রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

৪টি ফলের ফেসপ্যাক

১। স্ট্রবেরি ফেসপ্যাক
১/২ কাপ পাকা স্ট্রবেরি এবং ১/৪ কাপ কর্ণ ফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকে নিয়ে আসবে তারুণ্যদীপ্ত উজ্জ্বলতা।

২। আভাকাডো ফেসপ্যাক
৩ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম, ১/৪ আভাকাডো এবং ১ টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি যেন ক্রিমী হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। Dr. Ordon বলেন রোগীরা এই ফেসপ্যাক পছন্দ করে কারণ এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে তারুণ্যদীপ্ত করে তোলে।

৩। পিচ ফেসপ্যাক
১টি পিচ ফল, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ চা চামচ ওটমিল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন এবং ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে ত্বক টাইট করে থাকে। পিচ ফলে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড আছে যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে বলিরেখা রোধ করে থাকে।

৪। কলার ফেসপ্যাক
১টি পাকা কলা, ২ টেবিল চামচ মধু এবং ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে। কলার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

নিয়মিত এই প্যাকগুলো ব্যবহার করার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বক নরম কোমল করে থাকে।

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

ত্বকের পরিচর্যায় আলু

শরীরের গঠনে নানাভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি ত্বকের দেখভাল করতেও আলু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কীভাবে ত্বকের যত্নে উপকারে আসে এই সবজিটি তা দেখে নিন-

১. ডার্ক সার্কেল কমায়:
স্ট্রেস, ক্লান্তি এবং আরও নানা কারণে চোখের নীচে কি কৃষ্ণ গহ্বর তৈরি হয়েছে। তাহলে বন্ধু আজ থেকেই ত্বকের পরিচর্যায় আলুকে কাজে লাগান। দেখবেন অল্প দিনেই ডার্ক সার্কেল কমে যাবে। সেই সঙ্গে ত্বকের সার্বিক সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে কয়েকটা আলুর টুকরো নিয়ে কম করে ২০ মিনিট চোখের নীচে ভালো করে আস্তে আস্তে লাগাতে হবে। সময় হয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে সারা মুখটা। এইভাবে কয়েক সপ্তাহ যদি ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন, তাহলেই দেখবেন ডার্ক সার্কেল উধাও হয়ে যেতে সময় লাগবে না।

২. চোখের ফোলা ভাব কমায়:
খেয়াল করে দেখবেন অনেক সময়ই আমাদের চোখের নিচের অংশ এমনভাবে ফুলে যায় যে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও কিন্তু অালুকে কাজে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, এমন সমস্যায় কীভাবে কাজে লাগাতে হবে আলুকে? এক্ষেত্রে কয়েকটি আলুর টুকরো নিয়ে চোখের নীচে ধীরে ধীরে লাগাতে হবে। কম করে ১০-১৫ মিনিট রাখার পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে সারা মুখটা। কয়েকদিন এভাবে ব্যবহার করলেই দেখবেন চোখের ফোলা ভাব কমতে শুরু করেছে।

৩. বলিরেখা কমায়:
অসময়েই কি ত্বক বুড়িয়ে যাচ্ছে? সেই সঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে বলিরেখা? তাহলে বন্ধু ত্বকের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে আলুর সাহায্য নিতে ভুলবেন না যেন! আসলে আলুর মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করে টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো অালু নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে কম করে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ফেলতে হবে সারা মুখটা। সপ্তাহে কম করে ২-৩ দিন এইভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলেই দেখবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা।

৪. কালো ছোপ ছোপ দাগ কমবে:
কখনও ব্রণর কারণে তো কখনও অন্য কোনও কারণে সারা মুখ কালো ছোপ ছোপ দাগে ছেয়ে যায়। এক্ষেত্রে বেশিরভাগই কেমিকাল মিশ্রিত বাজার চলতি নানা ধরনের ফেস হোয়াইটনিং ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। এইসব ক্রিম লাগালে সমস্যা তো কমেই না, উল্টে ত্বকে নানাবিধ কেমিকেলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে স্কিনের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই এমন ধরনের ত্বকের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে রোনও ধরনের ক্রিম ব্যবহার না করে আলুকে কাজে লাগানো শুরু করুন। দেখবেন বেশি উপকার পাবেন। এক্ষেত্রে প্রথমে অল্প পরিমাণ কাঁচা আলু নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটা মুখে লাগিয়ে কম করে পাঁচ মিনিট মাসাজ করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন এইভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন কালো ছোপ ছোপ দাগ তো কমবেই, সেই সঙ্গে স্কিন টোনেরও উন্নতি ঘটবে।

৫. ব্রণর প্রকোপ কমায়:
সারা মুখ কি ব্রণে ছেয়ে গেছে? তাহলে বন্ধু আর সময় নষ্ট না করে এখনই পটেটো জুস দিয়ে সারা মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন উপকার পাবে। আর যদি নিয়মিত আলুর রসের সাহায্যে ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। কারণ এমনটা করলে অল্প সময়েই ব্রণর প্রকোপ তো কমবেই, সেই সঙ্গে সব ধরনের দাগও মিলিয়ে যেতে শুরু করবে।

৬. ত্বককে ফর্সা করে:
অল্প দিনেই যদি ফর্সা ত্বকের অধিকারি হয়ে উঠতে চান, তাহলে কয়েকটি আলুর টুকরো নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেই পেস্টটা মুখে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন মুখটা। এইভাবে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করলে দেখবেন কয়েক সপ্তাহেই স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে দাগমুক্ত উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হবে।

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

ত্বকের যত্নে আপেলের ফেসপ্যাক


শুধু স্বাস্থই নয়, ত্বকের যত্নেও আপেল খুবই কার্যকরী একটি ফল। ত্বক শুষ্ক হোক কিংবা তৈলাক্ত, ত্বকের যত্নে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন আপেল। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদান যা ত্বকের কালচে দাগ দূর করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। পাশাপাশি ব্রণ ও ডার্ক সার্কেল দূর করতেও আপেল অতুলনীয়।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে
একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ আপেলের পেস্ট, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও প্রয়োজন মতো দই মেশান। ভালো করে পেস্ট তৈরি করে মুখ ও গলার ত্বকে লাগান পাতলা আবরণে। ৩০ মিনিট পর ঘষে উঠিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হবে।

শুষ্ক ত্বকের যত্নে
১ টেবিল চামচ আপেলের রসের সঙ্গে সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও মধু মেশান। ভালো করে ব্লেন্ড করে মুখ ও গলার ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের রুক্ষতা দূর হবে।

ব্রণ দূর করতে
অর্ধেকটা আপেল কুচি করে ২ টেবিল চামচ মধু ও ৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মেশান। ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে লাগান ফেসপ্যাকটি। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এটি ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হবে।

স্ক্রাব হিসেবে
১ টেবিল চামচ ওটমিল গুঁড়ার সঙ্গে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ আপেলের রস মেশান। পরিমাণ মতো গোলাপজল দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন কিছুক্ষণ। শুকিয়ে গেলে পানি ছিটিয়ে স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন। দূর হবে ত্বকের মরা চামড়া।
টোনার হিসেবে
কয়েক ফোঁটা আপেল সিডার ভিনেগারে তুলা ভিজিয়ে ত্বকে চেপে নিন। চমৎকার প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করবে এটি।

ত্বক উজ্জ্বল করতে
১ টেবিল চামচ ছেঁচা আপেল, ১ চা চামচ গাজরের রস, ১ চা চামচ কমলার রস ও ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও কয়েক ফোঁটা গোলাপজল একসঙ্গে মেশান। ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে মিশ্রণটি লাগান। ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক। ত্বক হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

ডার্ক সার্কেল দূর করতে
১ টেবিল চামচ আপেলের রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা আলমন্ড অয়েল মেশান। কাঁটাচামচের সাহায্যে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চোখের আশেপাশে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে তুলা ভিজিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন বাকি মিশ্রণ। এটি নিয়মিত লাগালে দূর হবে ডার্ক সার্কেল।

