সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫
রূপচর্চায় বেসন এর ব্যবহার
রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
ছেলেদের দাড়ির যত্ন
ছেলেদের দাড়ির যত্ন নেওয়া শুধুমাত্র স্টাইলের ব্যাপার না, বরং স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্যও জরুরি। নিচে কিছু কার্যকর দাড়ির যত্নের টিপস দেওয়া হলো:
১. নিয়মিত পরিষ্কার রাখা
-
মৃদু ফেসওয়াশ বা দাড়ির জন্য বিশেষ ক্লিনজার দিয়ে প্রতিদিন দাড়ি ধুতে হবে।
-
এতে ধুলাবালি, ঘাম ও ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়।
২. দাড়িতে তেল ব্যবহার করুন
-
বিয়ার্ড অয়েল দাড়িকে কোমল, মসৃণ এবং সুগন্ধী রাখে।
-
সপ্তাহে ৩–৪ দিন নারিকেল তেল, আরগান অয়েল বা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন।
৩. নিয়মিত ট্রিম করুন
-
দাড়ি গজানোর সময়ও ট্রিম করলে সেটি পরিপাটি থাকে এবং ভালো শেপ পায়।
-
ভালো কোয়ালিটির ট্রিমার বা সিজার ব্যবহার করুন।
৪. স্কিন এক্সফোলিয়েট করুন
-
সপ্তাহে ১–২ দিন স্ক্রাব দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে দাড়ির নিচের ত্বক মৃত কোষমুক্ত হয় এবং নতুন দাড়ি গজাতে সাহায্য করে।
৫. সঠিক খাবার খান
-
প্রোটিন, ভিটামিন B ভিটামিন E ও জিঙ্ক দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
-
ডিম, বাদাম, মাছ, ফলমূল ও শাকসবজি বেশি খান।
৬. হাইড্রেটেড থাকুন
-
প্রচুর পানি পান করুন। এতে ত্বক ও দাড়ি উভয়ই হাইড্রেটেড থাকে।
৭. ধৈর্য ধরুন
-
দাড়ি গজাতে সময় লাগে, তাই ধৈর্য ধরে নিয়মিত যত্ন নিন।
৮. অ্যালকোহলবিহীন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন
-
অ্যালকোহলযুক্ত প্রোডাক্ট দাড়ি ও ত্বককে শুষ্ক করে ফেলতে পারে।
শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
৫ মিনিটে চোখের নিচে কালো দাগের সমাধান
লেবু
নারকেল তেল
বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
গরমে ছেলেদের ঘামের গন্ধ দূর করার উপায়
নিয়মিত গোসল:
দিনে অন্তত দুইবার গোসল করা উচিত, বিশেষ করে গরমকালে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করে শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করলে ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমানো যায
ভালোভাবে শরীর পরিষ্কার করা:
সুতির পোশাক পরা:
গরমে সুতির মতো হালকা ও বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরা উচিত। সিনথেটিক বা ভারী কাপড় ঘাম শোষণ করতে পারে না, যার ফলে দুর্গন্ধ হতে পারে।
ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহার:
ডিওডোরেন্ট ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমায় এবং অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ঘামের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত জল পান করা:
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং দুর্গন্ধ কম হয়।
বেকিং সোডা ও লেবুর রস ব্যবহার:
বেকিং সোডা ঘাম শোষণ করে এবং লেবুর রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে, যা ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সহায়ক।
বেকিং সোডা ও লেবুর রস ব্যবহার:
বেকিং সোডা ঘাম শোষণ করে এবং লেবুর রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে, যা ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সহায়ক।
মানসিক চাপ কমানো:
মানসিক চাপ ঘাম বাড়াতে পারে, তাই ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
জুতা ও মোজা পরিষ্কার রাখা:
প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পরা উচিত এবং জুতাও নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
মুখের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করুন সহজ ৪ টি প্রাকৃতিক উপায়ে
প্রতিটা মানুষ জন্মগ্রহণের সময় সুন্দর ত্বক নিয়েই পৃথিবীতে আসে। ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার দায়িত্ব শিশুর অভিভাবকের এবং ব্যক্তির নিজের। বিভিন্নভাবে আপনি আপনার ত্বকের ক্ষতি করছেন। কিন্তু ভয় পাবেন না, কারণ ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেই উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় ত্বক পাওয়া সম্ভব।। চলুন তাহলে সেই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
