সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭

ব্রণের গর্ত, র‍্যাশ, পোরস, লালচে ভাব দূর করার জাদুকরি উপায়

(১) হলুদ ও লেবুর প্যাক
এক চা চামচ লেবুর রস নিন। এরসাথে মেশান এক চা চামচ হলুদ। আপনি চাইলে কাচা হলুদ কিংবা গুড়ো যে কোনটাই ব্যাবহার করতে পারেন। এবার এই দুটি উপকরণকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে ধুয়ে প্যাকটি মুখে সব জায়গায় সমান করে লাগান। বিশ মিনিট পরে মুখ নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম অথবা লোসন লাগিয়ে নিন।
– প্যাকটি লাগিয়ে অর্থাৎ মুখে লাগানো অবস্থায় চুলার কাছে যাবেন না।
– হলুদ এবং লেবু দুটি উপাদানই ফটোসেন্সিটিভ উপাদান তাই চেষ্টা করবেন প্যাকটি রাতে ঘুমানোর আগে লাগাতে।
– এটি আপনার স্কিনের রেডনেস,পোরস, ব্রণের গর্ত এবং এবং র‍্যাশ দূর করবে খুবই এফেক্টিভ-ভাবে।
টানা দুই সপ্তাহ লাগাবেন। এরপর চাইলে প্যাক টি কন্টিনিউ করতে পারেন। কারন এটি আপনার স্কিনের ব্রাইটনেস বাড়াবে ভীষনভাবে। তিন দিন লাগানোর পর থেকেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন এবং স্কিনের প্রতি ভালো লাগা জাগবে আপনার।

(২) টক দই, লেবুর খোসা এবং গোলাপজল
একটি বাটিতে এক চা চামচ টক দই, এক চা চামচ লেবুর খোসা বাটা এবং সামান্য একটু গোলাপজল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে রাখুন পুরোপুরি না শুকানো পর্যন্ত। পুরো শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি পোরস, গর্ত ইত্যাদি দূর করার সাথে সাথে আপনার স্কিনকে সুপার হাইড্রেট,ময়েশ্চারাইজ এবং সুপার স্মুদ করবে। স্কিনের গ্লো বাড়াবে।
– লেবুর খোসা ব্রণ সৃষ্টিকারি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, স্কিনের রঙ হালকা করে, সান ট্যান দূর করে এবং এটি একটি খুব ভালো এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান।
– গোলাপজল স্কিনের পোরস ছোট করতে সাহায্য করে।
– টক দই স্কিনকে ঠান্ডা রাখে এবং রেডনেস কমায়। এক মাস টানা করুন। নিজের স্কিনের প্রেমে পরে যাবেন নির্ঘাত।

(৩) ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রস
একটি  ডিমের সাদা অংশ নিন। এর সাথে মেশান এক চা চামচ লেবুর রস। ভালো করে মিক্স করুন। এবার এটি মুখে লাগান সমান করে। শুকাতে দিন পুরোপুরি।মুখে টান ধরবে যখন তখন পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন যেন মুখে একটুও থেকে না যায়।
– মুখ উজ্জ্বল হবে, টানটান হবে,পোরস ছোট হবে, গর্ত চলে যাবে।
– সপ্তাহে ৩-৪ দিন করে লাগান এক মাস পর্যন্ত।

বিঃ দ্রঃ
  • যে কোন প্যাক লাগানোর পরই মুখ প্রচুর পানি দিয়ে ধুতে হয়। তাহলে মুখে কিছু থেকে যাবার সম্ভাবনা থাকে না। মুখ ভালোভাবে ক্লিন হয়।
  • অনেকেই আছেন যারা সানব্লক লাগানোটাকে প্রয়োজনীয় মনে করেন না।কিন্তু স্কিন ভালো রাখার জন্য, স্কিনের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া, কুঁচকে যাওয়া রোধ করার জন্য রেগুলার সানব্লক ব্যাবহারের অভ্যাস করা খুবই জরুরি।

শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭

পিল অফ মাস্কেই দূর করুন ব্লাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস

যা যা লাগবে –

(১) হালকা গরম লিকুইড দুধ
– তরল দুধ অথবা গুড়ো দুধ যেকোনো একটা হলেই চলবে।
– গুড়ো দুধ গরম পানিতে গুলে নিবেন।
– দুধটা খুব বেশী গরম হওয়ার দরকার নেই। এমন গরম হতে হবে, যাতে আপনার হাতের আঙুল ডুবালে তা সহনীয় হয়।

(২) আনফ্লেভারড জেলাটিন
– জেলাটিন বিশেষ করে জেলী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি আপনি যেকোনো সুপার শপে পেয়ে যাবেন। খেয়াল রাখবেন জেলাটিনে যেন কোনো ফ্লেভার দেয়া না থাকে।

(৩) ভ্যানিলা এসেন্স
– এই উপকরণটি অপশনাল। যেহেতু আনফ্লেভারড জেলাটিনের গন্ধ অনেকেই পছন্দ করেন না তাই ভ্যানিলা এসেন্স ব্যবহার করতে পারেন। তবে না ব্যবহার করতে চাইলেও কোনো সমস্যা নেই।

প্রস্তুত প্রণালি-
একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ জেলাটিন নিন। এর মধ্যে অল্প অল্প করে গরম দুধ মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি যেন খুব বেশী ঘন বা পাতলা না হয়। এর মধ্যে চাইলে ২ ফোটা ভ্যানিলা এসেন্স যোগ করে নিন এবং মিশিয়ে নিন। মিশ্রনটি বানানোর সাথে সাথেই ফেসে ব্যবহার করে নিবেন।

ব্যবহার বিধি-
প্রথমে মুখ ভালোভাবে ফেসওয়াসের সাহায্যে পরিষ্কার করে নিন। এবারে একটি পরিষ্কার তোয়ালে গরম পানিতে চুবিয়ে নিংড়ে নিন। আপনার ফেসে যে যে স্থানে ব্লাকহেডস অথবা হোয়াইটহেডস আছে, সেই স্থানে এই গরম তোয়ালেটি চেপে রাখুন কিছুক্ষণ। এতে ত্বকের পোরগুলো ওপেন হয়ে যাবে। ব্লাকহেডস অথবা হোয়াইটহেডস সহজে উঠে আসতে সাহায্য করবে। এবার তৈরিকৃত মিশ্রণটি হাতের আঙুলের সাহায্যে আপনার ফেস এর যে যে স্থানে ব্লাকহেডস/ হোয়াইটহেডস এবং অবাঞ্ছিত লোম রয়েছে সেখানে পুরুভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না পর্যন্ত মাস্কটি শুকিয়ে যায়।

মাস্কটি শুকিয়ে গেলে মাস্কের এক সাইড ধরে আস্তে আস্তে টান দিন এবং তুলে ফেলুন। মাস্কটি তুলে ফেলার পর আপনি নিজেই দেখতে পারবেন, মাস্কের সাথে আপনার  ব্লাকহেডস /হোয়াইটহেডস এবং অবাঞ্ছিত লোমগুলো উঠে এসেছে। এরপর ভালো মানের টোনার অ্যাপ্লাই করুন।

বিঃ দ্রঃ
এই মাস্কটি খুব ঘন ঘন ব্যবহার না করাই ভালো। যখন, প্রয়োজন পড়বে শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করবেন। এই তো, জেনে নিলেন কীভাবে ১ টি ফেস মাস্ক ব্যবহার করেই মুখের ব্লাকহেডস, হোয়াইটহেডস এবং অবাঞ্ছিত লোম দূর করবেন।

শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭

ঘাড়ের কালো দাগকে দূর করার সহজ উপায়

ঘাড়ের এই কালো দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করছেন নানা ক্রিম নানা লোশন। কিন্তু এই ক্রিম আর লোশন স্থায়ীভাবে ঘাড়ের কালো দাগ দূর করতে ব্যর্থ হয়। ঘাড়ে এই জেদী কালো দাগ দূর করুন সহজ তিনটি ধাপে।
১। স্টিমিং
২। এক্সফলিয়েটিং
৩। হোয়াইটেনিং প্যাক

যেভাবে করবেন:
প্রথম ধাপ:
একটি টাওয়েল গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে ঘাড়ে ২-৩ মিনিট স্টিম করুন।

