শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২

পোশাকের রঙয়ের কথা যে কারণে মাথায় রাখবেন

কেন পোশাকের রঙয়ের কথা মাথায় রাখবেন-

১. ফ্যামিলি পার্টিতে একটু তুলনামূলক উজ্জ্বল রঙের পোশাকই আপনাকে বেশি ভাল মানাবে। গ্রীষ্ম কালে রাতে অনুষ্ঠান থাকলে হালকা রঙের পোশাক আপনারে বেশি ভাল মানাবে। এক্ষেত্রে হালকা মেরুণ, গাঢ় আকাশী, ম্যাজেন্ডা, সিলভার, বটল গ্রিন, ডিপ পিঙ্ক রঙের পোশাক এক্ষেত্রে পরতে পারেন।

২. বাইরে বেড়াতে গেলে সাধারণত সেখানে অবশ্যই বেশ কিছুদিন কাটাবেন। তাই এক্ষেত্রে একেবারে হালকা রঙের পোষাকই সবচেয়ে উপযোগী। এছাড়াও বাইরে ঘুরতে বেড়িয়ে যদি হালকা রঙের পোশাক পরেন তবে এতে আপনাকে অনেক সতেজ ও প্রাণবন্ত বলে মনে হবে।

৩. অফিস যাওয়া মানেই যাতায়ের ঝক্কি। তাই এক্ষেত্রেও হালকা রঙের পোশাকই ভাল। কারণ গরম আবহাওয়া আপনাকে বিধ্বস্ত করে তুলতে পারে৷ সেক্ষেত্রে সাদা, আকাশী, ঘিরে, হালকা গোলাপী, ইত্যাদি রঙকে বেশি প্রাধান্য দিন৷ অফিসে ফরমাল পোশাক পরতে হলেও সেক্ষেত্রেও এই রংগুলো হতে পারে আইডিয়াল।

৪. কলেজ ক্যামপাস মানেই ছাত্র ছাত্রীদের ফরমাল পোশাক পরতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যাম্পাসে সময় থাকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। তাই হালকা রঙের পোশাক পরলে এক্ষত্রে আপনাকে যেমন মানাবে তেমনই আপনি আরামও বোধ করবেন। এক্ষেত্রে হালকা সবুজ,সাদা, ছাই, গোলাপী, ঘিরে রঙের পোশাক পড়তে পারেন৷ হালকা রঙের পোশাক পরলে গরম আবহাওয়া হলেও আপনার গরমে অস্বস্তি কম অনুভব হবে।

৫. তরুণ প্রজন্মের কাছে আড্ডা মারা মানেই একটি উৎসবের মত।  কিন্তু আড্ডা মূলত সন্ধ্যাবেলাতেই জমে। তাই সেক্ষেত্রে একটু উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরা যেতেই পারে। তবে সাদা বা ক্রিম রঙও হতে পারে আইডিয়াল। এছাড়াও তুতে, হলুদ, হালকা সবুজ, বাদামী রঙের পোশাক বেশ ভাল মানায়।

অন্যান্য টিপস:
১. গায়ের রং, উচ্চতা ও ওজনের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরুন।

২. অনেকের থাই মোটা হতে পারে সেক্ষেত্রে টাইট সেলোয়ার না পরে পাতিয়ালা ব্যবহার করতে পারেন৷ লেগিংস এড়িয়ে চলতে পারেন।

৩. যাদের হাত মোটা তারা হাতা লং বা থ্রি কোয়ার্টার স্লিভ জামা পড়ুন। স্লিভ লেস বা ছোট হাতা একেবারেই পরবেন না।

৪. আপনার শরীরের গড়ন মোটা হলে শাড়িতে কুঁচি কম দিয়ে আঁচল বড় রাখুন। চেহারা স্লিম হলে শাড়িতে সরু করে অনেকগুলো কুঁচি দিয়ে পরুন।

৫. যারা মোটা তারা ব্লাউজের ক্ষেত্রে ছোট প্রিন্ট বা স্ট্রেট চেক কাটের থ্রি-কোয়ার্টার ব্লাউজ পরুন।

৬. যাদের কাঁধ চওড়া তারা ব্লাউজ বা চুড়িদারে ভি শেপের গলা দিতে পারেন। এতে আপনাকে বেশি মোটা বলে মনে হবে না।

শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২

মধু-পানি পানের স্বাস্থ্য উপকারিতা

১। ওজন হ্রাস করতে
ওজন কমাতে মধু পানি জাদুর মত কাজ করে।  প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এটি পান করুন। এর সাথে আপনি চাইলে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।

২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
প্রতিদিন এক গ্লাস মধু পানি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে সবল রাখে এবং যেকোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।

৩। অ্যালার্জি দূর করে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু পানি পানে দেহের পোলেন অংশগুলো যেখানে অ্যালার্জি রয়েছে সেসকল স্থানে এক ধরণের প্রতিরক্ষা পর্দা সৃষ্টি করে যা অ্যালার্জির যন্ত্রণা দূর করে দেয়।

৪। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
মধুতে এনজাইম আছে যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। যদি আপনার হজমে সমস্যা থাকে তবে খাওয়ার পর এক গ্লাস কুসুম গরম মধু পানি পান করুন, দেখবেন হজমের সমস্যা দূর হয়ে গেছে।

৫। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
দারুচিনি এবং মধুর মিশ্রণ হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এটি রক্তে কোলেস্টে্রলের মাত্রা ১০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু এবং এক চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।

৬। কোষ্টকাঠিন্য প্রতিরোধে
শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি সকালে খালি পেটে একবার এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার পান করুন। এটি আপনার কোষ্টকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

৭। এনার্জি বৃদ্ধিতে
দুর্বলতা অনুভব করছেন? তাহলে তাৎক্ষনিক এক গ্লাস মধু পানি পান করুন। শরীরে চিনির মাত্রা কমে গেলে দুর্বলতা অনুভব হয়। মধু পানি শরীরে পানির পরিমাণ বজায় রেখে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে।

বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২

বিয়ের পরে ওজন বেড়ে গেলে যা করবেন


বান্ধবীর বিয়ের কয়েক মাস পরে তার সঙ্গে দেখা। দেখে আর চিনতে পারছেন না। ফুলেফেঁপে যেন ঢোল। চিরকাল স্লিম ফিগারের বান্ধবীর এমন শারীরিক পরিবর্তন দেখে আপনি অবাক। এরকমটি হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু পুরুষের বাড়তি ওজন চোখে তেমন না পড়লেও স্ত্রীর ক্ষেত্রে হয় উল্টো।

হঠাৎ এই ওজন বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে শুরু করলে বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে আসবে। যেমন, বিয়ের পর মেয়েদের পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ওজন বাড়তে থাকে। কিছু নিয়ম মেনে চললেই বাড়তি ওজন আর স্থান পাবে না।
খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে খুব বেশি পরিবর্তন আনা চলবে না। সঠিক সময়ে প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে। একেকটি পরিবারে খাওয়ার সময় একেকরকম হয়। তাই লজ্জা না করে বিয়ের আগে দিনের যে সময়গুলোতে খেতেন, সেই সময়গুলোতেই খাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতের খাবার খুব বেশি দেরি করে না খাওয়াই ভালো।
ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। নতুন পরিবেশে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার প্রয়োজনীয় এনার্জি জোগান দেবে এই ভিটামিন বি।

শরীরে ক্যালসিয়াম কমে গেলে মোটা হয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা দেয়। সেই জন্য চা, কফি খাওয়া একটু কমিয়ে দেওয়াই ভালো।
ফিট থাকার নিয়ম মেনে না চললে অল্প কিছু দিনের মধ্যে আপনার চেহারায় বদল আসবেই। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, প্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট নিজের শরীরচর্চার জন্য বের করুন।
বিয়ের পর নানা জায়গায় পার্টি, খাওয়া-দাওয়া বা ঘোরাঘুরিটা অনেকটাই বেড়ে যায়। বলাই বাহুল্য যে অনিয়মও হয় প্রচুর। এই অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করতে জানতে হবে আপনাকেই।
একজন ডায়েটিশিয়ান দেখিয়ে ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিন এবং ঝটপট ওজন কমাতে সেটা মেনে চলুন।গৃহিণী হলে ঘরেই চেষ্টা করুন পরিশ্রমের কাজগুলো করতে, বসে থেকে আলসেমী ধরতে দেবেন না।

সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

ঘরোয়া গোল্ড ফেসিয়াল


*প্রথমে গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি গোল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করুন।

*তারপর গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব দিয়ে মুখের সব মরা কোষ দূর করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে স্ক্রাব করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