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

ব্রণের জন্য কিছু প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ

ব্রণের জন্য কিছু প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ এর রেসিপিঃ

➣উপটান ১চা চামচ, কাঁচা হলুদ বাটা ১ চা চামচ ,তাজা নিম পাতা বাটা, লেবুর রস বা কমলা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। আপনি চাইলে একটু বেশি পরিমাণে নিয়ে করতে পারেন এবং ৩/৪ দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে ব্যবহার করা যাবে। প্রতিবার মুখ ধোয়ার সময় অল্প পরিমাণে নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি মাত্র ৭ দিন ব্যবহার করলে আপনার মুখের ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন।

➣কাঁচা দুধ ,হলুদ গুঁড়া ,অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের কোমলতা বাড়বে এবং সেই সাথে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করবে।

➣১ চা চামচ উপটান, ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ লেবুর রস, এবং ১ চা চামচ গোলাপ জল এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।  দিনে ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। আপনি চাইলে এই মিশ্রণটি ৩/৪ দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। এই ফেস ওয়াশটা প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ এর মধ্যে অন্যতম।

➣১/২ চা চামচ আলু কুচি, ১/২ চা চামচ শশা কুচি, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ টক দই ও ১ চা চামচ পুদিনা পাতা দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের কালচে ভাব দূর করার সাথে সাথে মুখে আনবে লাবণ্যতা ।

➣পুদিনা পাতা ১ চা চামচ, দারুচিনি ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মধু ১ চা চামচ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ৪/৫ ব্যবহারের করলেই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

উপরোক্ত ফেস ওয়াশ গুলো অবশ্যই প্রতিদিন ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে কারণ আপনার মুখে সারা রাত ধরে অনেক তেল জমা হয়ে থাকে আর এ থেকেও ব্রণের সৃষ্টি হয়।আর হ্যাঁ মনে করে বাইরে থেকে এসে সাথে সাথে মুখে ফেস ওয়াশ করে ফেলবেন বাইরের ধুলোবালি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবেন। অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে, কারণ এই সময়ে ত্বক পরিষ্কার না করলে সারা রাত ধরে আপনার মুখে রোগ জীবাণু বহন করে ব্রণের উপদ্রব বাড়িয়ে দেবে। এভাবে ত্বক পরিষ্কার পরিছন্ন রাখলে কিছু দিনের মধ্যে আপনি পাবেন ব্রণ মুক্ত লাবণ্যময় চেহারা।

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯

হাতের সৌন্দর্য বাড়াতে ও সুন্দর নখ পেতে যা করবেন

১/ ধরণ সম্পর্কে জানলে ঠিকমতো নখের যত্ন নেওয়া সম্ভব। এতে করে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায়। ভঙ্গুর, শুষ্ক, নরম ও সাধারণ নখের জন্য আলাদা ধরণের যত্নের প্রয়োজন রয়েছে।শুষ্ক নখের জন্য দিনে অন্তত ১ বার অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন। ভঙ্গুর নখে ময়েশ্চারাইজারের অভাব থাকায় দরকার বিশেষ যত্নের। তাই এই ধরনের নখের যত্নে ময়েশ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করুন।নরম নখে ক্যালসিয়ামের অভাব এবং ময়েশ্চারাইজার বেশি থাকায় অনেকে নখ রাখতে পারেন না। তাই নরম নখের অধিকারীরা পানি থেকে একটু দুরে থাকবেন। নখে খুব বেশি পানি লাগাবেন না।

২/ যত্রতত্র নখের ব্যবহার ত্যাগ করতে হবে। টিনের কৌটা খোলা, কৌটার গায়ে লেভেল উঠানো, যে কোন স্থানে নখ দিয়ে খোঁচা মারা ইত্যাদি ত্যাগ করতে হবে।

৩/ সাধারণত কিডনি বা থাইরয়েডের সমস্যা, পুষ্টির অভাব, আয়রন কিংবা অন্যান্য খনিজ পদার্থের অভাবে নখের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়। সে বিষয়ে সঠিক চিকিৎসা সেবা নিতে হবে।

৪/ নখ ভালো রাখতে নখে পানির ব্যবহার কমিয়ে দিন।  বাসার দৈনন্দিন কাজে পানির ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে গ্লাবস ব্যবহার করুন।

৫/নখের আদ্রতা বজায় রাখতে ভালো ব্র্যান্ডের কিউটিকল ওয়েল ব্যবহার করতে হবে। রাতে শোবার আগে নখে অলিভ অয়েল লাগালে নখ শক্ত আর উজ্জ্বল হয়।

৬/ গোসলের পর নখে ভ্যাসলিন লাগালে ভেজা নখের সুরক্ষা হবে।

৭/ অতিরিক্ত নেইল পলিস বা রিমুভার ব্যবহার ত্যাগ করতে হবে। এতে নখের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়।

৮/নখের শেপের ক্ষেত্রে চারকোনা শেপ পরিহার করাই ভালো। এতে নখ তাড়াতাড়ি ভাঙ্গে যায়।

৯/ নখ কাটার পর ফাইল করার সময় অনেক সতর্ক থাকবেন। কারণ নখ ফাইলের সামান্য ভুলের কারণে নখ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে নখের অনেক ক্ষতিও হয়। সবসময় একই দিকে নখ ফাইল করার চেষ্টা করুন।

 ১০/ অনেকেরই নখ কামড়ানোর মতো বাজে অভ্যাস রয়েছে। এ কাজটি নখের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। নখ কামড়ালে এর শেপ এবড়োথেবড়ো হয়ে যায়। তখন হাত দেখতে অনেক বিশ্রী লাগে। তাই নখ কামড়ানোর মতো বাজে অভ্যাসটি দূর করুন।

১১/ নিউ ইয়র্ক মেডিক্যাল কলেজের চর্ম বিশেষজ্ঞ ডেন্ডি এঙ্গেলম্যান ওমেনসহেলথম্যাগ ডটকমের এক প্রতিবেদনে নখের শোভা বাড়াতে বেশ কিছু খাবারের নাম দিয়েছেন। এই খাবারগুলো নখ সুস্থ রাখে।এগুল হল-
  • ডিম
  • ব্রকলি
  • সামন মাছ
  • নারিকেল তেল
  • মুরগির মাংস
  • বেশি করে ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত খাদ্য, ফল-মূল, শুষ্ক ফল এবং সবুজ শাক-সবজি খেলে শরীরের সাথে সাথে নখও কোমল, মসৃণ এবং উজ্জ্বল থাকবে।

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯

ফেসিয়াল করার সঠিক নিয়ম

ক্লিঞ্জিং
প্রথমে ক্লিঞ্জিং দিয়ে মুখ ধোয়ার পূর্বে প্রথমে গরম ভাপ নিয়ে নিন। এটি আপনার মুখের লোমকুপগুলো খুলে দিতে সাহায্য করবে। ভাপ নেয়া হয়ে গেলে ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন ভালো করে। দুধে তুলা ভিজিয়ে ত্বক পরিস্কার করে নিতে পারেন।

ক্রিম ম্যাসাজ
ফেসিয়াল ক্রিম দিয়ে ১০ মিনিট ত্বকে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে নিন।

স্ক্র্যাবিং
এবার স্ক্র্যাব দিয়ে মুখ আলতো ভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষুন। তারপর উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য চালের গুঁড়া, সুজি অথবা চিনি হতে পারে সবচেয়ে ভালো স্ক্র্যাব।

টোনিং
সমপরিমাণ ভিনেগার ও গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন টোনার। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে খুবই উপযোগী। তুলা দিয়ে টোনার মুখে লাগান কিন্তু ভুলেও ঘষবেন না। চোখের কাছে লাগাবেন না।

এই পর্যায়ে ফেসিয়াল যে কোনো একটি মাস্ক প্রস্তুত করুন।
একটা শসা কুড়িয়ে, সেটা থেকে রসটা বের করে এক চামচ চিনি ভাল করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। ত্বকে মেখে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। শসার রস ত্বককে হাইড্রেট করে, ফলে ত্বক অনেক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।

