রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মুখের দাগ দূর করার ভেষজ কিছু পদ্ধতি


মুখের কালো-সাদা ছোপ ছোপ দাগ, ব্রণ বা মেছতার দাগ চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। আমরা নানা প্রসাধণী এবং উপকরন ব্যবহার করি এসব দাগ দূর করার জন্য। আজকে আসুন দেখে নিই মুখের দাগ দূর করার ভেষজ কিছু পদ্ধতি।

• মুখের কালো ছোপ দূর করতে ১ চা চামচ ধনিয়া পাতার রসের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে ঠান্ডা পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহারেই উপকার পেতে শুরু করবেন।

• যাদের মুখে মেছতার দাগ আছে তারা ১ চা চামচ সাদা জিরা গুঁড়া, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া, ১ চা চামচ সরিষা গুঁড়া ও ১ চা চামচ আটা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মেছতার দাগে লাগান। বিশ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

• আপনার মুখে যদি ব্রণের দাগ থাকে, তাহলে প্রতিদিন গোলাপজল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন ব্রণের দাগ হালকা হয়ে যাবে।

• মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ে গেলে সেই ছাপ কাটাতে চন্দন বাটা, তুলশি বাটা, গোলাপজল মিশিয়ে গলায় ও মুখে লাগান। দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চুল পড়া প্রতিরোধে ঘরেই তৈরি করুন হেয়ার মাস্ক


আমরা সাধারণত ত্বকের প্রতি কিছুটা যত্নশীল হলেও চুল নিয়ে বেশ উদাসীন থাকি। কিন্তু চুলের দিকেও যে কিছুটা নজর দিতে হবে এই বিষয়টি আমাদের মাথায় আসে যখন চুল পড়া শুরু করে আর মাথায় দেখা দেয় টাক। মাথার এই চুল পড়া প্রতিরোধ করতে বাজারে পাওয়া যায় অনেক ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী। কিন্তু আমি আজ আপনাদের বলবো প্রাকৃতিক চুল পড়া প্রতিরোধক হেয়ার মাস্ক তৈরির পদ্ধতি।
তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু হেয়ার মাস্কের প্রস্তুত প্রনালী এবং ব্যবহারবিধি। প্রাকৃতিক এই হেয়ার মাস্কগুলো নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুলের ফলিকল হবে আরো শক্ত এবং মাথা থাকবে খুশকিমুক্ত।

১/ অলিভ অয়েল, মধু এবং দারুচিনির তৈরি চুলের মাস্ক

এই হেয়ার মাস্কটি তৈরিতে আপনার লাগবে পরিমাণমত অলিভ অয়েল, ১-২ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ দারুচিনি গুড়ো। আপনার মাথার চুলে যতটুকু পরিমাণ অলিভ অয়েল লাগবে ঠিক সেই পরিমাণ অলিভ অয়েল নিন। তারপর এতে উপরের উল্লেখকৃত পরিমাণ অনুযায়ী মধু এবং দারুচিনি মিশিয়ে নিন। এবার ভালোভাবে একে ব্লেন্ড করুন। মাথার চুলে একেবারে গোড়ায় লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট দিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং টাক পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।

২/ মেহেদী এবং সরিষার তেলের চুলের মাস্ক

এটি তৈরি করতে আপনার লাগবে প্রায় ১০০ গ্রাম মেহেদী পাতা এবং ২৫০ গ্রাম সরিষার তেল। একটি পাত্রে সরিষার তেলটি গরম করে নিন। এই সময়ে অপর আরেকটি পাত্রে মেহেদী পাতাগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিন। প্রায় ৫ থেকে ৭ মিনিট ফুটানোর পর তেলটি নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। সিদ্ধ মেহেদী পাতার রসগুলো নামিয়ে নিয়ে তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর কিছুক্ষণ রেখে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাথায় প্রয়োগ করুন। এই মাস্কটি খুশকি প্রতিরোধ করে আপনার চুলকে রাখবে আরো বেশি মোলায়েম।

