রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫

ত্বক ভালো রাখতে কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা


 

কমলা/লেবু (সাইট্রাস ফল): ভিটামিন C সমৃদ্ধ, যা ত্বকের কোলাজেন তৈরি করে এবং ত্বক টানটান রাখে।

পেঁপে: ত্বকের দাগ, ব্রণ ও কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি): অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ত্বককে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

আপেল: ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং স্কিন টোন ভালো রাখে।

কিউই: প্রচুর ভিটামিন C এবং E আছে, ত্বক উজ্জ্বল রাখতে দারুণ কার্যকর।

ড্রাগন ফল: ত্বকের আর্দ্রতা এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

আঙুর: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, বয়সের ছাপ কমায়।

নারিকেল পানি (যদি ফল হিসেবে বিবেচনা কর): ত্বক হাইড্রেটেড রাখে।

আর সবচেয়ে বড় কথা, ফল খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং প্রক্রিয়াজাত চিনি কম খেতে হবে।

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫

ছেলেদের চুলের যত্ন


 


  • চুলের যত্নে মেয়েরা যতটা সচেতন, ছেলেরা ততটা নয়। এ কারণে অল্প বয়সেই অনেকের চুল ঝরে যায়। দিনের পর দিন যত্ন না নেওয়ার কারণে মাথার ত্বকে খুশকি হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে চুল রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে যায়। চুল সতেজ ও সুন্দর রাখতে সঠিক উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। 
    মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন: মাথার ত্বক পরিষ্কার না করলে তৈলগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত সিরাম ও ত্বকের মরা কোষ মিলেমিশে মাথায় এক ধরনের আস্তরণ ও তেল চিটচিটে ভাবের সৃষ্টি করে। এতে ত্বক ও চুল দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই দু’দিক সমন্বয় করেই মাথার ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
    চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু-কন্ডিশনার: স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু এবং সিলিকনমুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুল শ্যাম্পু করার পর সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। ঢেউ খেলানো চুলের জন্য এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত, যাতে চুল খুব বেশি শুষ্ক বা খুব বেশি তৈলাক্ত না হয়। শ্যাম্পুর আগে চুলে চার-পাঁচ মিনিটের মতো কন্ডিশনার লাগিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুল যদি কোঁকড়া হয়, তাহলে কন্ডিশনার একটু বেশি ব্যবহার করুন। সে ক্ষেত্রে সিরামও খানিকটা বেশি পরিমাণে ব্যবহার করবেন। 
    সপ্তাহে ক’দিন চুল ধুবেন: চুল যদি স্ট্রেট হয়, তাহলে সপ্তাহে তিন দিন চুল ধুতে পারেন। কোঁকড়া চুল শুষ্ক ধরনের হয়। কোঁকড়া চুল সপ্তাহে দু’বার ধোয়া উচিত। সপ্তাহে তিনবারের বেশি এ ধরনের চুল ধোবেন না।
    যাদের চুল ওয়েভি, তাদের সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ধোয়া উচিত। ওয়েভি চুলের মতো ফ্রিজি চুলও সপ্তাহে দু’বার ধোয়া উচিত। 
    গরম পানির ব্যবহার এড়ানো: শীত হোক বা গরম সব সময়ই চুল ধোয়ার পানির তাপমাত্রা সঠিক হতে হবে। গোসলের পর নরম তোয়ালে দিয়ে চুল কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখুন। এর পর চুল কিছুটা আর্দ্র থাকতেই ময়েশ্চারাইজার, নারকেল বা জলপাই তেল লাগিয়ে নিন। এতে চুল থাকবে ঝলমলে ও মসৃণ।
    চুলের যত্নে সুষম খাবার: গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন বি-১২ ও ডি, বায়োটিন, রাইবোফ্লাভিন, আয়রনসহ অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতি চুল পড়ার সঙ্গে জড়িত। ডায়েটে প্রোটিন ও বায়োটিনের অভাব হলে চুল পড়ে। প্রোটিন ও বায়োটিনের ভালো উৎস হলো ডিম, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য দ্রুত পুষ্টি জোগায়। ছেলেদের ডায়েটে ডিম, সবুজ শাক ও চর্বিযুক্ত মাছের মতো উচ্চ পুষ্টি রয়েছে, এমন খাবার রাখা উচিত।
    সপ্তাহে দু’দিন তেল দিন: সুস্থ ও সুন্দর চুলের জন্য সপ্তাহে অন্তত দু’দিন তেল দিন। নারকেল তেল, আমন্ড অথবা জলপাই তেল ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে আমলকী হেয়ার অয়েলসহ অর্গানিক অনেক ধরনের তেল পাওয়া যায়। এগুলো চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। সবচেয়ে ভালো হয় তেল হালকা গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে।  
    উপকারী প্যাক: চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক চা চামচ নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। চুলের দৈর্ঘ্য অনুসারে একটি বা দুটি ডিমের কুসুম ব্যবহার করতে পারেন। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে নিন।
    একটি ডিমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ টকদই, দুই ফোঁটা গ্লিসারিন, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু, এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে শুরু করে পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন।

ছেলেদের ত্বকের যত্ন


 


 ১. ফেসওয়াশ ব্যবহার:

ধুলাবালি ও ঘাম দূর করতে দিনে ২ বার মাইল্ড ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
ছেলেদের ত্বক সাধারণত একটু রুক্ষ হয়, তাই অয়েল কন্ট্রোল বা ডিপ ক্লিন ফেসওয়াশ ভালো।

২. সানস্ক্রিন:

রোদে বের হওয়ার আগে SPF 30 বা তার বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক পুড়ে যাওয়া ও রঙ কালো হওয়া থেকে রক্ষা পায়।

