সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

নতুন বছরে শত কাজের ফাঁকে নিজের একটু যত্নের দিকে নজর দিন

১/সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বেসিক একটা মেকআপ সবাই করে থাকে। সেই বেজ মেকআপ ঠিক রাখতে হলে বার      বার মুখে হাত দেয়া যাবে না।

২/ঠিক তেমনি ভাবে বারবার চুলে হাত দেয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের বাউন্সি ভাব নষ্ট হয়ে যায়।

৩/দিনের বেশির ভাগ সময় যেহেতু এসির মধ্যে কাজ করতে হয় সেহেতু তৈলাক্ত ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। একারনে     হাতের কাছে সব সময় টিস্যু রাখতে হবে। তবে ওয়েট টিস্যু কখনই নয়।

৪/আবার অন্যদিকে শুষ্ক ত্বক আরও বেশি ড্রাই বা শুষ্ক হয়ে যায়। তাই মাঝে মধ্যেই টোনার স্প্রে করা উচিত।

৫/কাজের ফাকে মাঝে মধ্যেই ঠোটে মশ্চারাইজ গ্লস ব্যাবহার করা উচিত। এতে ঠোট ফাটবে না।

৬/দুপুর বেলা কিংবা বাইওে থেকে আসার পর ফেশ ওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এরপর মশ্চারাইজিং ক্রিম এবং সানস্ক্রিন ব্যাবহার করতে হবে। ইনহাউসে সানস্ক্রিনের প্রয়োজন রয়েছে।

৭/হাত ধোয়ার পর হ্যান্ড লোশন লাগিয়ে নিতে হবে। তা না হলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যাবে।

৮/অফিসে থাকা অবস্থায় দেড় থেকে দু লিটার পানি পান করা উচিত। এতে করে স্ক্রিন ভালো থাকবে।

৯/কাজ গুলো হাটতে চলতেই করা যায়। খুব বেশি টেনস নেয়ার প্রয়োজন নেই। সারাদিন সতেজ থাকাই কাম্য।

বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

রুপচর্চায় লেবুর রসের উপকারিতা

১) মুখের শ্রী বৃদ্ধি করার জন্য এক টুকরো লেবুর রসের সাথে দুই চামচ দুধ মিশিয়ে তুলার সাহায্যে মুখে প্রলেপ লাগান। ১৫ – ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলু্ন।

২) মুখের ব্রন এবং ব্রনের দাগ স রানোর জন্য লেবুর রস ত্বকে মাখা একান্ত দরকার। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রনের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। লেবু কিংবা গাজরের রস অল্প একটু চিনির সাথে মিশিয়ে খেলে এর হাত থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়।

৩) আধা চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকে আদ্রতা আনবে। মেক আপ করার আগে মুখে এই রূপটানটি লাগালে মুখ উজ্জল হবে।

৪) মুখের বলিরেখার দাগ আপনার সাজ নষ্ট করে দেয়। ১০ গ্রাম লেবুর রস এবং ১০ গ্রাম টমেটোর রস একত্রে মিশিয়ে বলিরেখার উপর লাগিয়ে ৫ মিনিট পর রেখে ধুয়ে নিন। বলিরেখা থাকবে না।

৫) পাকা কলা, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ২০ – ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। আবার লেবুর রসের সঙ্গে দুধ ও চন্দনের গুড়া দিয়ে পেস্ট করে পোড়া জায়গায় ম্যাসেজ করলে উপকার পাওয়া যায়।

৬) লেবুর রস ও শসার রস সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন। ব্যাস তৈরী হয়ে গেল অ্যান্টিজেন্ট লোশন। এটি ত্বকে লাগিয়ে দেখুন। কয়েকদিনের মধ্যেই ত্বকের তেলতেলে ভাব কমে যাবে।

৭) হাতের কনুই, হাঁটু, পায়ের গোড়ালি এসব জায়গায় বেশি ময়লা জমে। এ নিয়ে অনেকের ই দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই। আধা টুকরো লেবু নিয়ে এই জায়গাগুলোতে ভাল করে ঘষে নিলে ময়লা উঠে গিয়ে ঝকঝকে হয়ে উঠবে।

সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

ত্বকের যত্নে চন্দন

# বলি রেখা দূর করে
চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট আছে, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দন একটি চমৎকার anti-aging উৎস হিসেবে পরিচিত।

# রোদে পোড়া দাগ দূর করে
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বক জ্বলা কমাবে।

# ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি নেই। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।

# ডার্ক সার্কেল দূর করে
আপনার যদি ডার্ক সার্কেল থাকে তাহলে অল্প পরিমাণ চন্দনের গুড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হোয়ে যাবে।

# মুখের দাগ দূর করে
ডিমের কুসুম, মধু ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিক্সড করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে প্রতিদিন রাখলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।

# উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ১চা চামচ সাদা চন্দন কাঠের পেস্ট নিয়ে, আধা কাপ দুধের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আবার এই চন্দনযুক্ত দুধ খালিপেটে পান করুন। এরপর ৭-৮টি তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। কিছু সময়ের মধ্যেই রক্তচাপ কমে আসবে। ব্রঙ্কাইটিস রোগের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করলে উপকার পায়া যাবে

শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮

ত্বকের যত্নে চন্দন


# বলি রেখা দূর করে
চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট আছে, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দন একটি চমৎকার anti-aging উৎস হিসেবে পরিচিত।

# রোদে পোড়া দাগ দূর করে
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বক জ্বলা কমাবে।

# ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি নেই। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।

# ডার্ক সার্কেল দূর করে
আপনার যদি ডার্ক সার্কেল থাকে তাহলে অল্প পরিমাণ চন্দনের গুড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হোয়ে যাবে।

# মুখের দাগ দূর করে
ডিমের কুসুম, মধু ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিক্সড করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে প্রতিদিন রাখলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।

# উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ১চা চামচ সাদা চন্দন কাঠের পেস্ট নিয়ে, আধা কাপ দুধের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আবার এই চন্দনযুক্ত দুধ খালিপেটে পান করুন। এরপর ৭-৮টি তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। কিছু সময়ের মধ্যেই রক্তচাপ কমে আসবে। ব্রঙ্কাইটিস রোগের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করলে উপকার পায়া যাবে

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

ফেসিয়াল করার সঠিক নিয়ম

ক্লিঞ্জিং
প্রথমে ক্লিঞ্জিং দিয়ে মুখ ধোয়ার পূর্বে প্রথমে গরম ভাপ নিয়ে নিন। এটি আপনার মুখের লোমকুপগুলো খুলে দিতে সাহায্য করবে। ভাপ নেয়া হয়ে গেলে ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন ভালো করে। দুধে তুলা ভিজিয়ে ত্বক পরিস্কার করে নিতে পারেন।

ক্রিম ম্যাসাজ
ফেসিয়াল ক্রিম দিয়ে ১০ মিনিট ত্বকে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে নিন।

স্ক্র্যাবিং
এবার স্ক্র্যাব দিয়ে মুখ আলতো ভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষুন। তারপর উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য চালের গুঁড়া, সুজি অথবা চিনি হতে পারে সবচেয়ে ভালো স্ক্র্যাব।

টোনিং
সমপরিমাণ ভিনেগার ও গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন টোনার। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে খুবই উপযোগী। তুলা দিয়ে টোনার মুখে লাগান কিন্তু ভুলেও ঘষবেন না। চোখের কাছে লাগাবেন না।

এই পর্যায়ে ফেসিয়াল যে কোনো একটি মাস্ক প্রস্তুত করুন।

একটা শসা কুড়িয়ে, সেটা থেকে রসটা বের করে এক চামচ চিনি ভাল করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। ত্বকে মেখে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। শসার রস ত্বককে হাইড্রেট করে, ফলে ত্বক অনেক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।

দু’চামচ মসুর ডাল সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে মসুর ডাল বেটে তার মধ্যে অল্প দুধ ও আমণ্ড তেল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই প্যাকটা মুখে মেখে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন।

শসার রস, এক কাপ ওটমিল ও এক টেবিল চামচ দই একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণটা পুরো মুখে মেখে তিরিশ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।

একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মিশ্রণটা ২০ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

আজকাল সারা বছর টমেটো পাওয়া যায়। একটি টমেটো ভাল করে চটকে নিন। সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে আমাদের ত্বকের দাগগুলো সব মিলিয়ে যাবে।

ফুটন্ত গরম পানিতে ১ চামচ গ্রিন টি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ১টি বাটিতে ২ চামচ মুলতানি মাটি নিন। তাতে ২-৩ চামচ গ্রিন টি ভেজানো পানি মেশান। অ্যালোভেরার আবরণ সরিয়ে রস বের করে নিন। এবার মুলতানি মাটি ও গ্রিন টির মিশ্রণে মিলিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন, তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।



বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮

সুন্দর ত্বকের জন্য ফলের তৈরী টোনার

১। কমলার রসের টোনার
তিন চার টেবিল চামচ কমলার রস এবং লেবুর রস একসাথে মেশান। এর সাথে যেকোন এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতে পারেন। এই মিশ্রণটি তুলোর বলে লাগিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। কিংবা একটা স্প্রে বোতলে এই মিশ্রণটি ভরে ত্বকের উপর স্প্রে করুন। নিয়মিত এই টোনার ব্যবহার করুন।

২। আপেলের টোনার
একটি আপেলের অর্ধেকটা কুচি করে কেটে রস বের করে নিন। এতে মেশান ২ টেবিল চামচ মধু। এই মিশ্রণ মুখে লাগান এবং ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে ১ সপ্তাহ ব্যবহার করতে পারবেন।

৩। শসা এবং টকদই
এক কাপ টকদইয়ের সাথে কিছু পরিমাণ শসার রস মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মুখ এবং ঘাড়ে ভাল করে লাগান। এটি ৫-১০ মিনিট ত্বকে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি তৈলাক্ত এবং স্বাভাবিক ত্বকের জন্য উপযোগী।

৪। পেঁপে টোনার
৬-৭টি পেঁপের টুকরো চটকে নিন। এর সাথে দুই-তিন টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মেশান। একটি তুলোর বলে এই মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।

৫। স্ট্রবেরী স্কিন টোনার
এক মুঠো স্ট্রবেরী পেস্ট করে নিন। এরসাথে চার-পাঁচ ফোঁটা গোলাপ জল মেশান। এই মিশ্রণটি ত্বকে টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন। একটি এয়ার টাইট বোতলে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।

রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

ব্রনের জন্য কিছু মানসিক সমস্যা দায়ী হতে পারে

১। ডিপ্রেশন
সারা বিশ্বের সবচাইতে সাধারণ মানসিক সমস্যা হচ্ছে ব্রণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে সারা বিশ্বে বিভিন্ন বয়েসর ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ ডিপ্রেশনে ভোগেন। ২০০১ সালের ডারমাটোলজিস্টদের করা এক গবেষণায় জানা যায় যে, ৫০ জন ব্রণের রোগীর মধ্যে ৩৮% এরই ডিপ্রেশন ছিল এবং ৪ জনের আত্মঘাতী চিন্তা ছিল। অবশেষ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হন যে, ব্রণের রোগীদের বিষণ্ণতাকে চিহ্নিত করা চিকিৎসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২। অ্যাংজাইটি
উদ্বিগ্নতার সমস্যায় ভুগলে প্যানিক অ্যাটাক, শ্বাসকষ্ট, পেটের সমস্যা, অনিদ্রা, পেশীর টেনশন ও অত্যধিক চিন্তার মত শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ২০১০ সালে ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, উচ্চমাত্রার অ্যাংজাইটিতে ভোগেন যারা তাদের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে। ৮২ জন ব্রণের রোগীর মধ্যে ৬৮% এরই অ্যাংজাইটির সমস্যা ছিল এবং এদের মধ্যে কারো কারো ডিপ্রেশনের ও সমস্যা ছিল।

