রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২১

গোলাপজলেই রূপচর্চার সব সমাধান


ত্বকের রুক্ষভাব বা নাছোড়বান্দা দাগ সহজে যেতে চায় না। আর এমন ত্বকে মেকআপ করলে সৌন্দর্য ঠিকভাবে ফুটে ওঠে না। এ নিয়ে চিন্তিত না হলেও চলবে। কারণ এর সহজ সমাধান রয়েছে আপনার হাতের কাছেই। ভাবছেন, কিভাবে? বাসায় গোলাপজল রয়েছে নিশ্চয়ই? গোলাপজলই হতে পারে আপনার ত্বকের সমস্যায় উপকারী সমাধান। এমনকি ব্যবহার করতে পারেন চুলের সৌন্দর্যেও। চলুন জেনে নেয়া যাক-

 ব্রণের সমস্যা থাকলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা দিনের বেলা মুখে গোলাপজল লাগিয়ে নিতে পারেন। নিয়ম করে এটা করলে কিন্তু অনেক সমস্যার হাত থেকে উপকার পাবেন। এছাড়া ব্রণের পরের বিচ্ছিরি দাগগুলোও কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি গায়েব হয়ে যাবে। আর গোলাপজল কিন্তু দারুণ সুন্দর টোনারের কাজ করে। তাই বাজার থেকে টাকা খরচা করে আলাদা করে টোনার কিনে আনার বদলে কিন্তু এবার থেকে গোলাপজলই ব্যবহার করতে পারেন।
 ত্বক যদি খসখসে, অমসৃণ হয়, তাহলে স্বচ্ছন্দে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারনে। তুলোয় গোলাপজল লাগিয়ে সেটা মুখে ভালো করে মাখিয়ে নিন।
বাড়িতে ঘরোয়া উপায়ে নিশ্চয়ই ফেসপ্যাক বানান? তাহলে ফেসপ্যাকের মধ্যেও কয়েক ফোঁটা গোলাপজল দিয়ে দিতে পারেন। গোলাপজল ত্বককে মসৃণ আর সুন্দর উজ্জ্বল করে তোলে।
মেকআপ তোলার জন্যও এবার থেকে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপজল। বাইরে থেকে এসে মুখ পরিষ্কার করার জন্য গোলাপজল সহজ আর বেস্ট অপশন হতে পারে। এছাড়া কোনো মাস্ক লাগানোর আগে ও মুখ ধোয়ার পর মুখে গোলাপজল লাগিয়ে মাস্ক অ্যাপ্লাই করতে পারেন।চুলে যদি খুশকির সমস্যা থাকে, আর বারবার অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু করেও কোনো লাভ না হয়, তাহলে ব্যবহার করুন গোলাপজল। নারিকেল তেল আর গোলাপজল নিয়ে হালকা গরম করে চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। কয়েকদিনেই খুশকি দূর হবে।
 
 

খুশকি দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায়

খুশকি তাড়াতে ভিনেগার

যা যা লাগবে-
১ কাপ গরম পানি
-১ কাপ হোয়াইট
ভিনেগার -১ টি কাপ
১ টি কাপে গরম পানি আর ভিনেগার নিয়ে ভালোভাবে মিশান। এবার এই মিশ্রণ নিয়ে আপনার চুলের গোঁড়ায় সুন্দর করে লাগিয়ে নিন। এটা লাগিয়ে রাখার ১০ থেকে ২০ মিনিট পর স্বাভাবিক পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনি সপ্তাহে এক থেকে দুই বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুশকি কমে আসবে আশা করি তবে আপনি আপনার চুলে খুশকির উপস্থিতি বুঝে এটি ব্যবহার করুন। আর একটা ব্যাপার মনে রাখবেন আপনার চুলের পরিমাণ বুঝে এই দুই উপাদানের মিশ্রণ কম বেশি ইচ্ছে মতো বানাতে পারেন।

খুশকি তাড়াতে বেকিং সোডা

যা যা লাগবে-
১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা
-১ কাপ গরম পানি
-কয়েক ফোটা রোজমেরি অয়েল(বাধ্যতামূলক নয়)
প্রতি ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে ১ কাপ গরম পানি মিশিয়ে তা একটি বোতলে পুরে ভালোভাবে ঝাকিয়ে নিন। রেগুলার শ্যাম্পু করার আগে এই মিশ্রণ দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন আবার আপনি চাইলে শ্যাম্পুর সাথে এই মিশ্রণ মিশিয়ে নিয়ে শ্যাম্পু করতে পারেন। প্রথমে হয়তো এতে আপনার চুল কিছুটা ড্রাই লাগতে পারে কিন্তু আস্তে আস্তে সেটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আর রোজমেরি তেলটা এখানে অপশনাল। আপনি চাইলে ব্যবহার করতে পারেন আবার না চাইলে করবেন না। তবে রোজমেরি তেল খুশকি তাড়াতে সহায়তা করে তাই আপনি এই মিশ্রণ রেডি করার সময় কয়েক ফোটা তেল নিতেই পারেন।

খুশকি তাড়াতে নিমপাতা

যা যা লাগবে
কমপক্ষে দুই মুষ্টি নিমপাতা
-৪ থেকে ৫ কাপ গরম পানি
দুই মুষ্টি নিমপাতা নিয়ে ৪ থেকে ৫ কাপ গরম পানির মধ্যে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই পানি দিয়ে আপনার মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন এটি ব্যবহার করে দেখুন খুশকি চলে যাবে। আপনি চাইলে শুধু নিমপাতা বেটে তা চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা মতো রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন দেখবেন খুশকি কমে যাবে।

