বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১

শীতে মলিন ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার কৌশল

হাল্কা শীতের পরশ বইছে। এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে শুরু করুন।
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ত্বকেও কিছু পরিবর্তন আসে। গরমে ত্বকে যে রকম সমস্যা, শীতের সমস্যা অনেকটা ভিন্ন। আবার ত্বকের ধরন যখন শুষ্ক তখন সব ঋতুতেই প্রধান সমস্যা থাকে শুষ্কতা।
সারা বছরই যাদের ত্বক শুষ্ক থাকে শীতের সময় তাদের সমস্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তবে এ ধরনের ত্বকে একটু যত্ন নিলেই ফ্রেশ থাকার পাশাপাশি সুন্দরও থাকে।

এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন আকাঙ্ক্ষা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড’য়ের কর্ণধার অ্যারোমা থেরাপিস্ট জুলিয়া আজাদ।
শুষ্ক ত্বকে তেল গ্রন্থি স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে। ফলে ত্বক অল্পতেই শুষ্ক হয়ে যায়। এ ধরনের ত্বকে বলিরেখা তাড়াতাড়ি পড়ে, শীতের সময় শুষ্কতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার জন্য এক ধরনের অস্বস্তি হয়।

সমস্যা থেকে রেহাই পেতে যত্ন করে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। সপ্তাহে দুতিন দিন নিয়ম করে স্ক্রার্বিং করতে হবে। আমন্ড অয়েল এ ধরনের ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী। ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।

শুষ্ক ত্বকে ক্রিম সমৃদ্ধ ক্লেজার ব্যবহার করা উচিত। আর টোনিংয়ের ক্ষেত্রে ‘ফ্লাওয়ার’ সমৃদ্ধ টোনার শুষ্ক ত্বকের উপযোগী। কখনও অ্যালকোহল সমৃদ্ধ টোনার ব্যবহার করবেন না। কারণ এ ধরনের ত্বকে অ্যালকোহল আরও বেশি শুষ্ক করে দেয়।
ঘরোয়া উপায়ে যদি পরিষ্কার করতে চান তবে বেসন ভালো ক্লেনজার। সাবানের পরিবর্তে বেসন দিয়ে দিনে দুতিনবার পরিষ্কার করুন।

এ সময় শুষ্কতার থেকে রক্ষা পেতে বেসনের সঙ্গে কাঁচাদুধ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে এবং দেহের অনাবৃত অংশে ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক পরিষ্কার উজ্জ্বল ও মোলায়েম হবে।
স্ক্রার্বিংয়ের সময় এই মিশ্রণের সঙ্গে এক চা-চামচ চিনি মিলিয়ে নিন। এরপর পুরো মুখে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করুন। তারপর উষ্ণ পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে এর সঙ্গে কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি পেস্ট করে মিশিয়ে নিন।

তৈলাক্ত হলেও শীতের সময় ত্বক একটু শুষ্ক অনূভুত হয়। এক্ষেত্রেও ত্বকের জন্য এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যাবে। তবে চিনির পরিবর্তে তৈলাক্ত ত্বকে মধু ভালো কাজ করবে। বেসনের ক্ষেত্রে মুসুর ডালের বেসন তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী।

মধু ত্বকে বাড়তি পুষ্টি যোগান দেয়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ। ত্বক পরিষ্কার করার একদুই মিনিটের মধ্যে টোনিং করতে হবে।

তুলায় টোনার নিয়ে ত্বকে একবার বুলিয়ে নিন। টোনার ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ত্বকের রোমকূপগুলো সঙ্কুচিত হয়। যা ত্বক সতেজ রাখে। এরপর ময়শ্চারাইজিং করুন। পাকাপেঁপে ও মধু মিলিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
পাকাপেঁপে ‘ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার’ হিসেবে ভীষণ ভালো কাজ করে এবং নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিদিনই রাত্রে শোবার আগে ত্বক পরিস্কার করে ভালো ব্র্যান্ডের একটা নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। এটা রুক্ষতা দূর করে ত্বক আদ্র করে তুলবে।

বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১

রঙিন চুল ও আপনি

আজকাল অনেক মেয়েই বর্ণিল রঙে  চুল  সাজাতে পছন্দ করেন। ছোট-বড়, স্ট্রেট-কার্লি সব ধরনের চুলের জন্যেই রয়েছে রঙিন সমাধান।এই সময়ে রঙিন চুল খুবই জনপ্রিয়, আকর্ষণীয় এবং ফ্যাশনেবল।নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় করে তুলতে তাই আজকাল অনেকেই চুল রাঙ্গিয়ে নিচ্ছেন  বিভিন্ন রঙ্গে । আসুন জেনে নেই রঙ্গিন এই চুলের কিছু কথা।

প্রথমেই ত্বকের রংয়ের বিষয়টি চিন্তা করুন। সঠিক রং বাছাই করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন গায়ের রং, পোশাক, মেকআপ এবং সর্বপরী চেহারার সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে চুলের রং বাছাই না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে ।এমন একটি রঙ বেছে নিন যা natural এবং আপনার ত্বকের সাথে মানানসই। প্রাকৃতিক রং হিসেবে brown, blond, brownish black, and sun kissed খুব জনপ্রিয়। এছাড়া ও রয়েছে  rich chocolet ,dark chocolet, bronge color & golden highlight, bargandi,golden copper,sheed color এবং এগুলো মোটামুটি যেকোন ধরনের ত্বকের টোনের সাথেও মানিয়ে যায়।
প্রাচিন কালে মানুষ চুল রঙ করার জন্য বিভিন্ন প্রাকিতিক উপাদান ব্যাবহার করত যাতে pigments এর উপস্থিতির জন্য চুলের
 রঙ পরিবরতন হত।কিন্তু এখন অনেক সহজেই প্রক্রিয়াজাত গুড়ার মাধ্যমে ঘরে বসেই তা করে নিতে পারছে । 
 
 সাধারনত দুই পদ্ধতিতে চুলে রং করা যায়, যেমনঃ “স্থায়ী পদ্ধতি” এবং “অস্থায়ী পদ্ধতি”।শ্যাম্পু, কন্ডিশনার যাই ব্যবহার করুন না কেন স্থায়ী রং চুল থেকে কখনও যাবে না।তবে একসময় রঙিন চুল হারিয়ে যায় । কিন্তু এটা অনেক সময়ের ব্যাপার। অস্থায়ী রং সাধারণত চুলের বাইরের দিকে কাজ করে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর চলে যায়। সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহ মধ্যে। অর্থাৎ চুল তার আসল রং আবার ফিরে পায়। তবে অস্থায়ী রং বাবরার চুলে ব্যবহার না করাই ভাল।

রং যাচাইয়ের জন্যে আপনি হাতে লাগিয়ে দেখতে পারেন। যদি হাতের রংটি সবুজাভাব ধারন করে তাহলে আপনার ত্বক ঠান্ডা প্রকৃতির। আর যদি রং হলুদাকার ধারন করে তাহলে আপনার ত্বক গরম প্রকৃতির।চুলের রঙ চোখের মণি এবং ভ্রুর রঙের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে।যদি আপনি চুলের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে ত্বক ও চোখের বিষয়টি প্রাধান্য না দেন, তাহলে সম্পূর্ণ কষ্টই ভেস্তে যাবে।
চুলের রংয়ের ক্ষেত্রে লাল, বেগুণী, সোনালী রং বেশি মানানসই। তবে আপনার ত্বকের ধরন বুঝে রং বেছে নিতে হবে।চুলের রঙে আভিজাত্যের ছোঁয়া দিতে ব্যবহার করতে পারেন strawberry bond stick । এছাড়া ও braziliano bond stick ও রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া।
 
তবে চুলে রং করার ক্ষেত্রে অবশ্যই  কথা চিন্তা করতে হবে ।কারণ অতিরিক্ত রংয়ের ব্যবহার চুলের স্বাভাবিক কোমলতা ও ঔজ্জল্য নষ্ট করে। তাই
দক্ষ কারো কাছ থেকে চুল কালার করবেন এবং ভালো ব্র্যান্ডের হেয়ার কালার ব্যবহার করবেন।

শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১

পায়ের যত্ন


পায়ের ত্বককে নরম কোমল আর রোদে পোড়া ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করতে সহজ কিছু উপায় জেনে নিই-