দ্বিতীয় ধাপ:
দ্বিতীয় ধাপে এক্সফলিয়েট করতে হবে। এরজন্য প্রয়োজন তিন টেবিল চামচ লবণ, এক চা চামচ বেকিং সোডা অথবা বেকিং পাউডার, দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল। লবণ, বেকিং সোডা এবং অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার পেস্টটি ঘাড়ের কালো দাগের উপর লাগান। এরপর তুলো অথবা লুফা দিয়ে ম্যাসাজ করুন।

তৃতীয় ধাপ:
শেষ ধাপে ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে। চন্দনের গুঁড়ো অথবা মুলতানি মাটির গুঁড়োর সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং চার টেবিল চামচ ঠান্ডা দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার প্যাকটি ঘাড়ের ত্বকে ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এটি সপ্তাহে একবার করুন। আর পেয়ে যান দাগহীন উজ্জ্বল ঘাড়।

বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭

গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে করণীয়

যা যা লাগবে 

১/২ টেবিল চামচ টকদই
১ টেবিলচামচ শসার পেষ্ট
১ টেবিলচামচ গুঁড়া দুধ

যা যা করবেন –

-প্রথমে মুখটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
-তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
-এরপর টক দই, শসার পেষ্ট, গুঁড়া দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ফেলুন।
-প্যাকটি ভাল করে মুখে লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
-শুকিয়ে গেলে কসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এখন আয়নায় নিজের মুখটা দেখুন। দেখবেন বেশ উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। নিয়মিত ব্যবহারে প্রাকৃতিকভাবে আপনার গায়ের রং আগের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে যাবে।

কীভাবে কাজ করে 

টক দই রোদে পোড়া দাগ দূর করে থাকে। এতে ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম আছে যা ত্বকের রং ভিতর থেকে ফর্সা করে। এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজ ও এক্সফোলিয়েট করে থাকে। এছাড়া বলিরেখা দূর করতে টক দই এর জুড়ি নেই।
শসার পেষ্ট ত্বককে ঠান্ডা অনুভূতি দিয়ে থাকে। ত্বকের কালো দাগ, চোখের নিচের দাগও দূর করে থাকে শসা। শসা ত্বকের খুব ভাল টোনার হিসেবে কাজ করে ।
গুঁড়ো দুধে পানি আছে যা ত্বকের পানির পরিমাণ ঠিক রাখে। গুঁড়া দুধ ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে থাকে।

মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭

চুল পড়া নিয়ন্ত্রনে আনতে দরকারি খাবার

১. বাদাম এবং বীজ

পেস্তা বাদাম, ফ্লাক্স সীড (শ্বেত বীজ), মেথি বীজ, আখরোট, তিল প্রভৃতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা অ্যাসিড। যাতে রয়েছে এমন স্থিতিস্থাপক উপাদান যা চুলের ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
২০১৫ সালে জার্নাল অফ কসমেটিক ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদেরকে নিয়মিতভাবে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হয়েছে তাদের চুলপড়া ৯০% কমেছে। এছাড়া ৯০% রোগীরই মাথায় ফের শক্ত চুল গজিয়েছে। মেথি বীজ খুশকি দূর করতে এবং স্বাস্থ্যকর চুল গজানোতে সহায়ক।

২. ডাল

নানা ধরনের ডালবীজে থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্তে লাল কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক। আর রক্তের লাল কোষ আমাদের মাথার ত্বক সজীব রাখে এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে।

৩.স্পিনাক

এই সবুজ এবং পাতাবহুল সবজিটি চুলের জন্য খুবই ভালো। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং আয়রন। চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ আয়রণের ঘাটতি। স্পিনাকে সেবাম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালিসিয়াম এবং পটাশিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা চুলকে উজ্বল এবং শক্ত রাখতে সহায়ক।

৪. ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর বায়োটিন এবং ভিটামিন ডি। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক। চুলপড়া সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ গবেষণায়ই দেখা গেছে চুল পড়ার অন্যতম কারণগুলোর একটি জিঙ্কের ঘাটতি।

৫. চর্বিবহুল মাছ

স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল জাতীয় মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মাথার ত্বকের কোনো ধরনের প্রদাহ হলে তা প্রতিরোধ করে চুল পড়া কমায় এই পুষ্টি উপাদান। আর তাছাড়া মাছে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ এবং প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম। এই পুষ্টি উপাদানগুলোও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

ব্যবহার পদ্ধতি

১টি বড় পেঁয়াজ ভালো করে পিষে ছাকনি দিয়ে ছেকে রস বের করে নিতে হবে। তারপর এই রস পুরো মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে একঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
পেঁয়াজের গন্ধ বেশ তীব্র, যদি সহ্য না হয় তবে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে গোলাপ জল মেশানো যেতে পারে। একঘণ্টা পর মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চুল পড়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করা যাবে।
মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই :
মেহেদীর নির্যাস চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, ডিম মাথার ত্বকে সঠিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে। টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া Hair fall বন্ধে সহায়তা করে।
– মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী নিন, এতে মেশাম ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২-৩ টেবিল চামচ টকদই।
– যদি চুল অনেক শুষ্ক হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল দিয়ে ভালো করে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন।
– এই প্যাকটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন।
– এরপর সাধারণ ভাবে চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি প্রথম দিন চুল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ১ দিন এভাবেই রেখে তার পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন তাহলে সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন।
– এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে।

সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭

সপ্তাহে মাত্র একবার ব্যবহার করুন এই ফেসমাস্ক

যা লাগবে

  • ১ চা চামচ অলিভ অয়েল
  • ১/২ চা চামচ খাঁটি মধু
  • ১ চা চামচ বেকিং সোডা (বেকিং পাউডার নয়, সোডা। যে কোন সুপার শপে কিনতে পাবেন)

যা করবেন

  • -প্রথমে মুখ খুব ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিন।
  • – এরপর সমস্ত উপাদান ভালো করে মিশিয়ে একটা মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • -এই পেস্ট পরিষ্কার ত্বকে মাখুন। তারপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • -১০ মিনিট পর উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • -প্রত্যেক সপ্তাহে মাত্র একবার ব্যবহার করলেই আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, সমস্যাবিহীন ও একেবারেই দাগছোপ মুক্ত।

কীভাবে কাজ করে?

এই মাস্কের মূল উপাদান মধু যা ত্বকে ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ দূর করার মাধ্যমে ব্রণ কমায়। এছাড়াও রোমকূপ সংকুচিত করে ফলে ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও মধু ত্বককে টানটান ও সজীব করে তোলে। এছাড়াও এতে আছে অলিভ অয়েল যা ত্বককে পুষ্টি যোগায়। আছে বেকিং সোডা, যা ত্বকের মরা কোষ কয়েক মিনিটের মাঝেই দূর করে দেয় এবং ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।

রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস

হারবাল বিউটি টিপস

১. আঙুর

অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকের স্বাভাবিকতা কমে গিয়ে ত্বকের ফর্সা ভাব ও উজ্জলতা কালচে হতে থাকে। বাহ্যিক ময়লা আবরনের স্তর এবং সূর্য রশ্নি দ্বারা ত্বকে কালচে ভাবের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ত্বক ফর্সা করতে আঙুরের রস দারুণ উপকারি। কয়েকটি আঙুর নিয়ে মুখে আলতোভাবে ঘষুন। আঙুর বেটে ফেসপ্যাক তৈরি করেও মুখে লাগাতে পারেন।

২.  শসার রস, গ্লিসারিন ও গোলাপ জল, শশার রস।

পরিমাণ মত শশার রসে মিশাতে হবে অল্প গ্লিসারিন আর গোলাপ জল সূর্যের অতি বেগুনি রশ্নি ত্বক পুরিয়ে ফেলে। শসার রস, গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ রোদে পোড়া ত্বকের জন্যে উপকারি। রোদে যাওয়ার আগে এবং বাসায় ফিরে এগুলি একসাথে মিশিয়ে মাখলে ত্বক উজ্জ্বল থাকবে।

৩. চন্দন, হলুদ ও দুধ, চন্দন (sandalwood)

বয়সের ছাপ, বিষন্নতা, অযত্ন, ত্বকে স্বাভাবিক আলো বাতাসের অভাবে, ত্বকের সতেজতা হ্রাস পায়। চন্দন গুড়ার সাথে সামান্য হলুদ গুড়া ও দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ত্বক সতেজ আর সুন্দর করতে এই মিশ্রণটি বেশ কার্যকর।

