শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০

চুল বড় করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়

পিঁয়াজ ব্যবহারের পদ্ধতি :
একটি লাল পেঁয়াজ নিন। লাল পেঁয়াজে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকে। তারপর পেঁয়াজটি কুচি করে কাটুন ও ভালো করে পাটায় থেঁতলে নিন। একটি নরম পাতলা কাপড়ে এই পেঁয়াজ রেখে চিপে রস বের করে নিন। তারপর এই পেঁয়াজের রস সরাসরি মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর মৃদু কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন। বাড়তি পাওনা হিসাবে দূর হবে খুশকি ও অন্যান্য সমস্যা।

ডিম ব্যবহারের পদ্ধতি :
প্রথমে একটি বাটিতে একটি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল (জলপাই তেল) ও ১ চা চামচ মধু নিন (চুলের দৈর্ঘ্য ও পরিমাণ অনুযায়ী অলিভ অয়েল ও মধুর পরিমাণ বাড়াতে পারেন)। তারপর উপকরণগুলো খুব ভালো করে মেশান। যখন এটি মসৃণ পেস্টের আকার ধারন করবে তখন এত ব্যবহার উপযোগী হবে। মসৃণ পেস্টের মত হয়ে গেলে মাথার ত্বকে আলতো ঘষে মিশ্রণটি লাগিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পর প্রথমে ঠাণ্ডা পানি ও পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ভালো ফল পাবেন।

 গ্রীণ টি ব্যবহারের পদ্ধতি : গ্রীণ টি কম বেশি সবাই বানাতে জানি। বাজারে গ্রীণ টি পাওয়া যায়। প্রথমে গ্রীণ টি বানিয়ে নেবেন। অনেকেই গ্রীণ টিতে মধু বা চিনি দিয়ে থাকেন। কিন্তু চুলে ব্যবহারের জন্য গ্রীণ টি তে চিনি বা মধু দেবেন না। এক কাপ পরিমাণ গ্রীণ টি নিয়ে হালকা গরম থাকতেই পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগাবেন। ১ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

আলু ব্যবহারের পদ্ধতি :
একটি মাঝারি আকৃতির আলু ঝুরি করে চিপে এর থেকে রস বের করে নিন। এরপর একটি বাটিতে আলুর রস, একটি ডিমের সাদা অংশ ও ১ চা চামচ মধু খুব ভালো করে মেশান। খুব ভালো করে মিশে গেলে, মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় আলতো ঘষে লাগিয়ে নিন। এভাবে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। ২ ঘণ্টা পর একটি মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।

শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০

ব্লাশঅন দেয়ার সঠিক নিয়ম


নারীরা সাজগোজ ছাড়া কি থাকতে পারেন? মোটেই না। একটু আধটু সাজগোজ সব নারীই পছন্দ করেন। কাজল, লিপস্টিক, নেইলপলিশ দেয়া সাধারণ সাজগোজের মধ্যে পড়ে থাকে। যদি ভারী মেকআপ নেয়া হয় তখন আরও অনেক কিছুর দিকে নজর দিতে হয়। মুখের আকার এবং গালের দিকটি ফুটিয়ে তুলতে মুখের আকার আকৃতির সাথে মিলিয়ে ব্লাশঅন দেয়া হয়। কিন্তু সঠিক ভাবে ব্লাশঅন দিতে না পারলে দেখতে বেশ বিশ্রী লাগে। তাই বুঝে শুনে ব্লাশঅন দেয়া উচিত। তাহলে আজকে জেনে নিন কেমন আকৃতির মুখে কোথায় ব্লাশঅন দেয়া উচিত।

১) যদি উঁচু এবং বড় কপাল এবং চোয়ালের দিক চাপা হয় তবে কানের লতি থেকে গালের দিকে এবং থুঁতনির ঠিক মাঝে ব্লাশঅন দিন। এতে করে কপালের থেকে নজর সরে যাবে।

২) যদি থুতনি ও চোয়াল চওড়া এবং ছোটো কপাল হয়ে থাকে তাহলে গালের ওপরের দিকে এবং চোখের নিচের দিকে ও কপালে ব্লাশঅন দিন।

৩) যদি নাক অনেক বড় এবং ছড়ানো হয়ে থাকে তবে ঠিক নাকের মাঝের অংশে ব্লাশঅন দেবেন।

৪) যদি নাক অনেক বেশি চিকন এবং চাপা হয় তবে নাকের দুপাশে ব্লাশঅন দিন।

 মনে রাখুনঃ
 
– নিজের ত্বকের টোনের সাথে মিলিয়ে ব্লাশঅনের রঙ পছন্দ করার চেষ্টা করুন।
– অতিরিক্ত বেশি ব্লাশঅন ব্যবহার করবেন না।
– ব্লাশঅন দেয়ার ব্রাশ সব সময় পরিষ্কার রাখুন।

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

উৎসবের আগে ফ্রেশ দেখাতে স্পেশাল কিছু টিপস

১)উৎসবের আগের রাতে শ্যাম্পু করে রাখতে পারলেই ভালো হয়। পরের দিন সময় পাওয়া নাও যেতে পারে। তাই আগের রাতেই শ্যাম্পু মাস্ট। শ্যাম্পু করার আগে নারিকেল তেল একটু গরম করে মাথায় ভালো করে মাসাজ করতে হবে। তারপরে মাথাটাকে একটা তোয়ালে দিয়ে ৩০ মিনিট ঢেকে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। শ্যাম্পুর পরে চুলটা একটু শুকনো হলে হেয়ার সেরাম লাগিয়ে নিলে পরের দিন চুলটা খুব সিল্কি আর সফট লাগবে।

২) রাতে মুখ পরিষ্কার করে টোনার লাগানোর পরে আন্ডার আই ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে। এরপরে নাইট ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে। এতে পরের দিন চোখের তলায় কোন কালি পড়বে না আর মুখটা খুব স্মুথ দেখাবে

বিশেষ টিপসঃ   টক দই দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। টক দই মুখকে উজ্জ্বল করে তোলে।
৩) সকালে যে পোশাক, গয়না পরবেন সেটা আগে থেকেই রেডি রাখু্ন। নাহলে সকালে কিন্তু সব ভুল হবার সম্ভবনা থেকে যাবে।
৪) সকালে মেকাপের জন্য খুব বেশি ডার্ক বেইস মেক-আপ করবেন না। একটু ফেস প্রাইমার লাগিয়ে তারপরে একটু ম্যাট ফাউন্ডেশন লাগান। তার উপরে মিনেরাল ফেস পাউডার লাগিয়ে নিন। এই রুটিনটা মেনে চললে ঘাম হলেও মেকআপ গলে যাবার সম্ভাবনা থাকে না।
বিশেষ টিপসঃ বেইস মেক-আপ অর্থাৎ ফাউন্ডেশন লাগাবার আগে মুখে একটু বরফ দিয়ে ৫ মিনিট মাসাজ করুন তাহলে মুখে ঘাম হবে না।
৫) চোখঃ চোখের মেক-আপের জন্য কালো আইলাইনার ছাড়াও লাগাতে পারেন অন্য রঙের আই লাইনার। দিনের বেলাতে লাগাতে পারেন নীল রঙের আইলাইনার। যাদের চোখের রঙ একটু বাদামি তাদের সবুজ রঙের আইলাইনার পরলেও খুব ভালো লাগবে। এটা চোখকে খুব কমপ্লিমেন্ট করবে।
বিশেষ টিপসঃ  রাতের জন্য কালো আইলাইনারের উপরে অরেঞ্জ আইলাইনার দিয়ে একটা লাইন করতে পারলে সেটা একটা গরজিয়াস পার্টি লুক এনে দেবে।
৬) আইল্যাসঃ চোখের পাতা মানে আইল্যাসে মাস্কারা লাগানোর আগে একটু ক্রিম প্রাইমার লাগিয়ে নিয়ে মাস্কারা দিন। তাহলে সেটা আইল্যাসকে আরও প্রমিনেন্ট করে তুলবে আর মাস্কারা অনেক্ষণ স্টে করবে।
৭) ঠোঁটের মেক-আপঃ ঠোঁটে প্রাইমার লাগানোটা কিন্তু মাসট। ঈদের দিনটায় ন্যুড শেডের লিপস্টিক ঠিক মানাবে না। আজকের এই স্পেশাল দিনটায় ডার্ক রঙ যেমন লাল, ডার্ক পিঙ্ক, অরেঞ্জ এই রঙ গুলো বেস্ট লাগবে। লাইট রঙ পরতে চাইলে পার্পল, ভায়োলেট,বারগেন্ডি এই রঙ গুলো ভালো লাগবে।
বিশেষ টিপসঃ   ঠোঁটে ডার্ক রঙের লিপস্টিক পরে বাকি মেক-আপ টাকে সিম্পল রাখতে পারেন। এতে আপনাকে সবার থেকে আলাদা ও স্পেশাল দেখাবে।
৮) নিজের বডি ক্রিমের সাথে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে হাতে পায়ে গলায় লাগিয়ে নিন। এতে একটা ইভেন টোন পাবেন।
বিশেষ টিপসঃ   যদি নখ খুব পাতলা বা ভেঙে যাবার সম্ভাবনা থাকে তাহলে উৎসবের  আগের রাতে নখে তাজা রসুন ঘষে নিতে পারেন এতে নখ ভাঙার সম্ভাবনা কমে যায়।
৯) চুলঃ সারাদিনের অনেক অ্যাক্তিভিটির ফলে চুলটা অনেকটা ফ্ল্যাট দেখায়। তাই চুল যেভাবেই বাঁধুন না কেন শেষে একটু হেয়ার স্প্রে লাগিয়ে নিলে চুল একদম সেট থাকবে।
বিশেষ টিপসঃ    হেয়ার স্প্রে না থাকলে হেয়ার জেল আর পানি একসাথে মিশিয়ে নিয়ে লাগালেও চুল সেট থাকবে।
১০) সবচেয়ে জরুরী হলো সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। নাহলে কিন্তু নিজেকে খুব শুকনো দেখাবে। আর্দ্রতা চলে গেলে কিন্তু নিজেকে খুব কালো দেখাবে। পানি ছাড়াও লাস্যি, জুস এগুলো খাওয়া যেতে পারে তাহলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকবে আর সারাটাদিন আপনাকে খুব ফ্রেশ দেখাবে।

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পার্লারের মতো ম্যানিকিওর করুন বাসাতেই

১) নেইল পলিশ দেবার আগে উষ্ণ সাবানপানিতে হাত কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে হাত ধুয়ে নিতে পারেন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করবেন না, এটা হাতের ত্বক রুক্ষ করে দেবে। এরপর হাতে একটা ভালো হ্যান্ড ক্রিম মেখে নিতে পারেন। পার্লারের ম্যানিকিওরের বিকল্প হিসেবে এটা কাজ করবে।

২) বেস কোট এবং টপ কোট দেওয়াটা জরুরী। বেস কোট আপনার নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, নেইলপলিশের রঙ নখে শুষে নিতে বাধা দেয়। নখ হলদেটে হওয়া থেকে রোধ করে। আর টপ কোট দিলে অনেকদিন নেইল পলিশের রঙ এবং ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকে। সহজে চলটা ওঠে না।

৩) ফ্যান ছেড়ে রেখে তার নিচে বসে অনেকে নেইল পলিশ দেন। ভাবেন এতে দ্রুত নেইল পলিশ শুকিয়ে যাবে। কিন্তু এর ফলে আসলে কৌটার নেইল পলিশ শুকিয়ে যায় এবং বেশিদিন ব্যবহার করা যায় না।

৪) নখ দ্রুত শুকানোর জন্য বরফ-পানিতে হাত ডুবিয়ে রাখতে পারেন।

৫) কটন বাড নেইল পলিশ রিমুভারে ডুবিয়ে নিন। নেইল পলিশ দিতে গেলে ছোটখাটো ভুল ঠিক করতে এটা কাজে দেবে।

৬) গ্লিটার নেইল পলিশ সাধারণ নেইল পলিশের চাইতে অনেক বেশি টেকসই হয়। কিন্তু বেস কোট ছাড়া গ্লিটার নেইল পলিশ দেবেন না।

৭) নেইল পলিশ দেওয়া শুরু করার আগেই নেইল পলিশ রিমুভারে ভেজানো একটা কটন বল দিয়ে নখ মুছে নিন। আগের কোন নেইল পলিশ থাকলে সেটা মুছে যাবে আর নখে ভালোভাবে নেইল পলিশ বসবে।

