শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০

চুল বড় করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়

পিঁয়াজ ব্যবহারের পদ্ধতি :
একটি লাল পেঁয়াজ নিন। লাল পেঁয়াজে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকে। তারপর পেঁয়াজটি কুচি করে কাটুন ও ভালো করে পাটায় থেঁতলে নিন। একটি নরম পাতলা কাপড়ে এই পেঁয়াজ রেখে চিপে রস বের করে নিন। তারপর এই পেঁয়াজের রস সরাসরি মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর মৃদু কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন। বাড়তি পাওনা হিসাবে দূর হবে খুশকি ও অন্যান্য সমস্যা।

ডিম ব্যবহারের পদ্ধতি :
প্রথমে একটি বাটিতে একটি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল (জলপাই তেল) ও ১ চা চামচ মধু নিন (চুলের দৈর্ঘ্য ও পরিমাণ অনুযায়ী অলিভ অয়েল ও মধুর পরিমাণ বাড়াতে পারেন)। তারপর উপকরণগুলো খুব ভালো করে মেশান। যখন এটি মসৃণ পেস্টের আকার ধারন করবে তখন এত ব্যবহার উপযোগী হবে। মসৃণ পেস্টের মত হয়ে গেলে মাথার ত্বকে আলতো ঘষে মিশ্রণটি লাগিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পর প্রথমে ঠাণ্ডা পানি ও পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ভালো ফল পাবেন।

 গ্রীণ টি ব্যবহারের পদ্ধতি : গ্রীণ টি কম বেশি সবাই বানাতে জানি। বাজারে গ্রীণ টি পাওয়া যায়। প্রথমে গ্রীণ টি বানিয়ে নেবেন। অনেকেই গ্রীণ টিতে মধু বা চিনি দিয়ে থাকেন। কিন্তু চুলে ব্যবহারের জন্য গ্রীণ টি তে চিনি বা মধু দেবেন না। এক কাপ পরিমাণ গ্রীণ টি নিয়ে হালকা গরম থাকতেই পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগাবেন। ১ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

আলু ব্যবহারের পদ্ধতি :
একটি মাঝারি আকৃতির আলু ঝুরি করে চিপে এর থেকে রস বের করে নিন। এরপর একটি বাটিতে আলুর রস, একটি ডিমের সাদা অংশ ও ১ চা চামচ মধু খুব ভালো করে মেশান। খুব ভালো করে মিশে গেলে, মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় আলতো ঘষে লাগিয়ে নিন। এভাবে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। ২ ঘণ্টা পর একটি মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।

শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০

ব্লাশঅন দেয়ার সঠিক নিয়ম


নারীরা সাজগোজ ছাড়া কি থাকতে পারেন? মোটেই না। একটু আধটু সাজগোজ সব নারীই পছন্দ করেন। কাজল, লিপস্টিক, নেইলপলিশ দেয়া সাধারণ সাজগোজের মধ্যে পড়ে থাকে। যদি ভারী মেকআপ নেয়া হয় তখন আরও অনেক কিছুর দিকে নজর দিতে হয়। মুখের আকার এবং গালের দিকটি ফুটিয়ে তুলতে মুখের আকার আকৃতির সাথে মিলিয়ে ব্লাশঅন দেয়া হয়। কিন্তু সঠিক ভাবে ব্লাশঅন দিতে না পারলে দেখতে বেশ বিশ্রী লাগে। তাই বুঝে শুনে ব্লাশঅন দেয়া উচিত। তাহলে আজকে জেনে নিন কেমন আকৃতির মুখে কোথায় ব্লাশঅন দেয়া উচিত।

১) যদি উঁচু এবং বড় কপাল এবং চোয়ালের দিক চাপা হয় তবে কানের লতি থেকে গালের দিকে এবং থুঁতনির ঠিক মাঝে ব্লাশঅন দিন। এতে করে কপালের থেকে নজর সরে যাবে।

২) যদি থুতনি ও চোয়াল চওড়া এবং ছোটো কপাল হয়ে থাকে তাহলে গালের ওপরের দিকে এবং চোখের নিচের দিকে ও কপালে ব্লাশঅন দিন।

৩) যদি নাক অনেক বড় এবং ছড়ানো হয়ে থাকে তবে ঠিক নাকের মাঝের অংশে ব্লাশঅন দেবেন।

৪) যদি নাক অনেক বেশি চিকন এবং চাপা হয় তবে নাকের দুপাশে ব্লাশঅন দিন।

 মনে রাখুনঃ
 
– নিজের ত্বকের টোনের সাথে মিলিয়ে ব্লাশঅনের রঙ পছন্দ করার চেষ্টা করুন।
– অতিরিক্ত বেশি ব্লাশঅন ব্যবহার করবেন না।
– ব্লাশঅন দেয়ার ব্রাশ সব সময় পরিষ্কার রাখুন।

