বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

ফেইস ওয়াশ ব্যবহারের কিছু টিপস

টিপসঃ
১.সকাল ও সন্ধ্যা, দিনে দুবার ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করুন। এর বেশী ব্যবহার করবেন না, কেননা অতি ব্যবহার আপনার ত্বককে শুষ্ক করে তুলবে।
২.ফেইস ওয়াশ বেশী সময় মুখে রাখলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পরবে, তাই এক মিনিটের বেশী সময় ফেইস ওয়াশ মুখে রাখবেন না।
৩.মুখে ফেইস ওয়াশ ম্যাসেজ ও ধোয়া, পুরো প্রকৃয়া দেড় মিনিটে শেষ করবেন।

কোন ত্বকে কোন ফেইস ওয়াশঃ
১.আপনার যদি মুখে ব্রণ থেকে থাকে তবে স্যালিসাইলিক এসিড যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করুন। এটি তেল জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়াকে প্রতিরোধ করে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

২.ব্রণ যুক্ত মুখে কখনোই স্ক্র্যাবার যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করবেন না। স্ক্রাবারে থাকা বিডস ব্রণের মাথা ভেঙ্গে ব্রণের জীবানু চারিদিকে ছড়িয়ে পরতে সহায়তা করে।

৩.শুষ্ক ত্বকে ফেইস ওয়াশের বদলে ক্লিঞ্জিং মিল্ক ব্যবহার করুন। সপ্তাহে একদিন চাইলে কোন ক্রীম বেইসড স্ক্রাবার যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। স্ক্র্যাবার আপনার মুখের মৃত কোষ ঝরে যেতে সহায়তা করবে। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহার করবেন না কারণ তা আপনার শুষ্ক ত্বকে সহজেই আচর ফেলতে পারে।

৪.গর্ভাবস্থায় অনেক সময় ব্রনের প্রকোপ বাড়ে। তখন স্যালিসাইলিক এসিড যুক্ত ফেইস ওয়াশ এর বদলে বেনজোয়াইল পারঅক্সাইড যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করবেন। স্যালিসাইলিক এসিড গর্ভবস্থায় ব্যবহার করা যাবে কিনা তা বিতর্কিত। অপরদিকে American Pregnancy Association এর মতে বেনজোয়াইল পারঅক্সাইড এর গর্ভাবস্থার উপর ক্ষতিকর প্রভাব নেই। তবে এর ব্যবহারে ত্বক কিছুটা শুষ্ক বোধ হতে পারে, তাই ফেইস ওয়াশ ব্যবহারের পরে মশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন।

৫.যারা নিয়মিত মেকাপ করেন, তাদের মুখ একসময় শুষ্ক হয়ে পরে। আপনারা ceramides, hyaluronic acid এবং glycerin যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করবেন।

৬.যাদের ত্বক অতি তৈলাক্ত ও লোমকূপগুলো বড় বড়, আপনারা retinol যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করবেন। এটি লোমকূপে জমে থাকা তেল পরিষ্কার করে ও লোমকূপ ছোট করে তোলে। এছাড়া sulfur যুক্ত ফেইস ওয়াশ ও ব্যবহার করতে পারেন, এটি লোমকূপ থেকে তেল টেনে বের হয়ে যেতে সহায়তা করে।

৭.বলিরেখাযুক্ত ত্বকে alpha hydroxy acid (AHA) যুক্ত ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে টানটান করে বলিরেখা কে কম দৃশ্যগ্রাহ্য করে তোলে।

৮.যারা ত্বকের বুড়োটে ভাব কমাতে চান, সপ্তাহে একবার গ্রীন টি স্প্যাশ ব্যবহার করুন। এক কাপ পানি ফুটিয়ে কাপে ঢেলে নিন। এরমধ্যে দুটি গ্রীন টি এর ব্যাগ ছেড়ে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

প্রাকৃতিক ফেইস ওয়াশঃ
যদি কেউ রাসায়নিক ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করতে না চান, প্রাকৃতিক ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। দুই চামচ বেসন ও এক চামচ হলুদ গুড়ো অল্প দুধ দিয়ে গুলে পেস্ট বানিয়ে নিন।তৈলাক্ত ত্বকের জন্য একটি চমৎকার ফেইস ওয়াশ। শুষ্ক ত্বকের জন্য এক চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে বানিয়ে নিয়ে পারেন দারুন ফেইস ওয়াশ।

ফেইস ওয়াশ ব্যবহারের নিয়মঃ
১.হাতের চেটোয় অল্প ফেইস ওয়াশ নিয়ে, দুই হাতের তালু দিয়ে ঘষে মাখিয়ে নিন।
২.এরপর হাতের তালু মুখে আলতো করে বুলিয়ে ফেইস ওয়াশ মুখে লাগিয়ে নিন।
৩.এবার আঙ্গুল দিয়ে চক্রাকারে আস্তে আস্তে ম্যাসেজ করুন।
৪.কপাল থেকে শুরু করে একে একে গাল, নাক, চিবুক ম্যাসেজ করুন।
৫.কপাল ও নাকে ম্যাসেজ করতে বেশী সময় নিন, কেননা এখানেই তেলের পরিমাণ বেশী।
৬.বেশ অনেকবার পানির ঝাপ্টা দিয়ে ফেইস ওয়াশ ধুয়ে ফেলুন, যাতে এর কোন অংশই মুখে লেগে না থাকে।সম্ভব হলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।
৭.ধোয়া শেষে নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুখের পানি শুকিয়ে নিন। তোয়ালে দিয়ে মুখ ঘষবেন না।

হলুদ দুধ পানের স্বাস্থ্য উপকারিতা

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে
হলুদের একটি সক্রিয় উপাদান টিউমার সৃষ্টিকারী রেডিয়েশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। হলুদ ক্যান্সার কোষকে নষ্ট করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে যেমন টি-সেল লিউকেমিয়া, কোলন ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের কোষ।

অনিদ্রা দূর করতে
যাদের অনিদ্রার বা ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা কুসুম গরম গোল্ডেন মিল্ক অর্থাৎ হলুদ দুধ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে খেলে ভালো উপকার পাবেন।

আর্থ্রাইটিসের জন্য উপকারী
প্রদাহবিরোধী গুনাগুনের জন্য এটি অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিসের জন্য উপকারী। হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারনে হাড়ের প্রদাহ ও ব্যাথা দূর করতে পারে। এছাড়া এটি ফ্রী রেডিকেলকে ধ্বংস করে যা শরীরের কোষকে নষ্ট করে। হলুদ পেস্ট মালিশ করেও অনেক ধরনের ব্যাথা উপশম হয়।

প্রাকৃতিক অ্যাস্পিরিন
এটি মাথা ব্যাথা, ফুলে যাওয়া ক্ষত ও ব্যাথা উপশম করতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ওজন কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে
১ চা চামচ হলুদ পেস্ট প্রতি বেলার খাবারে রাখলে ওজন কমাতে এবং স্থূলতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। হলুদ খাবারের ফ্যাটের বাইল সল্টের ভাঙ্গনের গতি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যদি ওজন কমাতে চান বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে গোল্ডেন মিল্ক বা হলদে দুধ খান।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় কার্যকরভাবে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে হলুদ ঔষধের মত কাজ করে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন প্রতিবন্ধকতা কমাতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। হলুদের এবং হলুদের তৈরি দুধ খেলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রেখে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
হলুদের প্রদাহ বিরোধী, ভাইরাস বিরোধী, ব্যাকটেরিয়া বিরোধী, ফাঙ্গাল বিরোধী বৈশিষ্ট্য প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।কারন প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে ঠাণ্ডা কাশি থেকে শুরু করে বেশির ভাগ রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। এজন্য হলদে দুধ খুবই উপকারী।

ত্বক উজ্জ্বল ও সমস্যা মুক্ত রাখতে
বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যাতেও হলুদ বেশ উপকারী। এছাড়া এটি মুখের মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয় উজ্জ্বল এবং তারুণ্যদীপ্ত।

 কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
হলদে দুধ যেমন ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পারে ঠিক তেমনি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তবে এই ক্ষেত্রেও লো ফ্যাট দুধ ব্যবহার করুন।

আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধে
হলুদ মস্তিস্কের বিভিন্ন প্লাক দূর করতে সাহায্য করে যার ফলে বিভিন্ন মানসিক রোগ হয় যেমন আলঝেইমার প্রতিরোধ করে। হলুদ মস্তিস্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে মস্তিস্কের কাজকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং আলঝেইমার রোগের গতিকে ধীর করে এবং প্রতিকার করার চেষ্টা করে।

যকৃতের রোগ প্রতিরোধ করে
হলুদ গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে যা যকৃতকে রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। হলুদ দেহের দূষণ দূর করে দেহের সমস্ত বিষাক্ততা দূর করতে সাহায্য করে। এটি রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

কিভাবে বানাবেন গোল্ডেন মিল্ক বা হলদে দুধ
যে গোল্ডেন মিল্ক বা হলদে দুধের এত গুন সেটি কিভাবে তৈরি করতে হবে চলুন তা জেনে নেই। বিভিন্ন ভাবেই হলদে দুধ বানায়। দুধের সাথে সামান্য হলুদ আর গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যায় গোল্ডেন মিল্ক। এখানে মূল রেসিপি তুলে ধরছি।

প্রথম ধাপ
হলুদের প্রাকৃতিক পেস্ট তৈরি
ভালো মানের হলুদের গুঁড়ো- ১/৪ কাপ
গোলমরিচ গুঁড়ো- আধা চা চামচ
বিশুদ্ধ পানি- আধা কাপ
একটি পাত্রে সব উপকরন একসাথে মিশিয়ে মধ্যম আঁচে চুলায় দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে হবে যতক্ষণ না একটি ঘন পেস্ট তৈরি হয়। ৭ মিনিটের মত রাখতে হবে। যদি এর মাঝে খুব বেশি শুকিয়ে যায় তাহলে সামান্য একটু যোগ করুন। তারপর সেটি চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে একটি এয়ার টাইট পাত্রে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। এই পেস্টটি ২ সপ্তাহের মত রাখা যাবে। বিভিন্ন ধরনের ব্যাথার জন্য আধা চা চামচ প্রতিদিন এই পেস্টটি খেলে উপকার পাবেন। আর খুব বেশি ব্যাথা যাদের থাকে তারা প্রতিদিন ২ বার করে আধা থেকে ১ চামচ করে এই পেস্ট খেলে ৩/৪ দিনের মাঝেই বেশ ভালো একটি ফলাফল পাবেন।
দ্বিতীয় ধাপ

গোল্ডেন মিল্ক বা হলদে দুধ তৈরি
কাঠ বাদামের দুধ- ১ কাপ (এর পরিবর্তে নারকেলের দুধ, সয়ামিল্ক,গরুর দুধ বা যেকোনো দুধ দিতে পারেন)
রান্নার নারকেল তেল- ১ চা চামচ (এর পরিবর্তে কাঠ বাদামের বা তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন)
তৈরি করা হলুদের পেস্ট- ১/৪ চা চামচ বা একটু বেশি
মধু- স্বাদ অনুযায়ী
মধু ছাড়া সব উপকরন একসাথে মিশিয়ে একটি পাত্রে নিয়ে মধ্যম আঁচে চুলায় দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে হবে এবং ভালো ভাবে গরম হলে নামিয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা হতে দিন। কুসুম গরম অবস্থায় মধু মিশিয়ে পান করুন।

গোল্ডেন মিল্ক পানের নিয়ম
গোল্ডেন মিল্ক খেতে হবে খালি পেটে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে খাওয়ার সময়। এভাবে নিয়মিত ৪০ দিন করে বছরে দুইবার খেলে শরীর থাকবে রোগমুক্ত এবং ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হবে।

এছাড়া মাস্ক হিসেবে বা মুখ ধোয়ার জন্য
১/৪ কাপ ফুল ক্রিম দুধ নিয়ে তাতে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে মিশ্রণে ডুবিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