৮) প্রথমে এক স্তর বেস কোট দিয়ে নিন। এটা শুকালে প্রথমে নেইল পলিশের একটা পাতলা স্তর দিন। এরপর দ্বিতীয় একটা স্তর দেওয়া যেতে পারে। সাধারণত তৃতীয় স্তরে নেইল পলিশ দেওয়া লাগে না। এরপরে টপ কোট দিয়ে হাত শুকিয়ে নিন।

৯) অনেকেই বাম হাতে ভালোভাবে নেইল পলিশ দিলেও ডান হাতে দিতে পারেন না। এর জন্য দারুণ একটা ট্রিক হলো আইকা জাতীয় আঠা দেওয়া। এই আঠা আপনার নখের চারপাশের ত্বকে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। এরপরে নখে নেইল পলিশ দিন। এতে আশেপাশের ত্বকে লেগে গেলেও সমস্যা নেই। আইকার স্তর টেনে উঠিয়ে ফেলুন, এর সাথে অতিরিক্ত নেইল পলিশ উঠে চলে যাবে।

১০) খুব বেশি পরিমাণে নেইল পলিশ দেবেন না। এটা মোটা একটা স্তর তৈরি করে যেটা সহজে শুকায় না এবং সহজেই চলটা উঠে আসে। পাতলা করে একটা বা দুটো স্তরে নেইল পলিশ দিন।
১১) নেইল পলিশ জমে ঘন হয়ে গেলে এর কৌটাটাকে ঝাঁকাবেন না। দুই হাতের মাঝে নিয়ে রোল করে নিন।

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ত্বকের জন্য রেগুলার ফেসিয়াল

হানি ফেসিয়ালঃ

প্রথমে ফেসওয়াশ আর স্ক্রাবার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে তারপর ভালো মানের মাস্যাজ ক্রিম দিয়ে হালকা হাতে মাস্যাজ করুন ১০ মিনিট। এরপর একটি গামলাতে গরম পানি নিয়ে মুখে গরম ভাপ নিন। এতে করে আপনার মুখে লোমকূপ গুলো খুলে যাবে। এবার ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াটহেডস থাকলে তা এক্সট্রাকটর দিয়ে পরিষ্কার করুন। এখন নীচের প্যাকটি লাগান।
যা যা লাগবে
১ টেবিল চামচ মধু,
একটি ডিমের কুসুম,
১ চা চামচ অলিভ অয়েল।
প্রণালীঃ
ডিমের কুসুম ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিন। তেল মিশান আবার ভালো ভাবে ফেটান। এবার অন্য একটি বাটিতে মধুর সাথে গরম পানি দিয়ে আলতো হাতে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ডিমের মিশ্রণের সাথে ফেটিয়ে নিন। সমস্ত মুখ এবং গলায় প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সব শেষে মুখে এক টুকরো বরফ ঘষে নিন। এতে খোলা পোর গুলো বন্ধ হয়ে যাবে। কী?? আয়নায় নিজেকে দেখে অবাক হচ্ছেন তো?? গত মাসে এত গুলো টাকা খরচ করে পার্লার থেকে ফেসিয়াল করে যেমনটি দেখাচ্ছিল ঠিক তেমনটিই লাগছে, তাই না? যেহেতু এই ফেসিয়ালে গরম ভাপ দিয়ে স্ক্রাব করে, ত্বক উপযোগী মাস্ক লাগিয়ে মুখের ময়লা পরিষ্কার করা হয় তাই মাসে ২ বার করলে কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না।

এলোভেরা ফেসিয়ালঃ

জানা কথা এলোভেরা ফেসিয়ালে এলোভেরা জেল ব্যবহার হবে। তবে তার আগে জেনে নিন এলোভেরাতে আপনার অ্যালার্জি নেই তো? এলোভেরা জেলে অক্সিন আর গিবেরেলিন্স নামের ২ টি হরমোন আছে। এই ২টি হরমোন ব্রণের সমস্যা দূর করে, সানবার্ন সারিয়ে দেয়, সেই সঙ্গে বয়সের ছাপও চটপট লুকিয়ে ফেলে। শুষ্ক, তৈলাক্ত বা মিশ্র ত্বকের অধিকারীরা অনায়াসে এই ফেসিয়াল করাতে পারেন।
ফেসওয়াশ বা ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে প্রথমে মুখটি পরিষ্কার করে নিন। স্ক্রাবার দিয়ে ত্বকের সব মরা কোষ তুলে ফেলুন। তারপর ব্র্যান্ডেড কোন মাস্যাজ ক্রিম দিয়ে মাস্যাজ করুন ১০-১৫ মিনিট। এবার এলোভেরা দিয়ে একটি প্যাক বানান। একটি শশার খোসা ছড়িয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর ৬ টেবিল চামচ শশার সাথে ৪ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল নিন। এর সাথে ২ টেবিল চামচ প্লেন দই মিশিয়ে নিন। চোখের চারপাশ বাদে পুরো মুখে প্যাকটি লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখটি ধুয়ে ফেলুন।

কিউকাম্বার ফেসিয়ালঃ

প্রথমে ফেসওয়াশ আর স্ক্রাবার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর ভালো মানের মাস্যাজ ক্রিম দিয়ে হালকা হাতে মাস্যাজ করুন ১০ মিনিট। এখন নীচের প্যাক টি লাগান।
যা যা লাগবে – ১টি শশা,
হাফ চা চামচ লেবুর রস,
ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে ফোম করে নেয়া।
প্রণালীঃ শশার খোসা তুলে ফেলুন। তারপর শশাটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর শশার রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ডিমের ফোমটা আলতো হাতে শশার প্যাকের সাথে মেশান। তারপর মুখে গলায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। হয়ে গেল স্বল্প খরচে আপনার কিউকাম্বার ফেসিয়াল। মাসে ২ বার এটা করতে হবে অনুজ্জ্বল, রোদে পোড়া ভাব কমানোর জন্য। তবে যাদের ব্রণ আছে তারা এই ফেসিয়ালে তেমন কোন উপকার পাবেন না।
সর্বোপরি রুটিন মাফিক জীবন যাপন আর পুষ্টিকর খাবার সাস্থ্যজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য। ধুমপান, অ্যালকোহল ত্যাগ করুন দেখবেন এমনিতেই আপনার চেহারা ঝলমল করছে। তবে, এটা সত্যি যে একটি বয়সের পর ত্বক তার মাধুর্য হারিয়ে রুক্ষ শুষ্ক মলিন হয়ে ওঠে তাই এর নিয়মিত যত্ন দরকার।

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

চুল পড়া রোধের কিছু কার্যকরী টিপস

চুল পড়া রোধ করতে হলে অবশ্যই এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন। নিজে নিজে চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিচে চুল পড়া রোধের কিছু  টিপস দেওয়া হলো- 

১।ধূমপান ত্যাগ করুন।এর কারনে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় , রক্ত নালিকাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় । এর কারনে চুল পড়া বেড়ে যায় এবং চুল বাদামি বর্ণ ধারন করে ।
২। অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না। চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী, তাই মাত্রাতিরিক্ত চা, কফি পান করবেন না।
৩। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। আয়রনের অভাবে আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোড়ার (হেয়ার ফলিকল) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে।
৪। ভিটামিন-ই চুল পড়া রোধে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী, তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খান। ভিটামিন-ই চুলের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় যা চুল বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এটি চুল পড়া রোধ করে।
ভিটামিন-ই এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিকেল অপসারণের মাধ্যমে স্কিনকে সুরক্ষিত রাখে। নাশপাতি, বাদাম ও জলপাই তেলে প্রচুর ভিটামিন-ই থাকে। অন্যদিকে ভিটামিনের সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে গম, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি।
৫। স্বাস্থ্যকর খাবার বা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শুধু যে চুল শক্ত করে তা নয়, চুল গজাতেও সহায়তা করে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবারও পরিহার করুন।
৬। ওমেগা- থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে খুব কার্যকর। সাধারণত বিশেষ ধরনের মাছে এই উপাদানটি থাকে। তবে আমাদের দেশে এসব স্যামন, ম্যাকারেল মাছ পাওয়া যায় না। প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড তিসির তেলে পাওয়া যায়। আর এই তেল পাবেন স্থানীয় বাজারেই। মনে রাখবেন, এই তিসির তেল কিন্তু মাথায় লাগানোর জন্য নয় অথবা রান্নায় ব্যবহার করার জন্যও নয়। প্রতিদিন ২ চা চামচ তিসির তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে আসতে পারে। এছাড়া প্রচলিত চুল সুরক্ষার তেল ব্যবহার করার মাধ্যমেও চুলের প্রতি যত্নশীল হোন।
৭। নতুন চুল গজাতে উদ্দীপনা দেবার জন্য প্রতি সপ্তাহে চুলের ত্বক ম্যাসেজ করুন।
৮। চুলে অপ্রয়োজনীয় ঘষা-মাঝা, অতিরিক্ত আচরানো পরিহার করুন। গরম পানি, ড্রায়ার বা এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা চুলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।
৯। চুলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
১০। পর্যাপ্ত ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
টিপস
** চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান অথবা ই ক্যাপ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলে লাগান। ক্যাস্টর অয়েল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন।চুল পরা কমে যাবে।
**যেসব চুলের গোরা চটচটে ও উপরিভাগ রুক্ষ সেসব চুল সাধারনত মিশ্র প্রকৃতির চুল।এরকম চুলে সপ্তাহে অন্তত 3 দিন শ্যাম্পু করুন ও কন্ডিশনার ব্যাবহার করুন।শ্যাম্পুর আগে কুসুম গরম তেলে লেবুর রস মিশিয়ে হালকা মাসাজ করে নিবেন।চুল ভাল থাকবে।

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

শসার যেসব রেসিপি দ্রুত ওজন কমাবে

ওজন কমানোর জন্য কতরকম চেষ্টা। ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি, খাবারের তালিকায় কাটছাঁট! কিন্তু শসা নামক নিরীহ সবজিটি আপনার ওজন দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে, তা কি জানা আছে? শসা শুধু আপনার ওজন কমাবে তাই নয়, সঙ্গে শরীরে পানির চাহিদা মেটাবে।

 শসায় মোটেই ফ্যাট নেই, আর ক্যালোরিও নামমাত্র। তাই এই খাবার সহজেই শরীরের ওজন কমিয়ে ফেলায় সহায়ক। এছাড়া শসাতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও নানা খনিজ লবণ। শুধু শসা খেতে ভালো না লাগলে রয়েছে অন্য উপায়। চলুন জেনে নেয়া যাক-


শসার রায়তা বানানো যতটা সহজ, ততই সুস্বাদুও। গ্রেটারে শসা ঘষে নিন। এরপর তা টক দই, লবণ, জিরা গুঁড়া, ধনেপাতা, গোলমরিচ গুঁড়া দিন। সব মিশিয়ে নিলেই রায়তা তৈরি
ব্লেন্ডারে ছোট ছোট করে কাটা শসার টুকরো, পুদিনা পাতা, লেবুর রস, সবুজ আপেল দিয়ে স্মুদি তৈরি করে নিন। এরপর এতে বরফের টুকরা মেশান। ঠান্ডা শসার স্মুদিতে যেমন পুষ্টিগুণ পাবেন, তেমনই মেদ ঝরবে চটপট। এতে স্বাদ বাড়াতে ভাজা মশলার গুঁড়া বা গোলমরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে দিন।

 স্মুদির মতোই বানিয়ে নিতে পারেন শসার শরবত। ধনে পাতা, আদা, শসার টুকরো, লেবুর রস দিয়ে বানিয়ে নিন শসার শরবত, আর প্রতিদিন খালি পেটে খান এটি, মেদ ঝরবে দ্রুত।
 গাজর, পেঁয়াজ, টম্যাটোর সঙ্গে শসা মিশিয়ে প্রায়ই আমরা সালাদ বানাই। এবার তাতে যোগ করুন একটু সিদ্ধ চিকেন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন কয়েকটি কাজু বাদাম আর লেবুর রস। ব্যস, দুপুরের খাবার তৈরি আপনার। আর এতেই কমবে ওজন।

সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০

চুল পড়া নিয়ন্ত্রনে আনতে ৫ টি খাবার

১. বাদাম এবং বীজ

পেস্তা বাদাম, ফ্লাক্স সীড (শ্বেত বীজ), মেথি বীজ, আখরোট, তিল প্রভৃতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা অ্যাসিড। যাতে রয়েছে এমন স্থিতিস্থাপক উপাদান যা চুলের ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
২০১৫ সালে জার্নাল অফ কসমেটিক ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদেরকে নিয়মিতভাবে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হয়েছে তাদের চুলপড়া ৯০% কমেছে। এছাড়া ৯০% রোগীরই মাথায় ফের শক্ত চুল গজিয়েছে। মেথি বীজ খুশকি দূর করতে এবং স্বাস্থ্যকর চুল গজানোতে সহায়ক।