৩। অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার (OCD)
OCD এর বিষয়টি খুবই হালকা ভাবে নেয়া হয় এবং এবং ব্যাঙ্গও করা হয়। OCD এক ধরণের তীব্র অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার যা ব্যক্তির প্রাত্যহিক জীবনে হস্তক্ষেপ করে এবং তার উৎপাদনশীলতায়ও বাঁধার সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালে ১৪৬ জন ব্রণ আক্রান্ত ও ৯৪ জন সুস্থ মানুষকে নিয়ে একটি গবেষণায় পরিচালনা করা হয়। গবেষকেরা লক্ষ করেন যে, ব্রণের রোগীদের শারীরিক কর্মদক্ষতার স্কোর খুব কম আসে। এর কারণ ব্রণ আক্রান্তদের বারবার মুখ ধোয়ার প্রবণতা থাকে। মুখ পরিষ্কার করলে ব্রণের সমস্যা কমে যাবে এই আশায় তারা দিনের বেশির ভাগ সময় মুখ ধোয়ার পেছনে ব্যয় করে।

৪। বডি ডিজমরফিক ডিজঅর্ডার
বডি ডিজমরফিক ডিজঅর্ডার কে আরো স্পষ্ট ভাবে বলা যায় যে ডিজমরফোফোবিক একনি একটি মানসিক অবস্থা যেখানে রোগী দিনে বেশ কয়েক ঘন্টা তাদের চেহারার ত্রুটি ঠিক করার জন্য ব্যয় করেন। রোগী তার এই ত্রুটি সম্পর্কে চিন্তা করা বন্ধ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে রোগী ব্রণের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি সচেতনতা অনুভব করেন এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে লজ্জা বোধ করেন। গবেষকেরা লক্ষ করেছেন যে, ব্রণে আক্রান্তদের বডি ডিজমরফিক ডিজঅর্ডার একটি সাধারণ মানসিক অবস্থা।

৫। অর্থোরেক্সিয়া নার্ভোসা
অর্থোরেক্সিয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অস্বাস্থ্যকর আবেশ। যা স্বাভাবিক জীবনের উপর হস্তক্ষেপ করে। এর ফলে অপুষ্টিতে ভোগা এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তারা সম্ভবত ব্রণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশুদ্ধ ও সঠিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে। যখন তারা ঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া করতে পারে তখন তারা অনুভব করে যে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আছে এবং তারা যদি তা করতে না পারে তাহলে অপরাধবোধ, লজ্জা এবং ভয় অনুভব করে।

শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

চালের গুড়ায় তৈরী ফেসপ্যাক


চালের গুড়া যেভাবে কাজ করবে –

  • চালের গুড়ায় থাকে খুবই উচ্চমানের PABA (Para aminobenzonic acid), যা খুব ভালো সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। ফলে সুর্যের অতি ক্ষতিকর রশ্মি থেকে স্কিন থাকে সুরক্ষিত ।
  • চালের গুড়ায় থাকা allantoin নামের উপাদান  রোদে পোড়া ত্বক ঠিক করে ও  ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক রিপেয়ার করে।
  • চালের গুড়ায় থাকা tyrosinase নামক উপাদান স্কিনের মেলানিন উৎপাদনের হার কমিয়ে আনে।
  • চালের গুড়া স্কিনের অতিরিক্ত  অয়েল ও সেবাম উৎপাদন দূর করে।
  • চালের গুড়ায় থাকে অতি উচ্চমানের ভিটামিন বি, যা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ নতুন করে উৎপাদন করে  ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে
  • চালের গুড়া ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ঝুলে পরা রোধ করে টানটান করে তুলে।
এই চালের গুড়া দিয়ে বেশ কয়েকভাবে মাস্ক বানানো যায়। তবে এখানে আমি তিনটি ফেসমাস্ক বানানোর কথা আপনাদের জানাবো যা আপনাদের স্কিনে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। ফেস থেকে দাগ-ছোপ দূর করবে, টানটান করবে, ফর্সা ও উজ্জ্বল করবে কয়েক সেড  পর্যন্ত।

(১) চালের গুড়া, আটা ও দুধের মাস্ক

  • এক চা চামচ চালের গুড়া
  • এক চা চামচ আটা
  •  এক চা চামচ গুড়া দুধ/ দুই চা চামচ লিকুইড দুধ
সব উপাদান ভালো করে মিশাতে হবে। এরপর মুখ ধুয়ে মিক্সারটা মুখে  ও গলায় লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে ভালো করে। খেয়াল রাখতে হবে মুখে যেন কিছু থেকে না যায়। সপ্তাহে  ২/৩ বার লাগাতে হবে মাস্কটা। এক মাসের মধ্যেই দেখবেন স্কিন ঝলমল করসে।

(২) চালের গুড়া,মুলতানি মাটি ও টমেটোর মাস্ক

  • এক চা চামচ চালের গুড়া
  • আধা চা চামচ মুলতানি মাটি
  • অর্ধেকটা টমেটোর রস
এক সাথে সব উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার মুখ ধুয়ে মাস্কটা মুখে ও গলায় লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি আপনার স্কিনের অতিরিক্ত তেল, সেবাম দূর করবে আর স্কিন উজ্জ্বল করবে ভীষণ রকম। এই মাস্কটিও সপ্তাহে ২/৩ দিন লাগাতে হবে। তবে খুব ভালো হয় যদি রোজ একবার লাগানো যায়।  তবে সপ্তাহের মধ্যেই রেজাল্ট পাওয়া শুরু করবেন।

(৩) চালের গুড়া ও অ্যালোভেরা মাস্ক

এই মাস্কটি খুব ভালো এক্সফলিয়েটিং প্যাক হিসেবে কাজ করে। স্কিনের মরা চামড়া দূর করে খুব এফেক্টিভ-ভাবে। এর জন্যে আপনাকে যা করতে হবে তা হল-
  • এক চা চামচ চালের গুড়া
  • দুই চা চামচ অ্যালোভেরার রস
মিক্স করে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। ২০ মিনিট পর মুখ পানি দিয়ে ভিজিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে করে মাস্ক তুলে ফেলতে হবে। এরপর যথারীতি প্রচুর পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুই বার করলেই হবে।
যে কোন হোমমেড মাস্কে সাধারণত কেমিক্যাল ফ্রি হয়। তাই এইসব মাস্ক কাজ করতে একটু সময় নেয়। কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট খুব দ্রুত কাজ করে ঠিকই কিন্তু তার সাইড এফেক্টও থাকে। মাঝে মাঝে সাইড এফেক্টের প্রভাব হয় খুব ক্ষতিকরভাবে। তাই সময় একটু বেশি লাগলেও কেমিক্যাল ফ্রি হোমমেড মাস্কগুলোই স্কিনের জন্যে ব্যবহার করা ভালো। এতে স্কিনের ক্ষতি তো হয়ই না বরং নিয়মিত ব্যবহারে দীর্ঘমেয়াদী ফল পাওয়া যায়।

সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

নাইট ক্রিম ব্যবহার করা কেন জরুরি ?

নাইট ক্রিমের কিছু উপকারীতার কথা  আমাদের ত্বকের জন্য-

(১) আপনার ত্বককে সারা রাত ধরে নাইট ক্রিম ময়েশ্চারাইজ রাখে। ফলে ত্বকের সজিবতা ঠিক থাকে ।
(২) ত্বক মসৃণ রাখে আর ত্বকে আরাম দেয়।
(৩) আপনার ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে।
(৪) নাইট ক্রিম মাসাজ করার ফলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
(৫)  ত্বক মসৃণ রেখে ত্বকের টেক্সচার ঠিক রাখে।
(৬) ত্বকের বলিরেখা আর অন্যান্য ভাঁজ কমায়।
(৭) ত্বক রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা করে ।
(৮) ত্বক নরম ও ফুটফুটে রাখে।
(৯) ত্বকে বুড়িয়ে যাওয়া ছাপ পড়তে বাধা দেয়।
(১০) ত্বকে নুতন কোষ জন্মাতে ও ত্বকে পুষ্টি জোগাতে  নাইট ক্রিম অসাধারণ।

কোন ধরনের নাইট ক্রিম লাগাবেন?

আপনার ত্বকের সাথে যুতসই নাইট ক্রিম বেছে নিন । বাজারে অনেক ধরণের নাইট ক্রিম রয়েছে। স্বাভাবিক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক বা মিশ্র ত্বক ইত্যাদি সব ধরণের ত্বকের জন্যই আলাদা আলাদা নাইট ক্রিম আপনি বাজারে পাবেন এবং অনেক বিশ্বস্ত ব্রান্ডের নাইট ক্রিম পাবেন। নাইট ক্রিম কেনার সময় খেয়াল রাখুন ক্রিমটি যেন খুব ঘন না হয়। ঘন নাইট ক্রিম আপনার ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেবে যার ফলে ত্বকে ঠিকমতো বাতাস সরবারাহ হবে না । আর নাইট ক্রিম যেন সুঘন্ধিযুক্ত  না হয় আর এটি যেন অবশ্যই হাইপোএলারজিক হয় ।

কেন নাইট ক্রিম লাগাবেন?

আগেই বলেছি  ত্বকের জন্য কী কী ভালো কাজ করে এই নাইট ক্রিম । এটা বলা হয়ে থাকে যে, নাইট ক্রিমের একটিভ উপাদানগুলো রাতের বেলা আপনার ত্বকে ভাল কাজ করে দিনের বেলার ক্রিমের তুলনায়। আর রাতে আপনার ত্বকের কোষ রিজেনারেশানের ক্ষমতাও বেশী থাকে যখন আপনি ঘুমান।

সাধারণত কী কী উপাদান থাকে এই নাইট ক্রিমে?

