বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০

হাতের কালো দাগ দূরীকরণের কয়েকটি পদ্ধতি

কারো দিকে তাকালে প্রথমেই চেহারার দিকে চোখ যায় তারপর হাতের দিকে। আর সেই হাতই যদি রোদে পোড়া বা কালো দেখায় তাহলে নিজের কাছেই দেখতে খারাপ লাগে। আর সুন্দর থাকার প্রথম শর্ত হচ্ছে ত্বকের যত্ন। কিন্তু ত্বককে দাগহীন রাখা খুব বেশি সহজ হয় না কারণ আমরা সারাদিনের বেশি ভাগ সময়টাই ঘরের বাইরে থাকি, এছাড়াও অনেক কাজেই আমাদের ব্যস্ত থাকতে হয়। সময় বের করে মুখের যত্ন নেয়া হলেও খুব একটা হাতের যত্ন নেয়া হয় না। অনেক সময় চোখে পড়ে যে মুখের সাথে হাতের রঙ মিলছে না। এই সমস্যাটা রোদে পুড়লে বেশি হয়। হাতে বাদামি ও এক ধরনের ছোপ পড়ে। আঙুলের মাঝে, গোড়ালিতে ও নখে কালো ছোপ পড়তে দেখা যায়। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক যত্নের কোনো বিকল্প নেই।
এই সমস্যাগুলো দূর করতে ঘরে বসেই কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। এতে সময় কম লাগবে এবং খরচও কম হবে। তাহলে জেনে নেই হাতের কালো দাগ দূরীকরণের কয়েকটি পদ্ধতি।

লেবুর রসঃ

 সর্বপ্রথমেই বলা যায় কালো দাগ দূর করতে লেবুর রসের তুলনা হয় না। এক্ষেত্রে রোদ থেকে ফিরে এসে প্রথমে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর একটা লেবু কেটে তা খোসা সহ রস আঙ্গুলে ভালো ভাবে ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ ঘষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।একটা লেবু চিপে এর সাথে এক চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। এবার এটা আঙ্গুলের ভাঁজে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে নিন। এটি ন্যাচারাল স্ক্রাব হিসেবে কাজ করবে।
হাতের পোড়া দাগ দূর করতে অর্ধেক লেবুর রসের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। এবার এই পেস্ট কালো ছোপ ও আঙ্গুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিন।

হলুদ গুঁড়াঃ
দাগ দূর করতে হলুদের বিকল্প নেই। প্রথমে এক চামচ হলুদ গুঁড়ার সাথে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এটি আঙ্গুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ৩০ মিনিট পর লেবুর রস দিয়ে ঘষে তুলে নিয়ে ঠান্ডা পানিতে হাত পা ধুয়ে নিন। এটি আপনার হাতের ত্বককে আরো টানটান করে।

এলোভেরা জেলোঃ
একটা এলোভেরা কেটে জেলো বের করে নিন। এবার এটা আঙ্গুল ও আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে হাত ধুয়ে নিন। এতে করে হাত অনেক টানটান ও মসৃণ হবে।

লোশনঃ
রাতে ঘুমানোর আগে বরফের সাথে লোশন মিশিয়ে হাতে ১০ মিনিট লাগিয়ে নিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপানার ত্বক কোমল আর মসৃণ হবে।

প্যাকঃ
শশা, টমেটো এবং লেবুর রসের সাথে চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে হাতে লাগান আর ১৫ মিনিট পরেই দেখুন কালচে পড়া হাত পায়ের উজ্জ্বলতা।
প্লেন টক দই হাতে মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি সানটান কমাতে সাহায্য করবে।

কাঁচা আলুর রস ব্যবহার করলে হাতের লাবণ্য ফিরে পাওয়া যাবে।
এছাড়া সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাজ হলো হাত সব সময় পরিষ্কার রাখা। কারণ পরিষ্কার না থাকলে জীবাণুরা সহজেই ক্ষতি করবে।
এভাবে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সঠিকভাবে হাতের যত্ন নিলে অবশ্যই ভালো ফল পাবেন এবং আপনার হাত হবে সুন্দর ও আকর্ষণীয়।

রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০

ত্বকের যত্নে কমলালেবু

পদ্ধতিঃ১
১।কমলালেবুর খোসা ভালমত বেটে নিন।

২।এর সাথে পরিমাণমতো ভেসন ও গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে নিন।মিশ্রণ টি ঘন হতে হবে।

৩।পুরা মুখ ও গলা তে এই মিশ্রণটি লাগান। শুকালে হাল্কা করে সার্কুলার মুভমেন্টে ঘসে নিন।এরপর নরমাল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

এই প্যাকটি সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন ।

পদ্ধতিঃ২
১।কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে নিন। এরপর শুকনো খোসাগুলো গুড়ো করে নিন।

২।এর সাথে সমপরিমান গোলাপজল ও গ্লিসারিন মিক্স করে পেস্ট তৈরি করুন।মুখে লাগান।শুকালে ধুয়ে নিন।

এই প্যাকটি সপ্তাহে তিন বা চার দিন ব্যবহার করুন ।

ত্বকে জমে থাকে সব ময়লা ,ধুলাবালি দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল, মসৃণ ও কোমল করতে এই প্যাক দুটি খুব উপকারি।

শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০

মুখের তেলতেলে ভাব দূর করার উপায়

ক্লিনজিং
ত্বকের লোমকূপের মুখ খুলে পরিষ্কার করতে ক্লিনজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর মনে রাখবেন, ঠাণ্ডা পানির থেকে গরম পানি ত্বকের জন্য উপকারী। তাই ফেসওয়াশ অথবা ক্লিনজিং মিল্ক মুখে মেখে তুলা দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের তেলতেলে ভাব অনেকটা কেটে যাবে।

লেবুর রস
লেবুর রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। লেবুর সাইট্রিক এসিড ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে। নিয়মিত বাসায় ফিরে সামান্য লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে মুখে হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

ডিম
প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ত্বকের জন্য ডিম বেশ কার্যকরী। এটি ত্বকের ব্রণ দূর করে এবং অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করে। আপনি চাইলে ডিমের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ধীরে ধীরে ত্বকের তেলতেলে ভাব কমে যাবে।

টমেটো
টমেটো ত্বকের বাড়তি তেল দূর করার জন্য বেশ কার্যকরী। টমেটো চটকে নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ত্বকে টানটান ভাব চলে আসবে এবং তেলতেলে ভাব দূর হবে।

আপেল
আপেলের সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের তেলতেলে ভাব দূর হয়ে ত্বক হয়ে উঠবে আরো উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।

শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০

চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করার সহজ উপায়

কেন চোখের নিচের অংশ ফোলার সমস্যা হয়

চোখের নিচ ফুলে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এই কারণগুলো যতোটা সম্ভব বাদ দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। এতে করে চোখ ফোলার সমস্যা হবেই না।
  • – ঘুম কম হলে বা ঘুমের সমস্যা থেকে থাকলে চোখের নিচ ফুলে যায়। সুতরাং আপনাকে নিয়ম করে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
  • – অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে চোখের নিচ ফুলে যায় অনেক বেশী।
  • – অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খাওয়ার কারণে দেহে পানি বেশী জমতে থাকে। এতে করেও অনেকের চোখের নিচে ফুলে যায়।
  • – সাইনাসের সমস্যা থাকলে চোখের নিচের ফোলাভাব বেড়ে যায়।
  • – অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপানের কারণেও চোখের নিচ ফুলে থাকে।
  • – পরিবারের সদস্যদের যদি এমন সমস্যা থাকে তাহলে সেটি আপনার জেনেটিক্যাল ব্যাপার, আর সে কারণেই আপনার চোখের নিচ ফোলা।

১) আলুর রসের ব্যবহার

আলুর রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান চোখের নিচের ফলাভাব এবং সেই সাথে কালচে ভাব দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।প্রথমে একটি আলু গ্রেট করে নিয়ে চিপে রস বের করে নিন। এবং এই রস একটু ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে ফেলুন। ঠাণ্ডা আলুর রস তুলোর বলে লাগিয়ে চোখের উপরে দিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এই ২০ মিনিট রিলাক্স করুন। ২০ মিনিট পর তুলোর বল ফেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন ফোলাভাব অনেকটাই কমে গিয়েছে।

২) ডিমের ব্যবহার

ডিম ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। বিশেষ করে ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে ডিমের সাদা অংশের জুড়ি নেই। একারণেই চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করতে ডিমের সাদা অংশ কার্যকরী। একটি ডিম ভেঙে কুসুম আলাদা করে নিন। এরপর ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে নিন। আঙুলের ডগা দিয়ে এই সাদা অংশ চোখের নিচে লাগান তবে সাবধান থাকবেন যেনো চোখের ভেতরে না যায়। সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন চোখ বন্ধ করে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। চোখের ফোলাভাব খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
যদি এর চাইতেও সহজ পদ্ধতি চান, তাহলে দুটো টেবিলচামচ ডীপে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর এই চামচ চোখের উপরে ধরে রাখুন ১০ মিনিট, এতেও ভালো ফলাফল পাবেন।

বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০

প্রাকৃতিক উপায়ে কার্যকরী রূপচর্চা

১. আটা

ক. রান্না ঘরের আটা আপনার ত্বক পরিচর্যায় অনেক সহায়ক হতে পারে। যেধরনেরই ত্বক হোক না কেন, আটা সব ত্বকের জন্যেই ভালো কাজ করে। ১ টেবিলচামচ পরিষ্কার আটা নিয়ে তার সাথে গরুর কাঁচা দুধ, একটু কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়েমুখে মেখে ১০/১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।
খ. আটা পানিতে ফুটিয়ে পেস্টের মতো করে মুখমন্ডলে লাগালে মুখের ছিটছিট তিলে দাগ অনেক হালকা হয়ে যায়।
গ. বেসনের মতো আটা হাতে নিয়ে পানি দিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগিয়েসাবানের মতো মুখ পরিষ্কার করা যায়।
ঘ.দুধের সরের সাথে আটা ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখেধুয়ে ফেলবেন।

২. হলুদ

হলুদের গুণের কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। রূপচর্চায় হলুদের ভূমিকাঅনেক। অতীতে নানী-দাদীরাও হলুদ ব্যবহার করতেন। নানান রোগের জন্যে কাঁচাহলুদের রসও খেতেন। ঘরোয়া চিকিৎসাতেও হলুদের অবদান অনেক।
অনেক ফেসপ্যাক কাঁচা হলুদ দিয়ে তৈরি করা হয়। অনেকের গায়ের রং ফ্যাকাসেসাদা। তারা যদি একটু কাঁচা হলুদ বেটে তার সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে গায়ে, হাতে এবং পায়ে মেখে প্রতিদিন গোসল করেন, তাহলে দেখবেন ফ্যাকাসে ভাবনেই। সুন্দর সোনা বর্ণের আভা চলে আসছে দেহে। কাঁচা হলুদের সাথে দুধের সরওমিশিয়ে নিতে পারেন।
হলুদ লোমনাশক, নিয়মিত মাখলে শরীরের লোম বাড়ে না। এতে ওয়াক্সিং-এর কাজহয় ভালো। আগেকার দিনে মা-দাদীরা কাঁচা হলুদ বাটার সাথে নিম পাতা বেটে বড়িবানিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখতেন। তারপর প্রতিদিন বাসি পেটে খেতেন। এতে পেটেরদোষ হতো না, লিভার ভালো থাকতো। এতে মুখে লিভার স্পট পড়ে না। অনেকমেয়েলি অসুখেও ফল পাওয়া যায়। কাঁচা হলুদ আখের গুড়ের সাথে খালি পেটেখেলে রক্ত পরিশোধিত হয় বলে স্বাস্থ্য রক্ষা ও রূপচর্চায় হলুদের দান অতুলনীয়।

৩. ডাব

ক.ডাবের পানিতে ১৯টি খনিজ উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে দুটোডাব খেলে ত্বকের কমনীয়তা বাড়ে।
খ.বসন্ত হলে কচি ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুলে দাগ চলে যায়।
গ. মুখে ব্রণের দাগ হলে ডাবের পানি দিয়ে ধুলে দাগ চলে যায়।
ঘ.একটু তুলো ডাবের পানিতে ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে শুকোতে দিন। তারপরহাত দিয়ে আস্তে আস্তে মুখ ঘষে দেবেন। এতে মুখে সুন্দর উজ্জ্বল একটা ভাব চলেআসবে। মুখের ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে।
নানী-দাদীরা সেকালে নারকেল দিয়ে চুল ধুতেন। এতে চুলের উজ্জ্বলতা যেমনবাড়তো তেমনি চুলও পড়তো না। অনেক সময় ঝুনো নারকেল নষ্ট হয়ে যায়। এইনষ্ট নারকেল না ফেলে শিলে পিষে মাথায় ঘষে দিয়ে ঘণ্টা খানেক পরে মাথা ধুলে চুলশুকোনোর পর দেখবেন চুল তেল দেয়ার মতো হয়েছে। চুলের পরিচর্যায় নারকেলবেশ উপকারী।
ঙ.একটা নারকেলের অর্ধেক নিয়ে কুড়িয়ে আধা কাপ অথবা এক কাপ গরমপানির সাথে ভালো করে চটকে দুধ বের করে নিয়ে পরিষ্কার দুধের সাথে একটাকাগজী লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় বিলি কেটে চামড়ায় ভালো ভাবে ম্যাসাজ করে২০-৩০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে চুল ধুয়ে নিন। এ পদ্ধতি সপ্তাহে একদিনকরলে চুল ওঠা বন্ধ হবে। তারপরেও চুল উঠলে ভিটামিন ও আয়রন খেতে হবে।ক্যালসিয়ামের অভাবেও চুল ওঠে। সেজন্যে ডাক্তারের পরামর্শে ক্যালসিয়াম খেতেপারেন।