২. ডাল

নানা ধরনের ডালবীজে থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্তে লাল কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক। আর রক্তের লাল কোষ আমাদের মাথার ত্বক সজীব রাখে এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে।

৩.স্পিনাক

এই সবুজ এবং পাতাবহুল সবজিটি চুলের জন্য খুবই ভালো। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং আয়রন। চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ আয়রণের ঘাটতি। স্পিনাকে সেবাম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালিসিয়াম এবং পটাশিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা চুলকে উজ্বল এবং শক্ত রাখতে সহায়ক।

৪. ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর বায়োটিন এবং ভিটামিন ডি। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক। চুলপড়া সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ গবেষণায়ই দেখা গেছে চুল পড়ার অন্যতম কারণগুলোর একটি জিঙ্কের ঘাটতি।

৫. চর্বিবহুল মাছ

স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল জাতীয় মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মাথার ত্বকের কোনো ধরনের প্রদাহ হলে তা প্রতিরোধ করে চুল পড়া কমায় এই পুষ্টি উপাদান। আর তাছাড়া মাছে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ এবং প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম। এই পুষ্টি উপাদানগুলোও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

ব্যবহার পদ্ধতি

১টি বড় পেঁয়াজ ভালো করে পিষে ছাকনি দিয়ে ছেকে রস বের করে নিতে হবে। তারপর এই রস পুরো মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে একঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।

পেঁয়াজের গন্ধ বেশ তীব্র, যদি সহ্য না হয় তবে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে গোলাপ জল মেশানো যেতে পারে। একঘণ্টা পর মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চুল পড়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করা যাবে।

মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই :
মেহেদীর নির্যাস চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, ডিম মাথার ত্বকে সঠিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে। টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া Hair fall বন্ধে সহায়তা করে।
– মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী নিন, এতে মেশাম ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২-৩ টেবিল চামচ টকদই।
– যদি চুল অনেক শুষ্ক হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল দিয়ে ভালো করে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন।
– এই প্যাকটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন।
– এরপর সাধারণ ভাবে চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি প্রথম দিন চুল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ১ দিন এভাবেই রেখে তার পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন তাহলে সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন।
– এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে।

শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০

গলা ব্যথা উপশমের কিছু কার্যকরী প্রাকৃতিক উপায়


শীতে একটি সাধারণ সমস্যা হচ্ছে গলা ব্যথা ও গলা বসে যাওয়া। শীতকাল শুরু হলে হঠাৎ করেই আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়াতে অনেকেরই এই সমস্যা হয়। এটি সাধারনত তাপমাত্রা কমে যাওয়া ও এক ধরনের ফ্লু ভাইরাসের আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। আরো কিছু কারণে এই সমস্যা হতে পারে যেমন, এলার্জি জনিত কারণ, বায়ু দূষণ, শুষ্ক আবহাওয়া ও টনসিল জনিত সমস্যা ইত্যাদি। গলায় সমস্যা হলে কথা বলায় অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এবং অতিরিক্ত ব্যথা হলে গলা অনেক সময় ফুলেও যায়।
তাই শীতে বিশেষ করে শীতের শুরুতে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। তারপরেও সমস্যা হয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
গলা ব্যথা হলে কিছু পদ্ধতি অনুসরন করে এই ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
  • পদ্ধতি ১
উপাদেয় উপাদানঃ কিসমিস।
কিসমিস গলা ব্যথা উপশমে অত্যন্ত উপদেয় একটি উপাদান। ব্যথা কমে যাবার আগ পর্যন্ত এটি নিয়মিত খেলে গলা ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যায়।
  • পদ্ধতি ২
উপাদেয় উপাদানঃ আদা / আদার রস।
আদা / আদার রস গলার সমস্যায় অত্যন্ত কার্যকরী । আদা টুকরো করে অথবা আদার রস করে সেবনে গলার সমস্যা থেকে খুব সহজেই আরাম পাওয়া যায়।
  • পদ্ধতি ৩
উপাদেয় উপাদানঃ পানি, চা-পাতি, আদা, তুলসি পাতা।
১ কাপ পরিষ্কার ফুটানো পানি পাত্রে নিয়ে এতে ১/২ চা চামচ টুকরো করা আদা, ১/২ চা চামচ চা-পাতি, ২-৩ টি তুলসি পাতা দিয়ে ৫-১০ মিনিট চুলায় গরম করতে হবে। ৫-১০ মিনিট পরে এটি নামিয়ে রেখে দিতে হবে। কিছুক্ষন পর যখন হালকা গরমে পরিণত হবে তখন পানি পান করে নিতে হবে। এটি পানে গলা ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়, তুলসি পাতায় ভেষজ গুণ রয়েছে যা গলা ব্যথা সারাতে অত্যন্ত কার্যকরী।
  • পদ্ধতি ৪
উপাদেয় উপাদানঃ পানি, তুলসি পাতা, মধু।
১ গ্লাস পরিষ্কার পানিতে ৪/৫ টি তুলসি পাতা নিয়ে ৫ মিনিট ফুটাতে হবে। ফুটানো হয়ে গেলে এটি নামিয়ে ২ থেকে ৩ ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিয়ে পান করে ফেলতে হবে। এটি গলা ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকরী।
  • পদ্ধতি ৫
উপাদেয় উপাদানঃ পানি, মধু, লেবুর রস।
প্রথমে একটি লেবু নিয়ে তা থেকে লেবুর রস করে রাখতে হবে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস মৃদু গরম পানিতে ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে সকালের নাস্তার আগে খেতে হবে। প্রতিদিন এটি পান করলে গলা ব্যথা ও খুশখুশে কাশি সাড়াতে সাহায্য করে।
  • পদ্ধতি ৬
উপাদেয় উপাদানঃ গুড়, আদা।
গলা ব্যথা ও গলায় যাবতীয় সমস্যার উপক্রম দেখলেই একটি গুড়ের টুকরার সাথে ১ চা চামচ আদার রস/আদা টুকরা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে খেতে হবে।
  • পদ্ধতি ৭
উপাদেয় উপাদানঃ মেথি গুঁড়া, পানি।
মেথি গুঁড়া করে নিয়ে পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০

চর্বি কমানোর কার্যকর পরামর্শ

১. নিয়মিত হাঁটুন :
প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন। যে দূরত্বে হেঁটেই যেতে পারবেন সেখানে রিকশা করে যাবেন না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন। প্রথম কিছুদিন ক্লান্ত লাগলেও কয়েক দিন পর এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।

২. ভাজা পোড়া কম খান :
ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার কম খান। চেষ্টা করুন কম তেলে রান্না করা বা সেদ্ধ করা খাবার খেতে।
 


৩. ফাস্টফুড পরিহার করুন :
কোনভাবেই ফাস্টফুড খাবেন না। মেয়োনেজ, পনির, সস, তেল, মাখন এসব আপনার পেটে চর্বি জমতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।

৪. ঘুমানোর আগে হাঁটুন :
ভুঁড়ি হবার অন্যতম কারণ খাবার ঠিকভাবে হজম না হওয়া। ঘুমাবার অন্তত দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খান এবং খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে। পেট বাড়বে না।

৫. সিঁড়ি ব্যবহার করুণ :
অফিস বা বাসায় যতটা সম্ভব লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এটা পেটের জমে থাকা চর্বি অপসারণের খুব ভাল উপায়। এতে পেটের উপর চাপ পড়ে ও আস্তে আস্তে চর্বি কমতে থাকে।

৬. খাবার গ্রহণে নিয়ম মেনে চলুন :
দিনে তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ৫ বেলা কম করে খান। একেবারে না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। ভাত খাবার চেয়ে ফল বা সবজি বেশি করে খান। পেট ভরবে কিন্তু ভুঁড়ি বাড়বে না।

শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০

তৈলাক্ত ত্বকে দীর্ঘক্ষণ মেকআপ ধরে রাখার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের নারীরা সবসময়েই বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যায় পড়ে থাকেন তা হচ্ছে ত্বকে মেকআপ ধরে রাখার সমস্যা। শীত হোক গরম হোক সামান্যতেই ত্বকের মেকআপ গলে যাওয়ার সমস্যায় পড়েন তৈলাক্ত ত্বকের নারীরা। কারণ কিছুসময় পার হলেই ত্বকের অতিরিক্ত তেলের কারণে মেকাআপ গলতে থাকে। বিশেষ করে গরমকালে এই সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়। কিন্তু পার্টিতে গেলে একটু বেশি সময় ত্বকে মেকআপ তো থাকাই লাগে। তখনই মূল সমস্যা শুরু হয়। তবে চিন্তা করার কিছু নেই। এই সমস্যারও রয়েছে দারুণ কিছু সমাধান। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক তৈলাক্ত ত্বকে কি করে দীর্ঘক্ষণ মেকআপ ধরে রাখবেন।

১) প্রথমেই প্রাইমার ব্যবহার করুন
লস-অ্যাঞ্জেলসের মেকআপ আর্টিস্ট এমিলি ওয়ারেন বলেন, ‘তৈলাক্ত ত্বকে মেকআপ ধরে রাখতে প্রথমেই প্রাইমার ব্যবহার করে নেয়া উচিত। কপাল, নাক ও গালে অর্থাৎ মুখের ‘T’ জোনে ওয়াটার প্রুফ, অ্যান্টি-শাইনিং প্রাইমার ব্যবহার করুন’। প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে প্রাইমার ব্যবহার করুন এবং এরপর অন্যান্য মেকআপ করুন।

২) অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার করবেন না
অনেকের মতে পাউডার ব্যবহার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো, কারণ পাউডার ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নেবে। কিন্তু সমস্যা এখানেই। অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার করলে পাউডার বাড়তি তেল শুষে নিয়ে মুখের ভাঁজগুলোতে মেকআপ ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করবে। তাই মুখে অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার না করলেই বেশ খানিকটা সময় ত্বকে মেকআপ ধরে রাখতে পারবেন।

৩) ব্লটিং পেপার সাথে রাখুন
টিস্যু নয় ব্লটিং পেপার সাথে রাখুন। ব্লটিং পেপারের দ্রুত বাড়তি তেল ও ঘাম শুষে নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। যখনই মনে হবে ত্বক ঘেমে যাচ্ছে তখনই ত্বকে ব্লটিং পেপার চেপে ধরে বাড়তি তেল ও ঘাম শুষে নিন। মনে রাখবেন ব্লটিং পেপার ত্বকের ঘষতে যাবেন না, এতে মেকাআপ উঠে যাবে। শুধু চেপে ধরে তেল ও ঘাম শুষে নিন। এতে অনেকটা সময় মেকআপ নষ্ট হবে না।
৪) অয়েল ফ্রি মেকাআপ
একটু বেশি টাকা খরচ করে মেকআপের সরঞ্জাম অয়েল ফ্রি কিনে ফেলুন। প্রাইমার থেকে শুরু করে শ্যাডো পর্যন্ত সব কিছুই অয়েল ফ্রি কিনুন। এতে করে ত্বকে মেকাআপ ধরে রাখতে সমস্যা হবে না।

৫) অরিতিক্ত তৈলাক্ত ত্বক দূর করুন
সপ্তাহে অন্তত ২ দিন ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করতে মাস্ক ব্যবহার করুন। শসা, লেবু, চন্দন বা মুলতানি মাটির ঘরোয়া ফেসমাস্ক নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তৈলাক্ততা অনায়েসেই দূর করে নিতে পারেন। এতে মেকআপের এই সমস্যায় পড়তে হবে না।

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০

ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর যেভাবে করবেন

ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর কি ও কিভাবে করবেন?
প্রথমে রিমুভার দিয়ে নখের পুরোনো নেইল পলিশ তুলে ফেলুন। এবার কিউটিক্যাল অয়েল লাগিয়ে নিন নখের চামড়া বা কিউটিক্যালের উপর। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন, যাতে চামড়া কিছুটা নরম হয়। এবার হালকা হাতে নখের ওপর তেলটা একটু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে নিন। তারপর একটি কিউটিক্যাল পুশার দিয়ে আস্তে আস্তে কিউটিক্যাল পিছনের দিকে পুশ করুন। কিউটিক্যাল পুশারের অপর প্রান্ত দিয়ে নখে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন।

এবার নেইল কাটার এবং ফাইলার দিয়ে নখকে দিন আপনার পছন্দ অনুযায়ী আকার।
এবার চলে আসি মূল প্রসঙ্গে।
প্রথমেই আপনার কয়েক ধরনের নেইলপলিশ দরকার। কয়েক ধরনের বলতে তিন রঙের ওয়াটার কালার, পিঙ্ক বা বেইজ এবং ঝকঝকে উজ্জ্বল সাদা রঙ। এক নজরে দেখে নিন সেই রঙ গুলো।

স্বচ্ছ নেইল পলিশ লাগিয়ে নিন প্রথমে নখে। তাতে নখ ভালো থাকবে এবং যেকোনো রঙের নেইল পলিশ ব্যবহার করা হলে কেমিক্যাল থেকে সৃষ্ট হলুদ ছাপ নখে পড়া থেকে বিরত রাখবে। ক্লিয়ার কালারের নেইল পলিশটি শুকিয়ে গেলে এর উপর হালকা গোলাপি বা বেইজ রঙের নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর আরেক কোট নেইলপলিশ লাগান।

এরপর নেইল পলিশ শুকিয়ে যাওয়ার পর নখের সামনের দিকে অর্থাৎ আপনার নখের ওপর যেটুকু অংশ আপনি সাদা রাখতে চান,সেটি বাদে বাকি অংশে নেইল গাইড লাগিয়ে নিন ঠিক ছবিটির মত করে। এবার বাড়তি নখের উপর উজ্জ্বল সাদা রঙের নেইল পলিশ লাগিয়ে দিন। যেকোনো দোকানে আপনি এই স্টিকারগুলো কিনতে পারেন। এ ছাড়া স্টিকার ব্যবহার না করে সাবধানেও নেইল পলিশ দিয়ে নখের ওপরের অংশটি সাদা করে নিতে পারেন।

কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন এবার নেইল গাইডটি তুলে ফেলুন। ভালো করে নেইলপলিশ শুকালে এবার পুরো নখে স্বচ্ছ কালারের নেইল পলিশ লাগিয়ে নিন। এভাবেই হয়ে গেল আপনার ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর।
ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরের পরিচ্ছন্নতা, হালকা ভাব এবং একই সঙ্গে ফ্যাশনেবল ভাবের জন্য খুবই জনপ্রিয়। তবে বর্তমানে ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরের ধরনেও এসেছে বৈচিত্র্য। আজকাল ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরের সাদা রঙের বদলেও এসেছে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার। লাল, কালো বা ছাই রং অথবা আপনার পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারেন যেকোনো রং।  ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর অনেক দিন ধরে রাখতে কয়েক দিন পর পর ওপরের নেইল পলিশের কোটটি লাগিয়ে নিন।

সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০

ঘাড়ের কালো দাগ দূর করার ৪টি সহজ উপায়


মুখ সুন্দর থাকলেও অনেকের ঘাড়ে কালো কালো দাগ দেখা যায়। এতে সৌন্দর্যহানি ঘটে। ঘাড়ের কালো দাগ নিয়ে অনেকেই বেশ অস্বস্তিতে থাকেন এ জন্য।
 
তবে আপনি কি জানেন, লেবু ব্যবহার করে ঘাড়ের এই কালো দাগ দূর করা সম্ভব? জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে ঘাড়ের কালো দাগ দূর করতে লেবুর পাঁচটি ব্যবহারের কথা। লেবু ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। তাই এর মধ্য থেকে যেকোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে ঘাড়ের কালো দাগ দূর করুন।

১. লেবু ও গোলাপজল
এক টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ গোলাপজল মেশান। একে ভালোভাবে মেশান। একটি তুলার বলে মিশ্রণটি মেখে ঘাড়ের কালো অংশে ঘষুন। সারা রাত এভাবে রেখে দিন। পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি সব ধরনের ত্বকের সঙ্গেই মানাবে।


২. লেবু ও মধু
মধু ও লেবু ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় সমাধান হিসেবে ব্যবহার করা যায়। লেবুর রসের মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। একে ভালোভাবে মেশান। এর পর ঘাড়ে মাখুন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে দিন। এর পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি ত্বককে উজ্জ্বল করবে।
৩. লেবু ও হলুদের গুঁড়া
লেবুর রসের মধ্যে কয়েক ফোঁটা হলুদের গুঁড়া মেশান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধীরে ধীরে ঘাড়ের কালো অংশে লাগান। নিয়মিত এই পদ্ধতি মেনে চলুন। একপর্যায়ে ঘাড়ের কালো দাগ দূর হবে।

৪. লেবু ও টমেটো
টমেটোর পিউরি বা ভর্তা লেবুর রসের সঙ্গে মেশান। ঘাড়ের কালো অংশে এটি মেখে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট রাখুন। দিনে দুবার পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন। ঘাড়ের কালো দাগ দূর হবে।

৫. লেবু, জলপাইয়ের তেল ও মধু
এই তিন উপাদান মৃত কোষ দূর করতে খুব ভালোভাবে কাজ করে। এক টেবিল চামচ কাঁচা মধুর মধ্যে জলপাইয়ের তেল মেশান। এর মধ্যে লেবুর রস নিন। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট ঘাড়ে ম্যাসাজ করুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০

জেনে নিন পার্ল ফেসিয়াল করার নিয়ম

পার্ল ফেসিয়াল বর্তমানে বহুল আলোচিত। সব মেয়ের মুখেই শোনা যায় এই পার্ল ফেসিয়ালের কথা। এই ফেসিয়াল এখন গোল্ড ফেসিয়াল বা ফ্রুট ফেসিয়ালের মতই জনপ্রিয়। পার্ল ফেসিয়াল করতে হলে সব সময় যে পার্লারে যেতে হবে তা নয়। ঘরে বসেই আপনি করতে পারেন এই পার্ল ফেসিয়াল আর আনতে পারেন আপনার চেহারায় এক অপরূপ লাবণ্য।

তাহলে জেনে নিন আমাদের দেওয়া পার্ল ফেসিয়াল করার নিয়ম…

পার্ল ফেসিয়ালের কিছু উপকারীতা

• এটি ত্বক করে তোলে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত
• বয়সের ছাপ দূর করে
• ত্বক করে তোলে কোমল ও স্নিগ্ধ

পার্ল ফেসিয়ালের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ :

• পার্ল ক্রিম
• পার্ল পাউডার
• ফ্রেশ ক্রিম
• ক্লিঞ্জার
• দুধ
• পানি / গোলাপজল
• তেল ( শুষ্ক ত্বকের জন্য অলিভওয়েল ভালো )
• মধু
• ডিম
• লেবুররস
• টোনার

পদ্ধতি :

• পার্ল ফেসিয়াল করতে হলে প্রথমেই আপনাকে যেটা করতে হবে তাহল খুব ভালো ও উন্নতমানের পার্ল পাউডার ও পার্ল ক্রিম কেনা। এই দুটি প্রসাধনী আপনি মার্কেট থেকে কিনে নেবেন।

• এখন আপনার মুখমণ্ডল ক্লিঞ্জার দ্বারা ভালো মত পরিষ্কার করুন। আপনি একটি তুলা দুধের মধ্যে ডুবিয়ে তা দিয়ে মুখমণ্ডল পরিষ্কার করতে পারেন। বেসন ও দুধের মিশ্রণ-ও একটি ভালো ক্লিঞ্জার হিসেবে কাজ করে।

• এবার পার্ল পাউডারের একটি পেস্ট প্রস্তুত করুন। এর জন্য পার্ল পাউডার পানি অথবা গোলাপজলের সাথে মিশিয়ে নিন। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তবে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মেশান।

• এবার পেস্টটি আপনার মুখমণ্ডলে ৫ মিনিটের মত ম্যাসাজ করুন এবং আরো ৫ মিনিট মুখে রাখুন। এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

• এবার মুখ মুছে পার্ল ক্রিম লাগান। আলতো ভাবে লাগাবেন। খুব বেশি জোরে ঘষবেন না। এতে মুখ লাল হয়ে যেতে পারে। ক্রিম দিয়ে মুখ প্রায় ৫ মিনিট আলতো ভাবে ম্যাসাজ করুন।

• এপর্যায়ে মাস্ক প্রস্তুত করুন। যদি আপনি বয়সের ছাপ থেকে মুক্তি পেতে চান তবে ডিম ও মধু মেশান এবং তার সাথে লেবুর রস ও এক চামচ পার্ল পাউডার মেশান। এই মাস্ক টি ধীরে ধীরে মুখে লাগান। দাগ থেতে মুক্তি পেতে চাইলে ফ্রেশ ক্রিমের সাথে ১ চামচ পার্ল পাউডার মেশান। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ফ্রেশ ক্রিম প্রস্তুত করা কোন কঠিন কাজ নয়। ফ্রেশ ক্রিম পেতে হলে দুধ জ্বাল দিন ঘনকরে এবং তার থেকে সর নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে প্রায় ১ দিন ফ্রিজে রাখলে আপনি ফ্রেশক্রিম পাবেন। তবে সর অল্প পরিমাণ হলে ১ দিন রাখার দরকার নেই। কয়েক ঘণ্টাতেই হয়ে যাবে। সবশেষে টোনার লাগিয়ে নিতে ভুলবেননা। জেনে নিলেন কিভাবে পার্ল ফেসিয়াল করতে হয়। তবে আর দেরী কেন? এখন-ই করুন ঘরে বসে পার্ল ফেসিয়াল আর আপনার ত্বকে নিয়ে আনুন মাধুর্য।

বি: দ্র: যাদের সেনসিটিভ ত্বক তাদের জন্য এই ফেসিয়াল উপযোগী নয়।

বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০

ঘরে বসে হারবাল ফেসিয়াল

 

ঘরে বসে হারবাল ফেসিয়াল

যা যা লাগবেঃ
১. হারবাল ক্লিনজিং মিল্ক,
২.ফেসিয়াল স্ক্রাব,
৩.টোনার,
৪.ময়েশ্চারাইজার,
৫.আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী প্যাক তৈরির উপাদান,

ফেসিয়াল করতে হয় কয়েকটি (৬টি) ধাপেঃ

১ম ধাপঃ
ফেসিয়াল করার শুরুতে মুখটা পরিষ্কার করে নিন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটা ভেজা নরম তোয়ালে রুমাল দিয়ে মুখটা মুছে ফেলুন। এরপর যে কোনও হারবাল ক্লিনজিং মিল্ক পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মুখটা ৫/৬ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করার নিয়ম হচ্ছে উভয় হাতের চার আঙুলের সাহায্যে নিচ থেকে উপরের দিকে। কপাল, থুতনি ও ঠোঁটের উপরে করতে হয় দুই আঙুলের সাহায্যে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুখটা মুছে নিন।

২য় ধাপঃ
গরম পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিন। এরপর সমস্ত মুখে ফেসিয়াল স্ক্রাব ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের মরা কোষ ঝরে যাবে এবং ত্বক মসৃণ ও নরম হবে।

৩য় ধাপঃ
একটি গামলায় ফুটন্ত পানি নিন। মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে গামলা থেকে উড়ে আসা পানির বাষ্প মুখে লাগতে দিন। এভাবেপাঁচ মিনিট থাকতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ত্বক যদি সেনসেটিভ হয়, ত্বকে ব্রণ বা অন্য কোনো দাগ থাকে তবে এই ধাপটি বাদ দিন।

৪র্থ ধাপঃ
এরপর মুখটা মুছে নিয়ে লাগান আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্যাক:

• তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন চন্দনের প্যাক। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে আধা চামচ লেবুর রস, পাকা পেঁপে এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
• শুষ্ক ত্বকের জন্য আধা কাপ কলা ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুনএতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে
• মিশ্র ত্বক গোলাপ ফুলের পাপড়ির পেস্ট, গোলাপজল, টক দই ও মধু দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
• ত্বকে রোদে পোড়া দাগ হলে পাকা টমেটোর রস লাগান। পাকা টমেটো প্রাকৃতিক বিচের কাজ করে।

৫ম ধাপ: টোনারঃ
এক টুকরো তুলোয় টোনার নিয়ে সারামুখে ও ঘাড়ে লাগান। বাজারে কেনা টোনার না থাকলে শসার রস বা আলুর রস টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে চোখের চারপাশে টোনার লাগাবেন না।

