শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

মেকআপকে গ্লোয়ি করে তোলার কার্যকরী উপায়




(১) ক্লিঞ্জিং,  টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং এরপর রেগুলার প্রাইমারের সাথে ব্যবহার করুন একটি ইল্যুমিনেটিং প্রাইমার। অনেক ধরনের ইল্যুমিনেটিং প্রাইমার রয়েছে। আপনার পছন্দমত বেছে নিতে পারেন। ইল্যুমিনেটিং প্রাইমার আপনার পুরো ফেসে একটা গ্লো তৈরি করবে।

(২) ব্যবহার করতে পারেন লিকুইড হাইলাইটার / ইল্যুমিনেটর। ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আগে  লিকুইড হাইলাইটার নিয়ে ফেস এর হাই পয়েন্টগুলো যেমন- চিক বোন, নাকের ব্রিজ, থুতনি, ঠোঁটের উপরের দিকে, কপালে, আই ব্রো বোনের উপরে এবং নিচে  লাগিয়ে নিন এবং ব্লেন্ড করুন হাতের সাহায্যে। এরপর ফাউন্ডেশন লাগান।

(৩) ফাউন্ডেশন একটু ন্যাচারাল এবং গ্লোয়ি করে তুলতে ফাউন্ডেশন প্রথমে হাতে নিয়ে এর সাথে এক ফোটা বেবী অয়েল মিক্স করে নিন। এরপর ফাউন্ডেশন মুখে লাগিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এতে ফাউন্ডেশন অনেক গ্লোয়ি লাগবে। যাদের অয়েলি স্কিন তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটা ফেসের অয়েলিনেস বাড়িয়ে তুলবে না। তাই নিশ্চিন্তে এই টিপসটি ফলো করতে পারেন।

(৪) গালে পাউডার ব্লাশের পরিবর্তে ব্যবহার করুন কালার লিপ গ্লস। অল্প একটু কালার লিপ গ্লস নিয়ে লাগিয়ে নিন গালে। এবং ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন, অনেক বেশী পরিমানে যেন নেয়া না হয়।
লিপ গ্লস গালে একটা ডিউয়ি ইফেক্ট দিবে।

(৫) নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন এক্সট্রা গ্লো এর জন্য। এটিও লিকুইড হাইলাইটারের মতো ফেস এর হাই পয়েন্টগুলোতে ব্যবহার করুন ফাউন্ডেশন এর আগে।

(৬) বেইজ মেকাপে পাউডার হাইলাইটার ফেস এ গ্লো যোগ করে। তবে আরো গ্লোয়ি করে তুলতে  প্রথমে হাই পয়েন্টস এ ব্যবহার করুন লিকুইড হাইলাইটার। তার উপরে ব্যবহার করুন পাউডার হাইলাইটার।

(৭) বেইজ মেকাপের শেষের দিকে পাউডার হাইলাইটার ব্যবহার করুন। এরপর সেটিং স্প্রে নিয়ে পুরো মুখে স্প্রে করে নিন। এরপর সাথে সাথে আবার পাউডার হাইলাইটার ব্যবহার করুন। এই ট্রিকসটি ফলো করলে আপনি নিজেই দেখতে পারবেন পার্থক্য। আগের চেয়ে অনেক গ্লোয়ি দেখতে লাগছে হাইলাইটার।

(৮) লিপস্টিকের ক্ষেত্রে ২ টি লিপস্টিক একসাথে মিক্স করে ঠোটে লাগান। একটি মোটামুটি ম্যাট, অন্যটি গ্লসি। এতে অনেক সুন্দর একটা ফিনিস আসবে।

(৯) কানের দিকে এবং গলার এরিয়াতে সামান্য ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। এতে পুরো ফেস এর মেকাপের সাথে সামাঞ্জস্যতা আসবে।

 (১০) ডিউয়ি / গ্লোয়ি মেকাপের পূর্বশর্ত মসৃন স্কিন। এজন্য মেকাপের আগে স্ক্রাবিং করে নিন। যাতে ত্বকের মরা চামড়া, ব্লাক হেডস, হোয়াইট হেডস চলে যায়।

(১১) চোখের পাতায় ব্যবহার করুন শিমারি আইশ্যাডো। এটি গ্লোয়ি মেকাপের সাথে মানানসই হবে।

(১২) মেকাপ শেষে একটি ডিউয়ি ফিনিস এর মেকাপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করুন। এ ধরনের সেটিং স্প্রে সারাদিন আপনার মেকাপকে গ্লোয়ি রূপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

জেনে নিলেন, ডিউয়ি / গ্লোয়ি মেকাপের টিপসগুলো। এ ধরনের মেকাপ উইন্টারে অনেক বেশী প্রযোজ্য। উইন্টারে এক্সট্রা গ্লো তৈরি করবে। চাইলে অন্যান্য সময়ে বিশেষ করে পার্টির জন্য অনেক ভালো লাগবে দেখতে।

