সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮

ঈদের আগে মলিন ত্বক সতেজ করার পরীক্ষিত উপায়


আয়নায় নিজেকে দেখে কখনও যদি মনে হয়ে আপনার ত্বক মলিন তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এটা হতেই পারে, শুধু মনের ক্লান্তিতেই নয়, দূষণ বা রোদের তাপে আর্দ্রতা হারিয়ে ত্বক মৃয়মান হয়ে যেতে পারে। আসুন জেনে নিই মলিন ত্বক সতেজ করার কয়েকটি পরীক্ষিত উপায়:

গ্রিন টি
আন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই পানীয় নিস্তেজ ও ক্লান্ত ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়াও ফোলাভাব কমায়, টোনারের মতো কাজ করে। ত্বক আর্দ্র রাখে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহাজ্য করে।
এক কাপ গ্রিন টি বোতলে ভরে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে ত্বকে লাবন্য আনতে এই পানীয় দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।


বরফ
ত্বকে বরফ ঘষলে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়। তাৎক্ষনিক সতেজ ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে দুটুকরা বরফ মুখে ঘষে নিন।

শসা
শসা ত্বক শীতল রাখে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও কাজ করে। একটি শসা ভালোভাবে ধুয়ে ছিলে নিয়ে টুকরা করে ব্লেন্ড করুন, এরপর মুখে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সতেজতা অনুভব করবেন।

বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮

রোজায় ত্বকের যত্নে কিছু টিপস


রোজা রাখার কারণে শরীরে পানির অভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বক প্রাণহীন ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এছাড়া বেশি ভাজা পোড়া খাবার খাওয়ার কারণে ত্বকে ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। এই সময়ে ত্বকের একটু যত্ন নিলে ত্বক থাকবে সতেজ ও সজীব। আজ আমরা পাঠকের জন্য তুলে ধরবো কিভাবে রোজায় ত্বকের যত্ন নিবেন।

রোজায় ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য রাসায়নিক কসমেটিক সামগ্রীর চেয়ে বেছে নিতে পারেন প্রাকৃতিক উপায়। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক এই সময়ে আপনার ত্বকের যত্নে ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। টমেটো, শসা, পেঁপে, কলা, লেবুর রস আর বরফ কুচি দিয়ে আপনি তৈরি করতে পারেন এই সকল প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক।

১. রমজানে নিয়মিত ত্বককে পরিষ্কার রাখতে ১ টেবিল চামচ পাকা পেঁপে ভালোভাবে চটকে নিয়ে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো গলায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২. পানিশূন্য ত্বকে নিয়মিত কাঠবাদাম বাটা, ঠাণ্ডা দুধ এবং গোলাপ জল দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক পানিশূন্য ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এটি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে ত্বককে রাখবে ঝলমলে।

৩. সপ্তাহে ৩ দিন ১ টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের গুঁড়ো ও ১ টেবিল চামচ চন্দন কাঠের গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের ব্রণ দূর কারার পাশাপাশি ব্রণের দাগ দূর করবে।

৪. যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক তারা টমেটো, কলা, শশা একসঙ্গে মিলিয়ে প্যাক তৈরি করে ইফতারের ঘণ্টাখানেক পর ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই প্যাকটি ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে।

যাদের ত্বক শুষ্ক তারা নিয়মিত ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক সজীব হবে।

যাদের ত্বক সাধারণ বা তৈলাক্ত তারা ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এছাড়া যাদের ত্বক শুষ্ক তারা অবশ্যই রমজান মাসে সব রকমের টোনার জাতীয় প্রসাধনী এড়িয়ে চলবেন। টোনার জাতীয় প্রসাধনী ত্বককে আরো শুষ্ক করে তোলে। রমজানে শরীরে পানিশূন্যতার অভাবে অনেকের ঠোঁট ফেটে যায়। যাদের ঠোঁট ফেটে যায় তারা রাতে ঘুমাবার আগে ঠোঁটে ভালো করে ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ঘুমাবেন। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচবার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ভালো রাখতে ইফতারিতে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার কম খেয়ে ঘরে তৈরি জুস খাবেন।

বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

তৈলাক্ত ত্বকে যে প্রসাধনীগুলো ব্যবহার করা ঠিক নয়


আপনার ত্বক তৈলাক্ত বলেই এর যত্ন নেয়াটা খুব কঠিন এটা ভাবা ঠিক নয়। বিভিন্ন রকম ত্বকের যত্ন ও বিভিন্ন রকম হয়। তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়াটা সহজ হতে পারে যদি আপনি সঠিক পণ্য ব্যবহার করেন ও ভুল পণ্য বর্জন করেন। আসুন জেনে নেই তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের সৌন্দর্যচর্চায় এড়িয়ে চলা উচিৎ যে বিষয়গুলো।

১। ক্লিঞ্জার
তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের সালফেট সমৃদ্ধ ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এই ধরণের ক্লিঞ্জার দিয়ে ঘন ঘন মুখ ধুলে র‍্যাশ হতে পারে। দিনে ২-৩ বার ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। কিন্তু এর চেয়ে বেশিবার ধোয়ার প্রয়োজন হলে শুধুমাত্র পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

২। টোনিং
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য টোনিং অত্যাবশ্যক নয়। যদি আপনার টোনিং ব্যবহার করার অভ্যাস থাকে তাহলে ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এর অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার ত্বকের ক্ষতি করে থাকে।

৩। ময়েশ্চারাইজার
দিল্লীর ডারমাটোলজিস্ট ডা. দীপালী ভরদ্বাজ বলেন, “তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের ভিটামিন ই ও প্যারাবেন সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার এড়িয়ে চলা উচিৎ, এর ব্যবহারে ব্রণ হতে পারে”। ওয়াটার বেইজড পণ্য ব্যবহার করুন। পেট্রোলিয়াম জেলী এড়িয়ে যাওয়া ভালো এমনকি শীতকালেও। শিয়া বাটার ব্যবহার করলে ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং ত্বককে আরো বেশি তৈলাক্ত করে তুলে।

৪। মেকআপ
ডা. শিরিসার মতে, আঠালো ফাউন্ডেশন ব্যবহার অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। এগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে তেল থাকে। ফলে এই ধরণের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে আপনার মুখটি একটি তেলের থালা মনে হবে। পাউডার বেইজড ব্লাশন ও আই শ্যাডো ব্যবহার করুন।


৫। ফেশিয়াল
খুব ঘন ঘন মুখ পরিষ্কার করলে মুখে যন্ত্রণা হতে পারে এবং মুখের ত্বকের ছিদ্রগুলো বড় হয় ও খুলে যায়। ক্রিম বেইজড ফেশিয়াল আপনার ত্বকের কোন উপকার করেনা। বরং জেল বেইজড ফেশিয়াল করুন।

টিপস :
· অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খান
· মেকাপের পূর্বে পাউডার প্রাইমার লাগিয়ে নিন
· ঘুমের সময় বালিশের উপর একটি পরিষ্কার তোয়ালে বিছিয়ে নিন যাতে মুখের অতিরিক্ত তেলটুকু শুষে নিতে পারে এবং বালিশের কভারটি পরিষ্কার থাকে।

রোজায় ত্বকের বিশেষ যত্ন


রমজানে সারাদিন রোজা রেখে ত্বক কিছুটা প্রাণহীন ও নিস্তেজ হয়ে পরে। পানির অভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। সিয়াম সাধনার পাশাপাশি এ সময় প্রয়োজন ত্বকের বিশেষ যত্নের। আপনাদের জন্য তাই রইলো রমজানে ত্বকের যত্নের বিশেষ কিছু টিপস্‌।

* পানি শূণ্যতার কারণে এসময় ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে প্রাণহীন ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। ময়শ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারেন। যাদের ত্বক সাধারণ বা তৈলাক্ত তারা ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। আর যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ওয়াক্স বা ইমোলিয়েন্ট সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এগুলো ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা যোগিয়ে ত্বক ফেটে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।