১। কলার খোসা –
কলা খাওয়ার পরে খোসাটা ফেলে দেয়াই আমাদের সবার অভ্যাস কারণ ত্বকের উপর কলার খোসার জাদুকরি প্রভাবের কথা অনেকেই জানেন না। এখন থেকে কলার খোসা ফেলে না দিয়ে এর ভেতরের সাদা অংশটুকু মুখে ও ঘাড়ে ভালো করে ঘসে ঘসে লাগান। ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে। ভালো ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে কয়েকবার এটি ব্যবহার করুন।২। মধু ও লেবু –
মধু ও লেবুর সমন্বয়ে তৈরি ফেস প্যাক ত্বক ফর্সা করতে পারে। সমপরিমাণ মধু ও লেবুর রস নিয়ে ভালোভাবে মেশান। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে মধু ও শশার রস ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও মধুর সাথে সমপরিমাণ দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারে। যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় তাহলে লো ফ্যাট দুধ ব্যবহার করুন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পরে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।৩। টমেটো –
প্রতিমাসে একবার স্পেনের লা টোমাটিনা ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে পারলে ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সহজ হত। টমেটোতে ত্বকের বর্ণ হালকা করার উপাদান আছে। এটি ত্বকের তেল শোষণ করে এবং ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্রের নিরাময় করে। আপনার ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ টমেটো থেঁতলে নিয়ে মুখে ও শরীরের অন্যান্য স্থানে লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।৪। চন্দন –
প্রাচীন কাল থেকেই ত্বক ফর্সা করতে ব্যবহার হয়ে আসছে চন্দনের গুঁড়া যাকে কেউ হারাতে পারেনি। চন্দন ও হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এর সাথে কাঠ বাদামের তেল মিশাতে পারেন। তারপর মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান। কিছুক্ষণ পরে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটির ব্যবহারে আপনার ত্বকের বর্ণ হালকা হবে এবং আপনার মুখের দ্যুতি ছড়াবে।সব কিছুর শেষ কথা হচ্ছে ক্লিঞ্জিং, টোনিং ও ময়শ্চারাইজিং এই ৩ টির সমন্বয় ছাড়া ত্বক ভালো রাখা সম্ভব নয়। CTM রুটিন ঠিকভাবে অনুসরণ করলেই আপনি আপনার ত্বককে খুব বেশি তামাটে হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা অটুট রাখার জন্য ঘরের বাহিরে যাওয়ার পূর্বে ভালমানের সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না যেনো।
আপনার ত্বকে গোলাপি আভা এনে দেবে।
সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
ঈদের পর মুখের বিশেষ যত্ন
রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫
দুধ ও মধু দিয়ে ফেসপ্যাক
দুধ ও মধু দিয়ে ফেসপ্যাক-প্রাকৃতিক গ্লো’র জন্য সহজ সমাধান
এই ফেসপ্যাকটি বিশেষভাবে উপকারি:
-
শুষ্ক ও নিস্তেজ ত্বকের জন্য
-
ত্বক নরম, মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে
-
কালচে দাগ, রুক্ষতা ও হালকা ব্রণ কমাতে
উপকরণ:
-
কাঁচা দুধ – ১ চা চামচ
-
মধু (খাঁটি হলে ভালো) – ১ চা চামচ
তৈরি ও ব্যবহার পদ্ধতি:
-
একটি ছোট পাত্রে দুধ ও মধু মিশিয়ে নিন।
-
পরিষ্কার মুখে তুলো বা আঙুল দিয়ে এই মিশ্রণ লাগান।
-
১৫–২০ মিনিট অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না শুকিয়ে যায় বা ত্বকে মিশে যায়।
-
এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
-
শেষে একটি ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
উপকারিতা:
-
দুধ: ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা ডেড স্কিন তুলে দেয়, ত্বক ফর্সা ও কোমল করে।
-
মধু: প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক ও হিউমেকট্যান্ট-ত্বককে ময়েশ্চার দেয় ও ব্রণ প্রতিরোধ করে।
শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
ঘরোয়া উপায়ে চুল কালো করার ৫ টি উপায়
উপকরণ:
২ কাপ জল
পদ্ধতি:
মিনিট পাঁচেক পরে বন্ধ করে জলটা ছেঁকে নিন
ঠাণ্ডা হতে দিন
শ্যাম্পু করার পরে ওই জলটা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন
এরপর আর তক্ষুনি চুলে জল দেবেন না
সপ্তাহে ১-২ বার করুন
উপকরণ:
২ টে চা নারকেল তেল
পদ্ধতি:
চুল ও স্ক্যাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করুন
আধঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করে নিন
সপ্তাহে ২-৩ বার করুন
উপকরণ:
২ চা চামচ কফি পাউডার
১-১.৫ কাপ হেনা পাউডার
অলিভ অয়েল ২ চা চামচ
পদ্ধতি:
প্রয়োজনে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন
পুরো চুলে ভালো করে লাগান
এক ঘণ্টা পরে মাইলড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন
মাসে ১ বার যথেষ্ট
উপকরণ:
আধা কাপ মেথি দানা
পদ্ধতি:
তেল ফুটে এলে মেথি দানা দিয়ে দিন এবং ৮-৯ মিনিট ফোটান
তেল ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন
রাতে পুরো চুল ও স্ক্যাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করুন
সকালে শ্যাম্পু করুন
সপ্তাহে ৩ বার করুন
শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
ত্বক ঠিক রাখার জন্য পানি খাওয়ার উপকারিতা অনেক
প্রচুর জল খান
জল খাওয়া শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বকের জন্যও খুব ভালো । উজ্জ্বল ত্বকের সেরা রহস্য হল দিনে 4 লিটার জল নিয়ম করে খাওয়া। এতে আপনার শরীর ডিটক্স হবে, শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে আসবে। আর এতে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল হবে।
মুলতানি মাটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী । সৌন্দর্যের জন্য এর ব্যবহার হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে এবং এর থেকে অনেক চমৎকার ফলাফল দেখা গেছে। আপনি মুলতানি মাটির একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। এই প্যাকটি তৈরি করতে আধা চা চামচ মুলতানি মাটিতে এক চা চামচ চন্দন গুঁড়ো, 1/4 চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং এক চা চামচ গোলাপ জল বা দুধ মেশান। এটি মুখে লাগান, এটি পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন এবং তারপরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
ভিটামিন সি রয়েছে এমন ফল খান
ভিটামিন শরীরে কতটা প্রয়োজনীয়, সেই বিষয়ে কত কয়েক বছরে সচেতন হয়েছে মানুষ। তবে কমলালেবু খেতে কিন্তু কেউ কোনওদিনই ভোলেনি। আর কিছু থাক না থাক। ডায়েট চার্টে একটা কমলালেবু অবশ্যই তাকে। এটি একটি বিউটি ফল হিসেবেও পরিচিত, যা আপনি ডায়েট থেকে শুরু করে ঘরে তৈরি ফেসপ্যাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । কমলা ছাড়াও আপনার ডায়েটে লেবু এবং পেঁপেও রাখতে পারেন।
বেসনের উবটান
ত্বক যদি আপনি পরিষ্কার পেতে চান, তাহলে অবশ্যই মরা চামড়াকে আপনার ভালোভাবে ত্বক থেকে বিদায় জানাতে হবে। আপনি যদি একটু চর্চা করেন এসব বিষয় নিয়ে তাহলে এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পারবেন। আগেকার দিনে এই সমস্ত ফেসিয়াল, ক্লিন আপ কোথায় ছিল? তাই বলে কি মানুষের ত্বক পরিষ্কার থাকত না? ছোট ছোট ঘরোয়া টোটকাই ছিল সুন্দর ত্বকের রহস্য। এরমধ্যে অবশ্যই রয়েছে বেসন।
নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করলে ত্বকের কোষে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৃদ্ধি পায়। যার কারণে ত্বকে ভালো গ্লো আসে এবং আপনার স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
নারকেল তেলের ব্যবহার
চন্দনের ফেসপ্যাক
আগেকার দিনে মানুষ তাদের সৌন্দর্য বাড়াতে চন্দনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতেন। চন্দনের ব্যবহার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটির ব্যবহারে ব্রণ ও কালো দাগও সেরে যায়। সপ্তাহে একবার এই ফেসপ্যাকটি অবশ্যই ব্যবহার করবেন।
হলুদের ব্যবহার
আগেকার দিনে ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে এবং উজ্জ্বল মুখের সৌন্দর্যের জন্য হলুদ বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হত । স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য নানাভাবে উপকারী হলুদ। ফেসপ্যাক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন এবং ফুটিয়ে নিতে পারেন।
গোলাপ জল
গোলাপ জল একটি ন্যাচারাল স্কিন টোনার এবং ত্বক টাইট করতে এটি কাজ করে। টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এটি। ফেসপ্যাকের সাথেও ব্যবহার করা যেতে পারে
চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
চোখের নিচের এই কালো দাগ থেকে রেহাই পেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।বি-৬ সমৃদ্ধ খাবারের অভবে চোখের নিচের এই কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল তৈরি হয়।
ঘরোয়া মিশ্রণের প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার ঠাণ্ডা টি ব্যাগ ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর রাখলে ডার্ক সার্কলের স'মস্যায় ভালো ফল পাবেন। রাতে শোবার আগে অন্তত মিনিট পনেরো নিয়মিত রাখতে হবে।
শসার রস ২টি কটন বল শসার রসে ডুবিয়ে চোখের উপর অন্তত ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে নিয়মিত শসার রস চোখের উপর লাগাতে পারলে দ্রুত উপকার পাবেন।
আলু আলু খোসাসহ বেটে বা পেস্টের মতো করে চোখের উপরে মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। দ্রুত উপকার পাবেন। কাজু বাদাম কাজু বাদাম বেটে দুধের সঙ্গে গুলিয়ে, পেস্টের মতো তৈরি করে চোখের চারপাশে লাগাতে পারেন। এতেও উপকার মিলবে।এছাড়া চোখের চারপাশে বাদাম তেল দিয়ে মালিশ করলেও দ্রুত উপকার পাবেন।
টমেটো
এক চা চামচ টমেটোর রসের সঙ্গে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চোখের নিচে লাগান। ১০ মিনিট প'র পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুইবার অন্তত এই প্যাক লাগাতে হবে।
দুধ
ঠাণ্ডা দুধে একটি কটন বল ভিজিয়ে চোখে লাগান। দশ মিনিট প'র পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চোখের ফোলাভাব কমে যাবে এবং কালো দাগ দূর হবে।
কমলা
কমলার রসের সঙ্গে দুই ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে চোখের নিচে লাগান। এটা কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
বাদাম তেল
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আ'গে চোখের চারপাশে বাদাম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে চোখের কালো দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি চোখের চামড়া টানটান হবে।
বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
ছেলেদের ত্বকের যত্ন
ত্বকের যত্ন কিংবা সৌন্দর্যচর্চা শব্দগুলো যেন শুধু নারীদের জন্যই সংরক্ষিত। অনেক পুরুষও ভাবেন এমনই। সাধারণভাবে অনেকেই বলবেন, সাজগোজ বা রূপচর্চা সে তো মেয়েদের বিষয়। অথচ ত্বকের যত্ন নেওয়া এবং সাজগোজ একেবারেই আলাদা। কারণ, ছেলেদেরও ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, এ বিষয় অনেকেই এখন অনুধাবন করতে পারেন। অনেকেই ধীরে ধীরে আরও বেশি সচেতন হয়ে উঠছেন। কারণ, ছেলেদের ত্বক এমনিতেই বেশি রুক্ষ। তাই তাদের ত্বকের সমস্যাও বেশি। সঠিক সময়, সঠিক যত্নে এসব সমস্যার সমাধান হতে পারে। তবে মাথায় রাখতে হবে, ত্বকের যত্ন মানেই অনেক বেশি সৌন্দর্যপণ্যের ব্যবহার নয়, বরং সটিক পণ্য ব্যবহার।
ফেসওয়াশ ব্যবহারঃ
সঠিক পদ্ধতিতে শেভঃ
ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখুনঃ
সানস্ক্রিনও জরুরিঃ
প্রোডাক্টের লেবেল দেখে নেওয়াঃ
মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
গায়ের রঙ ফর্সা করার কার্যকরী কিছু টিপস
আজ থাকছে গায়ের রঙ ফর্সা করার কার্যকরী কিছু টিপস। ঘরে বসে এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনি পাবেন ফর্সা ও দ্যুতিময় ত্বক। আপনাকে আর টাকা খরচ করে কেমিক্যাল যুক্ত বিষাক্ত প্রসাধনী কিনতে হবে না । চলুন জেনে নেই এই টিপসগুলি।
টিপস -১
মসুর ডাল গুঁড়ো করে নিন মিহি করে। তার মধ্যে ডিমের হলুদ অংশটা মেশান। রোদের মধ্যে এই পেস্টটা শুকিয়ে নিন ভালো করে। একদম মচমচে হয়ে গেলে গুঁড়ো করে শিশির মধ্যে ভরে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে শোবার আগে ২ ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে ১ চামচ দুধ ও এই গুঁড়ো খানিকটা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। আধ ঘন্টা রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর কাঁচা দুধ খানিকটা তুলোতে নিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন। আরও ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
টিপস -২
ত্বকের রং আরও ফর্সা করার জন্য টক দই লাগান মুখে। যাদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা মধু ও দই মিশিয়ে নিন। মিনিট বিশেক রাখুন মুখে, তারপরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এরকম লাগাতে হবে।
টিপস -৪
তৈলাক্ত ত্বক উজ্জ্বল করতে মুলতানি মাটি, থেঁতো করা পদ্মপাপড়ি ও নিমপাতা বাটা এবং চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ধুয়ে ফেলার পর মুখে কাঁচা দুধ লাগিয়ে রাখুন আরও আধা ঘণ্টা।
টিপস -৫
আলুর রস ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। সাথে দিন চন্দনের গুঁড়ো। দিনে ২বার এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট করে। দ্রুত রঙ উজ্জল হবে। চন্দন না দিলেও সমস্যা নেই।
এগুলো থেকে যে কোন একটি উপায় বেছে নিন। এবং অবলম্বন করুন। নাম্বার ৫ ছাড়া বাকি যে কোন প্যাক ব্যবহার করলে দিনে দুবার কাঁচা দুধ মুখে লাগিয়ে রাখবেন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন। এতে জলদি কাজ করবে।
লাস্ট টিপসঃ
তিন. ঝকঝকে ত্বকের জন্য চন্দন গুঁড়োর অবদান অনস্বীকার্য। চন্দন গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে প্রত্যেকদিন হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। অল্প দিনের মধ্যে আপনার মুখে হাসি ফুটবেই।
চার. টমেটোতে অ্যালার্জি না থাকলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে এর ক্লাথ মিশিয়ে মুখে এবং গলায় ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনাকে অনেক ফর্সা দেখাবেই।
পাঁচ. ১/২ কাপ চায়ের লিকার(ঠাণ্ডা), ২ চামচ চালের গুঁড়ো, আধা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। চালের গুঁড়ো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করবে আর মধু মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
ছয়. শশার রস আর মধু সমান পরিমাণ নিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। তবে তৈলাক্ত ত্বকে মধুর বদলে লেবু ব্যবহার করতে হবে।
সাত. সপ্তাহে একবার পাকা কলা চটকিয়ে মুখে লাগান আর ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুখে লুকিয়ে থাকা সব ময়লা নিমিষে পালিয়ে যাবে আর আপনি হয়ে উঠবেন আরও আকর্ষণীয়।
নয়. কাঁচা আলুর রস অথবা আলু পাতলা করে কেটে অথবা আলুর পাল্প দিনে ২বার করে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাবেন।
টিপসগুলো মেনে চলার আগে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন উপাদানগুলোর সাথে আপনার ত্বক মানিয়ে নিতে পারে কিনা। আগে অল্প করে হাতে লাগিয়ে দেখবেন কোন ধরণের চুলকানি কিংবা জায়গাটা লাল হয়ে যাচ্ছে কিনা, তারপর পছন্দসই প্যাকটি বেছে নিন।
রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
গরমে চুলের যত্ন নিতে ফলো করুন এই ৯ টি টিপস।
১. নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখুনঃ
২. তেল মালিশ করুনঃ
৩. হিট স্টাইলিং টুলস ব্যবহার এরিয়ে চলুনঃ
৪. চুল বেঁধে রাখুনঃ
৫. ছাতা, স্কার্ফ বা হ্যাট ব্যবহার করুনঃ
৬. প্রচুর পানি পান করুনঃ
৭. হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুনঃ
৮. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুনঃ
৯. চুলে অতিরিক্ত কেমিক্যাল পন্য ব্যবহার এড়িয়ে চলুনঃ
বিশেষ করে বিউটি পার্লারে চুলের সাজসজ্জায়: হেয়ার স্প্রে, জেল, রঙ বা পার্মিং কেমিক্যাল নিয়মিত ব্যবহার হয়। তবে এইসব পণ্য কিন্ত চুলের ক্ষতি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যথাসম্ভব প্রাকৃতিকভাবে চুলের যত্ন দেওয়ার চেষ্টা করুন এবং অতিরিক্ত কেমিক্যাল পণ্য ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো ফলো করে চললে, গরমকালেও আপনার চুল থাকবে প্রাণবন্ত, স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে।