বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩

চর্বি / ভুঁড়ি কমানোর ৬টি কার্যকর পরামর্শ


পেটের চর্বি শুধু দেখতে খারাপ লাগে না বরং পেটের এই অতিরিক্ত চর্বির কারণে বেড়ে যায় ওজন এবং এর চাপ পড়ে পায়ের ওপর। এর ফলে অসময়েই ক্ষয়ে যেতে পারে পায়ের হাড়! এছাড়াও হতে পারে আরো নানান শারিরীক সমস্যা। পেটের এই বাড়তি চর্বি / ভুড়ি কমাবার জন্যে রইলো কিছু কার্যকর পরামর্শ।







১. নিয়মিত হাঁটুন :
প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন। যে দূরত্বে হেঁটেই যেতে পারবেন সেখানে রিকশা করে যাবেন না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন। প্রথম কিছুদিন ক্লান্ত লাগলেও কয়েক দিন পর এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।

২. ভাজা পোড়া কম খান :
ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার কম খান। চেষ্টা করুন কম তেলে রান্না করা বা সেদ্ধ করা খাবার খেতে।

৩. ফাস্টফুড পরিহার করুন :
কোনভাবেই ফাস্টফুড খাবেন না। মেয়োনেজ, পনির, সস, তেল, মাখন এসব আপনার পেটে চর্বি জমতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।

৪. ঘুমানোর আগে হাঁটুন :
ভুঁড়ি হবার অন্যতম কারণ খাবার ঠিকভাবে হজম না হওয়া। ঘুমাবার অন্তত দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খান এবং খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে। পেট বাড়বে না।

৫. সিঁড়ি ব্যবহার করুণ :
অফিস বা বাসায় যতটা সম্ভব লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এটা পেটের জমে থাকা চর্বি অপসারণের খুব ভাল উপায়। এতে পেটের উপর চাপ পড়ে ও আস্তে আস্তে চর্বি কমতে থাকে।

৬. খাবার গ্রহণে নিয়ম মেনে চলুন :
দিনে তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ৫ বেলা কম করে খান। একেবারে না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। ভাত খাবার চেয়ে ফল বা সবজি বেশি করে খান। পেট ভরবে কিন্তু ভুঁড়ি বাড়বে না।

মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

ঘরোয়া যত্নে সতেজ সুন্দর

নিয়ম মেনে ত্বকের যত্ন নিন

ঘরে থাকা বিভিন্ন উপকরণ দিয়েই করা যাবে রূপচর্চা। ত্বক ও চুল থাকবে সতেজ ও সুন্দর

নিয়ম করে আগের মতো সৌন্দর্যসেবা কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে না এখন। তাই ত্বক ও চুলের যত্নে বাড়িতে দিতে হচ্ছে বাড়তি সময়। ত্বক ও চুলের যত্নে ঘরোয়া উপাদানের ব্যবহার অনেকেই করে থাকেন। তবে সঠিক ফল পেতে জেনে নিতে হবে সঠিক উপকরণ ব্যবহারের প্রয়োগ।

বাড়িতে রূপর্চচা করার সময় সঠিক উপকরণের ব্যবহার জরুরি। বলছিলেন হার্বস আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের রূপবিশেষজ্ঞ শাহীনা আফরিন। এ–ও জানালেন, তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সব ধরনের ত্বক ও চুলের সঙ্গে মানিয়ে যাবে, এমন কিছু ঘরোয়া উপকরণ রয়েছে। সেসবের মিশ্রণে তৈরি প্যাক দিয়ে নেওয়া যাবে ত্বক ও চুলের যত্ন।

ত্বকের জন্য

মুখের ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটির বিকল্প খুব কমই আছে। এ জন্য ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, সঙ্গে তিন থেকে চার ফোঁটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের রস, ১ টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে মুখের ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে ১ দিন লাগিয়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট রাখুন। এরপর ভালো করে পানিতে ধুয়ে ফেলুন মুখ।

যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁদের বেশ চিন্তায় পড়তে হয়। এর রয়েছে সহজ সমাধান। যেমন ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি ও ৫টি লবঙ্গ ১ টেবিল চামচ পানিতে ভিজিয়ে গুঁড়া করে নিন। এরপর মিশ্রণটি লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে তিন দিন এই মিশ্রণের ব্যবহার ব্রণের দাগ দূর করবে।