৪. গোলাপ জল

গোলাপ জল চেনে না এমন লোক বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিয়ে বাড়ি বলুন, মিলাদ মাহফিল বলুন, রূপচর্চা বলুন- গোলাপ জলের চাহিদা আছেই। রান্না-বান্নায়গোলাপ জল তো চাই-ই চাই। গোলাপ ফুলের নির্যাস থেকেই এ পানি বানানো হয়।পানি সুগন্ধি করতে গোলাপ জলের দরকার হয়। গ্লিসারিনের সাথে সমপরিমাণগোলাপ জল মিশিয়ে ঠোঁটে মাখলে ঠোঁট ফাটে না এবং ঠোঁটের রং-ও সুন্দর হয়।গোলাপ জল দিয়ে স্কিন-ফ্রেশনার টনিক আপনি নিজেই বানাতে পারেন। আধা কাপগোলাপ জল, একটা লেবুর রস, ক-ফোঁটা মধু একত্রে মিশিয়ে নিলে স্কিন-ফ্রেশনারটনিক হয়ে গেল।
এ টনিক দিনে দুবার তুলোয় করে মুখে লাগাতে পারেন। যাদেরমুখের চামড়া খসখসে তারা রাতে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে সমপরিমাণ গোলাপ জলেরসাথে গ্লিসারিন মুখে, হাতে এবং পায়ে মেখে নিতে পারেন। ভোরে কুসুম গরম পানিদিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এতে মুখের খসখসে ভাব থাকবে না এবং ত্বক কোমলহবে।

৫. মধু

মধুর গুণের কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। মধু এবং দুধকে বলা হয়বেহেশতের নিয়ামত। মধু ত্বকের জন্যে খুবই উপকারী। বহু ফেসপ্যাক মধু দিয়েতৈরি হয়। কয়েক ফোঁটা মধু ও কাঁচা দুধ একত্রে মুখে মাখলে মুখের রং উজ্জ্বল, কোমল ও মসৃণ হয়।
মধু ও বেসন একত্রে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে মেখে ১৫/২০ মিনিট রেখেহালকা গরম পানি ও পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুলে মুখের ত্বক খুব সুন্দর ও মসৃণ হয়।
কয়েক ফোঁটা মধু + কয়েক ফোঁটা লেবুর রস + ১ চা চামচ গাজরের রস + ১ চাচামচ ছোলার ডালের বেসন একত্রে পেস্টের মতো করে মুখে মেখে ২০/৩০ মিনিটরেখে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মুখ মসৃণ ও কোমল হয়ে উঠবে।এ প্যাকটি শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্যে উপকারী।
মধু খেলেও নানা রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। মধু কফনাশক। প্রতিদিন১ চামচ মধু খেলে ঠান্ডা লাগতে পারে না। আয়ুর্বেদী বহু চিকিৎসায় মধু ব্যবহৃত হয়।বাসক পাতার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা মধু নিয়মিত খেলে ঘুম ভালো হয়।

৬. খাবার সোডা

খাবার সোডা রুটি, বিস্কুট, চটপটি ইত্যাদি বহুবিধ রান্নায় ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তুরূপচর্চা বা কোনো কিছু পরিষ্কার করার কাজেও যে সেটি ব্যবহার হয় তা হয়তোঅনেকেই জানেন না। রূপোর গয়না একটু খাবার সোডা দিয়ে ব্রাশ করে ধুলেদেখবেন ঝকঝকে হয়ে উঠছে। অনেকের মুখের দাঁত দেখতে হলদেটে ভাব। তারাযদি একটু খাবার সোডা দাঁত মাজার ব্রাশের ওপর নিয়ে মেজে নেন, তাহলে দেখবেনদাঁতগুলো মুক্তোর মতো ঝকঝকে হয়ে উঠেছে। তবে, এ পদ্ধতিটি আপনি রোজকরতে যাবেন না। এতে মাঢ়ির ক্ষতি হবে।

৭. আলু

শুধু রান্না-বান্না, খাবার-দাবারে যে আলুর ব্যবহার হয় তা নয়। রূপচর্চায় আলুরঅবদান একেবারে কম নয়। অনেকে গায়ের রং ফর্সা করার জন্যে নানান জিনিসব্যবহার করে থাকেন। তারা হয়তো অনেকেই জানেন না আলু ব্যবহার করেওশরীরের রং উজ্জ্বল করা যায়। গোল আলু খোসাসহ গোল গোল করে কেটে নিয়েকিছুক্ষণ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর পানি থেকে তুলে হাতে পায়ে মুখেগলায় ঘষে ঘষে মেখে নিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করলেদেখবেন গায়ের রং উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।

৮. ডিম

সৌন্দর্য চর্চায় ডিম এক অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে। ডিম দিয়ে মাথা ধোয়া,ডিমের তৈরি প্যাক বিভিন্নভাবে ত্বকের জন্যে ব্যবহার হয়ে থাকে। ডিমের প্যাকেমুখের লাবণ্য ফিরে আসে। ডিমের কুসুমের প্যাক শুকনো ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো।শুকনো ত্বকের জন্যে ডিমের কয়েকটি প্যাক :
ক.ডিমের হলুদ অংশ + আধা চা চামচ অলিভ অয়েল + কয়েক ফোঁটা লেবুররস। এ প্যাকটি মুখ ধুয়ে, পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে প্রথমেহালকা কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ও পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বকেরজন্যে খুবই ভালো ফল হবে।
খ.ডিমের কুসুম ও তার সাথে অ্যালমন্ড অয়েল অথবা অলিভ অয়েল আধাচা চামচ মিশিয়ে মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে প্রথমে হালকা কুসুম গরম পানি, পরেঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। সাধারণত সপ্তাহে ২/৩ দিনের বেশি লাগানোরদরকার নেই। এতে আপনার ত্বক সতেজ হয়ে উঠবে।