৪. মধু ও দুধের সর

দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক হবে নরম আর উজ্জ্বল। শীতকালে এই মিশ্রণটি আপনাকে ত্বক নিয়ে অনেকটাই নিরুদ্বেগ রাখবে।

৫. দুধ,লবণ ও লেবুর রস

প্রাত্যহিক কাজ কর্মের বিভিন্ন সময় ত্বকের ভাজে ভাজে ধূলাবালি ও ময়লা লেগে বাহ্যিক ময়লা আবরনের স্তর লোমকূপের মাধ্যেম টিস্যু/কোষে জমা হয়। ফলে ত্বকে অক্সিজেন প্রেবশ করেত পারে না। দুধের মধ্যে এক চিমটি লবণ আর লেবুর রস মেশান। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।

৬. টমেটোর রস

বাহ্যিক ধূলাবালি, ময়লা, সূর্যের তাপ ও অবেহলার কারনে ত্বকের স্বাভাবিক মসৃন ভাব কমে ত্বক রূক্ষ হয়ে যায়। ত্বক নরম করতে টমেটোর রস খুবই কার্যকরী। টমেটোর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগালে ভালো ফল পাবেন।

৭. হলুদ গুড়া, গম ও তিল

অনেকের ত্বকের বিভিন্ন স্থানে অবাঞ্চিত বা অনাকাক্ষিত লোম থাকে। যা মুখের স্বাবাবিত সৌন্দর্য নষ্ট করে। হলুদের গুড়া,গমের ময়দা ও তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বককে অনাকাঙ্ক্ষিত লোমের হাত থেকে দূরে রাখবে।

৮. বাঁধাকপির রস ও মধু

একটা সময় সবারই বয়স বাড়তে থাকে, এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে বিভিন্ন বলিরেখার সৃষ্টি হয়। বাঁধাকপির রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। বলিরেখা দূর করতে এই মিশ্রণ খুব উপকারী।

৯. গাজর

ত্বকে অক্সিজেন এর অভাব হলে উজ্জ্বলতা হ্রাস পায়। ত্বকে ময়লা জমলে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না। গাজরের রস মুখে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। গাজরের রস নিয়মিত মুখে লাগালে ত্বক সতেজ থাকবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে।

১০. মধু ও দারুচিনি

খাদ্যভ্যাস, ময়লা-ধূলাবালি, দুশ্চিন্তা, মানুষিক চাপ, নিদ্রাহীনতা, ধূমপান, মাদক এবং অতিরিক্ত ঘুমের অষুধ সেবনে মুখে ব্রণ হয়। তিন ভাগ মধু ও এক ভাগ দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ব্রণের উপর লাগান। সারারাত রেখে পরদিন ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি আপনার ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করবে।

১১. বাদাম ও লেবুর রস

শহরের যান্ত্রিক পরিবেশে পর্যাপ্ত পরিমান প্রাকৃতিক বাতাস এর অভাব রয়েছে। এর ফলে ব্রন ও ব্ল্যাকহেড এর সৃষ্টি হয়। বাদামের তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। এই মিশ্রণটি ব্রণ ও ব্ল্যাকহেড দূর করবে আর ত্বককে রাখবে সতেজ ও সুন্দর।

১২. আ্যলোভেরার রস

ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমান পানির অভাবে ত্বকের সজীবতা হ্রাস পায়। ত্বক সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে পানি আবশ্যক। আ্যলোভেরার রস মুখে লাগালে ত্বকের দাগ দূর হয়। আ্যলোভেরার রস ত্বকের পানিস্বল্পতা দূর করে লাবণ্য ফিরিয়ে আনে।

১৩. ঘি ও গ্লিসারিন

অনেকেই শরীরের বিভিন্ন স্থানের ত্বকের মসৃনতা বজায় রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাজারের ক্যামিক্যাল যুক্ত এবং বানিজ্যিক ভাবে বিক্রিত প্যাকেট জাক দ্রব্য অনেকক্ষেত্রে বিপরীত প্রভাব ফেলে। ঘি ও গ্লিসারিনের মিশ্রণ খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার। রাসায়নিক ময়েশ্চারাইজারের বদলে এটি ব্যবহার করে দেখুন। তফাত নিজেই টের পাবেন।

১৪. মুলতানি মাটি, নিমপাতা, তুলসিপাতা, গোলাপ পাঁপড়ি এবং গোলাপ জল

মুলতানি মাটি, গোলাপের পাঁপড়ি, নিম পাতার গুঁড়া, তুলসি পাতার গুঁড়া সামান্য গোলাপ জল বা লেবু পাননির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকবে।

১৫. অ্যাপ্রিকট ও দই

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন অনিয়ম ও ত্বকের কোষে পানিশূন্যতা হলে ত্বক শুশ্ক হয়ে যায়। অ্যাপ্রিকট এবং দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বক সতেজ রাখে। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তাহলে এর সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান।

সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭

ঘরে বসেই করে নিন স্পা

কি আছে স্পা-তে?
অনেকগুলো ধাপ আছে স্পা-তে।একসাথে মুখ, চুল, হাত, পা সবকিছুর যত্ন আর নিজের জন্য কিছুটা সময়।মুখের জন্য ঝটপট ফেসিয়াল, চুলের জন্য ট্রিটমেন্ট, হাতে ম্যানিকিউর, পায়ে পেডিকিউর আর একটা ওয়ার্ম বাথ।পার্লার এ করালে বাড়তি ম্যাসাজ অপশনটা পাবেন। ঘরে যদি করেন, সেক্ষেত্রে নিজে করতে পারবেন না, কিন্তু অন্য কারো সাহায্য নিতে পারেন।

কী কী লাগবে?
১) ফেসিয়াল কিট:
মার্কেট থেকে কিনে নিতে পারেন অথবা ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন।এজন্য লাগবে কলা, অ্যালোভেরা, মধু, লেবু, অলিভ অয়েল অথবা বাদাম তেল, আঙ্গুর এর জুস, ডিমের সাদা অংশ আর কিছু অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট।আরও লাগবে ক্লিনজিং মিল্ক, পুদিনা পাতা, টোনার, ময়েশ্চারাইজার।স্ক্রাব স্টিক, ভ্রু তোলার চিমটা।

২) পেডিকিউর কিট:
ফুট ফাইল,ফুট স্ক্রাব ম্যাসাজ লোশন্, কিউটিকল স্টিক, নেইল ক্লিপার, নেইল ফাইল আর ফুট লোশন্।

৩) ম্যানিকিউর কিট:
নেইল পলিশ রিমুভার, নেইল ফাইল, নেইল ক্লিপার, কিউটিকল স্টিক, লোশন।
উষ্ণ গরম পানি, নেইল পলিশ ,আর একটা বেইজ কোট-এগুলো পেডিকিউর এবং ম্যানিকিউর দুটোতেই লাগবে।

৪) হেয়ার কিট:
শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, তেল, আর প্যাকের জন্য ডিম, দই আর লেবু।

৫) রিলাক্স এর জন্য:
আপনার প্রিয় গানের সিডি আর মিউজিক প্লেয়ার, সুগন্ধি মোমবাতি।

কীভাবে করবেন?
প্রথমে নিজের জন্য একটি দিন বের করুন।সেদিন সব কাজ থেকে ছুটি নিন।মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন।আপনার প্রিয় গানগুলো মিউজিক প্লেয়ারে চালিয়ে দিন আর সুগন্ধি মোমবাতিগুলো জ্বেলে দিন।এবার রিলাক্সড থাকুন, সব টেনশন থেকে দূরে।

এবার আপনার গোসলের জন্য রাখা বাথরোবটি পরে নিন।প্রথমেই আপনার পছন্দের তেল হাত দিয়ে ঘষেঘষে মাথায় লাগিয়ে নিন।নারিকেল তেল, বাদাম তেল, অলিভ অয়েল যে কোনোটা। আমার ব্যক্তিগত পছন্দ সব একসাথে মিক্স করে লাগানো।

এবার আসুন মুখে। প্রথমেই মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিন।হালকা করে মুছে তাতে ক্লিনজিং মিল্ক একটু তুলায় নিয়ে ম্যাসাজ করুন। নিয়ম হলো মুখের বাইরের দিক থেকে ভেতরের দিকে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করা। তারপর স্ক্রাব দিয়ে একই-ভাবে ম্যাসাজ করুন। এটা করতে করতে গরম পানি করে ফেলুন আর তারপর একটা বোলে গরম পানি নিয়ে আপনার মুখটা বোলের উপর রেখে তোয়ালে দিয়ে মাথাসহ মুখ ঢেকে ফেলুন।আপনার যদি ব্রণ থাকে তাহলে এই ভাপটা নেয়ার দরকার নেই।