৬ষ্ট ধাপঃ
সব শেষে মুখে লাগান ময়েশ্চারাইজার। মুখটা একটু ভেজা থাকতেই দু’হাতে ময়েশ্চারাইজার লোশন নিয়ে আলতো হাতে লাগান। মুখের যেসব জায়গা বেশি শুষ্ক সে জায়গাগুলোতে দু’বার করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এতে দীর্ঘ সময় ত্বক আর্দ্র থাকবে।

বাড়িতে বসে ফেসিয়াল করতে কেমিক্যাল জাতীয় তেমন কিছু ব্যবহার করা হয় না বলে এটা ঘন ঘন করলেও তেমন কোনও সমস্যা নেই।

 

রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

গায়ের রঙের ধরন অনুযায়ী প্যানকেকের ব্যবহার

প্যানকেক ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি
* প্যানকেক ব্যবহারে দক্ষ হাতের প্রয়োজন। এ ছাড়া জানা থাকতে হবে কী কী শেডের প্যানকেক আপনার জন্য উপযোগী।
* প্যানকেক ব্যবহারের আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
* ত্বকে ময়েশ্চারাইজার সেট হওয়ার জন্য ২-৫ মিনিট সময় দিয়ে তারপর প্যানকেক ব্যবহার করুন। স্পঞ্জ পাফ পানিতে ভিজিয়ে প্যানকেক ব্যবহার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে বরফ ঠাণ্ডা পানি হলে সবচেয়ে ভালো হয়, ত্বকে মেকআপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে।
* স্পঞ্জ পানিতে ভিজিয়ে অতিরিক্ত পানি চিপে ফেলে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে প্যানকেক নিয়ে (যে যে শেড আপনার দরকার তা একসঙ্গে স্পঞ্জ লাগিয়ে নিন) সমানভাবে পুরো মুখে লাগাতে হবে। একবার পুরু করে না লাগিয়ে হালকা করে স্তরে স্তরে লাগান এবং প্রতিবার পাফ করার আগে মুখে পানি স্প্রে করে নিন, এতে সব জায়গায় সমান হবে।
* সমানভাবে প্যানকেক ব্লেন্ড করতে অনুশীলনের প্রয়োজন হয়। প্যানকেক সেট হতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় দরকার। এই সময়ের পরই বুঝতে পারবেন যে আপনার দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না এবং কালার ম্যাচিং কতটা ভালো হয়েছে।
* অনেক সময় মুখের মেকআপ একটু হলদেটে হয়। এর কারণ হলো হলুদ প্যানকেক পরে লাগানো। এ ক্ষেত্রে ২-৩টি প্যানকেক মিশিয়ে লাগানোর সময় স্পঞ্জে হলুদ রঙের প্যানকেকটি প্রথমে লাগাতে হবে।
* নাকের দুই পাশ, গালের হাড়, থুঁতনি, চিবুক ইত্যাদি অংশের ভাঁজ ঢাকার জন্য ডার্ক শেড ব্যবহার করতে হবে। তবে সরাসরি না করে, আপনার উপযোগী নির্দিষ্ট শেডের সঙ্গে মিলিয়ে।

কোন শেডটি আপনার জন্য?
* গায়ের রং যদি খুব ফরসা হয়, তাহলে আপনি ২১ নম্বর শেড ও ইয়েলো- এই দুই শেড মিশিয়ে লাগাবেন। মনে রাখবেন, স্পঞ্জে আগে হলুদ প্যানকেক দুবার, তারপর ২১ নম্বর দুবার এভাবে মুখে লাগাতে হবে।
* যদি আপনি ফরসা হন, তবে ২২, ২৩ বা ২৪ ও হলুদ- এই তিনটি শেড মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।
* উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের অধিকারীরা ২৫ নম্বর এবং হলুদ রঙের প্যানকেকের সঙ্গে ২৩ নম্বর অল্প পরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।
* যাঁরা শ্যামবর্ণ তারা ২৩ নম্বর ও হলুদ প্যানকেক ব্যবহার পারেন, তবে কেউ যদি একদম নিউট্রাল বেস চান, তবে তাঁকে ২৮ নম্বর এবং হলুদ শেড মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
* যাঁদের গায়ের রং কালো, তাঁরা ২৮, ৩০ এবং হলুদ- এ তিনটি শেড মিশিয়ে মুখে লাগাবেন।
* আপনার কাঙ্ক্ষিত শেডটি না পেলে সাদা ও গোলাপি শেডগুলো সামান্য পরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

প্যানকেকের ধরন
প্যানকেক মেকআপ প্লাস্টিক অথবা টিনের প্যানে কেকের মতো ফর্মে পাওয়া যায়। ওয়াটার বেসড হওয়ায় এটি শুধু পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা হলেও সেট হওয়ার পর মোটামুটি ওয়াটারপ্রুফ মেকআপে রূপ নেয়।

কিছু টিপস মেনে চলুন
* প্যানকেক পরিষ্কার করতে বেবি অয়েল বা অয়েল বেসড ক্লিনজার ভালো কাজ করে। অয়েল ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করার পর যদি কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে গোসল সেরে নিতে পারেন, তাহলে চুলের আশপাশে লেগে যাওয়া মেকআপও পরিষ্কার হয়ে থাকে।
* এ ধরনের ভারী মেকআপ আপনার ত্বককে শুষ্ক করে তুলতে পারে, তাই সম্ভব হলে ইভেন্টের পরদিন ত্বকের বাড়তি যত্ন নিন।
* প্যানকেক কেনার পর চোয়ালে লাগিয়ে দেখে নিন ত্বকের রং ও আন্ডারটোনের সঙ্গে মানাচ্ছে কি না।
* বিয়ে, গায়ে হলুদ বা অন্যান্য বড় উৎসবে ভারী মেকআপের প্রয়োজন হলে প্যানকেক ব্যবহার করা হয়। তাই কেনার সময় পানি প্রতিরোধী কি না বা গরম ও আর্দ্রতায় কতটা কার্যকর, স্থায়িত্ব কেমন দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
* সবশেষে প্যানকেক মেকআপ ভারী হওয়ায় অনেক সময় মুখের পোরগুলো বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্রণ দেখা দেয়। তাই বরফ ও টোনার ব্যবহার করুন প্যানকেক ব্যবহারের আগে।

মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০

ঝলমলে চুলের জন্য অ্যালোভেরা


চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার নতুন নয়। অ্যালোভেরার রয়েছে অনেকগুলো গুণ।  এর মধ্যে একটি হলো চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া চুলপড়া রোধ এবং খুশকি প্রতিরোধে অসাধারণ এই অ্যালোভেরা। চলুন জেনে নিই এর ব্যবহার-

. খুশকি দূর করতে মেহেদি পাতার সঙ্গে অ্যালেভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন চুলে।

. মাথা যদি সব সময় গরম থাকে তাহলে পাতার শাঁস প্রতিদিন একবার তালুতে নিয়ম করে লাগালে মাথা ঠাণ্ডা হয়।

. অ্যালেভেরা রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে।

. শ্যাম্পু করার আগে আধা ঘণ্টা অ্যালেভেরার জুস খাওয়া চুলের জন্য ভালো। এতে চুল পড়া অনেকাংশে কমে যায়। খুশকি কমাতেও এটি সহায়ক। অ্যালেভেরায় আছে অ্যালোমিন নামক উপাদান, যেটি চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বাড়িতে বসেও বানিয়ে নিতে পারেন অ্যালেভেরার কন্ডিশনার।

বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০

চুলের যত্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

ঘন ঘন চুল ধোয়া
কোকড়া ও ঘন চুল শুকনো হয়। এ কারণে এগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা উচিত। এতে প্রাকৃতিক তেলের উপকারিতা পাওয়া যাবে। কিন্তু এটি তৈলাক্ত হয়ে গেলে তা দ্রুত ধুয়ে ফেলা ভালো। অতিরিক্ত তেল চুলের ক্ষতি করে।
 
ভেজা চুল রাখবেন না
চুল ভেজা রাখা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে চুলের আকৃতিতেও পরিবর্তন হয়। অনেক ক্ষেত্রে চুল কোকড়া হয়ে যায়, যা পরে কৃত্রিম পদ্ধতিতে সোজা করতে হয়।

বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই চুল শুকিয়ে নিন
অনেককে চুল পুরোপুরি না শুকিয়েই বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়। কিন্তু এটি মোটেও উচিত নয়। চুল সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে তবেই বাড়ি থেকে বের হওয়া ভালো। নাহলে চুলের আয়ু কমে যায় এবং চুলের নানা ক্ষতি হয়।

চুল উপর থেকে নিচে শুকিয়ে নিন
চুলের গোড়া ভালোভাবে শুকিয়ে তারপর পরের অংশ শুকান। চুলের গোড়া শুকানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গোড়া ভালো থাকলে চুলের অন্য অংশেও তার উপকারিতা যাবে।

চুল পরিচর্যায় বেশি পণ্য ব্যবহার করবেন না
চুলের পরিচর্যায় বহুধরনের পণ্য ব্যবহার করা উচিত নয়। অনেকেই চুলের যত্নে ভিন্নধরনের স্প্রে, তেল, জেল, শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করেন। তবে এসব পণ্য প্রয়োজন অনুপাতে ব্যবহারই ভালো।

ভারি জেলের পরিবর্তে হালকা স্প্রে ব্যবহার করুন
চুলে ভারি জেল ব্যবহার করার তুলনায় হালকা স্প্রে ব্যবহার ভালো। ভারি জেল অনেক সময় চুলের ক্ষতি করতে পারে

শুকনো চুলে প্লাস্টিকের চিরুনি ব্যবহার করবেন না
শুকনো চুল ও প্লাস্টিকের চিরুনির ঘর্ষণে সেখানে স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। এগুলো চুলের জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে শুকনো চুলে ধাতব চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে চুলের ভেতর স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে না এবং চুল পরস্পর আটকেও যাবে না।
চুলের যত্নে যে ১২টি টিপস আপনার কাজে আসবে

কোকড়া চুলের জন্য হেয়ারস্প্রে ব্যবহার করুন
চুলের যত্নে বহু স্প্রে পাওয়া যায় বাজারে। এগুলোর মধ্যে ভালো একটি ব্র্যান্ড বেছে নিয়ে তা প্রয়োগ করতে পারেন কোকড়া চুলের জন্য।

পাতলা চুলে ফ্রিঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন
অনেক পাতলা চুলের মেয়েকে চুলের একটি হালকা ফ্রিঞ্জ বা ঝুলন্ত একটি বাড়তি অংশ রাখলে সুন্দর লাগে।

চুল স্টাইলিস্টের কাছ থেকে ব্যাককম্বকরুন
চুলের স্টাইলিস্টের কাছ থেকে সাজিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ব্যাককম্ব’ করে নিলে তা সবচেয়ে ভালো কাজ করে। কারণ এটা অন্য স্টাইলগুলোর তুলনায় বেশি সময় রাখা যায়।

চুল এলোমেলো হয়ে গেলে যুদ্ধ করবেন না
হঠাৎ করে চুল এলোমেলো হয়ে গেলে সেগুলো আগের মতো স্টাইলে সাজানোর জন্য যুদ্ধ করবেন না। তার বদলে এগুলো সাধারণভাবে পেছনে ঝুলিয়ে রাখুন। এটিও অনেক ক্ষেত্রে ভালো দেখায়।

মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০

মুখের ‘স্পা’ ঘরে বসেই


ঋতুবদলের ধকল ছাড়াও সবসমই ত্বক কিছু পুষ্টি চায় যেন সে তার যৌবন ধরে রাখতে পারে।
ত্বকের এই পুষ্টির জন্য নামীদামী পণ্যের উপর নির্ভরশীল না হলেও চলবে। রান্না ঘরেই এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলো দিয়ে অনেক নামী পণ্যের চেয়েও ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।

ওটস ও মধুর স্ক্রাবার:
এ টেবিল-চামচ মধু, এক টেবিল-চামচ মিহি গুঁড়া করা কাঠবাদাম, দুই টেবিল-চামচ শুকনা ওটস আর সামান্য টক দই বা লেবুর রস মেশালেই হয়ে যায় চমৎকার একটা স্ক্রাবার।

দই-মধুর রূপটান:
টক দই, মধু সমান অনুপাতে নিয়ে পরিষ্কার আর্দ্র ত্বকে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণ ত্বক নরম, পেলব করে। এতে থাকা মধু ছোট ফুসকুড়ির মতো ব্রণ নিরাময়ে কাজ করে।