এদিকে চলে আসছে ঈদুল আজহা। নিতে পারেন বাড়তি যত্ন। ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ, আধা চা–চামচ ভিনেগার, ১ চা–চামচ চালের গুঁড়া ও ১ চা–চামচ ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের স্ক্র্যাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ সপ্তাহে তিন দিন ৫ মিনিট মালিশ করলে ত্বকে দ্রুত উজ্জ্বলতা আসবে।

বিটরসের প্যাকে ত্বক হবে উজ্জ্বল

হাতের যত্নে

১টি পুরো বিট নিয়ে রস বের করতে হবে। এই রসের সঙ্গে ৬ টেবিল চামচ ময়দা মিশিয়ে নিন। এবার ১ চা–চামচ মধু আর লেবুর খোসা বাটা মিশিয়ে হাতের ত্বকে যতক্ষণ না শুকায় ততক্ষণ অপেক্ষা করুন। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করলেই চলবে।

পায়ের যত্নে

দুটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার ২ টেবিল টেবিল ডালের গুঁড়া মিশিয়ে ঘষে পা পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে এক দিন কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে নিলেই উজ্জ্বল হবে ত্বক।

গলার ত্বক

যাঁদের গলার ত্বক একটু গাঢ় রঙের তাঁরা এই মিশ্রণটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আধা কাপ লেবুর রসের সঙ্গে মসুর ডাল বাটা ও দুধ মিশিয়ে গলার ত্বকে মেখে ১০ মিনিট ঘষে নিন। এই প্যাকের ব্যবহার সপ্তাহে এক দিন করলেই যথেষ্ট।

চুলের যত্ন

চুল ধোয়ার জন্য এ সময়ে ব্যবহার করতে পারেন বৃষ্টির পানি। তবে সরাসরি বৃষ্টিতে ভিজে নয়, চুল ধোয়া নয়। কিছুক্ষণ বৃষ্টি হওয়ার পর সেই পানি কোনো পাত্রে ধরে রাখতে হবে, এরপর সেটি চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করতে হবে। এবার দেখুন না কেমন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আপনার চুল।

এ ছাড়া অন্য একটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন চুলের যত্নে। ২ টেবিল চামচ আমলকীর গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ মেথিগুঁড়া এবং ১ টেবিল চামচ মেহেদিগুঁড়া কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এবার মাথার তালুতে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বাড়িতে শ্যাম্পু করার পর অনেকের চুলই তৈলাক্তভাব রয়ে যায়। এটা এড়াতে শ্যাম্পুর সঙ্গে একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।

এই সময় পরিচ্ছন্ন থাকাটাও জরুরি। নিয়মিত গোসল করার সময় গোসলের পানিতে নিমের পানি মিশিয়ে নিন। এ ছাড়া গোসলের পানিতে কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিতে পারেন। এর সুগন্ধ এই মন খারাপের সময়ও আপনার মনকে রাখবে সতেজতায় ভরপুর।

কোন উপাদানের কী গুণ

ভেষজ উপাদান চুলে দেবে বাড়তি উজ্জ্বলতা

মুলতানি মাটি

মুলতানি মাটি বা ফুলারস আর্থ, একধরনের মাটিজাতীয় রূপচর্চার উপকরণ। শুধু উজ্জ্বলতা বাড়াতেই নয়, ত্বকে জীবাণুনাশক (অ্যান্টিসেপটিক) হিসেবেও কাজ করে এই মুলতানি মাটি। তবে রূপচর্চার উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের আগে এই মুলতানি মাটি আসল কি না, তা জেনে নেওয়াটা খুব জরুরি। যদি পানিতে গোলানোর পর একটু ঘন হয়, তবে এটি আসল মুলতানি মাটি। আর যদি বালুর মতো হাতে কিছু অনুভূত হয়, তবে তা আসল নয়।

কাঁচা হলুদ

হলুদে আছে কারকিউমিন, যা জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া হলুদে আছে এসেনশিয়াল অয়েল, যে কারণে ত্বক হয় দ্রুত উজ্জ্বল।

আমলকীর গুঁড়া

আমলকীর গুঁড়ায় আছে ভিটামিন সি ও ডি, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আমলকীর ভিটামিন সি চুলে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কাজে দেয়।

