বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

ত্বকের দাগ দূর করতে ১৫টি পরামর্শ

১. দাগের ওপর ক্যালামিন লোশন লাগান। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয় এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

২. পাতলা কাপড় বা ছোট তোয়ালেতে একটি বরফ টুকরা নিয়ে দাগের ওপর পাঁচ মিনিট ধরে রাখুন। এটি ধীরে ধীরে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য জ্বালাপোড়া দূর করতে সাহায্য করবে।

৩. বাইরে বের হওয়ার আগে ভালো মানের সানস্ক্রিন (এসপিএফ ১৫+) লাগিয়ে বের হবেন। সূর্যের তাপ আপনার দাগের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

৪. রান্নায় বা খাবার মেন্যুতে আদা ও রসুন রাখার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত ফল ও সবজি খান। নিয়মিত ৬-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

৫. প্রতিদিন বালিশের কাভার বদলে নিন। কারণ, এটি দ্রুত ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে।

৬. লেবুর রস ত্বকে ব্লিচের কাজ করে। এ ছাড়া ঘুমানোর আগে দাগের ওপর ভিটামিন ই কিংবা ক্যাস্টর অয়েল লাগিয়ে রাখতে পারেন।

৭. এক ফোঁটা অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও আট ফোঁটা পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে প্রতিদিন একবার বা দুবার মুখ ধুয়ে নিন।

৮. রসুনের একটি কোয়া নিয়ে পেস্ট করে তাতে এক টেবিল চামচ ময়েশ্চারাইজার মিশিয়ে দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন।

৯. ক্যামোমিল, লেবুর রস ও পানি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে ব্রণ বা অন্য সমস্যা থেকে সৃষ্টি হওয়া দাগ দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর।

১০. সামান্য পরিমাণে ভিনেগার এবং তিনটি আলু (থেঁতলে নেওয়া) একসঙ্গে মেশান। সারা রাত দাগের ওপর দিয়ে রাখুন।

১১. তিনটি গাজর থেঁতলে মুখে ১৫-২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। তার পর দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

১২. সবুজ, অর্থাৎ কাঁচা পেঁপে থেঁতলে ১৫ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।

১৩. সামান্য পরিমাণ মধু, লেবুর রস ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগান। এই মিশ্রণ ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।

১৪. চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান। চন্দন গুঁড়া ত্বককে পরিষ্কার, উজ্জ্বল, ব্রণ, দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
১৫. তিনটি স্ট্রবেরি একটি পাত্রে নিয়ে থেঁতলে নিন। ভিনেগার দিয়ে পেস্ট করে নিন। ত্বকের যেখানে দাগ আছে, সেখানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। বালিশের ওপর একটি তোয়ালে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

এই শীতে রুক্ষ চুল মসৃণ করতে তিনটি উপাদান

যা যা লাগবে

আধা কাপ নারকেলের দুধ,
দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল ও
দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল।

প্রস্তুত প্রণালী

নারকেলের দুধ চুলে তেলের মতোই কাজ করে। যা চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মসৃণ করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। আর নারকেল তেল চুলের গভীরে গিয়ে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। অন্যদিকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে নরম করে এবং চুল পড়া কমায়।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

প্রথমে একটি বাটিতে নারকেলের দুধ ও নারকেল তেল নিয়ে ভালো করে মেশান। এবার এর মধ্যে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল দিন। এই মিশ্রণ পুরো চুলে ভালো করে লাগান। এবার একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। প্রতি সপ্তাহে ১দিন এই প্যাক লাগালে আপনার চুলের রুক্ষতা সহজেই দূর হবে।

সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

ঘরে বসেই করুন গোল্ড ফেসিয়াল

গোল্ড ফেসিয়ালঃ এই ফেসিয়ালে ২৪ ক্যারাট সোনা যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা হয় যা সহজেই ত্বক ভেদ করতে পারে। ত্বকের পুরনো লাবণ্য, উজ্জ্ব্বলতা ফিরিয়ে আনতে গোল্ড ফেসিয়ালের জুড়ি নেই। ত্বকে লুকিয়ে থাকা ধূলো ময়লা, বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনার ক্ষমতা সোনার অসীম। নতুন কোষ জন্মানোর জন্য সোনার অবদান অনেক। ৩৫ এর উপরে বয়স হলে এই ফেসিয়াল করলে যৌবনের সেই নরম তুলতুলে ত্বক ফিরে । এবার জেনে নিন কিভাবে ঘরে বসেই করবেন এই ফেসিয়াল। একটি গোল্ড ফেসিয়াল কিটে থাকে গোল্ড ক্লিনজার, গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব, গোল্ড ফেসিয়াল ক্রিম বা জেল, গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক। - প্রথমে গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি গোল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করুন তারপর গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব দিয়ে মুখের সব মরা কোষ দূর করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে স্ক্রাব করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। -এবার গোল্ড ক্রিম দিয়ে মুখ ম্যাসাজের পালা। এতে আছে গোল্ড ফয়েল, গোল্ড পাউডার, মধু, স্যাফ্রন, এলোভেরা আর চন্দন। যা আপনার ত্বকে বুলিয়ে দেবে কোমল পরশের ছোঁয়া। হালকা হাতে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। -এবার ধীরে ধীরে গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করুন মাস্ক শুকানো পর্যন্ত। তারপর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে মাস্ক তুলে ফেলুন। মাস্কে বিদ্যমান হলুদ, গোল্ড ফয়েল, আর এলোভেরা আপনার ত্বকে এনে দেবে সোনালি আভা। এই ফেসিয়াল করার পর ৩০% পর্যন্ত পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

শীতে ত্বকের যত্নে ফেসপ্যাক

হলুদ ও দুধ –

১ চা চামচ হলুদের সঙ্গে প্রয়োজন মতো দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। ত্বক শুষ্ক হলে কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল দিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত। এটি বিবর্ণ ত্বকে জৌলুস ফিরিয়ে আনবে।

বেসন ও দুধ –

বেসন ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ত্বকে চক্রাকারে ঘষে লাগান এটি। এই ফেসপ্যাক মরা চামড়া দূর করে উজ্জ্বল ও কোমল করবে ত্বক।

গ্রিন টি ও মধু –

যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কার্যকর এই ফেসপ্যাক। ব্যবহৃত গ্রিন টি এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।

দই –

প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে দই। দই সরাসরি ত্বকে লাগাতে পারেন। বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালেও উপকার পাবেন।

চন্দন –

চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। দেখুন কেমন উজ্জ্বল দেখাচ্ছে ত্বক!

বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে ত্বকে আনুন সতেজভাব

ম্যাসাজ
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে এটা হলও সবচাইতে সহজ ও দ্রত একটি উপায়। কিছু পরিমাণ অলিভ অয়েল হাতের তালু ও আঙ্গুলে নিয়ে নিজের আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকের রক্ত চলাচল দ্রুত হবে। যার ফলে, চেহারার মাঝে থাকা ক্লান্তির ছাপ একেবারেই চলে যাবে। 

এক্সফলিয়েশন
সুস্থ ত্বকের জন্য এক্সফলিয়েশন খুবই জরুরি। নিয়মিত এক্সফলিয়েট করার ফলে ত্বকের গভীরে থাকা ময়লা ও মরা চামড়া উঠে যায়। যার ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক রং ও কোমলতা ফিরে পায়। তবে এক্সফলিয়েট করার জন্য খুব ভালো মানের কোন স্ক্রাবার ব্যবহার করা উচিৎ। 

ফেসমাস্ক
অফিস থেকে বাসাতে এসে ঘরে তৈরি যে কোন ফেসমাস্ক ব্যবহার করা সবচাইতে উপকারী একটি উপায়। যা একই সাথে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে, ত্বকের ময়লা দূর করতে, ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে। ঘরে তৈরি এই ফেসমাস্ক এর জন্য খুব বেশী উপাদানের প্রয়োজন নেই। এই ফেসমাস্ক মধু-কলা দিয়ে তৈরি হতে পারে, অথবা টমেটো-লেবুরও হতে পারে। 

স্কিন টোনার
এটা হলো ত্বকের ক্লান্তি দূর করার অন্যতম সহজ ও দারুণ একটি উপায়। কর্মব্যস্ততা শেষে ত্বকের জন্য মানানসই টোনার ব্যবহারে সতেজভাব চলে আসে মুখের মাঝে। প্রতিদিনের ব্যবহৃত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখে ভালোভাবে পরিষ্কার করে এরপর তুলার বলের সাহায্যে ত্বকে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ব্যবহারে ত্বকের রোমকূপ ছোট হয়ে যায় এবং ত্বক টানটান থাকে। 