 কলার মুখের ক্রিম:
অর্ধেক পাকাকলা চটকে ক্রিমের মতো করে নিতে হবে। এরপরে তা মুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে প্রথমে গরম পানিতে পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ত্বকের কোষের ছিদ্রের মুখ বন্ধ হয়। সবশেষে একটা তোয়ালে চেপে পানিটা মুছে নিতে হবে।

মধু ও বাদামি চিনি:
দুই টেবিল-চামচ মধুর সঙ্গে দুই থেকে তিন চা-চামচ বাদামি চিনি মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ অসাধারণ স্ক্রাবার। মুখ ছাড়াও শরীরের বাকি অংশেও ব্যবহার করা যেতে পারে। স্ক্রাব করার পরে হালকা কুসুম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে।

লালচে ভাব দূর করার ফেইশল:
একটা আস্ত ডিম এবং গোটা একটা লেবুর রস মিশিয়ে ফেটাতে হবে। এক সময় যখন সেটা পানির মতো মিশে যাবে তখন মুখে মেখে মিনিট ১৫ রেখে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বকের লালচে ভাবে দূর হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০

ত্বক উজ্জ্বল করতে তিনটি ফলের ফেসিয়াল


ফল শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়, এটি ত্বককেও সুস্থ রাখে। ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আর এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তাই ত্বক উজ্জ্বল করতে চাইলে তিনটি ফল দিয়ে নিয়মিত ফেসিয়াল করুন, যা আপনার ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বককে করবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।

ত্বক উজ্জ্বল করতে তিনটি ফল দিয়ে কীভাবে ফেসিয়াল করবেন, সে সম্বন্ধে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগে।
স্ট্রবেরি ফেসিয়াল:
আধা কাপ স্ট্রবেরি বাটার সঙ্গে এক চা চামচ কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে মুখে হালকা ম্যাসাজ করুন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে স্যালিসিলিক এসিড রয়েছে, যা ত্বকের সংক্রমণ জাতীয় সমস্যার সমাধান করে, ত্বকের মরা কোষ দূর করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে।

অ্যাভোকাডো ফেসিয়াল:
অ্যাভোকাডো চটকে নিয়ে এর সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে মুখে হালকা ম্যাসাজ করুন। এবার এই প্যাক লাগিয়ে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, ডি, ই ও পটাশিয়াম রয়েছে, যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল করে।

কলার ফেসিয়াল:
কলা চটকে নিয়ে এর সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধু ও দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। এবার এই প্যাক লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। কলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে।

মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০

রাতারাতি ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ফর্সা

১। ত্বকের জন্য সবচেয়ে উপকারি হল দুধ। দুধের সঙ্গে টম্যাটো পিউরি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগাতে পারেন ত্বকে। এই মাস্কটি সারারাত লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। অবশ্যই ঠান্ডা জলে।

২। ব্ল্যাকহেডস-এর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ত্বকের যে অংশে ব্ল্যাক হেডস-এর বাড়বাড়ন্ত সেই সমস্ত জায়গাতে লাগিয়ে রাখুন। 30 মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বাড়ানোর জন্য দু-চামচ টক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানান। পেস্টটি মাস্কের মতো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বেড়ে যাবে।

৪। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদের থেকে ভাল কিছু হতেই পারে না। বিশুদ্ধ গুঁড়ো হলুদের সঙ্গে নারকেল তেলের মিশ্রণে পেস্ট বানিয়ে তা মুখে এবং গলায় মাখিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট পরে হালকা গরম জলে তা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে ২-৩বার করুন।

৫। তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময়ে কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা brightness বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। উপরন্তু অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে। এই ধরণের ত্বক থেকে মুক্তি পেতে হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে প্রয়োগ করুন। অচিরেই ফল পাবেন।

৬। তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে অব্যর্থ হল কফি বা কোকো পাউডার। এই পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে, গলায় মাসাজ করুন। মনে রাখবেন এই পেস্টটি সব সময়েই সাধারণ তাপমাত্রার জলে ধোবেন। কখনোই ঠান্ডা বা গরম জল ব্যবহার করবেন না।

৭। ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খুবই উপকারী হল দারচিনি। মধুর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখের ক্ষতিগ্রস্থ অংশের উপরে প্রলেপ লাগান। ঘণ্টা দুই এই প্রলেপ রাখার পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে একদিন অন্তর করে প্রয়োগ করুন এই টোটকা।

সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

মেকাপের খুঁটিনাটি/ মেকওভারের খুঁটিনাটি-

মেকওভারের খুঁটিনাটি-

মেকওভার বা এই রূপবদল আপনি যেকোন সময়ে করতে পারেন। আপনার ইচ্ছা অথবা কোন উৎসবের প্রয়োজনে নিজেকে সাজাতে পারেন সম্পূর্ণ নতুন কোন ভঙ্গিমায়। নিজের চিরচেনা ধারাটা ভেঙ্গে বেরিয়ে এসে নিজেকেই নতুন করে দেখার বিষয়টা সত্যিই মজাদার হবে।

মেকওভার এমন একটা বিষয় যা আপনি একদিনের জন্যেও ধারণ করতে পারেন, আবার চাইলে বেশ অনেকদিনের জন্যেও সেটা তুলে আনতে পারেন নিজের মধ্যে। সেটাও পুরোপুরি আপনার ইচ্ছা বা দরকার মতন হতে পারবে।

ধরে নিন, আপনার খুব বিশেষ একটি উপলক্ষ আছে সামনেই। অথবা কোন উৎসবের দিন ঘনিয়ে আসছে। সেইদিনে নিজেকে নতুন রূপে নতুন সাজে দেখবেন বলে ভাবছেন। তবে এবার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিন রূপবদলের জন্য!

চিরচেনা ছবি পাল্টে দেয়ার মানে কেবল এই নয় যে ভারী সাজপোষাকের আড়ালে আপনার এতোদিনের নিজের প্রতি অযত্নের ছাপ ঢেকে দিলেন। যদি অযত্ন করেই থাকেন এতোদিন, তবে এবার খানিক যত্ন নিন নিজের, সেটাও কিন্তু এক অর্থে মেকওভার হবে! খেয়াল রাখুন, সবাই আপনাকে অনেকগুলো দিন ধরে যা দেখেছে, যেমনটা তাদের কাছে আপনার চিত্র তৈরি হয়ে গেছে, সেটাকেই বদলে দিতে চলেছেন আপনি।

নিজের ছোটখাটো সব বিষয়েই বদল আনুন, যতোটা সম্ভব আপনার পক্ষে। মানুষের চেহারার ধরন অনেক বেশি করে তার কেশবিন্যাসের সাথে সম্পর্কযুক্ত। যদি নিজের মেকওভারটা বেশ কয়েকদিন ধরে রাখবেন বলেই ভেবে থাকেন তবে পাল্টে ফেলুন আপনার চুলের বিন্যাস। একেবারে ভিন্ন কিছু বেছে নিন নতুন হেয়ার স্টাইলে, তবে অবশ্যই যেন তা আপনাকে মানিয়ে যায়।

এতোদিনের সাজগোজেও বৈচিত্র আনতে হবে এইবার। চড়া সাজে স্বস্তি পাওয়া মানুষেরা সাজের বহরে একটু রাশ টানুন। হালকা, প্রাকৃতিক ধাঁচের মেকআপে মনযোগী হতে পারেন। মনে রাখুন, এই বদলটাই কিন্তু আপনার উদ্দেশ্য ছিলো। যারা নিত্যদিনের আয়োজনে কখনোই ঠোঁটে রঙের কাঁঠি ছোঁয়ানো পছন্দ করেন না, তারা এবার মাঝে মাঝে লিপস্টিক ব্যবহারের অভ্যাস করে নিতে পারেন। বা গাঢ় কাজল যাদের সবসময়ের অনিবার্য সাজের অংশ হয়ে থেকেছে তারা কাজলের কারবার তুলে দিন কিছু সময়ের জন্য।

গয়নার ব্যাপারেও সেই এক কথা চলবে। যেমনটা আপনার ধরন ছিলো আগে, বদলাতে হবে সেটাই। নতুন ধরনের জিনিস বেছে নিন। যে গয়নাটি কখনো পরা হয়নি, সেটি এবার পরেই দেখুন না কেমন লাগে নিজেকে।

পোশাকের ক্ষেত্রে একটু বেশিই সতর্কতা প্রয়োজন হয়। কারণ এই জিনিষটা স্পর্শকাতর হয় বেশি। আপনার রুচি বা ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহনকারী হিসেবে অন্য যেকোন জিনিস থেকে পোশাক অনেক এগিয়ে। এই জায়গাতে পরিবর্তন আনুন রয়েসয়ে, অনেক ভেবেচিন্তে তবেই ভিন্ন পথে হাঁটুন। শাড়ি থেকে সালোয়ার-কামিজ বা সালোয়ার-কামিজ থেকে জিন্স-কুর্তায় নিজেকে গুছিয়ে নেয়াটা হয়তো অতো কঠিন নয়, তা আপনি সহজেই সামলে নিতে পারবেন। কিন্তু খুব বেশি ভিন্নতা আনতে যেয়ে এমন কিছু করে বসবেন না যাতে আপনারই কখনো অস্বস্তি হয়, বা সবার সামনে আপনার ব্যক্তিত্ব ম্লান হয়ে যায়। আপনিই ভালো বুঝবেন কোন কোন পোশাকে আপনার রুচি, ব্যক্তিত্ব এবং সৌন্দর্য ফুটতে পারে, নতুন পোশাকটাও বেছে নিন তার মধ্যে থেকেই।

মেকআপ এবং মেকওভারের পার্থক্য তো জানা হলো। এবার তবে চাইলেই করে নিন নিজের রূপবদল। চলতি ধারায় মন হারিয়ে নিজেকেই হারিয়ে ফেলবেন না যেনো, নিজেকে তেমনটাই সাজান যেমন আপনাকে মানিয়ে যাবে। তাহলে বহুদিনের পুরনো হোক বা আনকোরা নতুন, সব রূপসজ্জায় আপনি অসাধারণ হবেন, বিশ্বাস রাখুন!

মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০

ত্বকের যত্নে চন্দনের ৫ টি অসাধারণ ব্যবহার

# বলি রেখা দূর করে
চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট আছে, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দন একটি চমৎকার anti-aging উৎস হিসেবে পরিচিত।

# রোদে পোড়া দাগ দূর করে
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বক জ্বলা কমাবে।

# ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি নেই। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।

# ডার্ক সার্কেল দূর করে
আপনার যদি ডার্ক সার্কেল থাকে তাহলে অল্প পরিমাণ চন্দনের গুড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হোয়ে যাবে।

# মুখের দাগ দূর করে
ডিমের কুসুম, মধু ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিক্সড করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে প্রতিদিন রাখলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।

# উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ১চা চামচ সাদা চন্দন কাঠের পেস্ট নিয়ে, আধা কাপ দুধের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আবার এই চন্দনযুক্ত দুধ খালিপেটে পান করুন। এরপর ৭-৮টি তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। কিছু সময়ের মধ্যেই রক্তচাপ কমে আসবে। ব্রঙ্কাইটিস রোগের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করলে উপকার পায়া যাবে

শনিবার, ৬ জুন, ২০২০

গায়ের রঙ ফর্সা করার কার্যকরী কিছু টিপস

আজ থাকছে গায়ের রঙ ফর্সা করার কার্যকরী কিছু টিপস। ঘরে বসে এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনি পাবেন ফর্সা ও দ্যুতিময় ত্বক। আপনাকে আর টাকা খরচ করে কেমিক্যাল যুক্ত বিষাক্ত প্রসাধনী কিনতে হবে না । চলুন জেনে নেই এই টিপসগুলি।

টিপস -১

মসুর ডাল গুঁড়ো করে নিন মিহি করে। তার মধ্যে ডিমের হলুদ অংশটা মেশান। রোদের মধ্যে এই পেস্টটা শুকিয়ে নিন ভালো করে। একদম মচমচে হয়ে গেলে গুঁড়ো করে শিশির মধ্যে ভরে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে শোবার আগে ২ ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে ১ চামচ দুধ ও এই গুঁড়ো খানিকটা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। আধ ঘন্টা রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর কাঁচা দুধ খানিকটা তুলোতে নিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন। আরও ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