৯. ময়দা

প্রত্যেক বাড়িতেই রান্না ঘরে ময়দা পাওয়া যায়। আর এ ময়দা রূপ চর্চার কাজেব্যবহার করে আপনি হতে পারেন রূপবতী নারী। সাবানের পরিবর্তে ময়দা পানিতেগুলিয়ে হাতে, পায়ে ও মুখে মেখে গোসল করতে পারেন। আবার ময়দা + কাঁচা হলুদবাটা + দুধের সর মিশিয়ে হাতে, পায়ে, মুখে আস্তে আস্তে মেখে প্রথমে হালকা কুসুমগরম পানিতে, পরে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিলে দেখবেন গায়ের রং কিছু দিনের মধ্যেউজ্জ্বল হয়ে উঠছে।

১০. পেঁয়াজ

রূপচর্চায় পেঁয়াজের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। বহু রোগ সারাতেও পেঁয়াজের জুড়িনেই। কাঁচা পেঁয়াজে ভিটামিন-বি ও ভিটামিন-সি রয়েছে। কাঁচা পেঁয়াজের রস ওআদার রস সমপরিমাণে নিয়ে সামান্য গরম করে ১ বা ২ চা চামচ খেলে নতুন সর্দিরউপশম হয়। যদি কারো নাক থেকে অনবরত পাতলা পানির মতো শ্লেষ্মা পড়েতাহলে কাঁচা পেঁয়াজ ও আদা সামান্য তেলে ভেজে নিয়ে খেলে শ্লেষ্মা ঘন হয়।মাথার খুশকিতে কাঁচা পেঁয়াজের রস ওষধি হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া কাঁচাপেঁয়াজের সাথে সামান্য কয়েকটি সর্ষে বেটে মাথায় বিলি কেটে দিলে নতুন চুলগজায়।

১১. শসা

শসার গুণের কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। শসা যেমন রান্না-বান্নায়, খাওয়া-দাওয়ায় ব্যবহৃত হয় তেমনি ব্যবহৃত হয় রূপচর্চায়।
ক.মুখে কোনো কালো দাগ পড়লে কচি শসার রস মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিটরেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নেবেন। এভাবে কিছুদিন নিয়মিত লাগালে দাগ উঠে যায়।
খ.শসার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মুখে মেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডাপানিতে ধুয়ে নিলে মুখের রং উজ্জ্বল ও কোমল হয়। তবে নিয়মিত কিছুদিন করতেহবে।
গঅনেক সময় দেখা যায় চোখের নিচে অনেকেরই কালো দাগ পড়ে। শসাররস নিয়মিত মাখলে এ দাগ দূর হবে।
ঘ.মনে রাখবেন যদি কেউ ফর্সা হতে চান তবে নিয়মিত শসার রসের সাথেকয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে, হাতে ও গায়ে নিয়মিত মাখলে গায়ের রংফর্সা হয় অথবা শসা পাতলা পাতলা করে কেটে মুখে ঘসে নিতে পারেন। পরেশুকোলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নেবেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে শসা খুবই উপকারী।তবে কাঁচা ব্রণের ওপর লেবুর রস লাগালে দাগ হয়। তার জন্যে শুধু শসার রসইভালো।
ঙ.মুখকে রোদ থেকে বাঁচাতে, মুখের দাগ তুলতে ও ময়লা থেকে যদি রেহাইপেতে চান তবে শসার সাহায্যে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে ২৫/৩০ মিনিট রেখেপ্রথমে গরম পানি, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে বাইরে বেড়িয়েআসতে পারেন। এতে ত্বক সারাদিনের জন্যে যেমন চকচকে, মসৃণ ও কোমলথাকবে তেমনি বাইরের নানান জীবাণু থেকে ত্বক রেহাই পাবে।
এবার জেনে নিন কীভাবে প্যাকটি তৈরি করবেন। একটি কচি শসা পাতলা করেকেটে থেঁতো করে তার সাথে একটি ডিমের কাঁচা কুসুম, এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধমিশিয়ে মিক্সার মেশিন অথবা ব্লেন্ডারে মিশিয়ে নিয়ে মুখে, গলায় ও হাতে মেখেনেবেন। ব্লেন্ডার না থাকলে হাতেই ভালো করে মিশিয়ে নেবেন।

১২. গাজর

রূপচর্চায় গাজরের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। গাজরে প্রচুর ভিটামিন-এ এবংক্যারোটিন রয়েছে। প্রতিদিন একটি করে কাঁচা গাজর খেলে আপনার শরীরেভিটামিন-এ-এর অভাব হবে না। এতে চোখ, ত্বক- উভয়ের জন্যেই উপকার।আমাদের দেশে শীতকালে প্রচুর গাজর পাওয়া যায় এবং দামও খুব কম থাকে। তাইসস্তায় আপনি প্রচুর ভিটামিন গ্রহণ করতে পারেন। গাজর খেলে দাঁতও চকচকেহয়। গায়ের রং ফর্সা হয়। পায়খানা পরিষ্কার হয়। চুল পড়ে না।
চুলের উজ্জ্বলতাবাড়ে। মনে রাখবেন, ভিটামিন-এ ত্বকের সৌন্দর্যের জন্যে খুবই দরকার আর তাআপনি গাজর থেকে অল্পতেই পেতে পারেন। অর্থাৎ গাজর খেলে আপনার ত্বক চোখদাঁত ঠোঁট চুল- সব কটি অঙ্গেরই উপকার হচ্ছে। আবার গাজর দিয়ে সুন্দরফেসপ্যাকও তৈরি করে নিতে পারেন। এ প্যাক মিশ্র ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী।কীভাবে প্যাক তৈরি করবেন জেনে নিন :
১ টেবিল চামচ অথবা আপনার পরিমাণ মতো ছোলার ডালের বেসন + গাজরের রস+ অলিভ অয়েল কয়েক ফোঁটা নিয়ে পেস্টের মতো বানিয়ে মুখে মেখে ১৫/২০মিনিট রেখে প্রথমে হালকা গরম পানিতে, পরে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলবেন। গাজরদিয়ে আপনি আরও একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এ প্যাক স্বাভাবিকও শুষ্ক- উভয় ত্বকের জন্যেই উপকারী।
১টি (মিহি কোড়ানো) গাজর + ২ চা চামচ গরুর দুধ + ১ চা চামচ বেসন মিশিয়েমুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কাঁচা গাজর নিয়মিত খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