দু’চামচ মসুর ডাল সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে মসুর ডাল বেটে তার মধ্যে অল্প দুধ ও আমণ্ড তেল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই প্যাকটা মুখে মেখে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন।

শসার রস, এক কাপ ওটমিল ও এক টেবিল চামচ দই একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণটা পুরো মুখে মেখে তিরিশ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মিশ্রণটা ২০ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

আজকাল সারা বছর টমেটো পাওয়া যায়। একটি টমেটো ভাল করে চটকে নিন। সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে আমাদের ত্বকের দাগগুলো সব মিলিয়ে যাবে।

ফুটন্ত গরম পানিতে ১ চামচ গ্রিন টি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ১টি বাটিতে ২ চামচ মুলতানি মাটি নিন। তাতে ২-৩ চামচ গ্রিন টি ভেজানো পানি মেশান। অ্যালোভেরার আবরণ সরিয়ে রস বের করে নিন। এবার মুলতানি মাটি ও গ্রিন টির মিশ্রণে মিলিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন, তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯

চুল পড়া কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

চুল পড়া কমানোর কিছু প্রাকৃতিক উপায়

গরম তেল মাসাজ

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যে কোন তেল (নারকেল, অ্যালমন্ড, সরিষার তেল ইত্যাদি) হালকা গরম করে মাথায় মাসাজ করলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এই মাসাজের পূর্ণ উপকার পেতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তেল দিয়ে মাথা মাসাজ করে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

পিঁয়াজের রস

পিঁয়াজে রয়েছে উচ্চ মানের সালফার, যা চুলের গ্রন্থিতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান বহন করে, যা জীবাণু এবং পরজীবী ধ্বংস করে দেয়।
কয়েকটি পিঁয়াজ পিষে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। এই রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

আলুর রস

আলুর মধ্যে থাকে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, কপার এবং নায়াসিন যা চুলের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাব পূরণ করে। ফলে চুলের শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া কমে আসে।
পরিষ্কার কিছু আলু পিষে এর রস সরাসরি স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে শুকিয়ে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেলের দুধ

ফ্যাট এবং প্রোটিন চুলের পুনর্গঠন করে, এবং চুল পাতলা হওয়া এবং চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও প্রোটিন পাওয়া যায়।
নারকেলের দুধ মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।

নিম

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় নিম খুশকি দূর করার জন্য খুবই উপযোগী। এটি স্ক্যাল্পের নিচের রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে এবং চুলের গোঁড়ায় পুষ্টি যোগায়। ফলে মাথার ত্বক সুস্থ থাকে এবং চুল লম্বা হয়।
একটি পাত্রে পানি নিয়ে তার মধ্যে কিছু নিম পাতা দিয়ে ফুটান। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে পাত্রটি নামিয়ে রেখে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠাণ্ডা হলে এই মিশ্রণটি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

আমলকি

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় আমলকি চুলকে শক্ত ও মজবুত করে। ভিটামিন সি কোলাজেন প্রস্তুত করতে সাহায্য করে যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি আয়রন শোষণেও সাহায্য করে যা চুলকে শক্ত ও মজবুত রাখে এবং চুল পড়া রোধে সহায়তা করে।
কয়েকটি শুকনা আমলকি নারকেল তেলের মধ্যে দিয়ে গরম করুন। তেলের রং কাল হয়ে আসলে তেলটি নামিয়ে ঠাণ্ডা করে মাথায় মাসাজ করুন। ২০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৯

ব্রণের গর্ত, র‍্যাশ, পোরস, লালচে ভাব দূর করার উপায়


আমি আজ খুবই সহজ কিন্তু ভীষন এফেক্টিভ তিনটি পদ্ধতি এখানে তুলে ধরছি। যা আপনারা ঘরে বসে সহজেই ফলো করতে পারবেন। তিনটি উপায় থেকে যার যেটি ভালো লাগে ও স্যুইটেবল মনে হয় সেই পদ্ধতিটি ফলো করবেন।

 (১) হলুদ ও লেবুর প্যাক
এক চা চামচ লেবুর রস নিন। এরসাথে মেশান এক চা চামচ হলুদ। আপনি চাইলে কাচা হলুদ কিংবা গুড়ো যে কোনটাই ব্যাবহার করতে পারেন। এবার এই দুটি উপকরণকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে ধুয়ে প্যাকটি মুখে সব জায়গায় সমান করে লাগান। বিশ মিনিট পরে মুখ নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম অথবা লোসন লাগিয়ে নিন।
– প্যাকটি লাগিয়ে অর্থাৎ মুখে লাগানো অবস্থায় চুলার কাছে যাবেন না।
– হলুদ এবং লেবু দুটি উপাদানই ফটোসেন্সিটিভ উপাদান তাই চেষ্টা করবেন প্যাকটি রাতে ঘুমানোর আগে লাগাতে।
– এটি আপনার স্কিনের রেডনেস,পোরস, ব্রণের গর্ত এবং এবং র‍্যাশ দূর করবে খুবই এফেক্টিভ-ভাবে।
টানা দুই সপ্তাহ লাগাবেন। এরপর চাইলে প্যাক টি কন্টিনিউ করতে পারেন। কারন এটি আপনার স্কিনের ব্রাইটনেস বাড়াবে ভীষনভাবে। তিন দিন লাগানোর পর থেকেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন এবং স্কিনের প্রতি ভালো লাগা জাগবে আপনার।

(২) টক দই, লেবুর খোসা এবং গোলাপজল
একটি বাটিতে এক চা চামচ টক দই, এক চা চামচ লেবুর খোসা বাটা এবং সামান্য একটু গোলাপজল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে রাখুন পুরোপুরি না শুকানো পর্যন্ত। পুরো শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি পোরস, গর্ত ইত্যাদি দূর করার সাথে সাথে আপনার স্কিনকে সুপার হাইড্রেট,ময়েশ্চারাইজ এবং সুপার স্মুদ করবে। স্কিনের গ্লো বাড়াবে।
– লেবুর খোসা ব্রণ সৃষ্টিকারি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, স্কিনের রঙ হালকা করে, সান ট্যান দূর করে এবং এটি একটি খুব ভালো এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান।
– গোলাপজল স্কিনের পোরস ছোট করতে সাহায্য করে।
– টক দই স্কিনকে ঠান্ডা রাখে এবং রেডনেস কমায়। এক মাস টানা করুন। নিজের স্কিনের প্রেমে পরে যাবেন নির্ঘাত।

(৩) ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রস
একটি  ডিমের সাদা অংশ নিন। এর সাথে মেশান এক চা চামচ লেবুর রস। ভালো করে মিক্স করুন। এবার এটি মুখে লাগান সমান করে। শুকাতে দিন পুরোপুরি।মুখে টান ধরবে যখন তখন পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন যেন মুখে একটুও থেকে না যায়।
– মুখ উজ্জ্বল হবে, টানটান হবে,পোরস ছোট হবে, গর্ত চলে যাবে।
– সপ্তাহে ৩-৪ দিন করে লাগান এক মাস পর্যন্ত।

বিঃ দ্রঃ
  • যে কোন প্যাক লাগানোর পরই মুখ প্রচুর পানি দিয়ে ধুতে হয়। তাহলে মুখে কিছু থেকে যাবার সম্ভাবনা থাকে না। মুখ ভালোভাবে ক্লিন হয়।
  • অনেকেই আছেন যারা সানব্লক লাগানোটাকে প্রয়োজনীয় মনে করেন না।কিন্তু স্কিন ভালো রাখার জন্য, স্কিনের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া, কুঁচকে যাওয়া রোধ করার জন্য রেগুলার সানব্লক ব্যাবহারের অভ্যাস করা খুবই জরুরি।

সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৯

শ্যাম্পুর পর ঝলমলে সুন্দর চুল পেতে

চায়ের লিকার থেরাপি –
ঝলমলে চুলের জন্য দারুণ কাজ করে চায়ের লিকার। চুল যেমনি হোক না কেন তৈলাক্ত, শুষ্ক বা স্বাভাবিক- এই চায়ের লিকার মানিয়ে যাবে খুব সহজে।
এটা তৈরির জন্য দুই কাপ পানি নিন। তার মাঝে ৬ টেবিল চামচ ফ্রেশ চা পাতা দিন। এটাকে এখন অল্প আঁচে চুলায় ফুটতে দিন। ফুটে ফুটে লিকার ঘন হবে। এবং দুই কাপ পানি কমে এক কাপের কম হলে বুঝবেন যে রেডি। এখন এটাকে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণ মাখুন। ৫ মিনিট পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ভিনেগারে চুলের চমক –
শ্যাম্পু করে ফেলছেন? এবার ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। আধা কাপ ভিনেগার এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করা চুল। ৫ মিনিট পর আবার একটু স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শুকিয়ে নিলেই পাবেন ঝলমলে চুল।

বেকিং সোডায় উজ্জ্বল চুল –
নিস্প্রান চুলকে ঝলমলে করে তুলতে বেকিং সোডার কোন বিকল্প নেই। এ কাপ হালকা গরম পানির মাঝে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করা ভেজা চুলে এই মিশ্রণ লাগান। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এবার চুলের চমক দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!

মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯

দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করে যে খাবারগুলো

১. ফল
ফল বিশেষ করে আপেল এবং স্ট্রবেরিতে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড যা দাঁত সাদা করার একটি চমত্‍কার প্রাকৃতিক উপাদান। নিয়মিত ফল খেলে দাঁতে সহজে দাগ পড়ে না বা হলদেটে হয় না।

২. সবজি
গাজর, সবুজ শাক এবং ব্রকোলির মতো সবজি দাঁত থেকে দাগ দূর করতে সাহায্য করে। সালাদে গাজর খান নিয়মিত। এতে যেমন দাঁত ভালো থাকবে, তেমনি গাজর থেকে পাবেন প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন তথা ভিটামিন এ, যা আপনার চোখ, ত্বক ও চুল রাখবে সুস্থ।

৩. শুকনো ফল
ড্রাই ফ্রুট বা শুকনো ফল যেমন কিশমিশ দাঁত সাদা রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চিনি ছাড়া চুয়িংগাম দাঁতের দাগ দূর করার একটি চমত্‍কার উপায়।

৪. দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা দাঁতের জন্য খুবই জরুরি। এছাড়া দুগ্ধজাত খাবার, যেমন দই এবং পনির দাঁতের এনামেল বজায় রাখতে সাহায্য করে।

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

চুল লম্বা করতে করণীয়


চুল লম্বা করার শখ থাকে অনেকেরই, কিন্তু অনেক কারণেই চুল বাড়তে পারেনা। আর সবসময় চুল কাটতেও খারাপ লাগে। পুষ্টিহীনতার অন্যতম লক্ষণ চুল না বাড়া। এছাড়াও রুক্ষতার কারণে চুল ফাটে আর বাড়তে পারে না।
তাই চুল বাড়াতে চুলের পুষ্টি ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলেই চুল দ্রুত লম্বা হবে। চলুন জেনে নিই চুল লম্বা করার কয়েকটি সহজ উপায়।
  • তেল ম্যাসাজ করুনঃ
    চুলের বৃদ্ধিতে সব চাইতে কার্যকরী উপায় হচ্ছে তেলের ম্যাসাজ। নারিকেল তেল,অলিভ অয়েল চুলের জন্য অনেক ভালো। এই দুইটি তেল একসাথে মিশিয়ে কিংবা আলাদা একটি তেল চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • ডিমের হেয়ার মাস্কঃ
    ১ টি ডিম, পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। একটি শাওয়ার ক্যাপ কিংবা কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর মৃদু শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
  • দুধ বা টক দইঃ
      দুধ বা দই চুলকে নরম আর মসৃণ করে চুলের রুক্ষতা দূর করে। ফলে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল   ফাটবে না। নারিকেল তেল, আমণ্ড অয়েল (কাঠবাদামের তেল), আধা কাপ দুধ বা টক দই মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিন এবং শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালো করে লাগিয়ে ১ থেকে ২ ঘণ্টা রাখুন। দ্রুত ভালো ফল পাবেন।
  • লেবুর রসঃ
    চুলের সৌন্দর্য চর্চায় লেবুর রসের ব্যবহার নানাভাবে হয়। লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ পানি মেশান। এবার চুলে ভালো করে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • চায়ের লিকারঃ
চুল বৃদ্ধি করতে চায়ের লিকারের তুলনা হয় না। কারণ এটি চুলের কন্ডিশনার হিসেবে খুব ভালো। একটি পাত্রে চায়ের লিকার নিয়ে তাতে চুল ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট অথবা গোসল শেষে লিকারটি দিয়ে আস্তে আস্তে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ২/৩ দিন চায়ের লিকার ব্যবহার করুন আপনার চুলে।
  • ভিটামিন-ই ক্যাপস্যুলঃ
চুলের বিশেষ যত্নের জন্য চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিন। এরপর একে হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভালো ফলাফলের জন্য পুরোরাত এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহার করুন।
এভাবে আপনি ঘরে বসে সহজে আপনার চুল সুন্দর করতে পারবেন এবং চুল দ্রুত বড় হবে।
সতর্কতাঃ
  • চুল মোছার জন্য নরম তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। চুল বেশি ঘষে ঘষে মোছা যাবেনা। এতে চুল ফেটে যায় বেশি। ভেজা চুল আস্তে আস্তে মুছতে হবে।
  • ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না।
  • চুল শুকাতে, চুল ভালোভাবে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে, ফ্যানের বাতাসে বা আলো বাতাসপূর্ণ জায়গায় শুকাতে হবে। কোনক্রমেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যাবে না।
  • ইলেক্ট্রিক সকল যন্ত্র ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
  • চুলের রুক্ষতা কমাতে এবং আগা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা রোধ করতে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা বাদ দিতে হবে। কারণ চুল ধোয়ার ফলে, মাথার ত্বকের তেলও ধুয়ে যায়। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। শ্যাম্পুর রাসায়নিক উপাদানও চুলের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯

মুখের কালো দাগ দূর করতে রাতের বেলার রূপচর্চা

কী ব্যবহার করবেন?
মুখের দাগ দূর করতে আমরা ব্যবহার করবো লেবু। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে সকল অ্যান্টি স্পট ফেয়ারনেস ক্রিম লেবুর কথা বলে। কারণ একটাই, লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। তবে লেবু এই রূপচর্চাটি কেবল রাতের বেলায় করতে হবে এই কারণে যে সূর্যের আলো আপনার ত্বকে রিঅ্যাকশন করতে পারে। রাতের বেলায় রূপচর্চাটি করলে সূর্যের আলো বা গরমে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং ত্বক সম্পূর্ণ ৮-১০ ঘণ্টা পাচ্ছে দাগ দূর করার জন্য।

কী করবেন?

দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন আপনি। যদি আপনার ত্বক হয়ে থাকে স্বাভাবিক, তাহলে মাত্র ৫ মিনিটের একটি কাজ করতে হবে আপনাকে। যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ হয়ে থাকে, তাহলে সময় লাগবে ৩০ মিনিট।
– মুখ খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
– যদি স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে তাজা পাকা লেবুর রস (যে লেবু পেকে হলদে হয়ে গেছে, অর্থাৎ লেমন) সরাসরি মুখের কালো দাগে লাগিয়ে নিন। লেবুর রসের সাথে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। তারপর শুকাতে দিন। এবং লেবুর রস মুখে নিয়েই ঘুমিয়ে যান। স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বকে কোন সমস্যা হবে না। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ মুছে নিন।
– আর যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ ত্বক হয়, তাহলে পাকা লেবুর রসের সাথে মুলতানি মাটি ও মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ধোয়া মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ মিলিয়ে যাবে।
টিপস-
ত্বকে লেবুর রস দেয়ার পর যদি কোন রকম অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে মুখে ধুয়ে ফেলুন এবং পুনরায় ব্যবহার করবেন না।

শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯

ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার উপায়


ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার ৪টি উপায় যা এই যন্ত্রণা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে চিরতরে!