নাইট ক্রিমে সাধারণত যেসব উপাদান থাকে তা হল – ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, জোজোবা ওয়েল, অলিভ ওয়েল, আপ্রিকট ওয়েল, রোজ ওয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, শিয়াবাটার, জেসমিন, অ্যান্টি এইজিং উপাদান, রেটিনল, এমিনো এসিড, এএইচএস, কপার, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, কোলাজেন।
ভালো এবং উন্নত মানের কিছু নাইট ক্রিমের নাম

 কিভাবে নাইট ক্রিম লাগাবেন

যেমন তেমন করে নাইট ক্রিম লাগাবেন না। তাতেত্বকের উপকার হবে না। নাইট ক্রিম লাগানোর পদ্ধতি হবে  নিম্নরুপ-
(১) নাইট ক্রিম লাগানোর আগে অবশ্যই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
(২) হাতের আঙ্গুলের ডগায় ক্রিম নিয়ে ফোটা ফোটা করে মুখের ত্বকে লাগান।
(৩) উপরের দিক থেকে নীচের দিকে বৃত্তাকারভাবে  ম্যাসাজ করে ক্রিম ত্বক মিশিয়ে দেবেন আস্তে আস্তে আলতো করে।
(৪) চোখের পাতায় নাইট ক্রিম লাগাবেন না ।
তাই আজ থেকেই আপনার ত্বকের যত্নে নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন । রাতে ঘুমানোর আগে আপনার নাইট ক্রিমের যত্ন সাথে নিয়েই ঘুমাতে যান যাতে সকালে আপনার মতো আপনার ত্বকও সজীব ও ফ্রেশ থাকে।






রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

১) টমেটো ও বেসনের মাস্ক

বেসন ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের নানা ধরণের দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই।
 – ২ টেবিল চামচ বেসনের সাথে প্রয়োজন মতো টমেটো রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
– এরপর এই পেস্টটি মুখ, ঘাড় ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন।
– ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করবেন এই মাস্কটি।

২) শসা ও লেবুর রসের মাস্ক

লেবুর রসের ব্লিচিং এজেন্ট ত্বকের দাগ ফিকে হয়ে আসতে সহায়তা করে এবং শসা প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার হিসেবে ত্বকের যত্ন নেয়।
– ৩ টেবিল চামচ শসা ও ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন।
– এই মিশ্রণটি মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।
– এরপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মাস্কটি প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারবেন।

৩) দুধ, মধু ও লেবুর রসের মাস্ক

প্রাচীনকাল থেকেই দুধ ও মধু রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপাদান বলে এর কদর রয়েছে বেশ।
– ১ টেবিল চামচ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালো করে।
– এরপর মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন মাত্র ১০ মিনিট।
– পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ভালো করে এবং তোয়ালে আলতো চেপে মুখ শুকিয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।

মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮

রূপচর্চায় হলুদের গুণাগুণ

১। কারো গায়ের রঙ সুন্দর বোঝাতে গিয়ে আমরা কাঁচা হলুদের কথা বলি। এই কাঁচা হলুদ আমাদের গায়ের রঙ উজ্জ্বল হতে তো সাহায্য করেই, পাশাপাশি ত্বকের ভেতর থেকেও যত্ন নেয় এটি। রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার দীর্ঘদিনের। ত্বকের যত্নে নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। তবে হলুদ দিয়ে কখনো রোদে বের হবেন না। তাহলে ত্বক পুড়ে যাবে। হলুদ দিয়ে রূপচর্চা করবেন রাতের বেলা। কখনই দিনের বেলা নয়।

২। ব্রণের সমস্যা থাকলে কাঁচা হলুদের রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিমপাতার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকে লাগান। প্যাক শুকিয়ে এলে গোলাপজল দিয়ে ম্যাসাজ করে প্যাকটি নরম করে নিন এবং পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন।

৩। গোসলের আগে কাঁচা হলুদ, মধু, ডিমের কুসুম ও নারিকেল তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে পুরো মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘন্টা বাদে তুলে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪। হলুদের গুড়োর সাথে শশার রস অথবা লেবুস রস মিশিয়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক কতটা মসৃণ লাগে।

৫। হলুদ বেটে সারা শরীরে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হবে।

৬। কাঁচা হলুদের রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগান। প্যাক শুকিয়ে এলে গোলাপজল দিয়ে মুছে নিন।

৭। সামান্য একটু কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন।

৮। অল্প একটু দুধের ক্রিমের সাথে হলুদ মিশিয়ে লাগালে ত্বক হবে কোমল, মসৃণ আর সতেজ।

৯। হলুদের গুঁড়া ব্রণ প্রতিরোধ করে। হলুদ বাটা ক্ষতস্থানের ব্যথা দ্রুত কমায় এবং ঘা প্রতিরোধ করে।

১০। দাগ বা ব্রণ দূর করতে টমেটোর রস, কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন।

১১। কাঁচা হলুদ, মসুর ডাল একসাথে বেটে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেললে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

ত্বকের কালো দাগ দূর করতে নিমপাতা আর গোলাপজল

 
যা যা লাগবে
-দুই চা চামচ নিমপাতা বাটা,
- এক চা চামচ মধু ও
-দুই চা চামচ গোলাপজল।

নিমপাতা ত্বকে অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে।
এ ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা ত্বকের কালো ছোপ ছোপ দাগ সহজেই দূর করে।
গোলাপজল ত্বকের ময়লা-ধুলাবালি দূর করে, লোমকূপের মুখ পরিষ্কার করে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করে।
অন্যদিকে মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
-প্রথমে একটি বাটিতে নিমপাতা, মধু ও গোলাপজল একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
-এবার মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে প্যাকটি লাগান।
-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
-ঠান্ডা পানি মুখ ভিজিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।
-এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
-ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এই প্যাক ব্যবহার করুন।-

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮

শ্যাম্পুর পর ঝলমলে সুন্দর চুল পেতে করণীয়

চায়ের লিকার থেরাপি –
ঝলমলে চুলের জন্য দারুণ কাজ করে চায়ের লিকার। চুল যেমনি হোক না কেন তৈলাক্ত, শুষ্ক বা স্বাভাবিক- এই চায়ের লিকার মানিয়ে যাবে খুব সহজে।

এটা তৈরির জন্য দুই কাপ পানি নিন। তার মাঝে ৬ টেবিল চামচ ফ্রেশ চা পাতা দিন। এটাকে এখন অল্প আঁচে চুলায় ফুটতে দিন। ফুটে ফুটে লিকার ঘন হবে। এবং দুই কাপ পানি কমে এক কাপের কম হলে বুঝবেন যে রেডি।

এখন এটাকে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণ মাখুন। ৫ মিনিট পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ভিনেগারে চুলের চমক –
শ্যাম্পু করে ফেলছেন? এবার ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। আধা কাপ ভিনেগার এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করা চুল। ৫ মিনিট পর আবার একটু স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শুকিয়ে নিলেই পাবেন ঝলমলে চুল।

বেকিং সোডায় উজ্জ্বল চুল –
নিস্প্রান চুলকে ঝলমলে করে তুলতে বেকিং সোডার কোন বিকল্প নেই। এ কাপ হালকা গরম পানির মাঝে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করা ভেজা চুলে এই মিশ্রণ লাগান। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এবার চুলের চমক দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!

রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

মাত্র দুই দিনে চুল পড়া বন্ধ করতে কার্যকরি টিপস!

চুল পড়ে hair fall যাওয়ার সমস্যায় সাধারনত কমবেশি সবাই ভোগেন। এর ফলে বয়স বাড়ার আগেই আপনার মাথায় টাক পড়তে শুরু করে। এই সমস্যার সমাধানে সরিষার তেল ও দারুচিনি গুঁড়া ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক এই উপাদান দুটি অনেক দ্রুত আপনার চুল পড়া hair fall সমস্যার সমাধান করবে।

যা যা লাগবে –

সরিষার তেল এক টেবিল চামচ ও দারুচিনি গুঁড়া দুই চা চামচ। এ উপাদান দুটি চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। এ ছাড়া এটি রুক্ষতা দূর করে চুল নরম ও মসৃণ করে। আর নতুন চুল গজাতেও hair growth এ উপাদান দুটি বেশ কার্যকর।

যেভাবে ব্যবহার করবেন –

প্রথমে একটি বাটিতে সরিষার তেল ও দারুচিনি গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুল ও মাথার তালুতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে চুলে মাইল্ড শ্যাম্পু লাগান। শ্যাম্পু ভালোভাবে পরিষ্কার করে চুলে বেশি করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

পরামর্শ –

১. ভালো ফল পেতে হলে পরপর দুদিন এই প্যাক ব্যবহার করুন।
২. খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ডায়েটের তালিকায় চুলের জন্য পুষ্টিকর খাবার রাখুন।
৩. চুল ঘামলে সঙ্গে সঙ্গে শুকানোর চেষ্টা করুন। না হলে মাথার তালু ভেজার কারণে চুলের গোড়া নরম হয়ে যাবে। আর চুল পড়ে hair fall যাওয়ার অন্যতম কারণ এটি।

শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮

ত্বকের সৌন্দর্যে অ্যালোভেরা


অ্যালোভেরা ত্বকে লাগাতে হলে প্রথমেই মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি তাজা অ্যালোভেরার ভেতরের অংশ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন। সেই রস তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। রস শুকিয়ে গেলে এভাবেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। সারারাত অ্যালোভেরার রস ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখবে।
তুলো বা সুতি কাপড় ছাড়া অন্যকিছু দিয়ে ত্বকে অ্যালোভেরা লাগানো ঠিক নয়। তাতে অ্যালার্জী হওয়ার ঝুকি তৈরি হয়। অনেক সময় ত্বকে ক্ষত দেখা দেয়। এ ধরনের ক্ষতে নির্ভয়ে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এতে ক্ষত স্থান দ্রুত মসৃণ হয়। শুধু মুখের জন্য নয়, পুরো শরীরে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এক্ষেত্রে সাবধানতা হলো, অ্যালোভেরার রস ত্বকে লাগিয়ে রোদে যাওয়া যাবে না। তাতে উল্টো ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

ত্বক এর সৌন্দর্য বাড়াতে মসুর ডাল

আপনারা হয়তো জানেন না যে সুন্দর, মসৃণ, মোলায়েম ও উজ্জ্বল ত্বক পাবার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে রান্না ঘরের সাধারণ মসুর ডাল। আসুন, জেনে নিই মসুর ডাল দিয়ে রুপচর্চা করার নানা পদ্ধতি।

মুখের কালচে ভাব দূর করতে 
মসুর ডালকে রাতে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সকাল বেলায় ডালটা পিষে মুখে লাগান। রোজ যদি মুখে এই প্যাকটা লাগান আপনার চেহারায় কালো ভাবটা দূর হয়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন, ডালটা রোজ তাজা তাজা পিষতে হবে আর কাঁচা দুধ ব্যবহার করবেন।

ত্বক সতেজ করতে
মসুরির ডাল পিষে তার মধ্যে মধু এবং দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক সতেজ হবে।

মুখে বা পিঠের দাগ দূর করতে 
যদি মুখে বা পিঠে দাগ হয়, তাহলে মসুরির ডালের সাথে পোলাও চাল মিশিয়ে পেস্ট করুন। এর সাথে চন্দন পাউডার, মুলতানী মাটি, কমলা লেবুর শুকনো গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। ৪ চামচ শশার রসও দিন। মুখে এবং শরীরের নানা স্থানে ঐ পেস্টটা লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার পরে ধুয়ে ফেলুন।

 হাতের কনুইর রুক্ষভাব কমাতে এবং কালো দাগ দূর করতে 
দুধে মসুর ডাল ভিজিয়ে বাটুন। মসুর ডাল বাটা, হলুদ বাটা, পালংশাক বাটা, টমেটোর রস, সূর্যমুখীর তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কনুইয়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে 
রোদেপোড়া দাগ কমাতে মসুর ডালবাটা, কাঁচা হলুদবাটা ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।

বলিরেখা দূর করতে 
বলিরেখা দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে মসুর ডাল বাটা দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখুন ফেস প্যাক হিসাবে। নিয়মিত লাগালে অবশ্যই দারুন উপকার পাবেন।

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

৮টি স্বাস্থ্যকর খাবার সকালের নাস্তায় রাখুন

সকালের নাস্তায় আপনি কী খাবার খান? রুটি, পরোটা নাকি ওটস? স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই ফল, ডিম, অথবা ওটস দিয়ে দিনের শুরু করে থাকেন। সকালের খাবার আপনাকে সারাদিনের কাজের শক্তি প্রদান করে। তাই দিনের শুরুতে এমন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত যা আপনাকে সারাদিন কাজে শক্তি দেবে। ভারী খাবার, অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার সকালে না খাওয়াই ভাল। এর পরিবর্তে খেতে পারেন এই খাবারগুলো।