৩/ জবা ফুল আর লেবুর রসের তৈরি মাস্ক

জবা ফুল আর লেবু তো আমরা সবাই চিনি কিন্তু এগুলো দিয়ে যে চুল পড়ে যাওয়া প্রতিরোধে মাস্ক তৈরি করা যায় তা কি জানতেন। এই মাস্কটি তৈরিতে আপনার লাগবে ২টি জবা ফুল এবং একটি লেবু। এক গ্লাস পরিমাণ পানি একটি পাত্রে ফুটতে দিন। এবার ফুটানো পানির মধ্যে দুটি জবাফুলের পাপড়ি ছিড়ে দিয়ে দিন। এভাবে রাখুন প্রায় ৫ থেকে ৭ মিনিট। এবার জবাফুল সিদ্ধ পানিটি নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা হতে দিন। তারপর ধীরে ধীরে মাথার যে অংশটি টাকে পরিণত হচ্ছে সেখানে প্রয়োগ করুন। কিছুক্ষন রেখে মাথা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

৪/ নিমপাতার মাস্ক

নিমপাতার ভেষজগুণ বলে শেষ করার মতো নয়। নিমপাতা দিয়ে তৈরি মুখের ব্রণ প্রতিরোধের যেমন মাস্ক রয়েছে তেমনি মাথার চুল পড়ে যাওয়া রোধ করতেও মাস্ক রয়েছে নিমের। কিছু পরিমাণ পানির সাথে প্রায় ১০ থেকে ১২টি নিমপাতা দিয়ে কিছুক্ষন সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ করা পানি কালচে রঙ ধারণ করলেই পানি নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। এরপর নিমপাতা ছেকে নামিয়ে ফেলুন। এই পানি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এটি চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমে যাবে অনেকাংশে।

 


বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মেকআপের যেসব ভুলে ত্বকের ক্ষতি হয়


কখনোই সাজেন না এমন নারীও হয়তো কখনো কখনো সাজেন। কারণ সাজেই পরিপূর্ণ নারী। হালকা হলেও মেকআপ করেননি, এমন নারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অনেকেই আবার প্রায় প্রতিদিনই মেকআপে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এই মেকআপেই কিছু ভুলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ত্বক। সেই ভুলগুলো জেনে নিন-

 মেকআপ ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়লে ত্বকের লোমকূপ আটকে যায়, দেখা দেয় ব্রণের সমস্যা। এমনকি ব্রণের দাগও পড়ে যেতে পারে।

চোখের মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়লে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আইলাইনার ও মাশকারা নিয়ে ঘুমালে আঁখিপল্লব ও ভ্রু পড়ে যেতে পারে। এমনকি মাশকারার কারণে চোখের পাতায় ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা সিস্ট হতে পারে।

মেকআপ নিয়ে ঘুমালে সারাদিনের ময়লা ত্বকেই থেকে যায়। মেকআপ ত্বকের ওপরে একটি তেলতেলে স্তর তৈরি করে যার মধ্যে ময়লা, ব্যাকটেরিয়া ও দূষণ আটকে থাকে। তা নিয়েই ঘুমিয়ে পড়লে ত্বকের কোষগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এতে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, ত্বক রুক্ষ এবং নির্জীব হয়ে পড়ে।

 লিপস্টিক ভালোভাবে না তুলে ঘুমাতে গেলেও সমস্যা হতে পারে। লিপস্টিকে থাকা উপাদানগুলো ঠোঁট শুষ্ক করে ফেলে। আর লিপস্টিকের উপাদানগুলোর কারণে ঠোঁটের আশেপাশে ডেডসেল বা মৃত কোষ দেখা দিতে পারে। উজ্জ্বল, নিখুঁত ত্বক চাইলে অবশ্যই রাত্রে মেকআপ তুলে তারপর ঘুমাতে হবে।

রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চুলের আগা ফাটা রোধে কয়েকটি টিপস


ঘরময় চুল গড়াগড়ি খায়? চুল পড়া ছাড়াও এর আরেকটি বড় কারণ চুলের আগা ফাটা। চুল তখন ভেঙে ভেঙে পড়ে যায়। চুলে পুষ্টির অভাব হলে, ঠিকভাবে যত্ন না নেয়া হলে এমনটা হতে পারে। এর কারণে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তাই জেনে নিন আগা ফাটা রোধ করার কয়েকটি ঘরোয়া টিপস-