টিপস -২
তিল বেটে নিন অথবা গুঁড়ো করে নিন। এতে সামান্য পানি মিশিয়ে ভালো করে চটকে নিন। এবার ছেঁকে নিন। ছাঁকার পর একটা সাদা রঙের তরল পাবেন সেটা মুখে লাগান, বিশেষ করে রোদে পোড়া জায়গায়। আধা ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। অচিরেই ত্বকের রঙ ফিরে পাবেন।
টিপস -৩
ত্বকের রং আরও ফর্সা করার জন্য টক দই লাগান মুখে। যাদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা মধু ও দই মিশিয়ে নিন। মিনিট বিশেক রাখুন মুখে, তারপরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এরকম লাগাতে হবে।

টিপস -৪
তৈলাক্ত ত্বক উজ্জ্বল করতে মুলতানি মাটি, থেঁতো করা পদ্মপাপড়ি ও নিমপাতা বাটা এবং চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ধুয়ে ফেলার পর মুখে কাঁচা দুধ লাগিয়ে রাখুন আরও আধা ঘণ্টা।

টিপস -৫
আলুর রস ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। সাথে দিন চন্দনের গুঁড়ো। দিনে ২বার এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট করে। দ্রুত রঙ উজ্জল হবে। চন্দন না দিলেও সমস্যা নেই।
এগুলো থেকে যে কোন একটি উপায় বেছে নিন। এবং অবলম্বন করুন। নাম্বার ৫ ছাড়া বাকি যে কোন প্যাক ব্যবহার করলে দিনে দুবার কাঁচা দুধ মুখে লাগিয়ে রাখবেন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন। এতে জলদি কাজ করবে।

লাস্ট টিপস

এক. এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১/২ টেবিল চামচ বাদামের তেল ভালো ভাবে মিশিয়ে মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে তারপর পরিষ্কার করুন। এই প্যাকটি মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াবে আর রোদে পোড়া ভাব দূর করবে।
দুই. বেশন, দুধ ২ চা চামচ এবং লেবুর রসের মিশ্রন মুখে, গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২বার লাগালে আপনার গায়ের রঙ অবশ্যই উজ্জ্বল হবে।

তিন. ঝকঝকে ত্বকের জন্য চন্দন গুঁড়োর অবদান অনস্বীকার্য। চন্দন গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে প্রত্যেকদিন হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। অল্প দিনের মধ্যে আপনার মুখে হাসি ফুটবেই।

চার. টমেটোতে অ্যালার্জি না থাকলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে এর ক্লাথ মিশিয়ে মুখে এবং গলায় ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনাকে অনেক ফর্সা দেখাবেই।

পাঁচ. ১/২ কাপ চায়ের লিকার(ঠাণ্ডা), ২ চামচ চালের গুঁড়ো, আধা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। চালের গুঁড়ো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করবে আর মধু মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।

ছয়. শশার রস আর মধু সমান পরিমাণ নিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। তবে তৈলাক্ত ত্বকে মধুর বদলে লেবু ব্যবহার করতে হবে।

সাত. সপ্তাহে একবার পাকা কলা চটকিয়ে মুখে লাগান আর ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুখে লুকিয়ে থাকা সব ময়লা নিমিষে পালিয়ে যাবে আর আপনি হয়ে উঠবেন আরও আকর্ষণীয়।



আট. ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ চিমটি কাঁচা হলুদ , ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস আর এক চা চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে ৫ মিনিট ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে মনে রাখবেন, হলুদ সবার ত্বকের জন্য নয়। তাই আগে একটু টেস্ট করে নিবেন কাঁচা হলুদ আপনার বন্ধু না শত্রু।

নয়. কাঁচা আলুর রস অথবা আলু পাতলা করে কেটে অথবা আলুর পাল্প দিনে ২বার করে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাবেন।

টিপসগুলো মেনে চলার আগে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন উপাদানগুলোর সাথে আপনার ত্বক মানিয়ে নিতে পারে কিনা। আগে অল্প করে হাতে লাগিয়ে দেখবেন কোন ধরণের চুলকানি কিংবা জায়গাটা লাল হয়ে যাচ্ছে কিনা, তারপর পছন্দসই প্যাকটি বেছে নিন।

বুধবার, ৩ জুন, ২০২০

ফেসপ্যাক লাগানোর আগে করণীয় কাজ

১। গোসলের আগে ফেসপ্যাক ব্যবহার
বেশিরভাগ সময় আমরা ফেসপ্যাক গোসলের আগে ব্যবহার করে থাকি। এতে ফেসপ্যাকের কার্যকারিতা কিছুটা কমে যায়। ফেসপ্যাক গোসলের পর লাগালে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব। প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখটি ধুয়ে ফেলুন। এতে করে ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে যাবে আর ফেসপ্যাকটি ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে। এছাড়া একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে মুখের উপর দিয়ে দিন। এভাবে কয়েক বার করে ৫ মিনিট করুন। এটিও আপনার ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে ফেলে। লক্ষ্য রাখবেন তোয়ালে যেন বেশি গরম না হয়ে যায়।

২। ম্যাসাজ করে ফেসপ্যাক লাগান
ত্বকেও ফেসপ্যাক ম্যাসাজ করে লাগান। আঙুল দিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে ফেসপ্যাক লাগান। এতে করে ফেসপ্যাকটি ত্বকের ভিতরে ভালভাবে প্রবেশ করবে। ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে তারপর শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন।

৩। ফেসপ্যাক মুখে খুব বেশি শুকাতে দিবেন না
এই কাজটি কম বেশি সবাই করে থাকেন। ফেসপ্যাক খুব শুকানোর না পর্যন্ত পরিষ্কার করেন না। কিন্তু এই কাজটি করা যাবে না। খুব বেশি শুকিয়ে গেলে ফেসপ্যাক আপনার ত্বককে রুক্ষ করে তুলবে। আর এর জন্য ত্বকে বলিরেখাও দেখা দিতে পারে। ফেসপ্যাক খুব বেশি শুকানোর আগে ধুয়ে ফেলুন।

৪। টোনার ব্যবহার করুন
ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলার পর টোনার ব্যবহার করুন। টোনার হিসেবে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করবে। এছাড়া গ্রিণ টি, মধু, গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন।

টিপস:
১। চেষ্টা করবেন সাথে সাথে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে। বাসি ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। তরল ফেসপ্যাক ব্রাশ দিয়ে লাগান।
৩। হাত দিয়ে ফেসপ্যাক লাগানোর ক্ষেত্রে হাত ভালো করে পরিস্কার করে নিবেন। অনেক সময় হাতের ময়লা ত্বকে প্রবেশ করে ফেসপ্যাকের মাধ্যমে।
৪। সরাসরি পানি দিয়ে মুখ না ধুয়ে একটি তুলা বা তোয়েলা পানিতে ভিজিয়ে ত্বক থেকে ফেসপ্যাক তুলুন। এতে সময় কিছুটা বেশি লাগলেও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হবে।
৫। ফেসপ্যাক ভাল হয় রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করলে। এতে ত্বক সারারাত বিশ্রামে থাকে এবং ফেসপ্যাক বেশি কার্যকর হয়।

রবিবার, ৩১ মে, ২০২০

ব্রণের সমস্যা নিয়েও মেকআপ করার গুরুত্বপূর্ণ টিপস

১) অনেকের ত্বকে খুব সহজেই ব্রণ ওঠে। তারা সাধারণ মেকআপ ব্যবহার না করে নন-কমোডোজেনিক বা নন-অ্যাকনিজেনিক পণ্যগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের পোর বা রোমকূপ বন্ধ করে না ফলে ব্রণের ভয় কমে যায়।

২) পাউডার ধরণের মেকআপ কম ব্যবহার করুন। তার বদলে বেছে নিন ওয়াটার বেসড লিকুইড মেকআপ। যেমন লিকুইড ফাউন্ডেশন এবং ব্লাশ।

৩) ভারী ধরণের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। এর বদলে ব্যবহার করুন একেবারেই হালকা ফাউন্ডেশন। টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারগুলো এক্ষেত্রে বেশি ভালো কাজ করে।

৪) ওয়াক্স আছে এমন পণ্য, অথবা স্টিক, প্যানকেক, পাউডার ধরণের ফাউন্ডেশনগুলো ব্যবহার না করাই ভালো কারণ এগুলো ব্রণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

৫) নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন আপনার মেকআপ ব্রাশ এবং স্পঞ্জ। কিছুদিন পরপর এগুলো পরিবর্তন করাতাও ভালো। কারণ পরিষ্কার না করলে আপনার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া এবং অতিরিক্ত মেকআপ এগুলোতে লেগে থাকে। ফলে ত্বকে মারাত্মক ব্রণের উপদ্রব হতে পারে।

৬) আলতো হাতে মেকআপ দিন। বেশি দ্রুত বা ঘষাঘষি করে মেকআপ দিতে গেলে ত্বকের আরও বেশি ক্ষতি হবে। ত্বকে যতো কম হাত দেওয়া যায় তত ভালো।

৭) ত্বক কখনো বেশি শুষ্ক হতে দেবেন না। ত্বক শুকনো রাখলে তা অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করবে এবং আরও বেশি বাড়বে ব্রণ। সারাদিন যেন ত্বক আর্দ্র থাকে তার জন্য হালকা একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন দিনে শুরুতেই।

৮) মেকআপ শুরুর আগে অয়েল ফ্রি প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। এতে তা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে আর সারাদিন মেকআপ ধরে রাখবে।

৯) ব্রণ ঢাকতে ব্যবহার করতে পারেন ম্যাট মেকআপ। গ্লসি মেকআপ ব্যবহার করলে ব্রণ আরও বেশি প্রকট হয়ে ফুটে ওঠে। ম্যাট মেকআপ এগুলোকে ঢেকে দেয় সহজেই।

১০) সম্ভব হলে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি মেকআপ ব্যবহার করুন। এগুলো ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

১১) কিছু কিছু ফাউন্ডেশন ব্রণের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। এগুলোতে থাকে স্যালিসাইলিক এসিড। সম্ভব হলে এগুলো ব্যবহার করুন।

১২) মেকআপে ডাইমেথিকোন থাকলে তা ব্যবহার করা ভালো এমন ত্বকের মানুষের। কারণ তা ব্রণ ঢাকতে সাহায্য করে।

বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০২০

ত্বকের যত্নে মসুর ডাল



মুখের কালচে ভাব দূর করতে 
মসুর ডালকে রাতে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সকাল বেলায় ডালটা পিষে মুখে লাগান। রোজ যদি মুখে এই প্যাকটা লাগান আপনার চেহারায় কালো ভাবটা দূর হয়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন, ডালটা রোজ তাজা তাজা পিষতে হবে আর কাঁচা দুধ ব্যবহার করবেন।

ত্বক সতেজ করতে
মসুরির ডাল পিষে তার মধ্যে মধু এবং দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক সতেজ হবে।

মুখে বা পিঠের দাগ দূর করতে 
যদি মুখে বা পিঠে দাগ হয়, তাহলে মসুরির ডালের সাথে পোলাও চাল মিশিয়ে পেস্ট করুন। এর সাথে চন্দন পাউডার, মুলতানী মাটি, কমলা লেবুর শুকনো গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। ৪ চামচ শশার রসও দিন। মুখে এবং শরীরের নানা স্থানে ঐ পেস্টটা লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার পরে ধুয়ে ফেলুন।

হাতের কনুইর রুক্ষভাব কমাতে এবং কালো দাগ দূর করতে 
দুধে মসুর ডাল ভিজিয়ে বাটুন। মসুর ডাল বাটা, হলুদ বাটা, পালংশাক বাটা, টমেটোর রস, সূর্যমুখীর তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কনুইয়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে 
রোদেপোড়া দাগ কমাতে মসুর ডালবাটা, কাঁচা হলুদবাটা ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।

বলিরেখা দূর করতে 
বলিরেখা দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে মসুর ডাল বাটা দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখুন ফেস প্যাক হিসাবে। নিয়মিত লাগালে অবশ্যই দারুন উপকার পাবেন।

সোমবার, ২৫ মে, ২০২০

ঈদের নজরকাড়া সাজের টিপস


ঈদে সুন্দরভাবে সাজার জন্য স্কিনকে একটু প্রস্তুত করা প্রয়োজন। তাই ঈদের আগের দিন একটি প্যাক লাগাতে পারেন, যা আপনাকে মরা চামড়াবিহীন, পরিষ্কার, উজ্জ্বল স্কিন দেবে। এক্ষেত্রে আপনি নিতে পারেন— মসুরের ডাল বাটা ২ চা চামচ, আধা ভাঙা চালের গুঁড়া ২ চা চামচ, দারুচিনি গুঁড়া ১/২ চা চামচ, পোস্তদানা বাটা ১/২ চা চামচ, পুদিনাপাতা বাটা ১/২ চা চামচ, ডিম ফেটা ২ চা চামচ, মধু ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, গোলাপ জল পেস্ট করার জন্য প্রয়োজনমতো।