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

উৎসবের আগে ফ্রেশ দেখাতে স্পেশাল কিছু টিপস

১)উৎসবের আগের রাতে শ্যাম্পু করে রাখতে পারলেই ভালো হয়। পরের দিন সময় পাওয়া নাও যেতে পারে। তাই আগের রাতেই শ্যাম্পু মাস্ট। শ্যাম্পু করার আগে নারিকেল তেল একটু গরম করে মাথায় ভালো করে মাসাজ করতে হবে। তারপরে মাথাটাকে একটা তোয়ালে দিয়ে ৩০ মিনিট ঢেকে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। শ্যাম্পুর পরে চুলটা একটু শুকনো হলে হেয়ার সেরাম লাগিয়ে নিলে পরের দিন চুলটা খুব সিল্কি আর সফট লাগবে।

২) রাতে মুখ পরিষ্কার করে টোনার লাগানোর পরে আন্ডার আই ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে। এরপরে নাইট ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে। এতে পরের দিন চোখের তলায় কোন কালি পড়বে না আর মুখটা খুব স্মুথ দেখাবে

বিশেষ টিপসঃ   টক দই দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। টক দই মুখকে উজ্জ্বল করে তোলে।
৩) সকালে যে পোশাক, গয়না পরবেন সেটা আগে থেকেই রেডি রাখু্ন। নাহলে সকালে কিন্তু সব ভুল হবার সম্ভবনা থেকে যাবে।
৪) সকালে মেকাপের জন্য খুব বেশি ডার্ক বেইস মেক-আপ করবেন না। একটু ফেস প্রাইমার লাগিয়ে তারপরে একটু ম্যাট ফাউন্ডেশন লাগান। তার উপরে মিনেরাল ফেস পাউডার লাগিয়ে নিন। এই রুটিনটা মেনে চললে ঘাম হলেও মেকআপ গলে যাবার সম্ভাবনা থাকে না।
বিশেষ টিপসঃ বেইস মেক-আপ অর্থাৎ ফাউন্ডেশন লাগাবার আগে মুখে একটু বরফ দিয়ে ৫ মিনিট মাসাজ করুন তাহলে মুখে ঘাম হবে না।
৫) চোখঃ চোখের মেক-আপের জন্য কালো আইলাইনার ছাড়াও লাগাতে পারেন অন্য রঙের আই লাইনার। দিনের বেলাতে লাগাতে পারেন নীল রঙের আইলাইনার। যাদের চোখের রঙ একটু বাদামি তাদের সবুজ রঙের আইলাইনার পরলেও খুব ভালো লাগবে। এটা চোখকে খুব কমপ্লিমেন্ট করবে।
বিশেষ টিপসঃ  রাতের জন্য কালো আইলাইনারের উপরে অরেঞ্জ আইলাইনার দিয়ে একটা লাইন করতে পারলে সেটা একটা গরজিয়াস পার্টি লুক এনে দেবে।
৬) আইল্যাসঃ চোখের পাতা মানে আইল্যাসে মাস্কারা লাগানোর আগে একটু ক্রিম প্রাইমার লাগিয়ে নিয়ে মাস্কারা দিন। তাহলে সেটা আইল্যাসকে আরও প্রমিনেন্ট করে তুলবে আর মাস্কারা অনেক্ষণ স্টে করবে।
৭) ঠোঁটের মেক-আপঃ ঠোঁটে প্রাইমার লাগানোটা কিন্তু মাসট। ঈদের দিনটায় ন্যুড শেডের লিপস্টিক ঠিক মানাবে না। আজকের এই স্পেশাল দিনটায় ডার্ক রঙ যেমন লাল, ডার্ক পিঙ্ক, অরেঞ্জ এই রঙ গুলো বেস্ট লাগবে। লাইট রঙ পরতে চাইলে পার্পল, ভায়োলেট,বারগেন্ডি এই রঙ গুলো ভালো লাগবে।
বিশেষ টিপসঃ   ঠোঁটে ডার্ক রঙের লিপস্টিক পরে বাকি মেক-আপ টাকে সিম্পল রাখতে পারেন। এতে আপনাকে সবার থেকে আলাদা ও স্পেশাল দেখাবে।
৮) নিজের বডি ক্রিমের সাথে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে হাতে পায়ে গলায় লাগিয়ে নিন। এতে একটা ইভেন টোন পাবেন।
বিশেষ টিপসঃ   যদি নখ খুব পাতলা বা ভেঙে যাবার সম্ভাবনা থাকে তাহলে উৎসবের  আগের রাতে নখে তাজা রসুন ঘষে নিতে পারেন এতে নখ ভাঙার সম্ভাবনা কমে যায়।
৯) চুলঃ সারাদিনের অনেক অ্যাক্তিভিটির ফলে চুলটা অনেকটা ফ্ল্যাট দেখায়। তাই চুল যেভাবেই বাঁধুন না কেন শেষে একটু হেয়ার স্প্রে লাগিয়ে নিলে চুল একদম সেট থাকবে।
বিশেষ টিপসঃ    হেয়ার স্প্রে না থাকলে হেয়ার জেল আর পানি একসাথে মিশিয়ে নিয়ে লাগালেও চুল সেট থাকবে।
১০) সবচেয়ে জরুরী হলো সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। নাহলে কিন্তু নিজেকে খুব শুকনো দেখাবে। আর্দ্রতা চলে গেলে কিন্তু নিজেকে খুব কালো দেখাবে। পানি ছাড়াও লাস্যি, জুস এগুলো খাওয়া যেতে পারে তাহলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকবে আর সারাটাদিন আপনাকে খুব ফ্রেশ দেখাবে।