বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

মাথার খুশকি দূর করতে করণীয়


নিজের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার যথাসাধ্য পরিষ্কার এবং আলাদা রাখলে তাতেই খুশকি অনেক কমে যাবে। আর বাইরেও রয়েছে কিছু করণীয়। চলুন জেনে নিই-

টকদই ও মেহেদি বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মাথার চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে ৩৫-৪০ মিনিট। পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। দু-তিনবার ব্যবহারে খুশকি চলে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে অনেক সুন্দর। দুই থেকে তিন দিন বা সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলেই হবে।

ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালেও খুশকি কমে যেতে পারে।
অতিরিক্ত খুশকি তাড়াতে মাথায় তেল দেয়া বন্ধ রাখতে হবে। খুশকিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখতে হবে। একদিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে খুশকি কমে যেতে পারে।

মেথিবাটা, পেঁয়াজ, নিমপাতা, লেবুর রস, টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়াায় লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। আপনার ব্যবহৃত চিরুনি ডেটল পানিতে ধুয়ে নিন।
কাঁচা পেঁয়াজের রস খুশকি দূর করে।

তিলের তেল, মেথি গুঁড়া করে মিশিয়ে ১৫ দিন রেখে দিতে হয়। তারপর ওই তেল দুই মাস ব্যবহার করতে হবে। তাতে খুশকির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। পাশাপাশি চুল পড়াও অনেক কমে যাবে।
পুরনো তেঁতুল গুলিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে, পর ধুয়ে ফেললে খুশকি দূর হবে
নারী-পুরুষ উভয়েই খুশকি সমস্যায় ভুগে থাকে। নানা কারণে মাথায় খুশকি হতে পারে।  বিশেষ করে আর্দ্রতা বেশি হলে চুলের লোমকূপে ময়লা জমে গিয়ে খুশকি হতে পারে। এছাড়া আরও অন্যান্য কারণতো আছেই। তবে দৈনন্দিন চলাফেরায় একটু সচেতন হলেই খুশকি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে সেসব উপায় নিয়েই আলোচনা করা হলো :
নিয়মিত চুলের যত্ন : খুশকি প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য চিরুনি ও চুল মোছার তোয়ালে আলাদা রাখুন। এছাড়া চুল খুশকি মুক্ত রাখতে নিয়মিত চিরুনি, তোয়ালে, বালিশের কভার ও চাদর পরিস্কার রাখা প্রয়োজন। এমনকি ভেজা অবস্থায় চুল না আঁচড়ানো ভালো।
খাদ্যাভাস : খাদ্যাভাসও চুলের খুশকি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এজন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং টাটকা ফল, সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
এছাড়া খুশকি দূর করতে যা করবে হবে :
১. খুশকি দূর করতে অনেকেই ছুটে চলেন নামিদামি পার্লারে। যাদের নিয়মিত পার্লারে যাওয়া সম্ভব হয় না তারা ঘরে বসে নিজেই নিতে পারেন চুলের যত্ন। এক্ষেত্রে জেনে নিন কিছু টিপস-
২. জবা ফুল, আমলকি ও জলপাই একসঙ্গে বেটে পেস্ট করে চুলে লাগিয়ে, আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করলে খুশকি কমে যায়।
৩. দূর্বা ঘাস ও নিমপাতা বাটা, ভিনেগার ও শসার রস মিশিয়ে পেস্ট করে মাথার তালুতে লাগিয়ে আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।
৪. তুলসি পাতা বাটার সঙ্গে কর্পুর ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় আধা ঘণ্টা রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করুন। এতেও ভালো পাবেন।
৫. কাঁচা আমলকি ছেঁচে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলায় গরম করে অথবা রোদে ২-৩ দিন শুকিয়ে বোতলে ভরে রেখে দিন। সপ্তাহে ২ দিন সেই তেল মাথায় লাগালেও খুশকি চলে যাবে।
৬. চুলে শ্যাম্পু করার আগে মাথায় গরম তোয়ালের ভাপ দিতে হবে।
৭. মেথী বাটা, আমলকির রস, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই, পানিতে পেস্ট করে মাথায় দিয়ে আধঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাতেও খুশকি চুলে যাবে।
৮. আমলকি ও শিকাকাই গুঁড়ো, নারকেল তেলের সঙ্গে পেস্ট করে চুলে দিন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করলেও খুশকি থাকবে না।
৯. পেয়াঁজের রস মাথার তালুতে দিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
১০. লেবু খুশকি দূর করে। এজন্য শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে লেবু মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
১১. হেনা পাউডার, রিঠা পাউডার দিয়ে তৈরি ভেষজ প্যাক ব্যবহার করলেও খুশকি দূর হবে।
১২. ১ চা চামচ লেবুর রসের সাথে ৫ চা চামচ নারকেলের তেল ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তারপর মাথার তালুতে লাগিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটিও খুশকি দূর করতে কাজ করবে।
১৩. ভিনেগার খুশকির হাত থেকে মুক্তির অন্যতম প্রধান উপাদান। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে এতে থাকা পটাসিয়াম এবং এনজাইম ইচি স্কাল্প আর খুশকি সারিয়ে তোলে। একটি কটন প্যাডে ভিনেগার নিন। তারপর চুলে বিলি কেটে কেটে পুরো মাথায় লাগান। সপ্তাহে ২ দিন গোসলের ১ ঘণ্টা আগে লাগিয়ে রাখুন।
১৪. বেকিং সোডা খুব ভালো অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। এক মুঠো শ্যাম্পুর সাথে এক টেবিল চামচ সোডিয়াম বাই কার্বনেট মিশিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে একবার করলে খুশকি দূর হবে।

১৫. এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে দুই টেবিল চামচ রসুন পেস্ট মিশিয়ে একটি প্যাক বানান। রসুন প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক যা মাথার ত্বকের চারপাশে থাকা ব্যাকটেরিয়ার বংশ ধ্বংস করে। এই অ্যান্টিডেনড্রাফ ট্রিটমেন্ট চুলে ২০-৩০ মিনিট লাগিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
১৬. খুশকি থেকে মুক্তির জন্য আরেকটি ঘরোয়া উপায় হলো ৪ টেবিল চামচ বেসনের সাথে ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। বেসন মাথার তালুর তেল শোষণ করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে আর এভাবেই খুশকির সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। গোসলের আগে এই প্যাক লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চাইলে শুধু মাত্র পানি দিয়েও ধুয়ে ফেলতে পারেন।
১৭. আপেলে থাকা এনজাইম ডেড স্কিন সেল দূর করে। দুই টেবিল চামচ ফ্রেশ আপেলের রস ১ চা চামচ পানির সাথে মিশিয়ে কটন প্যাডের সাহায্যে চুলের গোড়ায় লাগান। ১০-১৫ মিনিট পর তা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এরপরও যদি চুলে খুশকি হয়, তাহলে ভালো কোনো পার্লারে গিয়ে হারবাল ট্রিটমেন্ট কিংবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এভাবে চুলের যত্ন নিলে শুধু চুলের খুশকি দূর হবে না, সেইসঙ্গে চুল হবে সুস্থ ও সুন্দর।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2016/07/18/157533#sthash.jCAMVJxv.dpuf

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন