সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

নতুন বছরে শত কাজের ফাঁকে নিজের একটু যত্নের দিকে নজর দিন

১/সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বেসিক একটা মেকআপ সবাই করে থাকে। সেই বেজ মেকআপ ঠিক রাখতে হলে বার      বার মুখে হাত দেয়া যাবে না।

২/ঠিক তেমনি ভাবে বারবার চুলে হাত দেয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের বাউন্সি ভাব নষ্ট হয়ে যায়।

৩/দিনের বেশির ভাগ সময় যেহেতু এসির মধ্যে কাজ করতে হয় সেহেতু তৈলাক্ত ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। একারনে     হাতের কাছে সব সময় টিস্যু রাখতে হবে। তবে ওয়েট টিস্যু কখনই নয়।

৪/আবার অন্যদিকে শুষ্ক ত্বক আরও বেশি ড্রাই বা শুষ্ক হয়ে যায়। তাই মাঝে মধ্যেই টোনার স্প্রে করা উচিত।

৫/কাজের ফাকে মাঝে মধ্যেই ঠোটে মশ্চারাইজ গ্লস ব্যাবহার করা উচিত। এতে ঠোট ফাটবে না।

৬/দুপুর বেলা কিংবা বাইওে থেকে আসার পর ফেশ ওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এরপর মশ্চারাইজিং ক্রিম এবং সানস্ক্রিন ব্যাবহার করতে হবে। ইনহাউসে সানস্ক্রিনের প্রয়োজন রয়েছে।

৭/হাত ধোয়ার পর হ্যান্ড লোশন লাগিয়ে নিতে হবে। তা না হলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যাবে।

৮/অফিসে থাকা অবস্থায় দেড় থেকে দু লিটার পানি পান করা উচিত। এতে করে স্ক্রিন ভালো থাকবে।

৯/কাজ গুলো হাটতে চলতেই করা যায়। খুব বেশি টেনস নেয়ার প্রয়োজন নেই। সারাদিন সতেজ থাকাই কাম্য।

বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

রুপচর্চায় লেবুর রসের উপকারিতা

১) মুখের শ্রী বৃদ্ধি করার জন্য এক টুকরো লেবুর রসের সাথে দুই চামচ দুধ মিশিয়ে তুলার সাহায্যে মুখে প্রলেপ লাগান। ১৫ – ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলু্ন।

২) মুখের ব্রন এবং ব্রনের দাগ স রানোর জন্য লেবুর রস ত্বকে মাখা একান্ত দরকার। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রনের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। লেবু কিংবা গাজরের রস অল্প একটু চিনির সাথে মিশিয়ে খেলে এর হাত থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়।

৩) আধা চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকে আদ্রতা আনবে। মেক আপ করার আগে মুখে এই রূপটানটি লাগালে মুখ উজ্জল হবে।

৪) মুখের বলিরেখার দাগ আপনার সাজ নষ্ট করে দেয়। ১০ গ্রাম লেবুর রস এবং ১০ গ্রাম টমেটোর রস একত্রে মিশিয়ে বলিরেখার উপর লাগিয়ে ৫ মিনিট পর রেখে ধুয়ে নিন। বলিরেখা থাকবে না।

৫) পাকা কলা, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ২০ – ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। আবার লেবুর রসের সঙ্গে দুধ ও চন্দনের গুড়া দিয়ে পেস্ট করে পোড়া জায়গায় ম্যাসেজ করলে উপকার পাওয়া যায়।

৬) লেবুর রস ও শসার রস সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন। ব্যাস তৈরী হয়ে গেল অ্যান্টিজেন্ট লোশন। এটি ত্বকে লাগিয়ে দেখুন। কয়েকদিনের মধ্যেই ত্বকের তেলতেলে ভাব কমে যাবে।

৭) হাতের কনুই, হাঁটু, পায়ের গোড়ালি এসব জায়গায় বেশি ময়লা জমে। এ নিয়ে অনেকের ই দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই। আধা টুকরো লেবু নিয়ে এই জায়গাগুলোতে ভাল করে ঘষে নিলে ময়লা উঠে গিয়ে ঝকঝকে হয়ে উঠবে।

সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

ত্বকের যত্নে চন্দন

# বলি রেখা দূর করে
চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট আছে, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দন একটি চমৎকার anti-aging উৎস হিসেবে পরিচিত।

# রোদে পোড়া দাগ দূর করে
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বক জ্বলা কমাবে।

# ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি নেই। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।

# ডার্ক সার্কেল দূর করে
আপনার যদি ডার্ক সার্কেল থাকে তাহলে অল্প পরিমাণ চন্দনের গুড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হোয়ে যাবে।

# মুখের দাগ দূর করে
ডিমের কুসুম, মধু ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিক্সড করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে প্রতিদিন রাখলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।

# উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ১চা চামচ সাদা চন্দন কাঠের পেস্ট নিয়ে, আধা কাপ দুধের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আবার এই চন্দনযুক্ত দুধ খালিপেটে পান করুন। এরপর ৭-৮টি তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। কিছু সময়ের মধ্যেই রক্তচাপ কমে আসবে। ব্রঙ্কাইটিস রোগের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করলে উপকার পায়া যাবে

শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮

ত্বকের যত্নে চন্দন


# বলি রেখা দূর করে
চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট আছে, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দন একটি চমৎকার anti-aging উৎস হিসেবে পরিচিত।

# রোদে পোড়া দাগ দূর করে
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বক জ্বলা কমাবে।

# ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি নেই। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।

# ডার্ক সার্কেল দূর করে
আপনার যদি ডার্ক সার্কেল থাকে তাহলে অল্প পরিমাণ চন্দনের গুড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হোয়ে যাবে।

# মুখের দাগ দূর করে
ডিমের কুসুম, মধু ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিক্সড করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে প্রতিদিন রাখলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।

# উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ১চা চামচ সাদা চন্দন কাঠের পেস্ট নিয়ে, আধা কাপ দুধের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আবার এই চন্দনযুক্ত দুধ খালিপেটে পান করুন। এরপর ৭-৮টি তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। কিছু সময়ের মধ্যেই রক্তচাপ কমে আসবে। ব্রঙ্কাইটিস রোগের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করলে উপকার পায়া যাবে

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

ফেসিয়াল করার সঠিক নিয়ম

ক্লিঞ্জিং
প্রথমে ক্লিঞ্জিং দিয়ে মুখ ধোয়ার পূর্বে প্রথমে গরম ভাপ নিয়ে নিন। এটি আপনার মুখের লোমকুপগুলো খুলে দিতে সাহায্য করবে। ভাপ নেয়া হয়ে গেলে ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন ভালো করে। দুধে তুলা ভিজিয়ে ত্বক পরিস্কার করে নিতে পারেন।

ক্রিম ম্যাসাজ
ফেসিয়াল ক্রিম দিয়ে ১০ মিনিট ত্বকে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে নিন।

স্ক্র্যাবিং
এবার স্ক্র্যাব দিয়ে মুখ আলতো ভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষুন। তারপর উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য চালের গুঁড়া, সুজি অথবা চিনি হতে পারে সবচেয়ে ভালো স্ক্র্যাব।

টোনিং
সমপরিমাণ ভিনেগার ও গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন টোনার। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে খুবই উপযোগী। তুলা দিয়ে টোনার মুখে লাগান কিন্তু ভুলেও ঘষবেন না। চোখের কাছে লাগাবেন না।

এই পর্যায়ে ফেসিয়াল যে কোনো একটি মাস্ক প্রস্তুত করুন।

একটা শসা কুড়িয়ে, সেটা থেকে রসটা বের করে এক চামচ চিনি ভাল করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। ত্বকে মেখে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। শসার রস ত্বককে হাইড্রেট করে, ফলে ত্বক অনেক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।

দু’চামচ মসুর ডাল সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে মসুর ডাল বেটে তার মধ্যে অল্প দুধ ও আমণ্ড তেল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই প্যাকটা মুখে মেখে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন।

শসার রস, এক কাপ ওটমিল ও এক টেবিল চামচ দই একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণটা পুরো মুখে মেখে তিরিশ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।

একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মিশ্রণটা ২০ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

আজকাল সারা বছর টমেটো পাওয়া যায়। একটি টমেটো ভাল করে চটকে নিন। সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে আমাদের ত্বকের দাগগুলো সব মিলিয়ে যাবে।

ফুটন্ত গরম পানিতে ১ চামচ গ্রিন টি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ১টি বাটিতে ২ চামচ মুলতানি মাটি নিন। তাতে ২-৩ চামচ গ্রিন টি ভেজানো পানি মেশান। অ্যালোভেরার আবরণ সরিয়ে রস বের করে নিন। এবার মুলতানি মাটি ও গ্রিন টির মিশ্রণে মিলিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন, তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।



বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮

সুন্দর ত্বকের জন্য ফলের তৈরী টোনার

১। কমলার রসের টোনার
তিন চার টেবিল চামচ কমলার রস এবং লেবুর রস একসাথে মেশান। এর সাথে যেকোন এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতে পারেন। এই মিশ্রণটি তুলোর বলে লাগিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। কিংবা একটা স্প্রে বোতলে এই মিশ্রণটি ভরে ত্বকের উপর স্প্রে করুন। নিয়মিত এই টোনার ব্যবহার করুন।

২। আপেলের টোনার
একটি আপেলের অর্ধেকটা কুচি করে কেটে রস বের করে নিন। এতে মেশান ২ টেবিল চামচ মধু। এই মিশ্রণ মুখে লাগান এবং ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে ১ সপ্তাহ ব্যবহার করতে পারবেন।

৩। শসা এবং টকদই
এক কাপ টকদইয়ের সাথে কিছু পরিমাণ শসার রস মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মুখ এবং ঘাড়ে ভাল করে লাগান। এটি ৫-১০ মিনিট ত্বকে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি তৈলাক্ত এবং স্বাভাবিক ত্বকের জন্য উপযোগী।

৪। পেঁপে টোনার
৬-৭টি পেঁপের টুকরো চটকে নিন। এর সাথে দুই-তিন টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মেশান। একটি তুলোর বলে এই মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।

৫। স্ট্রবেরী স্কিন টোনার
এক মুঠো স্ট্রবেরী পেস্ট করে নিন। এরসাথে চার-পাঁচ ফোঁটা গোলাপ জল মেশান। এই মিশ্রণটি ত্বকে টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন। একটি এয়ার টাইট বোতলে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।

রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

ব্রনের জন্য কিছু মানসিক সমস্যা দায়ী হতে পারে

১। ডিপ্রেশন
সারা বিশ্বের সবচাইতে সাধারণ মানসিক সমস্যা হচ্ছে ব্রণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে সারা বিশ্বে বিভিন্ন বয়েসর ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ ডিপ্রেশনে ভোগেন। ২০০১ সালের ডারমাটোলজিস্টদের করা এক গবেষণায় জানা যায় যে, ৫০ জন ব্রণের রোগীর মধ্যে ৩৮% এরই ডিপ্রেশন ছিল এবং ৪ জনের আত্মঘাতী চিন্তা ছিল। অবশেষ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হন যে, ব্রণের রোগীদের বিষণ্ণতাকে চিহ্নিত করা চিকিৎসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২। অ্যাংজাইটি
উদ্বিগ্নতার সমস্যায় ভুগলে প্যানিক অ্যাটাক, শ্বাসকষ্ট, পেটের সমস্যা, অনিদ্রা, পেশীর টেনশন ও অত্যধিক চিন্তার মত শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ২০১০ সালে ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, উচ্চমাত্রার অ্যাংজাইটিতে ভোগেন যারা তাদের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে। ৮২ জন ব্রণের রোগীর মধ্যে ৬৮% এরই অ্যাংজাইটির সমস্যা ছিল এবং এদের মধ্যে কারো কারো ডিপ্রেশনের ও সমস্যা ছিল।

৩। অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার (OCD)
OCD এর বিষয়টি খুবই হালকা ভাবে নেয়া হয় এবং এবং ব্যাঙ্গও করা হয়। OCD এক ধরণের তীব্র অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার যা ব্যক্তির প্রাত্যহিক জীবনে হস্তক্ষেপ করে এবং তার উৎপাদনশীলতায়ও বাঁধার সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালে ১৪৬ জন ব্রণ আক্রান্ত ও ৯৪ জন সুস্থ মানুষকে নিয়ে একটি গবেষণায় পরিচালনা করা হয়। গবেষকেরা লক্ষ করেন যে, ব্রণের রোগীদের শারীরিক কর্মদক্ষতার স্কোর খুব কম আসে। এর কারণ ব্রণ আক্রান্তদের বারবার মুখ ধোয়ার প্রবণতা থাকে। মুখ পরিষ্কার করলে ব্রণের সমস্যা কমে যাবে এই আশায় তারা দিনের বেশির ভাগ সময় মুখ ধোয়ার পেছনে ব্যয় করে।

৪। বডি ডিজমরফিক ডিজঅর্ডার
বডি ডিজমরফিক ডিজঅর্ডার কে আরো স্পষ্ট ভাবে বলা যায় যে ডিজমরফোফোবিক একনি একটি মানসিক অবস্থা যেখানে রোগী দিনে বেশ কয়েক ঘন্টা তাদের চেহারার ত্রুটি ঠিক করার জন্য ব্যয় করেন। রোগী তার এই ত্রুটি সম্পর্কে চিন্তা করা বন্ধ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে রোগী ব্রণের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি সচেতনতা অনুভব করেন এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে লজ্জা বোধ করেন। গবেষকেরা লক্ষ করেছেন যে, ব্রণে আক্রান্তদের বডি ডিজমরফিক ডিজঅর্ডার একটি সাধারণ মানসিক অবস্থা।

৫। অর্থোরেক্সিয়া নার্ভোসা
অর্থোরেক্সিয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অস্বাস্থ্যকর আবেশ। যা স্বাভাবিক জীবনের উপর হস্তক্ষেপ করে। এর ফলে অপুষ্টিতে ভোগা এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তারা সম্ভবত ব্রণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশুদ্ধ ও সঠিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে। যখন তারা ঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া করতে পারে তখন তারা অনুভব করে যে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আছে এবং তারা যদি তা করতে না পারে তাহলে অপরাধবোধ, লজ্জা এবং ভয় অনুভব করে।

শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

চালের গুড়ায় তৈরী ফেসপ্যাক


চালের গুড়া যেভাবে কাজ করবে –

  • চালের গুড়ায় থাকে খুবই উচ্চমানের PABA (Para aminobenzonic acid), যা খুব ভালো সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। ফলে সুর্যের অতি ক্ষতিকর রশ্মি থেকে স্কিন থাকে সুরক্ষিত ।
  • চালের গুড়ায় থাকা allantoin নামের উপাদান  রোদে পোড়া ত্বক ঠিক করে ও  ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক রিপেয়ার করে।
  • চালের গুড়ায় থাকা tyrosinase নামক উপাদান স্কিনের মেলানিন উৎপাদনের হার কমিয়ে আনে।
  • চালের গুড়া স্কিনের অতিরিক্ত  অয়েল ও সেবাম উৎপাদন দূর করে।
  • চালের গুড়ায় থাকে অতি উচ্চমানের ভিটামিন বি, যা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ নতুন করে উৎপাদন করে  ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে
  • চালের গুড়া ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ঝুলে পরা রোধ করে টানটান করে তুলে।
এই চালের গুড়া দিয়ে বেশ কয়েকভাবে মাস্ক বানানো যায়। তবে এখানে আমি তিনটি ফেসমাস্ক বানানোর কথা আপনাদের জানাবো যা আপনাদের স্কিনে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। ফেস থেকে দাগ-ছোপ দূর করবে, টানটান করবে, ফর্সা ও উজ্জ্বল করবে কয়েক সেড  পর্যন্ত।

(১) চালের গুড়া, আটা ও দুধের মাস্ক

  • এক চা চামচ চালের গুড়া
  • এক চা চামচ আটা
  •  এক চা চামচ গুড়া দুধ/ দুই চা চামচ লিকুইড দুধ
সব উপাদান ভালো করে মিশাতে হবে। এরপর মুখ ধুয়ে মিক্সারটা মুখে  ও গলায় লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে ভালো করে। খেয়াল রাখতে হবে মুখে যেন কিছু থেকে না যায়। সপ্তাহে  ২/৩ বার লাগাতে হবে মাস্কটা। এক মাসের মধ্যেই দেখবেন স্কিন ঝলমল করসে।

(২) চালের গুড়া,মুলতানি মাটি ও টমেটোর মাস্ক

  • এক চা চামচ চালের গুড়া
  • আধা চা চামচ মুলতানি মাটি
  • অর্ধেকটা টমেটোর রস
এক সাথে সব উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার মুখ ধুয়ে মাস্কটা মুখে ও গলায় লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি আপনার স্কিনের অতিরিক্ত তেল, সেবাম দূর করবে আর স্কিন উজ্জ্বল করবে ভীষণ রকম। এই মাস্কটিও সপ্তাহে ২/৩ দিন লাগাতে হবে। তবে খুব ভালো হয় যদি রোজ একবার লাগানো যায়।  তবে সপ্তাহের মধ্যেই রেজাল্ট পাওয়া শুরু করবেন।

(৩) চালের গুড়া ও অ্যালোভেরা মাস্ক

এই মাস্কটি খুব ভালো এক্সফলিয়েটিং প্যাক হিসেবে কাজ করে। স্কিনের মরা চামড়া দূর করে খুব এফেক্টিভ-ভাবে। এর জন্যে আপনাকে যা করতে হবে তা হল-
  • এক চা চামচ চালের গুড়া
  • দুই চা চামচ অ্যালোভেরার রস
মিক্স করে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। ২০ মিনিট পর মুখ পানি দিয়ে ভিজিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে করে মাস্ক তুলে ফেলতে হবে। এরপর যথারীতি প্রচুর পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুই বার করলেই হবে।
যে কোন হোমমেড মাস্কে সাধারণত কেমিক্যাল ফ্রি হয়। তাই এইসব মাস্ক কাজ করতে একটু সময় নেয়। কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট খুব দ্রুত কাজ করে ঠিকই কিন্তু তার সাইড এফেক্টও থাকে। মাঝে মাঝে সাইড এফেক্টের প্রভাব হয় খুব ক্ষতিকরভাবে। তাই সময় একটু বেশি লাগলেও কেমিক্যাল ফ্রি হোমমেড মাস্কগুলোই স্কিনের জন্যে ব্যবহার করা ভালো। এতে স্কিনের ক্ষতি তো হয়ই না বরং নিয়মিত ব্যবহারে দীর্ঘমেয়াদী ফল পাওয়া যায়।

সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

নাইট ক্রিম ব্যবহার করা কেন জরুরি ?

নাইট ক্রিমের কিছু উপকারীতার কথা  আমাদের ত্বকের জন্য-

(১) আপনার ত্বককে সারা রাত ধরে নাইট ক্রিম ময়েশ্চারাইজ রাখে। ফলে ত্বকের সজিবতা ঠিক থাকে ।
(২) ত্বক মসৃণ রাখে আর ত্বকে আরাম দেয়।
(৩) আপনার ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে।
(৪) নাইট ক্রিম মাসাজ করার ফলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
(৫)  ত্বক মসৃণ রেখে ত্বকের টেক্সচার ঠিক রাখে।
(৬) ত্বকের বলিরেখা আর অন্যান্য ভাঁজ কমায়।
(৭) ত্বক রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা করে ।
(৮) ত্বক নরম ও ফুটফুটে রাখে।
(৯) ত্বকে বুড়িয়ে যাওয়া ছাপ পড়তে বাধা দেয়।
(১০) ত্বকে নুতন কোষ জন্মাতে ও ত্বকে পুষ্টি জোগাতে  নাইট ক্রিম অসাধারণ।

কোন ধরনের নাইট ক্রিম লাগাবেন?