৩. স্ক্রাবিং:

সপ্তাহে ২ বার স্ক্রাব করলে মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়।

৪. ময়েশ্চারাইজার:

রুক্ষ ত্বকের জন্য নাইট ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও হাইড্রেট থাকে।

৫. খাবারে যত্ন:

বেশি পানি পান করুন, ফলমূল খান এবং ফাস্টফুড কমান। এতে ভিতর থেকে ত্বক পরিষ্কার থাকে।

বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫

পায়ের যত্নে ঘরোয়া ফুট স্ক্রাব ও মাস্ক

 


পা নরম কোমল করতে স্ক্রাবঃ
যা যা লাগবে-
-ব্রাউন সুগার ২ টেবিল চামচ
-লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
-মধু ১ টেবিল চামচ
-অলিভ অয়েল ১ টেবিল চামচ
রেসিপি-
একটি বাটিতে সব উপাদান একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মেশাতে থাকুন যতক্ষণ না এটি নরম পেস্ট আকার ধারণ করে। এবার আপনার পা দুটি একটি বড় গামলায় গরম পানি নিয়ে সেই পানিতে ১০ থেকে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার পায়ের আলগা ময়লা স্তর নরম হয়ে যাবে, বাটি থেকে পেস্ট নিয়ে আপনার পায়ে লাগান এবং আলতো হাতে ঘষতে থাকুন। একই উপায়ে অপর পায়েও এই স্ক্রাব লাগান। কিছু সময় এভাবে পায়ে এই স্ক্রাব ম্যাসাজ করে পা ধুয়ে ফেলুন।
এটি আপনার পায়ের ডেডসেল ও শক্ত ভাব দূর করে পা নারিশ আর সফট করে।
কলা ফুট মাস্কঃ
যা যা লাগবে-
-পাকা কলা
-হালকা গরম পানি(প্রয়োজন মতো)
রেসিপি-
পাকা কলা চটকে আপনার পায়ের গোড়ালিতে লাগান। এটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে আপনার পা ধুয়ে ফেলুন।
এই মাস্কের বিশেষত্ব হচ্ছে যাদের পায়ের গোড়ালি ফাটা বা খসখসে তারা এই ফুট মাস্ক ব্যবহার করার ফলে পা ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন ও পায়ের গোড়ালি নরম কোমল আর সুন্দর হয়ে উঠবে। কারণ কলা আপনার পায়ের জন্য ভালো ফুট ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে।
ফুট ময়েশ্চারাইজার-
যা যা লাগবে-
-পেট্রোলিয়াম জেলি ১ টেবিল চামচ
-লেবুর রস ২ থেকে ৩ ফোঁটা
-গরম পানি
-পায়ের কটন মোজা
রেসিপি-
পেট্রোলিয়াম জেলি ও লেবুস রস দিয়েই আপনি ঘরে বসে আপনার ফুট ময়েশ্চারাইজার বানিয়ে ফেলতে পারেন। এই দুই উপাদান একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তবে পায়ে এটি লাগানোর আগে আপনার পা হালকা গরম পানিতে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার পায়ে এই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে আলতো ম্যাসাজ করে পায়ে মোজা দিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠেই পাবেন সুন্দর কোমল এক জোড়া নজরকাড়া আকর্ষণীয় পা।
ফুট মশ্চারাইজার ক্রিম-
-অলিভ অয়েল ১ টেবিল চামচ
-ল্যাভেন্ডার অয়েল ২ থেকে ৩ ফোঁটা
রেসিপি-
অলিভ অয়েল ও ল্যাভেন্ডার অয়েল একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণ যখন আপনার প্রয়োজন বা ইচ্ছে হয় ব্যবহার করতে পারেন।
শুধু মনে রাখবেন যখনই এই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন ক্রিমটা ভালো ভাবে ঝাঁকিয়ে নেবেন। এটি ব্যবহারে আপনার পায়ের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
পায়ের যত্নে কিছু হ্যান্ডি টিপসঃ
-পর্যাপ্ত পানি পান করুন সাথে তাজা সবজি ও ফলমূল খান।
-পায়ের নিয়মিত যত্ন করুন, পায়ের নখ বেশি বড় না করাই ভালো।
-শুধু মুখের ত্বকে নয় পায়েও ময়েশ্চারাইজার লাগান।
-পায়ে সব সময় হিলজুতো পড়া থেকে বিরত থাকুন। আবার একেবারে খুব পাতলা সোলের জুতাও পরবেন না।
-গরমকালে বেশি পায়ে ঘাম হয় তাই বাইরে থেকে এসে অবশ্যই পা ধুয়ে ফেলবেন।

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫

ত্বকের কালো দাগ দূর করতে করণীয়

 

যা যা লাগবে

  • দুটি গ্রিন টি ব্যাগ
  • দুই টেবিল চামচ চিনি
  • এক টেবিল চামচ ময়দা

যেভাবে তৈরি করবেন

প্রথমে গরম পানির মধ্যে গ্রিন টি ব্যাগ দুটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এবার পানি থেকে তুলে টি ব্যাগ দুটি কেটে এর পাতা বের করে নিন। কিছুক্ষণ ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এর সঙ্গে চিনি ও ময়দা ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

প্যাকটি পুরো মুখে লাগিয়ে হালকাভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

পরামর্শ

১. প্যাক দিয়ে স্ক্রাবিং করার সময় বেশি জোরে ঘষবেন না।
২. সপ্তাহে অন্তত দুদিন এই প্যাক দিয়ে স্ক্রাবিং করুন।
৩. স্ক্রাবিং করার পর অবশ্যই মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।