খুশকি তাড়াতে লেবু

যা যা লাগবে-
২ টেবিল চামচ ও ১ চা চামচ ফ্রেশ লেবুর রস -১ কাপ পানি
প্রথমে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস আপনার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন ও ২ থেকে ৫ মিনিট রাখুন। এবার ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ কাপ পানি মিশিয়ে সেটা দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। যতদিন খুশকি পুরোপুরি না যায় ততদিন এভাবে ব্যবহার করুন।

খুশকি তাড়াতে অ্যালোভেরা জেল

শুধু মাত্র অ্যালোভেরা জেল নিয়ে আপনার মাথার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন এবং তারও ১৫ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতেই আপনার মাথায় খুশকির যন্ত্রণা কমে আসবে। এটি আপনার মাথায় খুশকি বুঝে যতদিন ইচ্ছে ফলো করে যান।
চুল খুশকি মুক্ত রাখতে আপনার চুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। আর একটা ব্যাপার মনে রাখুন, মাথায় অ্যান্টিডান্ড্রাফ শ্যাম্পু দিয়েই মাথার চুল ধুয়ে ফেলবেন না, মিনিমাম ৫ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর চুল ধুয়ে নিন এতে শ্যাম্পু সত্যিকার অর্থে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২১

শীতকালে চুলের সঠিক পরিচর্যায় শ্যাম্পু করার কায়দা-কানুন

এই শীতে অনেকেই ঝামেলায় পড়েন চুল ধোয়া নিয়ে। ঠান্ডায় রোজ চুল ধোয়াটা বেশ বিরক্তিকর। এই আবহাওয়ায় চুল নিষ্প্রাণও হয়ে পড়ে অনেকের। অাবার এমনটাও দেখা যায় যে তৈলাক্ত চুলে হয়তো কারও মানিয়ে যাচ্ছে বিশেষ কোনো ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু, আরেকজনের তৈলাক্ত চুলে সেই শ্যাম্পুটি ব্যবহারে কাজ হচ্ছে উল্টো। শুষ্ক চুলের বেলায়ও এমনটা দেখা যায়। আসলে চুলের ধরনের ওপর নয়, শ্যাম্পু কোনটা ব্যবহার করবেন, তা নির্ভর করে মাথার তালুর ত্বকের ওপর—এমনটাই জানালেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভের রূপবিশেষজ্ঞ শারমীন কচি।

মাথার ত্বক যাদের তৈলাক্ত, তাঁদের তেলবিহীন এবং কন্ডিশনারের মাত্রা কম—এমন শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে। এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এই ধরনের শ্যাম্পুতে যদি লেবু আর আমলকীর মতো উপাদান থাকে, তাহলে তা তৈলাক্ত চুলের উপযোগী বলে জানালেন এই রূপবিশেষজ্ঞ। এদিকে শুষ্ক চুল যাঁদের, তাঁরা শ্যাম্পু কেনার সময় তাতে কন্ডিশনার ও শ্যাম্পুর পরিমাণটা সমান আছে কি না, তা দেখে নিন। এত কিছু দেখে শ্যাম্পু কেনার পরও যদি তা চুলের সঙ্গে না মানায়, তাহলে শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড পরিবর্তন করেন অনেকেই। তবে, শ্যাম্পুর ব্র্যান্ডটা যা-ই হোক না কেন, নিয়মিত ব্যবহারের পর চুলের সঙ্গে তা মানিয়ে নিতে ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লাগে।

শীতেও নিয়মিত চুল ধোয়া চাই। মডেল: সায়রাচুল পরিষ্কার করার সময় আরও কিছু বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিলেন এই রূপবিশেষজ্ঞ। শ্যাম্পু করার আগে চুলগুলো হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন। এরপর হাতের তালুতে একটু শ্যাম্পু নিয়ে তার চেয়ে একটু বেশি পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিন। এবার শ্যাম্পুর মিশ্রণটা আলতো করে মাথার তালুতে লাগান। অনেকেই মাথার ত্বক আঙুল দিয়ে জোরে জোরে ঘষে পরিষ্কার করে থাকেন। এতে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় বলে জানালেন শারমীন কচি।

মাথার তালুর পর পুরো চুলে শ্যাম্পুর ফেনা তৈরি করে ভালো করে হাত দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। তেল দিয়ে শ্যাম্পু করার সময় অনেকের চুল থেকেই তৈলাক্ত ভাবটা দূর হতে চায় না। এ সময় চুলে শ্যাম্পু লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিলেই দূর হবে চুলের তৈলাক্ত ভাব।

চুল ধোয়ার পর আলতো করে তোয়ালেতে মুছে নিন চুলটাকে আরও ঝলমলে দেখানোর জন্য অনেকেই দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকেন। তবে বারবার মাথার তালুতে শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো। এ ছাড়া প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহারে যাঁদের চুল কিছুটা রুক্ষ হয়ে যায়, তাঁরা শ্যাম্পু করার পর চায়ের লিকার কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
জেঁকে বসেছে শীত। এই সময়টায় হয়তো প্রতিদিন চুল ভেজানো বা গোসল করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর এতে বেশ নেতিয়ে পড়ে চুলটা। এই সমস্যার সমাধানে যেদিন গোসল করবেন, সেদিন চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করুন। এরপর শ্যাম্পু করে শেষে কন্ডিশনার হিসেবে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। শীতের সময় চুলের খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলকে ঝলমলে করতেও সাহায্য করে ভিনেগার।