১। জাম্বুরা
সকালের নাস্তায় অনেকেই ফল খেয়ে থাকেন। তারা খুব সহজেই নাস্তায় জাম্বুরা রাখতে পারেন। দেশি এই ফলটা আপনার ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করবে। গবেষণায় দেখা গেছে খাবারের আগে অর্ধেকটা জাম্বুরা খেলে খাওয়ার রুচি অনেকখানি কমিয়ে দেয়। এছাড়া এটি শরীর দীর্ঘসময় হাইড্রেটেড রাখে।

২। ডিম
দিনের শুরুটা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডিম দিয়ে শুরু করুন। আপনার যদি মিষ্টি খাবারের প্রতি দুর্বলতা থাকে, তবে সকালে ডিম খান। এটি সারাদিনে কাজের এনার্জি দেবে, তার সাথে মিষ্টি খাবার খাওয়ার আগ্রহ কমিয়ে দেবে।

৩। টকদই
টকদই শুধু ক্যালসিয়ামের উৎস নয়, এটি অনেকগুলো মিনারেল যেমন ফসফরাস, ভিটামিন বি১২, পটাসিয়াম, এবং জিঙ্কের অন্যতম উৎস। টকদইতে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়া হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।

৪। কাজুবাদাম
কাজুবাদাম শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে ভাল কোলেস্টেরল তৈরি করতে সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় এক মুঠো কাজুবাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৫। ওটমিল
ওটমিলে বিটা গ্লুকোন জাতীয় দ্রবণীয় আঁশ রয়েছে যা হাইপারটেশন এবং কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ওটমিল পেট ভরা রেখে সারাদিনে কাজের শক্তি দিয়ে থাকে। এটি ওজন হ্রাস করতেও সাহায্য করে।

৬। কলা
সকালে নাস্তার সাথে একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। কলার পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ডিমের মত কলাও সারাদিনের কাজে শক্তি দিয়ে থাকে।

৭। স্ট্রবেরি
ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। চেষ্টা করুন ওটস অথবা সালাদের স্ট্রবেরি রাখার। স্ট্রবেরি মিল্কশেকও সকালের নাস্তায় খেতে পারেন।

৮। গ্রিন টি
সবুজ চায়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক পরিচিত রয়েছে। এটি ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। তাই সকালে নাস্তার সাথে এক কাপ গ্রিন টি পান করুন।

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

ত্বকের ধরণ অনুযায়ী হলুদের কার্যকরী ফেসপ্যাক


ত্বকের ধরণ অনু্যায়ী কাঁচা হলুদের প্যাকে রয়েছে ভিন্নতা। ত্বকের ধরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁচা হলুদের প্যাক ব্যবহার করা উচিত। আসুন তাহলে জেনে নিই কোন ত্বকে কোন প্যাকটি কার্যকর।

শুষ্ক ত্বকের জন্য

১। হলুদ এবং বেসনের প্যাক
২ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো, ১ চা চামচ দুধের সর এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক যদি অনেক শুষ্ক হয়, তবে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
২। ডিম এবং হলুদের প্যাক
১টি ডিমের সাদা অংশ, কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল, ১/২ চা চামচ গোলাপ জল, লেবুর রস এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি মুখ ও ঘাড়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই প্যাক দুটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

১। টক দই এবং হলুদের প্যাক
২ চা চামচ টক দই, ১ চা চামচ মুলতানি মাটি, গোলাপ জল এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। আপনি চাইলে এতে চন্দনেরগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।এই প্যাকটি ভাল করে মুখ এবং ঘাড়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২। চন্দনের গুঁড়ো এবং হলুদের প্যাক
২ চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো, এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো ভাল করে মেশান। এর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে নিতে পারেন। মুখে ভাল করে প্যাকটি লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই প্যাক দুটি ত্বকের সানবার্ন এবং তেল দূর করে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। চন্দনের গুঁড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

সেনসিটিভ বা সংবেদনশীল ত্বক

১। অ্যালো ভেরা এবং হলুদের প্যাক
২ চা চামচ মুলতানি মাটি, ১ চা চামচ টক দই, ১/২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি ভাল করে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সেনসিটিভ ত্বকে প্যাক ব্যবহারে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। অ্যালোভেরা এবং হলুদের প্যাক ত্বকের যেকোন প্রকার দাগ দূর করে ব্রণের প্রবণতা কমিয়ে থাকে।

শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮

রূপচর্চায় আলুর অসাধারণ ১৭টি ব্যবহার

আলু শুধু তরকারি রান্নার জন্যই নয়, রূপচর্চার জন্যেও দারুণ একটি উপকারি জিনিস। চোখের নিচে কালো দাগ, চোখের ফোলা ভাব, ব্রণ, ত্বকের কালো দাগ, ত্বকের তেলতেলে ভাব এবং চুল চকচকে করতেও আলুর জুড়ি নেই। আজকে জেনে নিন সৌন্দর্যবর্ধনে আলুর ১৭টি দারুণ ব্যবহারের কথা।

১. চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে হলে আলু কেটে সেখানে লাগিয়ে রাখুন।

২. চোখের ফোলা ভাব দূর করতে হলে আলু চাকতি করে কেটে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। বেশ আরামও পাবেন চোখে।

৩. লেবু রস ও আলু ছেঁচে তার রস মিশিয়ে মুখের লাগান। কালো দাগ black spot দূর হয়ে যাবে।
৪. আলুর রস পুরো মুখে লাগান। ব্রন pimple নিরাময়ে ভালো কাজ দেবে।

৫. মাঝারি সাইজের আস্ত একটি আলু ছেঁচে তাতে একটি লেবুর রস Lemon juice মিশিয়ে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সুস্থতা ফিরে পাবে।

৬. একটি আলু ও একটি শসা Cucumber একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও এক টেবিল চামচ পানি মেশান। এটি একটি দারুণ ক্লিনজার হিসেবে কাজ করবে।

৭. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। তৈলাক্ত ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব দূর হবে।

৮. একটি আলু ছেঁচে তাতে এক টেবিল চামচ দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকের বলিরেখা Skin balirekha দূর করবে।

৯. ত্বকের ওপরে হালকা জখম হলে তাতে আলু পাতলা করে কেটে লাগিয়ে রাখুন। প্রদাহ কমে যাবে। তবে বেশি ক্ষততে লাগাবেন না।

১০. একটি ডিমের সাদা অংশ এবং আলু ছেঁচে তার রস নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। একটি ব্রাশ দিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মাস্কের কাজ করে।

১১. আলু potato ছেঁচে তার রসে একটি টিস্যু বা পেপার টাওয়েল ভিজিয়ে নিয়ে ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এটি একটি উপকারী আলুর ফেস মাস্ক।

১২. আলুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু honey মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ময়েশ্চারের অভাব দূর হবে।

১৩. অতিবেগুনী রশ্মিতে ত্বক পুড়ে গেলে আলুর স্লাইস দারুণ কাজে দেয়।

১৪. হালকা চুলকানি, লালচে ভাব হওয়া এবং পোকা-মাকড়ের কামড়ে আলু কেটে লাগালে যন্ত্রণা প্রশমিত হবে।

১৫. রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে dry hair আলু ছেঁচে তার রস লাগালে তা চুলের ময়েশ্চারের কাজ করে।

১৬. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। শুষ্ক ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব চলে আসবে।

১৭. কয়েকটি আলু সেদ্ধ করুন। খোসা ছাড়িয়ে এক ঘণ্টা ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার শুষ্ক চুলে এগুলো ঘষতে থাকুন। ধূসর চুলগুলো চকচকে হয়ে উঠবে।

বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৮

মুখের কালো দাগ দূর করতে রাতে ঘুমানোর আগে ছোট্ট এই কাজ টুকু করুন।

ব্রণের দাগ হোক বা অন্য কারণে হওয়া দাগ, আপনার সুন্দর চেহারায় কালো দাগ মোটেও মানানসই নয়। কুৎসিত কালো দাগ যে কোন সুন্দর চেহারাকেও মলিন করে দেয়।


অনেক ক্রিম মেখে, পার্লারে ট্রিটমেন্ট করিয়েও কাজ হচ্ছে না? তাহলে মুখের দাগ দ্রুত দূর করতে অবলম্বন করুন এই উপায়টি। রোজ রাতে করুন এই ছোট্ট একটু রূপচর্চা। অল্প কিছুদিনের মাঝেই মুখের দাগ মিলিয়ে যেতে শুরু করবে।

কী ব্যবহার করবেন?
 মুখের দাগ দূর করতে আমরা ব্যবহার করবো লেবু। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে সকল অ্যান্টি স্পট ফেয়ারনেস ক্রিম লেবুর কথা বলে। কারণ একটাই, লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে।
তবে লেবু এই রূপচর্চাটি কেবল রাতের বেলায় করতে হবে এই কারণে যে সূর্যের আলো আপনার ত্বকে রিঅ্যাকশন করতে পারে। রাতের বেলায় রূপচর্চাটি করলে সূর্যের আলো বা গরমে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং ত্বক সম্পূর্ণ ৮-১০ ঘণ্টা পাচ্ছে দাগ দূর করার জন্য।




কী করবেন?
দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন আপনি। যদি আপনার ত্বক হয়ে থাকে স্বাভাবিক, তাহলে মাত্র ৫ মিনিটের একটি কাজ করতে হবে আপনাকে। যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ হয়ে থাকে, তাহলে সময় লাগবে ৩০ মিনিট।
-মুখ খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
-যদি স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে তাজা পাকা লেবুর রস (যে লেবু পেকে হলদে হয়ে গেছে, অর্থাৎ লেমন) সরাসরি মুখের কালো দাগে লাগিয়ে নিন। লেবুর রসের সাথে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।
তারপর শুকাতে দিন। এবং লেবুর রস মুখে নিয়েই ঘুমিয়ে যান। স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বকে কোন সমস্যা হবে না। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ মুছে নিন।
-আর যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ ত্বক হয়, তাহলে পাকা লেবুর রসের সাথে মুলতানি মাটি ও মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ধোয়া মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ মিলিয়ে যাবে।

টিপস-
ত্বকে লেবুর রস দেয়ার পর যদি কোন রকম অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে মুখে ধুয়ে ফেলুন এবং পুনরায় ব্যবহার করবেন না।

ত্বকের ধরন ভেদে শীতকাল উপযোগী ঘরোয়া স্ক্রাব

শীতের রুক্ষতা সবসময় প্রভাব ফেলে আমাদের স্কিনে। স্কিন টাইপ যেমনই হোক না কেন, শীতে তা হয়ে যায় রুক্ষ, শুষ্ক, প্রাণহীন। তাই শীতকালে আমাদের স্কিনের জন্যে যত্নের কমতি থাকে না। শীতকালে স্কিনের যত্নে যে জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ,  তা হলো স্ক্রাবিং। স্ক্রাবিং শীতকালে স্কিনের মরা চামড়া দূর করে, স্কিন ফাটা রোধ করে, স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ এবং সফট করে তোলে।

তবে শীতকালে স্কিন কেয়ারটা  একটু  আলাদা হয়ে থাকে। তাই স্ক্রাবিং করতে হলে, স্ক্রাবগুলো হতে হবে শীতকালের উপযোগ। এছাড়াও ফেস, বডি,  হাত পায়ের জন্য দরকার  আলাদা আলাদা স্ক্রাব।
তো চলুন জেনে নিই, কীভাবে ঘরে বসেই বানাবেন শীতকালের জন্য উপযোগী  (A to Z) স্ক্রাব।
কীভাবে স্ক্রাব করবেন? প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন ফেসওয়াসের সাহায্যে। এবার স্ক্রাব নিয়ে স্কিনে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে থাকুন। সবসময় ঘড়ির কাটার উলটো দিকে ম্যাসাজ করবেন। ৩-৪ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্রাবিং করার পর স্কিনে অবশ্যই ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন।