আপনার ত্বকের সাথে যুতসই নাইট ক্রিম বেছে নিন । বাজারে অনেক ধরণের নাইট ক্রিম রয়েছে। স্বাভাবিক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক বা মিশ্র ত্বক ইত্যাদি সব ধরণের ত্বকের জন্যই আলাদা আলাদা নাইট ক্রিম আপনি বাজারে পাবেন এবং অনেক বিশ্বস্ত ব্রান্ডের নাইট ক্রিম পাবেন। নাইট ক্রিম কেনার সময় খেয়াল রাখুন ক্রিমটি যেন খুব ঘন না হয়। ঘন নাইট ক্রিম আপনার ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেবে যার ফলে ত্বকে ঠিকমতো বাতাস সরবারাহ হবে না । আর নাইট ক্রিম যেন সুঘন্ধিযুক্ত  না হয় আর এটি যেন অবশ্যই হাইপোএলারজিক হয় ।

কেন নাইট ক্রিম লাগাবেন?

আগেই বলেছি  ত্বকের জন্য কী কী ভালো কাজ করে এই নাইট ক্রিম । এটা বলা হয়ে থাকে যে, নাইট ক্রিমের একটিভ উপাদানগুলো রাতের বেলা আপনার ত্বকে ভাল কাজ করে দিনের বেলার ক্রিমের তুলনায়। আর রাতে আপনার ত্বকের কোষ রিজেনারেশানের ক্ষমতাও বেশী থাকে যখন আপনি ঘুমান।

সাধারণত কী কী উপাদান থাকে এই নাইট ক্রিমে?

নাইট ক্রিমে সাধারণত যেসব উপাদান থাকে তা হল – ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, জোজোবা ওয়েল, অলিভ ওয়েল, আপ্রিকট ওয়েল, রোজ ওয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, শিয়াবাটার, জেসমিন, অ্যান্টি এইজিং উপাদান, রেটিনল, এমিনো এসিড, এএইচএস, কপার, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, কোলাজেন।
ভালো এবং উন্নত মানের কিছু নাইট ক্রিমের নাম

 কিভাবে নাইট ক্রিম লাগাবেন

যেমন তেমন করে নাইট ক্রিম লাগাবেন না। তাতেত্বকের উপকার হবে না। নাইট ক্রিম লাগানোর পদ্ধতি হবে  নিম্নরুপ-
(১) নাইট ক্রিম লাগানোর আগে অবশ্যই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
(২) হাতের আঙ্গুলের ডগায় ক্রিম নিয়ে ফোটা ফোটা করে মুখের ত্বকে লাগান।
(৩) উপরের দিক থেকে নীচের দিকে বৃত্তাকারভাবে  ম্যাসাজ করে ক্রিম ত্বক মিশিয়ে দেবেন আস্তে আস্তে আলতো করে।
(৪) চোখের পাতায় নাইট ক্রিম লাগাবেন না ।
তাই আজ থেকেই আপনার ত্বকের যত্নে নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন । রাতে ঘুমানোর আগে আপনার নাইট ক্রিমের যত্ন সাথে নিয়েই ঘুমাতে যান যাতে সকালে আপনার মতো আপনার ত্বকও সজীব ও ফ্রেশ থাকে।






রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

১) টমেটো ও বেসনের মাস্ক

বেসন ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের নানা ধরণের দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই।
 – ২ টেবিল চামচ বেসনের সাথে প্রয়োজন মতো টমেটো রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
– এরপর এই পেস্টটি মুখ, ঘাড় ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন।
– ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করবেন এই মাস্কটি।

২) শসা ও লেবুর রসের মাস্ক

লেবুর রসের ব্লিচিং এজেন্ট ত্বকের দাগ ফিকে হয়ে আসতে সহায়তা করে এবং শসা প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার হিসেবে ত্বকের যত্ন নেয়।
– ৩ টেবিল চামচ শসা ও ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন।
– এই মিশ্রণটি মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।
– এরপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মাস্কটি প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারবেন।

৩) দুধ, মধু ও লেবুর রসের মাস্ক

প্রাচীনকাল থেকেই দুধ ও মধু রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপাদান বলে এর কদর রয়েছে বেশ।
– ১ টেবিল চামচ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালো করে।
– এরপর মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন মাত্র ১০ মিনিট।
– পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ভালো করে এবং তোয়ালে আলতো চেপে মুখ শুকিয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।