কাঁচা দুধ

কাঁচা দুধে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যে কারণে লোমকূপে জমে থাকা ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। এ ছাড়া ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে।

 

গরমে ত্বকের যত্নে ৭টি টিপস

পানি পান করুন
পানি শুধু শরীরে আর্দ্রতা জোগায় না, ত্বককে করে তোলে সজীব। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে এ সময়ে প্রচুর পানি পান করুন।

টোনার ব্যবহার করুন
টোনার ত্বকের রোমকূপ বন্ধ ও ত্বককে শীতল রাখতে সাহায্য করে। বাজার থেকে ভালো কোম্পানির টোনার দেখে কিনুন। ঘরোয়া টোনার হিসেবে গোলাপজল ভালো কাজ করে।

ওয়াটার বেজ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
গরমের সময়ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার বন্ধ করবেন না। কারণ ময়েশ্চারাইজার ত্বকে আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি ত্বককে নরম রাখে। তবে গরমের সময় ওয়াটার বেজ ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন ত্বকের যতেœ।

ত্বক পরিষ্কার রাখুন
সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করুন। যদি এমন হয় সারা দিন বাইরে বের হননি তবুও রুটিন করে ত্বক পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

এক্সফোলিয়েট করুন
গরমের সময় ত্বকের মরা কোষ দূর করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর জন্য ত্বককে এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। কারণ এ সময় ধুলাময়লা জমে ত্বক অপরিচ্ছন্ন হয় বেশি। চার-পাঁচ চামচ বেসনের সাথে এক চামচ হলুদ, পাঁচ-ছয় ফোঁটা গোলাপজল ও দুধ মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পর ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন।

রোদ এড়িয়ে চলুন
বেসন ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে খুব কার্যকর। বেসনের সাথে টক দই ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। রোদে পোড়া দাগ দূর করতে লেবুর রস ভালো কাজ করে। পেঁপে প্রাকৃতিক কিনজার হিসেবে ভালো কাজ করে। তাই ত্বক পরিষ্কার করতে দুই টেবিল চামচ চটকানো পেঁপের সাথে এক চা চামচ মধু ও একটা ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

ত্বককে শীতল রাখুন
গরমে ত্বক শীতল রাখা খুব প্রয়োজন। এক টেবিল চামচ কোরানো শসার সাথে এক টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। খুবই সতেজ অনুভব করবেন। এ ছাড়া পুষ্টিকর খাবার, ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম ত্বক ভালো রাখার জন্য খুবই জরুরি। লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না

বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

পায়ের কালো দাগ দূর করার উপায়

  •  

    সঠিক মাপের জুতা পরুন

পায়ের দাগের অন্যতম একটি কারণ হলো আকারে ছোট কিংবা শক্ত জুতা পরার কারণে। তাই পায়ের জন্য সঠিক মাপের জুতা বেছে নিন। সেই সঙ্গে জুতার ভেতরে ফোম দেয়া, কাপড়ের কিংবা নরম চামড়ার জুতা পরুন। এতে পায়ে দাগ পড়বে না।
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

জুতার বদলে স্যান্ডেল পরলে সরাসরি রোদ লাগে পায়ে। ফলে পায়ে রোদে পোড়া ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পায়েও ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। এতে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত থাকবে আপনার সুন্দর পায়ের পাতাগুলো।
  • পা ঢেকে রাখুন

দাগমুক্ত সুন্দর পায়ের জন্য পা ঢাকা জুতা পরুন কিংবা সবসময়ে মোজা পরুন। এতে পায়ে পোড়া দাগ পরবে না কিংবা ধুলা ময়লা লেগে পায়ে ছোপ ছোপ দাগ পরবে না।
এবার আসা যাক, ঘরোয়া উপায়ে  কি করে পায়ের ফুল কেয়ার নেয়া যায় –
  • স্ক্র্যাবিং

পায়ের দাগ দূর করার জন্য স্ক্র্যাবিং এর জুড়ি নেই। স্ক্র্যাবিং পায়ের ত্বকের ডেড সেল দূর করে এবং জমে থাকা ধুলা ময়লা পরিষ্কার করে। ফলে পায়ের ছোপ ছোপ দাগ দূর হয় এবং রুক্ষতা কমে যায়। স্ক্র্যাবিং এর জন্য বেকিং পাউডার, ওটমিল, চিনি কিংবা লবন ব্যবহার করতে পারেন।
  • লেবুর রস কিংবা টমেটোর রস

