শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩

গরমে শিশুর যত্ন❤

 

গরমে বড়দের থেকে শিশুদের বেশি কষ্ট হয়। গরমে শিশুরাই বেশি ঘেমে যায়। তাই এই সময় বাবা-মায়েরা শিশুদের নিয়ে একটু বেশিই চিন্তিত থাকে। আর গরমে শিশুরাই বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। এ কারণে গরমে ছোট সোনামণিদের বিশেষ যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। তাদের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই খেয়াল রাখতে হবে।

এই গরমে কি কি উপায়ে শিশুর সঠিক পরিচর্যা করা সম্ভব তা একুশে টিভি অনলাইনে দেওয়া হলো-

শিশুর খাদ্য-

গরমে শিশুদের খাদ্য তালিকায় হালকা, পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার রাখতে হবে। সেটা হতে হবে অবশ্যই নরম খাবার। তবে খেয়াল রাখতে হবে গরমে শিশুদের খাবার যাতে বাইরের না হয়। ঘরেই সহজপাচ্য খাবার বানিয়ে শিশুকে খাওয়ান। গরমের দিন মাছ-মাংস একটু কম করেই খাওয়ানো উচিত।

গরমে শিশুকে যথেষ্ট পরিমাণে ঠাণ্ডা পানি পান করান। কেননা এ সময় শিশুরা খুবই ঘেমে যায়। এতে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ঝরে যায়। তবে খেয়াল রাখবেন পানি যেন ফ্রিজের না হয়। এছাড়া গরমকালে বিভিন্ন রসালো ফল পাওয়া যায়। শিশুদের অবশ্যই গরমে এসব ফল খাওয়াবেন। ফলের জুসও খাওয়াতে পারেন।

শিশুদের পোশাক-

গরমে আপনার শিশুর পোশাকের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। গরমের দিনগুলোতে শিশুকে সুতির নরম ও পাতলা পোশাক পরান। হাতা কাটা পোশাক পরানো প্রয়োজন। ডিসপোজেবল ন্যাপির পরিবর্তে সুতির পাতলা কাপড়ের ন্যাপি পরানো ভালো। কেননা ডিসপোজেবল ন্যাপিগুলো ঘাম ও তাপ শোষণ করতে পারে না তাই র‌্যাশ, ঘামাচি প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

নিয়মিত গোসল-

গরমে শিশুদের খুব দ্রুত র‌্যাশ ও ঘামাচি উঠে। তাই গরমের দিনে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। গোসলের সময় ভাঁজযুক্ত জায়গা যত্ন সহকারে পরিষ্কার করতে হবে। গোসলের পানিতে ডেটলও দিতে পারেন।

শিশুর চুলের যত্ন-

এই গরমে আদরের ছোট্ট সোনামণির চুলের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। গরমে শিশুর বেশিরভাগ চুলের গোড়া ঘেমে যায়। এতে মাথায় খুশকি ও ঘামাচি বের হয়। তাই গরমের শুরুতেই শিশুর চুল ছোট রাখতে হবে। ন্যাড়া করে দিলে আরও ভালো হয়।

শিশুর আবাসস্থল

গরমে শিশুকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য ঘরে যেন প্রচুর আলো-বাতাস ঢুকতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। দম বন্ধ করা ঘরে রাখলে শিশু অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই বলে ঠাণ্ডার জন্য এসি ব্যবহার করা যাবে না। মাঝে মাঝে আপনার শিশুকে বারান্দায় নিয়ে যাবেন।

শিশুর প্রসাধনী-

গরমে শিশুকে গোসলের পর তেল, লোশন প্রভৃতি প্রসাধনীর ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। শিশুকে গোসল করানোর পর শরীর শুকিয়ে আসলে গলা, পায়ের ভাঁজে ইত্যাদিতে পাউডার ব্যবহার করুন। এতে ঘামাচি ওঠা রোধ করবে।

শিশুর স্বাস্থ্য-

শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। শিশুর সুস্থতার জন্য ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। কোন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩

এই অসহ্য গরমে সতেজ থাকতে


প্রচন্ড গরম,সাথে চিটচিটে ঘাম,বাতাসের আর্দ্রতা। এপ্রিল থেকে আগষ্ট মোটামুটি এই কয়েকটি মাস যেন আসে অভিশাপের মত। বিশেষ করে আপনি যদি হন তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী। একজনের মুখের ত্বক হয়ে পড়ে যেন এক একটি তেলের কূপ। সাথে সান ট্যান, ব্রণ তো আছেই। মেকআপ করাই যেন অসম্ভব হয়ে পড়ে। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা তেলের ঝামেলায় না পড়লেও অতিরিক্ত ঘাম, র‍্যাশ দেখা দেয়।
তাই বলে ঘরে বসে থাকালে চলবে। অফিস, ক্লাস, ঘোরাঘুরি তো আর বাদ দেওয়া যায় না। তাই বের হওয়ার আগে সাথে রাখুন কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস, যা আপনাকে এই অসহ্য গরমে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।
১/ওয়েট টিস্যু/ মেকআপ রিমুভিং ওয়াইপ্সঃ
প্রতিদিনতো আর ভারী দীর্ঘস্থায়ী মেকআপ করা সম্ভব হয় না আর ময়েশ্চারাইজার বা বিবি ক্রিম যতই অয়েল ফ্রি হোক এই গরমে ৩-৪ ঘণ্টা পর মুখ আবারো তেল তেলে হয়ে যায়। তাই সাথে রাখুন ওয়েট টিস্যু। এটি দিয়ে মুখ ভালো ভাবে মুছে ফেলুন। ওয়েট টিস্যূ সহজেই সব ধরনের মেকআপ, তেল, ময়লা দূর করতে সক্ষম।
আলমাস, প্রিয়,স্টার ডাস্টে সহজেই পাবেন ওয়েট টিস্যু বা মেকআপ রিমুভিং ওয়াইপ্স।
গোল্ডেন রোজ, পোজি, নিউট্রোজেনা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মেকআপ রিমুভিং ওয়াইপ্স পাওয়া যায়।
দাম ২০০-২৫০ টাকা।
 ২/টোনারঃ
ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ মোছার পর তুলোয় টোনার নিয়ে মুখ ভালো ভাবে মুছে ফেলুন। এটি বাকি মেকআপ, তেল, ময়লা দূর করার পাশাপাশি লোমকূপ ছোট করে,তেল নিঃসরণ কম করে ও ত্বক সতেজ রাখে।
ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার, নিউট্রোজেনা, বডি শপ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টোনার পাবেন যেকোনও বিউটি শপে। দাম পড়বে ১৫০-১০০০ টাকা
এছাড়াও টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপ জল। এটি টোনার হিসেবে বেশ ভালো কাজ করে।ত্বক ঠান্ডা ও সতেজ রাখে।
 ৩/সানস্ক্রিনঃ
এই গরমে আর প্রচন্ড রোদে আর যাই ভুলে যান সানস্ক্রিন লাগাতেও সাথে রাখতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন যত এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন হোক না কেন,৩ ঘণ্টা পর অবশ্যই রিঅ্যাপ্লাই করতে হয়। অন্তত এসপিএফ ৪০ যুক্ত সানস্ক্রিন রাখুন ব্যাগে আর মুখের সাথে হাত পায়ে লাগাতে ভুলবেন না। ব্যবহার করুন এসপিএফ যুক্ত লিপবাম আর আই ক্রিমও।
লোটাস হারবাল, নিউট্রোজেনা, মাইনাস সল, স্পেক্ট্রাব্যান সানস্ক্রিন এই গরমে খুবই উপযোগী। মাইনাস সল সানস্ক্রিনটি তৈলাক্ত ও ব্রণের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি। পাবেন বড় ফার্মেসি গুলোতে।
সানস্ক্রিনের দাম পড়বে ৩০০-১৩০০ টাকা
 ৪/ওয়েল অ্যাবসরবিং শিট বা ব্লটিং পেপারঃ
অনেক সময়ই সম্ভব না পুরো মুখ মুছে আবার মেকআপ করা। আবার তেলের উপর সরাসরি ফেসপাউডার দিলে পোরের মুখ বন্ধ হয়ে দেখা দেয় ব্রণ। তাই সাথে রাখুন ব্লটিং পেপার। এটি মেকআপ নষ্ট না করে শুধু অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। মেকআপ দীর্ঘক্ষণ ভালো রাখে।
আলমাস,স্টার ডাস্টে পাবেন ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ারের ব্লটিং পেপার। দাম ৩৪০ টাকা। এছাড়া ELF,NYX সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্লটিং পেপার পাবেন অনলাইনে।
৫/ছাতাঃ
সানস্ক্রিন লাগালেও ছাতার কোন বিকল্প নেই এই তীব্র রোদে। রোদের তাপ খুব বেশি হলে বা দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকলে সানস্ক্রিন কিন্তু পুরো নিরাপত্তা দেয় না। তাই মাথার উপর একটি সুন্দর ছাতা তুলে ধরতে ভুলবেন না।
৬/সানগ্লাসঃ
ছাতার মতোই আরেকটি অপরিহার্য জিনিস সানগ্লাস। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি চোখের পাতলা চামড়াকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে। ফলে চোখে বয়সে ছাপ, বলিরেখা,ডার্কসার্কেল পড়ে। বাইরে বের হলে চোখে সানগ্লাস পরতে ভুলবেন না। সুরক্ষার পাশাপাশি এটি স্টাইল স্টেটমেন্টও যোগ করবে।
*বাড়ী ফেরার সাথে সাথে প্রচুর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
*প্রতিদিনই কিছু না কিছু ট্যানতো পড়েই। তাই মুখ পরিষ্কারের পর মুখে লাগান অ্যালোভেরা জেল,কাঁচা দুধ বা শশার রস।
*বাসায় রাখতে পারেন ক্যালামাইন লোশন। অতিরিক্ত ট্যান পরে গেলে সাথে সাথে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের পোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে। পাবেন যেকোনও ফার্মেসিতে।
এই গরমে থাকুন সতেজ,সুস্থ আর সুন্দর।