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২১

পায়ের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়

১। লেবু এবং চিনির স্কার্ব

পায়ের কালো দাগ দূর করে স্কার্ব অনেক বেশি উপকারী। কুসুম গরম পানিতে পা দুটো ভিজিয়ে রাখুন। তারপর লেবুর টুকরোর মধ্যে চিনি দিয়ে দিন। এবার এটি দিয়ে পায়ে ৫ মিনিট স্কার্বিং করুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর হালকা কোন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন পায়ে।

২। লেবু

লেবু হল প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান। রোদে পড়া দাগ, পায়ের কালো দাগ লেবুর রস দূর করে থাকে খুব সহজে। পায়ের কালো স্থানে লেবুর রস দিয়ে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া এক চা চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে পায়ের কালো দাগে ১০-১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এটি প্রতিদিন রাতে করুন। আর দেখুন কিছুদিনের মধ্যে পায়ের কালো দাগ দূর হয়ে গেছে।

৩। দুধ

দুধের ল্যাটিক অ্যাসিড ত্বকের কালো দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর। এটি শুধু ত্বকের কালো দাগ দূর করাই নয়, ত্বক নরম কোমল করে থাকে। দুধের সাথে গোলাপ ফুলের পাপড়ি মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। বেসন

বেসন, টমেটোর রস, লেবুর রস এবং শসার রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি পায়ের কালো দাগে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক  দুই বার করুন।

৫। অলিভ অয়েল এবং চিনি

পায়ের কালো দাগ এবং মৃত কোষ দূর করতে অলিভ অয়েল এবং চিনির মিশ্রণ বেশ কার্যকর। অলিভ অয়েল এবং চিনি মিশিয়ে নিন। এবার এটি স্কার্বিং করুন। সপ্তাহে কয়েকবার করুন।
প্যাকগুলো নিয়মিত ব্যবহার করুন। প্যাক ব্যবহার করার পর হালকা লোশন লাগাতে ভুলে যাবেন না যেন।

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২১

সৌন্দর্য ধরে রাখতে শীতকালে করবেন না এই ৭টি ভুল


১) অনেকদিন ধরে পায়ের নখে নেইলপলিশ লাগিয়ে রাখা
সাধারণত হাতের নেইলপলিশ সপ্তাহখানেক পরেই নষ্ট হয়ে যায়। এ কারনে আমরা তা মুছে ফেলি। কিন্তু শীতকালে বেশিরভাগ সময়েই পায়ে মোজা পরে থাকা হয় ফলে অনেকদিন ধরেই পায়ে রয়ে যায় নেইল পলিশ। এতো বেশি সময় ধরে নেইল পলিশ থাকার কারনে নখ ক্ষয় হতে পারে, হলদেটে হয়ে যেতে পারে। এ দিকে লক্ষ্য রাখুন। তিন সপ্তাহের বেশি নখে নেইল পলিশ রাখবেন না।

 ২) বেশি ব্রঞ্জার ও ব্লাশ ব্যবহার করা
এসময়ে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায় বলে অনেকেই ব্রঞ্জার ব্যবহার করে তাকে উজ্জ্বল করে তুলতে চান কিন্তু এতে আসলে মেকআপ বেশি অস্বাভাবিক মনে হয়। নিজের ত্বকের চাইতে এক বা দুই শেড গাড় ব্রঞ্জার ব্যবহার করুন। ফর্সা ত্বকের অধিকারী নারীরা গাল লালচে দেখানোর জন্য ব্লাশ ব্যবহার করেন। কিন্তু শীতে ঠাণ্ডা বাতাসে এমনিই ত্বক লালচে হয়ে থাকে। এ সময়ে লালচে শেডের ব্লাশ ব্যবহার না করাই ভালো।

৩) অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল
শীতে গরম পানিতেই বেশিরভাগ মানুষ গোসল করেন। কিন্তু এই পানির তাপমাত্রা বেশি গরম হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। কুসুম গরম পানিতে গোসল  করুন।

৪) খুব বেশি হেয়ার ট্রিটমেন্ট করানো
সপ্তাহে একদিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট- যেমন পার্লারে গিয়ে হট অয়েল মাসাজ করানোটা ঠিক আছে। কিন্তু শীতে অনেকেরই চুল উস্কোখুস্কো হয়ে যায় আর এই নিষ্প্রাণ চুল ঠিক করতে অনেকেই বেশি বেশি হেয়ার ট্রিটমেন্ট করিয়ে থাকেন। এর চাইতে প্রতিদিন হেয়ার মাস্ক কন্ডিশনারের মত চুলে এক দুই মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন।

৫) বেশি শিমার পাউডার ব্যবহার করা
শিমার পাউডার ব্যবহারে ত্বকে ভেতর থেকে একটা গ্লো আসে বলে মনে হয় সত্যি। কিন্তু পাউডার ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এ কারণে শিমার পাউডারের বদলে ব্যবহার করতে পারেন ক্রিম শিমার।

