বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮

শীতে ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় সহজ কিছু টিপস

সঠিক যত্নের মাধ্যমে আমরা শীতকালেও ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে পারব।
ত্বকের যত্নে
  • শীতকালে ক্রিম, সাবান যাই ব্যবহার করবেন লক্ষ রাখবেন তা যেন ময়েশ্চারাইজারযুক্ত হয়। দিনে অন্তত দু’বার ক্রিম ব্যবহার করবেন। ভিটামিন-ই যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা ভালো।
  • সাধারণত আমরা মনে করি, শীতকালে সানস্ক্রিন প্রয়োজন হয় না। এটি ভুল ধারণা। একথা ঠিক যে, সূর্যরশ্মি সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন। এতে যে ভিটামিন পাওয়া যায় তা প্রয়োজনীয়। কিন্তু বেশি সূর্যরশ্মি ত্বকে অপূরণীয় ক্ষতি ও অকালবার্ধক্যের কারণ। সানস্ক্রিন এই রশ্মি দাহ্যতা কমিয়ে দেয়। শীতকালেও নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।
  • শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে বিধায় ত্বকের আর্দ্র ভাব কমে যায়। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ময়শ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তা ছাড়া গোলাপজল ও গ্লিসারিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন অলিভ ওয়েল। অলিভ ওয়েল বা ময়েশ্চারাইজার পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে ত্বক পরিষ্কারও হবে এবং সকালে ত্বক হয়ে উঠবে প্রানবন্ত।
  • শীতের আরেক সমস্যা হচ্ছে ঠোঁট ফাটা ও কালো হয়ে যাওয়া। এর সমাধানও গ্লিসারিন। বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন অথবা লিপ জেল লাগাবেন। ঠোঁটে বা হাত পায়ের চামড়া ফেটে গেলে ভিটামিন-ই যুক্ত ভেসলিন লাগাবেন।
  • অন্য সময়ের থেকে শীতের ফেসপ্যাক হবে একটু আলাদা। যেমন-
    -পাকা কলা, পাকা পেপে ও ময়দা এক সঙ্গে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই পেস্টটি ১০/১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃন।

চুলের যত্নে
  • বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে শীতে চুল হয়ে উঠে রুক্ষ এবং খুশকির উপদ্রব হয়। খুশকির জন্য ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।
  • চুল সাধারণত দু’রকম, তৈলাক্ত ও শুষ্ক। তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা জরুরি। একদিন অন্তর অন্তর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলে ভালো। আর শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে হটওয়েল থেরাপি ভালো কাজ করে। সামান্য গরম অলিভ অয়েল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখতে হবে। এরপর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলবেন।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পারলে বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়াবেন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং আপনি মানসিক চাপমুক্ত হয়ে ঘুমাতেও পারবেন।
  • শীত কালে অনেকেরই চুল রুক্ষ হয়ে যায় এং আগা ফেটে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে ম্যাসাজ করেন নিন। চুলের আগায় ও গোড়ায় ভালো করে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে যান। সারা রাত চুলে তেলের উপস্থিতিতে চুলের রুক্ষ ভাব কেটে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে উজ্জ্বল।
  • ভিটামিন-ই চুলের জন্য অনেক ভালো। ২ দিন পর পর যেকোন তেলের সাথে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে এর তেলটি মিশিয়ে মাথায় ভালো ভাবে লাগিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রাখুন। সারারাত রাখলে ভালো হয়। সকালে ধুয়ে ফেলুন। তবে বেশি গরম পানি দিয়ে কখনো চুল ধুবেন না।
শীতকালে ত্বকের ও চুলের যত্নে কিন্তু আপনাকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও মনোযোগী হতে হবে। শীতের শাকসবজি ও ফল সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক ও চুলের জন্য প্রয়োজন। শিম, বরবটি, নানারকম শাক, মটরশুঁটি, ফুলকপি ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। হাতের নাগালের সব ফলই প্রতিদিন খাবেন। যেমন-আপেল, আমলকী কিংবা আমড়া সে যা-ই হোক না কেন।
শীতে এইসহজ কিছু পদ্ধতিগুলো অনুসরন করলেই ত্বক এবং চুল উজ্জ্বল, মসৃন রাখা যায়।

মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮

শীতে ত্বক সুন্দর রাখার ৫টি উপায়


১/ এক্সফলিয়েট করা কমিয়ে দিতে হবে
ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য এবং উজ্জ্বল পরিচ্ছন্ন ত্বকের জন্য এক্সফলিয়েট করা খুবই প্রয়োজনীয়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, এক্সফলিয়েশনের ফলে ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই শীতকালে এক্সফলিয়েট করার হার কমিয়ে দিতে হবে অনেকখানি। ডা. বারবা জানান, “অতিরিক্ত এক্সফলিয়েশন এর ফলে মুখের ত্বকের প্রয়োজনীয় তেল কমে গিয়ে ব্রণের উপদ্রব দেখা দিতে পারে। তাই শীতকালে সপ্তাহে একবারের জন্য এক্সফলিয়েট করা যাবে।”

২/ হাইড্রেটিং ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে
মুখের ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বকের নমনীয়তার ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। তাই মুখের ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং ক্লিনজার, অর্থাৎ খুবই নমনীয় ধাঁচের কোন ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে। বারবা জানান, “শুষ্ক ত্বক অনেক বেশী অস্বস্তিকর। শুষ্ক ত্বক থেকে একজিমার মতো বড় ধরণের সমস্যা তৈরি হতে পারে।” এ কারণে ত্বক যেন বেশী শুষ্ক না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই হাইড্রেটিং ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।

৩/ এক্সফলিয়েশনের পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে
ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য শীতকালে সপ্তাহে একবার এক্সফলিয়েট করতে হবে। প্রতিবার এক্সফলিয়েশনের পরে অবশ্যই মনে করে খুব চমৎকার এবং মুখের ত্বকের সাথে মানানসই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

৪/ ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে
রাতে ঘুমানোর সময়টুকু ত্বক কোমল হবার সবচাইতে দারুণ সময়। তাই রাতে ঘুমাতে যাবার আগে একটু বেশী করে কোন ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করার কথা ভুলে গেলে চলবে না।

৫/ শীতকাল তো বটেই, সে কোন সময়েই ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন
ঘরের বাইরে বের হলেই ত্বককে রোদের করা তাপের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিন প্রয়োজন। তবে সেটা সকল সময়ের জন্যই প্রযোজ্য। শীতকালেও রোদের তেজ এবং ইউভি রশ্মির প্রভাব বিন্দুমাত্র কমে না। তাই সোয়েটার পরে থাকলেও, মুখের ত্বকে অবশ্যই ভালো কোন সানস্ক্রিন লাগিয়ে বের হতে হবে।

সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮

শীতে চুলের যত্নে কার্যকারি সকল তেল


আমন্ড অয়েল:
চুল ভাঙা এবং চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে উপকারী কাঠবাদামের তেল। এই তেলে চুলের জন্য উপযোগী সব ধরনের উপাদান রয়েছে। যেমন- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামির ই, ফসফলিপিডস এবং ম্যাগনেশিয়াম। তাছাড়া চুল ঝরঝরে ও মসৃণ করার পাশাপাশি চুলের উজ্জ্বলভাব ফিরিয়ে আনে।
অলিভ অয়েল:
চুলের আগা ফাঁটা এবং উসকোখুসকো চুলের অন্যতম সমাধান জলপাইয়ের তেল। এই তেল চুলের রুক্ষতা দূর করে সুস্থ করে তোলে। অতিরিক্ত রুক্ষ চুলের যত্নে অলিভ অয়েল দিয়ে একটি মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। মাস্ক তৈরি করতে একটি ডিম, খানিকটা মধু ও চার টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে মাখিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ভালোভাবে কন্ডিশনার লাগিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। অলিভ অয়েল মাথায় লাগানোর আগে কখনও গরম করা উচিত না, এই বিষয়টি খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি।

তিলের তেল:
অকালেই চুল পেকে যাওয়া বা ধূসর চুলের সমস্যা সমাধানে তিলের তেল উপকারী। ক্ষতিগ্রস্ত চুল সুস্থ করে তুলতে এই তেল ব্যবহার করা উচিত। ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স এবং ওমেগা নাইন সমৃদ্ধ তিলের তেল চুল ঘন ও ঝলমলে করে তোলার পাশাপাশি অসময়ে চুল পেকে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়। তাছাড়া এই তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যক্টেরিয়াল উপাদান যা মাথার ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণের সমস্যা উপশমে সাহায্য করে।