লেবুর রস এবং টমেটোর রস হলো প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান। তাই পায়ের ত্বকের পোড়া দাগ দূর করতে এবং পায়ের রং উজ্জ্বল করে তুলতে এই উপাদান দুটির জুড়ি নেই। লেবুর রসে সামান্য পানি মিশিয়ে কিংবা সসার রস মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে ১ ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। কিংবা টমেটোর রস লাগিয়ে রেখে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে হালকা ঘষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করলে পায়ের ত্বক উজ্জ্বল হবে ধীরে ধীরে।
  • অ্যালোভেরা জেল

অ্যালোভেরা ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করে। আর তাই পায়ের দাগ দূর করতে এবং পায়ের ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরা জেল পায়ের ত্বকে লাগিয়ে মোজা পড়ে ঘুমিয়ে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে পা ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহার করলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন আপনি।
  • আলুর রস

আলুও ত্বকের দাগ দূর করে সহজেই। আলু ব্লেন্ড করে রস ছেকে পায়ে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘন্টা। এরপর পা ধুয়ে ফেলুন। সহজেই কাজটি করতে চাইলে আলু স্লাইস করে কেটে ঘষে ঘষে পায়ের ত্বকে লাগিয়ে নিন। এরপর ১ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা পানি দিয়ে। সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করুন।

রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩

ওজন কমাতে দারুণ সুস্বাদু সালাদ

 
উপকরণ
✿ – কাঁচা পেঁপে দেড় কাপ ( চিকন ঝুরি ঝুরি হবে)
✿ – চেরি টমেটো ৮-১০ টি (দুই ফালি করে কেটে নিন। এটা না পেলে রেগুলার টমেটো ব্যবহার করুন)
✿ – গাজর ১/৪ কাপ (ছবি দেখে কেটে নিন)
✿ – বর বটি ২ টি লম্বা পিস করা
✿ – বাদাম
✿ – ফিস সস ২ টেবিল চামচ
✿ – লেবু ২ টি
✿ ব্রাউন সুগার ২ টেবিল চামচ (যারা ডায়েট করবেন তাঁরা যতটা সম্ভব কম দিন কিংবা দেবেন না)
✿ – লাল কাঁচা মরিচ ৩-৪ টি [ স্বাদ মত কম বেশি হতে পারে ]
✿ – রশুন ৩-৪ কোয়া
প্রণালি
► প্রথমে একটি হামান দিস্তা নিয়ে রশুন আর কাঁচা মরিচকে হাল্কা করে ছেঁচে নিন।
► এর পর ফিশ সস , লেবু রস , চিনি , টমেটো , বর বটি ছেড়ে দিন। হাল্কা ভাবে আবারো ছেঁচে নিন । খেয়াল রাখবেন যেন বেশি ছেঁচা না হয় ।
► এর পর পেঁপে এবং গাজর দিয়ে আবারো ছেঁচে নিন। ভালভাবে সব কিছু মিক্স করে নিন ।
► প্লেটে পরিবেশন করুন। উপর দিয়ে বাদাম ছড়িয়ে দিন।

কেন কমবে ওজন?
ভাত বা রুটির তুলনায় এই সালাদে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। যদি চিনিটা বাদ দিয়ে দেন তাহলে তো কথাই নেই। ডায়েট খাবার যেমন বিস্বাদ হয় খেতে, এটি মোটেও তেমন নয়। তাই আপনার একঘেয়েমিও লাগবে না। সবজি গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁচা, ফলে অটুট থাকছে পুষ্টি গুণ। আছে ফাইবার, ফলে পেট ভরা ভাবটাও থাকবে অনেকক্ষণ। কাঁচা পেঁপে, রসুন ইত্যাদি মেটাবোলিজম বৃদ্ধিতে সহায়ক ফলে ওজন কমাতেও সহায়ক।

শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩

শরীরের যত্নে ৭ পরামর্শ


শরীরের যত্ন বললেই আমরা ধরে নিই দামি কোনো প্রসাধনীর ব্যাপারস্যাপার। আসলেই কি তা-ই? বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাতের কাছের অনেক উপকরণই হয়ে উঠতে পারে শরীরের যত্ন নেওয়ার দারুণ প্রসাধন। পড়ুন, সেসবের কথা।

১. মুখের ত্বক ঝলমলে রাখতে লবণ-পানি
সামান্য পরিমাণ খাবার লবণ পানিতে গুলিয়ে নিন। তারপর সেই পানিতে ভিজিয়ে নিন একটা তোয়ালে। ভেজা তোয়ালেটি দিয়ে মুছে ফেলুন মুখ। দেখবেন, মুখের ত্বকে আসবে তারুণ্যের ঝিলিক। লবণ-পানির এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ মুছতে পারেন অফিস বা কাজের ফাঁকেও।

২. ঠোঁট সুন্দর রাখতে তেল
শীতের এই সময়টায় ঠোঁট ফাটে অনেকেরই। এর জন্য লিপজেল তো আছেই। তবে অনেকেরই লিপজেলে অ্যালার্জিও আছে। এ ক্ষেত্রে আমন্ড বা পিচ অয়েল বেশ কেজো। একটা পরিষ্কার টুথব্রাশে তেল মেখে ঠোঁটের ওপর ঘষুন। ঠোঁট ফাটা রোধ হবে এবং দেখতেও হবে আকর্ষণীয়।

৩. আর্দ্র ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল
ত্বক শুষ্ক হলে কারই বা ভালো লাগে। বিশেষ করে ত্বক আর্দ্রতা হারায় শীতের এই মৌসুমে। সমাধান আছে অলিভ অয়েলে। প্রথমে মুখের ওপর স্টিম নিয়ে অলিভ অয়েল মাখুন মিনিট সাতেকের মতো। ত্বক হবে পরিষ্কার, মসৃণ ও উজ্জ্বল। ভালো ফল পেতে চাইলে চার-পাঁচ দিন পর পর মুখে অলিভ অয়েল মাখুন।

৪. ব্রণের দাগ দূর করতে মধু
পরদিনই একটা মিটিং কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠান, ঠিক সেদিন মুখে উঠে গেল একটা ব্রণ! এ যেন বিরাট এক আতঙ্ক। ব্রণের ওপর মধু মেখে ঘড়ি দেখুন। ১৫ মিনিট পর মধু তুলে ফেলুন হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে। ব্রণের ব্যথা এবং দাগ—দুটিই অনেকাংশে কমে আসবে। আর মেকআপ নিলে ব্রণের দাগও ঢেকে ফেলা যাবে ভালোভাবেই।

৫. ব্রণের আরেক ওষুধ আই ড্রপস
ব্রণের দাগ ও ব্যথা দূর করতে আরেকটা ওষুধ বেশ কাজে দেয়। সেটা হলো আই ড্রপস। চোখ লাল হলে অনেকেই আই ড্রপস ব্যবহার করেন। সেই আই ড্রপস দিয়ে একটা কটন প্যাড ভিজিয়ে নিন। তারপর সেটা ফ্রিজে রেখে দিন তিন থেকে পাঁচ মিনিট। ফ্রিজ থেকে বের করে কটন প্যাডটি দিয়ে ব্রণের ওপর হালকা করে ঘষুন; দাগ ও ব্যথা—দুটিই দূর হবে।

৬. মেকআপ তুলতে পানি ও অলিভ অয়েল
মেকআপ তুলতে কত আয়োজন! কিন্তু সামান্য পানি আর অলিভ অয়েল হতে পারে দারুণ উপাদান। একটি ছোট বোতলে পানি ও অলিভ অয়েল ৩: ১ অনুপাতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন মুখ। মেকআপ তো উঠবেই, মুখটাও হবে দারুণ পরিষ্কার।

৭. বেকিং সোডা দিয়ে চোখের নিচের কালো দাগ দূর
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা পোহাতে হয় অনেককেই। এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিন। ভালো করে সেটা গুলিয়ে নিন এক গ্লাস গরম পানিতে। একটা কটন প্যাড ভিজিয়ে নিন মিশ্রণটি দিয়ে। তারপর সেটা ঘষুন চোখের চারপাশে। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। চোখের চারপাশ ধুয়ে ফেলুন পানি দিয়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম মাখুন ওই অংশে। এভাবে প্রতিদিন চালাতে থাকলে দূর হবে চোখের চারপাশের কালো দাগ