জেনে নিলেন তো স্কিনে কী উপায়ে ম্যাসাজ করতে হয়। এবার একে একে মুখ থেকে শুরু করে হাত-পায়ের জন্য পারফেক্ট স্ক্রাবার তৈরি উপায় জানব।

(১) ফেস স্ক্রাব 

ফেস স্ক্রাব টি আপনি ব্যবহার করবেন শুধুমাত্র মুখেই। কারন, মুখের ত্বক অনেক পাতলা হয়। তাই, সেটি খেয়াল রেখেই সবসময়  স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে।
  • চালের গুঁড়ো
  • অ্যালোভেরা জেল
  •  মধু
যেভাবে তৈরি করবেন – 
চালের গুঁড়ো এর সাথে মধু এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। বেশী ঘন হয়ে গেলে একটু পানি মিশিয়ে নিন এবং ব্যবহার করুন।

(২) হাত-পায়ের জন্যে স্ক্রাব

  • দারুচিনি
  • মধু
  • লেবুর রস
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন-
দারুচিনি গুঁড়ো  করে নিন। দানা-দানা ভাব যেন থাকে। এবার দারুচিনির সাথে বাকি উপকরণ মিশিয়ে নিন।   হাত এবং পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন।

(৩) বডি স্ক্রাব

  • চিনি
  • আমন্ড বাদাম
  • গুঁড়ো দুধ
  • টমেটোর রস

যেভাবে তৈরি করবেন – 
আমন্ড বাদাম গুড়ো করে নিন। এবার বাকি সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে নিন।

(৪) লিপ স্ক্রাব 

  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
  • ভ্যানিলা ফ্লেভার
যেভাবে তৈরি করবেন-
সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন।

(৫) নখের জন্যে স্ক্রাব 

শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও, নখেও স্ক্রাবিং এর প্রয়োজন রয়েছে। নখ এবং নখের আশেপাশের মড়া চামড়া দূর করে নখকে শক্ত করে তুলতে স্ক্রাবিং জরুরী।
  • অলিভ অয়েল
  • লেবুর রস
  • ছোট ব্রাশ
যেভাবে তৈরি করবেন –
অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি কটন বলের সাহায্যে নখে মিশ্রন টি কিছুহ্মন লাগিয়ে রাখুন। এবার ছোট ব্রাশের সাহায্যে নখ এবং নখের চারদিক ঘষে নিন এবং ধুয়ে ফেলুন।

(৬) হাত ও পায়ের তালুর জন্যে স্ক্রাব 

হাত ও পায়ের তালুও শীতের রুক্ষতা থেকে রেহাই পায় না। যার ফলাফল হাত ও পায়ের তালু শক্ত হয়ে যাওয়া, চামড়া ওঠা, ফেটে যাওয়া। এজন্য এই সব স্থানেও স্ক্রাবিং প্রয়োজন।
  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন –
চিনি এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত-পায়ের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট।
এই তো, জেনে নিলেন শরীরের বিভিন্ন স্থানের জন্যে শীতের উপযোগী বিভিন্ন ধরনের স্ক্রাব। আশা করছি, আপনাদের একটু হলেও সাহায্য করতে পেরেছি।

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮

চুলের আগা ফাটা রোধের সহজ ৫ উপায়



চুল ছাঁটা
এটি চুলের ফাটা রোধ করার একটি সহজ উপায়। অনেকেই ভাবে এতে চুল ছোট হয়ে যাবে । তাই তারা চুল ছাঁটতে চান না। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে নিয়মিত চুল ছাঁটলে দ্রুত বাড়ে।

গরম টাওয়েল ট্রিটমেন্ট
এ পদ্ধতি শুধুমাত্র চুলের আগা ফাটা রোধ করে না; পাশাপাশি চুলের কোমলতাও ধরে রাখতে সাহায্য করে। এজন্য প্রথমে ভালোভাবে চুলে তেল লাগান। তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চিপে নিন। এই তোয়ালে গরম থাকতেই পুরো মাথায় জড়িয়ে ফেলুন। ১০ মিনিট রেখে খুলে ফেলুন। এভাবে ৩-৪ বার করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

অলিভ অয়েল
শুধু ত্বক নয় চুলের জন্যও অলিভ অয়েল সমান উপকারী। চুলের গোড়ার সঙ্গে আগাতেও অলিভ অয়েল লাগালে দেখবেন চুলের আগা ফাটার পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে।

লেবুর রস
লেবুর রস সৌন্দর্য চর্চায় নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। চুলের যত্নেও তাই। লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ পানি চুলের আগায় ভালো করে লাগান। ‌এরপর ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন করলে ভালো উপকার পাবেন।

চায়ের লিকার
চায়ের ঠাণ্ডা লিকার চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করে। একটি পাত্রে চায়ের লিকার নিয়ে চুলের আগা তাতে ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত চায়ের লিকার ব্যবহারে চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮

মুখের দাগ দূর করার ভেষজ কিছু পদ্ধতি


মুখের কালো-সাদা ছোপ ছোপ দাগ, ব্রণ বা মেছতার দাগ চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। আমরা নানা প্রসাধণী এবং উপকরন ব্যবহার করি এসব দাগ দূর করার জন্য। আজকে আসুন দেখে নিই মুখের দাগ দূর করার ভেষজ কিছু পদ্ধতি।

• মুখের কালো ছোপ দূর করতে ১ চা চামচ ধনিয়া পাতার রসের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে ঠান্ডা পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহারেই উপকার পেতে শুরু করবেন।

 • যাদের মুখে মেছতার দাগ আছে তারা ১ চা চামচ সাদা জিরা গুঁড়া, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া, ১ চা চামচ সরিষা গুঁড়া ও ১ চা চামচ আটা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মেছতার দাগে লাগান। বিশ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 • আপনার মুখে যদি ব্রণের দাগ থাকে, তাহলে প্রতিদিন গোলাপজল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন ব্রণের দাগ হালকা হয়ে যাবে।

• মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ে গেলে সেই ছাপ কাটাতে চন্দন বাটা, তুলশি বাটা, গোলাপজল মিশিয়ে গলায় ও মুখে লাগান। দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

মাথার খুশকি দূর করতে করণীয়


নিজের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার যথাসাধ্য পরিষ্কার এবং আলাদা রাখলে তাতেই খুশকি অনেক কমে যাবে। আর বাইরেও রয়েছে কিছু করণীয়। চলুন জেনে নিই-

টকদই ও মেহেদি বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মাথার চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে ৩৫-৪০ মিনিট। পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। দু-তিনবার ব্যবহারে খুশকি চলে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে অনেক সুন্দর। দুই থেকে তিন দিন বা সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলেই হবে।

ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালেও খুশকি কমে যেতে পারে।
অতিরিক্ত খুশকি তাড়াতে মাথায় তেল দেয়া বন্ধ রাখতে হবে। খুশকিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখতে হবে। একদিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে খুশকি কমে যেতে পারে।

মেথিবাটা, পেঁয়াজ, নিমপাতা, লেবুর রস, টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়াায় লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। আপনার ব্যবহৃত চিরুনি ডেটল পানিতে ধুয়ে নিন।
কাঁচা পেঁয়াজের রস খুশকি দূর করে।

তিলের তেল, মেথি গুঁড়া করে মিশিয়ে ১৫ দিন রেখে দিতে হয়। তারপর ওই তেল দুই মাস ব্যবহার করতে হবে। তাতে খুশকির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। পাশাপাশি চুল পড়াও অনেক কমে যাবে।
পুরনো তেঁতুল গুলিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে, পর ধুয়ে ফেললে খুশকি দূর হবে
নারী-পুরুষ উভয়েই খুশকি সমস্যায় ভুগে থাকে। নানা কারণে মাথায় খুশকি হতে পারে।  বিশেষ করে আর্দ্রতা বেশি হলে চুলের লোমকূপে ময়লা জমে গিয়ে খুশকি হতে পারে। এছাড়া আরও অন্যান্য কারণতো আছেই। তবে দৈনন্দিন চলাফেরায় একটু সচেতন হলেই খুশকি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে সেসব উপায় নিয়েই আলোচনা করা হলো :
নিয়মিত চুলের যত্ন : খুশকি প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য চিরুনি ও চুল মোছার তোয়ালে আলাদা রাখুন। এছাড়া চুল খুশকি মুক্ত রাখতে নিয়মিত চিরুনি, তোয়ালে, বালিশের কভার ও চাদর পরিস্কার রাখা প্রয়োজন। এমনকি ভেজা অবস্থায় চুল না আঁচড়ানো ভালো।
খাদ্যাভাস : খাদ্যাভাসও চুলের খুশকি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এজন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং টাটকা ফল, সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
এছাড়া খুশকি দূর করতে যা করবে হবে :
১. খুশকি দূর করতে অনেকেই ছুটে চলেন নামিদামি পার্লারে। যাদের নিয়মিত পার্লারে যাওয়া সম্ভব হয় না তারা ঘরে বসে নিজেই নিতে পারেন চুলের যত্ন। এক্ষেত্রে জেনে নিন কিছু টিপস-
২. জবা ফুল, আমলকি ও জলপাই একসঙ্গে বেটে পেস্ট করে চুলে লাগিয়ে, আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করলে খুশকি কমে যায়।
৩. দূর্বা ঘাস ও নিমপাতা বাটা, ভিনেগার ও শসার রস মিশিয়ে পেস্ট করে মাথার তালুতে লাগিয়ে আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।
৪. তুলসি পাতা বাটার সঙ্গে কর্পুর ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় আধা ঘণ্টা রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করুন। এতেও ভালো পাবেন।
৫. কাঁচা আমলকি ছেঁচে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলায় গরম করে অথবা রোদে ২-৩ দিন শুকিয়ে বোতলে ভরে রেখে দিন। সপ্তাহে ২ দিন সেই তেল মাথায় লাগালেও খুশকি চলে যাবে।
৬. চুলে শ্যাম্পু করার আগে মাথায় গরম তোয়ালের ভাপ দিতে হবে।
৭. মেথী বাটা, আমলকির রস, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই, পানিতে পেস্ট করে মাথায় দিয়ে আধঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাতেও খুশকি চুলে যাবে।
৮. আমলকি ও শিকাকাই গুঁড়ো, নারকেল তেলের সঙ্গে পেস্ট করে চুলে দিন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করলেও খুশকি থাকবে না।
৯. পেয়াঁজের রস মাথার তালুতে দিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
১০. লেবু খুশকি দূর করে। এজন্য শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে লেবু মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
১১. হেনা পাউডার, রিঠা পাউডার দিয়ে তৈরি ভেষজ প্যাক ব্যবহার করলেও খুশকি দূর হবে।
১২. ১ চা চামচ লেবুর রসের সাথে ৫ চা চামচ নারকেলের তেল ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তারপর মাথার তালুতে লাগিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটিও খুশকি দূর করতে কাজ করবে।
১৩. ভিনেগার খুশকির হাত থেকে মুক্তির অন্যতম প্রধান উপাদান। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে এতে থাকা পটাসিয়াম এবং এনজাইম ইচি স্কাল্প আর খুশকি সারিয়ে তোলে। একটি কটন প্যাডে ভিনেগার নিন। তারপর চুলে বিলি কেটে কেটে পুরো মাথায় লাগান। সপ্তাহে ২ দিন গোসলের ১ ঘণ্টা আগে লাগিয়ে রাখুন।
১৪. বেকিং সোডা খুব ভালো অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। এক মুঠো শ্যাম্পুর সাথে এক টেবিল চামচ সোডিয়াম বাই কার্বনেট মিশিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে একবার করলে খুশকি দূর হবে।