  • অল্প গরম পানিতে কিছুক্ষন পা ভিজিয়ে রাখুন। এবার লেবু আর চিনি মিশিয়ে একটি স্কার্ব বানিয়ে পাঁচ মিনিট পায়ের ত্বকে আস্তে আস্তে ঘষেস্কার্বিং করুন। পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • খাঁটি গরুর দুধ আপনার ত্বককে নরম কোমল করে আর দাগ দূর করতেও ভুমিকা রাখে । দুধ পায়ের পাতায় নিয়মিত ম্যাসাজ করুন আর তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • সহজ একটি প্যাক হল টমেটোর রস, বেসন, শসার রস এবং লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে পায়ের কালো ছোপ ছোপ দাগে বা সম্পূর্ণ পায়ে লাগান। শুকানোর পর পানি দিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার করুন। নিজেই আপনার পায়ের ত্বকের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
  • নারকেল তেল আর লবণ নিয়ে মিশিয়ে পায়ের ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান। আপনি চাইলে এর মধ্যে লেবুর রসও নিতে পারেন । পরে কুসুম গরম পানিতে আপনার পা দুটি কিছুক্ষন ভিজিয়ে রেখে আস্তে আস্তে পায়ের ত্বক হতে প্যাকটি উঠিয়ে ফেলুন পা পানির মধ্যে থাকা অবস্থায়। পরিষ্কার পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এটি পর পর কিছুদিন একই ভাবে পায়ের জত্ন নিলে খুব সহজেই পায়ের ত্বকের নিস্প্রান রুক্ষ ভাব দূর হয়ে ত্বকে ফিরে আসে টান টান সজিবতা। নারকেল তেল ময়েশ্চারাইজিং হিসেবে পায়ে খুব ভাল কাজ করে। লবন ত্বকের শুষ্ক মৃত কোষগুলোকে দূর করে ফেলে স্কার্বিং এর মাধ্যমে।
  • এক চা চামচ লেবুর রস ও মধু একত্রে মিশিয়ে ছোপ ছোপ কালো দাগের উপর  প্রতিদিন ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। রাতের বেলা করলে ভাল ফল পাবেন। নিয়মিত করলে কিছুদিনের  ভিতরে পায়ের কালো দাগ দূর হয়ে  পায়ের ত্বক নরম কোমল হয়ে উঠবে।
  • একইভাবে অলিভ অয়েল এবং চিনির মিশ্রণও আপনি ব্যবহার করতে পারেন। বেশী না সপ্তাহে একবার করলেই হবে। তবে উপরের যেটাই আপনি করেন না কেন পা পরিষ্কার করার পর প্রয়োজন মতন ময়েশ্চারাইজিং করুন আপনার প্রিয় লোশন বা গ্লিসারিন ব্যবহার করে। ।
  • আপনার পায়ের ত্বকের যত্ন নিতে, ত্বককে সুন্দর আর কোমল রাখতে উপড়ের সহজ উপায়ের যেকোনো একটি চেষ্টা করে দেখুন নিয়মিত। অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।

যন্ত্রণাদায়ক পায়ের গোড়ালি ফাটা ও সমাধান

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ :
  • শুষ্ক জলবায়ুযুক্ত স্থানে বসবাস
  • স্থূলতা
  • সমানে খালি পায়ে হাঁটা বা চটি অথবা গোড়ালি খোলা জুতো পরা
  • নিষ্ক্রিয় ঘর্মগ্রন্থি
  • খুব বেশি শুকিয়ে যাওয়া
  • ময়েসচারাইজারের অভাব
  • পায়ের সঠিক যত্ন না নেয়া
  • অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
যদি সঠিক ভাবে পা ফাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব না হয় তবে এই ফাটা অনেক বেশি গভীর পর্যন্ত চলে যায় যার ফলে রক্তপাতও হতে পারে। তাই পা ফাটাকে অবহেলা না করে এটি প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে হবে। খুব সহজেই ঘরে বসে আপনি প্রতিরোধ করতে পারেন এই যন্ত্রণাদায়ক পা ফাটা রোগটি।

চালের গুঁড়ার ব্যবহার
একমুঠো চালের গুঁড়ো নিয়ে এতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু, ২ তেবিল চামচ ভিনেগার, ১ তেবিল চামচ অলিভ অয়েল/ আলমণ্ড অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুণ। প্রথমে ১০ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে নিয়ে এই পেস্টটি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ভালো করে স্ক্রাব করে নিন। এতে করে পায়ের মরা চামড়া দূর হবে এবং শুষ্ক ভাবও চলে যাবে।