৬) ত্বকের যত্ন না নেওয়া
অনেকেই মনে করেন শীতে মুখ না ধুলেও চলবে, এক্সফলিয়েট না করলেও চলবে এবং সানস্ক্রিন দেবার দরকার নেই। এগুলো ভুল ধারনা। শীতকালেও নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। তবে গ্রীষ্মকালের থেকে কিছুটা আলাদা হবে এ সময়ে ত্বকের যত্ন।

৭) অতিরিক্ত চা-কফি পান
এ সময়ে বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করলে আপনি ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারেন এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। সুতরাং ক্যাফেইনের পরিমান কমিয়ে দিন।

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১

কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে আপনার পেটে জমছে বিচ্ছিরি মেদ

পেটের মেদ ছোট আকৃতিরও যদি হয় তবুও তা বেশ বিপদজনক। কারণ একবার যদি কোন ভাবে পেটের মেদ সৃষ্টি হয়ে যায় সেটা বড় হতে বাধ্য। তাই পেটের মেদের কারণ খুবই গুরুতর এবং একে গুরুত্বের সাথেই সবার দেখা উচিত। আর এটাও সবারই জেনে রাখা উচিত যে পেটের মেদ জমাকৃত স্থান থেকে মেদ কমানো বেশ কঠিন একটি কাজ। তাই কিভাবে এই পেটের মেদ থেকে পরিত্রাণ পাবেন তা জানার জন্য আগে কেন পেটের মেদ সৃষ্টি হয় তা জানা থাকলে অনেক উপকৃত হবেন।

নিষ্ক্রিয়তা

সুস্থ থাকার জন্য শারীরিক ব্যায়াম করার কোন বিকল্প নেই এটা অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত। সঠিক দেহের আকৃতি বহির্গত এবং অভ্যন্তরীণ উভয় ক্ষেত্রের জন্য শারীরিক ব্যায়াম অবশ্যই প্রয়োজন। তাই যখন আপনি নিয়মিত ভাবে শারীরিক ব্যায়াম শুরু করবেন তখন আস্তে আস্তে পেটের মেদও কমতে শুরু করবে তখন আর সেই পেটের মেদ লুকানোর জন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরার প্রয়োজন হবে না।

রাতে দেরি করে খাওয়া

রাতের খাবার খাওয়ার পর তা হজম হওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন। ভরপেট খাবার খেয়ে সাথে সাথেই ঘুমাতে গেলে সেই খাবারটা আর সঠিকভাবে হজম হওয়ার সময় পায়না এবং দেহে খাদ্যোপাদানগুলোর সঠিক বণ্টনও হয় না। এর ফলে তা পেটের মেদ হিসেবেই জমা হয়।

ইটিং ডিজঅর্ডার

অনেকেরই খাবার সম্পর্কীয় এই রোগটি রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানি না। যদিও একে অনেকেই রোগ মনে করেন না। যখন মন খারাপ থাকে তখন অনেকেই ভাবেন যে বেশি করে খেয়ে সেটা ভালো করবেন। আসলে সেটি কোন সমাধান না। কারণ এই কাজটি কখনো মানসিক ভাবে আপনাকে সাহায্য করবেনা শুধু পেটের মেদ বাড়ানো ছাড়া। খাবার প্রতি এভাবে নেশাগ্রস্ত না হয়ে চেষ্টা করুন শারীরিক ব্যায়াম করতে। এটা বেশ উপকারে আসবে। চেষ্টা করুন ইয়োগা করতে এটি দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করবে।

বিষণ্ণতা

আমাদের আধুনিক সমাজ জীবনে বিষণ্ণতায় ভোগার যথেষ্ট কারণ রয়েছে এবং আমাদের অনেকেরই অনেকটা সময় বিষণ্ণতায় কাটেও। এই বিষণ্ণতাও পেটের মেদের একটি কারণ। কারণ বিষণ্ণতায় ভুগলে তখন দেহে কর্টিসল নামক একপ্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়। আর এই কর্টিসল হরমোন পেটের চারদিকে চর্বি জমাতে সাহায্য করে পেটের মেদ বৃদ্ধি করে।

কম প্রোটিনযুক্ত খাবার

প্রোটিন আমাদের দেহের রক্তের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন। এটি ইন্সুলিনের মাত্রা কমিয়ে বিপাক ক্রিয়াকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর বিপাকক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পাওয়া মানেই দেহে চর্বি পরিমাণ কমায়। তাই যদি কম প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া হয় তাহলে দেহে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সময়মত খাবার না খাওয়া

অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যখন শরীর জানবে না ঠিক কখন পরবর্তী খাবার আসবে তখন শরীর দেহে চর্বি জমা করা শুরু করে। তাই এই অবস্থা এড়ানোর জন্য সঠিক সময় এবং সঠিক বিরতিতে খাবার গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে শরীরের শক্তির সরবরাহ নিশ্চিত থাকবে।

ঘুমের অপর্যাপ্ততা

প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুবই প্রয়োজন। তাই কম ঘুমিয়ে বেশিক্ষণ জেগে থাকলে তা কর্টিসল হরমোনের উৎপাদন বাড়ায় এবং বেশি মিষ্টি খাবার বা যেকোন খাবারের ইচ্ছাকেও বাড়ায়। তাই এটিও মেটের মেদ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

মদ্যপান

মদ্যপানের ফলে তা দেহে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা দেহের ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে পেটের মেদও বৃদ্ধি করে।

কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস খাওয়ার ফলে

কার্বনেটেড ড্রিংকসগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণ চিনি থাকার ফলে এগুলো থাকে ক্যালোরিতে পরিপূর্ণ। এসব ড্রিংকসগুলোতে থাকা অতিরিক্ত চিনি খাবার ইচ্ছাকে বাড়িয়ে দেয় এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া হয়। আর এভাবেই পেটের মেদ বৃদ্ধি পায়। আবার অনেকে মনে করেন ডায়েট ড্রিংকসগুলো খেলে কোন সমস্যা হয় না কিন্তু সেগুলোও অনেক ক্ষতিকর।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

প্যাকেট ও প্রক্রিয়াজাত করা খাবারগুলো দেহে আক্রমণাত্মক ভাবে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ায়। কারণ এসব খাবারগুলোতে চিনি ও ক্যালরির পরিমান খুব বেশি থাকে যা পেটের মেদ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাই যে কোনো প্যাকেটজাত, টিনজাত ও প্রক্রিয়াজাত করা খাবার গুলোর প্যাকেটে উপাদানগুলোর নাম এবং পরিমানণ দেখলেই হয়তো সবারই সেটা বুঝতে পারবেন।

মেনোপজ পর্যায়ে

মহিলাদের মেনোপজ পর্যায়ে দেহে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের পরিবর্তন হয়। যার ফলে ওই বয়সে মহিলাদের পেটের মেদ বৃদ্ধির একটা প্রবণতা দেখা দেয়।

বংশগত কারনে

পেটের মেদ অনেক সময় বংশগত কারণেও হতে পারে। যদি বাবা মায়ের কারো পেট মেদ বহুল থাকে তাহলে ছেলে মেয়েদের মাঝেও পেটের মেদ হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই সেসব ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের ধারায় অবশ্যই একটু অতিরিক্ত মনোযোগী হতে হবে।

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১

পার্ল ফেসিয়াল করার নিয়ম

পার্ল ফেসিয়ালের কিছু উপকারীতা

• এটি ত্বক করে তোলে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত
• বয়সের ছাপ দূর করে
• ত্বক করে তোলে কোমল ও স্নিগ্ধ

পার্ল ফেসিয়ালের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

• পার্ল ক্রিম
• পার্ল পাউডার
• ফ্রেশ ক্রিম
• ক্লিঞ্জার
• দুধ
• পানি / গোলাপজল
• তেল(শুষ্ক ত্বকের জন্য অলিভওয়েল ভালো)
• মধু
• ডিম
• লেবুররস
• টোনার

পদ্ধতি

• পার্ল ফেসিয়াল করতে হলে প্রথমেই আপনাকে যেটা করতে হবে তাহল খুব ভালো ও উন্নতমানের পার্ল পাউডার ও পার্ল ক্রিম কেনা। এই দুটি প্রসাধনী আপনি মার্কেট থেকে কিনে নেবেন।
• এখন আপনার মুখমণ্ডল ক্লিঞ্জার দ্বারা ভালো মত পরিষ্কার করুন। আপনি একটি তুলা দুধের মধ্যে ডুবিয়ে তা দিয়ে মুখমণ্ডল পরিষ্কার করতে পারেন। বেসন ও দুধের মিশ্রণ-ও একটি ভালো ক্লিঞ্জার হিসেবে কাজ করে।
• এবার পার্ল পাউডারের একটি পেস্ট প্রস্তুত করুন। এর জন্য পার্ল পাউডার পানি অথবা গোলাপজলের সাথে মিশিয়ে নিন। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তবে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মেশান।
• এবার পেস্টটি আপনার মুখমণ্ডলে ৫ মিনিটের মত ম্যাসাজ করুন এবং আরো ৫ মিনিট মুখে রাখুন। এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
• এবার মুখ মুছে পার্ল ক্রিম লাগান। আলতো ভাবে লাগাবেন। খুব বেশি জোরে ঘষবেন না। এতে মুখ লাল হয়ে যেতে পারে। ক্রিম দিয়ে মুখ প্রায় ৫ মিনিট আলতো ভাবে ম্যাসাজ করুন।
• এপর্যায়ে মাস্ক প্রস্তুত করুন। যদি আপনি বয়সের ছাপ থেকে মুক্তি পেতে চান তবে ডিম ও মধু মেশান এবং তার সাথে লেবুর রস ও এক চামচ পার্ল পাউডার মেশান। এই মাস্ক টি ধীরে ধীরে মুখে লাগান। দাগ থেতে মুক্তি পেতে চাইলে ফ্রেশ ক্রিমের সাথে ১ চামচ পার্ল পাউডার মেশান। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ফ্রেশ ক্রিম প্রস্তুত করা কোন কঠিন কাজ নয়। ফ্রেশ ক্রিম পেতে হলে দুধ জ্বাল দিন ঘনকরে এবং তার থেকে সর নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে প্রায় ১ দিন ফ্রিজে রাখলে আপনি ফ্রেশক্রিম পাবেন। তবে সর অল্প পরিমাণ হলে ১ দিন রাখার দরকার নেই। কয়েক ঘণ্টাতেই হয়ে যাবে। সবশেষে টোনার লাগিয়ে নিতে ভুলবেননা। জেনে নিলেন কিভাবে পার্ল ফেসিয়াল করতে হয়। তবে আর দেরী কেন? এখন-ই করুন ঘরে বসে পার্ল ফেসিয়াল আর আপনার ত্বকে নিয়ে আনুন মাধুর্য।
বিঃদ্রঃ যাদের সেনসিটিভ ত্বক তাদের জন্য এই ফেসিয়াল উপযোগী নয়।

বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১

প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের গর্ত নির্মূল করুন

০১. ভিটামিন ই তেলঃ
ব্রনের গর্তের দাগ সারানোর জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর সমাধান হচ্ছে ভিটামিন ই তেল। এটি ব্রণের গর্তে যাদুর মত কাজ করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ভিটামিন ই তেলের ব্যবহারে আপনার মুখমন্ডল হয়ে উঠবে দাগহীন,উজ্জ্বল। এটি ব্রণের কালো দাগ সারাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন ই তেল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আর না পেলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করুন। প্রথমে সমস্ত মুখ মন্ডল তেল মুক্ত ফেস ওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করে নিন । আরপর একটা পরিষ্কার পিন বা সূঁচ এর সাহায্যে ক্যাপসুলটি ফুটো করে তেল নিঃসরন করুন।  তারপর পরিষ্কার হাত দিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। খুব বেশি তৈলাক্ত ত্বক হলে লাগানোর আধ ঘণ্টা পর টিস্যু পেপার দিয়ে অতিরিক্ত তেল চেপে চেপে তুলে নিন। নয়ত সারা রাত লাগিয়ে রাখতে পারেন। সমস্যা খুব বেশি না হলে সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে করুন।

০২. লেবুঃ
লেবু সাইট্রিক এসিদের খুব ভাল উৎস। সাইট্রাস এসিড স্কার সারাতে অনবদ্য। কয়েক গ্লাস লেবুর শরবত পান করলে তার সাইট্রিক উপাদান আপনার দেহের ভেতর থেকে মরা কোষ সারিয়ে ত্বকের রঙ হালকা করতে সাহায্য করে। একটি মাঝারি আকারের লেবুর রস সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে মুখে ঘষুনএতে গর্তের দাগ হালকা হবে। সময়ের সাথে সাথে আপনি পাবেন দাগ মুক্ত ত্বক।

০৩. অ্যালোভেরা জেলঃ
অ্যালোভেরা জেল প্রকৃতির আশীর্বাদ স্বরূপ। এই একটা উপাদান ত্বকের নানা রকম সমস্যা থেকে মু্ক্তি দেয়। টাটকা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন । এখন বিভিন্ন সুপার শপ গুলোতে অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। সেখান থেকে কাঁচা অ্যালোভেরা কিনে জেল বের করে নিতে হবে। বাইরে থেকে কিনতে না চাইলে নিজের টবেও লাগাতে পারেন  অ্যালোভেরা। প্রথমেই একটি আস্ত অ্যালোভেরা নিয়ে সেটিকে ছুঁরির সাহায্যে যে কোন এক দিক থেকে কাটুন। কাটলেই দেখবেন ভেতরে স্বচছ্ব  জ়েলীর মত উপাদান, এটি ব্যবহার করুন। দিনে যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে দেবে বিরক্তিকর ব্রণের গর্তের দাগ থেকে মুক্তি।

০৪. টমেটোঃ
টমেটোতে আছে ভিটামিন এ; যা সেবামের অতিরিক্ত ক্রীয়া বন্ধ করতে সক্রিয় ভূ্মিকা রাখে এবং ব্রণ ও ব্রণের দাগ দুটোই সারিয়ে তোলে। তাছাড়া এতে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ক্ষয়-ক্ষতি সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে। মাঝারি আকারের টাটকা  টমেটো নিন। একে সমান ২ ভাগে ভাগ করুন। এবার দুই গালে প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং তারপর ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ম্যাসাজ করুন। এতে যেমন গর্তের দাগ হালকা হবে, তদুপুরি রোদে পোড়া ভাব-ও কমবে। তাছাড়া এটি অনেক ভালো মেক-আপ রিমুভারের কাজ-ও করে থাকে ।

০৫. অলিভ ওয়েলঃ
অলিভ ওয়েল একটি জাদুকরী উপাদান। এটি শুধু খাদ্যদ্রব্যই সুস্বাদু করে না, এটি ত্বক পরিচর্যায় ও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক্সট্রা ভারজিন অলিভ ওয়েল দ্রুত ব্রনের গর্ত সারাতে সাহায্য করে। অলিভ ওয়েলের ময়েশ্চারাইজিং গুণাগুণের কারণে এটি দ্রুত ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং গর্ত সারাতে সাহায্য করে। অল্প পরিমাণে অলিভ ওয়েল নিয়ে মুখ মন্ডলে মালিশ করুন এবং ভালো ফল পেতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন ।

০৬. মধুঃ
মধু একটি পরিচিত প্রাকৃতিক প্রসাধনী। প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চার জন্য মধুর ব্যবহার প্রচলিত। মধুর মিষ্টতা খাবার হিসাবেও খুব ভালো। ফ্যাট কম থাকায় এটি আপনাকে ফিট থাকতে যেমন সাহায্য করে তেমনি নিয়মিত ব্যবহারে সারিয়ে তোলে ব্রণের গর্তের দাগ।