চুলের রুক্ষতা দূর করতে ডিমের হেয়ারপ্যাক

(১) ডিম, লেবু ও অলিভ অয়েল-

একটা ডিম ফেটে বাটিতে নিয়ে নিন সাথে একটা লেবুর অর্ধেকটা রস মিশিয়ে ভালোভাবে একটি চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন। এটা প্রায় মিশে আসলে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মেশান এতে। সব উপাদান পুরোপুরি মিশে গেলে এটা আপনার সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে নিন। খেয়াল রাখুন আপনার পুরো চুলটা যেন এই প্যাক দিয়ে কভার হয়ে যায়। এবার এই প্যাকটি মিনিমাম ৩০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং নরমালি শ্যাম্পু করে ফেলুন।

(২) ডিম, দই ও অলিভ অয়েল-

ডিম ও দই এই দুই উপাদানই প্রচুর প্রোটিন এ ভরপুর যা চুলের রুক্ষতা ঝেড়ে ফেলে চুলে নতুন চমক আনে। একটা ডিমের পুরোটা, এক টেবিল চামচ দই ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে একসাথে ভালোভাবে মিশান। যখন এই দুই উপাদান সুন্দর ভাবে মিশে যাবে তখন এটি আপনার চুলে প্রয়োগের উপযোগী হয়ে উঠবে। এটি আপনার চুলের গোঁড়া ও স্কাল্পে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও শ্যাম্পু করে ফেলুন।

(৩) ডিম, বেসন ও অলিভ অয়েল-

এটা আরেকটি রিচ-প্রোটিন হেয়ার প্যাক। এই প্যাক চুল শক্ত ও মজবুত করার সাথে সাথেই প্রাকৃতিকভাবে কন্ডিশনিং করে। একটি ডিম, ১ টেবিল চামচ বেসন ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। এবার এই প্যাক শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং পরে ধুয়ে ফেলুন।

(৪) ডিম, কলা ও মধু-

কলা চুলের জন্য একটা অসাধারণ ময়েশ্চারাইজার। আপনাকে যা করতে হবে তা হল একটি কলা ভালোভাবে চটকে তার সাথে একটা ডিম ফেটে আর খানিকটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে সবটা একসাথে মিশাতে হবে। ৩০ মিনিট এটি আপনার চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলে শ্যাম্পু করে নিন।

(৫) ডিম, মেয়নেজ ও অলিভ অয়েল-

ডিম, মেয়নেজ ও অলিভ অয়েল এই ৩ উপাদান একসাথে নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে আপনার চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মেয়নেজ চুল থেকে যেতে একটু সময় নেয় তাই আপনিও একটু সময় নিয়েই সেটি চুল থেকে ছাড়াতে চেষ্টা করুন।
ডিমের হেয়ার প্যাক নেওয়ার সময় যে ব্যাপারটা সব সময় মনে রাখতে হবে তা হল এই প্যাক ব্যবহারের পর চুল ধোয়ার জন্য কখনই গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলার পর স্বাভাবিকভাবে শ্যাম্পু করে নিন আর পান বাউন্সি, হেলদি ও স্ট্রং চুল।

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ঠোঁটের উপরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার উপায়

১। বেসন এবং হলুদের প্যাক
এক চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো এবং পরিমাণমত দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি ঠোঁটের উপরে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রাকৃতিক ভাবে ঠোঁটের উপরের লোম দূর করে দেবে। এটি সপ্তাহে দুই তিন বার ব্যবহার করুন।

২। ডিমের সাদা অংশ
ঠোঁটের উপরে অংশের লোম দূর করতে ডিমের সাদা অংশ বেশ কার্যকর। একটি ডিমের সাদা অংশ, কর্ণ ফ্লাওয়ার এবং চিনি ভাল করে ফেটে নিন। এবার এই পেস্টটি ঠোঁটের উপর লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে এটি তুলে ফেলুন। ভাল ফল পেতে এটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করুন। এক মাসের মধ্যে আপনি দেখতে পাবেন আপনার লোম অনেকটা কমে এসেছে।

৩। চিনি
ঘরোয়া ওয়াক্সিং করার অন্যতম উপাদান হল চিনি। চিনি অবাঞ্ছিত লোম দূর করে এবং নতুন লোম জন্মাতে বাঁধা দিয়ে থাকে। একটি প্যানে কিছু পরিমাণ চিনি এক মিনিট জ্বাল দিন। এর সাথে কিছু পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে ঘন করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটি ঠোঁটের উপরে লাগিয়ে নিন। এবার একটি কাপড় দিয়ে চক্রাকারে ঘষুন এবং লোমের বিপরীতে টান দিন।

৪। চালের গুঁড়ো এবং টকদই
চালের গুঁড়ো এবং টকদই মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ঠোঁটের উপরে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫। ময়দা
ময়দা, দুধ এবং হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এই পেস্টটি ঠোঁটের উপরে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে এটি টান দিয়ে তুলে ফেলুন। সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী একটি উপায়ের মধ্যে এটি অন্যতম।