লবণের স্প্রেঃ
ভেতর থেকে ত্বকের তেল-ময়লা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে লবণের। তাই ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে এটা খুব কার্যকরী। একটি স্প্রে বোতলে ১ কাপ পানি নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ লবণ গুলে নিয়ে মুখের তৈলাক্ত স্থানটিতে স্প্রে করুন। এরপর খানিকক্ষণ রেখে দিয়ে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। প্রতিদিন এভাবে করলে অনেকাংশে ত্বকের তৈলাক্ততা কমে আসবে।

শসা ও লেবুর রসের ব্যবহারঃ
ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে শসা ও লেবুর রস ব্যবহার করুন। একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ শসার রস নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি একটি তুলোর বলের সাহায্যে পুরো ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শসার রস ত্বকের নিচের তেল গ্রন্থি থেকে তেল বের করে তৈলাক্ততা দূর করে। লেবুর রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ব্রণ হবার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।

মুলতানি মাটি ও গোলাপজলের মাস্কঃ
এই মাস্কটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে অনেক বেশী কার্যকরী। প্রথমে ২ টেবিল চামুচ মুলতানি মাটি ও গোলাপজল নিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এরপর  পেস্টটি  ভালো করে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে দ্রুত তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাবেন।

টমেটো পিউরিঃ
ত্বকের তৈলাক্ত দূর করার সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে টমেটো পিউরির ব্যবহার। টমেটো ত্বকের তৈল গ্রন্থি শুকোতে সাহায্য করে। ফলে স্থায়ীভাবে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাসায় টমেটো সেদ্ধ করে ব্লেড করে নিয়ে টমেটো পিউরি বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ৫-৭ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হবে সহজেই।
এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে দিনে দুইবারের বেশি সাবান দেওয়া যাবে না। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়  ১-২% স্যালিসাইলিক এসিডযুক্ত ফেসিয়াল ক্লিনজার দিনে দুবার ব্যবহার করা। সেই সাথে যে কোন জেল জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়। আর ত্বকের যে কোনো সমস্যায়  চর্ম বিশেষজ্ঞের কাছেও যেতে বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৯

নিখুঁত ত্বকের জন্য রাতের ২টি ফেসিয়াল মাস্ক


ঝলমলে উজ্জ্বল এবং সমস্যাবিহীন ত্বক পেতে সারাদিন শেষে রাতে একটু সময় বের করে নিন ত্বকের যত্ন। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল রাতে ব্যবহারের ২ টি ফেসিয়াল মাস্ক যা দূর করবে ত্বকের সমস্যা।

চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েলের ফেসিয়াল স্ক্রাব

সব ধরনের ফেসিয়াল স্ক্রাবের মধ্যে এই স্ক্রাবটি সবথেকে ভালো। কারন এই স্ক্রাবটির উপাদান অনেক সহজলভ্য এবং প্রাকৃতিক বলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এবং এর কার্যকারিতা অনেক বেশি। অলিভ অয়েল ত্বককে কোমল করে ও চিনি ত্বকের উপরিভাগের মরা কোষ দূর করে।
পদ্ধতিঃ
এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল। ২ চা চামচ চিনি, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ২ চা চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি হাতের তালুতে নিয়ে মুখের ত্বকে হালকাভাবে ঘষে লাগান। মুখে এই মিশ্রণটি ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২/৩ বার করুন। ত্বকের উজ্জলতার পরিবর্তন আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।

কলা এবং দইয়ের ফেসিয়াল মাস্ক

কলা খেতে যতটা সুস্বাদু ততোটাই উপকারি। কলা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের কোমলতার জন্য একটি অসাধারন উপাদান। অন্যদিকে দই ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে সব সময়ের জন্যই উপকারি।
পদ্ধতিঃ
এই মাস্কটি তৈরি করতে লাগবে ১ টি কলা, ১ চা চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ দুধ ও ২ চা চামচ টকদই। প্রথমে একটি বাটিতে কলা নিয়ে চামচের মাধ্যমে ম্যাশ করুন। এরপর এতে ২ চা চামচ দই নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে মধু ও দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি আলতো ঘষে ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই মিশ্রণটি ত্বকে থাকতে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে একটি পাতলা তোয়ালে দিয়ে পানি মুছে ফেলুন। এই মাস্কটি ত্বকের উজ্জলতা ও কোমলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকে একটি মিষ্টি সুগন্ধ তৈরি করে।

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯

দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরার চমৎকার কিছু ব্যবহার

১। মেকাপ রিমুভার
বেশীরভাগ আই মেকাপ রিমুভার কঠোর রাসায়নিক এবং প্যারাফিনের সমন্বয়ে গঠিত। যা ত্বককে শুষ্ক করে দেয় এবং স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। যাদের সংবেদনশীল ত্বক ও যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তারা এই ধরণের প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা ভালো। কটন বলে বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে চোখের মেকআপ তুলে ফেলুন এবং এতে কোন যন্ত্রণা হবেনা।

২। শেভিং ক্রিম
অ্যালোভেরার জেল শেভিং ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরার জেল  অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও ময়েশ্চারাইজিং উপাদান সমৃদ্ধ এবং শেভের জন্য ভালো। ফেনা হওয়ার জন্য অ্যালোভেরার জেলের সাথে হাত ধোয়ার সাবান ও কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখলে ৬ মাস ভালো থাকবে এবং এতে কৃত্রিম ও রাসায়নিক কোন উপাদান নেই যা বেশির ভাগ শেভিং ক্রিম বা জেলে থাকে।

৩। হিলিং ফেস মাস্ক
অ্যালোভেরার জেল শুধুমাত্র ব্রণ বা মেছতার দাগই দূর করেনা ত্বককে আদ্রতা প্রদান করে তারুণ্য দীপ্ত রাখে। হিলিং ফেস মাস্ক তৈরি করা খুবই সহজ। ১-২টি অ্যালোভেরা পাতার অর্ধেক অংশের জেল বের করে নিন। এর সাথে কিছুটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন যদি আপনি ভালো ঘ্রাণ পেতে চান অথবা শুধু অ্যালোভেরা জেল ও ব্যবহার করতে পারেন। মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেলের হালকা ঘ্রাণ আছে এবং চমৎকার ঠান্ডা অনুভূতি প্রদান করে।

৪। কাটা ও ক্ষত ভালো করে
অ্যালোভেরা জেলে পলিসেকারাইড ফাইবার থাকে যা হজমে সহায়তা করে যদিও কিছু মানুষের জন্য এটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই ফাইবার ক্ষত বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং এর ঠান্ডা করার উপাদান কেটে যাওয়া অংশের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৫। ফেস ওয়াশ
১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ টেবিল চামচ আমন্ড দুধ এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস ওয়াশটি স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য আদর্শ। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য অ্যালোভেরা জেল অনন্য। ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ টেবিলচামচ বিশুদ্ধ নারিকেল তেল মেশান। মিশ্রণটি হাতে ও মুখে লাগিয়ে মালিশ করতে থাকুন যতক্ষণ না গরম অনুভব করেন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

৬। এক্সফলিয়েটর
ত্বকের পরিচর্যার জন্য অ্যালোভেরা অত্যন্ত চমৎকার স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরা ত্বককে নরম করে, কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং টিস্যুকে শক্তিশালী করে। ১/২ কাপ অ্যালোভেরা জেলের সাথে যথেষ্ট পরিমাণ ব্রাউন সুগার বা বেকিং সোডা মিশিয়ে দানাদার মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর মিশ্রণটি আপনার কনুই, গোড়ালি, বাহু ও মুখে লাগান এবং কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৭। ফাটা দূর করে
শীতে সাধারনত ত্বক ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। অ্যালোভেরা জেলের সাথে অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে ফাটা ত্বকে লাগান। এতে শুধু ত্বকের আদ্রতাই ফিরে আসবেনা ইনফেকশন থেকেও ত্বককে রক্ষা করবে।

