শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

চুলে শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়ম

১। আপনার চুলের স্বাস্থ্যের সাথে যায় এমন একটি ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু নির্বাচন করুন। তারপর নির্দিষ্ট পরিমাণ শ্যাম্পু পানির সাথে মিশিয়ে নিন এবং চুলে ব্যবহার করুন। এতে ফেনার পরিমাণ বেশি হবে এবং এই ফেনাযুক্ত শ্যাম্পু আপনার চুলের প্রতিটি কোনায় পৌঁছুতে পারবে।

২। ফেনাযুক্ত চুলে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। মাথার তালুতে আঙ্গুলের অগ্রভাগ দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এতে করে তালুতে থাকা সমস্ত ময়লা পরিষ্কার হয়ে উঠে আসবে।এবারে মোটা দাতেঁর চিরুনি দিয়ে হালকাভাবে আঁচড়ান। এতে করে চুলের সাথে আটকে থাকা ময়লা পরিষ্কার হবে।

৩। চুল পরিষ্কারের জন্য সবসময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। কেননা গরম পানি চুলের গোড়া নরম করে এবং চুল পড়ার সমস্যা তৈরি করে। তাই ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে আবার শ্যাম্পু করুন।

৪। চুল উজ্জ্বল, নরম আর প্রাণবন্ত দেখাতে শ্যাম্পুর পরপর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এর জন্য ব্র্যান্ডের কোনো কন্ডিশনার হালকাভাবে সারা চুলে ব্যবহার করে কিছুক্ষণ রাখুন এবং এরপরে ধুয়ে ফেলুন।

৫। শুধু চুল সঠিক নিয়মে ধুলেই হয় না, চুলের পানি মোছাটাও হওয়া উচিত সঠিক পদ্ধতিতে। এর জন্য নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। প্রথমে চুলের পানি ঝরিয়ে তারপরে হালকা ভাবে মুছে নিন। চুল শুকিয়ে নিন। তবে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো।

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

মেয়েদের মুখে অতিরিক্ত লোমের সমস্যা দূর করবেন যেভাবে


মুখে অস্বাভাবিক হেয়ার গ্রোথকে চিকিৎসা পরিভাষায় 'হির্সুটিজম' বলা হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে মেয়েদের শরীরে বেশি পরিবর্তন হতে শুরু করলে, বিশেষত ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ ঠিকমতো না হলে মুখের পাশাপাশি সারা শরীরে চুলের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। মেয়েদের শরীরে বেশি পরিবর্তন হতে শুরু করলে, বিশেষত ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ ঠিকমতো না হলে মুখের পাশাপাশি সারা শরীরে চুলের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই রোগে ছেলেদের মতো মেয়েদের মুখেও দাড়ি-গোঁফ গজাতে শুরু করে। ফলে অপ্রিতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন তো হতে হয়ই, সেইসঙ্গে সৌন্দর্যও কমে চোখে পরার মতো। এমন হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিছু করার থাকে না। তবে কিছু করণীয় আছে যা মেনে চললে মুক্তি মিলতে পারে এই সমস্যা থেকে।


২ চামচ চিনির সঙ্গে ১ চামচ মধু এবং পানি মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি এক এক মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। সময় হয়ে গেলে মিশ্রণটি ঠান্ডা করে মুখের যেখানে যেখানে চুল গড়িয়ে উঠেছে, সেখানে লাগাতে হবে। এবার পরিষ্কার একটা কাপড় ওই মিশ্রণটি যেখানে যেখানে লাগিয়েছেন, সেখানে লাগিয়ে জোরে টেনে চুলগুলি উপড়ে ফেলতে হবে। এইভাবে সারা মুখের অবাঞ্ছিত চুল দূর করা যাবে।

২ চামচ ময়দার সঙ্গে ১ চামচ দুধের সর, হাফ চামচ দুধ এবং অল্প পরিমাণে হলুদ মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর সবকটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে হবে একটি পেস্ট। এবার সেই মিশ্রণটি মুখ লাগিয়ে কম করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে হলকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে সপ্তাহে ৩-৪ বার যদি ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন.

দেড় চামচ গোলপ জল এবং ২ চামচ ময়দা নিন। এই দুটি উপাদান মিশিয়ে নেওয়ার পর তাতে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে হবে একটি পেস্ট। এবার সেই পেস্টটা সারা মুখে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফলতে হবে। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে কম করে ৪ বার এই ফেসপ্যাকটি লাগালে দেখবেন দারুণ উপকার মিলবে।
 
নিয়মিত পুদিনা পাতা দিয়ে বানানো চা খেলে হরমোনের ক্ষরণকে অনেকটাই ঠিক রাখা যায়। আর এতে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১ চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ৪ চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কম করে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে একটা পরিষ্কার কাপড় গরম পানি চুবিয়ে ধীরে ধীরে মুখটা ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে সপ্তাহে ২ বার ত্বকের পরিচর্যা করলেই দেখবেন একটাও ফেসিয়াল হেয়ারকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

ফেসিয়াল হেয়ারকে চটজলদি ঝরিয়ে ফেলতে এই ফেসিয়াল মাস্কটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে একটা ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ চামচ চিনি এবং দেড় চামচ ময়দা মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। যখন দেখবেন পেস্টটা শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে, তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা।



মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ব্রন এবং ব্রণের দাগ দূর করার সহজ উপায়