চুল লম্বা না হওয়ার অন্যতম কারণ স্প্লিট এন্ডস বা আগা ফাটা। তাই চুলের আগা ফাটলে এখনই গিয়ে হেয়ার ট্রিম করে আসুন। এতে চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে।
চুলের আগা ফাটা এড়াতে অবশ্যই শ্যাম্পু করার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুল কম ড্যামেজ হবে।
সপ্তাহে তিনবার শ্যাম্পু করুন। দরকার না পড়লে শ্যাম্পু করবেন না। এতে চুল শুষ্ক হয় এবং আগা ফাটার সমস্যা হয়।
গরম পানি দিয়ে চুল ধোবেন না। ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। চুলে বেশি হেয়ার ড্রায়ারও ব্যবহার করবেন না।
সপ্তাহে একদিন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। ডিম, নারকেল তেল, মধু, অলিভ অয়েল দিয়ে একটি মাস্ক ব্যবহার করুন।
 আস্তে আস্তে চুল আঁচড়ান। না হলে চুলের আগা ফাটার ভয় থাকে।
 ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে জোরে মুছবেন না। এতেও চুলের আগা ফাটার সমস্যা হতে পারে।

শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ত্বকের কালো দাগ চটজলদি দূর করার কিছু উপায়

সাধারণত মুখের ওপরে কালো দাগ হওয়ার পেছনে নীচের কারণ গুলোই বেশি ভূমিকা রাখে। আর সেগুলো হচ্ছে-

 ১. মানসিক চাপ
২. ত্বকের অযত্ন
৩. অতিরিক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার
৪. ফুসফুসের সমস্যা
৫. ক্যান্সার
৬. বহুমূত্র রোগ ইত্যাদি ( মাই হেলথ টিপস )
যদি এগুলোই হয় আপনার মুখের ওপরে কালো দাগ হবার কারণ তাহলে নিজের জীবন থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করুন এই ব্যাপারগুলোকে। তবে সেই সাথে কিছু ঘরোয়া উপায়ও অবলম্বন করতে পারেন আপনি ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্যে। আর সেগুলো হচ্ছে-

১. লেবুর রস
 মুখের কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে আপনার জন্যে সবচাইতে কার্যকরী ও সহজ উপায় হতে পারে লেবুর রস। খানিকটা তুলো নিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে মুখের কালো স্থানটিতে ঘষুন। সেটাকে খানিক সময় শুকোবার সুযোগ দিয়ে তারপর ধুয়ে ফেলুন। ভিটামিন সি থাকবার কারণে কয়েকবার ব্যবহারেই একটু হলেও আপনার মুখের কালচে ভাব কমিয়ে দেবে লেবুর রস। তবে একেবারে পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্যে অন্তত দুই সপ্তাহ এটি ব্যবহার করুন (টপটেন হোম রেমেডিস)।
 
২. পেঁপে
পেঁপের ভেতরে ত্বকের কালো দাগ, বয়সের ছাপ ও ক্লান্তি দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। আর তাই একটি পেঁপে বেটে নিয়ে সেটাকে মুখের ওপরে ২০ মিনিটের জন্যে লাগিয়ে রাখুন। আপনার মুখের উজ্জ্বলতা তো বাড়বেই, সেই সাথে দূর হবে কালো দাগও। এক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই বার করে এই কাজটি করে যেতে হবে আপনাকে ( মাই হেলথ টিপস )।

৩. অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট। আর তাই এটি খুব সহজেই আপনার ত্বককে সজীব ও কমবয়সী করে তুলতে সাহায্য করে। দূর করতে সাহায্য করে কালো দাগ ( কেয়ার ট্রিকস )। এক্ষেত্রে অ্যালোভেরার একটি ফেস মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। খুব দ্রুত ফল পেয়ে যাবেন এতে করে আপনি।

৪. আলু, ডিম ও হলুদ
আলু চোখের কালো দাগ বা মুখের কালো ছোট দূর করতে সাহায্য করে এটি কম-বেশি সকলেই জানে। তবে কেবল আলুই নয়, এরপর হলুদ আর ডিমও ব্যবহার করুন মুখের কালো দাগের ওপর। ডিমের ভেতরে থাকা এ্যাসিড আপনার ত্বকের কালো দাগকে করে তুলবে হালকা আর হলুদ ত্বককে করে তুলবে উজ্জ্বল ( কেয়ার ট্রিকস )।