ল্যাভেন্ডার অয়েল:
শুষ্ক মাথার ত্বক এবং খুশকি দূর করতে এই তেল দারুণ উপকারী। তাছাড়া এই তেল ব্যবহারে দুশ্চিন্তা কমে আসে। ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল’য়ের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি উপকারী দিকের জন্যও বেশ পরিচিত। যে কোনো তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। ল্যাভেন্ডার অয়েল মাথার ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে তাই চুলও মসৃণ হয়। এই তেল অনিদ্রা দূর করতেও বেশ উপকারী।

সূর্যমুখী তেল
তৈলাক্ত চুলের জন্য এই তেল খুব উপযোগী। এই তেল অনেক হালকা হবার কারণে চুলে ম্যাসাজ করলে, তেলতেলে হয় না। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার বিভিন্ন তেল চুলে লাগিয়ে যত্ন নিন। তবে কখনোই চুলে তেল লাগিয়ে বেশি সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়বেন না। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল আরও বেশি পড়তে পারে।

অ্যাভোকাডো তেল
অ্যাভোকাডো তেল অন্যান্য তেলের মত এত সহজলভ্য নয়। কিন্তু এই তেল ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’  সমৃদ্ধ। অ্যাভোকাডো তেলে ময়শ্চারাইজিং রয়েছে যা ভঙ্গুর চুলের উপর কাজ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য বেশ উপকারী।

নারকেল তেল
চুলের যত্নে নারকেল তেলের জুড়ি নেই। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন দামের নারকেল তেল পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ তেলের নিশ্চয়তা বাজারে আজকাল নেই বললেই চলে। তবুও চেষ্টা করুন সঠিক ডিলার থেকে পণ্য কিনতে। খেয়াল রাখুন নারকেল তেল সব সময় শীতকালে জমে যায়। যদি না জমে তাহলে বুঝতে হবে তেলে ভেজাল থাকতে পারে। নারকেল তেল চুলের যত্নে আবশ্যক।
নারকেল তেল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এবং চুলের জন্য পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী তেল। চুল এই তেল ভালভাবে শুষে নিতে পারে। ফলে তাঁর কার্যকারীতা অত্যাধিক।

রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮

শীতের বিশেষ তিন ফেসিয়াল


শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে টান টান হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় নমনীয়তায় প্রয়োজন বিশেষ ফেসিয়াল। ফেসিয়াল ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা বের করে উজ্জ্বলতা আনে। তবে এই ফেসিয়াল করার আগে অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে করতে হবে। এই সময়ে ত্বকে উজ্জ্বলতার জন্য বেছে নিতে পারেন এই ফেসিয়ালগুলো।

ফলের রস
এই ফেসিয়ালে সব ফল ব্যবহার করা হয়। আপেল, কলা, পেঁপে, গাজর, শসা ও কমলার জুস ব্লেন্ড করে একটু জুস আলাদা করে রাখুন। এর সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগান। এরপর মুখ পরিস্কার করে ওই জুস দিয়ে স্ক্রাব করে ব্ল্যাকহেডস তুলে ফেলে ই গ্যালভানিক মেশিন দিয়ে ওই জুস ম্যাসাজ করুন। এরপর প্যাক দিয়ে ২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে নিন।
গ্লো শাইন
প্রথমে টোনার দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে নিন। ত্বকের ধরন বুঝে নির্বাচন করতে হবে ম্যাসাজ ক্রিম। তৈলাক্ত ত্বক হলে কিউকামবার ক্রিম, শুষ্ক ত্বক হলে গাজরের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। ক্রিম দিয়ে ম্যাসাজ করুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর ক্রিমটা ভালো করে মুছে স্ক্রাব লাগাবেন। প্রয়োজন হলে হালকা স্টিমও দিতে পারেন। পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করার পর ভালো করে মুখটা মুছে নিয়ে গ্লো শাইন লোশন লাগান। এরপর গ্লো শাইন প্যাক লাগিয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে মুখটা মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এই ফেসিয়াল নিয়মিত করলে ত্বকে উজ্বলতা থাকবে।
অ্যালোভেরা
প্রথমে মুখটা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ঠাণ্ডা ম্যাসাজ ক্রিম দিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে ত্বকটা নরম করে নিন। এবার স্ক্রাব দিয়ে ত্বকের ওপর জমে থাকা মরা কোষ ও ময়লা পরিষ্কার করে নিন। মুখটা ভালো করে মুছে অ্যালোভেরা প্যাক লাগান।

শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৮

চুল ঝলমলে রাখুন শীত মৌসুমে

অন্য সময়ের তুলনায় শীতকালে আমাদের ত্বক ও চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে চুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ, শুষ্ক। সঠিকভাবে যত্ন না নিলে চুল পড়া বেড়ে যায় অনেকখানি। তাই শীতকালে চুলের নিতে হয় বাড়তি যত্ন। জেনে রাখুন কিছু টিপস, যা শীতকালেও আপনার চুল রাখবে স্বাস্থ্যোজ্বল এবং সুন্দর।

চুল কাভার করুন:
. বাতাসের আর্দ্রতা থেকে চুলকে রক্ষার জন্য মাথায় স্কার্ফ বা হ্যাট ব্যবহার করুন।
. এটি আপনার চুলকে বাইরের ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে থাকবে।
. সিল্কের স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার চুল রক্ষা করার সাথে সাথে ফ্যাশনও করা হবে।

চুল ধোয়ার নিয়ম:
. চুলে গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
. আমাদের মাথার ত্বক সাধারণত শুষ্ক থাকে, গরম পানি ব্যবহারে ত্বক আরো বেশি শুষ্ক করে তোলে। . গরম পানি ব্যবহার করার পরিবর্তে গরম এবং ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।
. গরম এবং ঠাণ্ডা পানি চুলের ত্বকের ময়োশ্চারাইজ ধরে রেখে চুল পরিষ্কার করে থাকে।

শ্যাম্পু/কন্ডিশনার:
. শ্যাম্পু করার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই শীতকালে যতবার শ্যাম্পু করবেন ততবার কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।
. বিশেষ করে এই সময় ক্রিমি কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
. কন্ডিশনার হিসেবে আপনি ডিমের কসুম ব্যবহার করতে পারেন।

তেলের ব্যবহার:
. শ্যাম্পু করার আগে তেল ম্যাসাজ করুন।
নারকেল তেল, বাদাম তেল বা সরিষার তেল যেকোনো তেল হালকা গরম করে মাথার তালুতে ম্যসাজ করে নিন।
. তেল মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে।
. আপনি চাইলে যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল যেমন ল্যাভেন্ডার অয়েল, ব্যবহার করতে পারেন।
. নারকেল তেলের সাথে অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
. চা গাছের তেল বেশ উপকারী।

হেয়ার প্যাক:
. শীতে চুলের যত্নে নিয়মিত প্যাক ব্যবহার করুন। তা যেকোনো কিছুর প্যাক হতে পারে। কলা, মধু, অ্যাডোকোডা, নিম পাতা এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।
. এটি মাথায় ভালো করে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট রাখুন। কলা এবং মধু চুল ময়োশ্চারাইজ করে থাকে।
. অ্যাডোকোডাতে আছে ভিটামিন এ যা চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গোঁজাতে সাহায্য করে।
. নিম পাতা ত্বকের সকল প্রকার জীবাণু দূর করে চুলাকানি রোধ করে থাকে।
. শীতে কাবু হয়ে শ্যাম্পু করা বন্ধ করা যাবে না।
. সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার শ্যাম্পু করা উচিত।
. এই সময় চুলে বেশি ময়লা হয়ে থাকে, তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা উচিত।
. ১টি ডিমের কসুম, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ কাপ পানি মিশিয়ে নিন। এটি কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। ঘরোয়া কন্ডিশনার হিসেবে এটি বেশ কার্যকরী।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮

তেজপাতা দিয়ে চুল পরা বন্ধ করার উপায়


চুল মানুষের সৌন্দর্য্যের অন্যতম অংশ। চুল পড়া নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। একটু সচেতন হলেই চুল পড়া রোধ করা সম্ভব। চুল পড়া বন্ধ করতে আপনাকে যা করতে হবে-