* রমজান মাসে সব রকমের টোনার জাতীয় প্রসাধন এড়িয়ে চলা উচিত। এই ধরণের প্রসাধনী বেশি ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়।

* এসময় ঠোঁট অনেক বেশি ফেটে যায়। রাতে ঘুমাবার আগে ঠোঁটে ভাল করে ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ঘুমাতে যাবেন। বেশি শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে হালকা গরম নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে লাগান।

* অ্যালমন্ড বা কাঠবাদাম বাটা, ঠাণ্ডা দুধ এবং গোলাপ জল দিয়ে তৈরি ফেস প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক পানিশূন্য ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।


* মুখের সাথে সাথে শরীরেরও যত্ন নিন। নিয়মিত ত্বকের উপযোগী ভাল কোন বডি লোশন ব্যবহার করুন।

* কড়া পারফিউম ব্যবহার না করে মিষ্টি সুবাসের হালকা রোজ ফ্রাগরেন্সের পারফিউম ব্যবহার করুন।

* রমজানে হালকা মেকাপের মাঝে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখুন। ঘর থেকে বের হবার আগে সামান্য কনসিলার, কমপ্যাক্ট পাউডার লাগান। রোজায় ঠোঁটে কোন প্রসাধনী না লাগানোই ভাল।

* চোখে ব্রাউন বা ন্যাচারাল শেইডের কোন আই শ্যাডো লাগান। কাজল লাগান এবং কাল বা ব্রাউন কোন পেন্সিল লাইনার দিয়ে চোখ এঁকে নিন।

* ইফতার থেকে সেহরির সময় পর্যন্ত প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। ভাজা পোড়া যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। ত্বকের যত্নে পানি, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের কোন বিকল্প নেই।

সোমবার, ২১ মে, ২০১৮

যে কারণে বৃষ্টির এই সময়টা পায়ের ত্বকের যত্ন নিতে হয় বেশি


প্রতি মৌসুমেই ত্বকের আলাদা রকম যত্ন দরকার। কখনো শুষ্কতা কেড়ে নেয় ত্বকের কোমলতা, কখনো গরমে পড়ে কালো ছোপ। বিশেষ করে বৃষ্টির এই সময়টা পায়ের ত্বকের যত্ন নিতে হয় বেশি। কেননা, এ সময় পা জোড়ার ওপর দিয়েই বেশি ধকল যায়। রাস্তার নোংরা পানি, কাদা এমন অনেক কিছুর ওপর দিয়েই চলতে হয়। আর যখন-তখন বৃষ্টির পানিতে ভেজা তো আছেই। জেনে নিন পায়ের যত্নে কী করা উচিত এই সময়ে।
হাত ও মুখ ধোয়ার মতো প্রতিদিন পায়ের যত্ন নেওয়া জরুরি। গোসলের সময়ই ব্রাশ ব্যবহার করে পা ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয় রূপবিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পা ধুয়ে লোশন, তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখুন। এ ধরনের যত্নগুলো প্রতিদিন নিলে পায়ের ত্বকের সমস্যা কমে আসবে অনেকটা।
রূপবিশেষজ্ঞরা জানান, এ সময়টায় পায়ে ফুসকুড়ি পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল। এ ক্ষেত্রে পায়ে মোম লাগিয়ে পেডিকিওর করার পদ্ধতিটা আরাম দেবে। বর্ষার সময় ১৫ দিন পরপর পেডিকিওর করানো উচিত। বাড়িতে সপ্তাহে দুই দিন স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। চালের গুঁড়ার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। পায়ে র‍্যাশ ওঠার প্রবণতা থাকলে নিমপাতার পেস্ট যোগ করে নিন। উজ্জ্বলতা বাড়াতে চাইলে হলুদের গুঁড়া যোগ করে নিন স্ক্রাবের পেস্টে। বাড়িতে পেডিকিওর করার সময় হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ শ্যাম্পু এক গামলা পানিতে মিশিয়ে নিয়ে সেটাতেও পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন কিছুক্ষণ। চামড়া নরম হয়ে এলে ঝামা দিয়ে ঘষে নিন।
নখ পরিষ্কার করার সময় পুশার ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের বহুমূত্র রোগ আছে, তাঁরা কাঠের কাঠি ব্যবহার করুন। শাসলিকের কাঠির আগা ভেঙে নিয়েও এ কাজে লাগাতে পারেন। নখের ওপরের অংশ পরিষ্কার করার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। এরপর লেবুর টুকরা নিয়ে নখ ঘষলেই চকচকে ভাব চলে আসবে। পা জোড়াকে ভালোমতো ময়েশ্চার করতে সবার শেষে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে পারেন। এতে শুষ্কতা কমে আসবে অনেকখানি।

