সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শ্যাম্পুর পর ঝলমলে সুন্দর চুল পেতে চাইলে

চায়ের লিকার থেরাপি –
ঝলমলে চুলের জন্য দারুণ কাজ করে চায়ের লিকার। চুল যেমনি হোক না কেন তৈলাক্ত, শুষ্ক বা স্বাভাবিক- এই চায়ের লিকার মানিয়ে যাবে খুব সহজে।
এটা তৈরির জন্য দুই কাপ পানি নিন। তার মাঝে ৬ টেবিল চামচ ফ্রেশ চা পাতা দিন। এটাকে এখন অল্প আঁচে চুলায় ফুটতে দিন। ফুটে ফুটে লিকার ঘন হবে। এবং দুই কাপ পানি কমে এক কাপের কম হলে বুঝবেন যে রেডি। এখন এটাকে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণ মাখুন। ৫ মিনিট পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ভিনেগারে চুলের চমক –
শ্যাম্পু করে ফেলছেন? এবার ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। আধা কাপ ভিনেগার এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করা চুল। ৫ মিনিট পর আবার একটু স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শুকিয়ে নিলেই পাবেন ঝলমলে চুল।

বেকিং সোডায় উজ্জ্বল চুল –
নিস্প্রান চুলকে ঝলমলে করে তুলতে বেকিং সোডার কোন বিকল্প নেই। এ কাপ হালকা গরম পানির মাঝে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করা ভেজা চুলে এই মিশ্রণ লাগান। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এবার চুলের চমক দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!

শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

কিভাবে ঘরোয়া ৩টি উপায়ে ত্বকের দাগ দূর করবেন

১) টমেটো ও বেসনের মাস্ক

বেসন ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের নানা ধরণের দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই।
 – ২ টেবিল চামচ বেসনের সাথে প্রয়োজন মতো টমেটো রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
– এরপর এই পেস্টটি মুখ, ঘাড় ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন।
– ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করবেন এই মাস্কটি।

২) শসা ও লেবুর রসের মাস্ক

লেবুর রসের ব্লিচিং এজেন্ট ত্বকের দাগ ফিকে হয়ে আসতে সহায়তা করে এবং শসা প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার হিসেবে ত্বকের যত্ন নেয়।
– ৩ টেবিল চামচ শসা ও ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন।
– এই মিশ্রণটি মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।
– এরপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মাস্কটি প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারবেন।

৩) দুধ, মধু ও লেবুর রসের মাস্ক

প্রাচীনকাল থেকেই দুধ ও মধু রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপাদান বলে এর কদর রয়েছে বেশ।
– ১ টেবিল চামচ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালো করে।
– এরপর মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন মাত্র ১০ মিনিট।
– পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ভালো করে এবং তোয়ালে আলতো চেপে মুখ শুকিয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।

শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ওজন কমাতে মধু ও লেবুর ব্যবহার


ওজন কমাতে অনেকে অনেক কিছু পান করেন বা খান। যেমন : ওজন কমানোর চা, সোনাপাতা, ওজন কমানোর ওষুধ ইত্যাদি। এগুলোর কোনো কার্যকারিতা আছে কিনা তা সন্দেহ আছে। থাকলেও এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান মধু ও লেবু আসলেই যে কার্যকরী, তা পরীক্ষিত এবং সারা বিশ্বে সমাদৃত ও স্বীকৃত । ওজন কমাতে দুটি প্রাকৃতিক উপাদান লেবু ও মধুর পানীয় সম্পর্কে অনেকেই জানেন । ওজন কমানো ছাড়াও লেবু ও মধুর অনেক গুণাগুণ আছে।

কেন ওজন কমায়
মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মতো ওজন না বাড়িয়ে কমায়। কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এসব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। এসব উপাদান ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কমাতে বা ভাঙতে সাহায্য করে। ফলে যখন আমরা বেশি চিনি খাই, তখন অধিক ক্যালরি শরীরে জমা ছাড়াও এসব পুষ্টি উপাদানের চিনি হজম করতে অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। তাই ওজন বাড়াতে পারে। কিন্তু মধুতে এসব উপাদান থাকার ফলে এগুলো হজমে সহায়ক এবং ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কমায়। তাই এই পানীয় ওজন কমায়। তাছাড়া সকালে উঠেই শরীর যদি পানি জাতীয় কিছু পায়, তবে তা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে একই রকম শারীরিক পরিশ্রম করেও আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধির কারণে ওজন কমতে পারে।

লেবু-মধু পানীয় বানানোর প্রণালী
এক গ্লাস হালকা বা কুসুম গরম পানি, আধা চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু। গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন লেবু-মধু পানীয়। আপনি চাইলে এর সঙ্গে সবুজ চা মেশাতে পারেন।