৮। শুষ্ক মাথার তালু
অ্যালোভেরার গ্লাইকোপ্রোটিন শুষ্ক ত্বক ও শুষ্ক তালুর নিরাময় করতে পারে। আয়ুর্বেদ প্রফেসর Dr.Rajini Patankar এর মতে, অ্যালোভেরার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শুষ্কতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই অ্যালোভেরার জেল মাথার তালুতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৯। সর্দি ও কাশি
শ্বাসনালীর ইনফেকশনের জন্য দায়ী জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ করতে পারে অ্যালোভেরা জেল। কারণ এতে অ্যান্টি ভাইরাল উপাদানও আছে। সম পরিমাণে মধু ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে সেবন করুন। গলা ব্যথা ও সাইনুসাইটিসকেও প্রশমিত করে অ্যালোভেরা জেল।

৮। বদহজম
শীতের সময়ে পাকস্থলীর জটিলতা ও বদহজমের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস অ্যালোভেরার জুস পান করলে হজম সহায়ক হয় ও শরীর থেকে টক্সিন বাহির হয়ে যায়।

৯। আরথ্রাইটিস
শীতের সময়ে আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য একদিন পরপর অ্যালোভেরার জুস পান করুন। অ্যালোভেরায় প্রদাহ রোধী উপাদান আছে যা শক্ত হয়ে যাওয়া ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার হিসেবে, খুশকি ও এক্সিমা দূর করতে ইত্যাদি নানা কাজের জন্য অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী ভুমিকা রাখে। আপনার বাসাতেই অ্যালোভেরার গাছ লাগাতে পারেন।

শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯

ওজন কমাতে রাতের জন্য তিনটি কার্যকরী ডায়েট

রাতের বেলা খাবার না খেয়ে থাকলে লাভের থেকে ক্ষতির পরিমাণই বেশী। ওজন তো কমবেই না বরং স্বাস্থ্যহানি ঘটবে। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল চটজলদি ওজন কমাতে সহায়ক রাতের বেলার ৩ টি ডায়েট প্ল্যান। রাতে বেলা না খেয়ে থাকার চেয়ে একটি ডায়েট চার্ট অনুসরণ করুন। দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন।
ওজন কমাতে রাতের বেলার ৩টি কার্যকর ডায়েট প্ল্যানঃ

ডায়েট প্ল্যান-১ঃ যারা ভাত জাতীয় খাবার পছন্দ করেনঃ

অনেকেই আছেন যারা ভাবেন ভাত খেয়ে ওজন কমানো যায় না। কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। পরিমিত পরিমাণ ভাত ওজন কমাতে বেশ সহায়ক। নিয়ম করে রাতের বেলা এই চার্টটি অনুসরণ করেই দেখুন ওজন কমে কিনা!
১ কাপ ভাতঃ ভাতের পরিমাণ ১ কাপই হতে হবে। কোনো ভাবেই এর চাইতে বেশী নয়।
১ টুকরো মাছ/ মাংসঃ মাঝারি আকৃতির এক টুকরো মাছ/ মাংস শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ করবে।
১ কাপ সবজিঃ কম তেলে বা তেল বিহীন সবজিভাজি ফ্যাট অনেকাংশে কমায়। ১ কাপ পরিমাণ সবজি অবশ্যই ডায়েট চার্টে রাখবেন। সব চাইতে ভালো হয় কাঁচা সবজির সালাদ রাখলে।
১ কাপ ডালঃ ডাল ফ্যাট কাটতে সহায়তা করে। পাশাপাশি পুষ্টি যোগায় শরীরে।
১ টি ফল ও দইঃ খাবার শেষে ১ টি কলা বা ১ টি আপেল কিংবা ১ টি কমলা খাবেন। এই ফলগুলো ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। আর
১/৪ কাপ টক দই। এটা খাবার হজমে সাহায্য করবে।

ডায়েট প্ল্যান-২ঃ যারা রুটি জাতীয় খাবার পছন্দ করেনঃ

অনেকে রাতে ভাত খেতে পারেন না বা খেতে চান না। তাদের জন্য এই ডায়েট চার্ট। অনুসরন করে দেখুন, ওজন কমবে দ্রুত।
২/৩ টি পাতলা আটার রুটিঃ রুটিটি অবশ্যই আটার হতে হবে। লাল আটা হলে ভালো হয়। ময়দা ও পাউরুটি হলে চলবে না। কারন ময়দার রুটি ও পাউরুটি খেলে ওজন বাড়ে
১/২ কাপ সবজিঃ কম তেলে বা তেল বিহীন সবজিভাজি আটার রুটির সাথে খেতে পারেন।
১/২ টি ডিমের সাদা অংশঃ ডিম প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। ডিমের সাদা অংশে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। তাই ১/২ টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। কিংবা এক টুকরো মাছ বা মাংস যা আপনার পছন্দ।
১/২ টি ফলঃ কলা, আপেল কিংবা কমলা এই তিনটি ফলের যে কোন ১ টি খাবেন। দই খেতে চাইলে ২/৩ টেবিল চামচ খেতে পারেন।

ডায়েট প্ল্যান-৩ঃ সবচাইতে দ্রুত ওজন কমানোর জন্যঃ

এই ডায়েট প্ল্যানটি যে কেউ অনুসরণ করতে পারেন খুব দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে। দ্রুত ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী একটি চার্ট।
আধা কাপ হাই ফাইবার কর্ণফ্লেক্সঃ হাই ফাইবার কর্ণফ্লেক্স ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে কর্ণফ্লেক্স অবশ্যই চিনি ছাড়া হতে হবে। যদি চিনি ছাড়া খেতে না পারেন তবে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
১ কাপ মাখন ছাড়া দুধঃ মাখন ছাড়া দুধে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম থাকে। তাই ডায়েট চার্টে ১ কাপ মাখন ছাড়া দুধ অবশ্যই রাখবেন।
ফলঃ এই ডায়েট চার্টে ফলের গুরুত্ব অনেক বেশী। বেশী করে ফল খাবেন রাতে। বিশেষ করে কলা ও সবুজ আপেল। এরা ফ্যাট কমাতে অনেক সহায়তা করে।
কর্ণফ্লেক্স, দুধ ও ফল এক সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন। দুধটা ঠাণ্ডা না খেয়ে গরম খাবেন। সাথে খেতে পারেন এক মুঠো কাঠ বাদাম।


রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯

ফর্সা ও কোমল ত্বকের জন্য কাঁচা দুধের অসাধারণ ৫টি প্যাক

(১) কাঁচা দুধ, বেসন ও মুলতানি মাটির প্যাক

এই প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দারূণ কাজ করে। কাঁচা দুধের ল্যাকটিক এসিড প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে ত্বকের রঙ হালকা করে। বেসন ও মুলতানি মাটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে এবং সেই সাথে ত্বককে গভীর থেকে পরিস্কার করে।
একটা পাত্রে ১ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ মুলতানি মাটি ও ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এবার হাতে অল্প পানি নিয়ে মুখে লাগিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকের গভীর থেকে ময়লা উঠে আসবে। এবার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

(২) কাঁচা দুধ ও কলার প্যাক

এই প্যাকটির জন্য লাগবে অর্ধেক পাঁকা কলা ও পরিমাণ মত (প্রায় ২ চা চামচ) কাঁচা দুধ। কলা খুব ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। এর সাথে অল্প অল্প করে কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি থকথকে মিশ্রণ বানাতে হবে। এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বককে ময়শ্চারাইজও করবে। এজন্য এটি ধোয়ার পর আলাদা করে ময়শ্চারাইজার লাগানোর কোন দরকার নেই।

(৩) কাঁচা দুধ, পেঁপে ও মধুর প্যাক

এই প্যাকটি মূলত বয়স্ক ত্বকের জন্য। যাদের ত্বকে হালকা রিংকেল পড়ে গেছে তারা এই প্যাকটি থেকে অনেক উপকার পাবেন। দুই টুকরা পাঁকা পেঁপে খুব ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। এর সাথে মিশাতে হবে দুই চা চামচ কাঁচা দুধ ও ১ চা চামচ মধু। এটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