কিছুক্ষণ পর আপনার মুখের পোরগুলো খুলে যাবে, তখন স্ক্রাব স্টিক দিয়ে নাকের, থুতনির ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলুন,ভ্রু তোলার চিমটা দিয়ে ভ্রু তুলে আপনার পছন্দ মতো করতে পারেন।এটা করা হয়ে গেলে এখন প্যাক লাগিয়ে ফেলুন, কলা, মধু, কয়েক ফোটা বাদাম তেল, ডিমের সাদা অংশ, অল্প একটু আঙ্গুরের জুস মিক্স করে প্যাক বানাতে পারেন।চাইলে এস্পিরিন ট্যাবলেট দিতে পারেন, কিন্তু বারবার না দেয়াই ভালো। এই প্যাক না দিতে চাইলে চন্দন আর মুলতানি মাটি গোলাপ জল দিয়ে মিক্স করে লাগাতে পারেন। সব প্যাক-ই শুকানোর অল্প কিছু আগে ১৫-২০ মিনিট রেখে তুলে ফেলতে হয়। তোলার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।

এই ফাঁকে মাথায় শ্যাম্পু করে মাথার প্যাকটাও লাগিয়ে ফেলুন।ডিম, দই আর লেবু মিক্স করে লাগান, যদি আপনার চুল তৈলাক্ত হয় তাহলে ডিমের সাদা অংশ আর শুস্ক চুলের জন্য ডিমের কুসুম দিয়ে তৈরি করুন।প্যাক হাত বা ব্রাশ দিয়ে লাগাতে পারেন।চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগান।

এবার আসুন হাত ও পায়ে।যদি নেইল পলিশ থাকে রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলুন।নেইল ক্লিপার দিয়ে নখ কেটে পছন্দমতো শেপ দিন।ফাইল দিয়ে সমান করে নিন। উষ্ণ পানিতে কিছুটা শ্যাম্পু দিয়ে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন। ৫-১০ মিনিট পর কিউটিকল স্টিক দিয়ে নখের চারপাশে, গোড়ালিতে, হাত ও পায়ের চারপাশে মৃত কোষগুলো তুলে ফেলুন। ফুট ও হ্যান্ড স্ক্রাবার দিয়ে হাত ও পা স্ক্রাব করুন।এই জিনিসগুলো আপনি মার্কেটে কিনতে পাবেন।

এগুলো করা হয়ে গেলে আপনার বাথটাবে উষ্ণ গরম পানি ঢেলে নিন।তাতে ইচ্ছে করলে ফোমিং সোপ দিতে পারেন। আর দিতে পারেন গোলাপের পাপড়ি।গোলাপের গন্ধ আপনাকে সতেজ করে তুলবে। আপনার চুল ধোয়ার জন্য ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন।বাথটাবে আপনি আপনার ইচ্ছেমত ৩০-৪৫ মিনিট রিলাক্স করতে পারেন।বাথটাবে ছাড়াও আপনি উষ্ণ পানির একটা শাওয়ার নিতে পারেন।এরপর খুব ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বকে লাগান।হাত এবং পা এর ক্ষেত্রে এরপর আপনি নখে প্রথমে বেইজ কোট লাগাতে পারেন, এতে নখ হলুদ হয়ে যায় না।এরপর আপনার পছন্দ মতো নেইল পলিশ।

কিছু সতর্কতা:
• আপনার ত্বকে কিছু লাগানোর আগে ত্বকের সেনসিটিভিটি দেখে নিন।হাতে বা অন্য কোথাও আগে অল্প একটু লাগিয়ে টেস্ট করে নিন। কোনও জিনিসে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহার করবেন না।
• গরম পানি ব্যবহারের আগে দেখে নিন ত্বকের জন্য সহনীয় কি না।স্পা নিজের প্রশান্তির জন্য। ঐ সময়টুকুতে কোন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা অথবা ফোন এ কথা বলা অথবা অন্য কোনও কাজ করতে বিশেষজ্ঞরা নিষেধ করে থাকেন।