১৩. টমেটো

শীতকালে আমাদের দেশে প্রচুর টমেটো পাওয়া যায়। এ সময় দামও কম থাকে।টমেটোতে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। তাই কাঁচা টমেটো খাওয়া খুবই উপকারী।টমেটোতে ভিটামিন-বিও রয়েছে। ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি এগুলো ত্বকের জন্যেবেশ উপকারী। টমেটো খেয়ে এবং ফেসপ্যাক তৈরি করে আপনি রূপচর্চা করতেপারেন অনায়াসে।

ফেসপ্যাক তৈরির পদ্ধতি

মাঝারি ধরনের গোটা তিনেক টমেটোর রসের সঙ্গে ২ চা চামচ গ্লিসারিন, ৩ চামচলেবুর রস, ৪ চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে, গলায় ও হাতে ভালো করে মেখে নিয়ে ১৫/২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়েফেলুন। দেখবেন মুখটি কেমন সুন্দর মনে হচ্ছে।

১৪. বাঁধাকপি

বাঁধাকপিতে রয়েছে ভিটামিন-বি, ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি। এছাড়া বাঁধাকপিতেভিটামিন-কে-ও রয়েছে। ভিটামিন-কে রক্ত জমাট বাঁধতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।দেহের হাড় গঠন ও পুষ্টিতে ভিটামিন-কে বিশেষ প্রয়োজন। বাঁধাকপিতে সালফাররয়েছে প্রচুর। সালফার আমাদের চুল ও দেহের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষাকরে।
বাঁধাকপির সাহায্যে আমরা মুখের ত্বককে অনায়াসে কোমল করে তুলতে পারি।প্রথমে বাঁধাকপির পরিষ্কার দু-তিনটি পাতা নিয়ে রস বের করুন। এবার এর সঙ্গে ১চামচের চার ভাগের ১ ভাগ ইস্ট মেশান এবং এর সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে ঘনপেস্টের মতো তৈরি করে নিয়ে সমস্ত মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে প্রথমে হালকাগরম পানি, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া বাঁধাকপির সাহায্যে সুন্দরস্কিন-ফ্রেশনার টনিক বানাতে পারেন নিজ হাতেই।
প্রথমে বাঁধাকপির কয়েকটিটাটকা পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে কুচিয়ে ১ কাপ পানিতে কুচানো কপি ফুটিয়েভালো করে সেদ্ধ করে সেই পানি ভালো ভাবে ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন। তৈরি হয়ে গেলআপনার স্কিন-ফ্রেশনার। মুখ ভালো ভাবে বেসন অথবা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করেধুয়ে একটু তুলো ঐ পানিতে ভিজিয়ে সারা মুখে, হাতে ও পায়ে লাগিয়ে নিন এবংশুকোতে দিন। মুখ মুছে ফেলবেন না। এতে এর গুণ নষ্ট হয়ে যাবে। পানি গরমঅবস্থায় দেবেন না। ঠান্ডা করে দেবেন। যেদিন বানাবেন সে দিন ব্যবহার করবেন।বাসি করবেন না।

১৫. লেটুস পাতা

বাঁধাকপির মতো লেটুস পাতায়ও রয়েছে ভিটামিন-সি। এছাড়াও আছে ম্যাঙ্গানিজ।লেটুস হজমকারক। তাই লেটুস পাতা খাওয়া খুবই ভালো। আমরা সালাদে লেটুসব্যবহার করে থাকি। লেটুস দিয়ে আবার স্কিন-ফ্রেশনার টনিকও তৈরি করা যায়।শীতকালে ঘরে বসেই আপনি স্কিন-ফ্রেশনার টনিক বানাতে পারেন। বাঁধাকপিরমতোই লেটুস কুচিয়ে পানিতে ফুটিয়ে ভালো ভাবে সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা হলেতুলোয় করে মুখে, হাতে ও পায়ে মেখে নিতে পারেন।

১৬. মটর দানা

মটরেও রয়েছে নানান ভিটামিন। মটর খেতে আমরা সবাই ভালবাসি। মটর দিয়েওসুন্দর ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে মটরের সাহায্যে আপনিসুন্দর ফেসপ্যাক বানাতে পারেন। মটর প্রসেস করে রেখে বহু দিন ব্যবহার করতেপারবেন।

প্রস্ত্তত প্রণালী

এক কাপ মটর নিয়ে গরুর দুধে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরেরদিন দুধ থেকে তুলে নিয়ে শুকিয়ে নেবেন এবং এই শুকনো মটর গ্রাইন্ডারে গুঁড়োকরে অথবা শিলপাটায় গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারেন। যখন প্রয়োজন হবে কিছুটানিয়ে পানি মিশিয়ে পেস্টের মতো করে মুখে লাগাতে পারবেন। ১৫ মিনিটের মতোমুখে রেখে ধুয়ে ফেলবেন। এ প্যাকটি ব্রণের জন্যে খুবই উপকারী।

১৭. পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতার চাটনি অত্যন্ত মজাদার। আর এই পুদিনা পাতা রূপ চর্চারও অনবদ্যউপকরণ। তৈলাক্ত মুখে সারা সময়ই একটা-দুটো ব্রণ লেগে থাকে। আর তা সারাতেপুদিনা পাতার জুড়ি নেই। শীতের সময় এর ফলন হয় বেশি এবং সারা বছরওবাজারে কম-বেশি পাওয়া যায়।

এবার জেনে নিন রূপচর্চায় এর ব্যবহার-

প্রথমে পুদিনা গাছ থেকে শুধু পাতা নিন। ভালো ভাবে ধুয়ে মিহি করে বেটে পেস্টেরমতো বানিয়ে রাতে মুখে ভালো ভাবে লাগিয়ে রেখে দিন। পরের দিন ভোরে মুখ ধুয়েফেলুন। এভাবে মাস খানেক লাগানোর পর দেখবেন আপনার মুখে আর আগের ব্রণনেই। দাগও নেই।
মনে রাখবেন, যেকোনো রূপচর্চাই ধৈর্য ধরে বহুদিন না করলে আপনি তার সঠিকফল ভোগ করতে পারবেন না।

বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য রাইস ফেস মাস্ক


আপনার যা যা লাগবে-
চালের গুঁড়া (১ টেবিল চামচ)
চালের গুঁড়া খুব ভালভাবে স্কিন এক্সফলিয়েট করে। তাছাড়া জেদি ট্যান দূর করে স্কিন ব্রাইট আর গ্লোইং করার জন্য এর আছে আলাদা কদর। ফ্রেশ আতপ চালের গুঁড়া শুকিয়ে একটা আলাদা কৌটায় করে রেখে দিন যাতে যখন সময় পাবেন স্কিন কেয়ার আর মাস্ক তৈরিতে ইজিলি ব্যবহার করতে পারেন। আর হ্যাঁ, সেনসিটিভ স্কিনেও চালের গুঁড়া ব্যবহারে কোন সমস্যা হয় না।

গুঁড়া দুধ (১/২ টেবিল চামচ)
শীতকালে অনেকেরই ত্বক রুক্ষ আর ডাল হয়ে যায়। অনেকেই বলেন ফেস কালচে লাগে, বিভিন্ন জায়গায় শুষ্ক হয়ে চামড়া ওঠে। সাধারন ক্রিমে যা কোনভাবেই কন্ট্রোল করা যায় না। এই সব সমস্যার সমাধানে গুড়ো দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ত্বক উজ্জ্বল করা এবং দাগ ছোপ দূর করার জন্য গুঁড়া দুধের ভূমিকা প্রমাণিত।

মধু (১/২ টেবিল চামচ)
স্কিনের আদ্রতা ধরে রাখে আর দেয় শিশুদের মত কোমল ত্বক। ড্রাই স্কিনের চুলকানি আর রেডনেস দূর করার জন্য যেকোনো দামি ক্রিম/মাস্ক থেকে মধু বেশি কার্যকরী। যদি আপনার স্কিনে ব্রণ থাকে অথবা খুব অয়েলি স্কিন হয় অথবা মধুতে অ্যালার্জি থাকে তবে এটা বাদ দিতে পারেন।

 কড়া গ্রিন টি লিকার
স্কিনের ড্যামেজ দূর করে (স্পেসালি সান ড্যামেজ)। এর আছে অ্যান্টি অক্সিডানট আর অ্যান্টি এজিং গুণাবলী। কড়া লিকার তৈরি করার জন্য এক কাপের তিন ভাগের একভাগ ফুটন্ত পানিতে একটি গ্রিন টি ব্যাগ ১-২ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা করে নিয়ে ব্যবহার করুন।

এবার কি করবেন?
–     সব উপকরণ একত্রে মেশাতে পারবেন না। প্রথমে একটা ছোট পাত্রে চালের গুঁড়া আর গুঁড়া দুধ একত্রে মেশান।
–     এবার এতে মধু মেশান এবং যতক্ষণ মিশে না যাবে নাড়তে থাকুন।
–     সবশেষে কড়া গ্রিন টির লিকার মিশিয়ে নাড়ুন এবং একটু ঘন পেস্ট কনসিসটেন্সিতে নিয়ে আসুন। দেখে নিন মাস্কের ঘনত্ব কেমন হওয়া উচিৎ।
তৈরি হয়ে গেল ব্রাইটেনিং অ্যান্ড রিজুভিনেটিং রাইস মাস্ক!

ব্যবহারের নিয়মঃ
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন। এই মাস্কটি আপনার মুখে, গলায়, ঘাড়ে এবং শরীরের শুষ্ক, রুক্ষ অংশে এবং হাতে পায়েও ইউজ করতে পারবেন। রেগুলার ইউজ করলে জেদি ট্যান আর কালচে দাগ হালকা হয়ে আসবে।
একটু মোটা পরতে মাস্ক ত্বকে লাগান। এতে দুধ এবং মধু থাকায় সহজে শুকাবে না। ১৫ মিনিট পড়ে একটু পানির ছিটা দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হালকা হাতে স্কিনে ম্যাসাজ করুন। সবসময় নিচ থেকে উপরের দিকে ম্যাসাজ করবেন। এভাবে ১-২ মিনিট ম্যাসাজ করে হালকা উষ্ণ পানিতে মাস্ক ধুয়ে ফেলুন।
দেখলেন তো কতো ইজি? তো এবার নিজেই তৈরি করুন রাইস ফেস মাস্ক।

সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০

রমজান মাসের খাবার তালিকা


রমজানে ইফতারের সময় ক্ষুধা বেশি থাকায় অনেক খাবার খেয়ে ফেলা যাবে না। তেলজাতীয় বা চিনিমিশ্রিত যেকোনো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ইফতারের সময় ফলমূল, চিড়া, সবজি দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া যেতে পারে। বেশি ক্ষুধা লাগলেও পরিমিত খাবার খেতে হবে। ইফতারে হালকা খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে রাতের খাবার খেতে হবে। বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সেহরীতেও খুব ভারী খাবার খাওয়া ঠিক নয়।’

প্রচুর পরিমাণে পানি-
রমজানে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। নিয়ম করে সাহ্রির সময় ২ গ্লাস, রাতের খাবার ও সাহ্রির আগে ৪ গ্লাস ও সাহ্রির সময় ২ গ্লাস পানি খেলে পানির চাহিদা পূরণ হয়। তা ছাড়া এই পানি সুগার লেভেলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

হালকা ইফতারি-
সারা দিন না খেয়ে থাকার পর ইফতার করা হয়, তাই পুরো রমজানে ইফতারে আপনি কি খাচ্ছেন, তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইফতারে কোনোভাবেই পেট ভর্তি করে খাবার খাওয়া যাবে না। কিছুক্ষণ পরেই রাতের খাবার খাবেন এই চিন্তা করেই লেবুর শরবত, একটি খেজুর, সালাদ, টক দই, মৌসুমি ফলমূল বা জুস দিয়ে ইফতার সেরে ফেলুন। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে তাঁরা বিকল্প চিনি দিয়ে লেবুর শরবত বানিয়ে খাবেন। ভাজাপোড়া থেকে একদমই দূরে থাকবেন। বেশি ভাজাপোড়া খেলে বদহজম, বমি, গ্যাস হতে পারে।

সাহ্রিতে পরিমিত খাবার-
রমজানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে সাহ্রি। অনেকেই রাতে অনেক বেশি খাবার খেয়ে আর সাহ্রি গ্রহণ করতে চান না। কিন্তু সুস্থ থাকার জন্য এটি সঠিক পথ নয়। সারা দিন নিজেকে তৃষ্ণা ও ক্ষুধা থেকে বিরত রাখতে চাইলে সাহ্রিতে পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন, আয়‌োডিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ফল, সবজি সেদ্ধ, সবজি সালাদ, দুধ বা টক দই, ভাত বা রুটি, মাছ বা মুরগির মাংস অথবা ডিম ও ডাল খেতে হবে।

রমজানে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সারা দিন ঘুমিয়ে থাকা সঠিক উপায় নয়। দৈনন্দিন কাজ আগের মতো করতে থাকুন। যাঁরা অন্য সময়ে সকালে ব্যায়াম করতেন, তাঁরা ইফতারের পর নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন, সারা দিন খালি পেট থাকার ফলে আপনার চর্বি সহজে কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
 