*এবার গোল্ড ক্রিম দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করুণ। হাতে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আছে গোল্ড ফয়েল, গোল্ড পাউডার, মধু, স্যাফ্রন, এলোভেরা আর চন্দন।

*এরপর ধীরে ধীরে গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করুন মাস্ক শুকানো পর্যন্ত।

*তারপর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে মাস্ক তুলে ফেলুন। মাস্কে বিদ্যমান হলুদ, গোল্ড ফয়েল, আর এলোভেরা আপনার ত্বকে এনে দেবে সোনালি আভা।

রবিবার, ১২ জুন, ২০২২

মুখের কালো দাগ দূর করতে রাতে ঘুমানোর আগে টিপস

কী ব্যবহার করবেন?

মুখের দাগ দূর করতে আমরা ব্যবহার করবো লেবু। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে সকল অ্যান্টি স্পট ফেয়ারনেস ক্রিম লেবুর কথা বলে। কারণ একটাই, লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। তবে লেবু এই রূপচর্চাটি কেবল রাতের বেলায় করতে হবে এই কারণে যে সূর্যের আলো আপনার ত্বকে রিঅ্যাকশন করতে পারে। রাতের বেলায় রূপচর্চাটি করলে সূর্যের আলো বা গরমে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং ত্বক সম্পূর্ণ ৮-১০ ঘণ্টা পাচ্ছে দাগ দূর করার জন্য।

কী করবেন?

দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন আপনি। যদি আপনার ত্বক হয়ে থাকে স্বাভাবিক, তাহলে মাত্র ৫ মিনিটের একটি কাজ করতে হবে আপনাকে। যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ হয়ে থাকে, তাহলে সময় লাগবে ৩০ মিনিট।
  • -মুখ খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
  • -যদি স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে তাজা পাকা লেবুর রস (যে লেবু পেকে হলদে হয়ে গেছে, অর্থাৎ লেমন) সরাসরি মুখের কালো দাগে লাগিয়ে নিন। লেবুর রসের সাথে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। তারপর শুকাতে দিন। এবং লেবুর রস মুখে নিয়েই ঘুমিয়ে যান। স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বকে কোন সমস্যা হবে না। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • -আর যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ ত্বক হয়, তাহলে পাকা লেবুর রসের সাথে মুলতানি মাটি ও মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ধোয়া মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ মিলিয়ে যাবে।
টিপস-
ত্বকে লেবুর রস দেয়ার পর যদি কোন রকম অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে মুখে ধুয়ে ফেলুন এবং পুনরায় ব্যবহার করবেন না।

গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন যেভাবে নিবেন


বেশ গরম পড়েছে। এ সময় প্রচণ্ড তাপ ও ধুলোবালির কারণে ত্বকে তৈলাক্ত ভাবটা যেন বেশিই দেখা যায়। তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে যেখানে সেখানে যাওয়াটা  খুব বিরক্তিকর। তাই গরমে তৈলাক্ত ত্বক রক্ষা করতে প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। আর সেটি বাড়িতে বসেই প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব।
তাহলে খুব সহজেই তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় একুশে টিভি অনলাইনে দেওয়া হলো-

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন-
পানি আপনার ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে সাহায্য করে। ডাক্তারদের মতে, প্রতিদিন আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করা শরীরের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া মুখে ঘন ঘন পানির ঝাপটা দিন।

শশার রস-
তৈলাক্তভাব দূর করতে শসা খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে তৈলাক্তভাব অনেকটা দূর হবে।

কলা-
কলা ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করায় বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এজন্য একটা পাকা কলার পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এই পেস্ট রাতে লাগাতে পারেন।

লেবুর রস-
লেবুর রস তৈলাক্তভাব দূর করে। কয়েক ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামুচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

চালের গুঁড়া-
চালের গুঁড়াতে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। সপ্তাহে দুইদিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে।

গ্রিন টি-
ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করতে গ্রিন টি বেশ উপকারী। এই গ্রিন টি দিয়ে সহজেই একটি মাস্ক আপনি তৈরি করে নিতে পারেন মুখে মাখার জন্য। দুই টেবিল চামচ গ্রিন টির সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু ও এক চা চামচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। মুখে ২০ মিনিট রেখে দিন। ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি রাতে করা ভালো।