নিম পাতার ব্যবহার
১০/১৫ টি নিম পাতা নিয়ে ধুয়ে ভালো করে বেটে নিন। এতে ৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে নিন পুরু করে। ৩০ মিনিট রেখে গরম পানি দিয়ে পা ভালো করে ধুয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান দ্রুত পা ফাটা রোধ করবে।

মধুর ব্যবহার
মধুর ময়েসচারাইজিং এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পা ফাটা ও শুষ্ক ত্বক দুটোই দূর করতে সাহায্য করে। অর্ধেক বালতি পানিতে ১ কাপ পরিমানে মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এই পানিতে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর একটি স্ক্রাবার দিয়ে আলতো করে পা ঘষে নিন।

গোলাপজল ও গ্লিসারিনের ব্যবহার
গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা পা ফাটা দূর করে। এবং গ্লিসারিন ত্বককে নরম ও কোমল করতে সহায়তা করে। সমান পরিমাণ গোলাপজল এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে নিয়ে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের গোড়ালি ও পাতায় ম্যাসেজ করুণ।

কলার ব্যবহার
সব চাইতে সহজ পদ্ধতিটি হচ্ছে কলার ব্যবহার। একটি পাকা কলা নিয়ে তা ভালো করে পিষে নিন। পা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে এই পিষে নেয়া কলাটি পায়ের ওপর লাগান। ১০-১৫ মিনিট পড়ে গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে পা খানিকক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।

লেবুর ব্যবহার
লেবুর এসিডিক উপাদান পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে পা ফাটা রোধ করে। একটি লেবু কেটে নিয়ে সরাসরি তা দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ঘষুন। এছাড়া হাল্কা গরম পানিতে লেবুর রস চিপে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে ঝামা ইট দিয়ে ঘষে নিন পায়ের গোড়ালি। পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।

লবণ গরম পানির ব্যবহার
অর্ধেক বালতি গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে পা ডুবান। এতে করে পায়ের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এরপর পা ধুয়ে মুছে নিয়ে ফুটক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ম্যাসেজ করে নিন। খুব দ্রুত পা ফাটা থেকে রেহাই পাবেন।

শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১

যেসব বদভ্যাসে ত্বকে বলিরেখা হয়


বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মেই মুখের ত্বক কিছুটা কুঁচকে যায়, একেই বলে বলিরেখা। তবে বয়স বৃদ্ধি ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনের কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে কম বয়সেই ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে।
রূপচর্চা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বলিরেখা পড়ার কিছু কারণ সম্পর্কে জানানো হয়।

ধূমপান
ধুমপান বলিরেখা পড়ার অন্যতম কারণ। সাধারণত যারা নিয়মিত ধুমপান করেন তাদের ত্বকে অন্যদের তুলনায় খুব দ্রুত বলিরেখা পড়ে। তাই ত্বককে সুন্দর রাখতে চাইলে ধুমপান না করাই ভালো।
মিষ্টিজাতীয় খাবার
অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি দুর্বলতা ত্বকে বলিরেখা পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বকেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। চিনিজাতীয় খাবার ত্বকের প্রোটিনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই ত্বকের আদ্রতা ও নমনীয়তা কমে যায় ও ত্বকে বলিরেখা পড়ে। তাই মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে লাগাম টানতে হবে।

অ্যালকোহল
অ্যালকোহল ত্বকের আদ্রতা কমিয়ে ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। যদি রাতে অ্যালকোহল গ্রহণ করা হয় তাহলে পরদিন সকালে ত্বক দেখতে শুষ্ক দেখাবে। তাছাড়া অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে ত্বকের ‘ইলাস্টিসিটি’ কমে যায়, তাই ত্বকে সহজেই বলিরেখা পড়ে। তাছাড়া অ্যালকোহল শরীরের ভিটামিন এ’র পর্যাপ্ততার উপর ক্ষতি সাধন করে। ভিটামিন এ ত্বকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়তে পারে বয়সের আগেই।