১. চুলপড়া প্রতিরোধে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুব প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে ভিটামিন এ ও বিটামিন ই আছে এমন খাবার বেশি খাওয়া উচিত।

২. চুল পড়ার অন্যতম কারন হলো ভেজা চুল আচড়ানো। ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকে তাই শুকানোর পরে চুল আচড়ানো উচিত।

৩. চুলের গোড়া শক্ত রাখতে প্রচুর পরিমানে পানি খাওয়া উচিত। তাছাড়া পানি শুধু চুলের জন্য নয় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্যেও অত্যাবশ্যকীয় ।

৪. চায়ের সবুজ পাতা প্রতিদিন মাথায় ঘষলে চুল পড়া বন্ধ হবে।

৫. পিঁয়াজের রস মাথায় লাগালে চুল পড়া বন্ধ হবে।

৬. মানষিক চাপ চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারন। মানষিকচাপ দূর করতে মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম করা যেতে পারে।

৭. ব্যায়াম করলে হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক থাকে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ১৫-৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত।

বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৮

ত্বক উজ্জ্বল করার কিছু উপায়

১। ত্বকের জন্য সবচেয়ে উপকারি হল দুধ। দুধের সঙ্গে টম্যাটো পিউরি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগাতে পারেন ত্বকে। এই মাস্কটি সারারাত লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। অবশ্যই ঠান্ডা জলে।

২। ব্ল্যাকহেডস-এর সমস্যে থেকে মুক্তি পেতে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ত্বকের যে অংশে ব্ল্যাক হেডস-এর বাড়বাড়ন্ত সেই সমস্ত জায়গাতে লাগিয়ে রাখুন। 30 মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বাড়ানোর জন্য দু-চামচ টক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানান। পেস্টটি মাস্কের মতো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা brightness skin বেড়ে যাবে।

৪। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদের থেকে ভাল কিছু হতেই পারে না। বিশুদ্ধ গুঁড়ো হলুদের সঙ্গে নারকেল তেলের মিশ্রণে পেস্ট বানিয়ে তা মুখে এবং গলায় মাখিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট পরে হালকা গরম জলে তা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে ২-৩বার করুন।

৫। তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময়ে কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা brightness বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। উপরন্তু অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে। এই ধরণের ত্বক থেকে মুক্তি পেতে হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে প্রয়োগ করুন। অচিরেই ফল পাবেন।

৬। তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে অব্যর্থ হল কফি বা কোকো পাউডার। এই পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে, গলায় মাসাজ করুন। মনে রাখবেন এই পেস্টটি সব সময়েই সাধারণ তাপমাত্রার জলে ধোবেন। কখনোই ঠান্ডা বা গরম জল ব্যবহার করবেন না।

৭। ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খুবই উপকারী হল দারচিনি। মধুর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখের ক্ষতিগ্রস্থ অংশের উপরে প্রলেপ লাগান। ঘণ্টা দুই এই প্রলেপ রাখার পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে একদিন অন্তর করে প্রয়োগ করুন এই টোটকা।

চুল পড়া নিয়ন্ত্রনে আনতে ৫ টি খাবার

১. বাদাম এবং বীজ

পেস্তা বাদাম, ফ্লাক্স সীড (শ্বেত বীজ), মেথি বীজ, আখরোট, তিল প্রভৃতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা অ্যাসিড। যাতে রয়েছে এমন স্থিতিস্থাপক উপাদান যা চুলের ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
২০১৫ সালে জার্নাল অফ কসমেটিক ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদেরকে নিয়মিতভাবে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হয়েছে তাদের চুলপড়া ৯০% কমেছে। এছাড়া ৯০% রোগীরই মাথায় ফের শক্ত চুল গজিয়েছে। মেথি বীজ খুশকি দূর করতে এবং স্বাস্থ্যকর চুল গজানোতে সহায়ক।

২. ডাল

নানা ধরনের ডালবীজে থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্তে লাল কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক। আর রক্তের লাল কোষ আমাদের মাথার ত্বক সজীব রাখে এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে।