গোলাপজল
ত্বকের যত্নে ও ত্বকের পরিচর্যার জন্য গোলাপজন বহুল ব্যবহৃত একটি সাধারণ ও প্রচলিত উপাদান। গোলাপজল ব্যবহারে ত্বকের হাইড্রেশন বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ত্বকের ক্লান্তি দূর হয়ে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও রং ফিরে পায়। একটি তুলার বলে গোলাপজল নিয়ে পুরো মুখ ও ঘাড়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এক ঘণ্টা রেখে দেবার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

বরফের টুকরা
বাইরে থেকে ফেরার পর ত্বকে ঠাণ্ডা কিছু লাগালে তাৎক্ষণিকভাবে ত্বকে সতেজভাব চলে আসে। এর জন্যে দুই-তিন টুকরা বরফ একটি তুলার কাপড়ের মাঝে নিয়ে এরপর পুরো মুখ জুড়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এর ফলে ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা চলে আসে। 

অ্যালোভেরা জেল
ত্বকের উপকারের জন্য অ্যালোভেরা জেলের গুণ অগণ্য। বিভিন্ন উপায়ে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রাকৃতিক অ্যালভেরা জেল ব্যবহার করা যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে। সারাদিন পর অল্প পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যাবে অনেকটা। কিছু পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে মুখে ও ঘাড়ে ভালোভাবে ঘষে ১৫-৩০ মিনিত সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে।  এরপর ঠাণ্ডা পানি অথবা সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। 

শসা
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে যখন চেহারার মাঝ থেকে ক্লান্তির ছাপ দূর করার প্রশ্ন আসে, তখন শসা হলো সবচাইতে উপকারী একটি উপাদান। শসাতে থাকা বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখে।  যে কারণ শসা ব্যবহারে খুব দ্রুত ভালো ফল পাওয়া সম্ভব হয়। এছাড়াও, শসাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পানি। যা ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে। শসা ব্যবহার করতে চাইলে, কিছু পরিমাণ শসা থেঁতলে নিয়ে পুরো মুখের উপরে ছড়িয়ে দিতে হবে। এইভাবে ২০-২৫ মিনিট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে হালকা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। 

ফেসিয়াল ষ্টিম
ষ্টিম বা গরম পানি ভাপ নেওয়ার ফলে মুখের ত্বকের রোমকূপগুলো খুলে যায় এবং তার ভেতরে থাকা ময়লা বের হয়ে আসে। এতে করে ত্বক তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী সতেজ মনে হতে থাকে। ষ্টিম নিতে চাইলে গরম পানির উপর মুখ ঝুঁকিয়ে রেখে মাথার উপরে তোয়ালে দিয়ে দিতে হবে। ১০ মিনিট পর্যন্ত এইভাবে থাকলেই ত্বক তার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাবে।

মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭

খুব সহজে দূর করুন মুখের দুর্গন্ধ!

খুব সাধারণ এই সমস্যাটিকে সহজ কিছু কাজ ও অভ্যাস রপ্ত করার মাধ্যমে দূরে রাখা সম্ভব। এখানে উল্লেখ্য করা হলো এমন কিছু সহজ উপায়ের কথা যা একই সাথে মুখের দূর্গন্ধ দূরে রাখতে এবং মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে। 

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক যে কারোর প্রতিদিন ৬-৮ গ্রাস পরিমাণ পানি পান করা বাধ্যতামূলক। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার অভ্যাসটি গড়ে তুলতে হবে এবং বহাল রাখতে হবে। পানি পান করার ফলে মুখের স্যালাইভা সঠিক মাত্রায় থাকবে। যা ডিহাইড্রেশন তৈরি করতে বাধা দেবে। হ্যালিটোসিস অথবা মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হবার এটা অন্যতম একটি কারণ। 

নিয়মিত দাঁতের পাটি পরিষ্কার করা
মুখের দূর্গন্ধ দূরে রাখার জন্য দাঁতের যথিক পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন দুইবেলা করে দাঁত মাজা মাধ্যমে দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ হওয়ার সম্ভবনা কমে যায় অনেকখানি। 

প্রতিবার খাবার গ্রহণের পর ফ্লস ব্যবহার করা
যে কোন ধরণের খাবার গ্রহণের পরে অবশ্যই মনে করে ফ্লস ব্যবহার করা প্রয়োজন। খাদ্য গ্রহণের পর দুই দাঁতের মাঝে খাদ্যকণা জমে থাকে। যার ফলে দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ হয়ে মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়। অনেক ক্ষেত্রে এইসকল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণের ফলে দাঁত ও মুখের গামে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। এই সকল ধরণের সমস্যা এড়াতে চাইলে প্রতিবার খাবার পরে ফ্লস ব্যবহার খুবই জরুরি। 

প্রতি দুই মাস পরপর টুথব্রাশ বদলানো
বর্তমানে ব্যবহৃত টুথব্রাশটি কতদিন ধরে ব্যবহার করছেন আপনি? নিশ্চয় মনেও নেই শেষ কবে নতুন টুথব্রাশ কিনেছেন। কিন্তু এই ব্যাপারটিতে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। বিশেষত যদি আপনার মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হবার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, টুথব্রাশ দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহারের ফলে তাতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। তাই প্রতি দুই মাস পরপর ব্যাবহৃত টুথব্রাশ অবশ্যই বদলে নেওয়া প্রয়োজন।

চিনিযুক্ত মিন্ট চুইংগাম পরিহার করা
খাওয়াদাওয়ার পরে অনেকেই চিনিযুক্ত মিন্ট চুইংগাম খেয়ে থাকেন মুখে ফ্রেশভাব তৈরি করার জন্য। কিন্তু চিনি থাকার ফলে এইসকল চুইংগাম মুখে অনেক বেশী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে থাকে। যার ফলে হিতে বিপরীত অবস্থা তৈরি হয়।

অতিরিক্ত কফি পান থেকে বিরত থাকা
অতিরিক্ত কফি পানের ফলে মুখের স্যালাইভা তৈরির প্রক্রিয়া ধীর গতির হয়ে যায়। যার ফলে মুখের ভেতরে শুকিয়ে যায় ও ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। যার ফলে মুখের দূর্গন্ধভাব তৈরি হয়। তাই প্রতিদিন শুধুমাত্র এক কাপ কফি পান করা উচিৎ।

জিহ্বার কথা ভুলে গেলে চলবে না
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার করার মাঝে জিহ্বা পরিষ্কার রাখার কথা একেবারেই ভোলা যাবে না। প্রতিদিন বেলায় দাঁত মাজার সময়ে টাং স্ক্রাবার দিয়ে জিহ্বা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে করে জিহ্বা পরিষ্কার থাকে এবং মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হবার সম্ভবনা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

এলকোহল মুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করা
বাজারে ও বিভিন্ন সুপারশপগুলো তে যে সকল মাউথওয়াশ পাওয়া যায়, বেশিরভাগের মাঝেই ২৭ শতাংশ পরিমাণ এলকোহল থাকে। যার ফলে এই সকল মাউথওয়াশ ব্যবহারে মুখ শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং মুখে দূর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই যেকোন মাউথওয়াশ কেনার পূর্বে ভালমতো দেখে কিনতে হবে। 

প্রতিদিনের ওষুধ সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন
বিভিন্ন ধরণের ওষুধ যেমন: অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট, পেইনকিলার এবং অ্যান্টি-হিস্টামিন মুখে স্যালাইভা তৈরির প্রক্রিয়া কমিয়ে দেয়। যার ফলে মুখের ভেতর শুষ্কভাব তৈরি হয় এবং ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এতে করে মুখে কটু গন্ধ তৈরি হয়ে থাকে। তাই এমন ধরণের কোন ওষুধ গ্রহণ করলে অবশ্যই অনেক বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

সুন্দর আর ঝলমলে চুলের জন্য কলার ডিপ কন্ডিশনিং

কলার ডিপ কন্ডিশনিং রেসিপিঃ

যা যা লাগবে

-কলা(২ থেকে ৩ টি)
-নারকেলের দুধ(২ টেবিল চামচ)
-নারিকেল তেল(১ টেবিল চামচ)
-অরগানিক মধু(২ বড় টেবিল চামচ)