১৫. এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে দুই টেবিল চামচ রসুন পেস্ট মিশিয়ে একটি প্যাক বানান। রসুন প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক যা মাথার ত্বকের চারপাশে থাকা ব্যাকটেরিয়ার বংশ ধ্বংস করে। এই অ্যান্টিডেনড্রাফ ট্রিটমেন্ট চুলে ২০-৩০ মিনিট লাগিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
১৬. খুশকি থেকে মুক্তির জন্য আরেকটি ঘরোয়া উপায় হলো ৪ টেবিল চামচ বেসনের সাথে ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। বেসন মাথার তালুর তেল শোষণ করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে আর এভাবেই খুশকির সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। গোসলের আগে এই প্যাক লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চাইলে শুধু মাত্র পানি দিয়েও ধুয়ে ফেলতে পারেন।
১৭. আপেলে থাকা এনজাইম ডেড স্কিন সেল দূর করে। দুই টেবিল চামচ ফ্রেশ আপেলের রস ১ চা চামচ পানির সাথে মিশিয়ে কটন প্যাডের সাহায্যে চুলের গোড়ায় লাগান। ১০-১৫ মিনিট পর তা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এরপরও যদি চুলে খুশকি হয়, তাহলে ভালো কোনো পার্লারে গিয়ে হারবাল ট্রিটমেন্ট কিংবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এভাবে চুলের যত্ন নিলে শুধু চুলের খুশকি দূর হবে না, সেইসঙ্গে চুল হবে সুস্থ ও সুন্দর।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2016/07/18/157533#sthash.jCAMVJxv.dpuf

মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

পায়ের চামড়া সুন্দর করতে করণীয়

১। চিনি এবং বেবি অয়েলের প্যাক

১/২ কাপ চিনি, ১/২ কাপ বেবি অয়েল  এবং ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে পা জোড়া ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর কসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি পায়ের কালো দাগ দূর করে পাকে নরম কোমল করে তুলবে।

২। লেবুর রস এবং নারকেল তেল

১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এখন এই মিশ্রণটি দিয়ে ভালভাবে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে নিন। আপনার হাঁটুতে যদি কালো দাগ থাকে তবে অবশ্যই হাঁটুতে এটি ম্যাসাজ করবেন। ১৫ মিনিট পর কসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩। বাদাম তেল

বাদাম তেল পা শাইনি করে থাকে। অল্প কিছু পরিমাণ বাদাম তেল হাতে নিয়ে ম্যাসাজ করুন। বাদাম তেল ছাড়াও যেকোন প্রাকৃতিক তেল যেমন নারকেল তেল, জোজোবা তেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। খেয়াল রাখবেন তেল যেন খুব বেশি না হয়ে যায়। বেশি হিয়ে গেলে তেলতেলে দেখাবে।

৪। কলা ও মধুর প্যাক

একটি পাকা কলা, কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি পায়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার পায়ের ত্বক নরম ও উজ্জ্বল রাখবে।

৫। গ্লিসারিন এবং পানি

সহজ এবং কার্যকরী একটি উপায় হল গ্লিসারিন এবং পানি। অর্ধেক গ্লিসারিন এবং অর্ধেক পানি মিশিয়ে নিন। এবার একটি স্প্রে বোতলে মিশ্রণটি ঢেলে নিন। এটি নিয়মিত পায়ে লাগান।

টিপস:

১। শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করার চেয়ে নরম ব্রাশ দিয়ে পায়ের ত্বক এক্সফ্লিয়েট করুন। এটি পায়ের ত্বকের রক্ত চলাচল সচল রেখে পায় গ্লো করে দিয়ে থাকে।
২। হাইলাইটারের সাথে ময়েসচারাইজার মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। এটি দ্রুত পাকে শাইনি করে থাকে।
৩। গোসলের পর বেবি অয়েল দিয়ে পা ম্যাসাজ করবেন। এটি ত্বক অনেকটাই নরম করবে।
৪। গোসলের পানিতে এক কাপ কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। কাঁচা দুধ আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করবে।

শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৮

হলদেটে নখ সাদা করবেন যেভাবে

বিভিন্ন কারণে হাত-পায়ের নখ হলদেটে হয়ে যেতে পারে। একটানা অনেকদিন নেইলপালিশ লাগানো থাকলে নখের রঙ হলদেটে হয়ে যায়। সাধারণত ফাঙ্গাল ইনফেকশনের জন্যই এমনটা হয়ে থাকে। এছাড়া রান্না করার সময় হাতে হলুদ লাগলেও নখ হলুদ রঙের হতে পারে। চলুন জেনে নিই নখের হলদে ভাব দূর করার কিছু উপায়-

- একটা লেবুকে অর্ধেক করে নিয়ে নখে ঘষুন, নখের হলুদ ভাব চলে যাবে। এছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে নখে লাগাতে পারেন। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ফলে নখে দাগ থাকবে না আর হলদে ভাবও চলে যাবে।

-একটি বাটিতে এক চামচ বেকিং সোডা ও সম পরিমাণ জল মিশ্রিত করুন। তারপর ৩০ মিনিটের জন্য এই মিশ্রনের মধ্যে আপনার নখ ডুবিয়ে রাখুন এবং সঙ্গে সঙ্গে মিশ্রণটি দিয়ে নখ ঘষুন। পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

- একটি টুথব্রাশে আপনার ডেইলি ব্যবহৃত টুথপেস্ট জেলটি নিয়ে নখের উপর খুব ভালো করে ৫ মিনিট ঘষুন। শেষে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। একদিন পর পর এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন।

-একটি বাটিতে ১ চামচ বেকিং পাউডার ও ১ চামচ লেবুর রস মেশান। এবার একটি তুলোর বল নিন। বলটি মিশ্রনের মধ্যে ডিপ করুন এবং আপনার নখ এ এটি প্রয়োগ করুন। ১০  মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

- ২-৩ টি থেঁতো করা স্ট্রবেরি আর ১ চামচ বেকিং সোডা একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। স্ট্রবেরি আর বেকিং সোডার এই মিশ্রন ১০ মিনিটের জন্য নখের উপর ঘষুন। তারপর নখের উপর এই মিশ্রণটি ৫ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। শেষে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৮

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অসাধারণ ৩ টি ঘরোয়া স্কিন লাইটেনিং মাস্ক

আয়নায় যতবার নিজের চেহারা দেখেন ততবার হতাশাবোধ করেন? ভাবেন কেন আপনার ত্বক আর একটু উজ্জ্বল নয়? এমন অনেকেই আছেন যারা মার্কেট থেকে কতশত ব্র্যান্ডের কেমিক্যাল লোডেড স্কিন লাইটেনিং বিউটি প্রোডাক্ট কিনে থাকেন তার ইয়াত্তা নেই। এইসব প্রোডাক্টের দাম যেমন বেশি তেমন আমাদের ত্বকে এগুলোর খারাপ প্রভাবও কম নয়। যারা চান তাদের ত্বক স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিকভাবে একটু লাইটেন বা উজ্জ্বল করে তুলবেন আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। এখানে আজ আপনাদের অসাধারণ ৩ টি স্কিন লাইটেনিং মাস্কের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো। যেগুলো আপনি খুব সহজে ঘরে বসেই বানিয়ে নিতে পারবেন আর কোন প্রকার ত্বকের ক্ষতি হওয়া ছাড়াই আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।


০১। শুকনো কমলার খোসা ও দই মাস্কঃ
স্কিন লাইটেনিং এর জন্য প্রথম পছন্দ হিসেবে সবার আগে বলবো শুকনো কমলার খোসা ও দই দিয়ে তৈরি মাস্কটার। শুকনো কমলার খোসা পেতে আপনাকে যা করতে হবে তা হল কমলা ছিলে সেই খোসা একদম শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত সূর্যের আলোয় দিয়ে রাখা।

যেভাবে করবেনঃ
শুকনো কমলার খোসার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ নিয়ে এর মধ্যে ১ টেবিল চামচ আন ফ্লেভারড দই মিশান এবং এই দুই উপাদান মিলিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এবার এই পেস্ট আপনার পরিষ্কার করে ধোয়া মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং ধুয়ে ফেলুন।

উপকারিতাঃ
-এই মাস্ক ত্বকের কালোভাব দূর করে ও ত্বকের যেকোন ধরনের দাগ হালকা করে।
-এটি ত্বকের ব্ল্যাক হেডস সারিয়ে তুলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

০২ ।টমেটো, দই ও ওটমিল মাস্কঃ
স্কিন লাইটেনিং ও ব্রাইটেনিং করতে টমেটো দই ও ওটমেল মাস্কের তুলনা হয় না।

যেভাবে করবেনঃ
১ টেবিল চামচ দই, ১ টেবিল চামচ টমেটো রস ও ১ টেবিল চামচ ওটমিল একসাথে নিয়ে মেশান। এবার এই মিশ্রণটি আপনার পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন।

উপকারিতাঃ
-দই এর প্রাকৃতিক ব্লিচ উপাদান ত্বকের কালচেভাব দূর করে এবং ত্বক মশ্চারাইজ ও কোমল রাখে।
-টমেটো আর ওটমিল ত্বক উজ্জ্বল করে, আর আপনি যখন এই মাস্ক মুখে ম্যাসাজ করবেন তখন এটি আপনার ত্বকের ডেড সেল অপসারণ করে আর সাথে সাথেই আপনার ত্বকের সানবার্ন মুছে দিবে।

০৩ দুধ, মধু ও লেবুর মাস্কঃ
যেভাবে করবেনঃ
১ টেবিল চামচ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। সব উপাদান একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে নেবেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন।

উপকারিতাঃ
-এটি আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ক্লিনজিং করে ত্বক পরিষ্কার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।
-এর আরও একটি উপকারিতা হল এটি আপনার ত্বকের সফটনেস ধরে রাখে।
পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ ফর্সা হয়ে জন্মায় না, তবে তার মানে এই নয় যে তারা সুন্দর না। সুন্দর বলতে সুস্থ, সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বককেও বোঝায়। তাই কেবল মাত্র ফর্সা হওয়ার জন্য নয় বরং ত্বক সুন্দর রাখতে একটু ত্বকের প্রতি যত্নবান হন।

মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর, ২০১৮

খুঁটিনাটি সৌন্দর্য বিষয়ক টিপস

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই কার্যকর কিছু টিপস জানা না থাকায় কিংবা ভুল জানার কারণে রূপচর্চায় খানিক ব্যাঘাত ঘটে। অথচ টিপসগুলো জানা থাকলে সময়ও বাঁচে, আবার রূপচর্চায় তৃপ্তিও পাওয়া যায়। আজকে সেরকম কিছু টিপস নিয়েই আলোচনা করব আপনাদের সাথে। তো শুরু করা যাক!