০৭. বরফ কুচিঃ
বরফ কুচির ব্যবহারে ব্রণের গর্ত হালকা হওয়াটা অনেকটা পরীক্ষীত। অনেকেই আছে ঘরে বসে স্কার সারানোর জন্য বরফ কুচি ব্যবহার করে থাকেন। পাতলা কাপড় বা তুলোতে একটা বরফের টু্করো নিয়ে গর্তের জায়গায় ১৫-২০ মিনিট ঘষে লাগান। এতে ত্বকে আরামদায়ক অনুভুতির পাশাপাশি সারিয়ে দেবে গর্তের দাগ।

০৮. ফেস প্যাকঃ
ব্রণের গর্ত সারাতে আপনার ফেস প্যাকে মেশান বেসন, টকদই ও শশার রস। এটি আপনার ত্বককে রাখবে দাগহীন, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
ব্রণ ও ব্রণের গর্ত সারাতে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে খাওয়া দাওয়া এবং জীবন যাত্রা যেন সুস্থ ও পরিকল্পিত হয়। সঠিক ঘুম, খাওয়া  ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই পারে ব্রণ মুক্ত রাখতে। এতে ত্বকের অন্য্যন্য সমস্যা থেকেও পরিত্রাণ মেলে।

হাঁটুর আর কনুইয়ের কালো দাগ দূর করার উপায়


আমাদের অনেকেরই হাঁটুতে আর কনুইয়ে কালো দাগ বয়ে থাকে। হাঁটু ও কনুইয়ের ত্বকের অংশ মোটা হয়ে গেলে ও শুষ্ক হয়ে গেলে কালচে ধরণের দাগ পরে যায়। তাছাড়া সৌন্দর্য প্রিয়দের কাছে এটি একটি মুখ্য বিষয়। বেশির ভাগ সময় কনুইয়ে ভর দিয়ে কাজ করলে বা ফ্লোরে হাঁটু দিয়ে বসার অভ্যাস থাকলেও অনেক সময় হাঁটুতে দাগ হয়ে যায়। একটু সচেতন হলে এই দাগ গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে সহজেই। জেনে নিন কি করে এই দাগ দূর করার যায়।

পদ্ধতি-১:
আধা কাপ চিনি, ১টা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ফেলুন। কালো জায়গাতে আস্তে আস্তে ঘষুন এতে ওই অংশের মৃত চামড়াগুলো উঠে আসবে। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুকিয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ম্যাসাজ করবেন। ভালো ফল পেতে এটি সপ্তাহে ১ থেকে দুইবার করুন।

পদ্ধতি-২
টক দই ও ভিনেগারে ল্যাকটিক ও এসিটিক এসিড থাকে যা ত্বকের রং হালকা করে। ১ চা চামচ টক দইয়ে ১ চা চামচ সাদা ভিনেগার মেশাতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত পেস্ট তৈরি হয়। হাঁটু ও কনুইয়ের কালো অংশে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
পদ্ধতি-৩:
বেকিং সোডা ত্বকের মরা কোষ দূর করে সেহেতু ১ চা চামচ বেকিং সোডার সাথে পানি মিশিয়ে হাঁটুর ও কনুইয়ের কালো হয়ে যাওয়া অংশে আলতোভাবে ঘষুন। ত্বকের মরা কোষ জমে থাকার কারণে কনুই ও হাঁটু বেশী কালো দেখায়।

পদ্ধতি-৪:
সাদা ক্রিমের সাথে হলুদের মিশ্রণ কনুই ও হাঁটুর কালো দাগ দূর করতে খুবই সহায়ক। হলুদ প্রাকৃতিক ব্লিচিং এর কাজ করে যা ত্বকের মেলানিন দূর করতে সাহায্য করে। সাদা ক্রিমের মধ্যে আধা চা চামচ হলুদ, আধা কাপ ময়দা ভালোমতো মিশিয়ে ঘন মিশ্রণকি হাতের কনুই ও হাঁটুতে লাগান। সার্কুলার মুভমেন্টে ঘষতে থাকুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২১

শীতের শুরুতে ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় সহজ কিছু টিপস

শীতকালে বিশেষ করে ত্বক ও চুল রুক্ষ হয়ে যায়, তাই ত্বক ও চুলের বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন। সঠিক যত্নের মাধ্যমে আমরা শীতকালেও ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে পারব।
ত্বকের যত্নে
  • শীতকালে ক্রিম, সাবান যাই ব্যবহার করবেন লক্ষ রাখবেন তা যেন ময়েশ্চারাইজারযুক্ত হয়। দিনে অন্তত দু’বার ক্রিম ব্যবহার করবেন। ভিটামিন-ই যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা ভালো।
  • সাধারণত আমরা মনে করি, শীতকালে সানস্ক্রিন প্রয়োজন হয় না। এটি ভুল ধারণা। একথা ঠিক যে, সূর্যরশ্মি সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন। এতে যে ভিটামিন পাওয়া যায় তা প্রয়োজনীয়। কিন্তু বেশি সূর্যরশ্মি ত্বকে অপূরণীয় ক্ষতি ও অকালবার্ধক্যের কারণ। সানস্ক্রিন এই রশ্মি দাহ্যতা কমিয়ে দেয়। শীতকালেও নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।
  • শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে বিধায় ত্বকের আর্দ্র ভাব কমে যায়। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ময়শ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তা ছাড়া গোলাপজল ও গ্লিসারিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন অলিভ ওয়েল। অলিভ ওয়েল বা ময়েশ্চারাইজার পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে ত্বক পরিষ্কারও হবে এবং সকালে ত্বক হয়ে উঠবে প্রানবন্ত।
  • শীতের আরেক সমস্যা হচ্ছে ঠোঁট ফাটা ও কালো হয়ে যাওয়া। এর সমাধানও গ্লিসারিন। বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন অথবা লিপ জেল লাগাবেন। ঠোঁটে বা হাত পায়ের চামড়া ফেটে গেলে ভিটামিন-ই যুক্ত ভেসলিন লাগাবেন।
  • অন্য সময়ের থেকে শীতের ফেসপ্যাক হবে একটু আলাদা। যেমন-
    -পাকা কলা, পাকা পেপে ও ময়দা এক সঙ্গে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই পেস্টটি ১০/১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃন।