বুধবার, ১০ মে, ২০২৩

সুন্দর চুলের জন্য কলার ডিপ কন্ডিশনিং

কলার ডিপ কন্ডিশনিং রেসিপিঃ

যা যা লাগবে

-কলা(২ থেকে ৩ টি)
-নারকেলের দুধ(২ টেবিল চামচ)
-নারিকেল তেল(১ টেবিল চামচ)
-অরগানিক মধু(২ বড় টেবিল চামচ)

যেভাবে করবেন


কলাগুলোর খোসা ছিলে টুকরো টুকরো করে কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এবার ২ টেবিল চামচ নারিকেলের দুধ কলা রাখা বাটিতে ঢালুন। ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল যোগ করুন এতে। এবার ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে দিন। সব উপাদান একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। পুরো উপাদান ভালোভাবে ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে এই পেস্টটি আপনার মাথার ত্বক সহ চুলে লাগিয়ে নিন। চুলে লাগানো শেষে একটি প্লাস্টিকের ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখুন যেন আপনার চুল থেকে কলার প্রতিটি কণা ধুয়ে চলে যায়। এটি আপনার চুল নরম কোমল আর ঝলমলে করে তোলে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার অন্তত এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
যে কারণে এই ডিপ কন্ডিশনিং ব্যবহার করবেনঃ

কলা

কলার পটাশিয়াম চুলের গোঁড়া শক্ত করে। চুলের ভাঙ্গনরোধ করে ও ড্যামেজ চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে। কলায় উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল চুল ময়েশ্চারাইজ করে ও কলার বিদ্যমান ৭৫% পানি আপনার চুলের রুক্ষতা প্রতিরোধ করে।
নারিকেল দুধঃ
নারিকেল দুধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাট থাকে। যা চুল সুন্দরভাবে কন্ডিশনিং করে এবং চুলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আর এর প্রাকৃতিক তেল চুল নারিশ করে।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেলের ভিটামিন ই ও ফ্যাটি অ্যাসিড চুল ময়েশ্চারাইজ করে, চুলের গ্রোথ বাড়িয়ে তোলে, চুল উজ্জ্বল করে ও চুলের ক্যারোটিন লস কমিয়ে তোলে। এমনকি নারিকেল তেল চুলের খুশকি ও অন্যান্য ফাংগাল দূর করতে সাহায্য করে।

অরগানিক মধু

মধু আইরন, জিঙ্ক, সালফার ও ভিটামিন বি-তে ভরপুর যা চুলের গ্রোথ বৃদ্ধির সাথে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
এইসব উপাদানের মিলিত মিশ্রণ স্বাভাবিকভাবেই আপনার চুল সুন্দর আর ঝলমলে করে তোলে। এটি ব্যবহারে আপনার চুল আরও বেশি ম্যানেজেবল ও নজরকাড়া হয়।

রবিবার, ৭ মে, ২০২৩

এই গরমে চুলের যত্ন


ঘামই চুল চিটচিটে বা অয়েলি হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ। গরমে ঘাম ও বাতাসের ধুলাবালির কারণে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের জন্ম হয়। আর এ থেকে মাথার ত্বকে ফুসকুড়ি বা চুলকানি হতে পারে। তাছাড়াও মাথায় খুশকি, চুলে রুক্ষতা আসে, চুল মলিন হয়ে যায় এমন কি চুলও পড়তে শুরু করে।

গরমে চুল ঘেমে গেলে চুলের গোড়ায় চুলকানো ও চুল টানার কারণে গোড়া নরম হয়ে চুল পড়তে থাকে। বাইরে বাতাসে ধুলাবালির কারণে চুলে খুশকি বাড়তে থাকে। তাই এ সময় সবচেয়ে জরুরী হলো চুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। এ সময়ে প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পুর কাজ হচ্ছে চুল পরিচ্ছন্ন করা। তাছাড়া চুলে শুধু শ্যাম্পু করলেই চলবে না সাথে নিতে হবে বিশেষ পরিচর্যা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই গরমে চুলের যত্নে কী কী করা উচিত।