০১। বেশিরভাগ চুল পরিচর্যার পণ্যগুলো চুল ভেজা থাকা অবস্থায় লাগাতে হয়। যেমনঃ জেল, মুজ, কন্ডিশনার ইত্যাদি। কারণ ভেজা চুলে এই পণ্যগুলো ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। কিন্তু হেয়ার স্প্রের মত পণ্যগুলো ব্যবহার করতে হয় শুকনো চুলে।

০২। যখন দেখবেন তেল এবং ফাউন্ডেশান ক্রিম আলাদা আলাদা হয়ে যাচ্ছে, তখন বুঝে নেবেন যে এই ফাউন্ডেশানটি ফেলে দেয়ার সময় হয়ে এসেছে। ক্রিম ও বেশি তেলযুক্ত ফাউন্ডেশানের সাধারণত ২ বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকে। মেয়াদ বেশিদিন ধরে রাখতে ব্রাশ ব্যবহার করুন হাত দিয়ে ধরার বদলে।

 ০৩। স্কিন কন্ডিশনার তৈরি করতে ১ টেবিল চামচ মধুর সাথে ২ টেবিল চামচ মিল্ক ক্রিম মেশান। কয়েক মিনিট রেখে ত্বক ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুব ভালো কাজে দেয়!

০৪। ত্বকের বলিরেখা কমাতে, রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে এবং ত্বকের তৈলাক্ততা কমাতে টমেটোর কোন তুলনাই নেই! তাই আপনার খাদ্যাভ্যাসে নিয়মিত টমেটো রাখার চেষ্টা করুন।

০৫। শক্ত ও উজ্জ্বল নখের জন্য সপ্তাহে একদিন নখের ওপর ১০ মিনিট জলপাইয়ের তেল ও লবণ লাগিয়ে রাখুন।

০৬। মেহেদির রঙ গাঢ় করার জন্য মেহেদি শুকানোর পর হাতে খানিকটা ভিক্স নিয়ে মেখে রাখুন ৫/৬ ঘণ্টার জন্য। ফলাফল নিজের চোখেই দেখে নিন!

০৭। প্রতি ২/৩ মাস পরপর ম্যাস্কারা বদলে নিন। কিন্তু খুব দরকারের সময় ম্যাস্কারা যদি শুকিয়ে থাকে, তাহলে গরম পানিতে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে আবার!

০৮। চিকন ঠোঁটকে মোটা দেখাতে চাইলে হালকা শেডের একটি লিপ্সটিক লাগিয়ে ওপর ও নিচের ঠোঁটের মাঝখানে একটু গ্লস লাগিয়ে নিন। আলোর প্রতিফলনে ঠোঁটকে মোটা দেখাবে।

০৯। সঠিক ভ্রু শেইপ বোঝার জন্য একটি পেন্সিল নাকের পাশ থেকে চোখের কোণা বরাবর ধরুন। এখান থেকেই ভ্রু শুরু হয়। এরপর পেন্সিলটি নাকের পাশ থেকে চোখের শেষ মাথায় ধরুন। এখানে এসেই ভ্রু শেষ হয়।

১০। ঘরোয়াভাবে ব্রণ প্রতিরোধের জন্য কয়েকটি অ্যাস্পিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে নিন। খুব মিহি একটি মিশ্রণ তৈরি হলে পরে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন সারারাত ধরে। সকাল বেলায় ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। অ্যাস্পিরিনের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণের কারণে ব্রণ চলে যাবে এবং লালচে ও ফোলা ভাব দূর হবে।

১১। ব্ল্য্যাক হেডস দূর করতে পানির সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে ৫/৭ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফলাফল নিজেই দেখুন।

১২। ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে বেকিং সোডার সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিন। এবার দন্ত বিকশিত করে হাসুন।

১৩। পার্টি থেকে ফিরে চুলের জট ছাড়াতে পারছেন না? চিরুনি নিয়ে যুদ্ধ করা বন্ধ করুন। চুলে নারিকেল তেল দিয়ে সারা রাত অপেক্ষা করুন। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে দেখুন আবার কেমন ঝরঝরে হয়ে গেছে আপনার চুল!

১৪। মেকআপ রিমুভার শেষ? অসুবিধে নেই। খানিকটা জলপাইয়ের তেল কিংবা ভ্যাসেলিন নিয়ে মেখে নিন সারামুখে। এবার আলতো তুলো দিয়ে ঘষে তুলে ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মেকআপ তোলা নিয়ে আর কোন দুশ্চিন্তা নেই।

১৫। পছন্দের রঙের লিপস্টিক খুঁজে পেলেন না? তাতে কী হয়েছে? আপনার আই শ্যাডো প্যালেটে নিশ্চয়ই সেই রংটি রয়েছে! খানিকটা সেখান থেকে চামচ দিয়ে তুলে নিয়ে ভ্যাসেলিন মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। কাজ চলে যাবে!
আশা করি টিপসগুলো কাজে লাগবে আপনাদের। ভালো থাকুন।

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

যে সকল ভুলে বিবাহিতা নারীকে বেশি বয়স্ক দেখায়


ব্যাপারটি কিন্তু শতভাগ সত্য। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে অনেক বাঙালি নারীকেই বিবাহের পর তার বয়সের তুলনায় অধিক বয়স্ক দেখায়। উন্নত দেশগুলোতে যেখানে ৪০-এও একজন নারী থাকতে পারে আকর্ষণীয়া, সেখানে ৪০ মানে আমাদের দেশে মধ্যবয়স্কা। শুধু তাই নয়, অনেক কমবয়সী বিবাহিতা মেয়েদেরকেও তাঁদের বয়সের তুলনায় অনেক বেশী বয়স্ক দেখায়। কেন? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদেরই কিছু ভুলের মাঝে। চলুন, জেনে নিই সেই ভুলগুলো।

১) অল্প বয়সে অধিক সন্তানের মা হয়ে যাওয়া: আমাদের দেশে খুব অল্প বয়সে বিয়ে এবং বিয়ের পর পড়ি একাধিক সন্তানের মা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি এখনো প্রচলিত। প্রথমত, খুব অল্প বয়সে বিয়েটাই নারীর জীবনে হওয়া উচিত নয়। আর বিয়ের পর দ্রুত সন্তানের মা হয়ে যাওয়া বা ঘনঘন সন্তান প্রসব নারীর স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য দুটোই নষ্ট করে ফেলে। সন্তান ধারণ অনেক ধকলের একটি কাজ। অধিক সন্তান হলে তার বিরূপ প্রভাব নারীর দেখে প্রকট হয়ে দেখা দেয়।

 ২) সন্তান হবার পর নিজের যত্ন না নেয়া: আমাদের দেশের মেয়েদের মাঝে এটি আরও বড় একটি সমস্যা। সন্তান হবার পর খুব সংখ্যক নারীই নিজের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য মেইনটেইন করেন। সন্তান হবার সময় যে বাড়তি ওজন হয়, সেটা ঝরিয়ে ফেলা খুবই জরুরী। নাহলে বাড়তে থাকে আর বাড়তেই থাকে। অন্যদিকে সন্তান হবার সময় ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয় অনেকেরই। সন্তানের যত্ন তো করতেই হবে। কিন্তু নিজের সৌন্দর্যের জন্যও সময় বের করতে হবে বৈকি। সুষম আহার, ব্যায়াম ও নিয়মিত সৌন্দর্যচর্চাই এর সমাধান।

৩) ভুল নাকফুল নির্বাচন: বিবাহিত নারীদের একটি বড় অংশ আমাদের সমাজে নাকফুল পরিধান করে থাকেন। কিন্তু ভুল নাকফুল নির্বাচনের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই নাকফুল বাড়িয়ে তোলে আপনার বয়স। যেমন, যাদের নাক বোঁচা বা একটু মোটা, তারা কখনোই বড় নাকফুল বা নোলক পরিধান করবেন না। নাকফুল যত ছোট হয়, ততই সুন্দর। যাদের নাক খব বেশী চিকন, তাঁরাও বড় নাকফুল পরিহার করুন। যত সিম্পল ডিজাইনের নাকফুল, বয়স দেখাবে ততই কম। যত বড় পরবেন, আপনাকে ততটাই বয়স্ক দেখাবে। নাকে একটু ফুটো আসলেই বাড়তি কয়েক বছর যোগ করে দেয় চেহারায়।

৪) ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকা: আমাদের দেশের নারীদের মাঝে ব্যায়ামের অভ্যাস খুব কম। কিন্তু আসলে অল্প বয়স হতেই এই অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী। ব্যায়াম কেবল দেহের ওজনই ঠিক রাখে না, পাশাপাশি ত্বককে রাখে টানটান ও যৌবনদীপ্ত। শারীরিক ক্ষমতাও রাখে উচ্ছল।

৫) অতিরিক্ত গহনা পরা: গহনা প্রীতি বাঙালি নারীর আছেই। বিয়ের পর এই প্রবণতা আরও বাড়ে। কিন্ত অতিরিক্ত গহনা পরার আগে মনে রাখবেন, যত জবড়জং গহনা পরবেন, আপনাকে ততই বয়স্ক দেখাবে।

৬) ভুল পোশাক নির্বাচন: বিয়ে এবং কয়েকটি সন্তান হয়ে যাওয়ার পর অনেক নারীই আর নিজের পোশাকের দিকে খেয়াল রাখেন না। এটি খুব বড় একটি ভুল। আপনার বয়স যতই হোক না কেন, ওজন যেমনই হোক না কেন, সুন্দরভাবে পোশাক পরলে সবই দৃষ্টিনন্দন মনে হবে। নিজের দেহের সাথে মানানসই কাট ছাঁট ও রঙের পোশাক নির্বাচন করুন। সুন্দর রঙের পোশাক পরিধান করুন। দেখেবন নিজের কাছেও নিজেকে দেখতে ভালো লাগছে।

৭) বাজে হেয়ার স্টাইল: চুলের কাট একজন মানুষের বয়সে বিরাট ভূমিকা রাখে। আপনার সন্তান হয়েছে বলেই নিজের চুলগুলো কোনরকম বেণী বা খোঁপা করে ফেলে রাখবেন, এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন। ভালো পার্লারে গিয়ে সুন্দর একটি মানানসই হেয়ারকাট মেইনটেইন করবেন। চলে খুব বেশী রঙ না করিয়ে ন্যাচারাল রঙের কাছাকাছি শেড ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত রঙ ব্যবহারেও বয়স্ক দেখায়।

৮) প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদানের অভাব: নিজের খাওয়ার দাওয়ার দিকে নজর খুব কম বাঙালি নারীই দিয়ে থাকেন। সঠিক পুষ্টির অভাবে কেবল আপনার সৌন্দর্যই হারিয়ে যায় না, প্রভাব পড়ে আপনার স্বাস্থ্যেও। তাই নিজের জন্য একটি ব্যালান্সড খাদ্য তালিকা মেইনটেইন করা সব মেয়ের জন্য দরকার।

বয়স শরীরে নয়, বয়স নিজের মনে। নিজের মনের মত করে নিজেকে সাজিয়ে তুলুন, নিজেকে যত করুন, নিজের খেয়াল রাখুন। বয়সের আগেই বয়স্ক দেখানোর সমস্যা আর থাকবে না জীবনে।


রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মুখের দাগ দূর করার ভেষজ কিছু পদ্ধতি


মুখের কালো-সাদা ছোপ ছোপ দাগ, ব্রণ বা মেছতার দাগ চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। আমরা নানা প্রসাধণী এবং উপকরন ব্যবহার করি এসব দাগ দূর করার জন্য। আজকে আসুন দেখে নিই মুখের দাগ দূর করার ভেষজ কিছু পদ্ধতি।

• মুখের কালো ছোপ দূর করতে ১ চা চামচ ধনিয়া পাতার রসের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে ঠান্ডা পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহারেই উপকার পেতে শুরু করবেন।

• যাদের মুখে মেছতার দাগ আছে তারা ১ চা চামচ সাদা জিরা গুঁড়া, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া, ১ চা চামচ সরিষা গুঁড়া ও ১ চা চামচ আটা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মেছতার দাগে লাগান। বিশ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