রবিবার, ১৩ মে, ২০১৮

চুলের যত্নে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ

(১) স্ক্যাল্প ম্যাসাজ ব্রেইনের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার ফলে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজায়।

(২) জীবনের বিভিন্ন সময় অনেক কঠিন হয়ে পড়ে আমাদের জন্য। দুশ্চিন্তা, কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি অনেক কারণেই ব্রেইন-এর রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়, ঘুম কম হয়, ব্যথা বাড়ে। তখন হালকা গরম তেল দিয়ে চুলের যত্নে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ খুব ভাল কাজে আসে। আপনি আরামবোধ এর পাশাপাশি অনেকটাই সতেজ অনুভব করবেন।



(৪) গরম তেল দিয়ে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করলে চুলের ফলিকল-গুলো রিল্যাক্স হয়। তালু এবং চুল যত শক্ত অনুভব হবে তত চুল পড়া বেড়ে যাবে।

(৫) স্ক্যাল্প ম্যাসাজ যদি ভালো মানসম্পন্ন তেল যেমন আমলকী, মেথি এবং অ্যালোভেরাযুক্ত অয়েল” দিয়ে হয় তাহলে তো চুলের স্বাস্থ্য নিয়ে আর চিন্তাই করার দরকার নেই কোন। আমলকী কিন্তু আমাদের হেয়ার রুট শক্ত ও মজবুত করে হেয়ারফল একদম কমিয়ে দেয়। আর মেথিতো চুলকে পরিপুষ্ট করে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে পটু, এ আমাদের সবার জানা! অপরদিকে ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে অ্যালোভেরার জুরি নেই। আর এই তিনটি উপাদানকে কম্বাইন করে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার হেয়ার অয়েল দিচ্ছে হেলদি হেয়ারের জন্য একটি পারফেক্ট সল্যুশন।
তাই হাতে যদি সময় না থাকে, তো ১-২ঘন্টা চুলে এই তেল রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেললেই হবে। নিয়মিত হেয়ার কেয়ারের মাধ্যমে ঝলমলে চুল নিশ্চিত করতে এই প্রসেস-টা খুবই ইফেক্টিভ।

(৬) প্রতিদিন তেল দেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সপ্তাহে অন্তত ২দিন তেল দেয়াটা চুলের জন্য উপকারি। তেল ছাড়াও প্রতিরাতে চুল ভালভাবে আঁচড়িয়ে উপুড় হয়ে ঘাড়-এর অংশ থেকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ আপনার চুল পড়া একেবারে কমিয়ে দিবে এবং চুলকে করবে আকর্ষণীয়।

(৭) সঠিক স্ক্যাল্প ম্যাসাজ চুলের খুশকি রোধ করে, পরিমিত ঘুমে সহায়তা করে এবং মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

(৮) যাদের থাইরয়েড-এর অসুবিধা আছে, তাদের এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে থাকে, সাথে শরীরের সঠিক তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

(৯) নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজ ডিপ্রেশনের সমস্যা দূর করে।

(১০) চোখের জন্য স্ক্যাল্প ম্যাসাজ এর তুলনা হয় না, হাইপারসেন্সিটিভিটি বা নার্ভাসনেস দূর করে।

(১১) যাদের মাইগ্রেইন বা মাথা ব্যথার অসুবিধা আছে, তাদের জন্য স্ক্যাল্প ম্যাসাজ বেশ কার্যকরী।