৩.স্পিনাক

এই সবুজ এবং পাতাবহুল সবজিটি চুলের জন্য খুবই ভালো। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং আয়রন। চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ আয়রণের ঘাটতি। স্পিনাকে সেবাম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালিসিয়াম এবং পটাশিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা চুলকে উজ্বল এবং শক্ত রাখতে সহায়ক।

৪. ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর বায়োটিন এবং ভিটামিন ডি। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক। চুলপড়া সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ গবেষণায়ই দেখা গেছে চুল পড়ার অন্যতম কারণগুলোর একটি জিঙ্কের ঘাটতি।

৫. চর্বিবহুল মাছ

স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল জাতীয় মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মাথার ত্বকের কোনো ধরনের প্রদাহ হলে তা প্রতিরোধ করে চুল পড়া কমায় এই পুষ্টি উপাদান। আর তাছাড়া মাছে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ এবং প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম। এই পুষ্টি উপাদানগুলোও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

ব্যবহার পদ্ধতি

১টি বড় পেঁয়াজ ভালো করে পিষে ছাকনি দিয়ে ছেকে রস বের করে নিতে হবে। তারপর এই রস পুরো মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে একঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
পেঁয়াজের গন্ধ বেশ তীব্র, যদি সহ্য না হয় তবে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে গোলাপ জল মেশানো যেতে পারে। একঘণ্টা পর মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চুল পড়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করা যাবে।
মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই :
মেহেদীর নির্যাস চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, ডিম মাথার ত্বকে সঠিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে। টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া Hair fall বন্ধে সহায়তা করে।
– মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী নিন, এতে মেশাম ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২-৩ টেবিল চামচ টকদই।
– যদি চুল অনেক শুষ্ক হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল দিয়ে ভালো করে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন।
– এই প্যাকটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন।
– এরপর সাধারণ ভাবে চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি প্রথম দিন চুল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ১ দিন এভাবেই রেখে তার পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন তাহলে সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন।
– এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে।

বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৮

প্রাণহীন চুল ও ত্বক! দারুন কার্যকরী কিছু ফলের মাস্ক

শীতের সময় রাতে বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। কারণ রাতে দীর্ঘ সময় ত্বক বিশ্রাম পায়, ফলে যে কোনো প্রসাধনী এবং ময়েশ্চারাইজার ত্বক শুষে নিতে পারে।এছাড়াও এ মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। এতে ত্বক ভিতর থেকে আর্দ্র থাকে।
ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।
রাতে ঘুমানোর আগে চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে নারিকেল অথবা জলপাই তেল হালকা গরম করে মালিশ করতে হবে। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। সারা রাত তেল রেখে সকালে শ্যাম্পু করে ফেললেই চুল কোমল ও ঝলমলে থাকবে।
শীতে মাথায় খুশকির পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই এ সমস্যা দূর করতে তেলের সঙ্গে আমলকীর ও লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি শীতে ত্বকের বাড়তি যত্নের জন্য কিছু মাস্কও ব্যবহার তরা উচিত। এক্ষেত্রে সব থেকে উপকারী ফলের মাস্ক। ফল ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে।
এই মৌসুমে ত্বকের জন্য উপকারী ফলের মাস্ক তৈরির পদ্ধতি –

আপেলের মাস্ক

রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং এর অ্যাসট্রিনজেন্ট যা ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। একটি আপেল ভাপে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর সিদ্ধ আপেলটির খোসা ছারিয়ে চটকে নিয়ে এর সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এ মাস্ক ত্বক নরম ও কোমল রাখতে সাহায্য করবে।

বেদানার তৈরি মাস্ক

শীতে বডি স্ক্রাব তৈরিতে বেদানা বেশ উপযোগী। বেদানা ছাড়িয়ে ছেঁচে নিতে হবে। এর সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ কাঠবাদামের গুঁড়া এবং খানিকটা গুঁড়াদুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটা ভেজা শরীরে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। কয়েক মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