চুইং গাম
অনেকেরই সারাদিন চুইং গাম চিবানোর অভ্যাস আছে। তবে দীর্ঘদিন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত চুইং গাম চিবানোর কারণে নিচের চোয়ালের আশপাশে বলিরেখা পড়ে যেতে পারে।


ঠিক ভাবে মেইকআপ না তোলা
মেইকআপ করার পর সেটি সঠিকভাবে পরিষ্কার করাও জরুরি। কারণ রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে যদি মেইকআপ থাকে তাহলে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মেইকআপ ত্বকের লোমকূপ ও কোলাজেন-কে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ত্বকের ভারসাম্যতা নষ্ট করে। ফলে ত্বকে ভাজ পড়া এবং বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই মেইকআপ করার পর ঘুমানোর আগে তা সঠিকভাবে পরিষ্কার করলে ত্বকে ভাঁজ পড়ার প্রবণতা কমবে।
মেইকআপের সময় ত্বক টানা
মেইকআপ করার সময় গালে অতিরিক্ত ঘষামাজা করা হলে এবং ত্বকে যদি অনিয়মিত টান পড়ে তাহলে ত্বকে সময়ের আগেই বলিরেখা পড়তে পারে। তাই বলিরেখা এড়াতে হালকাভাবে মেইকআপ করাই ভালো।

সানস্ক্রিন না লাগানো
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে ত্বকে বলিরেখা ফেলে। বলিরেখা এড়াতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

ঘুমানোর ধরন
অনেকেই ঘুমানোর সময় গালের উপর ভর দিয়ে ঘুমান। এতে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পড়তে পারে। এই সমস্যা এড়াতে সার্টিন কাপড়ের বালিশের কাভার ব্যবহার করা ভালো। এছাড়া চিত হয়ে ঘুমালে ত্বকে শোয়ার কারণে বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা কমে।

বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

৪ টি ফলের তৈরী ফেসপ্যাক


১। স্ট্রবেরি ফেসপ্যাক –
১/২ কাপ পাকা স্ট্রবেরি এবং ১/৪ কাপ কর্ণ ফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকে নিয়ে আসবে তারুণ্যদীপ্ত উজ্জ্বলতা।

২। আভাকাডো ফেসপ্যাক –
৩ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম, ১/৪ আভাকাডো এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি যেন ক্রিমী হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। Dr. Ordon বলেন রোগীরা এই ফেসপ্যাক পছন্দ করে কারণ এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে তারুণ্যদীপ্ত করে তোলে।

৩। পিচ ফেসপ্যাক –
১টি পিচ ফল, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ চা চামচ ওটমিল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন এবং ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে ত্বক টাইট করে থাকে। পিচ ফলে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড আছে যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে বলিরেখা রোধ করে থাকে।

৪। কলার ফেসপ্যাক –
১টি পাকা কলা, ২ টেবিল চামচ মধু এবং ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে। কলার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

নিয়মিত এই প্যাকগুলো ব্যবহার করার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বক নরম কোমল করে থাকে।

কালো বা সেম বর্ণ ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর উপায়

১) সমস্তরকম ত্বকের ক্ষেত্রেই ননিয়মিত পরিচর্যা করা খুবই দরকার। আমাদের ত্বক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যস্ততার কারণে ত্বকের দিকে নজর দেওয়ার মতো সময় আমাদের হাতে থাকে না। ত্বক সুন্দর তখনই হয়, যখন তা পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন এবং যত্ন নেওয়া হয়।

২) ত্বক পরিষ্কার রাখতে অবশ্যই প্রত্যেকদিন ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং করা দরকার।

৩) শুধু ফর্সা ত্বকেই নয়, রোদে বাইরে বেরোলে সমস্ত ত্বকেই সানস্ক্রিন লাগানো খুবই প্রয়োজনীয়।

৪) ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত্‌। যেমন, ড্রাই ত্বকের জন্য যে প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যাবে, সেই একই জিনিস অয়েলি ত্বকের জন্য চলবে না।

৫) কালো ত্বকে কখনওই উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরা উচিৎ নয়। তাহলে আরও কালো দেখায়। ম্যাট ফিনিশ পোশাক পরলে কালো ত্বকের ব্যক্তিদের অনেক বেশি ভালো লাগে।