সতর্কতা
হলুদের মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যের জন্য যাদের গলব্লাডারের সমস্যা রয়েছে তারা খাবেন না এবং ডায়াবেটিস এর রোগীরা হলুদ খেতে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে খাবেন কারন হলুদ ঔষধের সাথে মিশে অনেক সময় হাইপো গ্লাইসেমিয়া হতে পারে। এছাড়া অনেকের হলুদের অ্যালার্জি থাকতে পারে, তাই যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা খাবেন না। ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নন ফ্যাট মিল্ক ব্যবহার করতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ, ২০২০

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেবার সহজ উপায়

১) নিয়মিত মুখের ত্বক পরিষ্কার করুন। ঘাম ও মুখের তৈলাক্ত ভাবের কারণে অস্বস্তি হয় বলে নিজের সুবিধামতো সময়ে বারবারমুখ ধুয়ে নিতে চেষ্টা করুন।
২) মুখ ধোয়ার পানিতে দু-এক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন, তাতে সতেজ অনুভূতি পাবেন।
৩) গরম পানিতে নিমপাতা ডুবিয়ে রেখে সেই পানিতে গোসল করতে পারেন, এতে বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণ থেকে বাঁচবেন।
৪) পাউডার ব্যবহার করলেও তা দিন শেষে পরিষ্কার করে ফেলবেন।
৫) বাজারে যেসব ফেসওয়াশ কিনতে পাওয়া যায়, তা যদি আপনার ত্বকে মানিয়ে যায়, তবে সেটি ব্যবহার করতে পারেন।
৬) নিমযুক্ত সাবানও ব্যবহার করতে পারেন।
৭) দিনে অন্তত দুবার গোসল করুন

মেকআপ হবে যেমনঃ

১) যে প্রসাধনীই ব্যবহার করুন না কেন, তা হতে হবে ওয়াটার-বেসড বা পানিনির্ভর। অর্থাৎ অয়েল-বেসড বা তেলের প্রাধান্য বেশি এমন কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না।
২) এমন আইলাইনার লাগানো উচিত, যেন তা ভিজে গেলেও মুছে না যায়।
৩) ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে খুব কম। ফেসপাউডার লাগালে কোনো ক্ষতি নেই।

ত্বকের ঘরোয়া যত্ন

মুলতানি মাটি, চন্দনের গুঁড়া, কাগজিলেবুর রস এবং সর তোলা দুধ বা টকদই একত্রে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন ১০-১৫ মিনিট। এতে ত্বকের বাড়তি তেল ও ময়লা বেরিয়ে যাবে। তবে কাগজিলেবুর রস সরাসরি ব্যবহার না করে এটিকে গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। আর চন্দনের পরিবর্তে চাইলে ভিজিয়ে রাখা মসুরের ডাল বেটে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

খাদ্যাভ্যাসে আনুন পরিবর্তন

  • সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খাবেন না। ভাজাপোড়া কম খাবেন। ছোট মাছ, শাকসবজি খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • প্রচুর পানি পান করুন।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠেই লেবুপানি পান করতে পারেন।
  • উঠতি বয়সীরা লেবুপানির সঙ্গে একটু মধুও যোগ করতে পারেন।
  • ফলের রসও পান করতে পারেন।

ব্রণের সমস্যা?

ব্রণ সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমার মধ্যেই হয়ে থাকে। উঠতি বয়সীদের মধ্যেই এ সমস্যা বেশি দেখা যায়, তবে কখনো কখনো ব্রণের সমস্যা হতে পারে তরুণীদেরও। ব্রণ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হরষিত কুমার পাল বলেন, ব্রণ থেকে দুই ধরনের সমস্যা হতে পারে। একটি হচ্ছে দাগ এবং অপরটি হচ্ছে ক্ষত সৃষ্টি হওয়া। ব্রণের দাগ প্রসঙ্গে তাঁর মতামত—
  • ব্রণ ভালো হয়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে এমনিতেই দাগ চলে যায়।
  • এমনিতে দাগ না চলে গেলে দাগ দূর করার ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত রোদ ও গরমে ব্রণ বেশি হতে পারে।

জেনে নিন

বেসন অথবা মসুরের ডাল বাটার সঙ্গে টকদই, আমন্ড বাদাম, কমলালেবুর খোসা বাটা এবং নিমপাতা বাটা দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। এটি তৈরি করে ফ্রিজে রেখে কয়েক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন। প্যাকটি প্রতিদিন মুখে লাগাবেন এবং ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে নেবেন। মুখ ছাড়াও প্যাকটি শরীরের যেকোনো জায়গায় সাবানের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন।
এ ছাড়া ১৫ দিন অন্তর ফেসিয়াল করাতে পারেন।