বাইরে থেকে ঘরে ফিরে চুলের গোড়া ঘেমে গেলে ফ্যানের ঠান্ডা বাতাসে চুলটা শুকিয়ে নিতে হবে। কোনোভাবেই ঘামে ভেজা চুল বেঁধে রাখা যাবে না। যারা প্রতিদিন বাইরে যেতে হয় তাদের অবশ্যই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করতে হবে এবং চুলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগানো উচিত।

চুল গুলোকে প্রতিদিন বেশি পানি দিয়ে ধুতে হবে। কারণ খেয়াল রাখতে হবে শ্যাম্পু করার পর চুলের গোড়ায় যেন বাড়তি শ্যাম্পু না লেগে থাকে। প্রতি রাতে চুলে তেল লাগিয়ে রাখতে পারেন। এটি চুলের ডিপ কন্ডিশনিংয়ের কাজ করবে। চুলে তেল লাগানোর আগে তেলের সঙ্গে একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিলে চুল খুশকিমুক্ত থাকবে। চুল পড়া কমাতে আমলকীর রস ও ক্যাস্টর অয়েল নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। পরের দিন শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই গরমে ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে এবং এটি চুল পড়াও কমাবে।

অ্যালোভেরার রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন। ঘৃতকুমারীর রস, মেথি গুঁড়া ও ত্রিফলা (আমলকী, হরীতকী ও বহেরা ভিজানো পানি) একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। এতে চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে এবং চুলের সাস্থ্য ভালো করবে। চুলের পরিচর্যার জন্য টক দই, মেহেদি পাতা, মেথি গুঁড়া ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ৩০ মিনিটের মত লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। টক দই চুলকে ময়েশ্চারাইজ করবে। মেথি গুঁড়া খুশকি দূর করে এবং চুল ঝলমল করবে লেবুর রস। এটি অন্তত সপ্তাহে এক দিন করা উচিত।

 পাকা কলা, আমলকীর রস, মধু এবং মেথি গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন। এটি একই সঙ্গে চুল নরম করবে এবং রোদে পুড়ে লালচে হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাবে। এই গরমের সময় চুলটা আঁটসাঁট করে না বেঁধে পাঞ্চ ক্লিপে হালকা করে আটকে নিন। আর এমন হেয়ার স্টাইল করুন যেটি গরমের সময় আরামদায়ক হয়। চুল শুকাতে বা ঘাম শুকাতে হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাস ব্যবহার করা যাবে না। চুলের আগা ফেটে যাওয়া হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাস প্রধান কারণ। রোদে বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।

মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩

মেকআপের মাধ্যমে সহজেই চোখ বড় ও আকর্ষণীয় করে তোলার উপায়


রূপচর্চা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে কীভাবে চোখ বড় ও আকর্ষণীয় দেখানো যায় সে বিষয়ে মেইকআপের সহজ কিছু উপায় তুলে ধরা হয়।

ভিতরের অংশে হালকা রংয়ের শ্যাডোঃ
চোখ বড় ও আকর্ষণীয় করে তুলতে চোখের ভিতরের কোণা থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত হালকা রংয়ের শ্যাডো ব্যবহার করতে হবে। কারণ চোখের কোণায় হালকা শ্যাডো চোখ দেখতে বড় দেখাবে। কারণ এতে চোখে ঘুম ঘুমভাব কেটে যায় এবং দেখতে ফ্রেশ লাগবে।

ভ্রুর নিচে হাইলাইটারের ব্যবহারঃ
ভ্রুর ঠিক নিচে ‘ব্রাও বোন’-এর উপর হাইলাইট করে তুলতে হবে। এর জন্য হালকা শিমারি কোন আইশ্যাডো ব্যবহার করা যেতে পারে। ফোর্তে জানান, ওই শ্যাডোটি চোখের একদম ভিতরের কোণায়ও ব্যবহার করা যেতে পারে।