• আপনার মুখে যদি ব্রণের দাগ থাকে, তাহলে প্রতিদিন গোলাপজল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন ব্রণের দাগ হালকা হয়ে যাবে।

• মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ে গেলে সেই ছাপ কাটাতে চন্দন বাটা, তুলশি বাটা, গোলাপজল মিশিয়ে গলায় ও মুখে লাগান। দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চুল পড়া প্রতিরোধে ঘরেই তৈরি করুন হেয়ার মাস্ক


আমরা সাধারণত ত্বকের প্রতি কিছুটা যত্নশীল হলেও চুল নিয়ে বেশ উদাসীন থাকি। কিন্তু চুলের দিকেও যে কিছুটা নজর দিতে হবে এই বিষয়টি আমাদের মাথায় আসে যখন চুল পড়া শুরু করে আর মাথায় দেখা দেয় টাক। মাথার এই চুল পড়া প্রতিরোধ করতে বাজারে পাওয়া যায় অনেক ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী। কিন্তু আমি আজ আপনাদের বলবো প্রাকৃতিক চুল পড়া প্রতিরোধক হেয়ার মাস্ক তৈরির পদ্ধতি।
তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু হেয়ার মাস্কের প্রস্তুত প্রনালী এবং ব্যবহারবিধি। প্রাকৃতিক এই হেয়ার মাস্কগুলো নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুলের ফলিকল হবে আরো শক্ত এবং মাথা থাকবে খুশকিমুক্ত।

১/ অলিভ অয়েল, মধু এবং দারুচিনির তৈরি চুলের মাস্ক

এই হেয়ার মাস্কটি তৈরিতে আপনার লাগবে পরিমাণমত অলিভ অয়েল, ১-২ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ দারুচিনি গুড়ো। আপনার মাথার চুলে যতটুকু পরিমাণ অলিভ অয়েল লাগবে ঠিক সেই পরিমাণ অলিভ অয়েল নিন। তারপর এতে উপরের উল্লেখকৃত পরিমাণ অনুযায়ী মধু এবং দারুচিনি মিশিয়ে নিন। এবার ভালোভাবে একে ব্লেন্ড করুন। মাথার চুলে একেবারে গোড়ায় লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট দিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং টাক পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।

২/ মেহেদী এবং সরিষার তেলের চুলের মাস্ক

এটি তৈরি করতে আপনার লাগবে প্রায় ১০০ গ্রাম মেহেদী পাতা এবং ২৫০ গ্রাম সরিষার তেল। একটি পাত্রে সরিষার তেলটি গরম করে নিন। এই সময়ে অপর আরেকটি পাত্রে মেহেদী পাতাগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিন। প্রায় ৫ থেকে ৭ মিনিট ফুটানোর পর তেলটি নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। সিদ্ধ মেহেদী পাতার রসগুলো নামিয়ে নিয়ে তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর কিছুক্ষণ রেখে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাথায় প্রয়োগ করুন। এই মাস্কটি খুশকি প্রতিরোধ করে আপনার চুলকে রাখবে আরো বেশি মোলায়েম।

৩/ জবা ফুল আর লেবুর রসের তৈরি মাস্ক

জবা ফুল আর লেবু তো আমরা সবাই চিনি কিন্তু এগুলো দিয়ে যে চুল পড়ে যাওয়া প্রতিরোধে মাস্ক তৈরি করা যায় তা কি জানতেন। এই মাস্কটি তৈরিতে আপনার লাগবে ২টি জবা ফুল এবং একটি লেবু। এক গ্লাস পরিমাণ পানি একটি পাত্রে ফুটতে দিন। এবার ফুটানো পানির মধ্যে দুটি জবাফুলের পাপড়ি ছিড়ে দিয়ে দিন। এভাবে রাখুন প্রায় ৫ থেকে ৭ মিনিট। এবার জবাফুল সিদ্ধ পানিটি নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা হতে দিন। তারপর ধীরে ধীরে মাথার যে অংশটি টাকে পরিণত হচ্ছে সেখানে প্রয়োগ করুন। কিছুক্ষন রেখে মাথা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

৪/ নিমপাতার মাস্ক

নিমপাতার ভেষজগুণ বলে শেষ করার মতো নয়। নিমপাতা দিয়ে তৈরি মুখের ব্রণ প্রতিরোধের যেমন মাস্ক রয়েছে তেমনি মাথার চুল পড়ে যাওয়া রোধ করতেও মাস্ক রয়েছে নিমের। কিছু পরিমাণ পানির সাথে প্রায় ১০ থেকে ১২টি নিমপাতা দিয়ে কিছুক্ষন সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ করা পানি কালচে রঙ ধারণ করলেই পানি নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। এরপর নিমপাতা ছেকে নামিয়ে ফেলুন। এই পানি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এটি চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমে যাবে অনেকাংশে।

 


বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মেকআপের যেসব ভুলে ত্বকের ক্ষতি হয়


কখনোই সাজেন না এমন নারীও হয়তো কখনো কখনো সাজেন। কারণ সাজেই পরিপূর্ণ নারী। হালকা হলেও মেকআপ করেননি, এমন নারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অনেকেই আবার প্রায় প্রতিদিনই মেকআপে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এই মেকআপেই কিছু ভুলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ত্বক। সেই ভুলগুলো জেনে নিন-

 মেকআপ ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়লে ত্বকের লোমকূপ আটকে যায়, দেখা দেয় ব্রণের সমস্যা। এমনকি ব্রণের দাগও পড়ে যেতে পারে।

চোখের মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়লে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আইলাইনার ও মাশকারা নিয়ে ঘুমালে আঁখিপল্লব ও ভ্রু পড়ে যেতে পারে। এমনকি মাশকারার কারণে চোখের পাতায় ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা সিস্ট হতে পারে।

মেকআপ নিয়ে ঘুমালে সারাদিনের ময়লা ত্বকেই থেকে যায়। মেকআপ ত্বকের ওপরে একটি তেলতেলে স্তর তৈরি করে যার মধ্যে ময়লা, ব্যাকটেরিয়া ও দূষণ আটকে থাকে। তা নিয়েই ঘুমিয়ে পড়লে ত্বকের কোষগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এতে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, ত্বক রুক্ষ এবং নির্জীব হয়ে পড়ে।

 লিপস্টিক ভালোভাবে না তুলে ঘুমাতে গেলেও সমস্যা হতে পারে। লিপস্টিকে থাকা উপাদানগুলো ঠোঁট শুষ্ক করে ফেলে। আর লিপস্টিকের উপাদানগুলোর কারণে ঠোঁটের আশেপাশে ডেডসেল বা মৃত কোষ দেখা দিতে পারে। উজ্জ্বল, নিখুঁত ত্বক চাইলে অবশ্যই রাত্রে মেকআপ তুলে তারপর ঘুমাতে হবে।

রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চুলের আগা ফাটা রোধে কয়েকটি টিপস


ঘরময় চুল গড়াগড়ি খায়? চুল পড়া ছাড়াও এর আরেকটি বড় কারণ চুলের আগা ফাটা। চুল তখন ভেঙে ভেঙে পড়ে যায়। চুলে পুষ্টির অভাব হলে, ঠিকভাবে যত্ন না নেয়া হলে এমনটা হতে পারে। এর কারণে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তাই জেনে নিন আগা ফাটা রোধ করার কয়েকটি ঘরোয়া টিপস-

চুল লম্বা না হওয়ার অন্যতম কারণ স্প্লিট এন্ডস বা আগা ফাটা। তাই চুলের আগা ফাটলে এখনই গিয়ে হেয়ার ট্রিম করে আসুন। এতে চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে।
চুলের আগা ফাটা এড়াতে অবশ্যই শ্যাম্পু করার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুল কম ড্যামেজ হবে।
সপ্তাহে তিনবার শ্যাম্পু করুন। দরকার না পড়লে শ্যাম্পু করবেন না। এতে চুল শুষ্ক হয় এবং আগা ফাটার সমস্যা হয়।
গরম পানি দিয়ে চুল ধোবেন না। ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। চুলে বেশি হেয়ার ড্রায়ারও ব্যবহার করবেন না।
সপ্তাহে একদিন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। ডিম, নারকেল তেল, মধু, অলিভ অয়েল দিয়ে একটি মাস্ক ব্যবহার করুন।
 আস্তে আস্তে চুল আঁচড়ান। না হলে চুলের আগা ফাটার ভয় থাকে।
 ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে জোরে মুছবেন না। এতেও চুলের আগা ফাটার সমস্যা হতে পারে।

শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ত্বকের কালো দাগ চটজলদি দূর করার কিছু উপায়

সাধারণত মুখের ওপরে কালো দাগ হওয়ার পেছনে নীচের কারণ গুলোই বেশি ভূমিকা রাখে। আর সেগুলো হচ্ছে-

 ১. মানসিক চাপ
২. ত্বকের অযত্ন
৩. অতিরিক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার
৪. ফুসফুসের সমস্যা
৫. ক্যান্সার
৬. বহুমূত্র রোগ ইত্যাদি ( মাই হেলথ টিপস )
যদি এগুলোই হয় আপনার মুখের ওপরে কালো দাগ হবার কারণ তাহলে নিজের জীবন থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করুন এই ব্যাপারগুলোকে। তবে সেই সাথে কিছু ঘরোয়া উপায়ও অবলম্বন করতে পারেন আপনি ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্যে। আর সেগুলো হচ্ছে-

১. লেবুর রস
 মুখের কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে আপনার জন্যে সবচাইতে কার্যকরী ও সহজ উপায় হতে পারে লেবুর রস। খানিকটা তুলো নিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে মুখের কালো স্থানটিতে ঘষুন। সেটাকে খানিক সময় শুকোবার সুযোগ দিয়ে তারপর ধুয়ে ফেলুন। ভিটামিন সি থাকবার কারণে কয়েকবার ব্যবহারেই একটু হলেও আপনার মুখের কালচে ভাব কমিয়ে দেবে লেবুর রস। তবে একেবারে পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্যে অন্তত দুই সপ্তাহ এটি ব্যবহার করুন (টপটেন হোম রেমেডিস)।
 
২. পেঁপে
পেঁপের ভেতরে ত্বকের কালো দাগ, বয়সের ছাপ ও ক্লান্তি দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। আর তাই একটি পেঁপে বেটে নিয়ে সেটাকে মুখের ওপরে ২০ মিনিটের জন্যে লাগিয়ে রাখুন। আপনার মুখের উজ্জ্বলতা তো বাড়বেই, সেই সাথে দূর হবে কালো দাগও। এক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই বার করে এই কাজটি করে যেতে হবে আপনাকে ( মাই হেলথ টিপস )।

৩. অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট। আর তাই এটি খুব সহজেই আপনার ত্বককে সজীব ও কমবয়সী করে তুলতে সাহায্য করে। দূর করতে সাহায্য করে কালো দাগ ( কেয়ার ট্রিকস )। এক্ষেত্রে অ্যালোভেরার একটি ফেস মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। খুব দ্রুত ফল পেয়ে যাবেন এতে করে আপনি।

৪. আলু, ডিম ও হলুদ
আলু চোখের কালো দাগ বা মুখের কালো ছোট দূর করতে সাহায্য করে এটি কম-বেশি সকলেই জানে। তবে কেবল আলুই নয়, এরপর হলুদ আর ডিমও ব্যবহার করুন মুখের কালো দাগের ওপর। ডিমের ভেতরে থাকা এ্যাসিড আপনার ত্বকের কালো দাগকে করে তুলবে হালকা আর হলুদ ত্বককে করে তুলবে উজ্জ্বল ( কেয়ার ট্রিকস )।