যা লক্ষ্য রাখবেন
—আগে পানি হালকা গরম করে তারপর লেবু ও মধু মেশাবেন। মধু
কখনোই গরম করতে যাবেন না।
—যদি ঠাণ্ডা পানিতে এটি পান করেন, তবে বিপরীত ফল হবে, মানে
আপনার ওজন বাড়বে।
লেবু-মধু পানীয়ের উপকারিতা
— এই পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বের করে। শরীরের ভেতরের
নালীগুলোর সব ময়লা বের করে দেয়।
— মেটাবলিজম/হজম শক্তি বাড়ায়, ফলে ওজন কমে। ঠাণ্ডা লাগলে এই
পানীয় কফ বের করতে সাহায্য করে এবং ঠাণ্ডা লাগলে গলাব্যথা
করলেও এটি উপকারী ।
— এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
— শরীরে শক্তি বাড়ায়, অলসতা কমায়।
— কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
মধুর উপকারিতা
মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ আলাদাভাবে থাকে, কিন্তু চিনিতে তা একসঙ্গে থাকে। ফ্রুকটোজ তাড়াতাড়ি গ্লুকোজের মতো শরীরে ক্যালরি হিসেবে জমা হয় না। তাই চিনির মতো মধু সহজে ক্যালরি জমা করে না। ফলে অল্প মধু খেলেও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম।
মধু শরীরকে রিলাক্স করে, মনকে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে এবং সহজে ঘুম আনতে সাহায্য করে।
মধু একটি প্রাকৃতিক এন্টি বায়োটিক, যা শরীরের সব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ইনফেকশন দূর করে। ফলে শরীরের কাজ করার প্রণালী উন্নত হয় এবং হেলদি থাকে।
মধু হজমে সহায়ক। তাই বেশি খাবার খাওয়ার পরে অল্প মধু খেতে পারেন
—মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে।
—মধু প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি। তাই মধু সহজে হজম হয়।
—চোখের জন্য ভালো।
—গলার স্বর সুন্দর করে।
—শরীরের ক্ষত দ্রুত সারায়।
—আলসার সারাতে সাহায্য করে।
—নালীগুলো পরিষ্কার করে।
—ঠাণ্ডা লাগলে জ্বর, গলাব্যথায় ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
—মধু এন্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ
পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
—বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়।
—শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায় ও তারুণ্য বাড়ায়।
লেবুর উপকারিতা
লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা এন্টিসেপটিক ও ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করে
—লেবুর এই উপাদানগুলো টনসিল প্রতিরোধ করে
—এছাড়া লেবুর ভিটামিন সি ক্যান্সারের সেল গঠন প্রতিরোধ করে।
—লেবু বুক জ্বালা প্রতিরোধ করতে ও আলসার সারাতে সাহায্য করে।
—লেবু আর্থাইটিসের রোগীদের জন্য ভালো ।
—লেবু শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে।
—লেবু এন্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বক
পরিষ্কার রাখে, অপহব দূর করে। ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
কালোদাগ ও ত্বকের ভাঁজ পড়া কমায়।
—লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে।
—লেবু হজমে সহায়ক ও হজমের সমস্যা দূর করে।
—কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
—শরীরের ভেতরের টক্সিন দূর করে, অন্ত্রনালী, লিভার ও পুরো শরীরকে
পরিষ্কার রাখে।
—পেট ফোলাজনিত সমস্যা কমায়।
—রক্ত পরিশোধন করে।
—ঠাণ্ডা লাগলে জ্বর, গলাব্যথায় ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
—শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি হলে ভালো কাজ করে।
—শ্বাসনালীর ও গলার ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে।
কখন খাবেন
সাধারণত সকালে উঠেই প্রথম পানীয় হিসেবে খালি পেটে এটি খাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরে সকালের নাস্তা খেতে পারেন।
সাবধানতা
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই এটি খালি পেটে খাবেন না। কারণ লেবু এসিডিক। তাই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে এটি খাবেন।
তাছাড়া লেবুর এসিড দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকর, তাই এই পানীয় খাবার সঙ্গে সঙ্গে কুলি করবেন, অথবা পানি খাবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য এই পানীয় শুধুই সহায়কমাত্র। সম্পূর্ণ ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে অবশ্যই থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর/ব্যালেন্সড ডায়েট, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

রাতারাতি ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ফর্সা ৭টি ঘরোয়া পদ্ধতিতে

১। ত্বকের জন্য সবচেয়ে উপকারি হল দুধ। দুধের সঙ্গে টম্যাটো পিউরি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগাতে পারেন ত্বকে। এই মাস্কটি সারারাত লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। অবশ্যই ঠান্ডা জলে।
২। ব্ল্যাকহেডস-এর সমস্যে থেকে মুক্তি পেতে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ত্বকের যে অংশে ব্ল্যাক হেডস-এর বাড়বাড়ন্ত সেই সমস্ত জায়গাতে লাগিয়ে রাখুন। 30 মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বাড়ানোর জন্য দু-চামচ টক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানান। পেস্টটি মাস্কের মতো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বেড়ে যাবে।
৪। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদের থেকে ভাল কিছু হতেই পারে না। বিশুদ্ধ গুঁড়ো হলুদের সঙ্গে নারকেল তেলের মিশ্রণে পেস্ট বানিয়ে তা মুখে এবং গলায় মাখিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট পরে হালকা গরম জলে তা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে ২-৩বার করুন।
৫। তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময়ে কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা brightness বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। উপরন্তু অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে। এই ধরণের ত্বক থেকে মুক্তি পেতে হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে প্রয়োগ করুন। অচিরেই ফল পাবেন।
৬। তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে অব্যর্থ হল কফি বা কোকো পাউডার। এই পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে, গলায় মাসাজ করুন। মনে রাখবেন এই পেস্টটি সব সময়েই সাধারণ তাপমাত্রার জলে ধোবেন। কখনোই ঠান্ডা বা গরম জল ব্যবহার করবেন না।
৭। ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খুবই উপকারী হল দারচিনি। মধুর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখের ক্ষতিগ্রস্থ অংশের উপরে প্রলেপ লাগান। ঘণ্টা দুই এই প্রলেপ রাখার পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে একদিন অন্তর করে প্রয়োগ করুন এই টোটকা।

শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শীতে ত্বকের যত্নে ৫টি ফেইস মাস্ক

টমেটো ও লেবুর মাস্ক:

এই মৌসুমে খুবই সহজলভ্য সবজি টমেটো। আর ত্বকের পোড়াদাগ দূর করে উজ্জ্বল করতে টমেটো খুবই উপকারী।
একটি টমেটো নিয়ে ভালোভাবে থেঁতলে এর সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি গলায় এবং মুখে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। কিছুটা শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। যা ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে কার্যকর। এই মাস্ক ব্যবহারে রোদে পোড়া ভাব দূর হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

কাঠবাদামের মাস্ক:
চার, পাঁচটি কাঠবাদাম সারা রাত দুধে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে কাঠ বাদামের খোসা ছাড়িয়ে দুধ এবং বাদামের পেস্ট তৈরি করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ওই পেস্ট মুখে লাগিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
এই মাস্ক ভালো নাইট ক্রিম হিসেবে কাজ করবে, যা ত্বক উজ্জ্বল করবে। তাছাড়া শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।

হলুদের মাস্ক:

ত্বকের যত্নে হলুদ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি উপাদান। ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর করে, অসম গায়ের রং স্বাভাবিক করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তিন টেবিল-চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ হলুদগুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণ ত্বকে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

কলা ও দইয়ের প্যাক:

একটি পাকাকলা চটকে সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ টক দই এবং এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতিটি উপাদান খুব ভালোভাবে মিশে যায়। মুখ এবং গলায় পুরু করে মিশ্রণটি মেখে অপেক্ষা করতে হবে।
কিছুটা শুকিয়ে গেলে ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। কোমল ত্বকের জন্য সপ্তাহে দুবার এই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

ওটমিল মাস্ক:

ত্বকে জমে থাকা ময়লা এবং মৃত কোষের পরত তুলতে নিয়ম করে এক্সফলিয়েট করা জরুরি। স্ক্রাবারের সাহায্যে এক্সফলিয়েশন করতে হয়। এতে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং ত্বকে বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনাও কমায়।
চার টেবিল-চামচ ওটমিলের সঙ্গে চারটি কাঠবাদাম গুঁড়া করে মিশিয়ে নিতে হবে। সামাণ্য দুধ এবং এক টেবিল-চামচ মধু দিয়ে ওটমিল ও কাঠবাদামের মিশ্রণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। মুখের ত্বকে এই মিশ্রণ লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে আলতো হাতে মালিশ করতে হবে। এতে ত্বকে জমে থাকা ময়লা এবং মৃতকোষ পরিষ্কার হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
সুন্দর ত্বক চাইলে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। আর তাই প্রতিদিন বা সপ্তাহে নিয়ম করে ত্বকের যত্নে কিছুটা সময় বরাদ্দ করে রাখা উচিত। আর এই মৌসুমে যে কোনো প্যাক ব্যবহার বা মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্বকে লাগাতে হবে। নইলে ত্বক শুষ্ক ও মলিন হয়ে যাবে।