(৪) কাঁচা দুধ, মধু ও লেবুর রসের প্যাক

কাঁচা দুধ মধু ও লেবুর রসের সাথে মিশালে এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে যা কেমিকেল ব্লিচের মত কোন ধরণের ক্ষতি ছাড়াই ত্বকের রঙ হালকা করে। দুই চা চামচ কাঁচা দুধের সাথে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।

(৫) শুধুই কাঁচা দুধ

আর এত কিছু যদি আপনার জন্য কষ্টকর মনে হয় তবে আপনার জন্য অতি সহজ একটা রূপচর্চার উপায় বলে দিচ্ছি। শুধু কাঁচা দুধ হাতে নিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি প্রত্যেকদিন এই শুধু কাজটিও করতে পারেন, তাহলেও আপনার ত্বক আস্তে আস্তে অনেক উজ্জ্বল হয়ে যাবে।

বুধবার, ৩ জুলাই, ২০১৯

বিয়েতে কনেকে সবচেয়ে সুন্দর দেখানোর উপায়

 ১। মেকআপে ন্যাচারাল লুক

পারফেক্ট বিয়ের সাজের মূলমন্ত্র হলো, একেবারেই ন্যাচারাল লুক মনে হয় এমন একটি সাজ বেছে নেয়া। কেননা ঐতিহ্যগত ভাবেই বাংলাদেশের কনেরা বেশ জমকালো শাড়ী ও গহনা পরে থাকেন।
তাই সাজটাও যদি অতিরিক্ত জমকালো হয় তাহলে পুরোই জবরজং লাগতে পারে। তাই বিউটিশিয়ানকে বলুন যাতে ন্যাচারাল মনে হয় এমন একটি সাজে সাজিয়ে দিতে। শুধু মুখই নয় গলা, হাত, পা সমানভাবে সাজিয়ে দিতে বলুন। নয়তো মুখের ত্বকের তুলনার গলা, হাত, পা বেমানান দেখাবে।

২। মেকাপের পর কয়েকটি ছবি তুলে দেখুন

মেকআপ করার পর বিয়ের সাজেই কয়েকটি ছবি তুলে ফেলুন। ছবিতে দেখুন কোন অংশটি খারাপ দেখাচ্ছে, মেক আপ সব জায়গায় ঠিক মত বসেছে কিনা, কোন অংশ বেশি সাদা মনে হচ্ছে কিনা। সেক্ষেত্রে শুধরে নেবার সময় থাকবে। তাই হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে পার্লারে সাজতে যাবেন।

৩। বিয়ের আগে ত্বকের যত্ন

বিয়ের সপ্তাহ খানেক আগেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেয়া শুরু করুন। হাত পায়ের ওয়াক্সিং, ফেসিয়াল, চুলের ট্রিটমেন্ট আগেই করে ফেলুন। নয়তো বিয়ের আগে একসাথে সব কাজ করতে গেলে এগুলো আপনার গোটা সাজকেই মাটি করে দিতে পারে।বিয়ের ঠিক এক বা দু দিন আগে ভ্রু প্লাক করুন। বিয়ের দিন সাজার সময় ভ্রু প্লাক করতে গেলে সেখানে দ্রুত মেকআপ করার সময় ভ্রুর জায়গাটিতে যন্ত্রণা, চুলকানি, লাল হয়ে যাবার মত সমস্যা হতে পারে। যা আপনার সুন্দর লুককে নষ্ট করে দেবার জন্যে যথেষ্ট।

৪। কনট্যাক্ট লেন্স পরে নিন মেকআপের আগেই

আপনি যদি চোখের রঙ পরিবর্তনের জন্যে অন্য কনট্যাক্ট লেন্স পরতে চান, তাহলে তা মেকআপ করার আগেই পরে ফেলুন। কেননা, কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময় চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা পানি পড়তে পারে, যা আপনার চোখের মেকআপ এর ক্ষতি করতে পারে।

৫। পোষাক ও গহনা নির্বাচনে সচেতন থাকুন

পোষাকের ফেব্রিক, রঙ ও গহনা নির্বাচনে সচেতন থাকুন। অন্য কাউকে এই রঙ বা ধরনের পোষাক ভালো লেগেছে বলেই যে আপনাকেও ভালো লাগবে এমন কোন কথা নেই। তাই চেষ্টা করুন আপনাকে মানায় এমন ফেব্রিকের ও রঙের পোষাক ও গহনা পরতে।

৬। তৈলাক্ত খাবার ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন

আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না যে, বিয়ের দিন আপনার মুখে ব্রণ বা র‍্যাশ থাকুক। তাই নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস, ভাজাভুজি ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। প্রচুর ফল ও সবজি খান ও মেডিটেশন করুন। বিয়ের অনুষ্ঠানের আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাবার চেষ্টা করুন। এতে আপনার ত্বকে ব্রণ বা অন্য কোন সমস্যা হবার সম্ভাবনা কমে যাবে এবং মেকআপ ত্বকে খুব সুন্দরভাবে বসবে।


সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯

ঘরে বসেই হবে ফেসিয়াল


ত্বকে চমক আনতে ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেকোনো উৎসবে নিজেকে রূপ লাবণ্যময়ী করে সাজাতে ত্বকের এমন যত্ন চাই-ই। ত্বকের এই যত্ন করার পোশাকি নামই হল ফেসিয়াল। নিজের ত্বকের অবস্থা জেনে সেই মতো পরিষ্কার করলেই হয়ে যাবে উপযুক্ত ফেসিয়াল। তাই আপনাকে যে শুধু পার্লারেই দৌড়াতে হবে তা নয়, ঘরে বসেও করতে পারেন ত্বকের যত্নে উপযুক্ত ফেসিয়াল। ঈদের আগেই নিজেকে সাজাতে জেনে নিন, ফেসিয়ালের প্রয়োজনীয় ধাপ গুলো-

ক্লিনজিং
সাধারণ বা মিশ্র ত্বক হলে কটন বল ঠাণ্ডা দুধে চুবিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ড্রাই স্কিন হলে শসার রস ও ঠাণ্ডা দুধের মিশ্রণ কটন বলে ডুবিয়ে পরিষ্কার করে নিন। অয়েলি স্কিনে বেশি ময়লা জমে বলে ঠাণ্ডা দুধের সঙ্গে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে নিতে হবে।

স্ক্রাবিং
ত্বক পরিষ্কারের পর কমলালেবুর খোসা ও চালের গুঁড়ার পেস্ট অথবা বার্লি ও ঠাণ্ডা দুধের মিশ্রণ স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে চালের গুঁড়া ও দুধের সরের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নিন। তেলতেলে ত্বকে মসুর ডালবাটা ও কমলালেবুর খোসা দিয়ে স্ক্রাব করা যায়। মিশ্র ত্বকের ক্ষেত্রে কর্নফ্লাওয়ার ও এক চিমটি কর্পূর কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। মনে রাখতে হবে, স্ক্রাবিংয়ের সময় হালকা চাপ দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।
টোনিং
স্ক্রাবের পর নরমাল ও ড্রাই স্কিনের জন্য শুধু গোলাপজল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেই হবে। তেলতেলে ত্বকে পুদিনা পাতা, শসা ও লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মাখতে পারেন। মিশ্র ত্বকের জন্য টমেটো রস, শসার পেস্ট ও গোলাপজলের মিশ্রণ ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে।

ফেসপ্যাক
টোনিং এর পরে সাধারণ ত্বকের জন্য দুই চামচ বেসন, দুই চামচ মধু, কচি গাজর পেস্ট ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। মিশ্র ত্বকের জন্য গমের ছাতু, মধু, হাফ চামচ বাদাম তেল ও পানি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে। তেলতেলে ত্বকের জন্য মসুর ডালবাটার সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ, শসার রস, লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য এক টুকরো পাউরুটি দুধে ভিজিয়ে নরম করে তার সঙ্গে পাকা কলা চটকে নিন। এতে এক চামচ মধু ও এক চামচ চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার ত্বকের উপযুক্ত মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানির ঝাঁপটা দিয়ে ধুয়ে নিন।