অ্যাভাকাডো

রয়েছে ভিটামিন এ, ই ও ডি। আছে বিভিন্ন খনিজ উপাদান এবং পটাশিয়াম। তাই ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সুস্থ করতে এই ফল দারুণ উপকারী।ব্লেন্ডারে খানিকটা অ্যাভাকাডো দিয়ে এর সঙ্গে বিশুদ্ধ ক্রিম এবং মধু মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করতে হবে। মাস্কটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মাস্ক ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে ত্বক কোমল রাখতে সাহায্য করবে।

স্ট্রবেরি

স্ট্রবেরি থেঁতে নিয়ে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। স্ট্রবেরি ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ভালো স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।

কমলা

শীতে নিয়মিত কমলা খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ত্বকের জন্যেও কমলা বেশ উপযোগী। টাটকা কমলার খোসা ত্বকে ঘষে নেওয়া যেতে পারে। অথবা খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। গুঁড়া করা খোসা দুধ ও মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক ও স্ক্রাব তৈরি করা যায়।

পেঁপে

সুস্থ রাখতে পেঁপের জনপ্রিয়তা নতুন করে বলার কিছু নেই। এছাড়াও ব্রণের সমস্যা সারিয়ে তুলতে এবং ত্বকের রংয়ের অসামঞ্জস্যতা দূর করতে বেশ উপকারী এই ফল।
এই মাস্ক তৈরি করতে প্রয়োজন হবে চটকে নেওয়া পাকাপেঁপে দুই চা-চামচ, এক চা-চামচ গ্লিসারিন এবং এক চা-চামচ গুঁড়া দুধ। উপদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটা মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ অপেক্ষা করতে হবে। হালকা শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

কলা

ত্বকে আর্দ্রতা জুগিয়ে টানটান রাখতে সাহায্য করে কলা। তাছাড়া ত্বক পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে এই ফল।
একটি কলা ভালোভাবে চটকে নিয়ে এর সঙ্গে খানিকটা মধু এবং গুঁড়া করা ওটস মিশিয়ে নিতে হবে। ১৫ মিনিট পর অল্প দুধ দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিয়ে আলতোভাবে ঘষে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
যে কোনো মাস্ক ব্যবহারের পর তা ধুয়ে ত্বক হালকা ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। নতুবা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৮

ঘরেই করুন পার্লারের মত বডি পলিশ

হলুদ ও চিনির পলিশ:
১ টেবিল-চামচ হলুদগুঁড়ার সঙ্গে দুতিন টেবিল-চামচ মোটা দানার চিনি মিশিয়ে নিতে হবে। দুধ অথবা গোলাপ জল পরিমাণ মতো মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে চিনি যেন পুরোপুরি গলে না যায়। এটি বডি এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করবে। চিনি ত্বক এক্সফলিয়েট করবে আর হলুদ ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।

গোলাপের পাপড়ি, মধু ও ওটসের স্ক্রাব: গোলাপের পাপড়িবাটা, মধু ও ওটসের মিশ্রণে তৈরি এই স্ক্রাবার ত্বক পলিশ করার পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজও করবে। গোলাপের পাপড়ি ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে, মধু ত্বকে আর্দ্রতা জোগায় ও ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ওটস কাজ করে এক্সফলিয়েটর হিসেবে। এই তিন উপাদানের মিশ্রণ তৈরি করতে সঙ্গে খানিকটা কাঁচাদুধ মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। সপ্তাহে দুবার এই স্ক্রাব ব্যবহারে ত্বকের রং উজ্জ্বল হবে।

গুঁড়াদুধ ও দারুচিনি: ত্বকের জন্য দারুচিনি কতটা উপকারী সে সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞাত। দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এবং বলিরেখা কমায়। ব্রণ ও ব্ল্যাক হেডসের সমস্যাও দূর করে। গুঁড়াদুধ ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার করে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে এই মিশ্রণ ব্যবহার করা উপকারী।

লবণ ও ডিমের সাদা অংশ: লোম কূপ পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে ডিমের সাদা অংশ। তাছাড়া ব্রণের দাগ দূর করতেও এই উপাদান কার্যকর। সামুদ্রিক লবণ ত্বক এক্সফলিয়েট এবং টানটান করতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণে বাড়তি পানি বা গোলাপ জলের প্রয়োজন নেই। ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে এই প্যাক ব্যবহারের পর।
প্রতিটি বডি পলিশের যে কোনোটি ব্যবহারের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নতুবা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।