ব্ল্যাকহেডস দূর করতে

চালের গুঁড়া পানি দিয়ে বা দুধ দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে এর সঙ্গে চিনি এবং অ্যাপ্রিকট ফল বাটা মিশিয়ে একটি দানাদার প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার পর ভেজা তোয়ালে দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন।

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০২০

চোখের নিচের কাল দাগ দূর করার উপায়

১) ২ টি চা চামচ ফ্রিজে রাখুন এবং চামচ ২ টি ঠাণ্ডা হবার জন্য অপেক্ষা করুন। চামচ ঠাণ্ডা হলে, বালিশে শুয়ে চোখের উপর চামচ দুইটি রাখুন। এটির দুটি সুফল আছে। এটি চোখের ক্লান্তি দূর করে এবং চোখের কালি দূর করতে সাহায্য করে।

২) ২ টি কটন বল শসার রসে ডুবিয়ে চোখের উপর পনের মিনিট রাখুন।

৩) ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর রাখলে ভাল ফল পাবেন। গ্রিন টি-এর ব্যাগ রাখলে কাজ দ্রুত হবে।

৪) খোসা সহ আলু বেটে বা গ্রেট করে চোখের উপর রাখুন।

৫) কাজু বাদাম বেটে দুধের সাথে গুলিয়ে, পেস্ট করে চোখের চারপাশে লাগাতে পারেন।

৬) চোখের চারপাশে বাদাম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলেও দ্রুত উপকার পাবেন।

সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০

ফেসিয়াল করার পর যা কখনোই করবেন না

স্টিম বাথ 
অনেকেই স্টিম বাথ নেন; কিন্তু ফেসিয়াল করার পর পরই স্টিম বাথ করা যাবে না। কেননা ত্বকের উজ্জ্বলতা আনার জন্য অনেক ফেসিয়ালেই স্টিম ব্যবহার করা হয়। তাই আবার স্টিম বাথ নিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যেতে পারে।

ফেসওয়াশ বা সাবান 
ফেসিয়াল করার সময় যদি ব্লিচ ক্রিম ব্যবহার করা হয়, তবে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সাবান বা ফেসওয়াশ মুখে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ ব্লিচ ক্রিমের সঙ্গে সাবান বা ফেসওয়াশ মিশে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া ব্লিচ ক্রিম মুখের লোমের রং পরিবর্তন করে; তাই সাবান ব্যবহার করলে রংটা লোমে বসবে না।

ম্যাসাজ 
ত্বক যদি পাতলা ও গায়ের রং ফরসা হয়, তাহলে ফেসিয়ালের পর পরই ম্যাসাজ করলে ত্বকে অনেক সময় লালচে মতো দাগ পড়ার আশঙ্কা থাকে। ফেসিয়াল করার তিন দিনের মধ্যে কোনো ধরনের ম্যাসাজ করবেন না।

ঘরোয়া মাস্ক
সবজি বা ফলের খোসা (কমলালেবু) দিয়ে বানানো মাস্ক লাগাবেন না। অধিকাংশ খোসাতে থাকে আলফা হাইড্রক্সি এসিড, সঙ্গে ভিটামিন-এ, এই উপাদানগুলো ত্বকে লালচে ভাব আনে। তাই ফেসিয়াল করার পর দু-তিন দিন মাস্ক লাগাবেন না।

সূর্যের তাপ 
ফেসিয়ালের পর ত্বক নাজুক থাকে, তাই সূর্যের তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করা জরুরি।
ফেসিয়াল করার সময় ব্যবহৃত স্ক্রাবারের মধ্যে দানা থাকে, যার ফলে ত্বকে এক ধরনের অরক্ষিত পর্দার সৃষ্টি হয়। এই পর্দা সূর্যের তাপে সহজে পুড়ে যায়।