ময়শ্চারাইজিং
সবশেষে সাধারণ ও মিশ্র ত্বকে স্কিনে ঘৃতকুমারির জেল ও সামান্য মধু মিশিয়ে লাগানো যেতে পারে। তেলতেলে ত্বকে আপেল কুচিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগিয়ে পরে ধুয়ে নিন। শুষ্ক ত্বকে স্কিনে মধুর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে লাগালে বেশ উপকার পাবেন। ব্যস পার করে এলেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়ালের সবকটি ধাপ। তাই এখন থেকে নিজ হাতেই করতে পারেন ত্বকের উপযুক্ত ফেসিয়াল।

বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৯

মেথি ব্যবহার করে ওজন কমাবার ৫টি দারুণ কৌশল

ওজন কমানোর জন্য আমরা কত ভাবেই না যুদ্ধ করি। তবে তার মানে এই না যে শুধুমাত্র মোটা হওয়ার কারনে এইসব চেষ্টা। দেহকে একটি সুন্দর আকৃতি দেয়ার জন্যও এই ধরনের চেষ্টা আমরা করে থাকি। কারণ যাই থাকুক না কেন ভাল থাকার জন্য দেহের সুন্দর আকৃতি ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওজন কমানোর উদ্যোগকে আরো ফলপ্রসূ করতে আজ আপনাদের কিছু জাদুকরি উপায় জানাবো। ভেষজ মশলা হিসেবে মেথি বীজ আমাদের সবার কাছে বেশ পরিচিত। সেই সাধারণ মেথিও কিন্তু আপনার ওজন কমানোতে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে। কীভাবে? যেমন আপনি জানেন কি, মেথি ভেজানো পানি খেলে খব দ্রত ওজন কমে? চলুন, জেনে নিই মেথি ব্যবহার করে ওজন কমানোর ৫টি দারুণ কৌশল।





ভাজা মেথিবীজ-এটি হচ্ছে ওজন কমানোর জন্য চমৎকার একটি উপায় যার জন্য অন্য কোন ঔষধ খেতে হবে না। কিছু মেথিবীজ একটি প্যানে নিয়ে কম আঁচে ভেজে নিয়ে সেটাকে গ্রাইন্ডারে গুড়ো করে পাউডার করতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে এবং সেই সাথে এই মেথিবীজের পাউডার চাইলে তরকারিতেও ব্যবহার করতে পারেন ওজন কমানোর জন্য।
মেথিবীজ পানিতে ভিজিয়ে-
মেথিবীজ ভেজানো পানি খেলে তা ওজন কমাতে সহায়ক হয়। কারণ এটি খেলে তা খাবারের পরিতৃপ্তি এনে দেয়। যার ফলে ক্ষুধা কম অনুভূত হয় এবং বেশি খাওয়ার ইচ্ছেটা কমে যায়। এর ফলে খুব দ্রুত ওজন কমে। আরো এক ভাবে খেতে পারেন। ১ কাপ মেথিবীজ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর পানি ছেঁকে নিয়ে ভেজানো সেই মেথিবীজ গুলো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেতে হবে।

অঙ্কুরিত মেথিবীজ-
অঙ্কুরিত মেথিবীজে উচ্চ মাত্রার ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, পটাসিয়াম, অ্যামাইনো এসিড, হজম সহায়ক খনিজ পদার্থ এবং আরো অনেক কিছু রয়েছে। একটি বাটিতে মেথিবীজ নিয়ে তা একটি পাতলা কাপড় পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে ঢেকে রেখে তার উপর ভারি কিছু দিয়ে ৩ রাত এভাবে রেখে দিতে হবে।তারপর দেখা যাবে মেথিবীজ অঙ্কুরিত হয়েছে এবং সেই বীজগুলো খেতে পারেন।

মেথিবীজের চা-
চমৎকার মেথিবীজের এই চা দুইটি কাজে সাহায্য করে,ওজন কমাতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে। এছাড়া হজমের ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনেরও তা ভাল কাজ করে।সামান্য পানি দিয়ে কিছু মেথিবীজ পেস্ট করতে হবে।একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিয়ে তাতে সেই পেস্ট দিতে হবে। চাইলে তাতে কিছু ভেষজ মশলা দেয়া যায় যেমন আদা এবং দারুচিনি। তারপর পাত্র ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন এই চা খালি পেটে খেতে হবে।

মেথিবীজ ও মধু চা-
দেহের আকর্ষণীয় আকৃতি পেতে ও ওজন কমাতে মধুমিশ্রিত মেথিবীজের চা চমৎকার কাজ করে। মেথিবীজ গ্রাইন্ডারে গুড়ো করে নিতে হবে। সেই পাউডার পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে এবং এভাবে ৩ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। তারপর সেই পানিটা ছেকে নিয়ে তাতে লেবুর রস ও মধু যোগ করতে হবে। ভাল ফলাফল পেতে এই চা টি প্রতিদিন সকালে খেতে হবে।

এই পাঁচটি উপায়ই হচ্ছে মেথিবীজ ব্যবহার করে কার্যকর ভাবে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া। তাহলে আর দেরি কেন,শুরু করে দিন আজ থেকেই আর পৌছে যান আপনার লক্ষ্যমাত্রার ওজনে।

সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯

বাড়িতেই হোক হারবাল ফেসিয়াল

যা যা লাগবে
হারবাল ক্লিনজিং মিল্ক, ফেসিয়াল স্ক্রাব, টোনার, ময়েশ্চারাইজার, আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী প্যাক তৈরির উপাদান।

১ম ধাপ
ফেসিয়াল করার শুরুতে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার একটা ভেজা নরম তোয়ালে রুমাল দিয়ে মুখটা মুছে ফেলুন। এরপর যে কোনও হারবাল ক্লিনজিং মিল্ক পানির সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করার সময় উভয় হাতের চার আঙুলের সাহায্যে নিচ থেকে উপরের দিকে ঘষতে হবে। কপাল, থুতনি ও ঠোঁটের উপরে করতে হয় দুই আঙুলের সাহায্যে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুখটা মুছে নিন।

২য় ধাপ
উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিন। এরপর সমস্ত মুখে ফেসিয়াল স্ক্রাব ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের মরা কোষ ঝরে যাবে এবং ত্বক মসৃণ ও নরম হবে।

৩য় ধাপ
একটি গামলায় ফুটন্ত পানি নিন। মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে গামলা থেকে পানির বাষ্প মুখে লাগতে দিন। এভাবে পাঁচ মিনিট থাকতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ত্বক যদি সেনসেটিভ হয়, ত্বকে ব্রণ বা অন্য কোনো দাগ থাকে তবে এই ধাপটি বাদ দিন।

৪র্থ ধাপ
এবার মুখ মুছে ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্যাক লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে-
* তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন চন্দনের প্যাক। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে আধা চামচ লেবুর রস, পাকা পেঁপে এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
* শুষ্ক ত্বকের জন্য আধা কাপ কলা ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন, এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
* মিশ্র ত্বক গোলাপ ফুলের পাপড়ির পেস্ট, গোলাপজল, টক দই ও মধু দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* ত্বকে রোদে পোড়া দাগ হলে পাকা টমেটোর রস লাগান। পাকা টমেটো প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে।

৫ম ধাপ
এক টুকরো তুলোয় টোনার নিয়ে মুখে ও ঘাড়ে লাগান। বাজারে কেনা টোনার না থাকলে শসার রস বা আলুর রস টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে চোখের চারপাশে টোনার লাগাবেন না।

৬ষ্ট ধাপ
সব শেষে মুখে লাগান ময়েশ্চারাইজার। মুখটা একটু ভেজা থাকতেই দু’হাতে ময়েশ্চারাইজার লোশন নিয়ে আলতো হাতে লাগান। মুখের যেসব জায়গা বেশি শুষ্ক সে জায়গাগুলোতে দু’বার করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এতে দীর্ঘ সময়
ত্বক আর্দ্র থাকবে।
প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার বেশি হওয়াই ঘরোয়া ফেসিয়াল ঘন ঘন করালেও সমস্যা নেই। তবে সপ্তাহে একবারের বেশি ফেসিয়াল করা ঠিক নয়।