যেভাবে করবেন


কলাগুলোর খোসা ছিলে টুকরো টুকরো করে কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এবার ২ টেবিল চামচ নারিকেলের দুধ কলা রাখা বাটিতে ঢালুন। ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল যোগ করুন এতে। এবার ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে দিন। সব উপাদান একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। পুরো উপাদান ভালোভাবে ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে এই পেস্টটি আপনার মাথার ত্বক সহ চুলে লাগিয়ে নিন। চুলে লাগানো শেষে একটি প্লাস্টিকের ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখুন যেন আপনার চুল থেকে কলার প্রতিটি কণা ধুয়ে চলে যায়। এটি আপনার চুল নরম কোমল আর ঝলমলে করে তোলে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার অন্তত এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
যে কারণে এই ডিপ কন্ডিশনিং ব্যবহার করবেনঃ

কলা

কলার পটাশিয়াম চুলের গোঁড়া শক্ত করে। চুলের ভাঙ্গনরোধ করে ও ড্যামেজ চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে। কলায় উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল চুল ময়েশ্চারাইজ করে ও কলার বিদ্যমান ৭৫% পানি আপনার চুলের রুক্ষতা প্রতিরোধ করে।
নারিকেল দুধঃ
নারিকেল দুধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাট থাকে। যা চুল সুন্দরভাবে কন্ডিশনিং করে এবং চুলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আর এর প্রাকৃতিক তেল চুল নারিশ করে।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেলের ভিটামিন ই ও ফ্যাটি অ্যাসিড চুল ময়েশ্চারাইজ করে, চুলের গ্রোথ বাড়িয়ে তোলে, চুল উজ্জ্বল করে ও চুলের ক্যারোটিন লস কমিয়ে তোলে। এমনকি নারিকেল তেল চুলের খুশকি ও অন্যান্য ফাংগাল দূর করতে সাহায্য করে।

অরগানিক মধু

মধু আইরন, জিঙ্ক, সালফার ও ভিটামিন বি-তে ভরপুর যা চুলের গ্রোথ বৃদ্ধির সাথে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
এইসব উপাদানের মিলিত মিশ্রণ স্বাভাবিকভাবেই আপনার চুল সুন্দর আর ঝলমলে করে তোলে। এটি ব্যবহারে আপনার চুল আরও বেশি ম্যানেজেবল ও নজরকাড়া হয়।

সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭

চুলের যত্নে ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাক

১। ডিমের হেয়ার প্যাক

১টি ডিম এবং ৫ চা চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। আপনার যদি তৈলাক্ত চুল হয়, তবে ডিমের সাদা অংশ, রুক্ষ চুল হলে ডিমের কুসুম আর নরমাল চুলের জন্য আপনি সম্পূর্ণ ডিম ব্যবহার করতে পারেন। ডিম আপনার চুলে পুষ্টি যোগায়। টকদই চুলকে সিল্কি, ঝলমলে করে তোলে।

২। বেসন এবং শিকাকাই হেয়ার প্যাক

৩ চা চামচ শিকাকাই গুঁড়ো এবং ৩ চা চামচ বেসন মিশিয়ে নিন। এর সাথে কিছু পরিমাণে পানি মেশান। এই প্যাকটি চুল এবং চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১ ঘন্টা পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই। বেসন এবং শিকাকাই প্রাকৃতিক শ্যাম্পু হিসেবে কাজ করবে।

৩। অ্যাভোকাডো এবং নারকেল দুধের হেয়ার প্যাক

১টি পাকা অ্যাভোকাডো এবং ৫ টেবিল চামচ নারকেল দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এর ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশাতে পারেন। এই প্যাকটি চুল এবং চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া খুশকি, আগা ফাটা রোধ করে থাকে এই প্যাক।

৪। মেথি, দুধ এবং নারকেল তেলের প্যাক

৫। মেয়নেজ এবং ডিমের প্যাক

১টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২ টেবিল চামচ মেয়নেজ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এর সাথে আপনি ১ টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে নিতে পারেন। ৩০ মিনিট এই প্যাক লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। মেয়নেজ এবং ডিম দুটিতেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা চুলের পুষ্টি দিয়ে থাকে। মেয়নেজ চুলকে নরম, ঝলমলে করে তোলে।
বাড়িতে এসব প্রোটিন প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যজ্বল ঝলমলে সুন্দর।