তবে যাদের ড্রাই স্কিন তারা দুধ দিয়ে পেস্ট করবেন। মুখে মেখে ৩০ মিনিট পর ধোবেন।

সকালের সাজ :
সকালের সাজটা হবে স্নিগ্ধ, হালকা। শুধু ফেসপাউডার দিয়ে বেস তৈরি করে কাজল, মাস্কারা ও হালকা লিপস্টিক দিয়ে সাজটা সেরে নিতে পারেন। চুলকে বেণী, হাতখোঁপা, পনিটেল, যে কোনো ক্লিপ দিয়ে গুছিয়ে চট করে বেঁধে নেয়া যায়।

দিনের সাজ :
দিনের সাজ রাতের থেকে হালকা হবে। প্রথমে বেস তৈরির জন্য ফাউন্ডেশন লাগাবেন, যা আপনার স্কিনের রঙের সঙ্গে, স্কিনের ধরনের সঙ্গে মিল রেখে ব্যবহার করতে হবে। ফাউন্ডেশনের ওপর ফেস পাউডার বুলিয়ে নিন। এখন আই শ্যাড হিসাবে একটু হালকা কালার নিন। ন্যাচারাল করতে চাইলে হালকা গোলাপি, হালকা ব্রাউন, পিচ কালার—এভাবে স্কিন কালারের কাছাকাছি যে কোনো রঙ ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ড্রেসের সঙ্গে মিল রেখে মোভ, সবুজ, নীল—যাই ব্যবহার করেন না কেন সব কালারের একদম হালকা শ্যাডটা ব্যবহার করবেন। কাজল, কাজল পেন্সিল ব্যবহার করবেন। চাইলে হালকা শ্যাডের সঙ্গে অ্যামারেল গ্রিন, একোয়া মেরিন কালার পেন্সিল দিয়ে চোখে লাইনার টেনে দিতে পারেন, যা চোখকে আকর্ষণীয় করবে। এবার মাস্কারা ব্যবহার করবেন। আইব্রাড এঁকে নিন। লিপ লাইনার দিয়ে ঠোট এঁকে ন্যাচারাল কালার, ব্রাউন, পিংক, পিচ, মোভ দিন। যদিও এখন ডার্ক ও ম্যাট কালার চলছে, তবে দিনে খুব ডার্কার কালার না দিয়ে ডার্ক কালারের হালকা শ্যাডটা ব্যবহার করবেন। হালকা ব্রাউন, গোলাপি, ব্লাশঅন ব্যবহার করবেন। কপালে টিপ পরতে পারেন। চুলকে বেণী, খেজুর পাটি বেণী, ফ্রেঞ্চ বেণী, টপনট, একটু ছেড়ে রেখে বাঁধা, বিভিন্ন স্টাইলে বাঁধতে পারেন। ক্লিপ, আলগা বিভিন্ন খোঁপা দিয়েও চুলকে সাজাতে পারেন। সামনের চুলকে সেট করে অথবা একটু এলোমেলোভাবে বেঁধে পেছনে ক্লিপ বা খোঁপা বেঁধে নিলেই অল্প সময়ে পরিপাটি সাজ হয়।

রাতের সাজ :
রাতে মেকাপ বেস হিসেবে প্যানস্টিক, প্যানকেক, তার ওপর ফেস পাউডার ব্যবহার করবেন। স্কিনে দাগ না থাকলে সরাসরি প্যানকেক ব্যবহার করতে পারেন। আই শ্যাডো যে কোনো ডার্ক কালার ব্যবহার করা যায়। তবে গর্জিয়াস লুকের জন্য সোনালি, সিলভারের টাচ দেয়া যায়। একটু নতুনত্ব আনার জন্য গতানুগতিক শ্যাড না দিয়ে শ্যাড বা কালার পেন্সিল বা কালার লাইনার দিয়ে লাইন করে চোখ আঁকতে পারেন। ভলিউম মাস্কারা ব্যবহার করুন, আইব্রাশ এঁকে নিন। ডার্ক পিংক, ম্যাজেন্টা, ব্রাউন ব্লাশন ব্যবহার করুন। লিপস্টিকের সঙ্গে মিল রেখেও ব্লাশন ব্যবহার করতে পারেন। লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে লিপস্টিক লাগান। এখন ডার্ক কালার, যেমন—রেড, অরেঞ্জ, ম্যাজেন্টা প্রভৃতি গাঢ় শ্যাডের লিপস্টিক চলছে। ইচ্ছেমতো টিপ ব্যবহার করুন। চুল রাতে যেমন খুশি বাঁধতে পারেন। সামনে লুস ফ্রেঞ্চ ব্রেইড বা টুইস্ট করে পেঁচিয়ে নিয়ে পিছে সামান্য বাঁধতে পারেন। চুল সম্পূর্ণ কার্ল বা শুধু নিচে কার্ল করে ছেড়ে রাখতে পারেন। এখন বিভিন্ন স্টাইলের বেণী চলছে, তাও করতে পারেন। তবে চিরন্তন খোঁপা সব সময়ই চলে, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

রবিবার, ২৪ মে, ২০২০

ঘরেই করুন হুবহু পার্লারের মত নিখুঁত মেকআপ

১। ত্বক পরিষ্কার করা

প্রথমে মেকআপের জন্য ত্বককে তৈরি করুন। ভাল মানের ফেইস ওয়াস বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়েঁ ফেলুন। এতে আপনার মখের ময়লা সব চলে যাবে এবং মেকাআপ ভালভাবে মিশেয়ে যাবে আপনার ত্বকের সাথে।

২। ময়েশ্চারাজিং

হালকা কোন ময়েশ্চারাজিং ক্রিম বা লোশন দিয়ে কপাল, নাক, মুখ, চোখের চারপাশে ম্যসেজ করুন। ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা করুন যাতে লোশন বা ক্রিম ত্বকের সাথে মিশে যায়। ময়েশ্চারাজিং মেকআপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৩। ফাউন্ডেশন

ত্বক পরিষ্কারের পর শুরু হবে মেকআপ পর্ব। পারফেক্ট মেকআপ শুরু হয় ভালো বেস দিয়ে। বেসের প্রথম শর্ত হল নিজের ত্বক অনুযায়ে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা। ফাউন্ডেশন নির্বাচন করতে হবে নিজের গায়ের শেড থেকে এক অথবা দুই শেড হালকা। হালকা রং ত্বককে উজ্জ্বল দেখাবে। শেডিং এর জন্য গাঢ় রং দরকার।আপনার ত্বকের শেড অনুযায়ে ওয়েল ফ্রী ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। তাহলে মেকআপ ভালো ভাবে বসবে। মুখ তৈলাক্ত হলে পাউডার ফাউন্ডেশন লাগান।

৪। কনসিলার

কনসিলার আপনার মুখের দাগ, চোখের নিচের কালি ঢেকে দেয়। নিজের স্কিনটোনের সাথে মিলিয়ে কনসিলার কিনতে হলে আপনার ফাউন্ডেশন থেকে অর্ধেক শেড হালকা থেকে শুরু করুন। ত্বকের ব্লেমিস বা কালো দাগ black spot দূর করতে আপনার ফাউন্ডেশনের চেয়ে এক শেড হালকা তবে ব্ল্যাক আন্ডারটোনের কনসিলার ব্যবহার করুন। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল থাকলে সবুজ বা হলুদ রঙের কনসিলার বেছে নিলে ভালো কাজ করবে।তবে আপনি যদি ব্রণের দাগ,চোখের নিচের কালো দাগ ফাউন্ডেশন দিয়ে ঢেকে দিতে পারনে তবে কনসিলার ব্যবহার না করলে ও হবে।

৫। ফেইস পাউডার

বড় মেকআপ ব্রাশ দিয়ে সম্পূণ মুখে ফেইস পাউডার face powder ব্রাশ করুন। পাউডার পাফ অথবা ফেইস পাউডারের সাথে দেওয়া স্পঞ্জ দিয়ে হাল্কা করে বেইজের উপর বুলিয়ে বেইজ সেট করে নিন।

৬। চোখের মেকআপ

বেইজের পর আসে চোখ সাজানোর পালা। চোখের সাজে eye shaj শুরুতে চোখের ওপরের পুরো জায়গায় আই প্রাইমার দিন। এরপর আইশ্যাডো দিতে হবে। ড্রেসের সাথে মিলিয়ে দুই বা তিন শেডের আইশ্যাডো দিতে পারেন। বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করতে ব্যবহার করতে পারেন বাদামি আইশ্যাডো।

৭। ফলস ল্যাশেস

চোখ দুটোকে চটজলদি বড় আর মায়াবি করে ফেলতে কৃত্রিম পাপড়ি জুড়ি নেই। বাজারে নানা দৈর্ঘ্য ও ডিজাইনের কৃত্রিম পাপড়ি পাওয়া যায়।পছন্দ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন যে কোন প্রকারের আই ল্যাশেস।

৮। আইলাইনার

এরপর আইলাইনার চোখের ওপরে বা নিচে দিতে হবে। লিকুইয়েড,জেল,পেন্সিল যেকোন প্রকারে আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আইলাইনারের বিকল্প হিসাবে কাজল ও ব্যবহার করতে পারেন। আইলাইনার চিকন করে আই ল্যাশসের উপর দিতে হবে। যদি আপনি মোটা করে আইলাইনার দিতে চান তবে প্রথম আইলাইনার শুকানোর পর আরেকবার দিতে পারেন।

৯। মাশকারা

আইলাইনারে পর মাশকারা দেওয়ার পালা।চোখ আকর্ষণীয় করার জন্য ঘন করে মাশকারা দিতে হবে। একবার মাশকারা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে আবার মাশকারা দিন।মাশকারা দেওয়ার সময় চোখের ওপরের পাতা ওপরের দিকে উঠিয়ে দিতে হবে। পাতাগুলো যেন একটার সঙ্গে আরেকটা লেগে না যায়। আইব্রো পেনসিল দিয়ে ভ্রু এঁকে নিয়ে এরপর শুকনো মাশকারা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নেবেন।

১০। ভ্রু-র সাজ

ভ্রু-র সাজ়ে আইব্রো পেনসিল দিয়ে ভ্রু এঁকে নিয়ে এরপর শুকনো মাশকারা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নেবেন। ভ্রু কে ন্যাচারাল লুক দিতে চাইলে ভ্রু-র রঙ এর থেকে হালকা রঙ-এর আইশ্যাডো বেছে নিয়ে তা হালকা করে ভ্রু এর উপর বুলিয়ে নিন। এরপর সেই রঙ এর কাজল দিয়ে হালকা করে ভ্রু একেঁ নিন। এরপর আইব্রো ব্রাশ দিয়ে ভ্রু এর শেপ ঠিক করে নিন।

১১। লিপষ্টিক

লিপষ্টিক দেওয়ার আগে ঠোঁট ভাল করে পরিষ্কার করে নিন।এরপর হালকা করে লিপ বাম বা ভ্যাসলিন লাগান। ৫০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।ভ্যাসলিন বা লিপ বাম শুকিয়ে গেলে লিপিষ্টিক দিন। দিনে ঠোঁটের সাজ়ে ম্যাট লিপষ্টিক দিলে ভালো। রাতে ভারী লিপগ্লস ব্যবহার করতে পারেন। লিপষ্টিক দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে রাখার জন্য প্রথমে লিপষ্টিক থেকে এক শেড গাঢ় লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট আঁকতে হবে। এতে লিপষ্টিক ছড়িয়ে পড়বে না। এবার টিস্যু দিয়ে চেপে নিতে হবে। হাতের কাছে পাউডার থাকলে পাউডার দিয়ে চাপ দিয়ে আবার লিপষ্টিকে লাগাতে হবে।

১২। ব্লাশন

পুরো সাজ শেষ হয়ে এলে ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে। ব্লাশনের রং হিসাবে আপনি গোলাপি বা পিচ রং ব্যবহার করতে পারেন।উজ্জ্বল রং এর অধিকারীরা হালকা শেডের ব্লাশন আর শ্যামলা বা তার থেকে গাঢ় রঙের ত্বকের জন্য গাঢ় শেডের ব্লাশন ব্যবহার করতে পারেন।