চুলের যত্নে
  • বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে শীতে চুল হয়ে উঠে রুক্ষ এবং খুশকির উপদ্রব হয়। খুশকির জন্য ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।
  • চুল সাধারণত দু’রকম, তৈলাক্ত ও শুষ্ক। তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা জরুরি। একদিন অন্তর অন্তর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলে ভালো। আর শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে হটওয়েল থেরাপি ভালো কাজ করে। সামান্য গরম অলিভ অয়েল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখতে হবে। এরপর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলবেন।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পারলে বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়াবেন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং আপনি মানসিক চাপমুক্ত হয়ে ঘুমাতেও পারবেন।
  • শীত কালে অনেকেরই চুল রুক্ষ হয়ে যায় এং আগা ফেটে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে ম্যাসাজ করেন নিন। চুলের আগায় ও গোড়ায় ভালো করে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে যান। সারা রাত চুলে তেলের উপস্থিতিতে চুলের রুক্ষ ভাব কেটে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে উজ্জ্বল।
  • ভিটামিন-ই চুলের জন্য অনেক ভালো। ২ দিন পর পর যেকোন তেলের সাথে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে এর তেলটি মিশিয়ে মাথায় ভালো ভাবে লাগিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রাখুন। সারারাত রাখলে ভালো হয়। সকালে ধুয়ে ফেলুন। তবে বেশি গরম পানি দিয়ে কখনো চুল ধুবেন না।
শীতকালে ত্বকের ও চুলের যত্নে কিন্তু আপনাকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও মনোযোগী হতে হবে। শীতের শাকসবজি ও ফল সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক ও চুলের জন্য প্রয়োজন। শিম, বরবটি, নানারকম শাক, মটরশুঁটি, ফুলকপি ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। হাতের নাগালের সব ফলই প্রতিদিন খাবেন। যেমন-আপেল, আমলকী কিংবা আমড়া সে যা-ই হোক না কেন।
শীতে এইসহজ কিছু পদ্ধতিগুলো অনুসরন করলেই ত্বক এবং চুল উজ্জ্বল, মসৃন রাখা যায়।

শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০২১

শীতে ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য গাজরের উপকারিতা!!!


গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং খাদ্যআঁশসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি, যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। তরকারি ও সালাদ হিসেবে গাজর খাওয়া যায়। এ ছাড়া গাজর দিয়ে অনেক সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। তবে রান্না করে খাওয়ার চেয়ে গাজর কাঁচা খাওয়া বেশি ভালো। কারণ এতে পুষ্টির অপচয় কম হয়।

স্বাস্থ্যতথ্যঃ
* গাজরের বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন-'এ'-তে রূপান্তরিত হয়ে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। এটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবেও কাজ করে।
* গবেষণায় দেখা গেছে, গাজরে বিদ্যমান ফ্যালক্যারিনল ও ফ্যালক্যারিডিওল ফুসফুস ও অন্ত্রের ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
* গাজরের আলফা ক্যারোটিন ও লুটিন নামক উপাদান হৃদরোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
* গাজর থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন-'এ' রক্তের ক্ষতিকর টঙ্কি উপাদানগুলো দেহ থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
* গাজর শ্বাসনালির প্রদাহ নিরাময় করে।
* গাজর দাঁত ও মাড়ির সুস্থতা রক্ষা করে।
* গর্ভবতী মায়েরা গাজরের রস খেলে শিশুর জন্ডিস হওয়ার ঝুঁকি কমে।
* এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
* গাজর শরীরের যেকোনো ক্ষত নিরাময় করে। গাজরের পাতা মধুর সঙ্গে মিলিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
* গাজরের স্যুপ ডায়রিয়া রোগে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
* গাজর কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
* গাজরের সঙ্গে কয়েক কোয়া রসুন মিশিয়ে খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

সৌন্দর্য রক্ষায় গাজরঃ
* গবেষণায় পাওয়া গেছে, গাজরে ক্যারোটিনয়েড রঞ্জক পদার্থ রয়েছে। এ উপাদানটি ত্বকের কোষ পরিষ্কার করে ত্বককে করে তোলে আকর্ষণীয়।
* ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে গাজর কার্যকরী।
* গাজর চুল, ত্বক ও নখের সৌন্দর্য রক্ষা করে।
* এটি ত্বকের ভাঁজ, খসখসে ভাব ও ব্রণ দূর করে।
* গাজরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকের প্রলেপ হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

সতর্কতাঃ
যাঁরা নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন, তাঁদের জন্য গাজরের রস সেবনে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ এতে যকৃতে toxic উপাদান তৈরি হতে পারে। তাই সকাল ও রাতে খাওয়ার পর এবং ওষুধ সেবনের দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর গাজর খাওয়া ভালো।