রোধ করুন অকালে চুল পাকা


বর্তমানে অনেকেরই কম বয়সে চুল পাকার প্রবণতা দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে ভেজাল খাবার, দূষণ, অনিয়মিত জীবনযাপন ও ক্ষতিকর কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার অন্যতম। অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ করতে জেনে নিন কয়েকটি আয়ুর্বেদিক উপায়-

১) হরতকীর গুঁড়া ১ চা চামচ, মেহেদি পাতা বাটা দুই চা চামচ এবং আধাকাপ নারকেল একসাথে মেশান। এবার ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করুন। পুরো চুলে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

২) ১০ গ্রাম মেহেদিপাতা, ১০ গ্রাম কেশুতপাতা, হরীতকীর ছাল, ২টি আমলকী, ৭-৮টি জবুফলের মাঝের অংশ ও বিটের রস ভালো করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে হেয়ার টনিক তৈরি করুন। এই টনিক নিয়মিত পুরো চুলে লাগান। ৪০ মিনিট রেখে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অসময়ে চুল পাকা প্রতিরোধ করতে পারবেন খুব সহজেই।

৩) আমলকীর রস, বাদামের তেল ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করুন। চুল পাকা কমে যাবে।

৪) একটি দুটি করে চুল সাদা হতে শুরু করলেই মেহেদি, ডিমের কুসুম ও টকদই একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগান। সপ্তাহে এক বার এই প্যাক ব্যবহার করুন। এই প্যাক চুল পাকা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৫) ১ কাপ নারকেল তেল, ১ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়া, ২ টেবিল আমলকী গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিন। তেল বাদামি রঙ ধারণ করলে নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিন। এই তেল সপ্তাহে ২ দিন চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পাকার সমস্যা দূর হবে দ্রুত।

এছাড়া চুলের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ভালো ব্যান্ডের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ফলমূল, রঙিন শাকসবজি, পুষ্টিকর খাবার খান ও প্রচুর পরিমাণে পান করুন।

শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০

স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে ৯টি ভেষজ টিপস

লবণ :

লবণ ছাড়া রান্নার কথা যেন কল্পনাও করা যায় না। খাবার হিসেবে লবণ শরীরের জন্য যেমন উপকারী, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ তেমনি ক্ষতিকরও বটে! তবে লবণ খাবারে যে স্বাদ যোগ করে, তা অন্য কিছু করতে পারে না। রান্নাঘরের এই উপকরণটি ছোটখাট দুর্ঘটনার চিকিত্‍সাতেও খুবই ভালো ফল দেয়। জেনে নিন লবণ দিয়ে ঘরোয়া কিছু চিকিত্‍সার কথা –
  • ১)রান্না করতে গিয়ে আগুনের বা গরম পানির আঁচ লেগেছে? আক্রান্ত স্থানে সাথে সাথে লবণ লাগিয়ে নিন। জ্বলুনি কমে যাবে এবং ফোসকাও পড়বে না।
  • ২)মাছ কাটতে গেলে অনেক সময় হাতে কাঁটা বিঁধে যাওয়ায় তীব্র যন্ত্রণা হয়। কাঁটা বেঁধা জায়গায় লবণ ঘষে দিন। অথবা পানিতে লবণ গুলে আক্রান্ত স্থান তাতে ডুবিয়ে রাখুন। ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।
  • ৩)অল্প দাঁতব্যথা হলে রাতে ঘুমোবার আগে দাঁত ব্রাশ করে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলি করুন। তারপর আর কিছু মুখে দেবেন না, এমনকি পানিও নয়। পরপর তিনদিন করবেন এভাবে। দেখবেন, দাঁতব্যথা দূর হয়ে গেছে। গলাব্যথাতেও লবণ-পানি সমান উপকারী। উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করুন, আরাম পাবেন।

আলু :

আলু অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সবজি। আলু ভর্তা থেকে শুরু করে ভাজি, আলুর ডাল, ঝোল তরকারি সবই উপাদেয়। এই আলুও কিন্তু উপকারে আসতে পারে ঘরোয়া চিকিত্‍সার কাজে।
  • ৪)গরম পানি, তরকারি, ভাতের মাড়, ডাল শরীরের কোনো জায়গায় পড়লে প্রথমে সেখানটা ঠান্ডা পানির ধারার নিচে (রানিং ওয়াটার) ধরে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর কাঁচা আলু থেঁতো করে নিয়ে পুরু করে লাগান। এতে জ্বলুনি কমবে এবং ফোসকাও পড়বে না।
  • ৫)চুলপড়া রোধ করতে, নতুন চুল গজাতে এবং খুশকি দূর করতে কাঁচা আলু সহায়তা করে। কাঁচা আলু থেঁতো করে তার রস চুলের গোড়ায় লাগান সপ্তাহে ২-৩ বার। এর নিয়মিত ব্যবহার চুলপড়া কমে যাবে ও নতুন চুল গজাবে। চুল থাকবে খুশকিমুক্ত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
  • ৬)চোখের ক্লান্তি দূর করতে কাঁচা আলুর তুলনা নেই। আলুর রস চোখের নিচের কালো দাগও দূর করে। কাঁচা আলু থেঁতলে নিয়ে চোখের ওপর রাখুন ১০-১২ মিনিট। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে ও চোখের ক্লান্তি দূর হবে।
  • ৭)ত্বকের সমস্যা দূর করতেও আলুর তুলনা নেই। বিশেষ করে খোসপাঁচড়া ও মেচতা। আলুর রস করে নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় তুলো দিয়ে প্রতিদিন লাগান। খুব দ্রুত ফল পাবেন।

রসুন :

রসুন রান্নায় ব্যবহৃত অন্যমত মসলাগুলোর মধ্যে একটি। রসুনের রয়েছে অনেক গুণাগুণ। কিছু সমস্যা দূরীকরণে রসুনের আছে অতুলনীয় ভূমিকা।
  • ৮)অনেক সময় তেলাপোকা বাচ্চাদের এমনকি বড়দেরও মাথার এবং ভ্রূ’র চুল খেয়ে ফেলে। পরে ওই জায়গাটা তেলতেলে হয় এবং চুল গজায় না বলে বিশ্রী দেখায়। আক্রান্ত স্থানে রসুন বেটে পুরু করে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে পরপর ১০-১২ দিন লাগান। আবার নতুন চুল গজাবে।

আদাঃ

আদা আরেকটি অনন্য উপাদান প্রকৃতির। এর আছে হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা।
  • ৯)অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে অনেক সময় গা গোলায় ও বমিভাব হয়। এ সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পেতে কয়েক টুকরো আদা চিবিয়ে খান। দ্রুত আরাম পাবেন। গ্যাসের সমস্যা খুব বেশি হলে বা হজমে গন্ডগোল দেখা দিলে অল্প একটু আদা থেঁতো ও লবণ এক কাপ উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে খান।

মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২০

জেনে নিন ঘরে বসেই কেমন হবে পহেলা বৈশাখের সাজ

পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। বিশ্বজুড়ে কোটি বাঙালি এই দিনটি উৎসবে-আনন্দে পালন করেন। বর্ষবরণের রীতি প্রায় সব দেশেই রয়েছে। আমাদের দেশেও এ রীতি বেশ পুরনো। তবে আগে এ উৎসব গ্রামকেন্দ্রিক হলেও বিগত একযুগেরও বেশি সময় ধরে শহরেও পালন করা হচ্ছে বর্ষবরণ। সবাই আনন্দ নিয়ে বরণ করে নেয় বাংলা নববর্ষকে। সাজ এবং পোশাকে নিজেকে অনন্য করে তুলতে চান সব ফ্যাশনপ্রেমী মানুষই। চলুন জেনে নেই কেমন হবে ঘরে বসেই বৈশাখের সাজ-পোশাক-
পোশাক
বৈশাখি পোশাকে কাপড় হিসেবে বেছে নিন কটন, এন্ডিকটন, ভয়েল কিংবা লিলেনের মতো কাপড়। রঙের ক্ষেত্রে বৈশাখ মানেই লাল-সাদা। অন্যান্য রং যে পরা যাবে না, এমন নয়। তাই লাল-সাদার পাশাপাশি হলুদ, লেমন, পার্পেল, বাসন্তির মতো রংও বেছে নিতে পারেন। শাড়ি যদি একদমই সামলে না রাখতে পারেন তবে কামিজ কিংবা কুর্তিও পরতে পারেন।
মেকআপ
এ সময় গরম যেহেতু বেশি থাকে, তাই ভারী সাজ না দিয়ে হালকা সাজ দেয়া ভালো। চোখের শ্যাডো হালকা ব্রাউনিশ বা গ্রিনিশ থাকবে। আইব্রো টাচআপ অবশ্যই দেবেন। আমরা অনেক সময় এটি দিতে ভুলে যাই। চোখে কাজল, আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আইল্যাশ লাগাবেন। লিপস্টিকের ক্ষেত্রে লাল রং বেছে নিতে পারেন। আই মেকআপ হালকা নিতে পারেন।
চুলের সাজ
চুল না ছেড়ে হালকা বেঁধে দিতে পারেন। করতে পারেন সাধারণ বেণী বা ফ্রেঞ্চ বেণী। আবার সামনে একটু মেসি স্টাইল করে, পেছনটা খোঁপা করা যেতে পারে। সামনের দিকে ফ্রেন্স বেণী করে পেছনে খোঁপাও করা যেতে পারে। মাঝখানে একটি সিঁথি করে খোঁপা করতে পারেন। খোঁপা বা বেণীতে ফুল লাগাতে ভুলবেন না যেন।
গয়না
বৈশাখে শাড়ির সঙ্গে মাটির গয়না বেছে নেয়া ভালো। মাটির মালা হতে হবে লম্বা। আবার কাঠ, রুপা, মুক্তা বা তামার মালা পরতে পারেন। ভারী গয়না পরতে না চাইলে ফুলের মালা বেছে নিন। বাঙালি নারী গয়না না পরলেও দু’হাত ভর্তি চুড়ি সাজ পূর্ণ করে দেয়। শাড়ির পাড়ের সঙ্গে মিলিয়ে রেশমি চুড়ি পরতে পারেন। মাটির বা কাঠের চুড়িও কিন্তু বেশ মানিয়ে যায়।

সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০

মাত্র ১ টি উপায়ে দূর করুন অতিরিক্ত চুল পড়া


যা যা লাগবে-
– দেড় কাপ আলুর রস
– ১ চা চামচ মধু
– সামান্য পানি
– ১ টি ডিমের কুসুম

ব্যবহারবিধি-
– পরিষ্কার চুলে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ আগের দিন চুল পরিষ্কার করে নিয়ে পরের দিন ব্যবহার করতে পারেন এই হেয়ার প্যাকটি।
– একটি বাটিতে সকল উপকরণ পরিমাণ মতো নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন। লক্ষ্য রাখবেন যেনো সম্পূর্ণ ভালো করে মিশে যায় সবকিছু।
– এরপর চুল একটু ভিজিয়ে নিয়ে এই প্যাকটি পুরো চুলে লাগান, বিশেষ করে মাথার ত্বকে, চুলের গোঁড়ায়। এরপর ৩০ মিনিট এভাবেই রাখুন।
– ৩০ মিনিট পর চুল খুব ভালো করে ধুয়ে নিন এবং ফ্যানের বাতাসে চুল শুকান। সপ্তাহে মাত্র ১ দিন ব্যবহার করুন। কয়েক মাসের মধ্যেই চুল পড়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে।

কার্যকারণ-
আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি এবং ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস যা চুলের বৃদ্ধি এবং চুলের অতিরিক্ত রুক্ষতা যার কারণে চুল পড়ে এবং ভেঙে যায় তা প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। মধু এবং ডিমের কুসুম চুলের কোলাজেন টিস্যুর সুরক্ষায় কাজ করে যার ফলে চুলের অকালপক্বতা এবং ঝরে পড়া প্রতিরোধ করে।


বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০

ব্ল্যাকহেডস দূর করার “ব্যথামুক্ত” পদ্ধতি

ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করার ব্যাপারটি বেশ ব্যথা দায়ক।
বেশ সহজেই ঘরেই পরিষ্কার করে ফেলা যায় ব্ল্যাকহেডস। ঘরোয়া ফেস প্যাক ব্যবহার করেই বিচ্ছিরি ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যথা বিহীন ঘরোয়া পদ্ধতি।

উপকরণ

১টা ডিমের সাদা অংশ
১/২ লেবুর রস
১ চা চামচ মধু

পদ্ধতি

প্রথমে মুখে গরম পানির ভাপ নিন। শুকনো টাওয়েল দিয়ে আলতো করে মুখ মুছে নিন। ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস ও মধু একটি বাটিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আঙ্গুল দিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন ফেস প্যাকটি। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য। শুকিয়ে গেলে নরম একটি বেবি টুথ ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। বিশেষ করে আক্রান্ত স্থান গুলো। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে রোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যাবে। আলতো করে মুখ মুছে ১ ফোটা অলিভওয়েল লাগিয়ে নিন পুরো মুখে। সপ্তাহে দুবার করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্ল্যাকহেডসের যন্ত্রণা থেকে ত্বক থাকবে মুক্ত, বারবার ফিরেও আসবে না।