এই গরমকালে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। মুখে ব্রন উঠে যতটা না অস্বস্তিতে ফেলে তার থেকে বেশি অস্বস্থি হয় যখন ব্রনের দাগ মুখে গেড়ে বসে। আর তখনই ভর করে দুশচিন্তার। যার কারনে ব্রনের প্রকপ আরও বেড়ে যায় এবং তার থেকে সৃষ্টি হয় দাগের। তাই ব্রন ও ব্রনের দাগের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ব্রনের দাগ দূর করার সহজ ৭টি উপায়। চলুন জেনে নেই ব্রনের দাগ দুর করার উপায়গুলি –

 ব্রনের দাগ দূর করতে মধু একটি কার্যকারি উপাদান। রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে মধু লাগান। সারারাত তা রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে তা ধুয়ে ফেলুন।

 মধুর সাথে দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে শুধুমাত্র দাগের উপর লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। চাইলে সারারাতও রাখতে পারেন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার মুখের দাগ দূর হয়ে গোছে।

 ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও সামান্য পানি একসাথে মিশিয়ে মুখে ২-৩ মিনিট ঘষুন এবং শুকানোর জন্য কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে এর উপর কোনও ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা অলিভ অয়েল লাগান। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন এটি ব্যাবহার করুন, ভালো ফল পাবেন।

 দিনে দুইবার অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগান এবং ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধুমাত্র ব্রণের দাগই দূর করবে না, বরং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং টানটান হবে।


 একটি লাল টমেটোর কিছু অংশ নিয়ে তার রস নিন। এরপর তা শশার রসের সাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ বার এই প্যাকটি লাগান। ব্রণের দাগ দূর তো হবেই সেই সাথে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

 লেবু একটি প্রাকৃতিক ব্লিচ। লেবুর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে একটি তুলার বলের সাহায্যে তা মুখে ৩-৪ মিনিট ঘষুন। যদি সেনসিটিভ স্কিন হয় তাহলে এর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে নিবেন। সম্ভব হলে ১ চামচ লেবুর রসের সাথে ২ চামচ ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

 ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ আমন্ড তেল, ২ টেবিল চামচ দুধ একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। একটানা ৭-১০ দিন এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্রণ থাকা অবস্থায় দুধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।


সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ত্বকের ধরন ভেদে শীতকাল উপযোগী ঘরোয়া স্ক্রাব

(১) ফেস স্ক্রাব 

ফেস স্ক্রাব টি আপনি ব্যবহার করবেন শুধুমাত্র মুখেই। কারন, মুখের ত্বক অনেক পাতলা হয়। তাই, সেটি খেয়াল রেখেই সবসময়  স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে।
  • চালের গুঁড়ো
  • অ্যালোভেরা জেল
  •  মধু
যেভাবে তৈরি করবেন – 
চালের গুঁড়ো এর সাথে মধু এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। বেশী ঘন হয়ে গেলে একটু পানি মিশিয়ে নিন এবং ব্যবহার করুন।

(২) হাত-পায়ের জন্যে স্ক্রাব

  • দারুচিনি
  • মধু
  • লেবুর রস
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন-
দারুচিনি গুঁড়ো  করে নিন। দানা-দানা ভাব যেন থাকে। এবার দারুচিনির সাথে বাকি উপকরণ মিশিয়ে নিন।   হাত এবং পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন।

(৩) বডি স্ক্রাব

  • চিনি
  • আমন্ড বাদাম
  • গুঁড়ো দুধ
  • টমেটোর রস

যেভাবে তৈরি করবেন – 
আমন্ড বাদাম গুড়ো করে নিন। এবার বাকি সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে নিন।

(৪) লিপ স্ক্রাব 

  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
  • ভ্যানিলা ফ্লেভার
যেভাবে তৈরি করবেন-
সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন।

(৫) নখের জন্যে স্ক্রাব 

শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও, নখেও স্ক্রাবিং এর প্রয়োজন রয়েছে। নখ এবং নখের আশেপাশের মড়া চামড়া দূর করে নখকে শক্ত করে তুলতে স্ক্রাবিং জরুরী।
  • অলিভ অয়েল
  • লেবুর রস
  • ছোট ব্রাশ
যেভাবে তৈরি করবেন –
অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি কটন বলের সাহায্যে নখে মিশ্রন টি কিছুহ্মন লাগিয়ে রাখুন। এবার ছোট ব্রাশের সাহায্যে নখ এবং নখের চারদিক ঘষে নিন এবং ধুয়ে ফেলুন।

(৬) হাত ও পায়ের তালুর জন্যে স্ক্রাব 

হাত ও পায়ের তালুও শীতের রুক্ষতা থেকে রেহাই পায় না। যার ফলাফল হাত ও পায়ের তালু শক্ত হয়ে যাওয়া, চামড়া ওঠা, ফেটে যাওয়া। এজন্য এই সব স্থানেও স্ক্রাবিং প্রয়োজন।
  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন –
চিনি এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত-পায়ের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট।

রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ফর্সা হওয়ার সেরা ৮ ঘরোয়া ফেসপ্যাক



জেনে নিন, ত্বকের উজ্জলতায় ঘরোয়া কিছু ফেসপ্যাক

লেবুর ফেসপ্যাক:  ১টা লেবুর রস, তাতে ১ টেবিল চামচ পানি ঝরানো দই, ভালো করে একসঙ্গে মেশান। এবার মুখ ও গলায় পুরু করে এই পেস্টটি লাগান। শুকনো হয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার লাগালেই যথেষ্ট।

* গমের ফেসপ্যাক: একমুঠো গম গুঁড়ো করে নিন। এতে ২ টেবিলচামচ গোলাপজল মেশান। এবার এই পেস্টটি মুখে ও গলায় সমানভাবে লাগান। ১৫ মিনিট পারে হাল্কা গরম দুধ দিয়ে ধুয়ে গোলাপজল দিয়ে মুখ মুছে নিন।

* মধুর ফেসপ্যাক: মধু একাই যথেষ্ট। মুখে ও গলায় ভালো করে মধু লাগান। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। চাইলে মধুর সঙ্গে ১ চা চামচ কমলালেবুর রস মিশিয়েও লাগাতে পারেন।

* ওটসের ফেসপ্যাক: ১ টেবিল চামচ ওটসের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ গোলাপজল মেশান। ভালো করে চটকে মেখে নিন। এবার এই মিশ্রনটা গলায় ও মুখে ভালো করে লাগান। এবার ক্লকওয়াইজ হাত ঘুরিয়ে মুখে ভালো করে মালিশ করুন। মালিশ হয়ে গেলে ১৫-২০ মিনিট শুকতে দিন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

* হলুদের ফেসপ্যাক: ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ২ চা চামচ দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। হলদেটে ভাব না গেলে শুকনো আটা ভেজে মুখে স্ক্রাব করুন। মাসে ২ বার করুন।

* টমেটোর ফেসপ্যাক: টমেটো ভালো করে বেটে পেস্ট বানিয়ে নিন। এতে ১ চামচ বেসন ও ১ চামচ মধু মেশান। যে পেস্টটি তৈরি হল তা মুখে ও গলায় লাগান। শুকিয়ে এলে আরও একটা কোট লাগান। শুকিয়ে গেলে টেনে তোলার চেষ্টা করুন। না উঠলে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।

* দই-এর ফেসপ্যাক: দই ও আমন্ড একসঙ্গে বেল্ডারে দিয়ে পেস্ট করে নিন। এই পেস্ট গলায় ও মুখে ভালো করে লাগান। শুকিয়ে গেলে হাল্কা পানির সাহায্যে স্ক্রাব করে করে পরিষ্কার করে নিন। এর ফলে মুখের মৃতকোষগুলোও ঝরে যাবে।

* কমলার খোসার ফেসপ্যাক: কমলার খোসা মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধ ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। শুকিয়ে গেলে, ভিজে তুলোর সাহায্যে তুলে নিন। উষ্ণ দুধ দিয়ে এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। মাসে ২ দিন এটি করুন।

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

কনুই এবং হাঁটুর কালচে দাগ দূর করার উপায়

কনুই এবং হাঁটুতে কালচে দাগ হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে-
 (১) কনুই এবং হাঁটুতে মরা চামড়ার আস্তরণ পড়ার  ফলে  স্থানগুলো কালচে হয়ে যায়।
(২) কনুই এবং হাঁটুতে অতিরিক্ত প্রেসার পড়ার ফলেও কালচে দাগ পড়ে যায়।
(৩) অতিরিক্ত ওজনও এই কালচে দাগের কারণ।
(৪) এছাড়াও ড্রাই স্কিন, জেনেটিক, ইম্প্রপার হাইজিন ইত্যাদি এর কারণ হতে পারে।

প্রথম ধাপ (স্কিন সফটেনিং)

আমরা স্কিনকে পরবর্তী ধাপের জন্য তৈরি করে নিব। কনুই এবং হাঁটুর এড়িয়া অনেক বেশি ড্রাই হয়ে থাকে। তাই একে সফট এবং হাইড্রেট করে নেওয়ার জন্য শসা অত্যন্ত ভালো কাজ করে। শসা চাক চাক করে কেটে নিয়ে কনুই এবং হাঁটুর কালচে দাগের উপর ১০-১৫ মিনিট ঘষে নিতে হবে। এরপর ৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শসা স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ করে।  এতে ন্যাচারাল ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে, যা কালচে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন  সি, ই এবং এ রয়েছে, যা আমাদের স্কিনকে রেডিয়েন্ট ইফেক্ট এবং সান প্রোটেকশন দেয়।

দ্বিতীয় ধাপ (এক্সফ্লোয়েটিং)

প্রথম ধাপে শসা দিয়ে স্কিনকে দ্বিতীয় ধাপের জন্য তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। আর এই ধাপে আমরা কনুই এবং হাঁটুতে এক্সফ্লোয়েটিংয়ের মাধ্যমে স্কিন স্মুদ করার পাশাপাশি তৃতীয় ধাপের জন্য প্রস্তুত করব।
এই এক্সফ্লোয়েটোর তৈরি করতে  বেকিং পাউডার এবং কাচা দুধ লাগবে। একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং ২ টেবিল চামচ কাচা দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।  এই মিশ্রণটি কনুই এবং হাঁটুতে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
বেকিং সোডা একটি জেন্টল স্কিন ক্লিঞ্জার এবং ন্যাচারাল স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। এটি কনুই এবং হাঁটুর মরা চামড়া দূর করে এবং জীবাণু নাশ করতে সাহায্য করবে এবং পরবর্তীতে যেই প্যাকটি আমরা ব্যবহার করব তা ত্বককে শুষে নিতে সাহায্য করবে আর  কাচা দুধ আমাদের স্কিনকে ক্লিন এবং ময়েশ্চারাইজিং করে।

তৃতীয় ধাপ (হোয়াইটেনিং প্যাক)

দ্বিতীয় ধাপের পর এবার প্যাক লাগানোর পালা। তার আগে তো হোয়াইটেনিং প্যাকটি তৈরি করতে হবে। হোয়াইটেনিং প্যাক তৈরি করতে লাগছে- পেঁয়াজ, লেবুর রস, মধু এবং বেসন। একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের পেস্ট, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস, হাফ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ বেসন নিয়ে মিক্স করে নিন।  এই মিশ্রণটি কনুই এবং হাঁটুর কালচে দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এর পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
 পেঁয়াজ স্কিনকে নারিশ করে, স্কিনের ইম্পিউরিটি দূর করে এবং কালচে দাগ রিমুভ করে। লেবুর রসে ৬% সাইট্রিক এসিড রয়েছে, যা স্কিন টোন কে লাইট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। মধুতে ন্যাচারাল ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে, যা স্কিনকে ক্লিয়ার এবং ময়েশ্চারাইজ করে। বেসনে রয়েছে স্কিন লাইটেনিং এজেন্ট যা স্কিনকে লাইট করে তোলে। এছাড়াও এটি স্কিনের ডেড স্কিন সেল রিমুভ করে।

সবশেষ ধাপ (ময়েশ্চারাইজিং)

হোয়াইটেনিং প্যাকের পরে আপনার পছন্দমত যে কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এছাড়াও প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
এই প্রসেসটি সপ্তাহে ২-৩ দিন করবেন। একটু নিজের জন্যে সময় বের করে ধৈর্য ধরে করে নিলেই হলো।

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

সরস্বতী পুজোর সাজগোজ ও ফ্যাশন টিপস

 সরস্বতী পুজোটা বরাবরই মেয়েদের কাছে অন্য রকম ভাবে স্পেশ্যাল। কারণ অনেক আগে থেকেই কী শাড়ি পরব, কী রকম সাজব- তা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে প্ল্যান হয়ে যায়। ছোট থেকে দেখে আসছি, সরস্বতী পুজো মানেই হলুদ শাড়ি মাস্ট। এমনকি কচিকাঁচারাও এই দিনটায় লাল পাড় হলুদ ছোট ছোট শাড়ি পরে সাজুগুজু করে টলমল পায়ে হেঁটে বাবা-মা অথবা দাদা-দিদিদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। ফলে বুঝতেই পারছেন, সরস্বতী পুজোর সকলের কাছে সমান ভাবে স্পেশ্যাল! তবে যুগ পাল্টেছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফ্যাশনের কনসেপ্টও বদলাচ্ছে। এখন সরস্বতী পুজোয় অনেকেই এক্সপেরিমেন্ট করছেন। শাড়ির বদলে ব্রাইট কালারের লেহঙ্গা বা এথনিক কুর্তি, ইন্দো-ওয়েস্টার্ন স্টাইলের ড্রেস বেছে নিচ্ছেন। তবে হালফ্যাশনে প্যান্ট স্টাইল শাড়ি খুব ইন। বিভিন্ন অনলাইন বিপণিতে পেয়ে যাবেন প্যান্ট স্টাইল শাড়ির কালেকশন। চট করে দেখে নিন, সরস্বতী পুজোয় কী পরতে পারেন-

 


১| শাড়ি

সরস্বতী পুজোয় প্রথম থেকে যেটা চলে আসছে, সেটা হল হলুদ শাড়ি। আরও স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে বাসন্তীরঙা শাড়ি। লাল পাড় বা সবুজ পেড়ে হলুদ শাড়ি বাঙালি মেয়েদের কাছে একটা আলাদা জায়গা করে রেখেছে। যুগ বদলালেও অনেকের কাছে হলুদ শাড়ি ছাড়া সরস্বতী পুজো কমপ্লিট হয় না। আসলে সরস্বতী পুজোতেই থাকে বসন্তের আগমন বার্তা। তাই হলুদ শাড়ি মাস্ট। হলুদ সিল্ক থেকে সুতি- সব এই দিনটার জন্য স্পেশ্যালি তুলে রাখা থাকে। সকালের দিকে ভারি কিছু ক্যারি করতে না চাইলে হলুদ সুতি, খাদি, লিনেন পরতে পারেন। সঙ্গে কনট্রাস্ট কালারের স্টাইলিশ ব্লাউজ। সঙ্গে হালকা মেকআপ। আর রাতের কোনও আড্ডা বা রেস্তরাঁয় খেতে যেতে চাইলে হলুদ ভারী সিল্কটা আলমারি থেকে বার করে নিতেই পারেন। তবে হলুদ যাঁদের একঘেয়ে লাগে, তাঁরা বাছতে পারেন সাদা শাড়ি। কারণ সাদা শাড়ির একটা আলাদাই অ্যাপিল। সে চওড়া বা সরু লাল পাড়ের হোক বা ব্রাইট লেমন ইয়েলো পাড়ের হোক! অনেকেই কেরল কটন অথবা সাদা সেল্ফ কাজের ঢাকাই বেছে নেন। সরু বা মাঝারি পাড়ের কেরল কটনও সরস্বতী পুজোর জন্য একদম পারফেক্ট। আর হলুদ বা সাদা খুবই ক্লিশে লাগলে বেছে নিতে পারেন সবুজের যে কোনও শেড, কমলা অথবা ম্য়াজেন্টা রঙের শাড়িও।

২| লেহঙ্গা-ডিজাইনার কুর্তি

অনেকেই শাড়ি পছন্দ করেন না বা ক্যারি করতে পারেন না। তাঁরা এই দিন ব্রাইট ইয়েলো অথবা ব্রাইট কোনও কালারের লেহঙ্গা বেছে নিতে পারেন। মানানসই ক্রপ টপের সঙ্গে পরুন লেহঙ্গা বা জমকালো একটা ঘেরওয়ালা স্কার্ট। আর এক দিকে করে নিন দোপাট্টা। একটা স্টাইলিশ লুক এনে দেবে। আর শাড়ি বা লেহঙ্গা থেকে সরে এসে একটু অন্য রকম সাজতে চান, তা হলে ট্রাই করুন ডিজাইনার কুর্তি বা গাউন। এথনিক মিড লেংথ ড্রেসও পরতে পারেন। সুন্দর উজ্জ্বল রঙের এ-লাইন কুর্তির সঙ্গে কনট্রাস্ট করে পরতে পারেন স্লিম-ফিট এথনিক প্যান্টস। বা হাঁটুর অল্প নীচে পর্যন্ত ঝুলওয়ালা আনারকলি বা কলিদার কুর্তির সঙ্গে পরতে পারেন পালাজোও। অথবা একটা ঘেরওয়ালা গাউন পরে নিয়ে তার সঙ্গে এক দিকে পিন আপ করে একটা দোপাট্টাও ট্রাই করা যায়।

৩| প্যান্ট-শাড়ি

যাঁরা শাড়ি পরতে ভালবাসেন, অথচ সামলানোর ভয়ে কয়েক পা পিছিয়ে যান, তাঁদের জন্য এই শাড়ি পারফেক্ট। নর্ম্যাল শাড়িকে প্যান্ট স্টাইলে পরা যায়। কিন্তু সেটা না করে কিনে ফেলতে পারেন প্যান্ট-শাড়ি। আজকাল অনেক বিপণিতেই পাওয়া যাচ্ছে এই ধরনের প্যান্ট স্টাইল সেট শাড়ি। অল্প ফ্লেয়ারড বা ধুতি প্যান্টের সঙ্গেই সেট করা থাকছে শাড়ির আঁচল। তার সঙ্গে একটা ক্রপ টপ বা ওই প্যান্ট-শাড়ির সঙ্গে দেওয়া টপ পরে নিন।

৪| সাজসজ্জা

আপনার ড্রেসের সঙ্গে মানানসই সাজ চাই। আর সকালের দিকে যে হেতু বেশি প্ল্যান, সে হেতু হালকা মেকআপ চাই। আর রাতের দিকে বেরোনোর প্ল্যান থাকলে ভারী মেকআপ চলতে পারে। আর চুল খোলা রাখতে চাইলে তা রাখতেই পারেন। এই দিনের জন্য স্পেশ্যালি টেম্পোরারি স্মুদনিং বা কার্ল করাতেই পারেন। আর খোঁপা করলে তার মধ্যে পছন্দ মতো ফুল লাগাতে পারেন। সব থেকে ভাল হয়, যদি পলাশ ফুলের মালা পাওয়া যায়। সরস্বতী পুজোর সাজ একেবারে জমে যাবে!

 

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

বিয়ের দিনে সুন্দর দেখানোর ৬টি টিপস


বিয়ের দিনে নিজেকে সুন্দর দেখানোর ৬টি গোপন টিপস-

১। মেকআপে ন্যাচারাল লুকঃ
পারফেক্ট বিয়ের সাজের মূলমন্ত্র হলো, একেবারেই ন্যাচারাল লুক মনে হয় এমন একটি সাজ বেছে নেয়া। কেননা ঐতিহ্যগত ভাবেই বাংলাদেশের কনেরা বেশ জমকালো শাড়ী ও গহনা পরে থাকেন।
তাই সাজটাও যদি অতিরিক্ত জমকালো হয় তাহলে পুরোই জবরজং লাগতে পারে। তাই বিউটিশিয়ানকে বলুন যাতে ন্যাচারাল মনে হয় এমন একটি সাজে সাজিয়ে দিতে। শুধু মুখই নয় গলা, হাত, পা সমানভাবে সাজিয়ে দিতে বলুন। নয়তো মুখের ত্বকের তুলনার গলা, হাত, পা বেমানান দেখাবে।

২। মেকাপের পর কয়েকটি ছবি তুলে দেখুনঃ
মেকআপ করার পর বিয়ের সাজেই কয়েকটি ছবি তুলে ফেলুন। ছবিতে দেখুন কোন অংশটি খারাপ দেখাচ্ছে, মেক আপ সব জায়গায় ঠিক মত বসেছে কিনা, কোন অংশ বেশি সাদা মনে হচ্ছে কিনা। সেক্ষেত্রে শুধরে নেবার সময় থাকবে। তাই হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে পার্লারে সাজতে যাবেন।

৩। বিয়ের আগে ত্বকের যত্নঃ
বিয়ের সপ্তাহ খানেক আগেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেয়া শুরু করুন। হাত পায়ের ওয়াক্সিং, ফেসিয়াল, চুলের ট্রিটমেন্ট আগেই করে ফেলুন। নয়তো বিয়ের আগে একসাথে সব কাজ করতে গেলে এগুলো আপনার গোটা সাজকেই মাটি করে দিতে পারে।বিয়ের ঠিক এক বা দু দিন আগে ভ্রু প্লাক করুন। বিয়ের দিন সাজার সময় ভ্রু প্লাক করতে গেলে সেখানে দ্রুত মেকআপ করার সময় ভ্রুর জায়গাটিতে যন্ত্রণা, চুলকানি, লাল হয়ে যাবার মত সমস্যা হতে পারে। যা আপনার সুন্দর লুককে নষ্ট করে দেবার জন্যে যথেষ্ট।

৪। কনট্যাক্ট লেন্স পরে নিন মেকআপের আগেইঃ
আপনি যদি চোখের রঙ পরিবর্তনের জন্যে অন্য কনট্যাক্ট লেন্স পরতে চান, তাহলে তা মেকআপ করার আগেই পরে ফেলুন। কেননা, কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময় চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা পানি পড়তে পারে, যা আপনার চোখের মেকআপ এর ক্ষতি করতে পারে।

৫। পোষাক ও গহনা নির্বাচনে সচেতন থাকুনঃ
পোষাকের ফেব্রিক, রঙ ও গহনা নির্বাচনে সচেতন থাকুন। অন্য কাউকে এই রঙ বা ধরনের পোষাক ভালো লেগেছে বলেই যে আপনাকেও ভালো লাগবে এমন কোন কথা নেই। তাই চেষ্টা করুন আপনাকে মানায় এমন ফেব্রিকের ও রঙের পোষাক ও গহনা পরতে।

৬। তৈলাক্ত খাবার ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুনঃ
আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না যে, বিয়ের দিন আপনার মুখে ব্রণ বা র্যাশ থাকুক। তাই নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস, ভাজাভুজি ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। প্রচুর ফল ও সবজি খান ও মেডিটেশন করুন। বিয়ের অনুষ্ঠানের আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাবার চেষ্টা করুন। এতে আপনার ত্বকে ব্রণ বা অন্য কোন সমস্যা হবার সম্ভাবনা কমে যাবে এবং মেকআপ ত্বকে খুব সুন্দরভাবে বসবে।

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ত্বক ও চুলের যত্নে ফ্রুট মাস্ক

ত্বকের যত্নে

(১) আধাটা কলা চটকে তাতে সামান্য স্ট্রবেরি পেস্ট আর সামান্য মধু দিয়ে মিশিয়ে মাস্কটি মুখে মেখে ২০ মিঃ রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
কলায় থাকে প্রয়োজনীয় মিনারেলস এবং ভিটামিন এ, বি, সি ও ই যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

(২) কিছু তরমুজের টুকরো পিষে মুখে আর গলায় মেখে রাখুন ২০ মিঃ, তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তরমুজ ন্যাচারালি ত্বক পরিষ্কার করে ত্বককে কোমল ও মসৃণ করে তোলে।

(৩) কিছু পাকা পেঁপের টুকরো ম্যাশ করে মাস্ক হিসেবে মুখে মেখে ১৫ মিঃ রেখে তারপর নরমাল পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁপের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস ত্বকের মৃতকোষ ও ময়লা পরিষ্কার করে।

(৪) স্ট্রবেরি পেস্ট-এ সামান্য পানি মিশিয়ে স্কিনে মেখে ২০ মিঃ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
এটি ত্বকের পোড়াভাব দূর করে স্কিনকে সুন্দর করে।

(৫) কয়েক টুকরো আপেলকে পেস্ট করে তাতে ১ টে.চা. মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে ১৫ লাগিয়ে রেখে পড়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
এই মাস্কটি বেবি স্কিন নিশ্চিত করে স্কিনকে কোমল ও আকর্ষণীয় করে তোলে।

(৬) আধাটা পাকা অ্যাভোক্যাডো, ১/২ চা.চা. নারকেল তেল ও ২ টে.চা. মধু একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে মাস্কটি ২০ মিঃ রেখে পড়ে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
স্কিন ময়েশচারাইজ করে ড্রাইনেস দূর করে ও স্কিন-কে হেলদি করে তোলে।

(৭) আনারের দানা ব্লেন্ড করে মাস্ক হিসেবে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিঃ রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
স্কিনের ডেড সেল দূর করে তারুণ্য নিশ্চিত করে এই মাস্কটি।

(৮) লাল আঙ্গুর পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে শুকান এবং পরে পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।
এই মাস্কটি একনি-এর সমস্যা কমায়।

চুলের যত্নে

(১) ২ টে.চা. কুসুম গরম নারকেল তেল ও ১ চা.চা. লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে মিক্সচারটি স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। ২ ঘণ্টা রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস চুলের গোঁড়া মজবুত করে পুষ্টি যোগায় এবং চুল পোড়া কমায়। খুশকি দূর করে। নারকেল তেল চুলকে ময়েশচারাইজ করে।

(২) একটি পাকা কলা, ২ টে.চা. নারকেল তেল/ অলিভ অয়েল এবং একটি ডিম একসাথে ব্লেন্ড করে মিক্সচারটি স্ক্যাল্পে ও পুরো চুলে মেখে ৩০ মিঃ রেখে ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
এই মাস্কটি অতিরিক্ত রুক্ষ চুলকে নরিশ করে ময়েশচারাইজ করে।

(৩) ৭-৮ টি স্ট্রবেরি ম্যাশ করে তাতে ১ টে.চা. মেয়নেইজ মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে  ২০ মিঃ রেখে চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই মাস্কটি চুলের ডিপ-কন্ডিশনিং করে চুলকে স্মুদ ও শাইনি করে এবং খুশকি দূর করে।

(৪) সামান্য পাকা পেঁপের টুকরো, ২ টে.চা. টক দই ও ১ চা.চা. মধু একসাথে ব্লেন্ড করে ব্লেন্ডেড মিক্সচারটি চুলে ও স্ক্যাল্পে মেখে ৩০ মিঃ রেখে ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
এই মাস্কটি স্ক্যাল্পের মরা চামড়া ও খুশকি দূর করে। চুলকে মসৃণ ও মজবুত করে।

(৫) অ্যাভোক্যাডোর ভেতরের নরম অংশকে পেস্ট করে তার সাথে সামান্য নারকেল তেল বা বাদাম তেল অথবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পুরো চুলে মেখে ২০ মিঃ রেখে তারপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু মেখে ধুয়ে ফেলুন।
চুলকে সফট ও স্মুদ করতে এই মাস্কটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

(৬) ৩ টে.চা. কমলার রস, ১ টে.চা. লেবুর রস, ১.৫ টে.চা. টক দই এবং সামান্য পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে মাস্কটি পুরো চুলে মেখে ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
এই মাস্কটি চুলের পুষ্টি যোগায়, চুলকে মজবুত করে এবং চুলের কন্ডিশনিং করে স্মুদ করে।

(৭) কিছু পেয়ারার টুকরো ও সামান্য মধু ব্লেন্ড করে মাস্কটি পুরো চুলে মেখে ১০ মিঃ রাখুন ও ধুয়ে ফেলুন।
এটি চুলকে স্মুদ ও সফট করে তোলে।

(৮) একটি পাকা কলা, ১/২ কাপ পাকা পেঁপের পেস্ট, ২ টে.চা. টক দই, ১ চা.চা. বাদাম তেল, ১/২ চা.চা. লেবুর রস ও সামান্য পানি মিশিয়ে গোঁড়াসহ পুরো চুলে মেখে ২০ মিঃ রেখে তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

এই মাস্কটি চুলকে কোমল ও নমনীয় করে, গোঁড়া মজবুত করে এবং খুশকি দূর করে।
এইতো জেনে নিলেন ত্বক ও চুলের যত্নে বিভিন্ন ফলের তৈরি কিছু সহজ, সময়সাপেক্ষ এবং কার্যকর মাস্কের কথা। শুধু ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধোঁয়া আর তেল-শ্যাম্পু দিয়ে চুলের যত্নে আবদ্ধ না থেকে এদের যত্নটাকে আরও বেশি করে কিভাবে নেয়া যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। আশা করি, হেভি মেকওভার আর ধুলোবালির বোঝায় ক্লান্ত ত্বক ও চুলকে মাস্কিং ও ময়েশচারাইজিং-এর মাধ্যমে একটু প্রশান্তি এনে দেয়াটা আপনাদের জন্য সহজ করে দেয়ায় কিছুটা হলেও সক্ষম হয়েছি।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

চুল ভাঙার সমস্যায় যা করবেন


সাধের চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এতে করে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর‌্য নষ্ট হয়। সঠিক যত্নের মাধ্যমে সুন্দর এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পাওয়া সম্ভব। আর সেজন্য বেসিক হেয়ার কেয়ার রুটিন ঠিকভাবে মেনে চলা উচিত। চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

 চুল ভাঙার আরেকটি কমন কারণ হল হার্ড ওয়াটার। পানির কারণে অনেকেরই চুল পড়া এবং ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, হার্ড ওয়াটার-এ ক্লোরিন এবং হেভি মেটাল থাকার ফলে তা চুলের কিউটিকল ড্যামেজ করে দেয়। ফলাফল- চুল ভাঙা।

চুলে স্টাইল করতে কে না পছন্দ করে। চুল স্ট্রেইট, কার্ল, পার্ম ইত্যাদি করতে চুলে প্রচুর হিট দেয়া হয়। যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। এর ফলে প্রচুর চুল ভাঙা শুরু হয়। চুলে যতটা সম্ভব হিট কম ব্যবহার করুন। একান্তই যদি প্রয়োজন পরে তবে, অবশ্যই প্রথমে হিট প্রোটেক্টর স্প্রে চুলে লাগিয়ে নিন। এতে করে হিটের ক্ষতি থেকে চুল বেঁচে যাবে।
গোসলের পর সবসময় আলতো করে চেপে চুলের পানি শুষে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। টাওয়েলের পরিবর্তে পুরোনো টি শার্ট ব্যবহার করতে পারেন এক্ষেত্রে। আর হেয়ার ড্রায়ার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা যায় ততই ভালো।

চুল সব সময় আগার দিক থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে আঁচড়ে উপরের দিকে উঠতে হবে। এতে খুব বেশি জটা জমা হবে না এবং চুলও ভাঙবে/ছিঁড়বে কম।

চুল বেঁধে রাখতে আমরা রাবার ব্যান্ড ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এক্ষেত্রে একদম রাবারের তৈরি চিকন ব্যান্ডগুলো থেকে চুলকে দূরে রাখলেই ভালো করবেন। কারণ এসব ব্যান্ড চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো নয়। তাছাড়া, যখন ব্যান্ড চুল থেকে খুলতে যাবেন, তখন দেখবেন এই ইলাস্টিক ব্যান্ড-এর সাথে অনেকগুলো চুল ছিঁড়ে চলে এসেছে। তাই, কাপড়/ উলের তৈরি ব্যান্ডগুলো ব্যবহার করবেন। এছাড়াও চুল বেশি শক্ত করে বাঁধতে যাবেন না।

আমরা স্কিন এক্সফোলিয়েট করে থাকি যেন স্কিন সুন্দর এবং গ্লোয়িং হয়। চুল ট্রিম করাটাকেও তেমনই বলা যায়। এতে চুল দেখতেও সুন্দর লাগে। কারণ, অনেকেই চুল লম্বা করার শখে চুলের আগা ট্রিম করেন না। যার ফলে পুরোনো চুলগুলো দুর্বল হয়ে গিয়ে আগা ফাটে, চুলে জট সৃষ্টি করে এবং চুল ভাঙে।

ওভার ব্রাশিং এর ফলে চুল ড্যামেজ হয়ে যায় এবং আগা ফাটা বেড়ে যায়। একটা সময়ে চুল ভাঙা শুরু হয়। তাই ওভার ব্রাশিং থেকে দূরে থাকুন। এছাড়াও সবসময় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন।
প্রপার ডায়েট, ভিটামিন-এর অভাব, স্ট্রেইস ইত্যাদির কারণেও চুল ভাঙতে পারে।নিয়মিত নারিকেল তেল না দেয়ার কারণে চুলের ময়েশ্চার নষ্ট হয়ে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। ফলে চুল ভাঙা ও চুল পড়াও বেড়ে যায়।

শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

অ্যারোমা ফেসিয়াল

উপকরণঃ
• ক্লিঞ্জার
• স্ক্রাব
• ফেসিয়াল অয়েল
• দুধ
• চন্দন গুঁড়ো
• কাঠবাদাম গুঁড়ো
• ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম
• রোজ অয়েল
• জিরেনিয়াম অয়েল
• ল্যাভেণ্ডার অয়েল
• লেমন অয়েল
• সারপ্রেস অয়েল
• টক দই

কীভাবে করবেন?
• ক্লিঞ্জিং দিয়ে মুখ ধোয়ার পূর্বে প্রথমে গরম ভাপ নিয়ে নিন। এটি আপনার মুখের রন্ধ্র খুলে দিতে সাহায্য করবে। এর জন্য আপনি একটি তোয়ালে এক বাটি হার্বাল চায়ের মধ্যে ভিজিয়ে তা আপনার মুখে ও গলার উপর দিয়ে রাখুন এবং ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

• এবার স্ক্রাব দিয়ে মুখ আলতো ভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষুন। তারপর উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। মুখে কোন তেল থেকে থাকলে তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। যদি আপনি ভারী মেক-আপ নিতে চান আপনি চাইলে আবার মুখ ক্লিঞ্জিং করে নিতে পারেন।

• এই পর্যায়ে টোনিং করে নিতে হবে। টোনিং খুবই গুরত্বপূর্ণ ধাপ ফেসিয়ালের। তুলা দিয়ে টোনার মুখে লাগান কিন্তু ভুলেও ঘষবেননা। চোখের কাছে লাগাবেন না। আপনার ত্বক এখন ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য প্রস্তুত।

• এবার অ্যারোমাটিক ফেসিয়াল অয়েল দিয়ে মুখে ময়েশ্চারাইজ করতে পারেন। এই তেলে কিছু উপাদান আছে যা মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন টোনার লাগাবার পর মুখ কিছুটা আর্দ্র থাকা অবস্থায় তেল লাগাতে হবে। পুরোপুরি শুকনো হলে চলবেনা। যদি ত্বকের কোন জায়গা শুষ্ক থাকে তবে সেক্ষেত্রে দুবার ময়েশ্চারাইজ করবেন। কিন্তু প্রথম বার আর দ্বিতীয় বারের মাঝে ২-৩ মিনিট বিরতি রাখবেন এবং দ্বিতীয় বার কিছুটা পানি অথবা টোনার দিয়ে নিবেন।

• ১ টেবিল চামচ দুধ, চন্দন গুঁড়ো, কাঠ বাদামের গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে তা মুখে আর গলায় লাগিয়ে নিন।

• এবার কাঠ বাদামের গুঁড়ো, আধা টেবিল চামচ মধু এবং ১ ফোঁটা রোজ অয়েল দিয়ে একটি পেস্ট প্রস্তুত করুন এবং তা মুখে ও গলায় লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। রোজ অয়েলের মধ্যে এন্টিব্যাক্টিক উপাদান রয়েছে যা ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বক কে করে তোলে উজ্জ্বল।

• এবার একটি ভালো ব্র্যান্ডের সুগন্ধী ছাড়া ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম নিন এবং তার সাথে এক ফোঁটা রোজ অয়েল ও এক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে ধীরে ধীরে মুখে লাগান।

• ৪ ফোঁটা ল্যাভেণ্ডার অয়েল, ৪ ফোঁটা রোজ অয়েল এবং ২ ফোঁটা জিরে নিয়ে মেশাবেন আপনার ফেসিয়াল মাস্কে। তবে এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য। তৈলাক্ত এবং স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ২ চা চামচ টক দই, ২ ফোঁটা লেমন অয়েল, ২ ফোটা সাইপ্রেস অয়েল মেশাবেন আপনার ফেসিয়াল মাস্কের সাথে। অ্যারোমা ফেসিয়াল প্যাক আপনি যে কোন মার্কেট থেকে কিনে নিতে পারেন।

অ্যারোমা ফেসিয়াল যেমন জনপ্রিয় তেমন উপকারী। এতে আপনার কোন এলার্জির সমস্যা হবেনা যদি আপনি সঠিক ভাবে এসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।