মেকআপ 
ফেসিয়াল করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো। মেকআপের কারণে চুলকানি বা প্রদাহ দেখা দিতে পারে। যেসব প্রসাধনীতে কৃত্রিম রং বা সুগন্ধি দেওয়া থাকে সেগুলো ফেসিয়ালের পর একদমই ব্যবহার করা উচিত নয়।

ব্রণ 
অনেকের ত্বকে ফেসিয়াল করার পর পরই ব্রণ দেখা দেয়। এ সময় ত্বক অনেক সতেজ থাকে। ফলে ব্রণ খুঁটলে দাগ বসে যায়। যদি ব্রণ উঠেই যায়, তাহলে খুঁটবেন না, দ্রুত সেরে যাবে।

হাত ধোঁয়া 
ফেসিয়ালের পর ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল থাকে। তাই যখনই মুখে হাত দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে, হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।

ফ্রি টিপস 
০ সুন্দর ত্বকের জন্য পানির কোনো বিকল্প নেই। শুধু ফেসিয়ালের পর নয়, সব সময়ই পানি পান করুন। এতে শরীর থেকে টক্সিন-জাতীয় পদার্থ বের হয়ে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে। ফেসিয়াল করার পরের ২৪ ঘণ্টা শুধু ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
০ মুখের ত্বকে কোনো কিছু ব্যবহার করতে চাইলে ভালো ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করুন।
০ ত্বক ভালো রাখতে মাসে একবার ফেসিয়াল করতে পারেন।

রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০

সুন্দর ও কোমল ঠোঁট পাওয়ার উপায়

১। ঠোঁট উজ্জ্বল করতে ল্যাক্টিক এ্যাসিড খুব উপকারী। নিয়মিত দুধ খাবার সাথে সাথে খানিকটা দুধ তুলোয় করে ঠোঁটে ঘষে নিন। শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলার মাধ্যমে দুধ ঠোঁটের কালো হওয়াকেও প্রতিরোধ করে।

২।একটি পাতলা লেবুর টুকরোর ওপরে খানিকটা চিনি ছিটিয়ে প্রতিদিন ঠোঁটে ঘষুন। চিনি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে পরিষ্কার করতে এবং লেবু সূর্যের ফলে কালো হয়ে যাওয়া ঠোঁটের চামড়াকে উজ্জবল করতে সাহায্য করে।

৩।লেবুর ভেতরের এসিড ঠোঁটের শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলতে সাহায্য করে। তবে লেবুর রসের সাথে খানিকটা চিনি ও মধু মিশিয়ে ঘরে বসেই নিতে পারেন ঠোঁটের পুরোপুরি যত্ন। প্রলেপটি মাখার একঘন্টা পর ধুয়ে নিন।

৪।গোলাপের পাপড়িও ঠোঁটের গোলাপী ভাব আনতে সাহায্য করে। এজন্য গোলাপের পাপড়ি দুধের মধ্যে রেখে তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। প্রলেপটি ১৫ মিনিট ঠোঁটে মাখুন। এরপর দুধ দিয়ে ঠোঁটকে মুছে নিন। প্রতিদিন এই প্রলেপটির ব্যবহার আপনার ঠোঁটকে করে তুলবে আকর্ষণীয়।

৫।বাদামের তেল, মধু ও চিনির মিশ্রণ করুন। প্যাকটি আপনার ঠোঁটকে কেবল সুন্দরই করবে না, কোমলতাও বাড়াবে।

৬।লেবুর রসের সাথে খানিকটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে মাখুন। কয়েকদিনেই আপনি পাবেন চমত্কার ফলাফল।

৭।মধুর সাথে চিনি এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ১০ মিনিট ঠোঁটে ঘষুন। ঠোঁট সুন্দর হবে।

৮।শশার রসও ঠোঁটের কালো হওয়াকে প্রতিরোধ করে। ফলাফল পেতে প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট শসার রস ঠোঁটে ঘষুন।

৯।কমলালেবু খাবার সময় এর বিচিগুলোকে সংরক্ষণ করুন এবং নিয়মিত ঠোঁটকে এগুলোর দ্বারা পরিষ্কার করুন।

১০।প্রতিদিন টমেটো পেস্ট করে ঠোঁটে মাখুন। আপনার ঠোঁট হবে উজ্জ্বল।