চোখের নিচে কনসিলারের ব্যবহারঃ
কম বেশি সবার চোখের নিচেই কালি বা কালচেভাব থাকে। আর এই কালচেভাব চোখের সৌন্দর্য্য অনেকটাই ম্লান করে ফেলে। তাই চোখের নিচের কালি ঢেকে ফেলতে অবশ্যই কনসিলার ব্যবহার করতে হবে। চোখের চারপাশের কালচেভাবের কারণে চোখ ছোট মনে হয়। তাই ত্বকের রংয়ের থেকে কিছুটা হালকা টোনের কনসিলার ব্যবহার করে চোখের নিচের অংশ কনসিল করে নিতে হবে।
সাদা বা হালকা রংয়ের কাজলের ব্যবহারঃ
চোখের নিচের ওয়াটার লাইনে সাদা বা ন্যুড রংয়ের কাজলের ব্যবহারের ফলে চোখ দেখতে বড় লাগে এবং ‘ড্রামাটিক’ একটি ভাব যুক্ত হয়।

ঠোঁটে ন্যুড লিপস্টিকঃ
মেইকআপের সহজ শর্ত, চোখে গাঢ় মেইকআপ করা হলে ঠোঁটে হালকা বা ন্যুড লিপস্টিক পড়তে হবে। কারণ এতে করে চোখ বেশি আকৃষ্ট করবে সবাইকে।

নকল পাপড়ির ব্যবহারঃ
চোখ অন্যের নজরে বড় দেখাতে নকল পাপড়ির জুরি নেই। তাছাড়া চোখে কয়েককোট মাস্কারাও চোখ বড় দেখাতে সাহায্য করে। তাছাড়া চোখে বাড়তি ‘ড্রামাটিক’ভাব ফুটিয়ে তুলতে ল্যাশ কার্লারও ব্যবহার করা যেতে পারে।

সোমবার, ১ মে, ২০২৩

চোখের কালি, ব্ল্যাক হেডস,রোদে পোড়া ভাব দূর করার উপায়

চোখের কালি দূর করতে
>শসা বা আলু ছেঁচে চোখের ওপর ২০ মিনিট রেখে দিন। ব্যবহৃত টি ব্যাগ কিছুক্ষণ চোখের ওপর রেখে দিলেও কাজে দেবে।
>বাঁধাকপি সেদ্ধ করে তার পেস্টও চোখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
>পেস্তাবাদাম বাটার সঙ্গে অল্প মধু লাগিয়ে ব্যবহার করলেও চোখের কালি দূর হয়।
> করলা হালকা ছেঁচে চোখের ওপর দিয়ে রাখতে পারেন।

মুখে ব্রণের কালো দাগ দূর করতে
>কাঁচা ব্রণে সমপরিমাণ লবঙ্গ, তুলসীপাতা, নিমপাতা, পুদিনাপাতা একসঙ্গে পেস্ট করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে সেখানে দাগ হবে না।
>শুষ্ক ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতে লবঙ্গ তেল খুব উপকারী।
>ব্রণ শুকিয়ে যাওয়ার পর মুখে চিনি আর দারুচিনি বাটা একসঙ্গে পেস্ট করে লাগাতে পারেন। লবঙ্গ বা দারুচিনি ত্বকে লাগানোর পর একটু জ্বালা করবে, এতে কোনো ক্ষতি নেই।

>মেস্তার দাগ দূর করতে
> অ্যালোভেরা জেল বের করে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
>তালমাখনা অথবা ইসবগুলের ভুষি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। থকথকে হয়ে যাওয়ার পর মুখে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে পারেন।

ব্ল্যাক হেডস দূর করতে
>পোলাওয়ের চাল ও মুগ ডাল আধা ভাঙা করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ১০-১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর >যেসব জায়গায় ব্ল্যাক হেডস বেশি, সেখানে হালকা ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন।

>সুজি হালকা ভেজে নিয়ে তার সঙ্গে টকদই ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

>ডিমের সাদা অংশ ও বেকিং সোডার মিশ্রণ মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পর টিস্যু পেপার দিয়ে চাপ দিলেও ব্ল্যাক হেডস সহজে উঠে আসে।

>লেবুর রস আর চিনি জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করার পর এই মিশ্রণ দিয়ে স্ক্রাবিং করে নিন। এরপর পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে মুখে হালকা চাপ দিয়ে ব্ল্যাক হেডস তুলে নিতে পারেন।

>টমেটোর রস এবং মধু রোদে পোড়া ভাব দূর করে।

>গাজর, মধু এবং বেকিং পাউডারের মিশ্রণও কার্যকরী।

>শুষ্ক ত্বকে তিলের তেল ভালোভাবে কিছুক্ষণ মালিশ করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।