটি বাটিতে সবকটি উপকরণ একসাথে মিশিয়ে মসৃণ ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে নিন।
– এরপর এই পেস্টটি হাতে ও মুখের ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
– ২ মিনিট রাখুন। কিছুটা শুকিয়ে এলে গোল গোল করে ঘুরিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করতে থাকুন মিশ্রণটি।
– ম্যাসাজ করতে করতে ১০-১২ মিনিট পর মিশ্রণটি আপনাআপনি উঠে চলে আসবে।
– একই ভাবে ঘুরিয়ে ত্বক ম্যাসাজের মাধ্যমে হাত ও মুখের ত্বক থেকে মাস্কটি তুলে নিন।
– ত্বক থেকে মাস্কটি তুলে নিয়ে ২ ঘণ্টা পর মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
– ভালো ফলাফলের জন্য ২৪ ঘণ্টা কোনো ধরণের সাবান বা কসমেটিকস ব্যবহার করবেন না।

সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭

সুন্দর ত্বক পেতে প্রতিদিনের রূপচর্চায় ব্যবহার করুন প্যাকগুলি

১। পাকা কলা

কলা প্রায় সকলের বাসায় থাকে। এই কলা দিয়ে করে ফেলতে পারেন আজকের রূপচর্চাটি। একটি পাকা কলার সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে নিন। ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ কলা ত্বকের কালো দাগ দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে দেয়।

২। শসা

এক টেবিল চামচ শসার রস, এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো, এক চাচামচ গ্লিসারিন( শুষ্ক ত্বকের জন্য) মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্র ত্বকের জন্য কার্যকরী একটি প্যাক।

৩। মধু এবং লেবুর রস

মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে লোমকূপের ছিদ্রগুলো ছোট করে দেয়। যারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান, এটি ব্যবহার করতে পারেন।

৪। বেসন

এক টেবিল চামচ বেসন, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক চাচামচ হলুদ গুঁড়ো এবং গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে ম্যাসাজ করে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকের কালো দাগ দূর করে থাকে এই প্যাকটি।

৫। স্ট্রবেরি

ত্বকের বলিরেখা রিংকেল দূর করতে স্ট্রবেরি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। স্ট্রবেরি ম্যাশ করে সরাসরি ত্বকে লাগিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া স্ট্রবেরির সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। প্রথমে এটি ত্বকে কিছুটা চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। কিছুক্ষণ পর তা চলে যায়। ভাল ফল পেতে সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।

শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

ত্বকের যত্নে টকদইের ফেস প্যাক

১। স্কিন হোয়াইটেনিং ইয়োগারট ফেস প্যাক-
এই ফেস প্যাক রেগুলার ব্যবহার করলে ত্বক খুব দ্রুত উজ্জ্বল হবে। সাথে সাথে ত্বকের ব্রণ সহ অন্যান্য দাগ ছোপ হালকা হয়ে যাবে। সব ধরনের ত্বকের অধিকারীরাই এই প্যাকটা ব্যবহার করতে পারবে।
কী কী লাগবে-
  • ১ টেবিলচামচ তাজা টকদই
  • ১ চাচামচ লেবুর রস
  • আধা চা চামচ মধু
কী করবেন-
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট সমান ভাবে মুখ ঘাড় আর গলায় লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর উষ্ম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
২। ইয়োগারট ডি- ট্যানিং ফেস প্যাক-
এই প্যাকটাও সবাই ব্যবহার করতে পারবেন। সমস্যা বেশি হলে ( ত্বক খুব বেশি রোদে পুড়ে গেলে ) প্রত্যেকদিন ব্যবহার করলে খুব দ্রুত ফল পাবেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটা খুবই উপকারী, আর যারা প্রথম প্যাকটা ব্যবহার করতে পারবেননা ত্বকের সেন্সিটিভিটির জন্য তারাও এটা ব্যবহার করতে পারেন।
কী কী লাগবে-
  • টমেটো অর্ধেক করে কাটা
  • ১ টেবিল চামচ টক দই
  • এক চিমটি চিনি
কী করবেন-
কাটা টমেটোর টুকরার উপর চিনির গুঁড়া ছড়িয়ে নিন। এবার এটার উপরে টক দই নিন। এবার এই টমেটোর টুকরা রোদে পোড়া ত্বকে হালকা করে ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের ডেডসেলস উঠে আসবে। চিনির দানা গলে গেলে ফেস প্যাক মুখে আরও ১০ মিনিট রেখে পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
৩। মিণ্ট ইয়োগারট ফেস প্যাক-
এই প্যাক তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই রিফ্রেসিং আর উপকারী হবে। ত্বকে হালকা হোয়াইটহেড যাদের আছে তারা এই প্যাক ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন। এছাড়া গরমের এই সময়ে পুদিনা পাতার ঠাণ্ডা ভাবে সবাই অনেক রিলাক্সড হয়ে যাবেন।
কী কী লাগবে-
  • আধা চা চামচ পুদিনা পাতা বাটা
( আমি একদম মিহি পেস্ট করি না। একটু দানা দানা থাকলে ফেস প্যাক ধোয়ার সময় স্কিনটা একটু স্ক্রাব করা হয়)
  • এক টেবিল চামচ টকদই
  • ত্বক খুব অয়েলি হলে ১ চা চামচ মুলতানি মাটি মেশাতে পারেন
কী করবেন-
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে হালকা সবুজ রঙের পেস্ট তৈরি করুন। ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বকের ছোট ছোট ব্রণ আর হোয়াইটহেড আর দেখাই যাচ্ছে না।
৪। স্কিন হোয়াইটেনিং প্যাক (২)
এবারের প্যাক টাও সব ধরনের ত্বকের অধিকারীরা ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের জন্য একটু বেশি ভালো হবে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল আর পিগমেনটেশন দূর হবে।
কী কী লাগবে-
  • এক চা চামচ কমলার রস
  • ১ টেবিল চামচ টকদই
কী করবেন-
কমলার রস আর টকদই মিশিয়ে ত্বকে হালকা ম্যাসাজ করে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রাখুন এরপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন রাতে ব্যবহার করুন।
৫। স্যাফরন ইয়োগারট ফেস প্যাক-
ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতে আর সোনালি আভা দিতে এই ফেসপ্যাকটির কোন জুরি নেই। কিন্তু এটা শেষে রাখলাম আমাদের দেশে জাফরান(স্যাফরন) খুবি দুর্লভ হবার কারণে। কিন্তু যারা আসল জাফরান সংগ্রহ করতে পারবেন তাদের গ্যারানটি দিয়ে বলতে পারব রেগুলার এই ফেস প্যাক বাবহারে আপনি অবশ্যই পাবেন উজ্জ্বল মসৃণ ত্বক। সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যাবে এই প্যাক।
কী কী লাগবে-
  • জাফরানের ৪-৫ টা কেশর
  • ১ টেবিল চামচ টক দই
  • ১ চা চামচ বেসন
কী করবেন-
টক দইয়ের মধ্যে জাফরানের কেশর মিশিয়ে সারারাত ফ্রিজে রেখে দিন। পরদিন দেখবেন জাফরান রঙ ছেড়ে দইয়ে খুব সুন্দর একটা হলদে টোন নিয়ে এসেছে। এই দইয়ের মধ্যে বেসন মিশান। এবার এই পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। যখন প্যাক শুকিয়ে আসবে তখন ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। জাফরান যতদিন ত্বকে ব্যবহার করবেন ততদিন ভালো ফলাফলের জন্য অতিরিক্ত রোদে যাবেন না বা গেলেও ছাতা ব্যবহার করবেন। এতে অল্প সময়ে খুব ভালো ফল পাবেন।

বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৭

ত্বক ও চুলের যত্নে মেথির উপকারিতা

১। খুশকি দূর করে

চুলের একটি সাধারণ সমস্যা হচ্ছে খুশকি যা মাথার তালুর মরা চামড়ার কারণে হয়। আপনি যদি অ্যান্টি-ডেন্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে ক্লান্ত হয়ে থাকেন তাহলে প্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহার করার এখনই সময়। আর সেই প্রাকৃতিক শক্তি হচ্ছে মেথি। মেথি বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন নরম হওয়ার জন্য। সকালে নরম মেথি বীজ পিষে পেস্ট করে নিন। ভালো ফল পেতে মেথির পেস্টের সাথে টকদই মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগান। ৩০ মিনিট পরে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং খুশকিকে বিদায় বলুন।

২। ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করে

মেথি বীজ ব্রণের বিস্তারকে প্রতিরোধ করে এবং ব্ল্যাকহেডস দূর করতেও সাহায্য করে। ত্বকের এপিডারমিস স্তরে জড়ো হওয়া বিষাক্ত উপাদানকে বাহির করে দেয়। এছাড়াও ব্রণের দাগকে হালকা করতে এবং পোড়াদাগ দূর করতেও সাহায্য করে মেথি বীজ। মেথি বীজের পেস্টের সাথে মধু যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখের ব্রণের উপর লাগিয়ে সারারাত রাখুন এবং সকালে কুসুম গরম পানি দেয়ে ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিনের মধ্যেই পার্থক্য দেখতে পাবেন।

৩। ওজন কমতে কার্যকরী

মেথি বীজে ফাইবার থাকে যা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। খালি পেটে মেথি বীজ চিবালে ক্ষুধা কমে। এছাড়াও ২ গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ মেথি বীজ ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। এই মেথি ভেজানো পানি পান করলে শরীরে পানি জমা বা পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করে।

৪। দীপ্তিময় ত্বক পেতে সাহায্য করে

মেথি বীজ শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে যা রিঙ্কেল, ফাইন লাইন এবং ডার্ক স্পটের মত ফেসিয়াল প্রবলেমের জন্য দায়ী। মেথি বীজ স্কিনটোন হালকা হতে সাহায্য করে। মেথির পেস্ট, মেথি ভেজানো পানি, বেসন এবং দই এর ফেসপ্যাক ত্বকের মরা চামড়া ও ডার্ক সার্কেল দূর করতে সাহায্য করে।

৫। পরিপাকে সাহায্য করে

বুক জ্বালাপোড়া করা ও পরিপাকের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী প্রতিকার হচ্ছে মেথি বীজ খাওয়া। মেথির পেস্টের সাথে আদা কুঁচি মিশিয়ে খাওয়ার পূর্বে ১ টেবিল চামচ করে খান।

৬। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

মেথি বীজ রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মেথির এমাইনো এসিড অগ্নাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকে উৎসাহিত করে যা ব্লাড সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। মেথি বীজ খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঘটায় বলে গবেষণায় জানা যায়।
এছাড়াও জাদুকরী গুণের অধিকারী মেথি বীজ খেলে কিডনি পাথর প্রস্রাবের মাধ্যমে বাহির হয়ে যায়, জ্বর কমতে সাহায্য করে মেথি বীজ এবং মেয়েলি সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে মেথি বীজ।

মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭

লাবণ্যময় ত্বকের যত্নে মধুর ফেস প্যাক


মধু ও লবণ

মধু ও লবণ একসাথে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসেজ করুন লবণ না গলে যাওয়া পর্যন্ত। এই প্যাকটি আপনার ত্বককে নরম করবে।

মধু ও চিনি

৩ চামচ মধুর সাথে ২/৩ চামচ চিনি মিশিয়ে নিন তারপর মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ম্যাসেজ করুন এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মধু ও লেবু

পরিমাণ মতো মধু নিয়ে তাতে সামান্য পরিমানের লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন তারপর এই প্যাকটি লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। মধু ও লেবুর মিশ্রন ত্বকের বলিরেখা ও ব্রন রোধ করে।

মধু ও চন্দনগুঁড়ো

একটি কাপে ১/২ চামচ মধু নিয়ে তার সাথে ৪ চামচ চন্দনগুঁড়ো মিশিয়ে ভারী পেস্ট অইরি করুন। এই পেস্টটি পুরো মুখে লাগিয়ে নিন চাইলে গলায়, ঘাড়েও লাগাতে পারেন। না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক আপনার ত্বক নরম ও উজ্জ্বল করবে।

মধু ও টমেটো

টমেটো পেস্ট এর সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

মধু ও বেসন

১/২ চামচ বেসনের সাথে মধু মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। মুখে লাগিয়ে পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর সামান্য পানি দিয়ে ত্বক ভিজিয়ে স্ক্রাব করুন তারপর পুরো মুখ ধুয়ে ফেলুন।